আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়াঃ ৩২৬৭-৩৩০০

 


আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৬৭

প্রাণপণ লড়ো

হাসপাতাল চিকিৎসা করে না,

চিকিৎসা করে ডাক্তার

এই কথা বলেছিল

আমাদের আকতার।

টাকা থাকলে টাকা ঢালো

তাতে কোন ক্ষতি নাই

মনে রেখো, শেষমেষ

আল্লাহ ছাড়া গতি নাই।

তার কথা মানে নাই বড়লোক যারা

টাকা ঢেলে বাঁচে নাই অনেকেই তারা।

বাঁচা মরা যার হাতে তাঁর কাছে যাও

বাঁচবার কোন পথ যদি তবে পাও।

তারপরও বাঁচবার চেষ্টাটা করো

অসুখের সাথে সবে প্রাণপণ লড়ো।

৯ই আগষ্ট ২০২১। ১১টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৬৮

আসবে আবার জয়

লাগলে আগুন তসবি রেখে আগুন নেভাও আগে

আমার কথা শুনতে তোমার খুব কি খারাপ লাগে?

গ্রামের যুবক কোথায় পায় মদের বোতল রোজ

কোরান হাদিস জানো ঠিকই রাখো কি তার খোঁজ।

কোন বাড়িতে রাত দুপুরে মানুষ আসে যায়

গহীন রাতে কোথায় বসে কে কোন মাল খায়।

ভালো মানুষ হওয়া ভালো, কিন্তু এ পাপ সওয়া নয়

নাকি তোমার ঈমান নড়বড়,পাপ তাড়াতে করে ভয়?

মুরগীতো খাও জবাই করে,হারাম খাওয়ার ভয়ে

সুদের টাকা কেমনে গোনো, হাজার শয়ে শয়ে?

ফরজ মানো, হালাল খাও, হারাম করো দূর

এই না হলে তোমার বুকে কিসের রবের নূর?

ঈমান আনো, মুসলিম হও, ছাড়ো হাজার ভয়

তবেই মুমীন তোমার হাতে আসবে আবার জয়।

১০ই আগষ্ট ২০২১। ৩ টা।

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৬৯

নাতাশা ও বাতাসা

হাসনাবাদের নাতাশা

বললো, দাদা বাতাসা

কোথায় তোমরা পাইতা

কেমন করে খাইতা?

সুপারশপে খুঁজে দেখলাম

এয়ারপোর্টে গিয়ে দেখলাম

কোথাও এটা নাই

কেমন করে খাই?

বললাম, থাকি কী দেশে

গেলাম এবার বিদেশে

বললাম, আছে বাতাসা?

বলে কি কন, তা তা সা?

ওসব খুঁজে পাবেন না

তা তা সা কেউ খাবেন না

খেলে হবে আমাশা

এটা কেমন তামাশা?

বললাম, নেটে ছবি দে

কারে ধরছে কবিদে?

