আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়াঃ ৩৩৮০-৩৪০০

 


আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৮০

খলিফার কাজ

আমরা তো উম্মত সেই নবীজীর

অকাতরে বুকে নিতেন শত্রুর তীর।

তায়েফের প্রান্তরে পাথরের ঢিল

খেয়েছেন তবু ক্রোধে হননি অধীর।

ফেটে গেছে মস্তক, খুনে জামা লাল

বদ দোয়া করেননি, দেননি তো গাল।

বলেছেন, হে মাবুদ ওরা বুজদীল

পাপ আর মন্দতে ভরেছে নিখিল।

রহমান রহীম তুমি, দয়া করো দান

মাফ করে দাও ওদের, হে মেহেরবান।

সে নবীর সুন্নত- দয়া, ভালোবাসা

জালিমের দুশমন, বিশ্বের আশা।

আমরা তো নই কেউ সন্ত্রাসী, জঙ্গী

এইসব বলে যারা শয়তানের সঙ্গী।

আমরা তো স্রষ্টার প্রতিনিধি ধরাতে

এসেছি চৌদিকে মানবতা ছড়াতে।

মজলুম, অসহায়, নিপীড়িত জনতা

আমাদের কাছে চায় ভালবাসা, মমতা।

দিকে দিকে যত বাড়ুক মানবতা ভক্ষক

বলে দাও, মুসলিমই মানবতার রক্ষক।

লোভ, হিংসা, ঘৃণা দূর, করে দাও সব

খলিফাকে এ হুকুম দিয়েছেন রব।

২০/১১/২১। বাদ এশা।

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৮১

ভাবো রে মন, ভাবো

আসার বেলা এসে ছিলাম

যাবার বেলা যাবো

এসেই ধরায় কেঁদে ছিলাম,

বলে ছিলাম,খাবো।

খেতে খেতে সারা জনম

করে দিলাম পার

কখন আসবে সমন আহা, রিজিক নাইরে আর।

হঠাৎ করেই চলে যাবো,

কাঁদার সময় পাবো না

থরে থরে খাবার থাকবে,

কিছুই আমি খাবো না।

কই যে ছিনু, কোথায় আছি,

কোনখানে ফের যাবো

সে সব কথা ওরে ও মন,

কখনো কি ভাবো?

ভাবো রে মন ভাবো

সময় হলে আজরাইলের

ঠিকই দেখা পাবো।

২১/১১/২১। বাদ ফজর।

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৮২

ইচিক দানা

ইচিক দানা বিচিক দানা

মায়ের ছিল মুরগী ছানা

রাখাল ছিল অন্ধ, কানা

ছানা নিল চিলে

খবর শুনে মা জননী

ব্যথা পেল দীলে।

ইচিক দানা বিচিক দানা

দেশবাসীরা ল্যাংড়া কানা

চিলের রাজা দিলো হানা

রাখালে টোপ গিলে

সবুজ সোনার দেশটা খেল

দুই ঘাতকে মিলে।

হেলমেট দেবে টহল এবার

চলবে জলপাই জীপ

উন্নয়নের বরশি নাচ

কার হাতে তার ছিপ।

আসবে লরি বরশি নিয়ে

পড়শি আপন জন

বীর বাঙালি সড়ক বানায়

তাইতো সারাক্ষণ।

ইচিক দানা বিচিক দানা

চিলেই খাবে মুরগি ছানা।

২১/১১/২১। বাদ জোহর।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৮৩

নির্লোভ মনে

লোকটাকে দেখলাম

কতকিছু শেখলাম

সেই কথা লেখলাম

অবশেষে ছড়াতে।

লোকটার হাত নাই

লোকটার জাত নাই

লোকটার ভাত নাই

লোকটার কেউ নাই

নিদারুণ ধরাতে।

পা নাই, হাঁটে না!

