আসাদ বিন হাফিজ এর ১০০ ছড়াঃ ১৭০১-১৮০০


 

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭০১

নিম পাতা তিতা তিতা

তেতুল পাতা টক

নতুন করে বানাও আবার

নির্বাচনের ছক

 

ভালা মানুষ ভোট পাইবো

কইছে তোমায় কেডা

ভোটের ঘরে খাঁড়ায় থাহে

শয়তান একটা বেডা

 

হেই বেডায় ভোট নেয়ার

করতে আছে ছক

বেডার নাম সবাই জানে

বীর বাহাদুর ঠক

২০/১২/১৮।।  :০০ টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭০২

আম পাতা লম্বা লম্বা

কাঁঠাল পাতা গোল

রাত্রি শেষে ভোর হয়েছে

জাতি মাথা তোল

 

চিতল মাছের কোপ্তা ভাল

মাগুর মাছের ঝোল

প্রতারকের মাথায় এবার

ঢালরে সবাই ঘোল

 

রাত্রি শেষে সূর্য আসে

সূর্য উঠলে ভোর

তেমন রাজা পাবিরে তুই

যেমন স্বভাব তোর

 

রাজা খারাপ রাজা খারাপ

বলার কিছু নাই

মদ খাইলে মাতাল হবা

সহজ হিসাব ভাই

২০/১২/১৮।।  :০০ টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭০৩

শুকনো পাতা মচমচ করে ভেঙে হয়রে চুর

বলতে পারিস বন্ধুর বাড়ি রইছে কত দূর?

বন্ধুর বাড়ি যাইতে লাগে বারো দিনের পথ

বন্ধুর বাড়ি যাইতে কে রে হারায় নিজের নথ

 

নথ হারালে যাক হারিয়ে, পথ হারাতে নাই

পথ হারালে বন্ধুর দেখা পাবার উপায় নাই

বন্ধু বিনে অন্ধ জীবন, মন্দ লাগে ভাই

সবই হারাক তবু যেন বন্ধুর দেখা পাই

 

বন্ধু আমার দিনের সুরুজ রাতের ভরা চাঁদ

বন্ধু আমার মাথা রাখার নির্ভাবনার কাঁধ

২০/১২/১৮।।  :০০ টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭০৪

নির্বাচন খুব সুষ্ঠু হচ্ছে

মারামারি কবে হয় নাই?

কে যোগ্য কে যোগ্য নয়

কমিশন তা কয় নাই

 

সর্বোচ্চ আদালত রায় দেয়

কমিশন শুধু সায় দেয়

সময়মত বলবে সবই

কে জয়ী কার জয় নাই

 

জোর যার বেশী জয়ী হবে

জোর কম সে হারবে

জোর নাই তবে কেমন করে

জয়ী হতে পারবে?

 

সরকার হবে পুলিশ কই

জোর দেখাবে অস্ত্র কই

রঙিলা লাল বস্ত্র কই

কেমনে তবে পারবে?

তবে তো তুমিই হারবে?

 

আমার আছে জনগণ

আপনি খালি ভোটটা লন

২০/১২/১৮।।  :৩০ মি

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭০৫

লোকটা নাকি যাচ্ছেতাই

আজব গান গাচ্ছে তাই

যা তা খানা খাচ্ছে তাই

বেজায় মজা পাচ্ছে তাই

 

লোকটা কোথাও যাচ্ছে না

গানের কদর পাচ্ছে না

টাটকা খাবার খাচ্ছে না

গান শুনে কেউ নাচছে না

 

তাইরে নাইরে নাই রে

ভোট দিতে চল যাই রে

ভিটামিন নাই মাইরে

গুলি দুইটা খাই রে

 

লোকটা নাকি যাচ্ছেতাই

এমন গান গাচ্ছে তাই

২১/১২/১৮।।  :৩০ মি

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭০৬

হীম হীম আদরে

কুয়াশার চাদরে

কনকনে ঠান্ডায়

কাবু হয় পান্ডায়

 

কাবু হয় মোসাহেব

কাবু হয় বড় সাব

কাবু খালি হয় না

চাষাদের বুড়ো বাপ

 

গরু নিয়ে মাঠে যায়

ডাকে হাঁস আয় আয়

নিজে নেয় কাস্তে

হেঁটে যায় আস্তে

 

হেঁটে যায় ফাদারে

কুয়াশার আঁধারে

শীত আহা দাদা রে

কাঁপে দেখ্ গাধা রে

 

হীম হীম ঠান্ডায়

নড়ে না সে ডান্ডায়

দাঁত কাঁপে ঠকঠক

নড়ে তবু উজবক

 

আগুনের পরশে

নাচে মন হরষে

বেশী শীত ভালা না

শীত কারো খালা না

২১/১২/১৮।।  :০০ টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭০৭

লোকটা নাকি হাড়কিপটে

পেট ভরে সে খায় না

আত্মীয়রা দাওয়াত দিলেও

দাওয়াতে সে যায় না

 

নিজের দাড়ি নিজেই কাটে

সামনে রেখে আয় না

বউয়ের সাথে ঝগড়া করে

বউটা ধরলে বায়না

 

শুকনো মরিচ প্লেটে রেখে

দেখে দেখে খায়

রাত দুপুরে সদাই পাতি

কিনতে হাটে যায়

 

খাট লাগে না শুতে তাহার

মাটির ওপর শোয়

সাবান ছাড়া নিজের কাপড়

নিজে নিজেই ধোয়

 

লিকলিকে তার দেহের ধরন

কালো এবং চিপ্টে

নামটা কি তার কেউ জানে না

সবাই ডাকে কিপ্টে

২১/১২/১৮।।  ১০:০০ টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭০৮

কোট চেয়েছি সমান্তরাল

সবাই যেন খেলতে পারে

দরকার হলে সবাই যেন

এদিক ওদিক হেলতে পারে

 

এখন দেখি ধরপাকড়

এবং দেখি গুলি

সেই গুলিতে যায় যে উড়ে

সমর্থকের খুলি

 

কেন্ডিডেট যায় জেলখানায়

সমর্থকে মরে

এই নির্বাচন কে চেয়েছে

আজরাইল ক্যা ঘরে?

 

সিইসি সাব একচোখা

ষাড়ের মত একরোখা

২২/১২/১৮।।  ১০:০০ টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭০৯

কে কে নাকি ব্যালট ছাপায়

অভিযোগ করে মন্ত্রী

ধরে না ক্যান তাও বুঝি না

কে যে ষড়যন্ত্রী

 

মামার পাতে ভাত দেন, দেখেন

আমার পাতও খালি

সময়টা যায় অযথা ক্যান

করেন তালিবালি?

 

এতো বড়ো অপকর্মে

সরকারের হাত নাই

তার মানে কি আমরা সব

পাকা ধানই খাই?

২২/১২/১৮।।  ১০: ৩০ মি

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭১০

কোটি টাকার ঋণ খেলাপী

নমিনেশন পায়

ভোটের মাঠটি সমান্তরাল

তবু বলা যায়?

 

নির্বাচনের মাঠ সমান্তরাল

শুধুই ফাঁকা বুলি

প্রার্থী যায় জেলের ভেতর

কর্মী খায় গুলি

 

ইলেকশানের নামে দেখি

রক্তগঙ্গা বয়

কারো কারো সভায় ওসি

ভোটের কথা কয়

 

শহর জুড়ে পোস্টারগুলো

একাই টাঙালি?

আজব রকম ভোটটা এবার

দেখুক বাঙালি

২২/১২/১৮।।  :০০ টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭১১

আপনেরে দাওয়াত দিলাম

আমার বাড়ি আইসেন

শীতের দিনের রোদের মতো

দন্ত মেলে হাইসেন

 

তিলের নাড়ু, মেরা পিঠা পোড়া

আসার সময় সংগে আইনেন থোড়া

আর আইনেন খেজুরের রস

ভিজা পিঠা খাইবেন

শ্বশুর বাড়ি যাইবেন

অনেক মজা পাইবেন

 

কেউ করে না দাওয়াত এমন

কয় না পিঠা খান

মায়র মতো কয় না ডেকে

আয়রে সোনার চান

 

হয় না যাওয়া খালার বাড়ি

হয় না খাওয়া পিঠা

কে দিবে রে গরম গরম

ভাঁপা পিঠা মিঠা

 

চিতই পিঠা গরুর ভুনা

দেয় না পাতে কেউ

তাইতো আমার হৃদয় জুড়ে

হাজার ব্যাথার ঢেউ

 

দেশের শুধু উন্নতি হয়

মনের কেন হয় না

এই কথাডা আমায় খুলে

বলতে পারিস ময়না?

২২/১২/১৮।।  :০০ মি

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭১২

সোনার ভোল্টে সোনা নাই

পুকুর বিলে পোনা নাই

ডাকাত কয়টা গোনা নাই

ভোটের কোন কোণা নাই

 

আর্মি আছে ময়দানে

ভয় কিরে তোর শয়তানে

বুক ফুলিয়ে যাবি তুই

ভয়ভীতি সব ঘরে থুই

 

নিজের ভোট নিজে দিবি

যারে খুশি তারে দিবি

২৩/১২/১৮।।  :০০ টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭১৩

তোর হাতে রক্ত

কোন সাহসে ভোট চাস?

তোর হাতে অগ্নি

কোন সাহসে ভোট চাস?