বলল, আমার নানাজান

তিনি ছিলেন আমাজান।

ঘরে ঘরে হতাশা

কোথায় পাবি বাতাসা

ফোঁস বোতলে পানি খা

তাইরে নাইরে গানা গা।

কতো খুঁজলো নাতাশা

পায়নি একটা বাতাসা।

১০ই আগষ্ট ২০২১। ৮টা।

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৭০

নাই

সকল কথা বলতে নাই

মিষ্টি কথায় গলতে নাই

অসৎ পথে চলতে নাই

সত্যটারে দলতে নাই।

প্রদীপ আছে সলতে নাই

অযথা কান মলতে নাই

ঘা হলে তা ডলতে নাই

আগুন হয়ে জ্বলতে নাই।

মিথ্যা কথা বলতে নাই

পাপের পথে চলতে নাই।

তবে কেনো চলো ভাই

মিথ্যা নিজেও বলো ভাই।

১০ই আগষ্ট ২০২১।১টা

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৭১

নাতনীর কষ্টের ছড়া

আমার একটা নাতনী আছে গুণের কোন শেষ নাই

নিজের একটা বিশ্ব আছে তাইতো কোন দেশ নাই।

আমার একটা বিড়াল আছে কিন্তু কোন মেষ নাই

সবই আছে ফিটফাট শুধু রান্না ঘরেই গ্যাস নাই।

কী নাই বলো, সবই আছে, শুধুই পরিবেশ নাই

স্কুল কলেজ সবই আছে, মানুষ গড়ার লেশ নাই।

মনে করো মাথা আছে, কিন্তু মাথায় কেশ নাই

সুখও আছে থোকা থোকা কিন্তু দুঃখের শেষ নাই।

মুহাম্মদের ভক্তও আছে, কিন্তু মিমের পেশ নাই

আলেম জালেম সব আছে ভন্ড জনের শেষ ণাই।

লোকে বলে দেশও আছে, ছাগল গরু মেষও আছে

সবই আছে দেশের ভেতর, বাঁচার পরিবেশ নাই।

১০ই আগষ্ট ২০২১। ৩ টা।

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৭২

আমার কোন অভাব নাই

তোমার অনেক প্রশ্ন আছে,

আমার কাছে জবাব নাই

পরের ভাতে ছাই দেয়ার

আমার কোন স্বভাব নাই।

নবাবপুরে নবাব নাই

তাজ বিহারীর কবাব খাই

তাই বলে কেউ ভাইবেন না

আমি থাকি ঘরজামাই।

ঢোল সেতারা রবাব নাই

তবু আমার অভাব নাই

দয়াল প্রভুর অসীম দয়ার

নিত্য বাতাস মাগনা পাই।

তাঁর প্রেমে রই মগ্ন আমি

আর কিছু নাই এমন দামী

যেদিক তাকাই সেদিক আমি

তাঁর রহমের পরশ পাই।

প্রভু, তোমার রহম চাই

তোমার কিছু অভাব নাই

তোমার প্রেমের ছায়াতলে

আমায় একটু দিও ঠাঁই।

১০ই আগষ্ট ২০২১ঃ০০ টা।

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৭৩

মাফ করবেন

মাফ করবেন, স্বঘোষিত দ্বীনের হরেক ঠিকাদার

কোথায় আছে কোরাআনে মাজহাব বানাও চার।

আল্লাহ বলছে ইসলাম সহজ আপনি বানান কঠিন

আপনার ইসলাম মানবো নাকি মানবো রবের দ্বীন।

আল্লাহ বলেন, ঈমান আনো মুসলিম হয়ে মরো

আপনি কেন বলেন, মুমীন নানান ফেরকা ধরো।

ফেরকাবাজি ধাপ্পাবজি ওসব ফেরকা ছাড়েন

ঈমান আনুন মুসলিম হোন যদি নিজে পারেন।

ইসলাম বলে, হও মুজাহিদ, আলীর মতো বীর

আপনি বলেন, মুসলিম হবে? আগে ধরো পীর।

ছয় তরিকা, নয় উসুল, কখনো ইসলাম নয়

ইসলাম হলো মরতে হবে, করো আল্লাহর ভয়।

ইসলাম হলো কোরআন হাদীস, আরবী জুব্বা নয়

আবু জেহেল কাফের ছিল, মুসলিম কেমনে হয়।

দাড়িও ছিল, পাগড়িও ছিল, জুব্বাও ছিল গায়ে

তাই বলে কি মুসলমানও করতো সালাম পায়ে।

ঈমান এনে মুসলিম হোন, নিজে কোরান জানেন

হক না-হকের বিধান জেনে হকটা হুজুর মানেন।

মাফ করবেন দ্বীনের খাদেম, বলেন কোনটা ভুল

কোরান হাদীস খাঁটি ইসলাম, নয় কি দ্বীনের মূল?

১১ই আগষ্ট ২০২১। ভোর ৬ টা।

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৭৭

ভোলানাথের মন নাই

ভোলানাথের পোলা নাই

ঘরে কোকাকোলা নাই

আটার দলা গোলা নাই

বাসী খাবার তোলা নাই

পিঠা ভাজার খোলা নাই

দাঁতগুলো তার নষ্ট

তবু নাই তার কষ্ট।

বললে বলে, মনে নাই

হরিণ ছানা বনে নাই

নিজে পরের ধনে খাই

মনের সুখে গানা গাই

সঙ্গে টাকা আনা পাই

আগে কথা জানা চাই

তবে ভুলার কষ্ট

লাগে বুকে পস্ট।

বুক আছে তার মন নাই

কোন আপন জন নাই

মন নাই তাই পণ নাই

দেশে যুদ্ধ রণ নাই

মিছিল করার জন নাই

ঘরের চালে শণ নাই

ভোলানাথ কি বোকা

বলে, দাঁতে পোকা

দিলে খাবো ধোকা

আমি কচি খোকা

নাইরে আমার কষ্ট

হৃদয় খানা নষ্ট।

বললাম, আছিস সুখে ভাই

জাতি আছে দুঃখে তাই

তার যে আছে মন

জ্বলে হিজল বন

কে কাড়ে কার ধন

মরতে কতক্ষণ?

মরার কোন ক্ষণ নাই

তারও আপন জন নাই।

আছে তবু মরার ভয়

এ কথা কি ভয়ে কয়?