চুলদাড়ি কাটে না

তবু বুক ফাটে না

ফুটপাতে বুকপিঠে

পারে শুধু গড়াতে।

লোকটা বিদঘুটে

তার মেয়ে ফুটফুটে

হাসে হি হি কুটকুটে

খোঁচা দিয়ে বাপ-পেট

পারে নাতো নড়াতে।

সুড়সুড়ি লাগে পেটে

বাপ মেয়ে দুই-ই বেঁটে

মেয়ে যায় পায়ে হেঁটে

বাপ দেখে হাসে

কচি মেয়ে শুধু হাঁটে

কি যে অনায়াসে।

দুইজনে খায় রুটি

আর করে খুনসুটি

হেসে হয় কুটিকুটি

চোখে আহা সুখগুলো

চিকচিক করে

এই সুখ পাবে নাতো

নাদানের ঘরে।

সুখ কভু পায় না, না-শোকর বান্দা

সুখ কভু পায় না, যারা খায় চান্দা

সুখ কভু পায় না, যারা করে ধান্ধা।

সুখ থাকে নির্লোভ মানুষের মনে

সুখ থাকে আত্মায় বুঝলে হে কনে?

২২/১১/২১। বাদ মাগরিব।

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৮৪

এজতেমার পাঞ্জাবী

হেসো না ভাই হেসো না

আমার কাছে ঘেঁষো না

গিয়েছিলাম টঙ্গী

ইজতেমাতে গিয়ে আমি

হয়ে গেলাম জঙ্গী।

কিনতে চাইলাম বাঙ্গালী

চকবাজারে পেলাম না

মারের ভয়ে সাহস করে

ইসলামপুরে গেলাম না।

ইজতেমাতে গিয়ে দেখি

সবাই পরছে পাঞ্জাবী

বাঙ্গালী কই, বাঙ্গালী কই

সবই দেখি খান, ভাবী।

টুপী দাড়ি পাগড়ি জুব্বা

রাজাকারের দাদা

এজতেমাতে বাঙ্গালী যায়?

যায় তো বোকা, গাধা।

হেসো না ভাই হেসো না

কাউকে ভালো বেসো না।

বেশী কাছে এসো না

সবার সাথে মেশো না।

গেঞ্জির ভেতর বাঙ্গালী

উপরে সব পাঞ্জাবী

ডালের ভেতর গোস্ত আছে

মজা করে খান ভাবী।

২৮/১১/২১। বাদ মাগরিব।

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৮৫

সকিনা

বনের ভেতর ছনের ঘর

বসত করে সকিনা

বুনোফুলেই খেলে সে

ফুটবল বা হকি না।

তারে সবাই আদর করি

ভুলেও তারে বকি না।

তাতে সবার লাভই হয়

ভালবেসে ঠকি না।

সে দেয় হাসি, শোনায় গান

সতেজ করে, সে মন প্রাণ

তার হাসিতে হেসে ওঠে

আকাশের অই সোনার চান।

মিষ্টি মেয়ে সকিনা

মরুভূমির জকি না।

ভালোবেসে ঠকি না

তাইতো তারে বকি না।

২৮/১১/২১। বাদ মাগরিব।

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৮৬

মুকুলিত মুকুল

মুকুল অবশেষে ফুটেছিল

সুবাস চৌদিকে ছুটেছিল

মৌমাছি অগনন জুটেছিল

মুখরিত হয়েছিল দশদিক

ব্যাবহার ছিল তার অতিশয়

অমায়িক,আন্তরিক মানবিক।

নব্য হাতেম ছিল দয়া আর দানে

মমতায় ভরা ছিল প্রাণ তনু মন

দিন গেছে গল্পে ও আনন্দ গানে

স্রষ্টা ও সৃষ্টির ছিলো যে আপন।

গুণটাকে গুণ দিলে যত গুণ হয়

ততোটুকু গুণ ছিল, প্রাণ মধুময়।

অমায়িক কন্ঠ ছিল সুললিত বাণী

মুকুলিত মনোরমা মমতার রাণী।

জান্নাতের উঁচাসনে দিও তাঁরে ঠাঁই

তোমার মুকুলকে যেন মুকুলিত পাই।

২৮/১১/২১। বাদ মাগরিব।

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৮৭

জাতে বাঙাল

জাতে বলো বাঙ্গালী

গায়ে পরো পাঞ্জাবী

ইজতেমা যাও টঙ্গী

সেজে আসো জঙ্গী।

হলিআর্টিজেনে তবে কারা

রাইফেল নিয়ে থাকে খাঁড়া

কার সঙ্গে করো যুদ্ধ

ওরা কি সব বুদ্ধ?