 

তোর হাত তো খূনীর হাত

ভোট তোকে আর দিমু না

খুনীর দোসর এই বদনাম

আর তো আমি নিমু না

 

বেলতলাতে যামু না

রাম চিমটি খামু না

 

আমার মতো দুঃখী যে

তারে দিমু ভোট

নে ফিরিয়ে কচকচে তোর

বাড়িয়ে দেয়া নোট

 

মনে রাখিস সাচ্চা

তুই দানবের বাচ্চা

২৩/১২/১৮।।  :০০ টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭১৪

আম গাছে নাড়া দিলে জাম গাছ নড়ে

কালো কালো জামগুলো টুপটাপ পড়ে

সেই জামে খোকাখুকি মুখ করে লাল

এইভাবে জগৎ চলে চিরকাল

 

আজ যারা খোকাখুকি কাল হয় বড়

পৃথিবীটা দেখে হয় চোখ বড়সড়

মানুষ আজব প্রাণী কত কি যে করে

সোজা পথ রেখে কেউ বাঁকা পথ ধরে

 

পাপ করে পাপী হয় খুন করে খুনী

মানুষই কেউ কেউ হয়ে যায় গুণী

কাজে হয় পরিচয় কে মহত সৎ

কর্মেই গুণী হয় জেনো আলবত

 

বাঁকা পথ ছেড়ে এসো সোজা পথে চলি

স্রষ্টা মহান সবার সেরা এই কথা বলি

২৪/১২/১৮।।  :০০ টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭১৫

আমরা করি অপকর্ম

তুই কওয়ার কিডা

সাম্বাদিকরে পিডা

 

গোপন কথা করলে ফাঁস

খোঁজ পাবি না নিজের লাশ

কইতে কইছে কিডা

আচ্ছা মত পিডা

 

দুমুখো সাপ দালাল

পয়সা করো হালাল?

হালাল তোমায় করাচ্ছি

আকিজ বিড়ি ধরাচ্ছি

 

ছ্যাকা দিমু বুকে

থাকো এবার সুকে

দালালিতে সুখ নাই

পিডায় কোন দুখ নাই

 

আবার যদি খোল মুখ

বুঝবা পিডা কেমন সুখ

আমি দেশের বড় ভাই

করে দেবো ফারদাফাই

২৪/১২/১৮।।  রাত :০০ টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭১৬

শোনেন শোনেন  মেম্বার

ভরেন আপার চেম্বার

এবার একটু কেয়ার নেন

ভাঙা রাস্তায় মাটি দেন

 

শোনেন শোনেন চেয়ারম্যান

আপনিও একটু কেয়ার নেন

গরীবের গম খাইয়েন না

আবার জেলে যাইয়েন না

 

শোনেন শোনেন এমপি সাব

গাছের আগায় পাকা গাব

ভোট নিতে আর আইয়েন না

গাবের ঢিল খাইয়েন না

 

গাবের কশ উঠে না

মরা ফুল ফোটে না

২৫/১২/১৮।।  :৩০ মি

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭১৭

অমলেশ কর্মকার

আছে নাকি ধর্ম তার

মিছা কথা কয় না

ঘুষ নিজে লয় না

 

পাখি পালে ময়না

বাজে কথা সয় না

অমলেশ কর্মকার

এসব নাকি বর্ম তার

 

কথা কয় ঠাস ঠাস

ভয় পায় আব্বাস

তাকে তাই ঘাটে না

একসাথে হাঁটে না

২৬/১২/১৮।।  :০০ টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭১৮

এক যে ছিল সাপুড়ে

বলতো শোন বাপুরে

সাপের খেলা দেখতে চাও?

চার আনা পয়সা দাও

 

পয়সার বড় অভাব যে

যায় না তবু স্বভাব যে

বলে দেবো দুই আনা

এবার সাপ তুই আনা

 

নারে বাবু হবেক নাই

এবার তবে হামিক যাই

 

নাস্তা খাবি বাবু

এবার বাবু কাবু

ডিম দিবি আস্তা

খাইনি হামিক নাস্তা

 

তবে বাপু বসো রে

একটু খানিক রসো রে

এটা হলো কালসাপ

ওমা ওমা বাপরে বাপ

 

ভয় পেয়ো না বাচ্চা লোক

উপড়ে নিছি নাই এর চোখ

এই যে দেখো অজগর

দেখতে যেনো বিয়ের বর

 

আস্ত মানুষ গিলে খায়

মরা সাপ চিলে খায়

২৬/১২/১৮।।  ১০:০০ টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭১৯

হীরাঝিলে হীরা নাই মতিঝিলে মতি

রাগ করে লাভ নাই ক্ষতি শুধু ক্ষতি

ক্ষতি হয় দেহ মনের

ক্ষতি হয় বরও কনের

ক্ষতি পায় সকলেই কালা রূপবতী

 

রাগ আনে ক্ষুধা দেহমনে কষ্ট

রাগ করে যত্নে গড়া ফুলমালা নষ্ট

রাগ তাই করতে নাই

হাসি থেকে সরতে নাই

এই কথা জনে জনে বলে দিও পষ্ট

 

রাগলে তুমি হারবে এটা সকলেই জানে

নয়তো তুমি জিততে পারো সকলেই মানে

হঠাৎ তুমি রাগলে যেই

দেখবে কাছে বিজয় নই

রাগলে তুমি হারতে পারো, মরতে পারো প্রাণে

২৬/১২/১৮।।  :০০ টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭২০

সর্ষের ফুল

দে দোল দোল

বুবু তুই তোল

সর্ষের ফুল

 

আহা কী যে ঘ্রাণ

ভরে দেয় প্রাণ

মন আনচান

আহা কী যে ঘ্রাণ

 

হলুদের শাড়ি

ঘিরে রাখে বাড়ি

করে কাড়াকাড়ি

হলুদের শাড়ি

 

দো দোল দোলে

মৌমাছি ফুলে

হাসে ফুলে ফুলে

দে দোল দোলে

 

নাচে মন প্রাণ

রূপ অফুরাণ

আবেশিত ঘ্রাণ

নাচে মন প্রাণ

 

দে দোল দোল

সর্ষের ফুল

বুবু তুই তোল

দে দোল দোল

২৬/১২/১৮।।  ১০:০০ টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭২১

দেখ হলুদের বন্যা লো দেখ হলুদের বন্যা

বাংলাদেশের সবুজ গাঁয়ের হলুদিয়া কন্যা

মাঠভরা সর্ষে ফুল হালকা বায়ে দোলে

হলুদিয়া শাড়ি পরে সে ফুল কন্যা তোলে

সে ফুল কন্যা তোলে লো সে ফুল কন্যা তোলে

 

চারদিকে দেখ সর্ষে ফুল চক্ষু যেদিক যায়

রূপের ঝলক তুলে লুটায় ওর নরোম গায়

মাঠজুড়ে দেখ, হলুুদ ফুলের ঢেউ খেলিয়া যায়

সেই ফুলেরই মধু লুটে অলিরা গুনগুনায়

আহা, অলি গুনগুনায় রে অলি গুনগুনায়

 

সেই ফুলেরই নাচন দেখে নেচে ওঠে প্রাণ

সেই ফুলের ঘ্রাণে আহা মন করে আনচান

হলুদিয়া কন্যা তোলে হলুদ বরণ ফুল, (আহা,)

তার রূপ যে কি অতুল রে রূপ যে কি অতুল

২৭/১২/১৮ ।।  ১০:০০ টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭২২

শিমুল ফুলের রঙটা লাল

কৃষ্ণচুড়ার রঙটা লাল

আমার ভাইয়ের রক্ত দিয়ে গড়া

তাকে নিয়েই লিখবো আমি ছড়া

 

ধন্য আমি ধন্য

আমার ভাইতো রক্ত দিছে

স্বাধীনতার জন্য

 

মায়ের ভাষায় বলবো কথা

থাকবে মনে উদারতা

নিষ্ঠুরতার স্বভাবটাতো

একেবারেই বন্য

ধন্য আমি ধন্য

 

স্বাধীনতায় হাত দিবে কে দাও।

তুমি কি তয় গুখরো সাপের ছাও?

কেন তুমি স্বাধীনতা কাড়তে আমার চাও?

তোমার জীবন অমূল্যধন আমার জীবন ফাও?

 

তোমার আশার গুড়ে বালি

মানবতার মুখে তুমি মাখবে কতো কালি?

অস্ত্রের চেয়ে গণজোয়ার অনেক বলশালী

 

ধন্য আমি ধন্য

আমার ভাইতো রক্ত দিছে

স্বাধীনতার জন্য

 

তুমি এতো ভালা

আমার মুখে দিবা তালা

ভাইয়ের মতো আমিও আর

সইবো নাতো জ্বালা

 

পলাশ ফুলের রঙটা লাল

রক্তজবার রঙটা লাল

আমার ভাইয়ের রক্ত দিয়ে গড়া

তাকে নিয়েই লিখবো আমি ছড়া

২৭/১২/১৮।।  :৩০

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭২৩

মনটা আমার কত্তো বড়ো জানিস?

সাতটা আকাশ হাত বাড়িযে আনিস

রেখে দেবো বুকের ভেতর জমা

বলবো নাতো একটুখানি কমা

 

সাত মহাদেশ সাত সাগর

হোক না ছোট হোক ডাগর

সালাম করবে ঝুঁকে

শুইয়ে দেবো বুকে

 

আকাশ জমিন সাগর রাখার পর

দেখবো ফাঁকা জায়গা যে বিস্তর

সেখানটাতে রাখবো ভালোবাসা

আর রাখবো সুখ স্বপ্ন এবং আশা

 

মনটা আমার এত্তোখানি বড়ো

যা রাখো তাই হবে জড়োসড়ো

২৮/১২/১৮।।  :০০ টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭২৪

পৃথিবীর সবই তোমার,

তুমি তোমার রবের

তোমার জন্য সৃষ্টি জাহান

তামাম কিছু ভবের

 

মাঝখানে নেই অলি দরবেশ,

রাজা মহারাজা

মাঝখানে নেই গাউস কুতুব

পীর অাউলিয়া খাজা

 

তোমার গোলাম বিশ্বজাহান

তুমি গোলাম তাঁর

এই পৃথিবী বিশ্বজাহান

সবই সৃষ্টি যাঁর

 

তুমি গোলাম এক আল্লাহর,

তোমার গোলাম বিশ্ব

জাহানের সবই তোমার

নওতো তুমি নিঃস্ব

২৮/১২/১৮।।  ১২:০০ টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭২৫

স্বপ্ন দেখো, স্বপ্ন দেখো সবার সেরা তুমি

পেরিয়ে গেছো বনবনানী পাহাড় মরুভূমি

পায়ের নিচে সপ্ত সাগর, আকাশ মাথার 'পর

বেহেশতেরই ফুলবাগিচা থাকুক তোমার ঘর

 

স্বপ্ন দেখো তোমার রাজা তুমি একাই, নিজে

ভাবতে গেলেই অপার সুখ, শান্তি লাগে কি যে

তোমার ওপর আছেন খোদা, স্রষ্টা জগতময়

তিনি তোমার সহায় হলে কিসের আবার ভয়?

