আসাদ বিন হাফিজ এর ১০০ ছড়াঃ ৩২০১-৩৩০০

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২০১

না না দাদা নড়ো না

না না দাদা নড়ো না

কামড় দেবে করোনা

না না কেউ ধরো না

বাঘের পিঠে চড়ো না

 

বাঘের পিঠে চড়লে

সাপের ঠোঁটে ধরলে

ভয়ের চোটে নড়লে

দোষবে কারে মরলে?

 

মস্ত বড় কুস্তিগীর

বিশ্বসেরা মস্ত বীর

পারেনিরে দস্তগীর

কই গেলরে জিন্দাপীর?

 

মুখ ঢেকেছে সেনাপতি

পালিয়েছে ঘরে

মস্ত বড় রাঘবরা সব

মরছে নাকি ডরে

 

না না দাদা নড়ো না

কামড় দেবে করোনা

২৭//২১;১টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২০২

অগা মগা ঠগা

বিলের ধারে ওই দেখ বসা

একটা কানি বগা

বলতে পারিস এই বগাটা

বোকা নাকি মগা

 

ছাগলে খায় লাউ গাছের

আগা নাকি ডগা

যে পারে না এর জবাব সে

মগা নাকি অগা

 

এসব প্রশ্ন করলে তখন

হেসে বলে জগা

তুই কি ভাবিস বগার মত

আমি একটা অগা?

 

মন চাইলে এসব কথা

ঢোল পিটিয়ে কগা

জেতার চেয়ে অনেক ভাল

বউয়ের কাছে ঠগা

২৭//২১;২টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২০৩

করোনার দাবী

করোনা যে এলো তবু হয় না কারো হুশ

গরীবেরা পায়না খেতে, বসেরা খায় ঘুষ

মানুষগুলো হয় না মানুষ বাড়ে অলম্বুশ

চড়ুইপাখি পার্কে তবু করে ফাসুর ফুস

 

মন্ত্রীগুলো খাটে বসে রিলিফের মাল চাটে

রাজা বলে চাটে কোথা, ওরা রিলিফ বাটে

.আলেমে যায় জেলখানাতে,পূণ্য বসা খাটে

পাপের  ছাও সারাদেশে তাইতো দাদা হাঁটে

 

পাপটা বাড়ে ঝাপটা বাড়ে হয়না তাতে হুশ

করোনাটা বাপকা বেটা খায় না ধনীর ঘুষ

সে চেনে না চীন রাশিয়া, টনি ব্লেয়ার, বুশ

কাছে পেলে রাজা উজির চটকে করে তুষ

 

তার দাবীটা সোজা দাদা পাপটা ছাড়ো সবে

করোনা নিজে চলে যাবে থাকবে না এ ভবে

২৭//২১;৮টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২০৪

মিলেমিশে কাব্য খান

গুলি করে পাখি মারবেন? টোটা ভরেন বন্দুকে

আমার লেখা ভাল্লাগেতো শেয়ার করেন বন্ধুকে

শেয়ার করেন আপনজনে পড়ে সবে মজা পাক

পাড়াপড়শি মিলেমিশে পাকা কাঁঠাল সবে খাক

 

ভাল জিনিস পেলে সবাই মিলেমিশে খেতে হয়

সলো রেখে কোরাস গান সবাই মিলে গেতে হয়

রাত্রে যাবেন যাত্রা দেখতে একা গেলে মজা নাই

কাঁঠাল বেঁচে চলেন সবাই মিলেমিশে গজা খাই

 

নামাজ কায়েম করতে বলছে আল্লাপাকে কোরানে

একটা ফুলে হয়না তোড়া, দলবেঁধে কয় তোড়া নে

ইটের পরে ইট সাজিয়ে দালান কোঠা গড়তে হয়

ডাকাত এলে একই সাথে সবাই মিলে লড়তে হয়

 

একজন রাঁধে দশজনে খায় এটাই ধরার নিয়ম যে

লেখাটা যেই লাগবে ভালো সবাই মিলে মজা নে

মজার জিনিস বিলাতে হয়, খিলাতে হয় সবাইকে

এই নে দিলাম খাসি এবার দেখি করে জবাই কে?

 

মাগনা কাব্য পেলি দাদা,এবার একটু শোকর কর

কবির লেখা কাব্যকলা ছড়িয়ে দে তুই শেয়ার কর

২৭//২১;৪টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২০৫

গাজীপুরে আয়

মনে রাখিস ভোলা

আমি গাজীপুরের পোলা

 

ঢাকার আকাশ ঢাকা থাকে

আমার আকাশ খোলা

আমার খাদ্য ফলের জুস

তুই খাস কোকাকোলা

 

আমি দেখি সবুজ মাঠ

টাটকা আনাজপাতি

বাসি শাক পেয়েই তোরা

করিস মাতামাতি

 

আমি থাকি সবুজ গাঁয়ে

তুই তো মালিটোলা

আমি জানি শখটা কেন

আশি টাকা তোলা

 

ভোলা

গাছের ডালকে দোলনা করে

খাচ্ছি আমি দোলা

আমি খাই গাছপাকা ফল

তুই খাস ভেজা ছোলা

 

তাইতো তোরে বলি বন্ধু

গাজীপুরে আয়

আমার গাছের পাকা লিচু

রাত্রে বাদুর খায়

২৮//২১;১টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২০৬

পাপ করিস না সুরঞ্জনা

পাপ ছাড়ে না বাপকে মনা

ছোবল হানে পাপের ফণা

পাপ করিস না সুরঞ্জনা

পাপ করিস না আর

পাপ করা তুই ছাড়

 

পাপী মরে নিজের পাপে

বাঁচায় কি তোর মরা বাপে

চুমুক দিলে বিষের কাপে

নিজেই মারা যায়

পাপ ছেড়ে তুই আয়

 

মনকে বলো পাপ খাবি না

পাপের বাড়ি আর যাবি না

পাপ পুকুরে আর নাবি না

করবি না পাপ কাজ

হোক এ শপথ আজ

 

ছাড়েনা পাপ বাপকে মনা

পাপ করিস না সুরঞ্জনা

২৯//২১;২টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২০৭

কষ্টের কথা পস্ট কই

সে দিন কত ভালো ছিল---

স্কুলে রোজ যাইতাম

গাছের আতা পেড়ে পেড়ে

মজা করে খাইতাম

শাপলা বিলে নাইতাম

আনতে গিয়ে বেতফল দাদা

পায়ে ব্যথা পাইতাম

 

মাঝে মাঝে পড়া ভুলে

পিট্টি কেউ কেউ খাইতাম

গাবের দাগ জামায় নিয়ে

বাড়ি ফিরে আইতাম

মা বলতো ঘুমা যখন

পিটপিট করে চাইতাম

কত মজা পাইতাম

 

কি যে হইলো দেশে--

নিজের ঘরে যায় না কেউ

খুকখুক করে কেশে

কেউ এখন আর দেয় না হাত

একটু ভালোবেসে

যে যায় জেলে সেও জানে না

কেনো গেলো ফেঁসে

কি যে হইলো দেশে

 

স্কুল কলেজ বন্ধ তবু

পোলা পায় অটো পাশ

রোজ দুপুরে মেম্বার খায়

ভিয়েতনামী রাজাহাঁস

গরু নাকি মাংশ খায়

বাঘেরা খায় তাজা ঘাস

গুম হওয়া সব ছেলেগুলো

মা পায় না ফিরে লাশ

দেশের মালিক পাবলিকগুলো

জেগেই দেখে ওরা দাস

আহারে কি সর্বনাশ

 

যে ছেলেটা বকলম

কলম ধরতে শিখলো না

নিজের নামটা শুদ্ধ করে

একবারও যে লিখলো না

যুবক হয়ে ভাইভা দিলো

একবারও যে টিকলো না

অটো পাশের ফটো কিরে

চালাবে সে ছেলের দেশ

অফিস নোট লেখতে বললেই

কলম হবে নিরুদ্দেশ

কে চালাবে সে ছেলের দেশ?

 

স্কুল কলেজ বন্ধ রেখে

মুর্খামি যে শিখাইলো

ভেবে পাই না তারা তবে

কার স্বার্থটা টিকাইলো

 

আইলো দেশে জুজুর ভয়

ভয় যে মামা পাইতে হয়

হায় মামা তুই দে রে ঘুম

শিয়াল করুক মুরগী গুম

 

গুম যদি হয় সোনার দেশ

তখন তুই কার ছিঁড়বি কেশ?

২৮//২১;৪টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২০৮

সু পরামর্শ

আজও যারা যাওনি জেলে, জলদি জেলে যাও

জেলের খাওয়া অনেক মজার, মজা করে খাও

বড় বড় নেতারা সব, সে সব খেতেই জেলে যায়

জেলে গিয়েই চুপিচুপি, মজা করেই সেসব খায়

 

কী সব খানা, বলতে মানা, কেউ পায় গরম ডিম

কে আবিস্কার করলো পায়ের ডান্ডাবেরির থিম

দামী নেতা হয় রে যারা, ডিভিশনটা তারাই পায়

গা টেপার খাদেম তারা,আপসে তখন পেয়ে যায়

 

আলাদিনের দৈত্যগুলো খাবার পাঠায় কামরাতে

সব খাবারই বেজায় স্বাদ, কী মুখে কী চামড়াতে

বাজার করার ঝামেলা নাই, অর্থকড়ির নাই চিন্তা

কে জানে বাসায় থাকলে, কি দিয়ে যে কি কিনতা

 

এ জীবনে এরচেয়ে সুখ, বলো তুমি আর কি চাও?