জঙ্গী সাজে খুনে ডাকাত

জানেনা সে ফরজ রাকাত

কারে আবার সুন্নাত কয়

কয় রাকাতে নফল হয়।

উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে

দাজ্জাল বাদশা ছুঁড়ে মারে।

যে বা যারা ইসলাম কয়

তারা সবাই জঙ্গী হয়।

ডাকাত নূরুল জঙ্গী ভাই

নামটা নূরুল ইসলাম তাই।

নাম যদি হয় শরীফ খান

যান না চলে পাকিস্তান।

বাঙ্গালী এদেশ করছে জয়

শেখ সৈয়দ ক্যান দেশে রয়।

২/১২/২১। বাদ এশা।

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৮৮

বিজয় দিনের ছড়া

রাজাকাররা দে দৌড়, পালায় পালায়

মিত্ররাসব যুক্তি করে রেবারাণী খায়।

খুশীর চোটে বীর বাঙালি উল্লাসে লাফায়

পিন্ডি ছেড়ে দিল্লি গিয়ে অঘোরে ঘুমায়।

বাঙালি কি খাইলি বুঝবি

পেটে কামড় দিলে

সুখ শান্তি দেখবি সেদিন

নিয়ে গেছে চিলে।

স্বাধীনতার মজা এখন চিল শকুনে খায়।

দিল্লিদোসর হিল্লা করতে দেখরে চিনে যায়।

হায় বাঙালি হায়

পরাণ ফেটে যায়

আমার বিজয় খামার বাড়ি

ছাগল গরু খায়।

৫/১২/২১। বাদ ফজর।

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৯১

বরিশালের ছাওয়াল

বরিশালের ছাওয়াল এসে

ঢাকাতে হয় ছেলে

আমরা কই, কি লাভ এমন

দুষ্ট পোলা পেলে।

জন্মের খবর জানে পোলা

মরার খবর জানে না

মানুষ হলো খোদার বান্দা

খোদার হুকুম মানে না।

খোদার হুকুম মানতে না চাও

খোদার জমিন ছাড়ো

নইলে তুমি আল্লাহ রসুল ভালবাসো আরো।

১৫/১২/২১। বাদ ফজর।

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৯২

ছড়া গানঃ সময় বড়ো কম

সময় বড়ো কম

হ্যা, সময় বড়োই কম।

সামনে খাঁড়া যম।

হেলায় খেলায় সময় নষ্ট

করো না একদম।

কারণ, সময় বড়ো কম।

সত্যিই, সময় বড়োই কম।

বিজলি চমক যেমন যেমন

জীবনটাতো তেমন তেমন

এই আছে এই নাই

কোন সাহসে আমরা তবে

পাপের পথে যাই।

কার কতটা কাছে আছে

কেউ কি জানো যম।

সময় বড় কম।

কচুপাতার পানি যেমন

টলোমলো করে

প্রাণপাখিটা সময় হলে

থাকে না আর ঘরে।

ফুড়ুৎ করে উড়ে যায়

আরশে একদম।

সময় বড়ো কম।

মেঘ নেমে কয় ঝমারঝম

বৃষ্টি গেলে নাইরে দম

মেঘ আকাশে ওড়ে যায়

সন্ধ্যা দুপুর ভোরে য়ায়

আয়রে আমার টাট্টুঘোড়া

সোনালী টমটম

সময় বড়ো কম

সামনে খাঁড়া যম।

বেলুন যেমন ফুলতে ফুলতে

ফুটুস করে হায়

মানুষ তেমন চলতে চলতে

ফুটুস মরে যায়

এই দেখছি, এই দেখেছি

জীবনে হরদম

সময় বড়ো কম।

সময় বড়ো কম

সময় বড়োই কম।

সামনে খাঁড়া যম।

হেলায় খেলায় সময় নষ্ট

করো না একদম।

১৫/১২/২১। বাদ মাগরিব।

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৯৩

যেমন কর্ম তেমন ফল

যেমন কর্ম তেমন ফল

তেমন কর্ম করবো বল।

সত্য কথা বলতে হয়

মিথ্যা পায়ে দলতে হয়

সরল পথে চলতে হয়

বাঁকা পথে জীবন ক্ষয়।

এসো সুন্দর পথে চলি

এসো সুন্দর কথা বলি