 

স্বপ্ন দেখো, স্বপ্ন দেখো, সবার সেরা তুমি

তোমার সেবায় আছে পাহাড় সাগর বনভূমি

বনবনানী ঝর্ণা নদী তোমায় দেখে হাসে

পৃথিবীর সবাই আজো তোমায় ভালবাসে

২৮/১২/১৮।।  :০০ মি

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭২৬

মেঘের ভেলায় চড়ে আমি যাবো চাঁদের দেশে

বীর শহীদের বেশে মাগো বীর শহীদের বেশে

তুমি আমায় সাজিয়ে দিও মিষ্টি মধুর হেসে

বীর শহীদের বেশে মাগো বীর শহীদের বেশে

 

জালিম জনের জুলুম আমি করবো মাগো দূর

সহায় হবেন আল্লাহ রাসূল কোরান হেরার নূর

আকাশ ভরা তারকার দল করবে কোলাকুলি

তারা সবাই শহীদ ভাই, কেমনে তাদের ভুলি?

 

মেঘের ভেলায় চড়ে আমি যাবো চাঁদের দেশে

বীর শহীদের বেশে মাগো বীর শহীদের বেশে

তুমি আমায় সাজিয়ে দিও মিষ্টি মধুর হেসে

বীর শহীদের বেশে মাগো বীর শহীদের বেশে

২৮/১২/১৮।।  :০০ টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭২৭

টিয়া পাখি বিয়া করে

চড়ুই আসে দাওয়াতে

টান পড়েছে খাওয়াতে

 

ময়না কথা কয় না

এই জ্বালা তার সয় না

ক্ষুধা পেটে বিয়া নাই

চেয়ে দেখে টিয়া নাই

 

শালিক বলে টিয়া কই

এই এনেছি আরো দই

আমার নামই শালিক

আল্লাহ খাবার মালিক

 

তাঁর খাবারের অভাব নাই

এই কথারতো জবাব নাই

সবাই বসে খাইতে

শালিক যায় নাইতে

২৯/১২/১৮।।  :০০ টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭২৮

সবার অসুখ একটা

যে ধরবে ব্যাগটা

তার বুদ্ধির দরকার কি?

সে চালাবে সরকার কি?

 

বোবার কোন শত্রু নাই

বুদ্ধিমানের দরকার নাই

 

কাত বললে কাত

চিত বললে চিত

তার ভাগ্যে লেখা আছে

চিরকালীন জিত

 

বুদ্ধি থাকলে হারবে

খেক শিয়ালে মারবে

২৯/১২/১৮।।  :০০ মি

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭২৯

হাতি মারার স্বপ্ন দেখো কিছুটা তো পারবে

হাতি না হয় শিয়াল তুমি অনায়াসে মারবে

একটা কিছু করো, স্বপ্ন দেখো বড়ো

চেষ্টা থাকলে জিতবে তুমি কে বলে গো হারবে

 

কেউ হারে না স্বপ্ন শুধু স্বপ্ন থাকলে বড়ো

সফল হতে শুধু একটু সাহস করো জড়ো

পাহাড় হবে পদানত, দেখবে তুমি জিতবে

জিতবে তুমি জিতবে মানব ভালবাসা জিতবে

 

থাকবে তুমি সত্য এবং থাকবে সুন্দর পক্ষে

থাকবে শক্তি থাকবে সাহস সদা তোমার বক্ষে

লড়বে তুমি, লড়বে সদা, সত্য ন্যায়ের লক্ষ্যে

থাকবে আশা, ভালবাসা, থাকবে তোমার চক্ষে

২৯/১২/১৮ ।।  :০০ টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭৩০

কিশোর বেলার দিনগুলো হায় সবুজ ছিল

সবুজ ছিল, সতেজ ছিল, অবুঝ ছিল

স্বপ্নগুলো সম্ভাবনায় কানায় কানায় ভরা ছিল

 

কিশোরবেলা প্রাণভোমরা ঘুরতো বন পথে

মনটা যেতো ওড়ে ওড়ে শুধুই বিজয় রথে

আশা এবং স্বপ্নগুলো অবুঝ ছিল, সবুজ ছিল

 

কিশোর বেলা রঙিন ফুলে ভরা ছিল মনটা

কতো রকম মিষ্টি ফলে ভরা ছিল বনটা

প্রতিটা দিন প্রতিটা ক্ষণ নতুন ছিল, সবুজ ছিল

 

কিশোর বেলার লগ্নগুলো মগ্ন ছিল মধুরতায়

সকাল দুপুর কেটে যেতো ভীষণ রকম অধীরতায়

প্রতিটাক্ষণ চঞ্চলতায় সবুজ ছিল, অবুঝ ছিল

৩০/১২/১৮।।  :০০ টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭৩১

এমন যদি হতো

স্রষ্টাপ্রেমে সকল মানুষ হচ্ছে অবনত

স্রষ্টার রহম পৃথিবীতে ঝরছে অবিরত

তবে কেমন হতো?

 

এমন যদি হতো

হিংসা দ্বেষ মানুষগুলো ভুলছে অবিরত

ভালবাসার মলম দিয়ে সারছে বুকের ক্ষত

তবে কেমন হতো?

 

এমন যদি হতো

ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে মানুষ আছে যতো

করছে সবাই কোলাকুলি মিলছে অবিরত

তবে কেমন হতো?

 

এমন যদি হতো

মানূষগুলো সাজতো প্রেমিক সবাই নবীর মতো

পাখিরা সব প্রেমের গান গাইতো অবিরত

তবে কেমন হতো?

৩০/১২/১৮।।  :০০ টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭৩২

দেশটা কারো বাপের না

কারো অনুতাপের না

দেশটা জনগণের

দেশটা শুদ্ধ মনের

 

দেশটা কারো বাবার না

দেশটা চেটে খাবার না

দেশটাতো নয় ক্ষমতার

দেশটা সকল জনতার

 

দেশটা কারো পিতার না

দেশটা রঙিন ফিতার না

দেশটা তো নয় ফানুসের

দেশটা গণমানুষের

৩০/১২/১৮।।  :০০ টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭৩৩

মারা গেল তের জন উৎসবমুখর ভোটে

উৎফুল্ল সাম্বাধিক তবলা বাজায় ঠোঁটে

 

হরিণ মরলে শোক করে, মানুষ মরলে উৎসব

কি কয় এসব মিডিয়া, আইন কি তয় খুঁৎ সব

 

উৎসবমুখর নির্বাচনে শত শত আহত

উৎসবমুখর হতো কিনা যদি এসব না হত

 

রক্তে ভাসে পুলিংবুথ, রক্তে ভাসে অঙ্গ

মানুষ মরে দলে দলে তোমরা কর রঙ্গ

 

হায়রে আন্ধা সাম্বাধিক

তোর জন্যে হাজার ধিক

৩০/১২/১৮।।  :০০ টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭৩৪

একুশটা প্রাণ পড়লো ঝড়ে

একটা ভি এর জন্য

আমরা কি ভাই মানুষ আছি

নাকি পশু বন্য

 

সিইসি সাব গর্ব করেন

কেউবা দেখান ভি

আমি বলি দেশের ভেতর

ঘটছে এসব কি?

 

একুশ পরাণ যায়নি শুধু

অঢেল গেছে রক্ত

মারের ওপর অষুধ নাই

জাতি মারের ভক্ত

 

যেই দেবতা যাতে খুশি

তারে তাই দিতে হয়

জাতি মাইরে বেজায় খুশি

তাইতো মাইর দিতে হয়

 

উৎসব করো, ভি দেখাও

গর্ব করো ভাইরে

একুশ খুন আর রক্ত সাগর

উৎসব করো তাইরে

৩১/১২/১৮।।  ১১:০০ টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭৩৫

ঘর পুড়লো দোকান পুড়লো

পুড়লো হৃদয় মন

একুশ পরাণ পড়লো ঝরে

রক্ত মণ কে মণ

 

ঘরে যদি পড়ে ডাকাত

উজাড় হতে কতক্ষণ

ডাকাতিতে সফল মানে

তোমার শেষ সম্পদ ধন

 

ডাকাতেরা ভি দেখাবে

তুমি দেখবা চেয়ে

ওরা আরো করবে গর্ব

তোমার রক্তে নেয়ে

 

ডাকাত বলবে এবার হাসো

তুমি তখন হাসবে

বলবে এবার ভালবাসো

তুমি ভালবাসবে

 

অস্ত্রের সামনে গোয়ার্তুমী

করে কোন লাভ নাই

তোমার হাসি দেখলে লোকে

কেমনে বুঝবে ভাব নাই

 

সবাই ভাববে ওরা তোমার

ইয়ার অতি চোস্ত

যে যা ভাবুক ওরাই তোমার

বন্ধু খাঁটি দোস্ত

৩১/১২/১৮।।  ১১:৩০ মি।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭৩৬

উন্নয়নের খোয়াড়ে

ভেসে এলো জোয়ারে

প্রায় তিনশ গোয়াড়ে

তুলসী পাতায় ধোয়ারে

 

উপরে ছিল ফিটফাট

ভেতরে ছিল সদরঘাট

সেই ঘাটে নাও ভিড়লো

ষাঁড়ে দড়ি ছিঁড়লো

 

প্রায় তিনশো গোয়াড়ে

ঢুকলো এসে খোয়াড়ে

শুইবো কই, বালিশ দে

গায়ে  নতুন মালিশ দে

৩১/১২/১৮।।  :০০ টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭৩৭

ভোটার কম ভোট বেশী

কী আজব ঘটনা

পেপারে যা লেখা আছে

নাকি তা রটনা?

