চোখের দ্রাঘিমা - অপ্রকাশিত কবিতাঃ ১২৬
কবিতা-১২৬ : চোখের
দ্রাঘিমা
আমি আমার চোখকে বললাম,
হে চোখ আরেকটু প্রসারিত হও।
অজ্ঞতার উল্লাস দিয়ে জগত চলে না।
তুমি যে সূর্যোদয় দেখছো এটাই
দুনিয়ার প্রথম সূর্যোদয় নয়।
মহাকালের গর্ভে এ রকম অসংখ্য ভোর
বিলীন হয়ে গেছে। তোমার দুর্ভাগ্য, তুমি সেই প্রসন্ন সকালগুলো দেখতে পাওনি।
আবদুল হাই শিকদারের সৌভাগ্য,
সে আশিলক্ষ ভোর দেখে বিস্মিত হতে
পেরেছিল।
হে চোখ, তুমি এত
যে যোগ্যতার ঢোল পিটাও,
দেখে আমার হাসি পায়।
আমি কি জানি না, আমার
পিঠের পশমটিও তুমি অন্যের সাহায্য ছাড়া দেখতে পারো না?
কিসের বাহাদুরী করো তুমি?
হে চোখ, দৃষ্টিকে
আরেকটু প্রসারিত করো।
তোমার প্রভু জানেন, তোমার
ক্ষমতার
দৌড় কতটুকু। দৃষ্টির দৌড় কতটুকু।
তুমি কোনদিন ইরান যাওনি। দেখতে
পারোনি ইরানী গোলাপের জৌলুস।
কাশ্মীর যাওনি, তাই
কাশ্মীরী আপেলের লাবন্য দেখতে পাওনি তুমি।
এ জন্য তুমি আপেল ও গোলাপকে
অস্বীকার করতেে পারো না।
এতে তোমার অজ্ঞতাই প্রকাশ পায়।
হে চোখ, তুমি কি
জানো, তোমার চিত্তে রুয়ে দেয়া হয়েছে অজস্র নয়নাভিরাম নয়ন।
তোমাকে দেয়া হয়েছে অন্তর্চক্ষু, বিবেকের
চক্ষু।
দেয়া হয়েছে প্রেম ও জ্ঞানের
চক্ষুু।
মানুষ অথর্ব বলেই সে নিজের
কৃতিত্ব ছাড়া আর কিছুই দেখতে পায় না।
সে জানেনা, বিড়ালের
থাবা ও বাঘের থাবার পাথর্ক্য।
নবীন কিশলয় জানে না, মহীরুহের
উচ্চতা।
তুমি কি জানো, কত লক্ষ
ভোর দেখলে একজন আদম মানুষ হয়?
কেবল বোকারাই গর্বে বুক চিতিয়ে
রাখে আকাশের দিকে।
১১/০২/২০২১ ১১টা
অপ্রকাশিত অন্যান্য কবিতার জন্য এখানে ক্লিক করুন।
No comments