ভোলানাথের মন নাই

সঙ্গে জনগণ নাই

তার নাই তাই কষ্ট

সবই বললাম পষ্ট।

১২ই আগষ্ট ২০২১। রাত ৩ টা।

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৭৮

বসে বসে চা টা খান

শুনছি নাকি আইউব খান

গাইতো বসে হিন্দি গান।

আপনি মানুষ ইন্ডিয়ান

তবে কেনো পিন্ডি যান?

নাম রেখেছেন আলেক চান

তাই কি আপনি মুসলমান?

আপনি নাকি হারাম খান

তাতে কি খুব আরাম পান?

হারাম খাওয়া সবই মানা

নাই কি তা আপনার জানা?

সবই জানে মেহেরজান

হারাম খায় না মুসলমান।

আপনি যখন জানেন সব

কেনো করেন এতোসব?

সত্য কথাই বলে যান

বসে বসে চা টা খান।

১২ই আগষ্ট ২০২১। ৪ঃ০০ টা।

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৭৯

অবাক সৃষ্টি

একি আজব সৃষ্টি ভাই

কোথাও অনাসৃষ্টি নাই।

খোলেন অন্তর্দৃষ্টি ভাই

দেখেন প্রভুর কৃষ্টি ভাই।

নয়ন ছাড়া দৃষ্টি নাই

জিহ্বা ছাড়া মিষ্টি নাই

মেঘের থেকে বৃষ্টি পাই

সবই আজব সৃষ্টি ভাই।

এই বিশ্বটাই ইষ্টি ভাই

তাঁর রহমেই বৃষ্টি পাই

তাঁর রহমেই মিষ্টি খাই

স্রষ্টা ছাড়া সৃষ্টি নাই।

সবই আজব সৃষ্টি ভাই

আমরা তাঁরই সৃষ্টি ভাই

তিনিই সবার ইষ্টি ভাই

তাঁর রহমের লিষ্টি নাই।

তাঁর রহমের দৃষ্টি চাই

কী দুনিয়ার কৃষ্টি ভাই

আল্লাহ ছাড়া সৃষ্টি নাই।

সবই অবাক সৃষ্টি ভাই।

কী যে অবাক সৃষ্টি ভাই

অবাক সৃষ্টির লিষ্টি নাই।

১২ই আগষ্ট ২০২১। রাত ৮টা।

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৮০

ঘুমের পরী

কেমনে আসে ঘুমের পরী তারে আমি দেখতে চাই

তারে দেবো খেলনা গাড়ি যদি তারে দেখতে পাই।

সঙ্গে দেবো স্বপ্ন ডানা

খেলনা পুতুল বিড়াল ছানা

তবু একদিন আয় না পরী যেন তোরে তেখতে পাই।

তোরে দেখার ইচ্ছে নিয়ে দিন কেটেছে অবিরত

সেই ইচ্ছেটা বুকে নিয়ে রাত কেটেছে শত শত।

তবুয়ো তোর পাইনি দেখা

বললো হেসে কাজল রেখা

ঘুম পরী যে ঘুরে বেড়ায় রাত বিরাতে ভুতের মতো।

ঘুম পাড়াতে আদর করতে মা জননীর কষ্ট কতো

বুঝতে পেলে আয় না ছুটে অবুঝ পাখি টিয়ার মত।

শোনরে আমার ঘুমের পরী

লাগলে দেবো সোনার তরী

ঘুমেঘোরে যে সোনার তরী স্বপ্নে আমি দেখি কতো।

ঘুমের পরী আয় না সোনা

আমরা খেলি স্বপ্ন বোনা

আমরা ঘুরি সাহস নিয়ে ঘোড়ায় চড়ে বীরের মতো।

তবু কেনো দিস না দেখা তুই না আপন সখীর মত।

১৩ই আগষ্ট ২০২১। রাত ২ টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৮১

যে পারে সে গুল্লি খায়

নৌকা যাবে উজানে

দিল্লী যাবে বু'জানে

কোন সুখে তা কে জানে

যার সুখ শুধু সে জানে।

কী সুখ পায় পরাণে

কেন লোকে বর আনে

কে দেয় বুবু বালির ঘর

কি হয় পিতা হইলে বর।

নাগরও হয় সুত্রধর

কে কার জান কেবা পর

সবাই ছুটেন বৃন্দাাবন

চল্লিশ সেরে হয়রে মণ।

ছড়ড়া হয়তো কড়ড়া হয়

নাইরে তাতে মরবার ভয়।

যে পারে সে দিল্লী যায়

যে পারে সে গুল্লি খায়।

১৩ই আগষ্ট ২০২১। রাত ৪ঃ০০ টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৮২

পীর কখনো হালাল খায়

গাছে গাছে করমচা

কে চায় খেতে গরম চা?