 

ভানুমতির খেলরে ভাই

ভানুমতির খেল্

রাজপ্রাসাদ ছেড়ে কে

চায় রে যেতে জেল

 

খুলনাতে যা ঘটেছিল

এবারে তা ঘটে নাই

কারচুপি যা হয়েছে

এবারে তা রটে নাই

 

ভোট হয়েছে ভোটের মত

হিসাব কিতাব ভিন্ন

রেজাল্ট দেখো সেখানেই

বুদ্ধিমত্তার চিহ্ন

 

লাগ ভেল্কি লাগরে লাগ

হয় না যেন গোমর ফাঁক

৩১/১২/১৮।।  :০০ মি

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭৩৮

জন্মেছিতো মরার জন্য

মরায় আবার ভয় কি

দেহ মনে জুলুমবাজি

পরাণে তা সয় কি?

 

সকলেই তো মরে একবার

দুবার তো কেউ মরে না

সময় হলেই সবাই মরে

কেউতো আগে পরে না

 

তবে তোমার ভয় কি মরায়

মরণকে  কও কেবা ডরায়?

 

সত্য ন্যায়ের পথে বলো

কোন সাহসী লড়ে না

মরণ এলে যায় না বাঁচা

মরণ গাছে ধরে না

 

লড়তে পারে যারা

বাঁচতে পারে তারা

৩১/১২/১৮।।  :০০ টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭৩৯

মরণ যখন আসে তখন মরণ বরণ করতে হয়।

স্রষ্টার যখন হুকুম হয় তখনই তো মরতে হয়

সময় হওয়ার আগে কভু কারো মরণ আসে না

রাজা উজির মরণ এলে কেউ তো বসে হাসে না

 

মরণ এলে ফকির দর্বেশ সবাকে তো মরতে হয়।

মরার আগেই পরকালের পুঁজিটুকু গড়তে হয়

খোদার হুকুম ছাড়া কারো কভু মরণ আসে না

পাপীর মরণ এলে সে তো মরণ ভাল বাসে না

 

যতো বড়ো বীর বাহাদুর সময় হলে মরতে হবে

অন্যায় দেখলে তার বিরুদ্ধে সাহস করে লড়তে হবে

ভয় দিয়ে তো কোনদিনই মরণ ঠেকান যায় না

সত্য ন্যায়ের পথে লড়ি আয় না তবে আয় না

৩১/১২/১৮।।  ১০:০০ টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭৪০

রাত নিঝঝুম

চোখে নাই ঘুম

কি জানি কি হয়

মনে বড় ভয়

 

চারদিকে বন

শিহরিত মন

সব সুনসান

ঝি ঝিদের গান

 

কেউ নাই পাশে

বাতাসে কে হাসে

মন জুড়ে ভয়

রাত কেন হয়

 

ঘরে নাই আলো

কুচকুচে কালো

জানালায় ভূত

বড় অদ্ভুত

 

বাইরে কে হাঁটে

পুকুরের ঘাটে

ডাকু নাকি চোর

কত দূর ভোর

 

কি জানি কি হয়

মন জুড়ে ভয়

বুড়ো বটগাছে

কি জানি কি আছে

 

নাকি সুরে ডাকে

বাতাসের ফাঁকে

কে যে চটকায়

আছি কটকায়

 

বাঘ নাকি ভূত

মাঠে অদ্ভুত

//১৯।।  সকাল :০০ টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭৪১

নাম তার আকতার

প্রিয় লাল শাক তার

হতে চায় ডাকতার

বড় ভাল লাক তার

 

মেডিকেলে যায় সে

চান্স ওতো পায় সে

লাল শাক খায় সে

সুখে গান গায় সে

 

সুখে গান গায় রে

কত কি যে চায় রে

চলে পায় পায় রে

দিনগুলো যায় রে

 

লেখাপড়া করে না

বই মোটে ধরে না

একদমই পড়ে না

ভাগ্যটা নড়ে না

 

নাম যার আকতার

কাটা যায় নাক তার

মাথা ভরা টাক তার

হয় না সে ডাকতার

 

হয় ডাকু ফেলুয়া

ফুটবল খেলুয়া

//১৯।।  :০০ টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭৪২

লোকটা যদিও পাজি

হাজার কাজের কাজি

কাজ করতে সে রাজি

নায়ের নতুন মাঝি

 

হেন কাজ নাই, পারে না

কাজ পেলে সে ছাড়ে না

জুতা সেলাই, চন্ডী পাঠ

রেসকোর্স টু গড়ের মাঠ

 

সবখানে সে সামনে রয়

ফটর ফটর কথা কয়

কথায় মারে সিংহ হাতি

ফজল শেখের প্রিয় নাতি

 

লেংড়া কানা আহাম্মক

সবে জানে সে মস্ত ঠক

তবু তাকেই বাসে ভাল

যদিও সে বেজায় কাল

 

ডাকলে তাকে কাছে পায়

তাইতো তারে কাছে চায়

//১৮।।  ১১:০০ টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭৪৩

টুনটুনি গো টুনটুনি

যার আশাতে দিনগুনি

সেকি ত্বরা আইবে

আমার ভাত খাইবে

 

আইতে পারে যদি চাও

খোদার কাছে হাত উঠাও

তোমার মনের স্বপ্ন আশা

চায় যে গো তাঁর ভালবাসা

 

আল্লাহ চাইলে সব হয়

বেকারদেরও জব হয়

//১৮।।  :০০ টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭৪৪

হাতের তালুয় বসা আছে বটবৃক্ষের ছাও

নখের মাঝে দিচ্ছে লাফ তিন শিয়ালের পাও

হাতিটাতো শুড় দিয়ে তার দিচ্ছে নাকে সুড়সুড়ি

কিচ্ছা কইতে আসছে ছুটে চাঁদের থেকে চাঁদবুড়ি

 

চাঁদবুড়িটা গুড়মুড়ি খায় আরতো কিছু চায় না

পোলাও কোরমা দিলে বলে ওসব নাকি খায় না

এমন কত কান্ড দেশে ঘটছে আমি রোজ জানি

তুমি বলছো মারছি গুল, বলছি নাকি, হাউ ফানি

 

ফানি বলার মানি নাই, মিডিয়া কি কয় দেখো

উৎসবে ভোট হয়ে গেছে পেপারে তো তাই লেখো

ডজন ডজন লোক মরে, নির্বাচন হয় উৎসবে

এমন দেশে গণধর্ষণ জুৎ হবে, না, খুঁৎ হবে?

 

হাতের তালুয় বসা আছে বটবৃক্ষের ছাও

সত্য নাকি মিথ্যা এবার তুমিই বলে যাও

//১৯।।  :০০ টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭৪৫

কুয়োঁর ভেতর কলাগাছ

গাছর আগায় পানি

বিলে এখন  বসত করে

ভূতপেত্নির নানী

 

নানী খোঁজে মানুষজন

মানুষ খুঁজে পায় না

শয়তান মানুষ মানুষ না

ধরে খালি আয়না

 

আয়নার ভেতর শয়তান বসা

মানুষ গেলো কই

মানুষ গেছে আমন ধানের

আনতে মুড়ি খই

 

ঘর আছে বাড়ি আছে

মানুষ নাকি নাই

কইঁ গেঁলে মানুঁষ পাঁই

তাঁইরে নাঁইরে নাঁই

//১৯।।  :০০ টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭৪৬

লাউয়ের ডগা কুমড়ো ফুল

কয়বার করবি একই ভুল

দিনে সূর্য রাতে চাঁদ

খাইতে জানলে সবই স্বাদ

 

ভুলের মাশুল দিতে হয়

-তে ফুল ফিতে হয়

আগে বাঁচা নিজের জান

তারপর দেখিস কয়টা কান

 

কান টানলে মাথা আসে

বগল বাজায় সর্বনাশে

আগে শেখো দাবার চাল

বোম্বে মরিচ অনেক ঝাল

 

বিড়াল পারলে ইলিশ খায়

হাঁটতে হয় নিজের পায়

পরের পায়ে হাঁটতে গেলে

পদে পদে আছাড় মেলে

//১৯।।  :০০ টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭৪৭

ইতল বিতল চিতল মাছ

পানির তলে হিজল গাছ

হিজল গাছে হিজল ফুল

কোথায় গেল কানের দুল

 

দুল চিতলের পেটে

মাছটা অনেক বেঁটে

বেঁটে মাছ খেঁটে খায়

বামন বেটা হেঁটে যায়

 

হেঁটে কই যাস তুই

জানতে চায় বনরুই

বনরুই রুই না

পথেঘাটে শুই না

 

শুইতে যাবো খাট কই

চম্পারানীর ঘাট কই?

