আসাদ বিন হাফিজ এর ১০০ ছড়াঃ ২৫২৬-২৫৯০

 


আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৫২৬

প্রভূ তুমি সবার প্রভূ

প্রভু তুমি সবার প্রভু, মুসলমানের একার নয়

সকল সৃষ্টি তোমার প্রভু সৃষ্টি নিজে মেকার নয়।

তুমি মালিক, তুমি মনীব, তুমি প্রভু লালনকারী

জন্ম মৃত্যু তোমার হাতে, তুমি সবার পালনকারী।

তোমার হুকুম আমরা প্রভু সত্যি সত্যি মানি নাই

কোরান পড়ে সে হুকুম, আমরা সবে জানি নাই।

পাপ করেছি মাফ করে দাও, তুমি সবই পারো

তুমিই রহীম তুমিই রহমান, রহম ঢালো আরো।

তুমি প্রভু মাফ করে দাও, মানব জাতির ভুল

করোনাকে বানাও প্রভু, অচীন দেশের ফুল।

বিশ্ব থেকে গযব তোমার, নাও উঠিয়ে নাও

বিম্ববাসী নিঃস্ব তো সব, দাও না রহম দাও।

১৩ই মার্চ ২০২০; ২টা

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৫২৭

ভালো লেখা শেয়ার চাই

ভালো লেখা শেয়ার চাই

সবার মনে পেয়ার চাই

সকল কাজে কেয়ার চাই

পরাণ সবার ফেয়ার চাই।

দেয়ার জিনিস দেয়ার চাই

নেয়ার জিনিস নেয়ার চাই

চেয়ারম্যানের চেয়ার চাই

মাথায় সোনা হেয়ার চাই।

কিছু লেখা রেয়ার চাই

ভালো কাজে শেয়ার চাই

পারলে দিয়েন লাইকও

সঙ্গে দিয়েন বাইকও।

থাকুন ভালোর সঙ্গে

ফুর্তি থাকুক অঙ্গে।

ভাসুন স্বপ্ন রঙ্গে

সর্ষে ফুলের বঙ্গে।

১৩ই মার্চ ২০২০; ৩টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৫২৮

মোমের শহর

মেঘ বলেছে যাবি নাকি, মেঘপরীদের দেশে

আদর করে নিয়ে যাবো, তেপান্তরের শেষে।

দেখবি সেথায় পরীর নগর

ঝলসানো সে মোমের শহর

সবাই সটান দাঁড়িয়ে আছে মোমপুতুলী বেশে।

মোমের শহর, মোমের নগর, মোমের বাড়ি ঘর

সেই শহরে মোমের মানুষ, মোমের নারী নর।

বৃক্ষ আছে সারি সারি

মোমের রাস্তা মোমের গাড়ি

কিন্তু যেন কেউ কারো নয়, সবাই ভিন্ন, পর।

শহর নগর সবই আছে, প্রাণ সেখানে নাই

খোদার গযব একনিমিষে সব করেছে ছাই।

তুমি যদি দাওরে ছুঁয়ে

আলতো করে একটু নুয়ে

আসবে ফিরে প্রাণের পরশ, জাগবে পরী, ভাই।

বৃক্ষগুলো সবুজ হবে, হাসবে আরো মায়ের মন

পাখির ডাকে উঠবে জেগে সবুজ কচি সারা বন।

ফুল বাগানের প্রজাপতি

করবে আবার মাতামাতি

প্রভুর গানেই মুখর হবে আবার সবাই সারাক্ষণ।

মেঘপরীদের ডাকে আবার, ভাঙবে তোমার ঘুম

তোমার ছোঁয়ায় উঠবে জেগে প্রকৃতি নিঝঝুম।

প্রাণে প্রাণে জাগবে সাড়া

উঠবে জেগে ঘুমের পাড়া

ফুলকলিরা আবার দিবে চাঁদের মুখে রাঙা চুম।

১৭ই মার্চ ২০২০; ৫টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৫২৯

নারীর দালাল যেসব দেশে

নারীর দালাল যেসব দেশে

মন্ত্রী এমপি হয়

সেসব দেশে বাস করিতে

মনে লাগে ভয়।

হাত ইশারায় ডাকে যারা

বলে সোনা করো না

তাদের ডাকে ছুটে এলো

ভাইরাস নাকি করোনা।

পাপ করে না বাপকে মাপ

পাপী মানে পাপী

হতে পারে সে জন মামা,

চাচা কিংবা বাপী।

নারীর দালাল থাকলে বসা

সিংহাসন ও গদীতে

খোদার কি দোষ দিলে তুফান

পাপের শহর, নদীতে?

মনে বড় ভয়।

বিশ্বে কিরে পাপ কমানো

আদৌ সম্ভব নয়?

১৩ই মার্চ ২০২০; ৫টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৫৩০

টাকার পায়ে চাকা আছে

টাকার পায়ে চাকা আছে, বাঁকা হয়ে হাঁটে

আগে থাকতো শহর নগর গঞ্জ এবং ঘাটে।

হঠাৎ কী যে হলো আহা, চিন্তায় সময় কাটে

টাকার পা টা কারা যেনো নতুন করে চাটে।

ব্যাংকের টাকা ট্যাঙ্কে এখন গদীর টাকা নদীতে

কিছু টাকা পাপিয়া খায়, বাকিটা খায় বদীতে।

কানা ছেলে পদ্মলোচন, জুয়া চালায় সম্রাটে

নাম দিয়েছে ক্যাসিনো সে রাজ্য জুড়ে যম হাঁটে।

অস্ত্রধারী রক্ষী থাকে, পক্ষী ভয়ে যায় দূরে

শাহজাদা সব ধনকুবের অন্দরেও যায় ঘুরে।

টাকা থাকে খাটের তলে গয়না রাখার সিন্দুকে

দুকান কাটা পায় না শরম, যে যা বলুক নিন্দুকে।

পাতি নেতার ঘরের ভেতর বস্তায় এখন টাকা

মধ্যবিত্তের ছাইয়ের কপাল উন্নয়নেই ফাঁকা।

দেশ চালালে ডাকাত ও শেয়ার মার্কেট লুটেরা

সবই পারে চোরডাকাতে, থাকলে সঙ্গে বুটেরা।

টাকার এখন পাখা আছে, বিদেশে যায় উড়িয়া

জনগণ তাই খাচ্ছে এখন মুজিব বর্ষের পুরিয়া।

১৩ই মার্চ ২০২০; ১১টা

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৫৩১

সূর্যভানের নাতি

সূর্যভানের নাতি।

হাতিরঝিলে চলে গেছে

কিনতে নয়া হাতি।

বাঘ বা ভালুক নয় বলে

আনেনি অস্ত্রপাতি।

সূর্যভানের নাতি

ঝিলটা ঘুরে বলে ওঠে

কোথায় গেল হাতি?

তিনশ হাতি কালও ছিল

উধাও রাতারাতি?

সূর্যভানের নাতি

হাটে গেলে মুর্গী খোঁজে

পাক্কা আড়াই দাঁতি।

লোকজনেরা চাইলে তখন

চোখ টিপে কয় নাতি

আপনারা সব পাগল নাকি

দেখেন না এই জাতি

কলাগাছের ডগায় খোঁজে

রাঙা আগরবাতি।

উল্টাপাল্টা জিন্দাবাদ

পরের বউ বেজায় স্বাদ।

বুঝি না এই জাতি আহা

কখন কারে খায়

মধ্যরাতে নেতা কেন

পরের ঘরে যায়।

১৪ই মার্চ ২০২০; ১টা

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৫৩২

ফুলকলিদের মাথা সদা

ফুলকলিদের মাথা সদা ওপর দিকে থাকে

ফুলকলিদের মাথাগুলো আল্লা আল্লা ডাকে।

ফুলকলিদের সঙ্গে কোরাস প্রজাপতি গায়

ফুলকলিদের চোখের তারা আরশ পানে চায়।

একটা মিষ্টি মনের ভেতর হাজার আকাশ রয়

আকাশ থেকে মানুষের মন অনেক উদার হয়।

মন মহাজন ঘুরে বেড়ায় আকাশ নীলিমায়

বাতাসগুলো হু হু করে প্রভুরই গুণ গায়।

ঝর্ণা নদী কলকলিয়ে জিকির করে তাঁর

বিশ্বভুবন গান গেয়ে যায়, তাঁর সে মহিমার।

এসো এসো ভাই বোনেরা তাঁর গণগান গাই

তিনিই আদি, তিনিই অন্ত, তাঁর তুলনা নাই।

১৪ই মার্চ ২০২০; ২টা

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৫৩৩

আমি নিজে অন্ধ না কি

আমি নিজে অন্ধ না কি

আমার জাতি অন্ধ

আমি আজো বুঝিনি রে

কে ভালো কে মন্দ।

কোরান পড়া মেয়েগুলো

যদি মন্দই হয়

এই সমাজে তবে দাদা

কারে ভালো কয়?

ধর্ষকগুলোই ভালো কিরে

তারাই যখন মন্ত্রী

ধর্ষকগুলো মন্ত্রী হলে

ইমাম ষড়যন্ত্রী।

পতিতারা বুক ফুলিয়ে

সংসদে যে রয়

তারাই তবে এই সমাজে

ভাল মানুষ হয়?

পাতি নেতার ঘরে এখন

বস্তা ভরা টাকা

এই সমাজের মানুষগুলোর

পকেটগুলো ফাঁকা।

চোর ডাকাতে ফুর্তি করে

সাধু জেলে রয়

এই সমাজে চোরই তবে

ভালো মানুষ হয়?

আমি বোকা খোকা নই

এসব কথা কারে কই?