কেউ চায়না টাকাকড়ি, বলেনা যাও,বাজারে যাও

তোমার স্নানের সাবান পানি সবই তুমি পাবে রেডি

বউ থাকতেও যেমন তোমার পানি দিত বড় জেডি

 

এসব হলো বাইরের কথা, গোপন কথা কইতে নাই

জানবে তুমি সেসব কথা, এমন লেখাও বইতে নাই

দিল্লীর লাড্ডু যে খেয়েছে, আর যে মোটেও খায়নি

উভয়েই যে পস্তায় আহা কারো আফসোস যায়নি

 

বিনা পয়সায় থাকা খাওয়ার সুযোগ যদি তুমি চাও

ভাবনা রাখো, জলদি করে জেলে সবাই চলে যাও

২৮//২১;৬টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২০৯

ধরো আগে ফরজ

ফরজ দাদা মানতে হবে, নইলে কারো গতি নাই

নফল যদি যায়রে ছুটে তাতেও কোন ক্ষতি নাই

পর্দা তোমার করতেই হবে, হালাল কামাই খাবে

নামাজ তোমার পড়তে হবে, তবেই বেহেস্ত যাবে

 

এসব কায়েম না করে যে তসবি তাহলিল করে

সে ইসলামের আপন না ভাই, শত্রু ঢুকছে ঘরে

কম্পলসারি বাদ রেখে সব, অপসোনাল সে ধরে

ইসলাম ইসলাম জিকির করে জাহেল হয়ে মরে

 

কেউ শোনো না তাদের কথা, ভন্ডামি কও ছাড়তে

নইলে এসব ভন্ডদেরকে পাবলিক আসবে মারতে

ফরজ রেখে নফল নিয়ে যে করবে ভাই টানাটানি

তারে তোমরা কেউ দিও না খাদ্যখাবার দানাপানি

 

হারাম কাজ সব বন্ধ করো, হালাল কামাই খাও

ফরজ কাজ সব পালন করো, বাঁচতে যদি চাও

মিষ্টি খাওয়া সুন্নত ঠিকই, জেহাদ কিন্তু ফরজ

নফল রেখে ফরজ কাজের আগে করো গরজ

২৯//২১;৫টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২১০

অহমিকার মোহ নয়

তোমার দাপট তদ্দিন আছে যদ্দিন আছে শ্বাস

এ নিঃশ্বাসটা বন্ধ হলেই ঘটবে দারুণ সর্বনাশ

শ্বাসে যে হয় রাজা সে, শ্বাস বিনে হয় মরা লাশ

তার ওপরে থাকে তখন কিছু মাটি, বিছু বাঁশ

 

মরলে হাতি তখন তারে তেলাপোকাও খায়

মস্ত হাতির দাপট তখন নিজেই লজ্জা পায়

এত এত সহায় সম্পদ লাগে না যার কাজে

সেই মানুষের দম্ভ দাপট করাটা কি সাজে?

 

নাম ও কামের যশ-খ্যাতি, কবরে সে যায়না

রাজপ্রাসাদী খাদ্যখানা কবর তাও খায়না

কবর দেখে পূণ্যের দানা আছে কি না সঙ্গে

না যদি পায় কবর কি তা, বুঝে নধর অঙ্গে

 

রূপ ও ধনের দেমাগ- যশ, নষ্ট করে সব

অহমিকার মোহ থেকে বাঁচাও তুমি রব

২৯//২১;৪টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২১১

জানা থাকলে বলেন

যে করে না নামাজ রোযা, মানে না কোরান

কোন কারণে তারেও তুমি বলো মুসলমান?

 

মুসলমান কি চায়না মাল, তারে কেনা যায়

নাকি এটা টেস্টি খাবার কেএফসিতে খায়?

 

গাছে যদি লেবু ঝুলে, আমগাছ কেন বলো

খোদার বিধান মান্য করে কোরানমত চলো

 

তবেই তারে মুসলিম কয়, নাকি এটা ভুল?

ঈমান আমল ছাড়া কই পাও ঈমানের মূল?

 

বেহেস্ত যাবার টিকেট কিরে নগদ কেনা যায়?

মুসলমানের বাচ্চাও কি হারাম জিনিস খায়?

 

আল্লাহ যেটা হারাম করছে, হালাল করে কেডা

সেও যদি হয় মুসলিম, কে শয়তানের জেডা?

 

আপনার যদি জানা থাকে স্পষ্ট করে বলেন

মুসলিম হলে ইসলামটাকে শক্ত করে ধরেন

৩০//২১;১০টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২১২

হালুম ও মালুম

হালুম

এমন করে চুপিচুপি চলে গেলেন মালুম?

ভেবেছিলাম আপনার পায়ে আরো ডলার ঢালুম

আপনার মত পা চাটারে আরো কয়দিন পালুম

আপনি তো আর সিনহা না পিন্ডি কেন গালুম

এখন যে কি করি আমি হয় না কিছু মালুম

কারে পামু আপনান মত যার পায়ে তেল ঢালুম

বলতে পারেন মালুম?

 

সাঈদী হুজুর যায়নি মারা এখনো সে বন্দী

বুঝতেছি না শেষে কিনা করতে হবে সন্ধি?

চলে গেলেন জেতা রেখে এমন প্রতিদ্বন্দ্বী

কনতো এখন কে করবে তাকে মারার ফন্দি?

হালুম

এভাবে কি যেতে হয় প্রসিকিউটর মালুম?

 

সামনের বিপদ পাড়ি দিতে একা আমি পারুম?

আপনি নাই কার ওপরে বলেন তো রাগ ঝারুম?

ক্ষমতা যে কার হাতে বুঝলেন কিছু মালুম?

ইচ্ছে করছে চিল্লাই এখন- হালুম হালুম হালুম

আমার সাথে কে ধরবে কোরাস এখন মালুম?

হালুম

বলতে পারিস মালুম?

//২১;১টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২১৩

খুশীর খবর

লকডাউনে খুশীর খবর আছে

হুকুমনামা ঝুলবে এখন সকল আতা গাছে

সে হুকুমে চলবে সবাই, খাবে আতাফল

ভয় পেয়েছো? কাঁদো কেন? মোছো আঁখিজল

 

চলবে না আর বাস, স্টিমার, চলবে না আর গাড়ি?

ভয় কি তুমি ভেলায় চড়ে যাবে শশুরবাড়ি

মনে রেখো ভেলায় কোন নিষেধাজ্ঞা নাই

আওয়াজ তোল একটা করে মাগনা ভেলা চাই

 

বিড়াল করে মিউ মিউ দাদু, কুকুর করে ঘেউ

আম কাঁঠালের বন্ধ দেই না বলো না আর কেউ

 

খুশীর খবর আরো আছে, কয়টা নেবে শুনি?

বললে দাদু কূল পাবে না তুমি একা গুনি

 

আর মরবেনা না খেয়ে কেউ, সরকার দেবে খানা

সরকারের কি চোখ কান নাই, সরকার কি কানা?

এ সরকারতো আপন সবার, বলো দেখি পর কার?

থাকা খাওয়া সবই দেবে ছমাস ধরে সরকার

 

লকডাউনের নামে চলছে দেশে আজব খেল

লকডাউন কেউ ভাঙলে হবে ছয়টা মাসের জেল

বউ পোলা কই? ডাকো তাদের চলো এবার যাই

শালাশালী সঙ্গে নিয়া জেলের জুলুম খাই

//২১;৫টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২১৪

আলোর মশাল জ্বালো

যদি ভালো বাসতে পারো

ফুলের মতো হাসতে পারো

নাশতে পারো কালো

ভালো

তবে তুমি শক্ত হাতে

আলোর মশাল জ্বালো

 

প্রেমের ওপর একটু করে

সোহাগ দানা ঢালো

জ্বালো আগুন জ্বালো

বিশ্ব জুড়ে দাও ছড়িয়ে

জোসনামাখা আলো

 

ভালো

এ পৃথিবী যাক না ভরে

আবার হেরার আলো

তোমায় দেবো প্রীতির ডালি

আরও দেবো ভালোবাসা

কাশ্মিরী লাল শালও

 

ভালো

আলোর মশাল জ্বালো

//২১;১০টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২১৫

নানী, ফানি, বানী

নানী

ভাবিস না সব ফানি

এমন খবর জানি

শুনলে বলবি, বলিস কি তুই

এতো মেহেরবানী?