সুখ ও শান্তির সঙ্গে সদা

এসো করি ঢলাঢলি।

বদনাম কারো করতে নেই

মন্দ জিনিস ধরতে নেই

নষ্ট জীবন গড়তে নেই

পাপের পথে লড়তে নেই।

সব শিশুরাই মানব কলি

এসো ন্যায়ের পথে চলি

আমরা হই সুবাস ফুল

ভাঙি সবার মনের ভুল।

যেমন কর্ম তেমন ফল

তেমন কর্ম করবো বল।

আমরা শিশু চলরে চল

ভালো কাজের বহাই ঢল।

১৬/১২/২১। বাদ ফজর।

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৯৪

মক্কা বিজয়

কুয়াশার আঁধিয়ারে

নাই নাই ভয়

শীত শেষ ঐ আসে

বসন্ত বিজয়।

মন হাসে দীল হাসে,

হাসে অন্তর

ফুলবনে সুখে হাসে

তৃপ্ত ভ্রমর।

ঝেরে ফেল বরাভয়

পরাজয় মানি না

বিজয়ের সৈনিক

হারত তো জানি না।

হয়নি লড়াই যুদ্ধ

ভীত দুশমন

মক্কা বিজয়ে পায়

নতুন জীবন।

তৃষিত বালি পায়

প্রেমের পরশ

বিশ্বে ইসলাম তাই

অনন্য সরস।

১৬/১১/২১। নয়টা।

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৯৫

কালের কন্ঠ

সুনীল আকাশ

ঢেকেছে মেঘে ভয় নেই রাহবার

এ মেঘ তাড়িয়ে

বসন্ত আনবো আমরাই বারবার।

সুনীল আকাশ

ঢেকেছে মেঘে ভয় নেই রাঁহাগীর

এ মেঘ তাড়াতে

শামিল হয়েছি আমরা অযুত বীর।

ডাক দিয়েছে

লক্ষ সেনা,জাগো আরেকবার

বাংলা থেকে

তাড়াও সবাই, শোষক স্বৈরাচার।

ডাক দিয়েছ

আলকোরান তাড়াও জুলুমবাজ

কায়েম করো

এই দুনিয়ায় মহান প্রভুর রাজ।

১৭/১২/২১। বাদ আছর।

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৯৬

কেমনে হতে পারলি

আম যদি না হতো মিষ্টিঁ, ঢিল দিতো কোন কালা

সম্পদ থাকলে ডাকাতের গ্রাম থেকে দূরে পালা।

ওরে পালা পালা পালা

সম্পদ থাকলেই জ্বালা

সাঈদী যদি অজ্ঞ হতো কে দিত জেলে তালা।

গুণ আছে তাই সাঈদী জেলে, নিজামী পায় ফাঁসী

ফাঁসী পায় না খান সাহেবের

তিন নম্বরের দাসী।

দাসী নাচে মাজার ধরে

সুখ দিল না নিজের বরে

সুখের আশায় দাসী ঘুরে এখন গয়া, কাশি।

লিচু গাছে লিচু নাই রে, তালের গাছে তাল

লগিবৈঠার জন্য তুই, আর কাটিস না খাল

কুমীর আসবে দলে দলে

তরেই খাবে ছলে বলে

সবই আমি বলবো নাকি কই থাকে পয়মাল?

তুই মরবি দুঃখ নাই, আমায় কেন মারলি

বাপকা বেটি এত বোকা কেমনে হতে পারলি।

২৩/১২/২১। বাদ ফজর।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৯৬

কেমনে হতে পারলি

আম যদি না হতো মিষ্টিঁ, ঢিল দিতো কোন কালা

সম্পদ থাকলে ডাকাতের গ্রাম থেকে দূরে পালা।

ওরে পালা পালা পালা

সম্পদ থাকলেই জ্বালা

সাঈদী যদি অজ্ঞ হতো কে দিত জেলে তালা।

গুণ আছে তাই সাঈদী জেলে, নিজামী পায় ফাঁসী

ফাঁসী পায় না খান সাহেবের

তিন নম্বরের দাসী।

দাসী নাচে মাজার ধরে

সুখ দিল না নিজের বরে

সুখের আশায় দাসী ঘুরে এখন গয়া, কাশি।

লিচু গাছে লিচু নাই রে, তালের গাছে তাল

লগিবৈঠার জন্য তুই, আর কাটিস না খাল

কুমীর আসবে দলে দলে

তরেই খাবে ছলে বলে

সবই আমি বলবো নাকি কই থাকে পয়মাল?

