আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়াঃ ৩০০৫-৩০২৭
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩০০৫
মন্দ থামাও
থমকে গেছে হিমেল বাতাস,থমকে গেছে নদী
থমকে গেছে আরব সাগর, ফেরাউনের গদী।
কান্না এখন বিশ্ব জুড়ে, কাঁদে সাগর, বন
কান্না করে বারুদ বুড়ি, অস্ত্র ও যশ, ধন।
ধ্বংস দানব খোদার গযব, করোনা তার নাম
তাও বলে না বজ্জাতেরা পাপকে ছাড়িলাম।
পাপের বাচ্চা করোনা খায় মন্দ ভালো সব।
পীর বুজুর্গ চোর বাটপার সব করছে কলরব।
ক্ষমতার ওই সিংহাসনে বসাও ভালো লোক
নয়তো বসে বুক চাপড়াও, করো বসে শোক।
লাগলে আগুন কান্নাতে তো আগুন নেভে না
টক তেতুলের চারা তোমায় আমতো দেবে না।
১লা ডিসেম্বর ২০২০; ১টা
মোনাফিক
কোরআন হাদীস মসজিদে
আর মূর্তি থাকবে মন্দিরে
এ কথা কেউ বললে তারে
কে করতে চায় বন্দী রে।
ধর্ম তারে কামড়ায় নাকি
উচিত কথায় গা জ্বলে
নাকি তারে সারাটা দিন
শয়তান এসে গা ডলে।
মুসলিমও না হিন্দুও না
তোমার কোন ধর্ম নাই
ধর্মে ধর্মে বিভেদ ছাড়া
আর কি তব কর্ম নাই?
কাফেরও না মোমিনও না
তবে তুমি মোনাফিক
কাফেরেরও অধম তুমি
জানলাম শেষে এটাই ঠিক।
৫ই ডিসেম্বর ২০২০; ৬টা
ভাস্কর্য বনাম সূর্তি
মৌচাকেতো মৌমাছি নয়, আরো থাকে মধু
তোমার ঘরে বউ থাকেতো আমার ঘরে বধু।
আমার বাড়ি গরু থাকে তোমার থাকে কাউ
আমার ঘরে কদু থাকে, তোমার ঘরে লাউ।
আমি যখন পানি খাই তুমি তো খাও জল
প দিয়ে হয় পানি আর জ দিয়ে হয় জল।
পানি ও জল এক করার কোন মানে হয়?
তবে কেনো ভাস্কর্য আর মূর্তিরে এক কয়?
ভাস্কর্য হয় ভাস্কর্য, আর মূর্তি মানে মূর্তি
এ ফায়সালা হয়ে গেল করো তবে ফুর্তি।
মূর্তির পক্ষ নেবে যারা জাহান্নামে যাবে
ভাস্কর্যটার পক্ষ নিলে দোজখ শুধু পাবে।
মহানবীর উম্মত হলে কোরান হাদিস পড়ো
এটা দিয়েই বন্ধু তুমি নিজের জীবন গড়ো।
৬ই ডিসেম্বর ২০২০; ২টা
হায়রে কলিকাল
হায়রে কলিকাল।
ছাগল চাটে বসে বসে
ব্যাঘ্র মামার গাল।
তাই না দেখে তবলা বাজায়
দেশী গরুর পাল।
এ্যায়সা কলিকাল।
লাউ মানে যে কদু আর
কদু মানে লাউ
কাউ মানে যে গরু আর
গরু মানে কাউ।
এ খবর তো সবার জানা
জানে এটা লেংড়া কানা
নিতাই বাবু, লম্বু রানা
জানে সুরেশ পাল
এ্যায়সা কলিকাল।
ভাস্কর্য কি মূর্তি হয়?
প্রশ্নটা তো সোজা নয়?
জুতা আবিষ্কারের মতো এতে
পন্ডিত ঘেমে শেষ
মুচি এসে উদ্ধার করে
রাজা রানী দেশ।
যাহা লাউ তাহা কদু
যাহা বউ তাহা বধু
যদু মধু জানে
ভাস্কর্য ও মূর্তি এক
সকলে তা মানে।
তুমি বলো, ঠিক না এটা
একটা নরম, একটা পেটা
বানালে ঠিক পাবে
তখন মামা দুগ্ধ রেখে
তুমিও দুধ খাবে।
৬ই ডিসেম্বর ২০২০; ৫টা
রবের বানী
কবিতা লেখেন কবি
শিল্পী আকেঁন ছবি
রবের বানী দেন ছড়িয়ে
আল্লাহর হাবীব, নবী।
রবের বানী মানে না যে
নাফরমানি করে কাজে
সেকি জানে কোথা যায়
সন্ধ্যাকালে রবি?