দীলটা যদি নরম হয়

তবে লোকের শরম হয়।

খা রে বসে করমচা

কেন খাবি গরম চা

চাইতে হলে খড়ম চা

মানুষ হলে শরম পা।

বলে গেছে শাহ জালাল

খাইতে হলে খা হালাল

নইলে ধরে খা দালাল

খা রে বসে খা আলাল।

তবু আদম হারাম খায়

বিনিময়ে দোযখ পায়।

শয়তান তাতে মজা পায়

কারো তাতে ঈমান যায়।

কেনো চড়িস পীরের নায়

পীর কখনো হালাল খায়।

১৩ই আগষ্ট ২০২১। ভোর ৫ঃ০৯ টা।

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৮৩

তবেই পাবি

টুপী জুব্বায় জরীর কাজ

আটকে আছে ইসলাম আজ।

মিসকিন ভরা এই সমাজ

কেমনে পড়িস জরীর সাজ?

জাকাত ফেতরা দান লেহাজ

করেন বাঁচান ইসলাম আজ।

মিসকিন থাকলে সেই সমাজ

কোথায় পাবে ইসলাম আজ?

থাকলে ধরায় খোদার রাজ

ক্ষুধা নিজেই পেতো লাজ।

গরীবী হটানো দ্বীনের কাজ

এই দ্বীনে তুই সাজরে আজ।

এটাই দ্বীনের আসল কাজ

তবেই পাবি আল্লাহর রাজ।

১৩ই আগষ্ট ২০২১। ভোর ৬ টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৮৪

আগস্ট মাস

রক্তরাঙা আগস্ট মাস

আগস্ট মানে রক্ত, লাশ

আগস্ট মানেই সর্বনাশ

আগস্টে হয় ঘর বিনাশ।

আগস্ট মাসে রক্ত ঝরে

কেউ শহীদ হয় কেউ মরে

আগস্টে হয় জীবন ক্ষয়

আগস্ট মানেই মৃত্যু, ভয।

কেউ করে না জীবন জয়

ধরায় কি কেউ অমর হয়

মানুষ মানেই অমর নয়

তবুও কেনো মরার ভয়?

আগস্ট আসে বারে বারে

পলাশ ফোটে তেপান্তরে।

রক্তরাঙা এ আগস্ট মাস

আগস্ট মানেই রক্ত, লাশ।

১৩ই আগষ্ট ২০২১। ৬ টা।

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৮৫

এ নয় শুধু কথা

ভেবে দেখলাম মাথা গরম, পাগল হইতে বাকী নাই

ইসলাম হলো সহজ বিধান তাতে তুফান বাঁকি সাই

কিন্তু এমন পেলাম ইসলাম জীবন জুড়ে ঝাকি খাই

যার কাছে যাই খুঁজে দেখি কারো দ্বীনই খাঁট সাই।

আল্লা বলেন ইসলাম সহজ, মেনে মনে শান্তি পাই

সহজ বিধান কঠিন করে জীবন ভরা কষ্টই পাই।

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ পড়তে লাগে কতক্ষণ

বাকী সময় হালাল পথেই বেড়াক ঘুরে হৃদয মন।

আলিমগুলো জালিম এখন, ইসলাম বানায় রোজ

গরীব মানুষ পায় না খেতে, দরবেশ করেন ভোজ।

কারা কারা কষ্টে আছেন, খলিফা রাতে খুঁজেন

কোনটা ইসলাম খলিফারচে আপনি বেশী বুঝেন?

গরীব বুড়ির অসুখ দেখে তার পাশেই যান নবী

রাতের বেলা ঘুরেন বাদশা, এই ইসলামের ছবি।

মানুষ কেনো নষ্ট হয়? কষ্ট কেনো পায় রে ভাই

এসব দূরের চিন্তা কেন তোমার মনে নাইরে ভাই।

এবাদত তো জ্ঞানের চর্চা বাড়াও মুমীন রাতে

পড়, বলে কোরান শুরু ঈমান কি নেই তাতে?