১৪ই মার্চ ২০২০; ৩টা

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৫৩৪

কোরান পড়া মেয়েগুলো

কোরান পড়া মেয়েগুলো

পুলিশ গিয়ে ধরে

পতিতারা হোটেল বারে

মহা ফুর্তি করে।

আইনে আছে ধর্ষণ করা

কোরান পড়া নাই

যে দেশে নাইনটিপার্সেন্ট

মুসলমানের ঠাঁই।

মেয়েগুলো বক্ষ ঢাকার

ওড়না কেন পরে

সেই দুঃখে নেতা কাবু

বেপর্দা আইন করে।

সবই আছে মুসলিম দেশে

ইসলাম শুধু নাই

একটুখানি ইসলাম আমি

কোথায় পাবো ভাই?

১৪ই মার্চ ২০২০; ৬টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৫৩৫

শোনেন কাকা কাকি

শোনেন কাকা কাকি

এমন দেশে থাকি

সাহস হয় না পরাণ খুলে

আল্লাহ আল্লাহ ডাকি।

মা বোনেরা পর্দা করে

ঘরে বসে কোরান পড়ে

বেআইনী এ নাকি?

অবাক লাগে কাকি।

মেয়ে যদি ওড়না পরে

তবে তারে আইনে ধরে

এইটা কেমন দেশ

মেয়ের সাথে বাপের জেনা

সেটাই নাকি বেশ।

হায়রে আজিব দুনিয়া

দেশ কি চালায় মুনিয়া

নাকি আজিব জানোয়ার

বলতে পারিস আনোয়ার?

এই খবিসের বাচ্চাগুলো

দিচ্ছে সবার চোখে ধুলো

বাড়ছে যতো দুর্গতি

বলছে এটাই তোর গতি।

শোনেন কাকা, কাকি

বলতে পারেন রোজ কেয়ামত

কদিন আছে বাকি?

গযবের পর গযব আসছে

খাচ্ছেে মানুষ ঝাঁকি

তবু মানুষ কেমন করে

দিচ্ছে খোদায় ফাঁকি?

১৫ই মার্চ ২০২০; রাত১টা

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৫৩৬

প্রভূ কে বলেছে তুমি নাই

প্রভু,

কে বলেছে তুমি নাই

তুমি আছো সকল ঠাঁই।

অধম আমি যেদিক চাই

তোমায় শুধু দেখতে পাই।

তুমি আছো আকাশ নীলে

তুমি আছো আমার দীলে।

তুমি আছো চলন বিলে।

তুমি আছো তিশি তিলে।

তুমি আছো সাগর জলে

তুমি আছো আকাশ তলে

তুমি আছো ফুল ও ফলে

আপনজনের করকমলে।

তুমি থাকলে ভুবন হয়

তুমি বিহীন ভুবন নয়

তুমি আছো জগতময়

বিশ্বজাহান প্রভুময়।

১৫ই মার্চ ২০২০; ৬টা

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৫৩৭

আবোল তাবোল মনির খান

আবোল তাবোল মনির খান

এই যে ধরেন, পনির খান

আপনি নাকি ফরেন যান?

বলে গেলো সোহাগ চান।

কে কয় আমায় মনির খান

আমার নাম তো মানিক চান

দিতে পারেন খানিক পান

জর্দা ছাড়া যদি পান।

এতো পনির কোথায় পান?

পরকে সাধেন, নিজে খান।

কেমন আছে সোনাভান?

তার কি গেছে অভিমান?

থামেন কাকা মানিক চান

কনতো একি কান্ডখান?

চোখে না হয় কমই দেখি

ভুললো কেমনে আমার কান?

দেন না একটু গানে টান

আবার শুনি আপনার গান।

ওরে আমার সোনার চান

গান কি আর গাই বাজান?

দেয়ালেরও আছে কান

ভুইলা গেছি সুরের টান।

গাইলে পরে দেশের গান

কেউ মেরে কয় জেলে যান।

আদালতে দেয় ফরমান

আমার কি কন দুইটা জান?

গান আমি আর গাইনা।

লাত্থি গুতাও খাই না।

কাউয়া এখন গায় গান

হায় পাপিয়া, হায় জান।

১৫ই মার্চ ২০২০; ১১টা

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৫৩৮

করোনাতে মরছে মানুষ

করোনাতে মরছে মানুষ, মরছে রাজা উজিরে

মরণ এখন কারো কারো ব্যবসাপাতির পুঁজিরে।

আমরা এখন হন্যে হয়ে বাঁচার উপায় খুঁজিরে

ঠেলার নাম যে বাবাজি, এখন সবাই বুুঝিরে।

কোরানটা যে সব মানুষের এটা আগে বুঝি নাই।

অস্ত্র দিয়ে শান্তি খুঁজছি কোরান দিয়ে খুঁজি নাই।

মানুষ মারছি শত শত বিবেকের ধার ধারি নাই

আমরা হলাম পরাশক্তি, লড়াই করে হারি নাই।

সামান্য এক ভাইরাস এসে বিশ্ব করে কুপোকাত

দিনদুপুরে বিশ্ব দেখে এখন গভীর আঁধার রাত।

১৫ই মার্চ ২০২০; ১টা

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৫৩৯

মনের মত লেখা পেলে

মনের মত লেখা পেলে

করছেন শেয়ার যারা

শত সালাম, ভালবাসা

শুভেচ্ছা নিন তারা।

ভালোর সঙ্গে থাকো সবাই

পুষ্প ফুটুক আরো

ভালোটাকে সঙ্গী করো

যে যতটা পারো।

প্রাণের সাথে প্রাণ মিলাও

দাও ছড়িয়ে আলো

তোমার আমার চেঁষ্টা মিলে

এ জগত হোক ভালো।

দুঃখ রাশি নাশী

এসো ভালোবাসি।

১৫ই মার্চ ২০২০; ২টা

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৫৪০

হীরাতে তুই কেমন আছিস

হীরারে তুই কেমন আছিস

অংক পাড়িস কিছু

যদি পারিস তরে দেবো

দিনাজপুরের লিচু।

দেশের লোকের প্রিয় কারা

ধর্ষক নাকি মোল্লা

হীরা বলে, কঠিন প্রশ্ন

কে পায় ভোটে গোল্লা?

যারা প্রিয় তারা জিতে

নেতা তারা হয়

ধর্ষকরাইতো জিতে দাদা

তারাই প্রিয় হয়।

হুজুর হলে ফাঁসিতে দেয়

গুলি করে মারে

কারণ তারা নির্বাচনে

বারে বারে হারে।

তারই মানে, দেশের মানুষ

ইসলাম বেশি চায় না

যত মানুষ পাড়াতে যায়

মসজিদে তা যায় না।

ধর্ষণ করা খারাপ হলে

নেতা কি ভোট পাই তো

নাকি তারা গরম শরবত

রাত বিরাতে খাই তো।

দেশের মানুষ যেমন হয়

নেতা তাদের তেমন হয়।

১৫ই মার্চ ২০২০; ২টা

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৫৪১

আমার লেখা অনেক ভালো

আমার লেখা অনেক ভালো

এমন লেখা হয় না

কেউ তো সেটা বলেই ফেলে

অনেকে তা কয় ন।

আমি জানি আমার লেখা

তুলনা তার হয় না

কেউ বলে না ঈর্ষা করে

কেউ বুঝে না, কয় না।

নিজের ছেলে মায়ের কাছে

যেমন রাজার পুত্তুর

আমার লেখা তেমন ভালো

বউ বলুক না, ধুত্তুর।

নিজের লেখা নিয়ে সবার

এ রকমই ভাবনা

থাকুন তিনি কোলকাতাতে

কিম্বা থাকুন পাবনা।

লেখক মানে তিনিই রাজা

লেখা তাহার কন্যা

যতো দেখেন ততোই তার

বাড়ে খুশির বন্যা।

আমার লেখা আমার কাছে

সপ্ত রাজার ধন

আপনি যতোই সে লেখাকে

কালো বামন কন।

আমার লেখায় যতোই থাকুক

ছন্দ মাত্রায় ভুল

আপনার কাছে আমার লেখা

হোক না ঘাসের ফুল।

নিজের লেখা আসুন আমরা

সবাই ভালবাসি

যে যা বলার বলুক লোকে

আমি তবু হাসি।

১৫ই মার্চ ২০২০; ৯টা

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৫৪২

দেশটা এখন কেস্টা বেটার

দেশটা এখন কেস্টা বেটার

শেষটা কি যে হয়

কেস্টা বেটার চেষ্টা দেখে

মনের ভেতর ভয়।

অ আমার মনে বড় ভয়।

করোনাতে বিশ্বভুবন

যখন শুনি কাত

আকাশ পানে মজলুমানে

যখন তোলে হাত।

আমার দেশের নেতা তখন

বুক ফুলিয়ে কয়

জননেত্রী থাকলে পাশে

নাই করোনার ভয়।

অমা, একি কয়!

করোনাতো বড় খারাপ

থাকে এসি ঘরে

গরীব রেখে বেশি বেশি

বড়লোকে ধরে।

দেশে দেশে রাজা উজির

এমপি কুপোকাত

আমার দেশে মন্ত্রী তখন

দেখায় খুশির দাঁত।

হাতি ঘোড়া পরাশক্তি

যখন গেল তল

আমার দেশে মন্ত্রীগুলো

দেখায় বাহুবল।

এই দেমাগের কোথায় শেষ

বলতে পারো বাংলাদেশ?

১৬ই মার্চ ২০২০; ১টা

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৫৪৩

দূঃখে পরাণ ফেটে যায়

দুঃখে পরাণ ফেটে যায়

স্মৃতি রোজই হেঁটে যায়।

কেমনে বলি বাপের রক্ত

সন্তান নিজে চেটে খায়।

বুকের ভেতর দুঃখ অথৈ

এ দুঃখ না সওন যায়

নিজের মনের দুঃখ ব্যথা

কাউকে খুলে কওন যায়!