 

বলছি কি আর নানী

শুইতে দেবে

খাইতে তেবে

নাইতে দেবে পানি

ঘুমের জন্য কম্বল পাবি

গায়ে নিবি টানি

 

সঙ্গী পাবি গল্প করার

বুদ্ধি পাবি আকাশ ধরার

ভাববি শুধু বসে বসে

কেমনে রাজা হবি,

সেথায় থাকে ভাবী রাজা

জায়গা পায় না কবি

 

একদিন রাজা তুললে পটল

তুই-ই হবি রাজা

সিংহাসনে বসে খাবি

ছোলা, বাদাম ভাজা

 

জেলখানাতে খানা নাই? কইছে কেডা তরে

তারা কি আর হয়রে রাজা, যারা মরে ডরে

না গেলে তুই নাই

আমি তবে যাই

//২১;০৩:৫০ মিনিট

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২১৬

কে মুসলমান

এ পৃথিবীর সকল মানুষ যাক না হয়ে ভালো

যাক না মুছে বিশ্ব থেকে যতো আঁধার কালো

বিশ্ব আবার হাসুক সুখে, শান্তি আসুক ধরায়

হেরার আলো আবার যেন বিশ্ব জুড়ে ছড়ায়

 

তোমার চাওয়া আমার সাথে মিলে যদি যায়

দূরে কেনো বন্ধু আমার আয় না কাছে আয়

সবাই মিলে আয় না সবে সুন্দর সমাজ গড়ি

মন্দটাকে দূর করতে আয় একই সাথে লড়ি

 

মন বাগানে আমরা ফুটাই ভালোবাসার ফুল

মাফ করে দেই ছোটোখাটো ত্রুটি এবং ভুল

প্রীতির ফুলে গড়ে তুলি মানব প্রেমের বাগান

আপন বুকে এখন থেকে প্রেমের চারা লাগান

 

দুনিয়া এক প্রেমের কানন, পাখিরা গায় গান

সাগর পাহাড় আকাশ মাটি সবই প্রেমের দান

একই স্রষ্টার প্রেমের ফসল সব আদমের পুত

সে মুসলমান যেজন ভাবে সেও আল্লাহর দূত

//২১;১টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২১৭

রাজা হওয়ার বুদ্ধি

রাজা হইতে বুদ্ধি লাগে সবাইতো রাজা হয়না

সেই বুদ্ধিটা কই থাকে মুখ খুলে কেউ কয়না।

গোপন খবর আমি জানি

আর জানতো আমার নানী

আর জানতো খাঁচার ভেতর বন্দী পাখি ময়না।

গোপন কথা জানতে যদি ইচ্ছে জাগে মনে

আমার কাছে চলে এসো তবে সংগোপনে।

একা এসো নিজে

রৌদ্র জলে ভিজে

গোপন কথা লুকিয়ে রেখো বুকে সযতনে।

রাজা হওয়ার ফন্দি থাকে বন্দীখানার কোণে

ভাগ্যবানরা জেলে বসেই সে সব কথা শোনে।

যারা সে সব মেনে চলে

সে রাজা হয় ছলেবলে

কখন আসবে সময় তার জেলে বসেই গোণে।

যারা যারা রাজা হইছে আগেই গেছে জেলে

ফুড়ুৎ করে ঢুকে যেয়ো তুমিও সুযোগ পেলে।

পাতি নেতা হাতি হয়

যারা বেশী জেলে রয়

এসব বুদ্ধি বিক্রি হয় শুনছি কনডম সেলে।

রাজা হবে? জেলে যাও।

মিছে মায়া ফেলে যাও।

২/৭/২১;৪টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২১৮

কখন পিঠে সয়

দেশটা থাকবে দেশের মতো

কেশটা হবে চুল

যতোই বলি সাবধান থাকিস

করিস না আর ভুল।

তবু মানুষ হারাম আয়

খেয়ে নাকি আরাম পায়।

হারাম নাকি কারো কাছে

ফুল বাগানের ফূল

মেয়েরা কয় হারাম হলো

কানে সোনার দুল।

ভুল করলে মীরের বাচ্চা

মীরজাফরও হয়

দুইশো বছর গোলামীও

তখন পিঠে সয়।

২/৭/২১;৮টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২১৯

বোকা বলে

পৃথিবী এক রঙ্গশালা

ঘটছে কি সব কারবার

যে হয় রাজা সে কেনরে

জেলখানা যায় বার বার?

 

রাজা হওয়ার মন্ত্র কিরে

জেলখানাতেই পায়

নইলে কেন নেতারা সব

জেলখানাতে যায়?

 

বুদ্ধি আমার এতোই কম

কিসসু আমি বুঝি না

তাইতো আমায় বোকা কয়

পোলার মা রোজিনা?

//২১;৯টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২২০

তোরেই দেবো গদী

চান্দের আলো মনপুকুরে

ঝিকমিক ঝিকমিক করে

তুই কি জানিস কার আঙৃল

কোস ইশারায় নড়ে?

 

নীল সায়রে যখন ওঠে

সর্বনাশা ঝড়

তখন কেন তুফান ছোটে

ভাঙে সাধের ঘর?

 

কখন ফুলে গাঙের পানি

সর্বনাশা নদী

কিসের তোড়ে ভাঙে বলতো

স্বৈরাচারের গদী?

 

বলতে পারিস যদি

তোরেই দেবো গদী

//২১;৯টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২২১

হরমুজ দাদা

চুলগুলো কালো কালো

দাড়িগুলো সাদা

কি দারুণ দেখতে

হরমুজ দাদা

 

আমাদের ডেকে বলে

চকলেট খাবি?

প্রতি ভাল কাজে এক

চকলেট পাবি

 

মাগরিব পড়া হলে

বারান্দায় এসে

আমাদের চকলেট

দেয় হেসে হেসে

 

আমাদের প্রিয় তাই

হরমুজ দাদা

প্রতিদিন চকলেট

দেয় গাদা গাদা

 

সকলের দাদা যদি

এরকম হতো

দাদাগুলো সকলেই

ভালো হতো কতো

//২১;৩টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২২২

নেতা যদি হতে চান?

আপনি নেতা হতে চান?

বেশী  করে হারাম খান

এবার একটু  ফরেন যান

এসে মারেন চাপা

ইবলিশ তখন বাপ ডাকবে

শয়তান ডাকবে পাপা

 

জোগাড় করেন পোলাপান

খেলাধুলায় করেন দান

গান বাজনায় চান্দা দেন

নেতা হওয়ার ধান্ধা নেন

চা স্টলে এবার যান

পাইকারী দর চা পিলান

 

তারপর একটু বাড়ি যান

বউরে কন, জুতা আন

মুখে দেন জর্দা পান

সঙ্গে আকিজ বিড়ি খান

 

নেতা হবেন আপসে আপ

দিলাম বুদ্ধি খাপের খাপ

 

চা টা হলো ইনভেস্ট নেতা

রিলিফ ধরেন লাভ

হাজার মানুষ মারতে পারেন

ধরেন এমন ভাব

 

কিনেন কয়টা হুন্ডা

পালেন কয়টা গুন্ডা

যত পারেন বখরা নেন

ভাল কাজে নখরা দেন

এভার ছিঁড়েন ছেড়া খেতা

কারণ আপনি বড়ো নেতা

//২১;৮টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২২৩

বেলী ফুলের মাতাল ঘ্রাণ

চাচার বাড়ি মাচা ছিল

মাচার ওপর খাঁচা ছিল

খাঁচার ওপর বসা ছিল

দুইটা মুরগী ছানা

কেউ করেনি মানা

এমন সময় সেখানটাতে

শিয়াল দিল হানা

 

চাচী বসে খাচ্ছে খানা

হঠাৎ হেসে বলল রানা

এসে গেছিস তুই

কিন্তু কোথাও পাচ্ছি না যে

সোনামুখি সুঁই

 

হঠাৎ শিয়াল আসলো দেখে

দুজন চেঁচায় হুই

সাতসকালে কোথা থেকে

আসলি শিয়াল তুই?

 

শিয়াল পালায়, মোরগ ছানা,

পালায় হাঁসের ছাও

চাচী আম্মা বলেন, এসো

মিষ্টি আলু খাও

 

কিসের বসা, রানা, খুকী

পালায় ফুলের বনে

বেলী ফুলের মাতাল ঘ্রাণ

লাফায় ওদের মনে

//২১;৬টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২২৪

যদি

হংস যদি হাঁস হয়ে যায়

গোপন কথা ফাঁস হয়ে যায়

কারো সর্বনাশ হয়ে যায়

কাছের মানুষ খাস হয়ে যায়

মরা মানুষ লাশ হয়ে যায়

 

হাতিগুলো হস্তি হলে

স্বস্তিগুলো যায় যে চলে

কেউ ডুব দেয় পুকুর জলে

কেউবা পালায় ছলেবলে

কেউ ঢুকে যায় ছাদের  তলে

 

চন্দ্র যদি চাঁদ হয়

দল থেকে কেউ বাদ হয়

বেড়া ঘরে ছাদ হয়

ইঁদুর মারার ফাঁদ হয়

কারো মরার সাধ হয়

 

বিড়াল যদি বিল্লি হয়

করতে চায় সে দিল্লি জয়

বলে আমি পাইনা ভয়

ন্যায়ের নিশান বিশ্বময়

তুলবো আমি সুনিশ্চয়

 

টিয়ার তখন বিয়া হয়

টিয়া জামাই মিয়া হয়

//২১;সাড়ে ১২টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২২৫

নতুন দিনের লেখাপড়া

-তে লিখ কলা আর খ-তে লিখ খাই

-তে লিখ গরু আর ঘ-তে মারল ঘাই

-তে লিখ চাচা আর ছ-তে ছাতিম গাছ

-তে লিখ জামাই আর ঝ-তে ঝুমুর নাচ

 

-তে লিখ টাকা পয়সা ঠ-তে ঠাকুর নেয়

-তে লিখ ডান্ডাবেড়ি ঢ-তে ঢাকা দেয়

-তে লিখ তালেব মাস্টার বসে থাকে ঘাটে

-তে থাকে ইস্কুল বন্ধ লিখন পড়ং পাটে

 

-তে লিখ দালাল এখন ধানের ক্ষেতে হয়

-ত লিখ ধন দৌলত? ক্যাসিনোতেই রয়

-তে লিখ নানা পাগল নতুন নাপিত সাজে

-তে লিখ মনুর ঘন্টা মন্দিরে রোজ বাজে

 