রাতের বেলা ঘুমায় কই
সকালবেলা জাগে
কেমন করে উঠে রোজই
রবি সবার আগে?
কোরান হাদীস পড়লে তুমি
জেনে যাবে সব
তোমার কাজে হবেন খুশী
প্রভু মহান রব।
১৪ই ডিসেম্বর ২০২০; ৩টা
ধর্মহীনদের ধর্মচর্চা
পুরুষও না, নারীও না, হিজড়া তারে কয়
হিজড়া কিন্তু নারী পুরুষ কোন কিছু নয়।
নারী পুরুষ না হয়েও মানুষ তারাও বটে
হিজড়া বলে তার পরিচয় এসমাজে রটে।
তেমনি কিছু মানুষ বলে, তাদের ধর্ম নাই
ধর্মীয় এ সমাজে তাই পায় না ওরা ঠাঁই।
ধর্মহীনরা এ সমাজে হিজড়া লোকের মত।
হিন্দুওনা, মুসলিমওনা, এ সমাজের ক্ষত।
মুসলিম হলে মসজিদে যাও, হিন্দু হলে মন্দিরে
ধর্মহীনরা লকডাউনে থাকো ঘরেই বন্দী রে।
ভাস্কর্য ও মূর্তি নিয়ে তোমার কথার কাম নাই
এ বিষয়টা ধর্মীয় তাই তোমার কথার দাম নাই।
৬ই ডিসেম্বর ২০২০; ৭টা
মূর্তি প্রেমিক
মূর্তি প্রেমিক মানুষ ছিল, আছে এবং থাকবে
মানুষ স্বাধীন,যার ইচ্ছা সে মূর্তি ঘরে
রাখবে।
মূর্তিপূজা আগেও ছিল আজো আছে থাকবে
মুসলমানরা দিনরাত বসে আল্লাহ বলে ডাকবে।
তোমার যদি ইচ্ছা করে তুমিও পূজো করো
ইচ্ছে হলে নিজের হাতে তুমিও মূর্তি গড়ো।
ছোট্ট একটা শর্ত শুধু তোমায় মানতে হবে
মুসলমানের ধর্মটাকে তোমার ছাড়তে হবে।
হিন্দু তুমি? মূর্তি বানাও? মন্ডপে ও মন্দিরে.
কেউ দেবেনা বাঁধা বা করবে না কেউ বন্দীরে।
৭ই ডিসেম্বর ২০২০; ৫টা
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩০১১
থাকে না ঈমান
মূর্তি গড়া হালাল ঠিকই, যদি আপনি হিন্দু হন
মুসলিম হয়ে কেমন করে মূর্তি গড়া হালাল কন?
ভাস্কর্যও হালাল কাকা--- অমুসলিমের জন্য
ধর্ম ছেড়ে অমুসলিম হন করেন জীবন ধন্য।
আপনার জন্য কোরান হাদিস পাল্টানো যে যাবে না।
শেষ নবী তো মারা গেছেন আরতো নবী আবে না।
ইসলাম পালন কঠিন হলে মুসলমানী ছাড়েন না।
মুসলিম হলে কোরানে ভুল বলতে আপনি পারেন না।
আপনি ধর্ম কোনটা নেবেন সেটা আপনার ইচ্ছা
ভাল লাগলে অমুসলিম হন মিটুক সকল কিচ্ছা।
যে মানে না কোরান হাদিস আল্লাহ নবীর বানী
কি লাভ বলো দিয়ে তারে শুধুই মুসলমানী।
ইসলামটা তো আল্লাহর দেয়া কোরআনী বিধান।
কোরান হাদীস না মানলে যে থাকে না ঈমান।
৭ই ডিসেম্বর ২০২০; ৭টা
অবশেষে
অবশেষে
যা ঘটার তা ঘটলো
যা রটার তা রটলো
যে পটার সে পটলো
যে হটার সে হটলো
যা ঘটার তা ঘটলো।
অবশেষে
যা দেখার তা দেখলাম
যা শেখার তা শেখলাম
যা লেখার তা লেখলাম
খোদার কুদরত দেখলাম।
অবশেষে
রাঙা সুরুজ উঠলো
পুষ্প পরাগ ফুটলো