গোলাম আযম মরলে দেশে

লক্ষ লোক হয় জানাযায়

আমার বাপে মরলে দেশে

গরু মাঠে ঘাসও খায়।

কারে কি আর কমু

কত দুঃখ সমু।

ভাবলাম একটা শ্রাদ্ধ দেই

জাঁকজমকের সঙ্গে

বিশ্বনেতা আসুক খেতে

এই গরীবের বঙ্গে।

কিন্তু কপাল মন্দ।

কি যে ভাইরাস এলো বিশ্বে

রাস্তাঘাট সব বন্ধ।

ইচ্ছে হলে মারতে পারি

মানুষ আমি ফাঁসিতে

কিন্তু আমার কপাল দাদা

পারি নাতো নাশিতে।

ভাগ্যের লেখা যায় না খন্ডন

মন না চাইলেও মানতে হয়।

বাঁচতে হলে নিজের মনে

খোদা ভীতি আনতে হয়।

১৬ই মার্চ ২০২০; ৫টা

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৫৪৪

বন্ধুরা তো ভালই কয়

বন্ধুরা তো ভালই কয়

প্রকাশক তা কয় না

তার মানেকি সত্যি সত্যি

লেখা ভালো হয় না!

বন্ধুরা সব তেল দেয়

স্বৈরাচারে জেল দেয়।

আমার লেখা পড়ে তবু

হাসে পাড়ার ময়না।

পরী শুধু চোখ পাকায়

মুখে কিছু কয় না।

পাঠকরাও ভালোই কয়

ভক্ত কবির গায়ও জয়।

আসল কথা রবি, নজরুল

বছর বছর হয় না

ঝড় না এলে জোরে বাতাস

সারা বছর বয় না।

কবি যখন আদর পায়

তখন সুখের চাদর খায়।

১৬ই মার্চ ২০২০; ১০টা

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৫৪৫

মুজিববর্ষ

সবখানে সব কইতে নাই

সকল কথাই বইতে নাই।

দুঃখ ঢেকে রাখতে হয়

স্মৃতি খুলে চাখতে হয়।

বাবা যখন মারা গেল

কারা মারলো জানিস?

সেই কথাটা স্মৃতি নেড়ে

একটু মনে আনিস।

দুঃখ কি আর কমু বল

কারা বাবার ঘাতক দল

সেইটা জানে বিশ্বজন

আমার শুধু কান্দে মন।

বাবার চাকর রাত্রে এসে

বাবার বুকে ঠেকায় নল।

ওরাই খায় বাবার ভাতা

এ দুঃখ কই রাখি বল?

আমার দুঃখের সীমা নাই

দুঃখের কোন বীমা নাই।

তেলাপোকা কপাল খায়

এসব কথা বলা যায়!

বাবার যারা ইয়ার দোস্ত

নতুন করে হাট বসায়।

সবখানে সব কইতে নাই

সকল দুঃখ লইতে নাই।

১৭ই মার্চ ২০২০; ৪টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৫৪৬

আমার লেখা বলবে তুমি 

আমার লেখা বলবে আমি মানুষ নাকি পশু

আমার লেখা বলবে আমি নজরুল নাকি নসু।

আমার লেখা তুলবে ধরে আমার পরিচয়

আমি আস্ত শয়তান নাকি মনে খোদার ভয়।

মুখোশ পরে কাক কখনো হয়না কোকিল ভাই

মানুষ কিনা তার পরিচয় ব্যাবহারেই চাই।

হিংসা বিদ্বেষ অহংকারের ফেরি যারা করে

অবশেষে তারাও দেখিস অপঘাতেই মরে।

লেখায় পাবে শিক্ষা এবং বংশের পরিচয়

মরে গিয়েও সিরাজই পায় ভালবাসার জয়।

ঘৃণা কুড়ায় মীরজাফররা আপন কর্মদোষে

প্রেমিক ধরায় প্রেমই ছড়ায় প্রেমভাব মনে পোষে।

তোমার লেখায় তুমি থাকো আমার লেখায় আমি

আখেরে কে যাবেন টিকে, জানেন অন্তর্যামী।

লেখা নিয়ে গর্ব করার, নিজের কিছু নাইরে

সবই খোদার দান মহিমা, তাঁর রহমে পাইরে।

১৭ই মার্চ ২০২০; ৫টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৫৪৭

করোনা

না না দাদা, নড়ো না।

আইছে ভাইরাস, করোনা

ছোট্ট অতি, বড়ো না।

তারে ডেকে মরো না।

না না দাদা, নড়ো না।

বিমানে আর চড়ো না।

রঙিন ধোঁকায় পড়ো না

না না দাদা, সরো না।

তোমার সকল জ্ঞান গরিমা

বিদ্ধা বুদ্ধি ফেল

লাভ হবে না গুরুর পায়ে

মাখলে দু মন তেল।

কোটি টাকার গোলা বারুদ

অস্ত্র রাশি রাশি

পড়ে রইলো অকেজো সব,

লোহার চরণ দাসী।

বাঁচার উপায় একটাই প্রভুর

অর্জন করো করুণা

পাপের রাস্তা ছেড়ে দিয়ে

পূণ্যের পথটা ধরো না।

১৭ই মার্চ ২০২০; ৯টা

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৫৪৮

মোমের শহর

মেঘ বলেছে যাবি নাকি, মেঘপরীদের দেশে

আদর করে নিয়ে যাবো, তেপান্তরের শেষে।

দেখবি সেথায় পরীর নগর

ঝলসানো সে মোমের শহর

সবাই সটান দাঁড়িয়ে আছে মোমপুতুলী বেশে।

মোমের শহর, মোমের নগর, মোমের বাড়ি ঘর

সেই শহরে মোমের মানুষ, মোমের নারী নর।

বৃক্ষ আছে সারি সারি

মোমের রাস্তা মোমের গাড়ি

কিন্তু যেন কেউ কারো নয়, সবাই ভিন্ন, পর।

শহর নগর সবই আছে, প্রাণ সেখানে নাই

খোদার গযব একনিমিষে সব করেছে ছাই।

তুমি যদি দাওরে ছুঁয়ে

আলতো করে একটু নুয়ে

আসবে ফিরে প্রাণের পরশ, জাগবে পরী, ভাই।

বৃক্ষগুলো সবুজ হবে, হাসবে আরো মায়ের মন

পাখির ডাকে উঠবে জেগে সবুজ কচি সারা বন।

ফুল বাগানের প্রজাপতি

করবে আবার মাতামাতি

প্রভুর গানেই মুখর হবে আবার সবাই সারাক্ষণ।

মেঘপরীদের ডাকে আবার, ভাঙবে তোমার ঘুম

তোমার ছোঁয়ায় উঠবে জেগে প্রকৃতি নিঝঝুম।

প্রাণে প্রাণে জাগবে সাড়া

উঠবে জেগে ঘুমের পাড়া

ফুলকলিরা আবার দিবে চাঁদের মুখে রাঙা চুম।

১৭ই মার্চ ২০২০; ৫টা

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৫৪৯

জন্ম দিলে তুমিই প্রভু

জন্ম দিলে তুমিই প্রভু, মরণ তোমার হাতে

ভয় কি সহায় থাকলে তুমি গভীর আঁধার রাতে।

সরল সঠিক পূণ্য পথে চলতে যেন পারি

আমার ওপর ঢেলো প্রভু তোমার রহম বারি

আমার আমল আমায় যেন নেয় না অধপাতে।

বিপদ বাঁধা ভয় গো প্রভু তোমার হাতে বাঁধা

কেউ ধরায় নয় বড়-ছোট, গরীব-শাহাজাদা।

তোমার কাছে বেঈনসাফির নাইরে প্রভু ভয়

তাইতো তোমার বিধান প্রভু, বিশ্ব শান্তিময়।

যে বিধানটা দিলে প্রভু তোমার নবীর হাতে।

এ বিধানেই জগত চলে, আকাশ, সাগর, নদী

এই বিধানেই বাতাস বয়রে এ ধরায় নিরবধি।

যারা মানবে তোমার বিধান শান্তি পাবে তারা

আকাশ থেকে বৃষ্টির মতো নামবে শান্তিধারা।

এ বিধানের পায়েশ ঢেলে দাও না সবার পাতে।

ন্যায় ইনসাফের শাসন যদি আবার ধরায় হয়

তবেই মানুষ ফিরে পাবে, মানবতার সে জয়।

১৮ই মার্চ ২০২০; ১টা

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৫৫০

বিশ্বে এলো করোনা

বিশ্বে এলো করোনা

মরতে চাইলে মরো না।

নইলে এটাই শেষ সুযোগ

কোরান খুলে পড়ো না

আল্লাহর হুকুম ফরজ কাজ

রোজা সবাই করো না।

নামাজ জলদি ধরো না

যতোই বলি এসব করো

অনেকেই তা করো না

কেমনে যাবে করোনা?

বন্ধ করো হোটেল বার

পতিতাদের খোলা দ্বার

নয় পাবে না এবার পার

আসছে গযব, শক্ত মার।

ছাড়ো সবাই সূর্য স্নান

বারের সকল নগ্ন গান

অশ্লীলতা, চিটিংবাজি

ছাড়ো সবে ধোঁকাবাজি

নয় যাবে না করোনা

পাপ করাটা বড়ো না।

তওবা করো, তওবা করো

পুতপবিত্র জীবন গড়ো

হারাম ছেড়ে হালাল ধরো

নয় বিপদে পড়বে আরো।

জীবন ভরে করছো পাপ

কেমন লাগে পাপের তাপ?