একইভাবে লিখ তুমি প-তে পাগল ছেলে

-তে লিখ ফেঁসে গেল চলে গেল জেলে

-তে দাও বরাক বাঁশ যারে তারে পারো

-তে লিখ ভাগ্যবদল হয়না মনা কারো

 

-তে যারা সকাল বিকাল যাত্রা দেখতে চাও

-তে তারা তল্পি গুটাও, সংসদ ভবন যাও

-তে লালৃর গাঞ্জাতে দাও মহা সুখের টান

-তে বাবার ফু-এর দেখো কত কি যে শান

 

-তে নাকি হজ্জে গেছে শয়তান বৃন্দাবনে

-তে তার সঙ্গী হইছে পরীর তিন শ কনে

নতুন দিনের লেখা-পড়া নতুন করে শেখো

দেশে চলে রূপবান পালা মজা করে দেখো

//২১;৮টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২২৬

যার কাছে যা ভালো

কারো কাছে কালো ভাল, কারো কাছে লালও

কেউবা বলে সবাই মিনে জ্বালো আগুন জ্বালো

কেউবা হাসে কথা শুনে কেউবা ফুলায় গালও

যার কাছে যা ভালো

 

কেউবা খোঁজে রৌদ্র অঢেল কেউবা চান্দের আলো

মানুষ যখন আলো খোঁজে, চোরে আঁধার কালো

আঁধার যতোই নিকষ হয়, ততোই আঁধার ভালো

তোমার কাছে মৎস্য ভালো জেলের কাছে জালও

যার কাছে যা ভালো

 

তোমার কাছে চন্দ্র ভালো আমার কাছে নদী

কারো কাছে শান্ত জীবন কারো কাছে গদী

কারো আপন গরম দুধ, কারো শীতল দধি

আমার প্রিয় খিলখিল করে তুমি হাসো যদি

 

যার কাছে যা ভালো

দুষ্ট গরুর চেয়ে গোয়াল খালি থাকা ভালো

নষ্ট খাবার চেয়ে ভালো গরম গরম ডালও

//২১;৫টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২২৭

আলোর পাহাড়

যে আলামত দেখছি আমি তুমি দেখতে যদি

বলতে তবে আলোয় ভরবে দুখের ভরা নদী

আবার উঠবে রাঙা সুরুজ রক্ত নদীর জলে

পাহাড়গুলো ডুবে যাবে গভীর সাগর তলে

 

পদ্মা নদীর চরে আবার জাগবে সবুজ ঘাস

খেলবে তাতে অগ্নিশিশু, হাসবে বারোমাস

সাগর পাড়ে ভিড়বে তরী, আসবে সওদাগর

তরী ভরা নূরের পাহাড়, বলবে নে ভাই ধর

 

এ নূরে তোর হৃদয় ভরুক আলোয় ভরুক ধরা

বিশ্ব থেকে যাক পালিয়ে আঁধার, ব্যধি, জ্বরা

সুবাতাসের আওয়াজ যেন পাচ্ছি আমি টের

আঁধার গিয়ে আলোয় ভরবে বিশ্বভুবন ফের

 

মিনার থেকে দিচ্ছে আজান যুগের মুয়াজ্জিন

বিশ্ব আবার ভাসবে সুখে, হাসবে খোদার দ্বীন

//২১;৮টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২২৮

ইতু মিতু দুই বোন

ইতু মিতু দুই বোন, দুইজনই দুষ্ট

একজন লিকলিকে একজন পুষ্ট

একজন হি হি হাসে আর জন রুষ্ট

অভিশাপ দিয়ে বলে তোর হবে কুষ্ঠ

 

সারাদিন ঝগড়া আর সারাদিনই মিল

ক্ষণে করে গলাগলি, ক্ষণে দেয় কিল

হাসলেই দাঁতগুলো করে ঝিলমিল

কেউ আগে ঘরে ঢুকে এঁটে দেয় খিল

 

দুজনেরই মাথা ভাল, বুদ্ধিও রেশী

বিদেশের খানা ফেলে খায় ওরা দেশী

খায় ওরা গাছ থেকে তাজা ফল পেড়ে

মিলেমিশে গান গায় হেড়ে গলা ছেড়ে

 

মন দিয়ে দুজনেই লেখাপড়া করে

সারাদিন টই টই, রাত হলে ঘরে

মাস্টার ডেকে বলে, শোন ওরে শোন

মিছে কথা বলবি না কভু দুুই বোন

 

মাথা নেড়ে সায় দিলে খুশী হন স্যার

এই হলো দু বোনের কাজ কারবার

//২১;১০টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২২৯

লাভ হবে না

ত্রিশ টাকার মলা যখন

তিনশ টাকা হয়

বুঝবি তখন উন্নয়নের

জোয়ার দেশে বয়

 

ঢাকা থেকে নৌকা করে

যেদিন যাবি চাটগাঁতে

উন্নয়নের আসল মজা

সেদিন পাবি দিনরাতে

 

সিঙ্গাপুরে যাবেন মামা

নৌকায় উঠে বন

পরীটরী লাগবে কী না

খোলাখুলি কন

 

উন্নয়নের ঠেলায় মামা

শহর নগর ভাসে

গাড়ির আগে নৌকা চলে

লোকে দেখে হাসে

 

আর হেসো না, সবুর করো

নৌকা দেবে উড়াল

লাভ হবে না সেদিন নিলে

সড়কি, লাঠি, কুড়াল

//২১;৪টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৩০

ধাঁধাঁ

হেসে বললাম, দাদা

আয় না খেলি ধাঁধাঁ

 

মা-এর ভাই সে মামা হয়

মামার ভাইকে সে কি হয়?

তুইতো হলি খালতো ভাই

কেমনে হবি তালতো ভাই?

 

পারলে দেবো গরম চা

নইলে কাঁচা করমচা

করমচাটা বেজায় টক

খায়না তারে সাদা বক

 

কে খায় বসে করমচা

সঙ্গে তিন কাপ গরম চা

তাও পারলি না? বোকা রাম

কেমনে খাবি ফজলি আম?

 

কেমনে খেলবি ধাঁধাঁ ভাই

কোন হাঁটে বল গাধা পাই?

গাধা যদি বোঝা বয়

কয় গাধাতে নেতা হয়?

 

যায় না কেন স্বৈরাচার?

পদ্মা নদীর কয়টা পাড়?

কেন মানুষ খাচ্ছে মার?

একবার নয় বারংবার

//২১;৮টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৩১

জিন্দাবাদ,জিন্দাবাদ

কোথায় তুমি সিন্দাবাদ

করো সবার দীল আবাদ

উপড়ে ফেলো সব বিবাদ

বিশ্বে জাগাও এক নিনাদ

এক আল্লাহ জিন্দাবাদ

জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ

 

বিশ্বে আবার বাজুক ধ্বনি

আল্লাহু আকবার

দাও গুটিয়ে বিশ্ব থেকে

শয়তানী কারবার

বলো, সবাই সমস্বরে আল্লাহু আকবার

আল্লাহু আকবার বলো আল্লাহু আকবার

 

আমরা সবাই মুসলমান

সবার জন্য এক বিধান

এক হুকুম, এক ফরমান

জাগো জাগো মুসলমান

আঁকড়ে ধরো আলকোরান

আলকোরান, আলকোরান, আলকোরান

আবার তুমি হও মানুষ, হও ইনসান, মুসলমান

 

উড়াও নিশান সিন্দাবাদ

এ ধরাধাম করো আবাদ

বিশ্বে তোল এক নিনাদ

নাই ভেদাভেদ নাই বিবাদ

এক আল্লাহ জিন্দাবাদ

জিন্দাবাদ, জিন্দাবাদ, জিন্দাবাদ

 

আমরা সবাই আদমজাত

একই ভাগ্য  এত বরাত

কিসের তবে ভেদ বিবাদ

জানাও তারে নিন্দাবাদ

একই আকাশ একই চাঁদ

এক আল্লাহ জিন্দাবাদ

জিন্দাবাদ,জিন্দাবাদ, জিন্দাবাদ

 

এক আল্লাহ জিন্দাবাদ

একই রক্ত এক জামাত

এক জনমের পাই হায়াত

প্রেম পীরিতি জিন্দাবাদ

মায়া মমতা জিন্দাবাদ

মানবতা জিন্দাবাদ

এক আল্লাহ জিন্দাবাদ

জিন্দাবাদ,জিন্দাবাদ, জিন্দাবাদ

//২১;৭টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৩২

খোকারই হয় জয়

হীরালালে কিরা কেটে গিয়েছিল চলে

আসবেনা সে কোনদিন গিয়েছিল বলে

বাপ ছিল তার মুক্তি

তার ছিল এক যুক্তি

যে বাপ দেশ স্বাধীন করে নিজেই গুম হয়

সেইটা হলো বধ্যভূমি স্বাধীন দেশ সে নয়

 

গুমের দেশে থাকবে না আর হীরালালে তাই

বললো, আমি বাঁচার মতন স্বাধীনতাটা চাই

স্বাধীনতা জন্মঅধিকার

যে মানে না সে স্বৈরাচার

স্বাধীনতাটা কেড়ে নেয়ার শক্তি কারো নাই

বাঁচতে হলে পাখির মতন স্বাধীনতা যে চাই

 

যে স্বাধীনতা বাপকে কাড়ে, মায়ের চোখে জল

তাকেও কি তুই স্বাধীনতা বলতে পারিস, বল?

