অনুভবের অলিন্দে - অপ্রকাশিত কবিতাঃ ১২৫

                                                                                  

কবিতা-১২৫ : অনুভবের অলিন্দে

এমন অধম বান্দা আমি পারি না কিছুই করতে

নিজের ইচ্ছায় হইনি আমি পারিনা নিজে মরতে।

বড় হয়েছি মার হাত ধরে, সেদিন করেছি পার

পূণ্যা নারীর হাত ধরে ফের গড়েছি এ সংসার।

 

এতবসন্ত পার হলো আহা কতজন এলো গেলো।

কেউ এসে দুখ পেল কেউ, সুখের নাগাল পেল।

শোষক বেশে কেউ এলো কেউ শাসকের বেশে

কেউ নিয়ে এল স্নিগ্ধ-ভোর ধরল এ হাত হেসে।

 

দেখেছি কত নিরেট পাথর, সাগরের নোনাজল

দেখেছি মানুষ কত অসহায়, কতটা সে হীনবল।

পাখির গানে মুখর ছিলো জীবনের সারাবেলা।

জীবনে হায় নানা রঙের খেলেছি কত না খেলা।

 

কোনদিন কি বৃষ্টি ফোটার দিয়েছি কোন দাম?

কোনদিন কি জানতে চেয়েছি বন্যা কেন উদ্দাম

এ দুটি চোখে দেখেছি সবুজ, জীবনের কল্লোল।

গাছের শাখায় বসে খেয়েছি হরষে কতনা দোল।

 

দুখের দরিয়া সুখে ভরে গেছে, সুখ ডুবেছে দুখে

এতই নিলে নিঃশ্বাস তার শোকর করেছো মুখে?

শূন্য হাতে এসেছি ভবে, না খেয়ে তো মরি নাই

যাবার সময় তাকিয়ে দেখি সম্পদ কম গড়ি নাই।

 

কিছু নেইনি সব রেখে যাই কি নিলাম কও সঙ্গে

তাকিয়ে দেখি, রূহটুকু নাই আপন রূপসী অঙ্গে।

খালি হাতে এসে খালি হাতে এ ভুবন করেছি পার

কোথায় আমি, কোথা আমার হাতেগড়া সংসার?

২৬/০৬/২০২০ ৭টা

অপ্রকাশিত অন্যান্য কবিতার জন্য এখানে ক্লিক করুন।

No comments

Powered by Blogger.