পাপের কোন মাপ নাই

করোনারও বাপ নাই।

১৮ই মার্চ ২০২০; ১টা

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৫৫১

বাদাম বুড়ি

বাদাম বুড়ি বাদাম বুড়ি

বয়স কি তোর উনিশ কুঁড়ি?

টোকাস কি তুই পাথরনুড়ি

আজো উড়াস হৃদয় ঘুড়ি?

হৃদয় ঘুড়ি কোথায় যায়

সেকি শুধুই বাদাম খায়?

নাকি খায় সে বেতের ফল

অভিমানের কান্নার জল?

বাদাম বুড়ি বাদাম বুড়ি

কয়টা নিবি কাঁচের চুড়ি?

খেলবি নাকি ডালিমকুঁড়ি

হবি কি তুই রাইয়ান হুরী?

বাদাম বুড়ি, বাদাম বুড়ি

তোর বাড়ি কি সোনাইমুড়ি?

হাতে কি তোর? সাপের ঝুড়ি?

রোজ খেতে চাস ডালের পুরি?

ডালের পুরি কম খাও

ভাতের বদল গম খাও।

১৮ই মার্চ ২০২০; ২ টা।

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৫৫২

ভয় করো না করোনাকে

ভয় করো না করোনাকে

ভয় করো তাঁর মালিককে

ভয় করো না বোমা বারুদ

ভয় করো তাঁর খালিককে।

তিনি বলেন, মদ্য হারাম

তুমি আস্ত বোতল খাও

নেশার ঘোরে মন থাকে না

নিশি রাইতে কোথায় যাও।

তোমার ঘরে পাপিয়া

কি হইবে পাপ মাপিয়া।

করোনা তো নিজের ইচ্ছায়

যায় না শ্বশুর বাড়ি

বন্ধুর বাড়ি যাইতে তাহার

লাগে না প্লেন, গাড়ি।

যাঁর হুকুমে জগত চলে

তাঁর হুকুমে হাঁটে

যখন তখন যাইতে পারে

তোমার নরম খাটে।

দলে দলে তওবা করো

নামাজ কালাম রোযা করো।

১৮ই মার্চ ২০২০; ২ টা।

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৫৫৩

করোনাতঙ্কে কাঁপছে যখন

করোনাতঙ্কে কাঁপছে যখন

দেশ মহাদেশ বিশ্ব

এমন সময় তাকিয়ে দেখো

নিজের দেশের দৃশ্য।

করোনাতঙ্ক যখন শোয়া

হাসপাতালের খাটে।

আমোদফূর্তি আতশবাজি

উল্লাসে কে ফাটে।

বিশ্ব বলে, প্রভু বাঁচাও

আর করবো না পাপ

তখন শুনি বর্ষ শুরুর

ঢোলক বাজে বাপ।

জলসা ঘরে বাদ্য বাজে

নোলক পরে কন্যা

দেশে নাকি বইয়ে দেবে

নগ্ন সুখের বন্যা।

করোনাতে মরছে মানুষ

কাঁপছে সারা বিশ্ব

এমন সময় ফুর্তি করছে

কার সে বলো শিষ্য?

নিচ্ছে হাসি, দিচ্ছে ফাঁসি

বাড়ছে দেশে পাপ

কে যে বলো নিবে এসব

পাপের অভিশাপ!

১৮ই মার্চ ২০২০; ৫টা 

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৫৫৪

আমার দুঃখের সীমা নাই

আমার দুঃখের সীমা নাই

হাড্ডি আছে কীমা নাই।

তাঁবু কিম্বা খীমা নাই

দুঃখের কোন বীমা নাই।

সন্তান মারলো পিতাকে

এ জগতে মিতা কে?

জল্লাদ পরাণ কাড়লো না

সন্তান বাপকে ছাড়লো না।

সবার পিতা, নাতির না

বাঘ ভাল্লুক হাতির না

জানাযাতে মানুষ নাই

তাইতো মনে ব্যথা পাই।

দেশের দশের পিতা সে

নয়তো চুলের ফিতা সে

কোটি কোটি ছেলে তাঁর

লাশটা গেল ফেলে তাঁর?

ভাগ্য এতো খারাপ তাঁর

পায়নি দেখা জনতার।

আসলো শতবর্ষ

তাও এলো না হর্ষ।

যেই করেছি ঘোষণা

মন্দের হলো সূচনা।

চীনে এলো ভাইরাস

হেরে গেল সাইরাস।

কে যে করলো ফন্দি

ঘরে হলাম বন্দী।

মেহমান তো কেউ এলো না

রান্না খাবার খেলো না

বিশ্বে এলো করোনা

বললো, ধোকায় পড়ো না।

সব ক্ষমতাই তাঁর

তুমি আমি যাঁর।

১৮ই মার্চ ২০২০; ৮টা

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৫৫৫

স্কুল কলেজ বন্ধ থাকবে

স্কুল কলেজ বন্ধ থাকবে

সিনেমা হল খোলা

মাদ্রাসাতে তাস পেটাবে

পাড়ার সকল পোলা।

মসজিদে ভিড় করবেন না

নামাজ পড়ার ছলে

যদিও ভাই দিবস রাতে

জুয়ার আসর চলে।

গার্মেন্টস চলবে সারাদিন

মাস্কের কাপড় দরকার

কেনো ভাবো মাস্ক বানাবে

গণতন্ত্রের সরকার?

ওসব চিন্তা বাদ দেন

বর্ষের কাজে হাত দেন।

মিলাদ পড়েন মিল্লা

জিলাপি খান গিল্লা।

জুম্মার নামাজ পড়বেন না

মসজিদের পথ ধরবেন না।

যারা যারা তাবলিগ করেন

ছাড়েন এবার চিল্লা

নাইটক্লাবে ডিসকো নাচেন

নারী পুরুষ মিল্লা।

এসব যদি আইন হয়

মনে রাখবেন করোনাও

মাটির তলের মাইন হয়।

১৯শে মার্চ ২০২০; ৪টা

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৫৫৬

এবার একটু হাসি থামান

এবার একটু হাসি থামান

সর্দি এবং কাশি থামান

জপুন প্রভুর নাম

ঢের হয়েছে ফাহেশা কাজ

ছাড়েন মন্দ কাম।

পাপের ভারে ডুবছে শহর

ডুবছে কত গ্রাম

মরছে মানুষ করোনাতে

ডুবছে ধরাধাম।

মহামারী বিশ্ব জুড়ে

বিশ্ব জুড়ে পাপ

একের পর এক আসছে গযব

করুন অনুতাপ।

পাপী বান্দা তবু

রহম করো প্রভু।

১৯শে মার্চ ২০২০; সাড়ে ৪টা

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৫৫৭

সহজ কথা সহজ করে

সহজ কথা সহজ করে

কইতে কেনো পারি না

দোয়া করেন সবাই তবু

রণে যেনো হারি না।

লেখা পড়ে মানব যেনো

মানুষ হতে পারে

মনের যতো মন্দ চিন্তা

টিপে যেনো মারে।

হতে পারে উদার, মহত

হোক না বড় আরো সে

সাত আসমান পার হয়ে

যাক না ওড়ে আরশে।

মানুষ যেনো মানুষ হয়

দোয়া করো সকলে

সভ্যতা ফের উঠুক বেঁচে

মানবতার ধকলে।

১৯শে মার্চ ২০২০; ৫টা

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৫৫৮

করোনা ও পঙ্গপালে

করোনা ও পঙ্গপালে

আসলো ধেয়ে মিল্লা

পাপের ধরা ওরা যেনো

খেয়ে ফেলবে গিল্লা।

যাত্রা করো থানায় থানায়

ফুর্তি করো কাণায় কাণায়।

আমড়াগুলো খেয়ে ফেলো

গায়ের চামড়া ছিল্লা

সুইমিংপুলে গোসল করো

বউ শ্বশুরে মিল্লা।

মহামারী কারে যে কয়

বুঝতে যদি পারতে

তবে কিরে লজ্জা শরম

গলা টিপে মারতে।

করোনা নয় বাঙাল পুলিশ

ঘুষ খাইতে জানে না

এমন কি সে ছোট বড়ো

রাজা উজির মানে না।

করোনা ও পঙ্গপাল

দুজনেই যে বেসামাল।

১৯শে মার্চ ২০২০; ৬টা

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৫৫৯

পাপে পাপে যখন ভরে দুনিয়া জাহান

পাপে পাপে যখন ভরে দুনিয়া জাহান

মানুষে নয়, বিশ্ব চালায় পাপিষ্ঠ শয়তান

তখনইতো গযব পাঠান দয়াল সোবহান

তওবা করো তওবা করো, ওহে নাফরমান

বাঁচাও ধরা, বাঁচাও জগত, বিধস্ত ইনসান।

ফুল পাখি আর শস্যদানা কম কি ছিল কিছু

তবে কেন অধমরে তুই, ছুটলি পাপের পিছু।

কী কারণে পরের ধনে, দিলিরে তুই হানা

যে কারণে দুনিয়াতেই হইলি গযব পানা।

তোর কাছে কি ছিল নারে কোরানের বিধান।

তবে কেনো পাপের পথেই গেলিরে ইনসান?

সব ক্ষমতার উৎস যদি এই জনগণ হয়

তবে কেনো মনের কষ্ট ধরায় বেঁচে রয়?

কেন মানুষ জালিম হয়, হয়রে স্বৈরাচার

বান্দার এমন কষ্টে আমি করবোনা বিচার?

রাখবো না তার বাঁচার তরে কোনই বিধান?