মাকে যারা ভালবাসে গভীর অনুরাগে

সে কিভাবে থাকবে বল এমন দস্যুবাগে

মায়ের চোখের জল সেখানে আনবে গযব ঢল

এই দেশ ছেড়ে যাই পালিয়ে বাঁচতে হলে চল

 

খাবার জিনিস না খেলে বাপ পোকামাকড় খায়

যাসনে হীরা স্বদেশ ছেড়ে, আয়রে ফিরে আয়

পোকা দেখলে তাড়াতে হয়

বীরের মতন দাঁড়াতে হয়

বোকা ছেলে পোকা দেখে ভয়  পেলে কি হয়?

খোকা দেখে পোকা পালায়,খোকারই হয় জয়

//২১;৮টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৩৩

পিঁপড়ে ও ভেজা ভাত

গীতিকার গান লেখে ছড়াকারে ছড়া

কবিতা তো কবিদের নিজহাতে গড়া

কথা কয় কথাকার জেনে রাখা ভাল

জেলেরা মাছ ধরে হাতে নিয়ে জালও

 

কলমে লেখতো মানুষ কোন এক কালে

তারও আগে লেখা হতো বৃক্ষের ডালে

আজকাল নেটে নাকি হয় লেখালেখি

নকলিস্ট লেখে ভাই করে দেখাদেখি

 

এইসব জেনে শুনে যারা মিছে কয়?

তারা অতি চালাক? নাকি বোকা হয়?

বুঝে কম, খোঁজে তাই বুদ্ধির ঘোড়া

খুঁজে হয় হয়রান যে কপাল পোড়া

 

আজকাল ভুলভাল কত জনেই লেখে

কেউ কেউ নাম মুছে আঁড়চোখে দেখে

কেউ কেউ সঙ সাজে রঙ মেখে মেখে

বাপ ছাড়া পোলা হয় কেউ কেউ লেখে

 

কার পানি পড়েছিল কবে কার পেটে

এইসব কেউ কি রে দেখে নেট ঘেঁটে?

বাপহীন পোলাপান কেউ কেউ পালে

কেউ কেউ ধরা খায় শিকারীর জালে

 

দেশ সেরা চোর যদি ক্ষমতায় বসে

ছোট চোর ডুব দেয় অমৃতের রসে

এই ভাবে চোরে চোরে দেশ ভরে যায়

পিঁপড়েরা বসে বসে ভেজাভাত খায়

১০//২১

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৩৪

ছড়া লেখ

বিড়াল বলে মেও

মাছের কাটা দেও

কুকুর বলে ঘেউ

হাড্ডি দিবা কেউ

 

ছাগল বলে ভ্যা

হাড্ডি খাবি ক্যা

হাঁস বলে প্যাক প্যাক

কথা নয় লেখ লেখ

 

মোরগ বলে কুক্কুরু

দিন হয়েছে এই শুরু

ব্যাঙ বলে ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ

লাফ দিও না ভাঙবে ঠ্যাং

 

বাকী ছড়া তুমি লেখ

ছড়াটড়া লিখতে শেখ

১০//২১;৭টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৩৫

ঝিলমিল ঝিলমিল

নদীর পানি ঝিলমিল ঝিলমিল

সোমা হাসে খিলখিল খিলখিল

কেঁচো করে কিলবিল কিলবিল

বয়স বাড়ে তিলতিল তিলতিল

 

তুমি কি তা দেখতে পাও

নাকি শুধু আচার খাও?

 

ধুত্তুরি ছাই চটর চট

তোমার খালি ফটর ফট

কটকটি খাও কটর কট

আর করো না পটর পট

 

চোখে দেখো শর্ষে ফুল

তাই তো এতো কর ভুল

বান্ধো নিজের আলগা চুল

ফুটবে তবে গোলাপ ফুল

১০//২১;৮টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৩৬

ধরো খোদার দ্বীন

মুখে মুখে তর্ক করলে করতে পারিস

ইচ্ছে হলে ভাগ্য সাথে লড়তে পারিস

তাজা বুলেট চাইলে তুই ধরতে পারিস

মধ্যরাতে মরতে চাইলে মরতে পারিস

 

মিছে কথা মনে চাইলে কইতে পারিস

মিথ্যাবাদী হতে চাইলে হইতে পারিস

ভাগ্যের লেখা মোটেই তাতে মুছবে না

ভাবিস না তুই যা ঘটার তা ঘটবে না

 

যা ঘটার তা ঘটবে, কিছুই করার নাই

মরার যে জন মরবে কিছু ধরার নাই

এক নিমিয়ে হারিয়ে যাবে দেহের দম

জান করবে কবজ এসে জানের যম

 

ভেবেচিন্তে কর্ম করো, ধরো খোদার দ্বীন

পরকালে করবেন ভাল রাব্বুল আলামীন

১০//২১;৯টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৩৭

আরবী বর্ণের ছড়া

আলিফ বা তা ছা

চল মুক্তাগাছা

জিম হা খা দাল জাল

বোম্বে মরিচ খেতে ঝাল

 

রা যা সীন  শীন

এসো মানি রবের দ্বীন

ছোয়াদ দোয়াত তোয়া জোয়া

আযান হলে কে রয় শোয়া?

 

আইন গাইন ফা ক্বাফ

তওবা করো, চাওরে মাফ

কাফ লাম মীম নুন

ক্ষমা করা মহৎ গুণ

 

ওয়াও হা ইয়া ইয়া

হজ করো কাবা গিয়া

আরবী হরফ পড়া শেষ

বাঁচাও আল্লাহ বাংলাদেশ

১০//২১;৮টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৩৮

পাত্রী দেখা

রাত্রিবেলা তোমরা কেউ

পাত্রী দেখতে যেয়ো না

এই বয়সে পোলার বাপ

ধোঁকা তুমি খেয়ো না

 

পোলার চোখতো নষ্ট এখন

যা দেখে তাই ভালো

সে কি জানে কনে দেখার

সময় দিনের আলো

 

পেত্নিগুলো পার্লারে যায়

পরী হয়ে আসে

সেই মেয়েকে এনে খোকা

চোখের জলে ভাসে

 

জোয়ান কালের হিসাব ভোল

চোখের রঙিন চশমা খোল

 

পোলার কথায় মজে গিয়ে

ধোঁকা তুমি খেয়ো না

রাত্রিবেলা পাত্রী দেখতে

কখনো কেউ যেয়ো না

 

সঠিক কাজটা আগে করো

পরে নিঃশ্বাস ফেলো না

নিজের পাখনা সামলে রেখো

পাখনা বেশী মেলো না

১১//২১;১টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৩৯

যাচ্ছি উড়ে

লাচ্ছি খেতে যাচ্ছি যখন দু ভাই মিলে দোকানে

বাবা বলল, কইরে তোরা, নে আমটা খোকা নে

গাছের পয়লা আম রে এটা, দু ভাই মিলে খা

কালকে কিছু আম নিয়ে তৃই নানা বাড়ি যা

 

বাবা আমরা চাচ্ছি এবার তুমিও চলো সাথে

দেখবে মামা কেমন করে কুপিয়ে মাছ গাঁথে

গাঁয়ের মেঠো পথটা দেখে কী যে মজা পাচ্ছি

দু ভাই মিলে গলা ছেড়ে খুশীতে গান গাচ্ছি

 

খাবার চেয়ে আম পাড়াতে আমরা মজা পাচ্ছি

ভাবটা দেখেই হচ্ছে মনে, দু ভাই মিলেই নাচছি

রসভরা আম পেলে বলো, কে খেতে চায় লাচ্ছি

তুমিও না হয় সঙ্গে চলো,এই তো আমরা চাচ্ছি

 

সবই বুঝতে পাচ্ছি রে বাপ সবই বুঝতে পাচ্ছি

মনে হচ্ছে, তোদের সাথে আমিও উড়ে যাচ্ছি

১৩//২১;৪টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৪০

এই দেশ কোরানের

হাতে দাও হাত

কাঁধে দাও কাঁধ

যারা এই দেশটারে

করে বরবাদ

ভেঙে দাও ভেঙে দাও

সেই কালো হাত

 

যদি উৎপাত

বেশী বেড়ে যায়

যদি সংঘাত

কভু  এসে যায়

তোমার উঠোনে যদি

বাদুর লাফায়

করো তারে তাড়া

ভাঙো শিরদাঁড়া

দেখো কারা ঘরে

আগুন জ্বালায়

দাও তার মুখে দাও অগ্নি

হোক না সে চেনা ভাই ভগ্নি

 

যদি আসে ঘাত

করো প্রতিঘাত

ধরো কমজাত

ভাঙো তার হাত

আর নয় রাত

আনো রে প্রভাত

বাজুক ফের তুর্য

আনো নব সূর্য

আর নয় ভয় টয়

আর নয় পরাজয়

 

বিদেশী দালাল

সকলি হালাল

গুম দিলে গুম

চুম দিলে চুম

যা দিবে তা পাবে

মেরে মার খাবে

এক সাথা দুই হাত

তোরও আছে নির্ঘাত

তারও বেশী নয়

তবে কেন ভয়?

