উম্মাতাল চাদর - অপ্রকাশিত কবিতাঃ ৪৩৮
কবিতা-৪৩৮ : উম্মাতাল চাদর
রোদে শুকোচ্ছে চাদরটি। আমি তাকালাম। আনিন্দ্য সুন্দর চাদর। কারুকার্যময় চাদর। হৃদয় উন্মাতাল করা চাদর। যার দিকে তাকালে চোখ ফেরানো যায় না।
মনে পড়লো
প্রভুর বানী। তিনি নারীকে পোশাকের সাথে তুলনা করেছেন। চাদরের মত কি? এও তো আমার পোশাক। গরম লাগলে গা থেকে খুলে রাখতে পারি, শীতে জড়িয়ে নিতে পারি পবিত্র কুসুম।
না। দেমাগ
দেখানো নারীর কাজ নয়। দেমাগের সাথে লেপ্টে থাকে এক ধরনের অহংকার। অহংকার করলে মানুষ
শয়তান হয়ে যায়। সর্বোত্তম ফেরেশতা হয়ে যায় বিতাড়িত ইবলিশ। তুমি অহংকার করো না। দেমাগ
করো না। মনে রেখো, আল্লাহ দয়া করে দিয়েছেন বলেই তোমার লিলায়িত
রূপে মোহিত হই আমি, আমরা।
আমাদের যোগ্যতা, শক্তি, ক্ষমতা, প্রতিভা সব তাঁর
দান। তিনি মহান। মহান বলেই অকাতরে তিনি এসব দান করেছেন। এসো, তার শোকর আদায় করি।
অহংকার করো
না নারী। তোমার ক্যাপাবিলিটিও তার দান। এসো, আমাদের সব অপূর্ণতা
তাঁর কাছে চাই। দরকার হলে তিনি তা দেবেন।
তোমার মলিন
চেহারা আমাকে কষ্ট দেয়। সে কষ্ট আমার পাওনা ভেবে লুফে নেই।
আমাদের যুগল
কলংককে আমরা চাদরের মত তুলে রাখি আলমিরার ভাঁজে।
হে নারী!
তুমি, আমি, আমরা নিপুন হাতে বোনা একটুকরো চাদর ছাড়া আর কিছু
নই। অতএব দেমাগ করো না।
৩০শে
ডিসেম্বর ২০২৩; বাদ ফজর।
অপ্রকাশিত অন্যান্য কবিতার জন্য এখানে ক্লিক করুন।
No comments