তাই এ ধরায় পাঠিয়ে দিলাম পবিত্র কোরান।

তওবা করো, তওবা করো, রহম যদি চাও

এখনও যে সময় আছে চোখের পানি দাও।

দুহাত তুলে তওবা করো, ওহে নাফরমান

আর যেয়ো না পাপের পথে সুপ্রিয় ইনসান।

দেখবে তুমি তোমার প্রভু, রহীম রহমান

দেখবে তুমি জগত স্রষ্টা কতো যে মহান।

১৯শে মার্চ ২০২০; ৩টা

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৫৬০

বিশ্ব যখন বন করেছে

বিশ্ব যখন বন করেছে

সকল আয়োজন

তখন তোমার শখ চেপেছে

করবে নির্বাচন।

স্কুল কলেজ মাদ্রাসা বন,

সমাবেশ সব মানা

ওয়াজ মাফিল বন হয়েছে

বন বিবাহের খানা।

এমন সময় তামশা করার

খুবই প্রয়োজন?

মানুষ মরার মিছিল দেখে

খোশ হয়েছে মন?

শোনেন কমিশন

মন খুলে সব কন

কি কারণে লাশের জন্য

এত আয়োজন?

এতো এতো তামশা করেও

মার খাননি তাই

ভাবেন নাকি দেশে এখন

জেতা মানুষ নাই?

ইভিএমের খেল দেখালেন

দেখলাম ভোটের খেল

সেকি আজব খেলা দাদা

পিসি সরকার ফেল

১৯শে মার্চ ২০২০; ৮টা

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৫৬১

অন্যায় যে কর আর

অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সয়

দু'জনেই এক সাথে অপরাধী হয়।

এই কথা সকলের জানা আছে, জানি

দোষী হয় জনগণ, পাপ করে রানী।

সেই পাপে আসে যদি গযবের ঢেউ

দুজনেই ডুবে মরে, বাঁচে নাতো কেউ।

সাধুজন, তুমি ভাবো, তুমি নির্দোষ

রুখো নাই পাপ তাই পাও ভাগে রোষ।

পাপ দেখে যেই জাতি চুপ থাকে ভাই

দুর্যোগ তার কাছেও ঠিক আসে ভাই।

কষ্টের নোনাজলে পাপী যদি কাতরায়

সয়ে যাওয়া জাতি তার সাথে সাঁতরায়।

পাপ করা ছাড়ি আগে, তারপর রুখী

তবেই সে জাতি হয় এক সাথে সুখী।

১৯শে মার্চ ২০২০; ১০টা

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৫৬২

কেউবা শুয়ে আরাম করো

কেউবা শুয়ে আরাম করো

কেউবা বসে নামাজ পড়ো

শয়তান যখন মন্দ করে

তার হাত চেপে কে কে ধরো?

তুমি মন্দ করো না

শয়তানকেও ধরো না

শয়তান ধরার সময় নাই।

তাতে কি পাপ কমে ভাই?

পাপী করছে পাপের কাজ

আমি তো পাপ করি নাই।

আমি নিরেট ভালো মানুষ

কারো সঙ্গে লড়ি নাই।

এমন ভালোর কাম নাই

মরা ভালোর দাম নাই।

২০শে মার্চ ২০২০; ৫টা

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৫৬৩

বিষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর

বিষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর

ভিজে সারা দুনিয়া

কে করেনি পাপের কাজ

কে দেখে তা গুনিয়া?

এলে তুফান, এলে ঝড়

রেহাই পায় না সাধুর চর

মন্দির ভাঙে, ভাঙে ঘর

কষ্টে পড়ে নারী নর।

সবাই ঝড়ের ঝাপটা খাই

মোল্লা পুরুত রেহাই নাই।

তাইতো বলি শোনরে বাপ

সবাই থামা দেশের পাপ।

যদি ছুটে পাপের বান

সঙ্গে আসে ঝড় তুফান।

মাথায় যদি পচন ধরে

ব্যক্তির সাথে জাতি মরে।

২০শে মার্চ ২০২০; ৬টা

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৫৬৪

মামা-ভাগ্নের আলাপ

বড় লেখা পইড়েন না

ছড়া পড়ে মইরেন না

খালি গায়ে কই যাস হীরা

তোর কি কোন নিমা নাই?

ছিল মামা, যখন দেখলাম

চিন্তার কোন সীমা নাই।

চিন্তা আছে ভুরি ভুরি

কিন্তু চিন্তার বীমা নাই

চিন্তা রাখবো বিজন চরে

কিন্তু চরে খীমা নাই।

তারপর, তারপর?

চরে কোন খীমা নাই

খাইতে দিমু কিমা নাই।

তারপর?

মানুষ এমন বিচিত্র জাত

তারে নাহি চেনা যায়

সঙ্গে থাকে আজব মন

জানি না সে কই পালায়।

এই দেখি সে গুলিস্তান

কেমনে যায় সে আমাজান

আসমানের চাঁদ পুকুরে

কোনটা বলি খুকুরে?

মামা পেপার পড়ো না!

এই যে এলো করোনা

কী যে ঘটলো ধরাধাম

মাথায় ওঠে পায়ের ঘাম।

সমাজতান্ত্রিক চীনে মামা

বন্ধ মসজিদ খোলা হয়

দলে দলে চায়নিজগুলো

নতুন মুসলিম পোলা হয়।

চলে কোরান তেলাওয়াত

চব্বিশ ঘন্টা রাশিয়ায়

মুসলিম দেশে মুসলমানে

তখনো তো ফাঁসি পায়।

মুসলমানে বন্ধ করে

মক্কাতে পাক কাবাঘর

মুসলিম দেশে জামাত বন্ধ

ঘরে গিয়ে নামাজ পর।

মক্কার খাদেম কাবা রেখে

হালাল ক্লাবে খেতে যায়

ইরানীরা বিদেশ গেলে

বার বার মুতা বিয়া চায়।

কত কিছু ঘটছে মামা

আজব অবাক দুনিয়ায়

ভাবছি আমি করোনা কি

এমনি আসে এমনি যায়!

রেড এলার্টে চলছে ধরা

বলছে প্রভু মাফ করো

আমার দেশের মুরুব্বী কয়

ক্যান পাপিয়ার পাপ ধরো।

পাপিয়া ও সম্রাটেরা

দোষ তো কিছু করে নাই

যারা নাকি দেশ বাঁচাবে

তারা নাকি মরে নাই।

ভাবছি গযব কাদের পাওনা

মুসলিম নাকি অন্যদের?

নাকি জলের মৎস্য, কুমীর

পশু, পাখি, বন্যদের।

সেলাম সেলাম সেলাম

মামা-ভাগ্নে গেলাম।

যে যার পারে ছিড়ুক কেশ

ভাল থাকুক বাংলাদেশ।

২০শে মার্চ ২০২০; ১১টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৫৬৫

করোনাটা যেই এসেছে

করোনাটা যেই এসেছে

অবরুদ্ধ চীনে

বুঝলো ওরা ভুলটা কোথায়

আসলো ফিরে দ্বীনে।

খুলে দিল মসজিদ ঘরের

সকল পুরাণ তালা

বললো প্রভু মাফ করে দাও

সরাও বিপদ বালা।

উইঘুরের সে বন্দীখানায়

জ্বললো আবার আলো

বললো প্রভু আর নেবোনা

গায়ে পাপের কালো।

তওবা করলাম, প্রভু তুমি

দাও না করে মাফ

দুষিত এ হৃদয়গুলো

দাও না করে সাফ।

রহম হলো প্রভুর, তাই

বেঁচে গেল চীন

করোনাকে তাড়িয়ে দিল

আল্লার খালেস দ্বীন।

২১শে মার্চ ২০২০; ১টা

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৫৬৬

আদম বড় আদরের ধন

আদম বড় আদরের ধন, মাখলুকাতে সেরা

প্রভুর দয়ায় বাঁচে মানুষ, করে চলাফেরা।

কোন কিছু চাইতে হলে, প্রভুর কাছে চায়

শোনেনা সে প্রভুর বারণ, হারাম ঠিকই খায়।

প্রভুর হুকুম সারা জীবন করে অবহেলা

ভাবে নিজের এ জীবন, শুধু মজার খেলা।

খোদার হুকুম মানে না সে, ইচ্ছে মত চলে

কিন্তু তার মনের কথা, কাউকে কি সে বলে?