নয় নয় ভয় নয়

এইবার চাই জয়

 

ভয় নাই ভয় নাই

জালিমেরা রয় নাই

জুলুম কেউ সয় নাই

জালিমের জয় নাই

যত থাক রক্ষী

গিলে খায় পক্ষী

শোধ করো এইবার

যত আছে ঋণ তার

গুণে দেখো কয় মার

বুক খালি হলো আর

পা নাই কার কার

আর নেই হাত কার

বলো দে এই বার

কে কে দিবি হাত কার

নিলে তা দিতে হয়

লেনদেন ফি তে হয়

 

দিন শেষ জালিমের

এই দেশ আলিমের

এই দেশ আল্লাহর

তাঁর প্রিয় বান্দার

দেশ নয় চোরাদের

এই দেশ কোরানের

 

এই দেশ কোরানের

এই দেশ কোরানের

১৩//২১;৮টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৪১

চাপাবাজি ছাড়ুন

খুবতো করেন বাহাদুরী, চেহারাটাও দারুণ

নামটা বলেন সুমাইয়া, অখিলচন্দ্র, হারুন

কত কিছুই পারুন

চাপাবাজি ছাড়ুন

করোনা যে এতোই ছোট তারে ধরেই মারুন

ইঞ্জিনিয়ার হারুন, দেখি তো কি অ পারুন

 

সুমাইয়ার দিন ঘুমাইয়া যায় রুপের দেমাগ  দারুণ

আপনার এ বূপ কে দিয়েছে বলতে কি তা পারুণ?

বিবেকটাকে নাড়ুন

রূপের দেমাগ ছাড়ুন

ঈর্ষা এবং অহংকারকে বুকের তলায় মারুন

রূপ নয় সবার প্রিয় হয়ে সমুখপানে বাড়ুন

 

অখিলচন্দ্রের ধনের দেমাগ, স্মরণ করুন কারুণ

তার ধন তারে মরণ দিছে, আপনি দেমাগ ছাড়ুন

নইলে আগে বাড়ুন

মরেন যত পারুন

ধনদৌলত, রূপ রস যশ, গায়ের থেকে ঝারুন

যে যতোটা পারুন দাদা গো, যে যতোটা পারুন

১৩//২১;১১টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৪২

আজব দেশ

কেউ কি জানতো হ্যাবলাকান্ত পড়বে এমন বিপদে

হঠাৎ হাটে মারবে তারে, জানোয়ার নয়, দ্বিপদে

ঘটনাটা এবার একটু খোলাখুলিই বলি

ঘটনাটা দেখি আমি পেরিয়ে চিপা গলি

 

বড় রাস্তার ধারে

কে জানতো কয় বাটপারে

গেড়েছিল আস্তানা, পড়েছিল দাস্তানা

লোকটা বেঁচতো কলা, খেলো ওদের ডলা

 

বাটপারগুলো বললো চাচা, কলা কি সব কাঁচা?

দারুণ স্বাদের কলা সবই, খেয়ে দেখুন, হাচা

বাটপার কলা খায়

খেয়ে মজা পায

বলে চাচা আপনার কলা দারুণ দারুণ দারুণ

কমেন্ট শেষ এবার চাচা জব্বর জবাব ছাড়ুন

 

হ্যাগো চাচা, জবাব

আপনি খাবেন হাড্ডি আর আমরা খাবো কবাব

আপনার হয়তো জানা নাই, আমিই দেশের নবাব

 

এই যে বললাম "দারুণ"আমি,এ কমেন্টের দাম চাই

খাইছি কলা কষ্ট করে কষ্টের না হয় দাম নাই

কলা খেয়ে মজা মারলাম, তার কি কোন দাম নাই?

 

কলা খাইছি, কলা শেষ এর দাম দেবে বাংলাদেশ

খাইছি কলা লাগছে মিডা জবাব দেয় না, ধইরা পিড়া

অভদ্র তুই, ছোট লোক, জবাব না দিস খাওয়া কোক

কলা কেন আনলি হাটে এ জন্য ওঠ মরার খাটে

 

কলার কোন দাম নাই, কমেন্ট করছি, দাম চাই

এইটা দাদা আজব দেশ, শুভংকরের বাংলাদেশ

১৪//২১;২টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৪৩

প্রেমপাখি

কেমন আছেন মিয়া ভাই

প্রেমের কোন দলীল নাই

জমি ছাড়াই জমিদারী

পলকে দেয় সাগর পাড়ি

 

ছোট্ট সোনার ময়না পাখি

তারে কোথায় ঢেকে রাখি

দারুণ রকম স্বপ্নচারী

ক্ষণে যায় সে ফুপুর বাড়ি

 

ক্ষণে করে ডাকাডাকি

প্রেম হয়ে যায় পাকাপাকি

ময়নার কোন গয়না নাই

গয়না কিনতে কোথায় যাই

 

প্রেম যে আমার বুবুর বোন

খায় না দিলে আফলাতুন

সে খেতে চায় জল ময়ুুর

একাই যায় সে গাজীপুর

 

প্রেমের নাইরে বাড়িঘর

তারে পাবি তেপান্তর

১৪//২১;১১টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৪৪

কতো কিছু

কতগুলো বান্দর আছে, সুন্দর সুন্দর কয

আসলে সে লেখাগুলো মোটেও সুন্দর নয়

কেউবা খায় পাকা আম কেউবা খায় কাঁচা

আমার যিনি কাকা হন, তিনিই কারো চাচা

 

মোটাতাজা লোকটারে কেউ ইন্ডিয়ানও কয়

তবে কি ভাই তারা কেউ আদম জাতের নয়

আমরা যদি মানুষ হই, কেনবা তোমরা মানব

বলতে পারো কে যে ভাল, মানুষ নাকি দানব?

 

মুসলমান হয় মুসলিমও কেউ হয়ে যায় আলেমও

সেও যদি বয় সিংহাসনে, হয়ে যায় সে জালেমও

কতো কিছুই শেখার আছে, কতো কিছুই দেখার

কতো কতো কথা আছে, সব কথা কি লেখার?

 

কতো কিছুই দেখার ছিল , হয়নি দেখা কতো

তাইতো প্রভু তোমার কাছেই করছি মাথা নত

এই দুনিয়া মেহমান খানা, দুহাত মেলে খাও

এবার একটু শোকর করে গুণগান তাঁর গাও

১৪//২১;৮টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৪৫

মায়ের চা খাওয়া

মায়ের ছিল চায়ের নেশা

চা আনতে যায় মুটকি এশা

মা হেসে কয়, কি রে

চায়ে তেখি গন্ধ ভাসে

হলুদ এবং জিরে

 

এশা তখন ফিরে

বলল, খালা, কীরে

দেইনি আমি মোটেও চায়ে

হলুদ এবং জিরে

 

মা হেসে কয়, থাক

আর দেখাসনে রাগ

চা চামচে দেখতে পাচ্ছি

হলুদ, জিরের দাগ

 

চামচ ধুয়ে রাখতে হয়

পয়পরিষ্কার থাকতে হয

১৬//২১;ভোর ১২:৫০ মিনিট

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৪৬

আমি

আমি

সহজ কথা বলি

সহজ পথে চলি

সহজ কিছু পেলে আমি

করি গলাগলি

 

আমি

সত্য কথা বলি

মিথ্যা পায়ে দলি

চাই না কেউ মিথ্যা কথা

করুক বলাবলি

 

আমি

কুড়্ই ফুলের কলি

ঘুরি শহরতলি

আমি কেমন সেটা জানে

পলি এবং মলি

আরো জানে খালা ফুপি

জলি এবং ডলি

 

আমি

সহজ পখে চলি

সহজ কথা বলি

আমার মোটে ভাল্লাগে না

ঝগড়া, দলাদলি

১৬//২১;রাত ৩টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৪৭

বর্ষা এসে

বর্ষা এসে ফর্সা আকাশ করে দিলো কলো

বিপ্লবীরা তবু বলে, জ্বালো আগুন জ্বালো

আগুন জ্বালো অন্তরে, থাকলে মনে কালো

ময়লাভরা হৃদয়গুলোয় বৃষ্টির পানি ঢালো

 

আসুক দেয়া কদম কেয়া ভিজুক বানের জলে

পাপের ময়লা ডুবুক এবার গভীর পানির তলে

বিশ্বটা হোক পাকপবিত্র মনটাও হোক ভালো

মনে জ্বলুক তারারবাতি, জ্বলুক চাঁদের আলো

 

বর্ষা এসে ফর্সা আকাশ যতোই করুক কালো

সে যদি ধোয় পাপদুনিয়া সেটা অনেক ভালো

পাপ সায়রে আগুন লাগুক, পুড়ুক পাপী বন

বর্ষা এসে দিকনা ধুয়ে,পবিত্র করুক সব মন

১৬//২১;৩টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৪৮

করোনাকাল

করোনাতে কতকিছু ঘটে গেল এইবার

না বলেই চলে গেল কতো কতো নেইবার

রাজপথে ঘাম নেই

অফিসেও খাম নেই

মানুষের দাম নেই

রিকসার জ্যাম নেই

নেই নেই মিছিলের হয় শুধু উৎপাত

গাঁয়ে আছে লোকজন নেই ফুটপাত

 

ঘরে থাকি তবু আহা লাগে কি যে ভয়

পেটে নাই ডাল ভাত, ক্ষুধা কতো সয়

হাতে কোন টাকা নেই

ঢাকা আর ঢাকা নেই

সাইকেলে চাকা নেই

মামা আছে কাকা নেই

নেই দিন রাত, মানুষের জাত, কুকুরের দাঁত

দিন যায় রাত যায় মানুষের নেই মোলাকাত

১৬//২১;৯টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৪৯

কেউ মাথা নাড়ে না

যতো ভাবি এতকিছু লিখবো না আর

কাতুকুতু খেলে হুশ থাকে নারে আর

ছাইপাশ লিখে রাখি বাইপাস সড়কে

পাপ যদি করো তবে যেতে হবে নরকে

 

নরকের স্যুপ হয়, ওয়াক থু, -- কমু না

পঁচাকথা বলে কারো অভিশাপ লমু না

দেশ আর দেশ নাই, পাপে ভরা যমুনা

বাংলার পথে ঘাটে কতো কতো নমুনা

 

লেখা পড়ে মজা পায়, পাপ কেউ ছাড়ে না

করোনা রে যাবি তুই? সেও মাথা নাড়ে না

মাথা কেউ নাড়ে না, শুয়ে থাকে করোনা

কতোলোক মারা যায়, খবরে কি পড়ো না?