//১৯।।  :০০ টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭৪৮

নদী নালা কিছু নেই বালি আর বালি

খেজুরের গাছ ছাড়া আর সব খালি

কঠিন কঠোর ভূমি মক্কা শহর

সেখানে থামতো এসে উটের বহর

 

জমজম কূপ ছিল থামার কারণ

আজব পানীয় তার হয় বিতরণ

আজো সেই কূপ আছে, আছে তার পানি

হাজীরা সে পানি আজো দেশে আনে টানি

 

সে শহরে জন্ম নেন নবী আল আমীন

যার কাছে এসেছিল সর্বশেষ দ্বীন

তার নামে পড়ো সবে দরুদ সালাম

সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম

 

তখনো হননি নবী, এতীম বালক

শৈশবেই হয়ে যান সমাজ চালক

স্বভাবে চরিত্রে তিনি অতি অনুপম

কথা কাজে অমলিন, অপূর্ব রিদম

 

হিলফুল ফুজুল নামে দল বানালেন

সমাজ সেবার ব্রত তাই জানালেন

মন্দ কাজে বাঁধা দেন, ভালর সহায়

এইভাবে নবীজীর দিন কেটে যায়

 

রাখাল বালক তিনি মেষ চরাতেন

ব্যবহারে মানুষের মন ভরাতেন

কোনটা কি বৃক্ষ তা ফুলে পরিচয়

মানুষের পরিচয় ব্যবহারে হয়

 

কে হবে সমাজপতি শৈশব বলে

মানুষ মানূষ হয় নবী ছায়াতলে

//১৯।।  ১০:০০ টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭৪৯

বনের পাখি বনেই চলে যায়

যতই ডাকি আয়রে কাছে আয়

পাখি কাছে আসে না

মন খুলে সে হাসে না

বনের পাখি বনেই যেতে চায়

 

ধরতে গেলে দেয় না ধরা

দেয় সে শূন্যে উড়াল

স্বাধীনতায় দেয় না শিকল

মারে না সে কুড়াল

 

বনের পাখি বনেই চলে যায়

যতই ডাকি আয়রে পাখি আয়

পাখি কাছে আসে না

বন্দী ভাল বাসে না

বনের পাখি বনেই যেতে চায়

//১৯।।  :০০ টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭৫০

আমরা কচি আমরা শিশু আমরা কিশোর দল

মোদের সঙ্গে আছে শক্তি সাহস অটুট মনোবল

 

ভয় করি না দৈত্যদানো

বিঘ্ন বাঁধা ঝড় তুফানও

আমরা মাড়িয়ে চলি সব পিছুটান, ঈমানই সম্বল

 

আমরা বাঁধারবিন্ধ যাই পেরিয়ে

হায় হতাশা দেই উড়িয়ে

আমরা জয় করে যাই এই ধরনী রাখি পায়ের তল

 

আকাশ আমায় সালাম জানায়

বাতাস আমার বাহন হয়

আমি তাড়িয়ে বেড়াই যেখানে পাই

জ্বরা ব্যধি মৃত্যু ভয়

আমায় দেখে থমকে দাঁড়ায় সাত সমুদ্র সাগরজল

//১৯।।  :০০ টা

 


আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া- ১৭৫১

কী যে হয় শেষটায়

অবশেষে শেষটায়

কী যে হয় দেশটায়

ভেবে মরে কেস্টায়

ঘন পরিবেশটায়

 

কয়টা বাঁদরে

মিথ্যে আদরে

শুরু করে ঝগড়া

যেন ঠিক মগরা

 

দেশী কেউ ছিল না

এই কথা গিল না

ছিল ব্যাটা রহমত

আর ছিল হাসমত

 

ঝগড়াটা বাড়লো

মনযোগ কাড়লো

রাগ সবে ঝাড়লো

সকলেই পারলো

 

সকলেই পাবলো

মানে ঘুষি মারলো

কেউ মেরে হারলো

কেউ আগে বাড়লো

 

ভেবে মরে কেস্টায়

কী যে হয় দেশটায়

কী না হয় চেষ্টায়

দেখা যাক শেষটায়

 

অশান্তি বাড়লো

কেউ কেউ হারলো

কেউ কেউ পারলো

মাটিতেই গাড়লো

বাঁদরের লেজটায়

আগুনের তেজটায়

ঘরবাড়ি পুড়লো

চেঁচামেচি জুড়লো

 

ভেবে মরে কেস্টায়

কী যে হয় শেষটায়

//১৯।।  :০০ টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭৫২

আলেকজান্ডারের বরাত

মহামতি দিগ্বিজয়ী আলেকজান্ডার বীর

তার সামনে কত রাজা নোয়েয়েছে শির

সোনাদানা শানশওকত নয় কিছু কম

তবু একদিন তাহারও থেমে গেলো দম

 

মরার আগে তিনি সকলকে ডেকে বললেন

জীবনের সফর শেষ, এইবার তিনি চললেন

যাবার আগে করলেন জারী আখেরি নির্দেশ

এতদিন সকলেই দেখেছো আমার বীর বেশ

 

আজ শোন আমার শেষ ফয়সালা, অন্তিম বানী

শুধু চিকিৎসকরাই বইবে আমার কফিন খানি

পৃথিবী দেখুক চিকিৎসকরা জানের মালিক নয়

তাদের প্রিয় সম্রাটকেও একদিন চলে যেতে হয়

 

রাজকোষে যত সম্পদ আছে কবরগাহের রাস্তায়

দ্বিধাহীন তা সব বিলিয়ে দেবে সুগভীর আস্থায়

মানুষ দেখুক সারাজীবন যা কামিয়েছি সবকিছু

জমাই ছিল শুধু তার কাজে লাগেনি কোন কিছু

 

কফিনের বাইরে ঝুলিয়ে দেবে আমার দুটি হাত

মানুষ দেখুক নেইনি কিছুই আমি এমনি বরাত

//১৯।।  :০০ টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭৫৩

আবোল তাবোল

দাদাজান এসে যান

দুটো ভাত খেয়ে যান

হয়ে গেছে রান্না

থামা তোর কান্না

 

শাক আছে মাছ নাই

টাকার কোন গাছ নাই

আর আছে ভর্তা

খেয়ে নেন কর্তা

 

আসবে আরো দোস্ত

তাই রাঁধলাম গোস্ত

ভাজি করবো আন্ডা

সব কুচ ঠান্ডা

 

মিছেমিছি রান্না

আরো কিছু খান না

আর দেবো দুধ ভাত

এখন না, হোক রাত

 

খোকার মুখে চুম

খেয়ে দেবো ঘুম

//১৯।। :০০ টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭৫৫

জনতার খাদেম

জনগণের দুঃখ ব্যথা

সইতে মোটে পারি না

তাই ক্ষমতা আকড়ে ধরি

ক্ষমতাটা ছাড়ি না

 

একটা মুখের জন্য বল

ক্ষমতার কি দরকার

জনগণের জন্যই তো

কায়েম করি সরকার

 

মন্ত্রী বানাই ডজন ডজন

করি কতো সাধন ভজন

 

আমার জীবন বিলিয়ে দিলাম

জনগণের জন্য

তাইতো সবাই দেখলে আমায়

বলে ধন্য ধন্য

//১৯।।  ১২:০০ টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭৫৬

ছড়ার ক্বারী কই

ছড়ার গাড়ি ছড়ার বাড়ি

ছড়ার শাড়ি কই

ছড়ার নারী পরে আছে

ছড়ার শাড়ি অই

 

ছড়ার গাড়ি ছড়ার বাড়ি

ছড়ার ক্বারী কই

ছড়ার ক্বারী নায়ের ভেতর

নায়ের মাঝে ছই

 

ছড়ার গাড়ি ছড়ার বাড়ি

ছড়ার হাঁড়ি কই

ছড়ার হাড়ি খাটের তলে

হাঁড়ি ভরা দই

 

সবাই মিলে ছড়া পড়ো

ছন্দ মিলে জীবন গড়ো

১১//১৯।।  রাত :০০

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭৫৭

আমলকি গো আমলকি

আমলকি গো আমলকি

পাড়তে গেলাম তোরে তাতে

শরীর আমার ঘামল কী?

কানের কাছে ঘামের ফোঁটা

একটু বেয়ে নামল কী?

আমলকি

 

আগে তিতা পরে মিষ্টি

পানি খাইলে পানি মিষ্টি

এমন ফল আর দেখি নাই

কোন ছড়ায় লেখি নাই

 

আমলকি গো আমলকি

একটু শরীর ঘামল কী?

১১//১৯।।  ভোর :০০ টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭৫৮

কারচুপিতে হয় না জয়

ট্রাক চুরিরও দরকার হয়

পুকুর চুরির আর কি ভয়

সাগরও যখন চুরি হয়।

 

কারচুপিতেই আগের দিনে চলতো

কারচুপিতেই আগুন আগে জ্বলতো

ট্রাক চুপিতেও এখন আগুন জ্বলে না

ট্রাক হাওয়া তাও কেউতো কিছু বলে না।

 

চোরের কাম চুরি করা, যা পারে সে করবে

সাধু কই সবাই চোর, কে চোরকে ধরবে?