ইসলাম জেনে, ঈমান এনে, আমল করো তাতে

তার ফজিলত সবাই তবে পাবেই নিজের হাতে।

১৪ই আগষ্ট ২০২১। ৫টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৮৭

ইসলাম মানে

ইসলাম মানে অন্যরকম হৃদযকাড়া আলো

ইসলাম মানে চেষ্টা করা হতে আরো ভালো।

ইসলাম মানে মায়ায ভরা মধুর কোন ফুল

ইসলাম মানে জানা মাত্রই ছেড়ে দেয়া ভুল।

ইসলাম মানে মন্দ রোখার চেষ্টা শুধু করা

ইসলাম মানে শুদ্ধ প্রেমের হস্ত চেপে ধরা।

ইসলাম মানে সবরকম শির্ক তুমি ছাড়ো

ইসলাম মানে ভালকর্মে তুমি নিজে বাড়ো।

ইসলাম মানে কায়েম করো ধরায় শুদ্ধ দ্বীন

ইসলাম মানে মিথ্যা ছেড়ে হওরে আলামীন।

ইসলাম মানে মন্দ কাজ, দাওরে করে লীন

ইসলাম মানে খোদা প্রেমে হওরে অন্তর্লীন।

১৪ই আগষ্ট ২০২১। ১০টা

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৮৮

ইসলাম তো নয়

ইসলাম তো নয় চক্ষু বুঁজে গাজায় মারা টান

ইসলাম তো নয় ঢোল তবলা বাদ্যমুখর গান।

ইসলাম তো নয় পরের মাল সব হস্তগত করা

ইসলাম তো নয় মাজার ঘুরে ভন্ড পীর ধরা।

ইসলাম তো নয় দরগায় বসে মজমা শুধু করা

ইসলাম তো নয় সুযোগ পেলে পরকীয়ায় পরা।

ইসলাম তো নয় পরনারীর দুই হাত চেপে ধরা।

ইসলাম তো নয় মন্দ ও পাপ জেনে নিজে করা।

ইসলাম তো নয় সওয়া যতো পাপ ও অনাচার

ইসলাম তো নয় মন্দ কাজের খুলে রাখা দ্বার।

ইসলাম তো নয় জলসায় বসে গাওয়া পঁচা গান

ইসলাম তো নয় ঘুরে ঘুরে খাওয়া মুরগীর রান।

ইসলাম কি নয় জানলে যখন তওবা করো ভাই

বলো আল্লাহ এসব পাপে না যেনো আর জড়াই।

১৫ই আগষ্ট ২০২১। ১০ঃ০০০ ট।।

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৮৯

ছন্দমালা

নিবেন নাকি, ছন্দমালা?

সবই আছে, সাদা-কালা

পানসুপারী বিয়ের ডালা

ছন্দ বাটেন মুক্তা খালা।

বলেন, নে, ধর, ছন্দমালা

না ধরলে কন, দূন হ শালা

ছন্দ মানেই কথার মালা

ছন্দ মানে দুইটা তালা।

নইলে সোনা, দ্রত পালা।

ছন্দ আছে কালা, ধলা

ছন্দ মানে ম্যাচের শলা

ছন্দ হলো চকির তলা7

ছন্দহলো, ডলামলা।

ছন্দ মানে আগরতলা

ছন্দ মানে সাগর কলা

ছন্দ মানে, ছলাকলা

ছন্দ মানে কথা বলা।

১৫ই আগষ্ট ২০২১। দুপুর ১২ টা।

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৯০

পরী ও পরিমল

কেমন আছিস পরিমল

দেখবি নাকি পরী, চল।

দেশটা জুড়ে পরীর ঢল।

কয়টা খাবি পরী, বল।

তোর তো স্বভাব ধরি মল

পরী গেলে জেলে, বল

কোন চিপাতে থাকবি,বল

ঢুকা শালা ডাবের নল।

এবার কেমন লাগছে, বল

খা রে পাজি পরীর জল

পরী যেন লাউয়া ফল

খেতে মজা পরী ফল।

বাতি নিভলে পেত্নি পরী

দেয় বিছানায় গড়াগড়ি।

সুখে আহা, মরি, মরি

সুখের পোটলা নরম পরী।

স্বপ্নে ওড়ে সুষম পরী

কোনটা রেখে কারে ধরি

তার বিপদে আয় না লড়ি

শাহাবাগে মিছিল করি।

পরীর যদি কিছু হয়

কাউযা যদি পিছু লয়

আমি কিন্তু পাই না ভয়

হবে রে তোর পরাজয়।

বিশ্ব জুড়ে পরী রয়

তার ভক্তরা নিঃস্ব নয়

পরীর কোটি শিষ্য হয়

তারা আনবে পরীর জয়।

গাওরে সবে পরীর জয়

এ দুনিয়াই পরীময়।

তাদের শুধু বিজয় হয়

তবে কেনো মরার ভয়?