গানের পাখি জুটলো
যে লুটার সে লুটলো
বদ্ধ বাতাস ছুটলো
চাঁদের বুড়ি উঠলো।
অবশেষে
যা ঘটার তা ঘটলো
যা রটার তা রটলো।
৭ই ডিসেম্বর ২০২০; ৫টা
মা
মা কথাটি মধুর অতি
মার সমান নয় মহামতি
মা যে মায়ার মস্ত খনি।
এমন খনি দিলেন মাবুদ
আল্লাহ কাদের গনি।
জন্ম নিলাম মায়ের কোলে
মায়ের আদর পেয়ে
ছোট থেকে বড় হলাম
মায়ের দুগ্ধ খেয়ে।
শোধ হবে না মা জননীর
ইহকালের ঋণ
মায়ের সেবায় মগ্ন থাকো
সবাই চিরদিন।
১০ই ডিসেম্বর ২০২০; ৫টা
নাড়ির টানে
নাড়ির টানে বাড়ির পানে মন যেতে চায় ছুটে
বাড়ির কথা মনে হলেই লক্ষ গোলাপ ফোটে।
মন হয়ে যায় উড়ো উড়ো, উড়াল প্রজাপতি
বাড়ির দিকে পা বাড়ালেই বাড়ে পায়ের গতি।
জামের রসে আমের রসে চুমুক দিয়ে মন
খেকে থেকে হেঁকে ওঠেঃ কইরে করিমন।
একটুখানি নুন মরিচে আমের ভর্তা কর
এইযে কাঁচা আম পেড়েছি জলদি করে ধর।
জিভে পানি চলে আসে তেতুল কচি লাউ
এরে দিয়ে, ওরে দিয়ে, ভাগে যদি
পাও।
ক্ষুধার কথা দেয় ভুলিয়ে দধির মত মেঘ
তোরই কাছে ছুটে আসে উড়ে উড়ে দ্যাখ।
নাড়ির টানে বাড়ির পানে যায়রে ছুটে মন
ডাকছে বসে বরই পাতা তাল সুপারির বন।
২০শে ডিসেম্বর ২০২০; ১১টা
চেয়ারম্যান
আপনি যখন চেয়ার পান
তখন আপনি চেয়ারম্যান
জনগণ চায় তখন আপনি
তাদের একটু কেয়ার নেন।
তা না করে আপনি যদি
দল দেখে দেন শুধু দধি
পাবলিকেরে কাঁচকলা
উচিত কি কন সে চলা?
চেতা যখন নেতা হয়
তাকে নরম হতে হয়
ইনসাফের এই দাবী
সকল ভালোর চাবি।
বেইনসাফি করতে নেই
নিজের পকেট ভরতে নেই।
২১শে ডিসেম্বর ২০২০; ভোর ৬টা
মুমীন হারে না কখনো
সারা ময়দান, ঘুরে শয়তার, দান্দান দেয় নবী
তবু থামেনা যুদ্ধ জেহাদ, ডাকে রাসুলের কবি
জাগো হে মানুষ, জাগো মানবতা, নবীজির উম্মত
থামাও প্রলয় যুদ্ধ তুফান পৃথিবীর সব জুলমত।
খোদার সৈনিক জাগো দৈনিক, জাগো ঘুমন্ত জাতি
টুটে যাক ঘোর, খুলে যাক দ্বোর ঘুচুক আঁধার
রাতি
আরো জোরে হাঁকো হায়দরী হাঁক বাজাও নাকাড়া
কবি।
তোমার ডাকে জাগুক আবার নীল আকাশের রবি।
বাজুক ডঙ্কা নাইরে শঙ্কা মুমীন হারে না কভু
বাঁচলে গাজী, মরলে শহীদ জিত দেন সদা
প্রভু।
শহীদের নেই মরণ কখনো চিরঞ্জীব ওরা বীর
কখনো নত হয় না মুমীন তাঁদের সে উঁচু শির।
২১শে ডিসেম্বর ২০২০; ৬টা
ধর্ম থাকে কর্মে
মুসলিম তোমার হতেই হবে
এমন কোন আইন নাই
অমুসলিমের জন্য দেশে
কারো কোন ফাইন নাই।
যার যার ধর্ম সে সে মানবে
এমন আইনই চলছে
মুসলমান কি হিন্দুর মূর্তি
ভাঙতে কভু বলছে?