চোর ধরা তাই পড়ে না

শুলের কাঠি নড়ে না

চোরেই চুরির সম্পদ দিয়ে পাহাড় নাকি গড়বে।

১৩/১/১৯।।  ৭:০০ টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭৫৯

গাছে গাছে পাখি ডাকে

মাঠে মাঠে ফসল পাকে।

ফুলবনে অলি আসে

এ হৃদয় মন সুখে ভাসে।

 

রাঙা রবি ছবি আঁকে

পাখি আসে ঝাঁকে ঝাঁকে

ঘরে ঘরে মোরগ ডাকে

সুখ ভাসে প্রতি বাঁকে।

 

আঁধার পালায় আলো আসে

শুভ আসে মন্দ নাশে

সবাই খুশি সবাই হাসে

শৈত্য গাঁয়ে পৌষ মাসে।

 

খেজুরের রস গাছি নামায়

খাবি কে কে আয় ছুটে আয়।

মিঠে মিঠে রৌদ্র হাসে

আনন্দে সারা দেশ ভাসে।

১৪/১/১৯।। ৩:০০ টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭৬০

হরিনাথের নানা

হরিনাথের নানা

এক চক্ষু কানা

রাতে হাসা মানা

সবারই তা জানা

 

হরিনাথের নানা

খায়না রাতে খানা

গায় সে বসে গানা

যারে পাখি যা না

 

হরিনাথের নানা

ধরে বিড়াল ছানা

বিড়াল ছানা কানা

চেনেনা সে থানা

 

হরিনাথের নানা

ছিল ডলা পানা

তাতেই গেল থানা

আচ্ছামত বানা

 

হরিনাথের নানা

বলে ডেকে আনা

রবি এবং রানা

দে পাঠিয়ে ঘানা

১৪//১৯।।  ১০:০০ টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭৬১

আমার নামাজ পড়া

মাগরিবের যেই আজান হলো অমনি খেলা বন্ধ

নাকে এসে আছড়ে পড়লো হাসনাহেনার গন্ধ

 

আমরা সবাই সদলবলে

গেলাম নামাজ ঘরে

গন্ধ তাতে বাড়লো আরো

এলো থরে থরে

 

নামাজ পড়ে যে যার বাড়ি

পড়তে চলে গেলাম

এশার নামাজ পড়ে এসে

রাতের খানা খেলাম

 

হয়নি আমার বাংলা পড়া

তিন কন্যা রাজার

পড়তে পড়তে সময় হলো

নিশি হলো আঁধার

 

মামনিটা ডেকে বললেন,

এবার ঘুমাও খোকা

হাসনাহেনার ফুল ফুটেছে

গাছে থোকা থোকা

 

পড়ার বাতি বন্ধ হলো

জ্বললো ঘুমের বাতি

স্বপন দেখে পেরিয়ে গেল

আমার সারা রাতি

 

ফজরের যেই আজান হলো

আম্মু ডেকে বললেন

কইরে খোকা, তোর বাপ যে নামাজ পড়তে চললেন

 

আমিও তখন লাফিয়ে ওঠে আব্বার হাতটি ধরে

বাবার সাথে পা মিলিয়ে

গেলাম নামাজ ঘরে

১৫//১৯।।  :৩০ মি

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭৬২

তাধিন ও স্বাধীন

তাধিন তাধিন তাধিন রে

থাকতে চাই স্বাধীন রে

স্বাধীন থাকতে কে না চায়

স্বাধীন থাকতে কে দেয় হায়

 

স্বাধীন যদি থাকতে হয়

স্বপ্ন মনে আঁকতে হয়

সাহস একটু রাখতে হয়

জোয়ান ছেলে ডাকতে হয়

 

ভয়কে পাঁকে ঢাকতে হয়

জয়কে কাছে রাখতে হয়

আঁধার রাতে রুখতে হয়

ফুলের সুবাস শুঁকতে হয়

 

অস্ত্র নিজে ধরতে হয়

প্রয়োজনে লড়তে হয়

বিপদ জালে পড়তে হয়

প্রয়োজনে মরতে হয়

 

তাধিন তাধিন তাধিন তাই

স্বাধীন সবে থাকতে চাই

১৫//১৯।। :০০ টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭৬৩

ইঁদুর ও শীত

ইঁদুরটা রোজ আসে

ফাঁকফুটো দিয়ে

শীতটাও  ঢুকে তাতে

ঠান্ডাটা নিয়ে

ইঁদুরটা বসে বসে

কাটে লেপ কাঁথা

শীতটা শরীরকে

করে দেয় যা তা

 

শীত আর ইঁদুরের

তাই অতি দুস্তি

সহজে যায় না পারা

যদি লাগো কুস্তি

ইঁদুরটা কাটে বোজ

জামা জুতো জাম্পার

শীতটাও আসে জেঁকে

যেনো ফলে বাম্পার

 

ইঁদুরটা মানুষের ভারি দুশমন

শীত এসে ঠান্ডাটা করে পুশ অন

 

শীত বলো, ইঁদুর বলো

ভাল তারে বাসি না

দুটোকেই দেখি তবে

দেখে কভু হাসি না

১৮//১৯।।  রাত :০০ টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭৬৪

ভোট

শীতের দিনে অনেক কষ্ট

লগি বৈঠা বাইতে

একটা ভরছি দিনের বেলা

চারটা ভরছি রাইতে

 

ভোট হয়েছে শান্তিপূর্ণ

গন্ডগোল তো হয় নাই

কারচুপিতে বদনাম হলেও

বাস চুরিতে ভয় নাই

 

পুকুর চুরির গুল্লি মারি

সাগর চুরি সামনে

পিয়াস লাগলে ফান্টা বা

একটুখানি মাম নে

 

ডাগর চোখে সাগর দেখ

মাগার কিছু কইস না

সবাই যখন দাড়িয়ে আছে

তুইও না হয় বইস না

১৮//১৯।।  :০০ টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭৬৫

পাখি আমার পাখি

পাখি আমার পাখি

তোকেই কাছে ডাকি

বুকে আগলে রাখি

পাখি আমার পাখি

 

পাখি আমার পাখি

কী মায়াময় আঁখি

প্রেম যে মাখামাখি

পাখি আমার পাখি

 

পাখি আমার পাখি

দিও না আমায় ফাঁকি

আমি অনেক লাকী

তুমি আমার পাখি

১৯//১৯।।  :০০ টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭৬৬

অ ভাই ভাইরে

ভাই ভাইরে

এমন রঙ্গ আরতো আগে দেখি নাই

আগের রাইতে ভোট নেয়ার

খবর চাপা থাকে নাই

ভাই ভাইরে

এমন রঙ্গ আরতো আগে দেখি নাই

 

পাবলিকের ভোট প্রশাসন দেয়

এমন আগে দেখি নাই

ভাই ভাইরে

এমন রঙ্গ আরতো আগে দেখি নাই

 

ভোটারের চে ভোট বেশী

কাস্ট নাকি হয় ভাই

ভাই ভাইরে

এমন রঙ্গ আরতো আগে দেখি নাই

 

পাবলিকের কাম পুলিশ করে

সৈনিক চেয়ে দেখে ভাই

ভাই ভাইরে

এমন রঙ্গ আরতো আগে দেখি নাই

 

চোখের সামনে ভোট হয় ভাইরে

গোপন ঘরের খবর নাই

ভাই ভাইরে

এমন রঙ্গ আরতো আগে দেখি নাই

 

কোকিলের ভোট কাউয়া দেয়

ময়ূরের তো খবর নাই

ভাই ভাইরে

এমন রঙ্গ আরতো আগে দেখি নাই

 

মরা মানুষ ভোট দিয়ে যায়

জেতা মাইনষের খবর নাই

ভাই ভাইরে

এমন রঙ্গ আরতো আগে দেখি নাই

২০//১৯  রাত :০০ টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭৬৭

এমন রঙ্গ

এমন রঙ্গ

এমন রঙ্গ আরতো কভু দেখি নাই

বিড়ালে খায় বাঘের বাচ্চা

বাঘে করে হায় হায়

শিয়াল দেখে সিংহের বাচচা

পালিয়ে দেখ্ কই যায়

এমন রঙ্গ

এমন রঙ্গ আরতো কভু দেখি নাই

 

পুটি মাছে চিতল মারে

টেংরা মাছে রুই

এমন রঙ্গ কোন কালে

দেখছোস নিরে তুই?

এমন রঙ্গ

এমন রঙ্গ আরতো কভু দেখি নাই

 

আগে শালিক ধান খাইতো

এখন ধানে শালিক খায়

হাঁসের বাচ্চা বাঁচার জন্য

জঙ্গলে পালায়

এমন রঙ্গ

এমন রঙ্গ আরতো কভু দেখি নাই

২০//১৯  রাত :০০ টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭৬৮

শীতসকালে শ্বশুর বাড়ি

ঝুম ঝুম ঝুম ঝুমানি

ঘুম ছাড়গো ঘুমানি

উঠে চলো কাজে যাই

শীত সকালে পিঠা খাই

 

পিঠা অতো সস্তা না

ছাড়ো সোনা মস্তানা

পিঠার বদল মুড়ি খাও

নইলে শ্বশুরবাড়ি যাও

 

শ্বশুরবাড়ি বিরামপুর

বিরামপুর ভাই কতদূর?

স্টেশনের ডাইনে যাও

লাউ কদু দেখতে পাও?