পরী পরী তোল রে সুর

আমরা সবাই হই অসুর

পরীর মুক্তি দূরে নয়

পরীর শুধু বিজয় চয়।

শোন রে বন্ধু পরিমল

আমরা সবাই পরীর দল

পরীর শিষ্য অসুর হয়

সারা ভুবন অসুরময়।

১৬ই আগষ্ট ২০২১। দুপুর১টা

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৯১

জন্মখাতা

আমি যেদিন এসেছিলাম সেদিন কি চাঁদ হেসেছিল

নাকি সেদিন সূর্যিমামা দেখতে ধরায় এসেছিল?

ফুল বাগানের ফুলেরা কি আমায় ভাল বেসেছিল?

পাখিরা কি দেখে আমায় সুখ আনন্দে ভেসেছিল?

বলনা মাগো গেখতে সেদিন কে কে বাড়ি এসেছিল

কার মাগো মা, মুগ্ধ নয়ন খুশীর চোটে ভেসেছিল?

আমায় দেখে কার বুকে বল শক্তি সাহস এসেছিল

ভানুর বউ আমায় দেখে খুকখুক করে কেশে ছিল।

আমায় দেখে মলয় বায়ু জয়ের নিশান তুলে ছিল

আপন স্বজন আমায় দেখে নিজেন কষ্ট ভুলে ছিল

আমার জন্মের খবর পেয়ে কারা আশা পুষে ছিল।

সবাই সেদিন খোশখবরে আপন আপন হুশে ছিল।

আমার জন্মের খবর পেয়ে উর্ধে কাদের হাত ছিল

তখন কি রে দিনের আলো নাকি আঁধার রাত ছিল

আমার সৃজন জীবন পাতায় জন্ম মৃত্যুর খাত ছিল

সে অদৃশ্য খাতার পাতায় কার নেপথ্যে হাত ছিল?

আমি যেদিন এসেছিলাম জন্মখাতা খুলেছে কে?

আমার সকল ভালোবাসা তাঁরই জন্যে বরাদ্দ যে।

১৬ই আগষ্ট ২০২১। ভোর ৪ঃ০০টা।

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৯২

পটল তোলা

পটল তোলা ভালো নয়

পটল কারো খালু নয়।

কারো কন্ঠ তালু নয়

নীল পাহাড়ী ঢালু নয়।

এর মানে তো মৃত্যু হয

বোটা ছিঁড়ে পড়তে হয়

ধরা থেকেই সরতে হয়

মাটির গর্তে পড়তে হয়।

মাটির গর্ত আঁধারময়

আঁধার গর্ত জ্বালাময়

জ্বালা কারো খালা নয়

নর্দমা ও নালা নয়।

পটল তোলা ভালো নয়

পটল কোনো আলু নয়।

১৬ই আগষ্ট ২০২১। ২ টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৯৩

আল্লাহর হুকুম

আল্লাহর হুকুম, পর্দা করো, তুমি জর্দা খাও

কেমনে তবে সেই সমাজে শান্তি তুমি চাও?

আল্লাহর হুকুম, হারাম রেখে হালাল শুধু খাও

যদি তোমরা দোযখ রেখে জান্নাত যেতে চাও।

আল্লাহর হুকুম, মানুষ হও, তুমি সাজো পীর

মুমীনরা হয় দুঃসাহসী, মুজাহিদ আর বীর।

আল্লাহর হুকুম, ক্ষুধার কষ্টে কারা করো খোঁজ

তুমি মুমীন কেমনে হবে? ভোজন করে রোজ?

আল্লাহর হুকুম, নামাজ পড়ে খাদ্য খুঁজতে যাও

তুমি এখন সওয়াব বেঁচেই রিজিক খুঁজে পাও।

আল্লাহর হুকুম, গোলাম তুমি, প্রভুর নির্দেশ মানো

গোলাম হয়েও তুমি এখন তাঁকেই আঘাত হানো।

আল্লাহর হুকুম, প্রভু এবং বান্দার হকও দাও

তুমি এখন সকল জনের হকটা মেরেই খাও।

১৬ই আগষ্ট ২০২১। রাত ১০টা

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৯৪

অদ্ভুত মানুষ

তুই হয়েছিস অদ্ভুত মানুষ, ভুত কি চিনিস না

তুই হয়েছিস বিদ্যাসাগর, বিদ্যাই চিনিস না।

নিজকে ভাবিস ঈমানদার, ঈমান চিনিস না

হাট থেকে তুই সব কিনিস, ঈমান কিনিস না।

আল্রাহর হুকুম জানিস নিজে কিন্তু মানিস সা

ফরজ ফরজ জিকির করিস, ফরজ চিনিস না।

কত কিছু জানিস তুই, কোরআন জানিস না।

সবার হুকুম মানিস তুই খোদার হুকুম মানিস না।

তুই তো বড়ো অদ্ভুত মানুষ, জ্ঞানী গুণী জন

তুই কি জানিস মানুষ বড়ো, নাকি বড়ো মন

মন দেখেছিস? বলতো তুই,মনটা কতো বড়ো

তবে কেনো দাবী করিস কিতাব শুধুই পড়ো?