মূর্তি থাকবে মন্দিরে ও গীর্জায়
সেই মূর্তি ভাংতে কিরে পীর যায়?
মূর্তির পূজা হিন্দু বৌদ্ধ সবাই করে
মুসলমানে মূর্তি রেখে কোরান পড়ে।
মূর্তির প্রেমে যদি উথলায় হৃদয় মন
ইসলাম ছেড়ে হও না তুমি হরিজন।
মুহাম্মদের উম্মতেরা মূর্তি গড়ে না
খৃস্টানেও গীর্জাতে নামাজ পড়ে না।
ধর্ম তোমার আছে কি না, তুমি ধর্মহীন
আমল দিয়ে তুমি দেখাও নিজ ধর্ম চিন।
২১শে ডিসেম্বর ২০২০; ১১টা
বউয়ের উপদেশ
নামাজ রোজার ধার না ধরে
সুদ ঘুষ আপনি খান
প্রতি রাতেই আপনি কেনো
নন্দীপাড়া যান?
ইসলাম যা যা করছে নিষেধ
হারাম জেনেও খান
কনতো তবে কোন সাহসে
আপনি বেহেশত চান?
নিজের মনে তিনশ শয়তান
হাডু ডুডু খেলে
আপনি যদি শরাব খান
ওরা মদ্য গেলে।
আপনে এখন বড় হইছেন
ঘরে তিনটা কন্যা
এবার একটু তওবা করে
ভাল মানুষ হন না।
২২শে ডিসেম্বর ২০২০; ১০টা
মহি
মহিরে তোর শরীর কেমন
দোয়া করিস ভাই
এই ধরাতে আমরা তো কেউ
থাকতে আসি নাই।
সবাই যাবে আমি ও তুই
তকদিরে যা আছে
আমরা যেনো হতে পারি
প্রিয় খোদার কাছে।
চাই না কিছু কারো কাছে
খোদার মদদ চাই
এটুক যাতে পেতে পারি
দোয়া করিস ভাই।
মহি বলে সহি কথা
রহম করো তারে
সবার ওপর ঝরে পড়ুক
রহম বারে বারে।
২২শে ডিসেম্বর ২০২০; ২টা
হায় মোমেনা হায়
হায় মোমেনা হায়।
ইলিশ মাছের পেটি দাদা
দিল্লি বসে খায়।
পদ্মার ইলিশ ট্রাকে ট্রাকে
দিল্লি চলে যায়।
পুলিশ প্রদীপ সিনহা মারে
কান্দে সিনহার মায়।
প্রদীপ কেমনে আর্মি মারার
সাহস খুঁজে পায়?
মাগো এসব খুঁটির জোর
খুঁটি বাঁধা দিল্লিতে
তাই ইলিশের কাঁটা খায়
নানা রঙের বিল্লিতে।
হায় মোমেনা হায়
মরা জাতির বিবেক বসে
ভজন কীর্তন গায়।
২২শে ডিসেম্বর ২০২০; ৫টা
আজ্ঞে
আজ্ঞে।
এই কি ছিল ভাগ্যে।
শিয়াল চাটে বাঘের গাল
টিকটিকি খায় বালাম চাল
ইলিশ গিলে ফিঙে
বিড়ালগুলো বসে বসে
দুধ রেখে খায় ঝিঙে।
চাকর শাসায় মালিককে
মশা শাসায় শালিককে
বানর এসে জানতে চায়
এ কোম্পানীর মালিক কে?