 

শ্বশুরবাড়ি মসুর ডাল

পিঠায় লাগে আতপ চাল

২০//১৯।। :৫০ মি

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭৭০

এসো হে বৈশাখ

এসো হে বৈশাখ রুদ্র ভয়ংকর

মনের যতো মন্দ চিন্তা পাঠাও দীপান্তর

এসো কালবৈশাখী ঝড়

উড়াও কলুষ কালো অশুভ অন্তর

 

নববর্ষে আসুক আলোর বন্যা

আসুক শুভ, আসুক রূপের কন্যা

মঙ্গল আসুক, আসুক পুষ্প অনন্যা

সবার জীবন সুন্দর হোক, ধরনী হোক ধন্যা

 

আসুক গ্রীষ্মের খরতাপ

আসুক শুভ্র,আলোর নূর,

দূর হোক কুৎসিত আসুক সুন্দর

//১৯

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭৭১

নতুন উষার ডাক

বোশেখ মাসে ঝড় আসে কালবোশেখীর ঝড়

ঝড়ের থাবায় হোক না বিনাশ দুষিত অন্তর

মন্দ যতো যাক মিলিয়ে আলো মেলুক পাখা

বৈশাখে খাও আমের ভর্তা লঙ্কা লবন মাখা

 

নতুন বছর নতুন মাস নতুন আশার বাণী

সব ছেলেরা রাজা হোক সব মেয়েরা রাণী

মনগুলো হোক মনের মতো আকাশ সমান বড়ো

মন্দটাকে ঝেড়ে ফেলে শুদ্ধ জীবন গড়ো

 

যে জীবনে ভালবাসা স্বপ্ন আশা আছে

মন্দটাকে দূরে ঠেলো ভালটাকে কাছে

বৈশাখে হোক জীবন গড়ার নতুন অভিষেক

নতুন উষা হাসুক আবার কাটুক সকল মেঘ

//১৯

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭৭২

মেঘের  মজলিশ

মেঘ এসে সূর্যকে ঢেকে দিতে চায়

ক্ষনিকের তরে সেও সফলতা পায়

তারপর যেই আসে বাতাসের ঝাপটা

কোথায় যে উড়ে যায় বাতাসের লাভটা

 

মেঘেদের ফাঁক দিয়ে সূর্যটা হাসে

বুঝা যায় পৃথিবীকে সেও ভালবাসে

মন্দরা ভেসে যায় ফুলগুলো হাসে

মানুষের মন ভরে খুশি উল্লাসে

 

নিমিষেই মিশে যায় ক্ষমতার গর্ব

সূর্যের আলো তাতে হয় নারে খর্ব

সূর্যের ভালবাসা তাতে মোটে কমে না

মেঘেদের মজলিশ বেশিক্ষণ জমে না

১০//১৯।।  রাত :০০ টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭৭৩

বোশেখ তুমি আসো

বোশেখ তুমি আসো

মন্দ যতো নাশো

যে জন মিছে কয়

তারে করো ক্ষয়

 

দুষ্ট যতো বুদ্ধি

তারে করো শুদ্ধি

পাপের যতো ফেরি

লাগাও পায়ে বেড়ি

 

ময়লা আবর্জনা

উড়াও তাহার কণা

অবিচারের ফনা

গুড়াও তাহার কণা

 

বুকে জাগাও আশা

অথৈ ভালবাসা

সাহস জাগাও মনে

ফোটাও গোলাপ বনে

 

চালাও সত্য পথে

সদা বিজয় রথে

১১//১৯।। ভোর :০০ টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭৭৪

হারি হারি হারিও

হারি হারি হারিও

হইও স্বপ্নচারীও

সর্প পাইলে মারিও

যাইও পুরাণ বাড়িও

 

পাতার বাঁশি হাসে না

কাউকে ভাল বাসে না

পথ আটকে কাশে না

শাপলা ফোটে ঘাসে না

 

নানার বাড়ি যাইতে হয়

ধোকা তাও খাইতে হয়

ঘোড়ার আন্ডা পাইতে হয়

জলে লগি বাইতে হয়

 

সকল কথা বলতে নেই

খারাপ পথে চলতে নেই

রাগের বশে জ্বলতে নেই

প্রদীপ নেবে? সলতে নেই

 

মায়ের মুখে হাসি নেই

ঢাকায় গয়া কাশি নেই

চক্ষু ছাড়া দেখতে হয়

তবু ছড়া লেখতে হয়

২৪//১৯

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭৭৬

এই খেলাটা হিট

নুনের বদল নুন হয়

মুনের বদল মুন

চুনের বদল চুন হয়

খুনের বদল খুন

 

যা নিবে তা দাও না

দিলেই হবে পাওনা

পাওনা বাকি রাখতে নাই

বড়র সাথে লাগতে নাই

 

ইটের বদল ইট

এই খেলাটা হিট

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭৭৭

আয়রে ফনী আয়

আয়রে ফনী আয়

দমকা ঝড়ো বায়

যা ছুটে তার ঘরে

যেজন ধর্ষণ করে।

 

যেজন প্রতারক

যেজন খুনী ঠক

তার বাড়িতে যাইবি

খারাপ ধরে খাইবি।

 

আয়রে ফনী আয়

দমকা ঝড়ো বায়।

মন্দ লোকের ঘরে

হরিলুটের চরে।

 

গরীব চাষীর ঘরে

ছোবল মারিস নারে।

৩/৫/১৯।।  ৮:৩০ মি।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭৭৮

দাম নেই

চাল ডাল তেল নুন তরকারী বস্ত্রের

দাম শুধু বাড়েনা, দাম বাড়ে অস্ত্রের

দাম বাড়ে বেশুমার নেতাদের ভক্তের

দাম শুধু বাড়েনা, মানুষের রক্তের

 

দাম বাড়ে প্রতিদিন শাক আর সব্জির

দাপটের দাম বাড়ে, দাম বাড়ে কব্জির

দাম বাড়ে প্রতিদিন লাল নীল হুন্ডার

দাম বাড়ে শক্তির দাম বাড়ে গুন্ডার

 

মানুষের দাম নাই দাম নাই নীতিটার

দাম নাই লাজ ভয় অকারণ ভীতিটার

//১৯ ৮ঃ৩০ মি

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭৭৯

মিথ্যা কথা বলতে নেই

মিথ্যা কথা বলতে নেই

অসৎ পথে চলতে নেই

ময়লা কভু দলতে নেই

ভয়ে সদা গলতে নেই

 

ন্যায়ের পথে লড়তে হয়

জীবনটাকে গড়তে হয়

শক্ত ডাল ধরতে হয়

ভাল পড়া পড়তে হয়

 

ভাল কাজ করতে হয়

আসলে ভবে মরতে হয়

১৩//১৯

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭৮০

আম্বিয়া গেল জাম্বিয়া

আম্বিয়া গো আম্বিয়া

কেমনে গেলি জাম্বিয়া?

যাই না ডরে বরিশাল

ঢেউয়ে ভাসে নদী খাল

 

তোর সাহসের পাড় নাই

বিমানের তো ধার নাই

ভয়ে আমি বাঁচি না

উঠতে বললে নাচি না

 

তোর মায় খালি রান্ধে

দাওয়ায় বসে কান্দে

১৭//১৯

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭৮১

চিচিং ফাঁক

সবাই বলে, বাঁচো বাঁচো

বাঁচে না হায় কেউতো

সবার পিছেই ঘুরে বেড়ায়

মরণ নামক ফেউতো

 

আমীর ফকির নাই ভেদাভেদ

আজরাইলের কাছে

সময় হলে টেংরা পুটি

ডাঙ্গায় বসে নাচে

 

কেউ জানে না কার যে কখন

আসবে শেষের ডাক

কে যে কখন দেখতে পাবে

দরজা চিচিং ফাঁক

১৭//১৯

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭৮২

যতো খুশি নাও

বালিশ নিয়া নালিশ নাই

নিলে নিছে ঘর জামাই

এর আবার নালিশ কি

ঘরে বসবে সালিশ কি?

 

মন দিয়েছি বন দিয়েছি

লক্ষ টাকার ধন দিয়েছি

লাগলে দেবো আরো

যত নিতে পারো

 

নিতে কোন মানা নাই

আমি কোন পানা নাই

 

যতখুশি নাও

প্রেমের কথা ফাও

ঘৃণা কবে চাইছি বলো

তবু কেনো দাও

২০//১৯

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭৮৩

সবার প্রিয় বাংলাদেশ

আষাঢ় মাসে নামল ঢল

নাইতে যাবি কে কে বল

পানির নিচে হিজল গাছ

গাছে ঘুমায় বোয়াল মাছ

 

মাছ ধরবি কে কে চল

জোরে একটা হেইও বল

পানি বহে উজানে

মাছ কুটবো বু জানে

 

বুজানের মাছ কোটা শেষ

সবার প্রিয় বাংলাদেশ

২৩//১৯

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭৮৪

মিউ

বিড়াল ডাকে মিউ

প্রতিদিনই দুধের বাটি

একলা একা পিউ?

 

খোকন শুধু হাসে

মিউকে ভাল বাসে

 

বিড়াল হাসে মিউ

খোকন সোনা তুমি আমায়

বন্ধু করে নিও

 

খোকন বলে তাই!

তুমি আমার বন্ধু আছো ভাই

 

বিড়াল বলে মিউ

দোয়া করি বন্ধু তুমি

হাজার বছর জিউ

 

খোকন বলে কিউ?

 

তুমি যখন দুধু খাও

একটু খানি দিও

আমার ওতো ইচ্ছে করে

মিষ্টি দুধু পিউ

২৫//১৯

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭৮৫

সেই ভোরটা তোর

রাত্রি মানে সামনে আছে একটা নতুন ভোর

সেই ভোরটা তোর ওরে সেই ভোরটা তোর

আঁধার মানে আলো আছে সামনে

তুই শুধু আল্লাহ নবীর নাম নে

 

ভয় নাই ওরে ভয় নাই

রাত কবে ভোর হয় নাই

সূর্য আবার হাসরে

আলোয় জগত ভাসবে

 

রাত্রি মানে সামনে আছে একটা নতুন ভোর

সেই ভোরটা তোর ওরে সেই ভোরটা তোর

২৬//১৯

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭৮৬

আমি আর তুই

ফুল প্রিয় জুঁই,

আর প্রিয় তুই

স্বদেশের ভূঁই

বুকে প্রেম রুই

 

সাদা রঙ ভালা

জাম ভাল কালা

বকুলের মালা

আর ভাল শালা

 

আমি আর তুই

সেজদায় নুই

এক সাথে খাই

মসজিদে যাই

 

আমি আর তুই

সুতো আর সুঁই

২৭//১৯

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭৮৭

আল মাহমুদকে নিয়ে ছড়া

অমা! অবাক চেয়ে রই

দাদুর ঘরে তাকিয়ে দেখো

এত্তো এতো বই

 

খাটের পাশে আলমিরাতে

বইয়ে ঠাসা দিনে রাতে

কোনটা রেখে কোনটা আমি লই?