মুখের সাথে মনের কথার রাখে না সে মিল

নিষ্ঠুরতায় সেরা মানুষ, কঠিন যে তার দীল।

ভালবাসার ভাব দেখায়, বলে প্রেমিক আমি

কতটুকু প্রেমিক কে যে, জানেন অন্তর্যামী।

নামাজ রোযা করে যারা তারাও দেয় ফাঁকি

চোরা যায় চুরি করতে, আল্লা আল্লা ডাকি।

আগে মানুষ শপথ করো, ঈমান করো ঠিক

দ্বীনের আলোয় উঠুক ভরে তোমার চতুর্দিক।

২১শে মার্চ ২০২০; ৫টা

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৫৬৭

করোনাটা বড়ো নাকি

করোনাটা বড়ো নাকি

নির্বাচনটা বড়ো

মরতে যদি হয়ই তবে

ভোটটা দিয়ে মরো।

ফর্মুলাটা মন্দ না

বলছে হেসে চন্দনা

লড়তে যদি হয়ই তবে

ভোটের সাথে লড়ো।

ভোট না দেয়ার দুঃখ তখন

কারো মনে থাকবে না

জয়ের জন্য যদিও আমার

কোন ভোটই লাগবে না।

তবু দাদা গণতন্ত্রের

নিয়ম একটা আছে না

হেঁটে আসবা ভোট দিতে

গাড়ি কিম্বা বাসে না।

২১শে মার্চ ২০২০; ৮টা

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৫৬৮

আল্লাহু আকবার বলো

আল্লাহু আকবার বলো আল্লাহু আকবার

বিশ্ববাসী দেখলো আবার ক্ষমতা আল্লার।

বলো, আল্লাহু আকবার।

স্পেনে যে উঠলো জেগে ইসলাম পুনর্বার।

ঘরে ঘরে উঠলো ধ্বনি আল্লাহু আকবার।

তার পেছনে কারণ কিন্তু গযব করোনার।

বলো, আল্লাহু আকবার।

লাখে লাখে মারছে মানুষ রানী ইসাবেলা

রক্ত নিয়ে খেলছে ওরা নিঠুর হোলি খেলা।

আটশ বছর স্পেন জুড়ে ইসলাম রেখে বন্দী

মহান আল্লাহর হতে গেল, তারা প্রতিদ্বন্দ্বী।

যখন বুঝলো ভুল করেছে, ওরা গোনাহগার।

তখন ওদের ভাগ্যে এলো ছোবল করোনার

বলো, আল্লাহু আকবার।

যুগে যুগে আসছে গযব, আসতে পারে আরো

গযবটাকে মোকাবেলার সাধ্য নাইতো কারো।

আল্লাহরই নাম জপতে খাকো সবাই বারংবার।

বলো, আল্লাহু আকবার।

২১শে মার্চ ২০২০; ২টা

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৫৬৯

বিম্পি জামাত এত্তো খারাপ

বিম্পি জামাত এত্তো খারাপ

আগে দাদা বুঝি নাই

কোনদিনই ওদের দোষ তো

চশমা পরে খুঁজি নাই।

যেই পড়েছি চশমা দাদা

দেখি দোষের অন্ত নাই

একের বদল পা দুইটা

কিন্তু পায়ে দন্ত নাই।

এই করোনার পিছে দাদা

ওদের শক্ত হাত আছে

নইলে কেন ওদের ফাইলে

করোনারও খাত আছে।

বিদেশ থেকে আসছে যারা

গিয়ে দেখো জামাত ভাই

মুজিববর্ষ ভন্ডুল করার

ন্যাক্কারজনক আঘাত ভাই।

আগে এটা সামাল দেই

দেখবো পরে করোনা

মরতে দাদা হবেই যখন

করোনাতেই মরো না।

২১শে মার্চ ২০২০; ১১টা

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৫৭০

করোনার ভয় নাই

বিশ্ব কাঁপছে করোনা ভয়ে, সবই দাদা তামাশা

মন্ত্রী বলে আবোল তাবোল? তার হয়েছে আমাশা।

মরছে মানুষ দলে দলে, হাসপাতালে জাগা নাই

কে পড়াবে জানাযা কার, খবর কারো জানা নাই।

আজব একটা দেশ।

চেপে ধরার আগেই নাকি রোগের ঔষধ শেষ।

ডাক্তার নার্সতো চোরের দল, তাই সরঞ্জাম নাই

ইচ্ছে করে নার্স, ডাক্তার ফাঁসিতে লটকাই।

চারশো কোটি টাকায় যদি বাবার শ্রাদ্ধ হয়

সামান্য এক করোনাতে কিসের তবে ভয়।

ভয়ের কিছু নাইরে দাদা, রসুন বেঁটে খা।

সবাই মরবে, ভয় পাবি না, এবার বাড়ি যা।

মরতে হলে মরবি।

তাই বলে কি করোনা-ভয়ে হাঁটু চেপে ধরবি?

২১শে মার্চ ২০২০; ৭টা

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৫৭১

পঁচা কথা কইতে মন চায়?

পঁচা কথা কইতে মন চায়?

একা একা কও

তোমার কথার সঙ্গে কেন

দেশবাসীরে লও।

তুমি লুইচ্চা, শরম নাই

এটা বলার দরকার কি

ছবি দেখেই বুঝতে পারি

কে কারে দেয় ক মণ ঘি।

বিব্রত না তুমি বুঝলাম

আমি শুনে বিব্রত হই

দেশের যারা মন্ত্রী এমপি

কেমনে তাদের বদমাশ কই?

মন্ত্রী হয়ে এসব কথা

কারো কাছে কইতে হয়?

চাপা থাকলেই চাপাবাজের

তকমা কারো লইতে হয়?

পাপিয়াদের গোপিনীরা

কোন কোন বনে থাকে

কখন কারে কেমন করে

সেই বনে কু ডাকে।

এসব কথা কইতে নাই

পাবলিক শুনে শরম পায়

আপনারা যে মন্ত্রী তাই

পিছে পিছে পাবলিক যায়।

পাবলিক নষ্ট কইরেন না

বেশি বেশি লইড়েন না।

২২শে মার্চ ২০২০; ২টা

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৫৭২

তোমরা করো পালন দাদা

তোমরা করো পালন দাদা

জন্মশত বার্ষিকী

সঙ্গে করো ভাগের ঝগড়া

কার আধা, কার সিকি।

ভয়ের ওপর ভয় দেখাচ্ছো

আতশবাজির তান্ডবে

মনে হয় এ দেশটি ভাগ

করছে পঞ্চপান্ডবে।

আতঙ্কে আজ বিশ্ববাসী

চাচ্ছে প্রভুর মমতা

তুমি দেখাও বাহুর জোর

শক্তি, সাহস, ক্ষমতা।

ভাবছি একোন দেশে দাদা

বাস করছি আমরা

গন্ডারের চে মোটা নাকি

এ মন্ত্রীদের চামড়া।

করোনা তো আছেই দাদা

মরছে মানুষ ভীতিতে

সরকারে চায় বাইইলেকশন,

নির্বাচনে জিতিতে।

ভোটারও নাই, ভোটও নাই

তবু বিজয় হবে

বিজয় মিছিল করবে যারা

জয়বাংলাও কবে।

২২শে মার্চ ২০২০; ৩টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৫৭৩

চাপাবাজি ঢের হয়েছে

এবার ওসব ছাড়েন

পাবলিক জানে আপনারা যে

কে কি করতে পারেন।

চোরের মায়ের বড় গলা

এটা সবাই জানে

রোগ নির্নয়ের একটা মেশিন

এ বলার কি মানে?

কজন আসে বিদেশ থেকে

কে কে সেটা জানেন না

প্যাসেঞ্জারের লিস্টি দেখে

তালিকাটা আনেন না।

পাঁচ টাকাতে 'করোনা নাই'

সার্টিফিকেট ছাড়েন

মহামারী আটকে দেয়ার

গপ্পো তবু মারেন।

লীগের পোলা একাই নাকি

করোনারে ঠেকাবে

আমরা তো তার আগেই নাই,

কারে ওসব দেখাবে?

২২শে মার্চ ২০২০; ৩টা

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৫৭৪

মাফ করে দে নানী

মাফ করে দে নানী।

পুরান কথা মনে হলে

চোখে আসে পানি।

আমি তখন ছোট

থাকি মায়ের ঠোঁট।

হাসতে পারি, খেলতে পারি

মেলতে পারি পাখা

মা চিবাতো শুকনো রুটি

আমার খানা ঢাকা।

ঢাকনা খুলে দেখতে পাই

তরকারি বা ডালও নাই

ভাতের ওপর শুধু একটা

কাঁচা মরিচ রাখা।

খেলতে যাবো বাইরে আমি

মা বলতো, না, যাইস না

বাইরে খালি দুঃখ রে মা

দুঃখের বাতাস খাইস না।

বাড়ির পাশে সড়ক ছিল

তখন দেশে মড়ক ছিল

বাইরে থেকে আসতো ওড়ে

মানুষ পঁচা গন্ধ।

দাদা তখন বেঁচে ছিল

যদিও ছিল অন্ধ।

একদিন দাদা বললো খুকি

বাইরে যাবি, চল

দিনটা ছিল আষাঢ় মাস

বাইরে ছিল জল।

মা ছিল না ঘরে।

দাদাও একা বের হতো না

আমার মায়ের ডরে।

দাদার হাতের আঙুল ধরে

পথে যখন নামি

পথের ওপর শোয়া মানুষ

দেখে আমি থামি।

বললাম, দাদা, ওর কি হলো?

পথে কেন ঘুমায়।

বলল দাদা, ঘুমায় নারে

এটা মরা লাশ।

যখন লোকটার শ্বাস ছিল,

মানুষ ছিল বটে

এখন লাশের গন্ধে মানুষ

কেবল দূরে হটে।

এখন তাকে আসবে খেতে

কুকুর, কাক ও চিল

আসবে না কেউ দাফন করতে

মহত মানব দীল।

সেই মমতা, উদারতা, সামর্থও নাই

চুয়াত্তুরের আকাল দাদু, সব করেছে ছাই।

নানী,

চুয়াত্তুরের দুঃখগাঁথা

কয়টা আমরা জানি?

সেই সব দিন মনে হলে

আজো আসে পানি।

২২শে মার্চ ২০২০; ২টা

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৭৫

আটশো বছর পর

আটশো বছর পর

স্পেনে ফের শোনা গেল

আল্লাহু আকবর।

ঘরে ঘরে উঠলো বেজে

রবের আহবান

নামাজ পড়তে ছুটে এসো

বিশ্ব মুসলমান।

পাপ করো না, বলেছি যতো

নাওনি কানে তুমি

বন্যা দিলাম, ডেঙ্গু দিলাম

উল্টে দিলাম ভূমি।

তবু তোমার হুশ হলো না

পাপ বাড়ালে আরো

এখন কেন বলছো মানুষ

করোনায় ক্যান মারো?