তুই তো বড়ো অদ্ভুত মানুষ, ধনের সীমা নাই

সে ধন দিয়ে কখনো কি হায়াত কেনা যায়?

ওরে আমার জ্ঞানী, গুণী, পন্ডিত মহা জন

বলতো দেখি জ্ঞান দিয়ে তুই বাঁচবি কতক্ষণ?

তবে রে তুই পাপ ছেড়ে দে, কর আল্লাহর ভয়

নিজের বুদ্ধি কোন কালেই কোন কাজর নয।

চাপাবাজি ছেড়ে সবাই দ্বীনের আমল করো

হাজার রকম পন্ডিত নয়, মুসলিম হয়ে মরো।

ওয়াজ তোয়াজ নফল রেখে ফরজ সবে ধরো

অদ্ভুত আমল ফেলে দিয়ে সঠিক আমল ধরো।

১৭ই আগষ্ট ২০২১। দুপুর১টা

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৯৫

মন পাখিটা

মন পাখিটা উড়াল পাখি, বেঁধে রাখা যায় না

ঘুরে বেড়ায় পাহাড় বনে, মক্কা থেকে চায়না।

মন পাখিটা উড়াল দিয়ে কখন যে কই যায়?

একটা মাত্র মন, তারে, কেউ কি খুঁজে পায়?

নিজের একটা মন সবার, থাকে না তাও বশে

ঘুরে বেড়ায় পুকুর বিলে,কলো জামের রসে।

নাস্তিক জনে আল্লাহ খোঁজে, মন কি খুঁজে পায়?

মন উড়ে চায় বেহুদা কাজে, হারাম জিনিস খাঢ।

মন পাখিটা প্রভুর ভয়ে যখন সমঝে চলে

মিথ্যে ছেড়ে উড়াল পাখি নিজে সত্য বলে।

বিবেকের সে হুকুম মানে, শাসন করলেও মানে

কেমন করে মন বাঁৎতে হয় বিবেক সবই জানে।

মন পাখিরে শাসন করে বিবেক আরাম পায়

আদর সোহাগ শাসনে তারে কাছে টানা যায়।

বিবেক ও মন পরাণ বন্ধু, ওরাই চির সাথী

তাদের জন্য এসো সবাই হৃদয়মালা গাঁথি।

১৭ই আগষ্ট ২০২১। ৪ঃ০০ টা।

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৯৬

আমাদের বদরুল

আমাদের বদরুল

দিয়ে গেছে বদ রুল

এই কখা বলে গেছে

পাহাড়িয়া সদরুল।

বদ রুল ভালা নয়

বদ রুল জ্বালাময়

বদ রুলেই কষ্ট

জীবন হয় নষ্ট।

বদ রুল আর নয়

বদ রুল আর নয়।

বলে কাঁদে সদরুল

বদ রুল আর নয়।

হৃদয়টা জুড়ানের

রুল হল কোরানের

এই রুল প্রীতিময়

এ জীবন ফুল হয়।

সে রুলের সুবাসে

শুধু ফুল সু হাসে

আর হাসে চাঁদটা

ঘুঁচে যায় রাত টা।

রাত করে কান্না

আলো হয় রান্না

খায় বসে মান্না

আমাদের পান্না।

আরবের আলামীন

ঘুরে ঘুরে সারাদিন

বলে গেছে বদ রুল

সব ভুল, সব ভুল।

বদ রুল আর নয়

বদ রুল আর নয়।

১৭ই আগষ্ট ২০২১। রাত ১০টা

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৯৭

নবীর পরেই কবির ইজ্জত

নবীর পরেই কবির ইজ্জত, মানুষ কেন দেখে না?

কোরান পড়ে কী সব শেখে, এসব কেন শেখে না।

কবির কি কাজ আল্লাহ বলে, পন্ডিত কেন বলে না

কবির প্রেমে নবীই গলেন, মানুষ কেনো গলে ন।

কবির কি কাজ কোরান বলে, মানুষ কেন বলে না

কোরান পড়ে মানুষ কেন সঠিক পথেে চলে না?

মানুষ কেনো নিজেই করে হাজারো রকম ভুল?