 

কোনটা আছে হাতের কাছে

কোনটা আবার এত্তো দূরে

পাড়তে লাগে মই

দাদুর ঘরে আয় দেখে যা

এত্তো এতো বই

 

শোন, ব্যাপারটা খুব অদ্ভুত!

আমার দাদুর নামটা ছিল

কবি আল মাহমুদ

//১৯

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭৮৮

তাজা ঈমান

বলছি কথা ঈমানে

চড়েছিলাম বিমানে

গিয়েছিলাম মদিনা

মরুভূমি, নদী না

 

গিয়েছিলাম কাবা ঘর

ঢেলেছিলাম দীল অন্তর

যদি খোদার রহম পাই

তবেতো আর ভাবনা নাই

 

না হই আমি রাজা

ঈমানটা হোক তাজা

//১৯

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭৮৯

বিষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর

বিষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর টুপ

এই, তোরা সব চুপ করবি, চুপ।

বাবা যেন টের না পায়

আয় এদিকে কাছে আয়

চল সবাই মিলে নাইতে যাই

জলে দেবো ডুব

টাপুর টুপুর টুপ।

 

বাবা যদি টের পায় তবে

রাগ করবে খুব

রাগের চোটে পিঠের ওপর

লাগাবে ধাপধুপ।

টাপুর টুপুর টুপ।

 

মুভ

যাবি যদি আস্তে করে

জলদি লাগা, মুভ।

বিষ্টি পড়ে দীঘির জলে

টাপুর টুপুর টুপ

টাপুর টুপুর টুপ

টাপুর টুপুর টুপ।

৩/৬/১৯

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭৯০

মিথ্যে বলা পাপ

মিথ্যে কথা বলি না,

মিথ্যে বলা পাপ

মিথ্যে হলো ফণা তোলা

জাত গোকখোর সাপ

ওরে বাপরে বাপ

 

মিথ্যে কথা বলি না,

মিথ্যে বলা পাপ

মিথ্যে হলো সকল পাপের

জন্মদাতা বাপ

 

মিথ্যে কথা বলি না,

মিথ্যে বলা পাপ

মিথ্যে হলো জাহান্নামের

অগ্নিগোলা তাপ

 

মিথ্যে কথা বলি না,

মিথ্যে বলা পাপ

মিথ্যেবাদী পায় মানুষের

শুধুই অভিশাপ

১৫//১৯

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭৯১

সেই ছেলেটা ভালো

যেই ছেলেটা সত্য বলে সেই ছেলেটা ভালো

সেই ছেলেটা মনে ছড়ায় সত্যন্যায়ের আলো

যেই ছেলেটা সত্য বলে সেই ছেলেটা ভালো

বলে সবাই নিজের মনে সত্যটাকে জ্বালো

 

মিথ্যা আনে আঁধার ডেকে মিথ্যা আনে পাপ

মিথ্যা আনে জীবন জুড়ে দোজখের উত্তাপ

মিথ্যা শুধু কষ্ট বাড়ায় নষ্ট করে মন

সত্য বলার জন্য তাই করো সবে পণ

 

সত্য এলে যায় হারিয়ে মনের যত কালো

যেই ছেলেটা সত্য বলে সেই ছেলেটা ভালো

১৫//১৯

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭৯২

ফুল ফুটেছে বনে

ফুল ফটেছে বনে

প্রেম এসেছে মনে

দাও ছড়িয়ে প্রেমের সুবাস

বিশ্ব জগত জনে

 

প্রেম তো খোদার দান

দিলেন সোবাহান

প্রেম আসে না ঝগড়াঝাটি

কিংবা ভীষণ রণে

 

প্রেম বিলালে বাড়ে

শান্তি আসে ঘরে

প্রেমের টানে হয় যে আপন

অচিন বাড়ির কনে

 

ফুল ফুটেছে বনে

প্রেম এসেছে মনে

প্রেমের সুবাস দাও ছড়িয়ে

প্রতি জনে জনে

১৬//১৯

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭৯৩

রাত্রি বলে যাই

রাত্রি বলে যাই

যাত্রী বলে যাই

রাত্রি গেলে আমরা একটা

নতুন সকাল পাই

 

সকাল মানে ভোর

এই সকালটা তোর

সকালে তুই জাগবি

আলো গায়ে মাখবি

 

রাত্রি বলে যাই

আঁধার কালো নাই

রাত্রি গেলে আমরা আবার

আলোর দেখা পাই

১৬//১৯

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭৯৪

টোটন বুড়ি

মেঘলা আকাশ বাতাস হীম

ঝোপের ভেতর দুইটা ডিম

ডিম পেরেছে বুলবুলি

খুকু নাচে চুল খুলি

 

খুকুর গায়ে লাল জামা

কিনে দিছে কাল মামা

মামার বাড়ি রাজশাহী

ভাবটা দেখায় বাদশাহী

 

মামার আছে ফজলি আম

পাকা আমের বেজায় দাম

মামা ভাগনা জিন্দাবাদ

আয়রে সোনা সিন্দাবাদ

 

সিন্দাবাদ তো আসে না

টোটন বুড়ি হাসে না

১৭//১৯

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭৯৫

ঢাকা শহর ঢাকা নয়

ঢাকা শহর ঢাকা নয়

রাস্তাঘাটও ফাঁকা নয়

ব্যস্ত পথের জ্যামে

কান্দে সাহেব মেমে

 

গাড়ির চাকা নড়ে না

চোরকে পুলিশ ধরে না

গাড়ির ওপর গাড়ি

ঢাকা মরার বাড়ি

 

রাস্তাঘাটে মানুষ মরে

মানুষ মরে গুলিতে

উন্নয়নের নহর বয়

চাপামারা বুলিতে

 

ঢাকা শহর ঢাকা নয়

দালানকোঠা বাঁকা নয়

বাঁকা লোকের মন

সবাই খোঁজে ধন

১৭//১৯

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭৯৬

মনষ্কাম

আম গাছে আম ধরে জাম গাছে জাম

মন্দ লোকে করে শুধু অপরের বদনাম

ডালিম গাছে ডালিম হয় কুল গাছে কুল

দুষ্ট লোকে শেষ বয়সে ছিঁড়ে মাথার চুল

 

তাল গাছে তাল হয় কলা গাছে কলা

এই দুনিয়ায় বড় হয় দুষ্ট লোকের গলা

ধানের গাছে ধান হয় পানের গাছে পান

পৃথিবীর সকল কিছু আল্লাতালার দান

 

আম গাছে আম ধরে জাম গাছে জাম

আল্লাহ সহায় হলে মিটে নিজের মনস্কাম

১৮//১৯

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭৯৭

আশায় বাঁধো বুক

হতাশাটা ঠিক যেনো ভাই গাছের মরা ডাল

আজ যে মরা, সতেজ ছিল সেই ডালটা কাল

হতাশাকে তাই দিও না ঠাঁই

হতাশাতে কোন কল্যাণ নাই

হতাশাতো ঢেউয়ের বহর অশান্ত উত্তাল

 

আজকে যদি দুঃখ আসে কাল আসবে সুখ

সাহস করে আবার তুমি আশায় বাঁধো বুক

মনকে আবার শোনাও আশার গান

আশায় থাকে শুধুই আলোর বান

আশায় আশায় মনকে আবার করোরে উন্মুখ

 

খোদার রহম ঝরে দিবস রাত

তার কাছেই তোল তুমি হাত

১৯//১৯

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭৯৮

আশার লেখা

আমার লেখা খুব ভালো না

কোন রকম চলে

তবু নাকি সেই লেখাতে

চিত্ত কারো জ্বলে

 

কেউবা আবার ফুলের মালা

এনে পরায় গলে

কেউবা আবার দারুণ দারুণ

এমন কথাও বলে

 

আমার লেখা হয় না ভাল

দোষ কি আমার ভাই

খোদার কাছে ভাল লেখার

মদদ শুধু চাই

১৮//১৯

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭৯৯

আল্লাহকে তাই তুষি

আমার লেখা লাগলে ভালো

নিজের মনে জ্বালো আলো

দূর হয়ে যাক আঁধার কালো

সবাই বলুক ভালো ভালো

 

ভালো মানে মন্দ না

রাগারাগি দ্বন্দ্ব না

ময়লা পঁচা গন্ধ না

কানা এবং অন্ধ না

 

তাতেই আমি খুশি

এমন আশাই পুষি

হইনা যেনো দোষী

আল্লারে তাই তুষি

১৯//১৯

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৮০০

আল্লাহ অতি মেহেরবান

আল্লাহ অতি মেহেরবান

এই দুনিয়া তাহার দান

বৃক্ষ নদী সব

পাখির কলরব

 

আমায় তোমায় দিলেন তিনি

আছেন এবং ছিলেন তিনি

অবশেষে থাকবেন তিনি

আর সকলে পানি চিনি

 

আকাশ দিলেন তারা দিলেন

পাহাড়গুলো খাঁড়া দিলেন

পিঠে সবার দাঁড়া দিলেন

তিনি আছেন তিনি ছিলেন

 

ফুলও দিলেন ফলও দিলেন

দেহে কারো বলও দিলেন

নানান জাতি দলও দিলেন

ঠক বাটপার খলও দিলেন

 

কোরান দিলেন নবী দিলেন

চাঁদ সেতারা রবি দিলেন

গায়ক দিলেন কবি দিলেন

ঝর্ণা পাহাড় সবি দিলেন

 

জন্ম দিলেন মৃত্যু দিলেন

সাহেব মনিব ভৃত্য দিলেন

বললেন এবার যাও

শোকর করে খাও

 

মনে রেখো তোমরা সবাই

আমার অধম বান্দা

আবার তুমি আসবে ফিরে

যতোই করো ধান্ধা

২০//১৯


No comments

Powered by Blogger.