করোনা আর থাকবে না বাপ

পাপটা যদি ছাড়ো

পাপ তাড়ানোর চেষ্টা তবে

বাড়াও একটু আরো।

২২শে মার্চ ২০২০; ৪টা

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৫৭৬

করোনা ও কেয়ামত

করোনা থেকে বাঁচতে চাও

পাপ কাজ সব ছেড়ে দাও।

পাপ না থাকলে দুনিয়ায়

করোনা খাবে মুনিয়ায়।

বাড়লে বেশি জালিম জন

পোকায় খায় বোকার ধন।

বাড়লে বেশি দুর্নীতি

বাড়ে দেশে গুম, ভীতি।

অশ্লীলতা বাড়লে দেশে

বিপদ আসে নানান বেশে।

অল্প পাপে গযব কন্যা

নামটা থাকে ডেঙ্গু, বন্যা।

বনে লাগলে অগ্নিতাপ

বুঝবা ওটা পাপের সাপ।

হারাম যদি ধরো না-

তবে আসে করোনা।

এটাও যদি দাও সামাল

তবে আসবে পঙ্গপাল।

শেষ হবে সব নেয়ামত

গিলে খাবে কেয়ামত।

২২শে মার্চ ২০২০; ১০টা

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৫৭৭

প্রভূ তোমার কুদরত দেখে অবাক আমি হই

প্রভু তোমার কুদরত দেখে অবাক আমি হই

অবাক হয়ে দুচোখ মেলে তাকিয়ে শুধু রই।

সে সব কথা বলবো ভাষায় সাধ্য আমার নাই

সে সব কথা আমার ঠোঁটে দাওনা আমি গাই।

হাতির কেন নাইরে পাখা কেমন করে কই

দুধ পঁচিয়ে মানুষ কেন বানাতে যায় দই।

তোমার হুকুম মানে সবাই চন্দ্র, সূর্য, তারা

অবাধ্য হয় কোন সাহসে মানব শিশু যারা?

বিশ্বটা ক্যান তৈরি করলে ডিমের মত গোল

দিলে নাতো ডিমের মাঝে মা মা ডাকার বোল

কেউ জানে না ফুলে কেনো সুবাস দিলে তুমি

একই সমান করলে না কেন পাহাড় মরুভূমি।

মানুষ দেখে পুকুর জলে উল্টানো এক চাঁদ

সত্যি বলো, নীল আকাশটা এ পৃথিবীর ছাদ?

কিন্তু এ ছাদ খুঁটি ছাড়াই দাঁড়িয়ে দেখি রয়

আকাশ যদি ভয় পায় তবে, মানুষ কেন নয়?

প্রভু আমি বোকা মানব, বুদ্ধি আমায় দাও

এ অধমের কাছে প্রভু আর কি তুমি চাও?

২৩শে মার্চ ২০২০; ৫টা

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৫৭৮

কী অপরাধ তার?

কী অপরাধ তার?

জনপ্রিয়, স্যার।

শক্ত করে ধরো

গৃহবন্দী করো

দেখাও গায়ের জোর

দোষ বলে দাও, চোর।

চোর পাবে না মাফ

বিচার বড় টাফ।

থাকুক কদিন জেলে

বিদেশ থাকুক ছেলে।

পপুলারের মানি?

কচুপাতার পানি।

আজ আছে কাল নাই

বিজলি চমক ভাই।

কী অপরাধ তার?

মাহফিল করে, স্যার।

কোরান পড়ে সুরে

ঘুরে দেশটা জুড়ে।

দোষের তার শেষ নাই

বিশ্ব ঘুরে, দেশ নাই।

এই কোরানের পাখি?

কোথায় তারে রাখি?

শুনি সুখেন দাস

সব করেছে ফাঁস।

পাবলিক সবই জানে

মিথ্যা নেয় না কানে।

ঢুকাও লোহার শিকে

যে কয়টা দিন টিকে।

ঘোড়ার পিছে হাঁটতে নাই

হুজুর মানুষ, ঘাটতে নাই।

কী অপরাধ তার?

বিপ্লবী লোক, স্যার।

খালি বুলি ঝাড়ে

গুলি মারেন তারে।

২৩শে মার্চ ২০২০; ৩টা

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৫৭৯

ফর্সা আকাশ কালো করে

ফর্সা আকাশ কালো করে

অমঙ্গলের ধ্বজা ধরে

দেওয়ের মত রোষে

তুফান যখন আসে--

দেখে না সে কালবোশেখি

কে তারে ভালবাসে

অথবা তারে দেখে কে কে

মিটমিটিয়ে হাসে

কার বাড়িঘর যায় রে ভেঙে

দারুণ সর্বনাশে।

যার সাথে তার দেখা হয়

তার সাথে সে কথা কয়

ছোট বড় মোল্লা পুরুত

যায় সে সবার পাশে।

নিজেই এবার হাসে।

তাইতো ধরা খাইতে নাই

গযব শখে চাইতে নাই।

২৩শে মার্চ ২০২০; ১১টা

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৫৮০

কে যে কিসের ফন্দি করে

কে যে কিসের ফন্দি করে

কে যে কারে বন্দি করে

বুঝা বড় দায়

কে যে কার বাজার করে

কে যে তোলে খাবার ঘরে

কে সে খাবার খায়।

বুঝা বড় দায়।

মানুষ যখন সীমা ছাড়ায়

গযব তখন নামে পাড়ায়

যারা থাকবে অন্ধকারায়

তারা যখন ছড়ি ঘুরায়

কে যে ব্যথা পায়

বুঝা বড় দায়।

স্রষ্টা দেখে সৃষ্টি তার

কান্দে বসে জারেজার

গুণায় ভাসে গুণাহগার

এসব তো আর সয়না তাঁর।

আপন সৈন্য নেন যে তিনি

আস্তে করে ডাকিয়া

তখন কান্দে রাজন বিজন

খোদার দুশমন জাকিয়া।

কার ফাঁসি কও কে দেয়

কার হাসি কও কে নেয়

কে যায় মামা যমুনা

কোরান পাখি জেলে যায়

এরপর কে যায় কমু না।

হারাম ছাড়ো বিশ্ববাসী

নইলে দেখো আজব ফাঁসি

কয়টা করছে জালিম গুম?

দেখো গুমের পড়ছে ধুম।

পাপ না ছাড়লে থামবে না

তালগাছ থেকে নামবে না

খোদার সৈনিক ঘামবে না।

পারলে তুমি তওবা করো

আবার সুখের স্বপ্ন গড়ো।

২৪শে মার্চ ২০২০; ২টা

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৫৮১

স্বাধীনতার মাসে

স্বাধীনতার মাসে

কোত্থেকে যে এতো বাদুর উড়ে উড়ে আসে?

ধান খুঁটে খায় বাদুরগুলো সবুজ দুর্বাঘাসে।

ফাঁকে ফাঁকে কী ভয়ানক অট্টহাসি হাসে।

স্বাধীনতার মাসে।

স্বাধীনতার মাসে

সংসদে বয় চায়ের আসর, বাদুরগুলো হাসে।

মুক্তিযুদ্ধের নায়কগুলো অবলীলায় ফাঁসে।

স্বাধীন শ্যামল দেশে ওরা ঘৃণা হিংসা চাষে।

স্বাধীনতার মাসে।

স্বাধীনতার মাসে

একাত্তুরের স্মৃতিগুলো আমায় দেখে হাসে।

কাকে খুঁজছো? মুক্তিযোদ্ধা? গেছে বনবাসে।

স্মৃতিসৌধটা ভরে গেছে শহীদ সেনার লাশে।

স্বাধীনতার মাসে।

স্বাধীনতার মাসে

স্বাধীনতার দলিল খুঁজি ট্রামে, ট্রেনে, বাসে।

ছয়টি ঘোড়ায় চড়ে তখন স্বাধীনতা আসে।

বলে, ওরে ভাবিস কেনো আমি আছি পাশে।

স্বাধীনতার মাসে।

স্বাধীনতার মাসে

বাদুরগুলো গান শোনায়, বলে, ভালবাসে।

ভালবাসার ঠেলায় ভরে দেশটা লাশে লাশে।

কোত্থেকে যে এতো বাদুর উড়ে উড়ে আসে?

স্বাধীনতার মাসে, স্বাধীনতার মাসে,

আহা স্বাধীনতার মাসে।

২৪শে মার্চ ২০২০; ১টা

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৫৮২

যারে তুমি ফাঁসি দিলা

যারে তুমি ফাঁসি দিলা

যারে দিলা গুলি

রহম করো বলে দোয়া

করলো দুহাত তুলি।

তার সে কান্না দেখে যদি

প্রভুর দয়া হয়

তখন যদি ডেকে প্রভু

করোনারে কয়।

যেথা দেখবি জুলুম শোষণ

যেথা দেখবি পাপ

বলবি তারে তোমার পাপই

ডাকলো অভিশাপ।

ভালো মানুষ যারা

এবার শোন তারা

পাপ তাড়ানোর আন্দোলনে

দাওনি যখন সাড়া

তোমার ওপর করতে পারে

করোনাও তাড়া।

আমি নিষেধ করবো না

হাত চেপে তার ধরবো না।

এতে তুমি বাঁচতেও পারো

কাউকে আমি মারবো না।

সবই তোমার কামাই

শোন চালাক জামাই।

২৪শে মার্চ ২০২০; ৬টা

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৫৮৩

এই পতাকা

এই পতাকার জন্য মানুষ জীবন দিল কতো

রক্ত দিল সাগর সাগর, পরাণ শতো শতো।

কত তরুণ হারিয়ে গেল এই পতাকার জন্য

লাল সবুজের এ পতাকায় কোটি মানুষ ধন্য।

নিজের দেশের পতাকাটা নিজের চেয়ে দামী

এই পতাকার জন্য আমরা সাগর তলে নামি।

কোটি জনের স্বপ্ন আশা এক পতাকায় জমা

এই পতাকার দাবী একটাই, হিংসা শুধু কমা।

এই পতাকা প্রথম যিনি তুলেছিলেন, তাকে

স্বাধীনতার শুভক্ষণে উৎসবে কেউ ডাকে?

