চাঁদের মধুজোস্না - অপ্রকাশিত কবিতাঃ ৪৬৯
কবিতা-৪৬৯ : চাঁদের মধুজোস্না
এ কোন জাহেলিয়াত এসেছে ধরায়? মায়ের পেটের শিশু কুকুরে খায়?
তাকে রক্ষার
জন্য ছুটে আসে না কোন মাতৃত্ব মায়ায়।
কুকুরও প্রতিপালন
করে কুকুরশাবক।
যৌনতার সয়লাবে
ভাসে উজবুক।
মানুষ কতটা
অমানুষ হয় দেখো সে নিশান।
এর নাম যদি
উন্নয়ন হয়, সে সভ্যতার বুকে আমি লাথি মারি।
যদি পৃথিবীতে
এখনো মানুষ থাকতো,
লাথি মেরে ভেঙ্গে দিতো অমানুষের নাইটক্লাব, ভেঙ্গে দিত
কামুক নাট্যশালা।
ক্যাসিনোর
নামে অবাধ লুন্ঠনের সূতিকাগার।
যে বিশ্বে
সন্তানের খুনী হয মা,
সেটা কোন মানুষের ঘর হতে পারে না। বেশ্যালয়ের মধুবালাও তার সন্তান
এভাবে হত্যা করে না।
এরা মানুষ
নামক পশু নয়, খুনী। হন্তারকের চেয়েও একধাপ নিকৃষ্ট প্রজাতি।
যার কাছে
শীৎকার হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে প্রিয়তর ধ্বনি।
না, এদের দেয়ার
মত কিছু নেই আমার কাছে। ঘৃণার থুতু ওদের দিয়ে আমি আমার থুতুকে অপমান করতে চাই না।
পাশ্চাত্যের
অসভ্যতা এখন গ্রাস করে ফেলেছে বিশ্ব। কার দোষে আজ মানবশিশু ভক্ষণ করছে কুত্তার বাচ্চা?
মুসলমান
তো দূরের কথা, কোন বিবেকবান মানুষও কি নেই দুনিয়ায়? লিঙ্গের সুখের জন্য কারা খেয়ে ফেলেছে
নিজের বন্দী বিবেক?
ওঠো মানুষ, ওঠো।
ওঠো আশরাফুল
মাখলুকাত।
বন্দী মানবাত্মাকে
মুক্তি দাও।
উত্তাল সাগরে
নিক্ষেপ করো তথাকথিত আলেমদের,
যারা কোরান
রেখে কেবল হাদীসের চর্চা করে।
যারা নিজের
মহল্লায় ফরজ প্রতিষ্ঠা না করে ইসলামকে বিক্রি করছে স্বপ্লমূল্যে?
অপরাধ পাপিষ্ঠদের
চাইতেও জঘন্যতর ঐসব আলেমদের, যারা বেহেশতের টিকিট বিক্রি করে।
যারা আন্দোলনের
নামে চুষে খায় সাধারণ মানুষের কলিজা।
কোথায় মানুষ?
বিবেকহীন
জানোয়ার মানুষ হতে পারে না।
দারিদ্র
না হটিয়ে যারা অট্টালিকা তোলে, প্রাসাদ বানায়, ঐসব হিংস্র জানোয়ারদের থেকে বাঁচাও
মানুষ।
জাকাতের
সমাজ গড়ো।
পৃথিবী থেকে
নিঃশেষ করে দাও পেটের ক্ষুধা।
ক্রোধে আমার
মাথা দিয়ে আগুন বেরোচ্ছে। রাগে লাফাচ্ছে প্রতিটি রক্ত কণিকা।
মানুষ জাগো।
জাগিয়ে তোল বিবেক।
তাড়া করো
পাগলা কুত্তা আর কুত্তি গুলোকে।
অসভ্যতার
রোগ বিস্তারকারী মাছি তাড়াও সমাজ হতে।
ধর্মের প্রশ্ন
এখানে অবান্তর। জনবস্তিতে নেমে এসেছে যেসব যৌন জানোয়ার, হটাও তাদের।
তুমি হয়ে
ওঠো আশরাফুল মাখলুকাত।
হয়ে ওঠো
সৃষ্টির সেরা মধু ভান্ডার।
হয়ে ওঠো
প্রেমকোকিল।
মানুষ।
লিঙ্গের
স্বাধীনতায় লাথি মেরে তুমি হয়ে ওঠো মানব বাগানের আশরাফুল, চাঁদের মধুজোস্না।
১৭ই
জানুয়ারী ২০২৪; বাদ এশা।
অপ্রকাশিত অন্যান্য কবিতার জন্য এখানে ক্লিক করুন।
No comments