আজ্ঞে
এই কি ছিল ভাগ্যে।
কাউয়া করে কা কা
বৌ খালি কয় টাকা
টানবাজারের নায়িকারা
এখন থাকে ঢাকা।
তাদের বাড়ি পাকা।
রাত দুপুরে তাদের গেটে
থামে গাড়ির চাকা।
আজ্ঞে
মধুর বোতল কদুর তেলে
ভরলে ভরুক, যাকগে।
আজ্ঞে।
২২শে ডিসেম্বর ২০২০; রাত ১১টা
গরীবের শীত
শীত আসে জিত লয়ে
জিতে যায় গরীবে
বাবু সাব চিত হয়ে
ভাবে সে কি করিবে।
হীম হীম ঠান্ডায়
কাবু হয় পান্ডায়
কাশ্মীরি শাল গায়ে
হু হু করে কান্দে।
বাবু পরে জাম্পার
শীত পড়ে বাম্পার
বলে কই যদু মধু
শীতটারে বান দে।
হু হু একি ঠান্ডা
বরফের আন্ডা
জলদি দে রে বাপ লেপটা
আর দে, পশমী ক্যাপটা।
গরীবের লেপ নাই
পশমের ক্যাপ নাই
গামছাটা কোমরে পেড়ে আনে রস
বলে তোরা রস খাবি, চুপ করে বস্।
রস খায়
যশ পায়
জিতে যায় গরীবে
বাবু বলে, দেখবি, এইবার মরিবে।
ধুর, ওরা মরে না, নেমে যায়
কর্মে
ওরা মাঠে কাজ করে, বাবু থাকে ঘর মে।
এইসব দেখে শীত মরে যায় শরমে।
২৩শে ডিসেম্বর ২০২০; ৬টা
নামটা ধরে ডাকো
আমার একটা নামতো আছে, নামটা ধরে ডাকো
বিশেষণের বোঝা দিয়ে নামটা কেনো ঢাকো?
নিজের নামটা ভালবাসে কোকিল এবং কাকও।
চক্ষুটারে চোখই বলো, নাকটারে কও নাকও।
এতো এতো বিশেষণ দাও, নামটা খুঁজে পাই না
ভালোবাসি ফুলের শোভা, কিন্তু ওটা খাই না।
মায়ের আদর কোন কালে মামীর কাছে পাই না।
নামের সাথে বোঝা বাড়াও, সত্যি বলছি চাই না।
তুমি আমার শত্রুতো নও, মধু বলে দিচ্ছো বিষ
অহংকারের বিষ বিলায় যারে তুমি কও ইবলিশ।
সব প্রশংসা এক প্রভুর, আমরা সবাই বান্দা তার
তাঁরই দেয়া যোগ্যতা সব, কেন করো অহংকার।
মানুষ আমরা সবাই কিন্তু এক আদমের জাত
দিনের বেলা সবাই দিন পাই, রাতের বেলা রাত।
তুমি না হয় নায়ক হইছো, আমি না হয় কবি
যে যা হওয়ার তাঁর রহমে হইছো কিন্তু সবই।
নামের সাথে খেতাব সেটুক জুড়তে তুমি পারো
সত্যিকারের ডিগ্রি খেতাব, থাকে যদি কারো।
রাজ্য ছাড়া রাজা উজির যে চাটুকার কয়
তারা কিন্তু ইবলিশের খালাতো ভাই হয়।
২৪শে ডিসেম্বর ২০২০; ৯টা
স্বাধীনতা মানে
শোন বাবু শাহররিয়ার
বলছি কথা পরিস্কার
তুমি স্বাধীন, আমিও
মামা এবং মামীও।
স্বাধীন তুমি ইচ্ছে হলে
চাকরী আমার করবা
ইচ্ছে হলে সালাম দিয়ে
নিজের রাস্তা ধরবা।
কিন্তু বাপু চাকরী নিলে
সময় মতো আসবা
নইলে নিজের দুঃখে তুমি
চোখের জলে ভাসবা।
স্বাধীন তুমি ইচ্ছে হলে
ধর্মে ঈমান আনবা
ঈমান আনলে শোন বাপু
নিয়ম কানুন মানবা।
চাকরী করবা মর্জি মতো
আকাম কুকাম করবা
তাইলে বাপু কপাল মন্দ
জ্বলেপুড়ে মরবা।
ইচ্ছে হলে মুসলিম হও
নইলে বাপু কাফের রও।
২৫শে ডিসেম্বর ২০২০; ১টা
বাতাসের গতি
বাতাসের গতি যদি বুঝতে না পারো
দুর্ভোগ তবে শোন যাবে নাতো কারো।
দিনে দিনে তার কষ্ট বাড়বেই আরো।
বাতাসের গতি বুঝে তাই আগ বাড়ো।
ঝড় যদি আসে তবে তারে রোখা যায়না
হিংসুটে কোনোদিনই সুখ খুঁজে পায় না।
লোভী যদি হও তুমি অভাব তো যাবে না
ঈমানদার হলে তুমি হারাম তো খাবে না।
বাতাসের গতি যদি বুঝতেই পারো
গতি বুঝে থামো ও গতি বুঝে বাড়ো।
No comments