আমরা কজন জানি বলো, এ মহানের নাম

কজনে দেই এ পতাকার উত্তোলকের দাম?

এসো এসো তাঁকে জানাই সম্মান ও সালাম

লাল সবুজের পতাকাতে জড়িয়ে যার নাম।

২৪শে মার্চ ২০২০; ৮টা

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৫৮৪

বিশ্বব্যাপী মন্দ লোকে

বিশ্বব্যাপী মন্দ লোকে

করছে নানা ফন্দি

ভালো মানুষ ধরে ধরে

করছে জেলে বন্দী।

করছে জুলুম নির্যাতন

দয়ামায়াহীন

ভাল মানুষ ভুলে যাচ্ছে

কোনটা রাত্রদিন।

মজলুমের সে কান্না যখন

আরশপাকে যায়

গযব তখন এই ধরাতে

ছুটে আসতে চায়।

আল্লাহ তখন তওবা করার

সময় করেন দান

কারণ তিনি মাবুদ মাওলা

রহীম ও রহমান।

এরপর পাপের ধরণ দেখে

গযব ছুটে আসে

মানুষ তখন পাপ সায়রে

ভাসে সর্বনাশে।

২৫শে মার্চ ২০২০; ১টা

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৫৮৫

ওঠো ওঠো মুমীন বান্দা

ওঠো ওঠো মুমীন বান্দা ঈমান করো ঠিক

দ্বীনের আলো দাও ছড়িয়ে বিশ্বে চতুর্দিক।

মধ্যপন্থী জাতি তুমি, মধ্যিপন্থাই ধরো

চরমপন্থী নরমপন্থী সবাকে এক করো।

বলো তাদের মানুষ তুমি পশুতো কেউ নও

তবে কেনো পশুর মতোই নিষ্ঠুর তুমি হও?

তোমার মাঝে তবে কেনো দয়া মায়া নাই

একই প্রভুর সৃষ্টি কেন হয়না তোমার ভাই?

এ পৃথিবীর সকল কিছু তোমার প্রভুর দান

আকাশ মাটি, ফুল পাখি ও নদীর কলতান।

হালাল এবং হারামটা কি কোরান খুলে জানো

মানুষ নয়, আল কোরানের হুকুম তুমি মানো।

মন্দ তুমি দেখবে যেথায়, বন্ধ করবে সেটা

তুলে নেবে বুকে তোমার, ভালো পাবে যেটা।

কে করলো সে মন্দ কাজ, দেখার বিষয় নয়

তোমার বুকে থাকবে শুধু এক আল্লাহর ভয়।

ইসলাম মানে আর কিছু নয়, কোরান হাদিস জানা

ইসলাম মানে পীর, নেতা নয়, কোরান হাদিস মানা।

২৫শে মার্চ ২০২০; ৪টা

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৫৮৬

হায়রে মানুষ 

হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস

কিসের বড়াই করো

সুপার পাওয়ার, বিশ্ব মোড়ল

তাই কি তুমি বড়ো?

তোমার আছে যুদ্ধের অস্ত্র

বিশাল সেনা দল

আছে তোমার অঢেল সম্পদ

এই কি তোমার বল?

যুবক বয়স, অঢেল শক্তি

মস্তবড় বীর

একবারও কি হয় না মনে

তুমি মুসাফির?

এক করোনা বলে গেল

বিশ্ব জুড়ে ভাই

ক্ষমতা তো আল্লাহ ছাড়া

কারো কাছে নাই।

হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস

বড়াই করা ছাড়ো

গলা টিপে ঘৃণা বিদ্বেষ

অহংকারকে মারো।

২৫শে মার্চ ২০২০; ৫টা

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৫৮৭

মরার এতো ভয় কেন

মরার এতো ভয় কেন

মরবা তুমি জানো না

তবে কেন খোদার ভয়ে

খোদার হুকুম মানো না।

করোনা না আইলে তুমি

আল্লা আল্লা করতা

কিন্তু ঠিকই সময় হলে

বান্দা তুমি মরতা।

জানোই যদি মরবা তুমি

খোদার পথে আসো

এক খোদাকে ভয় করো

তাকেই ভালোবাসো।

করোনাকে ভয় কিসের

সে কি খেদার নয়

করোনার যে মালিক, বান্দা,

তারে করো ভয়।

২৫শে মার্চ ২০২০; ৮টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৫৮৮

কঙ্কাবতী লঙ্কাবতী

কঙ্কাবতী লঙ্কাবতী পাহাড়ি দুই বোন

কই যাস তোরা, একটু দাঁড়া,

আমার কথা শোন।

কি কহিবা কহ গো

সালামখানা লহ গো।

কার মাথায় যে কটা চুল বলতে পারিস কেউ

গুণতে পারিস রাতের তারা,

মন সায়রের ঢেউ?

বল না পারিস কেউ?

ওরা শুধু হাসে।

বললাম ওরে, হাসিস না

ধরবে সর্বনাশে।

সর্বনাশটা কিরে বাবু

কে আমাগো করবে কাবু?

কেমন করে মোগো সে পাবে তার পাশে?

মরণব্যাধি এলো ধরায়

নাম যে তাহার করোনা

সবাই লড়ে লড়ুক তাতে

তোরা কিন্তু লড়িস না।

নারে বাবুক লায়

কইছে হামাক মায়।

ভালোমন্দ খোদার হাতে,

তোরা ধোঁকায় পড়িস না।

ভালো ছাড়া মন্দ কিছু নিজের হাতে ধরিস না।

ঠিক বলেছিস বোন

আসল কথা শোন।

সব ক্ষমতার মালিক আল্লাহ, করোনাও তাঁর

খোদার রহম পেলে আসরা চাইনা কিছু আর।

আমি পাহাড়ি ভাষা জানি না। ভুল হলে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে খুশি হবো।]

২৫শে মার্চ ২০২০; ১১টা

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৫৮৯

শোনেন শোনেন ময়নার বাপ

শোনেন শোনেন ময়নার বাপ।

আফ্রিকাতে লাগলে আগুন

আপনার গায়ে লাগে তাপ

আপনি চিল্লান গযব গযব

খোদার অভিশাপ।

টিভি খুলে আপনি দেখেন

ভূমিকম্প জাপানে

কিন্তু আপনার সময় কাটে

গরম গরম চা পানে।

ইটালিতে মরলে মানুষ

আপনি বসে কাঁদেন

তিনবেলা যে গলায় ঢুকান

আপনি কি তা রাঁধেন?

আপনি কাঁদেন বসে বসে

আমার কাঁদার সময় কই

পোলা কবে বাড়ি আসবে

সে চিন্তাতে আমি রই।

আপনি দেখেন বসে বসে,

কোথায় আসে পঙ্গপাল।

মাঝে মাঝে হাঁক মারেন,

পান দিয়া যা রঙ্গলাল।

আপনার কি ঠিক চাকরি গেছে?

অফিসে ক্যান যান না?

কী হইছে কন? খেতে দিলে

ঠিক মত ক্যান খান না।

এই করো না, ওই করো না

হুকুমের তো শেষ নাই

আপনার মনে কিসের কষ্ট?

মুখে হাসির লেশ নাই?

ময়নার বাপে কয়

এই করোনা সেই করোনা নয়।

এই করোনা খোদার গযব, চলছে বিশ্বময়।

মরছে মানুষ দেশে দেশে

বিশ্ব আছে বন্দী বেশে

ঘরবন্দী আজ বিশ্বমানব,

কাঁদছে সকল জন।

এই গযবে মন ভালো নেই, কাঁদে সকল মন।

জান।

এই কারণে কষ্টে আছে আমার অবুঝ প্রাণ।

কী হবে বল পদ পদবী, অঢেল সম্পদ, ধন।

এই কারণে দুঃখে কাঁদে আমার ছোট্ট মন।

বুঝলাম ময়নার বাপ

এ পৃথিবীর বিপদ আপদ সব

পাপের অভিশাপ।

২৬শে মার্চ ২০২০; ৫টা

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৫৯০

চুমকি দানা

চুমকি দানা চুমকি দানা

ঘটলো সেকি কান্ড খানা

বাড়ির কাছেই ছিল থানা

তবু এলো চোর

সময় ছিল ভোর।

রুমকি মনির ভুল টুটেছে

বাগান ভরা ফুল ফুটেছে

শান্তা,জয়নব সব জুটেছে

করছে হুলুস্থুল

দেখছে ভোরের ফুল।

এ ওর গায়ে লুটিয়ে পড়ে

কেউ থাকে না বদ্ধ ঘরে

ভোর বাতাসে পুষ্প নড়ে

ফুলকলিরা হাসে

চোরটা তখন আসে।

শীতের চাদর চোরের গায়ে

সে তো আসে আলতো পায়ে

তাকায় এদিক ডাইনে বায়ে

আমরা তখন চুপ

দেখি চোরের রূপ।

চোরটা কেমন চেনা চেনা

শালটাও তো নতুন কেনা

হাঁটছে যেন লাগছে হেনা

বলি, ওধার কৌন?’

ইদিকে আয়, শোন।

চোরটা আরো কাছে আসে

হীম কুয়াশায় শরীর ভাসে

তার হাসিতে বাতাস হাসে

এ যে চির চেনা

আমার সখি হেনা।

কোথায় গেল চোর?

এক নিমিষে চলে গেল

সবার মনের ঘোর।

সব অনুমান ঠিক না।

বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর

আকাশ কিন্তু লিক না।

২৬শে মার্চ ২০২০; ১টা


No comments

Powered by Blogger.