১৭//২১;১টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৫০

কিসের তবে মরার ভয়

হায়াত মউত খোদার হাতে

হায়াত থাকতে মরণ নাই

জন্মটাইতো মরার টিকেট

মরবে শুনলেই ডরণ নাই

 

হায়াত মউত খোদার হাতে

তবে তোমার কিসের ডর

ন্যায়ের পথে মরতে হলে

বীরের মতো লড়াই কর

 

এ জীবনে মরবে না কেউ

এমন কথা কে বলে?

মরার টিকেট ঝুলে দেখো

দিবানিশি কার হলে

 

আসা যাওয়া তাঁরই হাতে

আসলে ভবে যেতেই হয়

সবাই যদি মারাই যায়রে

মরতে তবে কিসের ভয়?

 

কেউ থাকে না এ ধরায়

মরতে তবে কে ডরায়?

১৮//২১;২টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৫১

আমাদের মটু মামা

আমাদের মটু মামা

গান গায় সারেগামা

লোকে বলে ওরে গামা

তোর গান থামা, থামা

 

মামা তবু থামে না

একা একা বটগাছে

বসে থাকে, নামে না

হাওয়া খায় ডালে বসে

তাইতো সে ঘামে না

পড়ে যাবি চিল্লায়

নিচে থেকে আমেনা

 

আমেনা টা চিল্লায়

তাই শুনে বিল্লায়

বলে, মটু কিল্লায়

নামবি না বল তো

মটু বসে চুপচাপ

শুধু হাত ডলতো

 

গান গায় সারাদিন

ছুটে আসে আলাদিন

বলে, ধরে তালা দিন

তারপর মালা দিন

বলছি কি, ইয়ে

দিয়ে দিন বিয়ে

 

দেখবেন সাত দিন

ঘরে থাকে রাত দিন

পথে বের হয় না

বটগাছে বয় না

শুনে গায় মটু মামা

সারেগামা, সারেগামা

 

সারেগামা মামা গায়

দুধভাত কাকে খায়

পাবলিকে বাঁশ খায়

রাজারানী লাশ খায়

১৮//২১;১১টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৫২

মানুষ হওয়া

কবে হবে বুদ্ধি আমার, কবে হবো মানুষ

খবর কি তুই জানোস, কতটুকু জানোস?

স্কুল,কলেজ পড়ে বল,কেউ কি মানুষ হয়

কে কে ছাড়ে মন্দ কর্ম, করে খোদার ভয়?

 

যে বানালো ভালবেসে তারে যেজন মানে না

মানুষ হওয়ার ফর্মুলাটা আসলে সে জানে না

পড়তো যদি পাখির কাছে, ফুলের কাছে বসে

"মুই কি হনু"র অহংকারটা পড়তো তবে খসে

 

অহংকারের পোশাক যদি খসে পড়ে তবে

হয়ত লোক মানুষ তারে বলতে পারে ভবে

অকাতরে পরের তরে যে জন বিলায় জান

সে লোকটাকে সবাই বলে মানুষ মহীয়ান

১৮//২১;৮টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৫৩

আমার গাঁয়ে আও

বৃক্ষ ছায়ে শীতল বায়ে আলতো পায়ে আও

আমার গাঁয়ের শান্তি সুধা পরাণ ভরে খাও

ঢঙ করো না, বটের তলে টঙ দোকানে বও

এই যে আছে বিস্কিট আর রঙ চা সবে লও

 

জমির চাচা আসলে আজব গল্প হবে কতো

বটের গোটা পড়বে মাথায় টপটপ অবিরত

সন্ধ্যে হলে বাঁশের ঝাড়ে জমে পাখির মেলা

পড়তে বসে সোনার ছেলে সাঙ্গ করে খেলা

 

এলে ঘরে কৃষ্ণরাতি ঝিঁঝিঁ পোকা জ্বালে বাতি

সেই আলোতে অংক কষে বৈরাম খাঁর নাতি

বুড়ো দাদুর খড়ম কৈগো, খোঁজো আতিপাতি

মসজিদে যাও, অযু করো, ছাড়ো মাতামাতি

 

এইতো আমার গাঁয়ের ছবি শাপলা ফোটা বিল

পুকুর জলে তারার আলো করে রে জিলমিল

বুবুর হাতের তেলের পিঠা, ঘ্রাণ যদি কেউ চাও

দুর্বাঘাসের মাঠ পেরিয়ে আও না গাঁয়ে আও

১৮//২১;১১টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৫৪

দোয়া চাই

আমি যদি চলে যাই

নবাইকে বলে যাই

গণহারে মাফ চাই

নিজগুণে সকলেই

ক্ষমা করে দিন

সেই সাথে সকলেই

ভালবাসা নিন

 

কখন যে চলে যাবো

জানি নারে ভাই

আল্লাহর কাছে যেন

আমি ক্ষমা পাই

সকলেই এই দোয়া করবেন

আজ হোক কাল হোক

সকলেই একদিন মরবেন

 

মরে যেন ক্ষমা পাই

শুধু এই দোয়া চাই

২০//২১;বাদ ফজর

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৫৫

পাপ ও পাপী

জগতের যতো লোক সকলেই পাপী

কার পাপ বেশীকম তবে কেন মাপি?

 

পাপ কাজ করে পাপী হয়ে গেছো তুমি

সেই পাপ সয়ে গেছি তাই পাপী আমি

 

পাপ করে একজনে, দশজনে সয়

একজনী পাপ ঘাড়ে দশজনে লয়

 

পাপ তাতে কমে না, পাপ শুধু বাড়ে

পাপ এসে মানুষের সুখ শুধু কাড়ে

 

পাপ হলো কাল সাপ, মুখে তার বিষ

তবে কেন দুধভাত খেতে তারে দিস

 

জালিম জুলুম করে, আলেম যদি সয়

মনে রেখো সে সমাজে পাপ বেশী হয়

 

দরবেশ ভাবে সে তো পাপ কিছু করেনি

সেই বেশী পাপী যে, পাপ দেখে লড়েনি

 

কার পাপ বেশী আর কার পাপ কম

টের পাবে সকলেই এসে গেলে যম

 

অন্যায় সওয়া নয় মুমীনের কর্ম

অন্যায় রোখাটাই ঈমানের ধর্ম

২১//২১;৮টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৫৬

জানা ও জ্ঞান

বুদ্ধি আমার অনেক কম, বলতে পারেন বোকা

চালাক চতুর এই সমাজে আমিই কচি খোকা

আদম সুরাত রাতের বেলায় মানুষ কেন হয় না

সাতভাই চম্পা কোথায পায় এত তারার গয়না

 

ধ্রুবতারা চুপটি করে একা বসে ক্যান থাকে

সন্ধ্যাতারা যায় হারিয়ে কোন রূপসীর ডাকে

এসব প্রশ্নের কোন জবাব আমার কাছে নাই

প্রশ্নগুলোর জবাব জানতে মায়ের কাছে যাই

 

মা হেসে কন, খোকা, কে বলে তুই বোকা?

জানার ইচ্ছে যার আছে সে থাকতে বোকা?

ওসব কথা সব বাকোয়াজ, সবই সোনা ভুল

প্রশ্ন হল জানার দরজা, জানাই জ্ঞানের মূল

২২//২১;৯টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৫৭

কন্যা কাহন

নবীর জন্য পরাণ কান্দে কন্যা ফাতেমার

পিতার জন্য কন্যার দরদ অতি বেশুমার

 

হাদীস মতে কেউ যদি হয় তিন কন্যার বাপ

তাহার জন্য হারাম হয়রে দোজখের উত্তাপ

কন্যা বড় অমূল্য ধন, কন্যা বাসো ভালো

কন্যা হলো ঘরের ভেতর পূর্ণ চাঁদের আলো

 

মনে রেখো, কন্যার হৃদয় অতি সুকুমার

তারে করলে আদর যত্ন খুশী পরোয়ার।।

 

বাপের দরদ কন্যা বুঝে, ছেলের দরদ মায়

তার জন্যও দরদ থাকে যার বান্না সে খায়

বোনের জন্য বোন কান্দে, ভাএর জন্য ভাই

পরিবারের সবার জন্যই সবার দরদ চাই

 

তার লাগেনা রক্ষীসেনা, ভয় থাকেনা তার

জনগণের জন্য পরাণ কান্দে যে রাজার

 

দেশে যদি জুলুম শোষণ চলতে থাকে তবে

জনগণে সুখের নাগাল কেমন করে পাবে?