কোরান পড়ে, তাও বুঝে না কোনটা দ্বীসের মূল?

কোন কাজটা দরকারী আর কোন কাজটা নয়?

এই কথাটা কোরআন পড়ে আগে জানতে হয়।

দ্বীনের সুবাস পতঙ্গও পায়, মানুষ কেন পায় না

সকলে খায় হালাল রিজিক মানুষ কেন খায় না।

নবীর পরেই কবির ইজ্জত, মানুষ কেন বুঝে না?

কোরান পড়ে মানুষ কেন এসব সত্য খোঁজে না।

১৮ই আগষ্ট ২০২১। বাদ ফজর।

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৯৮

আগের মানুষ

আগের মানুষ সালাম দিতো, এখন বলে, হাই!

মক্কা ছেড়ে চলরে সবাই, বৃন্দাবনেই যাই।

ক্যামিক্যালের বিষ কিনে চল, ঘরে বসেই খাই।

মক্কা অনেক দূরের দেশ, চল, বৃন্দাবনেই যাই

সেথায় আছে বাধারাণী, একটা গাৎাও নাই।

মাথায় যদি পচন ধরেেই, মলম দেবো কই?

কোন বাগানে পাবি রে তুই, সাদা সাদা খই?

খই কি কোন গাছে ধরে? নাকি, থাকে জলে

তুই কি মালিক, নাকি দাস? বিবেকে কি বলে।

মানুষ এমন ফানুস, ভাবে নিজেই মহা রাজা

ফুটুস করে কেমনে মরে সেই সে মহারাজা।

কেমন করে মানুষগুলো, ছাড়ে ফরজ কাজ

বুদ্ধি বিবেক, লজ্জা শরম কোথায় গেল আজ?

আগে লোকের বিবেক ছিল,এখন গেল কই?

আগে লোকে কোরান পড়তো এখন পড়ে বই।

 ১৮ই আগষ্ট ২০২১। ৪ঃ০০ টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৯৯

আমায় বুঝান

ফজর পড়ে যাও বেরিয়ে, রিজিক তালাশ করো

এ কাজ শুধু জরুরীই নয়, এটাই ফরজ বড়ো।

হুজুর বলছেন, ফরজ রেখে নফল সবাই ধরো।

ফজিলতের বয়ান শোনো এতেই আমল করো।

মোহতারামের ইসলাম বড়ো, নাকি প্রভুর হুকুম

ভেবে পাই না কোন রাস্তাতে এবার আমি ঢুকুম।

মোটা মোটা কিতাব দামী, নাকি দামী কোরআন

হুজুর কি ইসলাম শেখান নাকি ইসলাম লুকান।

আপনার কাছে ইসলাম আছে? আমায় করেন দান

কোন দোকানের ইসলাম ভাল, আপনি কোনটা খান

আল্লা বলেন কোন গান গাইতে, আপনি কোনটা গান।

রাগ করবেন না, সেই কথাটাই একটু বলেই যান।

আল্লাহর হুকুম মানবো নাকি আপনার হুকুম কন

আমায় বুঝান, তারও আগে নিজেও বুঝে লন।

 ১৮ই আগষ্ট ২০২১সন্ধ্যা ৬ টা।

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩০০

পরিমিতিবোধ

যার নাই কোন পরিমিতিবোধ, তারে বড়ো ভয

মানুষ তারে কয় না মানুষ, তারেই পাগল কয়।

পরিমিতিবোধ না থাকলে, নিজেরই ক্ষতি হয়

পরিমিত খাওযা ও ঘুম, এবাদতও করতে হয়।

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ,'বার লোকে পড়ে

ওয়াক্তটা কি মানুষ কখনো, কম বা বেশী করে?

দিনের বেলায় কাজে নামো, রাতে থাকো ঘরে।

মানুষ আজ এসব ভুলে বিপদে কম, কি পড়ে?

পরিমিত কাজ করা যে, অনেক অনেক দামী

একটা নারী শরিয়ত মতো কয়টা রাখে স্বামী?

আল্লাহ বলেন,ওরে মুমীন, বেহুদা কাজ ছাড়ো

মানুষ বলে, ফুর্তি করো, যে জন যতো পারো।

সময় গেলে যে হয় না সাধন, মহাশয়রাই কয়

সময়ের কাজ সময় মতো তাইতো করতে হয়।

নিজের যখন বিবেক আছে, তারে দাওরে কাজ

ফেরকাবাজি ছেড়ে সবাই গড়ো আল্লাহর রাজ।

 ১৮ই আগষ্ট ২০২১। রাত দশটা।

No comments

Powered by Blogger.