একান্ত ব্যক্তিগত কথা ♦️♦️ আসাদ বিন হাফিজ
আমি জানি আমি আর বেশীদিন বাঁচবো না। যখন নাই হয়ে যাবো তখন আমার আনন্দ বেদনারও কবর হবে। তখন আমার লেখা থাকলো কি থাকলো না তাতে আমার কিছু যায় আসে না। কারণ এসব লেখা আমার নামে প্রচারিত হলেও এর লেখক আমি নই। এর মালিক তিনি, যিনি এখনো আমাকে দিয়ে এসব লেখাচ্ছেন। তিনি লেখান বলে লিখি, শেখান বলে শিখি।
তাই আমার কোন লেখা সংরক্ষণের দায়িত্বও আমার নয়।
বেহুদা অভিযোগ এনে প্রায় ৩৫টা পান্ডুলিপি, মোবাইল, ল্যাপটপ, কম্পিউটার নিয়ে যাওয়ার পর ভাবলাম, আল্লাহ চাননি, তাই লেখাগুলো উধাও হয়ে গেছে।
এরপর আর হাতে কলম নেইনি। কম্পিউটার, ল্যাপটপও শুয়ে চালানো কষ্টকর, তাই মোবাইলই ভরসা।
মোবাইলে লিখি এবং ফেসবুকে ছেড়ে দেই। কারো ভাল লাগলে পড়ে, না পড়লেও ক্ষতি নাই। লেখাতেই আমার আনন্দ। আমি দুঃখের সাথে ঘরসংসার করি না।
আমি যে লেখা ফেসবুকে দেই তা নোটপ্যাডে জমা থাকে। ফেসবুক চালানোর নিয়ম লঙ্ঘন করেছি অভিযোগ করে এ পর্যন্ত নয় বার আমাকে ব্লক করে দেয়া হয়। প্রতিবারই নতুন একাউন্ট খুলে আবার নতুন করে শুরু করি।
কাল রাতে ছেলে কোন খেয়ালে নোটপ্যাডটি লোপাট করে ফেলে। রিকভারি করার পর দেখা যায় ২৭০০ পর্যন্ত রিকভারি হয়েছে, এরপর থেকে ৩৩০০ পর্যন্ত নাই। ফলে এ ৬০০ ছড়ড়া ও এ সময়ে লিখিত গান, কবিতা, গদ্যগুলোও বেমালুম ডুব দিয়েছে।
১৭০০ পর্যন্ত হার্ড কপি আছে। এর পরে ২৭০০ পর্যন্ত পাওয়া গেছে।
আপনাদের অবগতির জন্য ঘটনাটা জানিয়ে রাখলাম।
কেউ বা কোন প্রতিষ্ঠান বা সাহিত্য সংগঠন ইচ্ছে করলে নতুন লেখাগুলো সংরক্ষণ করতে পারেন।
অশোভন দেখাবে বলে কারও কাছে হার্ড কপি চাইলাম না। নইলে ১৭০০ থেকে ২৭০০ পর্যন্ত এখনো হার্ড কপি করা যায়। কারো আগ্রহ থাকলে চাইতে পারেন।
গান, কবিতা, গদ্য এখনো চেক করে দেখিনি।
আমার লেখা আমার কাছে সংরক্ষণের কোন প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না।
জাতির যদি দরকার হয় জাতি পারলে সংরক্ষণ করতে পারে। আমাকে জানালে খুশি হবো। আল্লাহ হাফেজ।
আসাদ বিন হাফিজ
৯/১১/২১। দুপুর ১২টা।
No comments