তুই মরবি দুঃখ নাই, আমায় কেন মারলি

বাপকা বেটি এত বোকা কেমনে হতে পারলি।

২৩/১২/২১। বাদ ফজর।

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৯৭

কেমন মজা

লগিবৈঠায় পিটাইলি

কত রক্ত ছিটাইলি

যত খায়েশ মিটাইলি

এবার একটু জিরা

আজরাইলরে ফিরা।

আজরাইলরে ফিরে না

মরলে কইতর ভিড়ে না

পোলায় গদি ছিঁড়ে না

নিজেই ঝাঁইকা বয়

কবরে বাপ রয়।

কবরে রয় আপন লাশ

বুকের ওপর কাঁচা বাঁশ

লক্ষ কর্মী, লক্ষ দাস

মজা করে চল্লিশা খায়

কেউ ডাকেনা তুইও আয়।

কেমন মজা আপন বাড়ী

হার মানে কি বৈঠার বাড়ি?

সুখে কি বুক ফাইটা যায়

নাকি লগি হাঁইটা যায়?

২৪/১২/২১। বাদ মাগরিব।

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৯৮

আর?

ওরে খোকা, শোন শোন

তোরা দুটি ভাই বোন

মিলে মিশে চলবি

হক কথা বলবি

হাসবি খেলবি পড়বি রোজ

আল্লাহর নামে করবি ভোজ।

আল্লাহ খুশী হবেন/ হবেন হবেন হবেন

ভাল সবে কবেন/কবেন কবেন কবেন

মন্দ কিছু করবি না

মন্দ কিছু ধরবি না।

আচ্ছা আচ্ছা আচ্ছা

সহি বিলকুল সাচ্চা।

আর?

আর

গুরুর কথা শুনবি

ভালো স্বপ্ন বুনবি

হাসবি খেলবি পড়বি রোজ

ভালো মানুষ করবি খোঁজ

তাদের সাথে চলবি

ভালো কথা বলবি।

২৬/১২/২১। বাদ এশা।

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৯৯

মায়ের কামনা

ওরে আমার খোকন সোনা

একটি কৎা শোন

মিষ্টি মুখের চাঁদের কণা

তোরা যে ভাই বোন।

তোরা আমার নয়নমনি

আমার জানের জান

তোদের দেখে উথলে ওঠে

বুকে খুশীর বান।

মায়ের মনে কষ্ট দিস না

দেশকে বাসিস ভালো

সবার মনে দিস বিলিয়ে

মিষ্টি চাঁদের আলো।

তোরা যেন হতে পারিস

সুবাসমাখা ফুল

তাকে তুলিস টেনে কেহ

চললে পথে ভুল।

২৬/১২/২১। বাদ ফজর।

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪০০

জিদ করে না ভালো শিশু

জিদ করে না ভালো শিশু

জিদ তো করে বোকারা

জিদ দেখে তো হেসে ওঠে

ভালো খুকু খোকারা।

ভালো মানুষ বুকে জমায়

ভালবাসার আলো

বলে, তুমি হিংসা ছেড়ে

নিজেও হও ভালো

জিদতো করে যাদেব মাথায়

কামড়ায় দুষ্ট পোকারা।

জিদ কাজটাই বাড়াবাড়ি

শিখায় কেবল কাড়াকাড়ি

মারামারি লাগায় শয়তান

রাগ হিংসার ধোকারা।

সবাই মিলে চলতে হয়

ভালো কথা বলতেহয়

পঁচা কথা বলে শুধু

পঁচা পঁচা বোকারা।

জিদ করে না ভালো শিশু

ভালো খুকু খোকারা।

২৭/১২/২১। বাদ ফজর।

No comments

Powered by Blogger.