মিল থাকবে পড়শি জনে, আত্মীয়তার টান

না থাকলে সে মানুষ বটে, নয় সে মুসলমান

 

কন্যা শুধু কন্যাতো নয়, রেপ্লিকা সে মা'

বাপের জন্য কন্যার দরদ অতি বেশুমার

২২//২১;৮টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৫৮

তারাপদ মোল্লা

তারাপদ মোল্লা

ভাত খায়

রাত খায়

মানুষের

জাত খায়

হাত খায়

বাত খায়

খায় রসগোল্লা

তারাপদ মোল্লা

 

কী আজব নাম তার

আজগুবী কাম তার

যদি হয় হাম তার

ডন দেয় চার বার

কী আজিব কারবার

হাত ধোয় বার বার

পরীক্ষায় শুধু পায়

গোল গোল গোল্লা

তারাপদ মোল্লা

 

ভোরবেলা হাটে যায়

চা দিয়ে ডাল খায়

মানুষের গাল খায়

ঝাল খায় চাল খায়

আজ রাঁধে কাল খায়

সরিষার ডাল খায়

তাল খায় মাল খায়

দিনে তিন শাল খায়

খায় ধরে বোল্লা

তারাপদ মোল্লা

 

তারাপদ মোল্লা

খায় রসগোল্লা

//২১;৮টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৫৯

নষ্ট পানি

ঢাকা শহর, বাঁকা শহর

রঙিন বোতল আঁকা শহর

বোতল খুঁজে লাভ নাই

ঘরে ঘরে নস্টামি

কার সাথে কার ভাব নাই?

 

নেতার ঘরে আঙুরপানি

কার ঘরে তার ছাপ নাই

লালপানিতে ভরা এ দেশ

কার চোখে লাল খাব নাই?

 

সর্ষের মধ্যে ভূতের বাসা

সুষমদেহে বোতল ঠাসা

কেমনে তুমি করো আশা

সমাজ হবে ভালো

ফ্ল্যাটবাড়িতে তল্লাশি নাও

বুকে জ্বালাও আলো

 

ডাস্টবিন ভরা নষ্ট পোলা

আশি টাকা শখের তোলা

//২১;৪টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৬০

চোর বেড়েছে

সময় কাটাও রুমে

কথা বলো জুমে

দিনরাত কাটাও ঘুমে

নইলে ঘরে হানা দেবে

সর্বনাশা গুমে

 

করোনাতে বিশ্ব এখন

সকাল বিকাল কাতরায়

তার মাঝেও লালপানিতে

শয়তান সুখে সাঁতরায়

 

মানুষ শুধু হাতড়ায়

বুদ্ধুরা যায় যাত্রায়

দেশে শুধু চোর বেড়েছে

এখন অতিমাত্রায়

//২১;সাড়ে ১২টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৬১

গাজীপুরে আয়

গাজীপুরের ছেলেমেয়ে

গুণ গুণ গুণ গানা গেয়ে

বর্ষাকালে খালে বিলে তালের কোষা বায়

ফুল কিশোরী বিলে ডুবে শালুক তুলে খায়।

তোরা আয় আয় আয়, গাজীপুরে আয়।

তারা ঘুরে বনবাদাড়ে

মৌচাক ভাঙে রাত আঁধারে

গুণ গুণ গুণ মৌমাছিরা তাদের গান শোনায়

ওরে আয় আয় আয়, তোরা গাজীপুরে আয়।

কড়ই গাছে ভোমরা থাকে

কচি পাতার ফাঁকে ফাঁকে

দুপুর বেলা ঘুঘু ডাকে আম কাঁঠালের ছায়

ওরে আয় আয় আয়, তোরা গাজীপুরে আয়।

গাজীপুরের ছেলেপেলে

ঘুরে বেড়ায় হেসে খেলে

বাসকপাতার ফুলের মধু চুষে চুষে খায়

ওরে আয় আয় আয়, তোরা গাজীপুরে আয়।

দাতই গাছের গোটা দিয়ে

চল যাই ঠুসঠাস ফুটাই গিয়ে

জামতলাতে শিশুর দল ছি কুতকুত খেলায়

ওরে আয় আয় আয়, তোরা গাজীপুরে আয়।

শীত বুড়িটা দিলে হানা

খুকখুক কাশে বুড্ডা নানা

শীত সকালে আগুন জ্বেলে কত মজা পায়

ওরে আয় আয় আয়, তোরা গাজীপুরে আয়।

৭/৮/২১;৪টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৬২

আগের মতো

আগের মতো লিখতে আমি পারি না

বিশ্বাস করেন, তবু লেখা ছাড়ি না

ঝগড়াতে নাই, তাইতো আমি হারি না

বিশ্বাস করেন, কাউকে আমি মারি না

 

আগের মতো লিখতে আমি পারি না

উচিত কথা কইতে তবু ছাড়ি না

বাড়িটাতো টিনের ঘর, উচু দালান বাড়ি না

খানা আমি নিজে খাই, কারো খানা কাড়ি না

 

আগের মতো লিখতে আমি পারি না

পরের মাথার বুদ্ধি আমি নাড়ি না

বুড়ো তবে পুরুষ মানুষ, আমি ঘরের নারী না

গায়ে আগের শক্তি নাই, অনেক কিছু পারি না

 

পারলে লিখি কাব্য ছড়া, দুলাল মিয়ার জারী না

রিকসা চড়তে ভালবাসি, নতুন মডেল গাড়ি না

লোককে বলি মসজিদে যাও, কভু পুলিশ ফাঁড়ি না

কিন্তু গায়ে বসলে মশা, পারলে তারে ছাড়ি না

 

আগের মতো লিখতে আমি পারি না

বিশ্বাস করেন, তবু লেখা ছাড়ি না

//২১;১১টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৬৩

চিলের বয়ান

মিলের বাড়ি চিলের বাসা তিলের নাড়ু খায়

খাওয়া শেষে জলের জন্য বিলের ধারে যায়

বিলের দিকে তাকিয়ে সে নীলের দেখা পায়

চিলটা তখন নীলের গায়ে ছবি আঁকতে যায়

 

সেখানে সে ঘুরতে ঘুরতে মেঘের দেখা পায়

মেঘ ডেকে কয় নীল উড়না নিবি নাকি আয়

তোরে নিয়েই ঘুরতে যাবো ময়ূরপঙ্খী নায়

যেথায় হাঁটে নীলপরীরা আলতা রাঙা পায়

 

চিলটা তখন খীল এঁটে কয়, পরীর দেশে যাবো না

আমি খাবো হাঁসের ডিম, ঘোড়ার আন্ডা খাবো না

ঘোড়ার আন্ডা খেতে মান্ডা গেলাম যখন সকালে

তখন কেনো দাওনি আন্ডা, শুধুই আমায় ঠকালে

 

চিল বলে কি দেয়নি মাওলা, আমায় দুটো পাখা সে

যেই পাখাতে উড়তে পারি আমিও সুনীল আকাশে

মানুষগুলো খারাপ ভীষণ, দীলের খবর রাখে না

আমরা ডাকি আল্লাহ আল্লাহ দুষ্ট মানুষ ডাকে না

 

আমি খাই তাজা মাছ, মানুষ তাকে মারে

নষ্ট মানুষ কষ্ট পায়, তাই কি বারে বারে?

//২১;৬টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৬৪

আমরা ও তোমরা

আমরা খেতাম কাঠি লজেন্স, তোমরা কি তা খাও

ডিজিটালের এই জামানায় কোথায় সে সব পাও?

 

আমরাে খেতাম কাঁচা আম ঝিনুক দিয়ে কেটে

তোমরা খাও বীফবার্গার, ঘুরে বেড়কও নেটে

 

আমরা ঘুরতাম বনবাদাড়ে, খেতাম তাজা ফল

তোমরা খাও বিষ মাখানো রাঙা বোতল জল

 

চাঁদ তারা আর ফুল পাখি, ছিল আমার সঙ্গী

তোমরা এখন যেদিক তাকাও, শুধু দেখ জঙ্গী

 

আমরা থাকতাম মায়ের কোলে তোমরা থাকো জুমে

আমরা যখন কোরআন পড়তাম, তোমরা  থাকো ঘুমে

 

আমরা ছিলাম সুস্থ সবল, মানুষ ছিলাম খাঁটি

তোমরা খাও দুধ রেখে আজ, অষুধ বাটি বাটি

 

আমরা সবাই মানব ছিলাম, দানব কেহ নয়

তোমরা এমন আজব মানুষ, দানবে পায় ভয়

//২১;৭টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৬৫

কত বড়ো বর্ণমালা

-তে কলা খ-তে খাই, কত কথা লিখে যাই

-তে গান গ-তে গাই, গান গেতে মানা নাই

-তে ঘুড়ি ঘ-ত ঘাস, শীতে কাবু মাঘের মাস

-তে ব্যাঙ ঘ্যাগড় ঘ্যাঙ, খালি বলে সর্বনাশ

 

-তে চাচার চালতা গাছ, জলে চাচার মাছের চাষ

-তে ছাতা,ছাতিম গাছ, কবে তারে দেখতে চাস?

-তে জামাই জামা লাল, চেয়ে দেখে জায়ার গাল

-তে ঝান্ডা, -তে ঝাল, নায়ের মাঝে উড়ায় পাল

 

ঞ লেখে মিঞা ভাই, চলো সবাই বিয়া খাই

-তে খাই টাটকা ফল, একা খেয়ে মজা নাই

-তে ঠেকা, -তে ঠাঁই, চলো রবের কাছে চাই

-তে ডানা ড-তে ডাব খেতে কোন মানা নাই

 

-তে ঢাকা ঢ-তে ঢাল, ঢলে ভিজে ঘরের চাল

-তে হবিণ ণ-তে রণ, করলে ঝরে রক্ত লাল

-তে তালা ত-তে তাল,-তে লিখ শক্ত থাল

-তে দাদা দ-তে দই, ধামা ভরা ধানের চাল

 

-তে লিখ নানা ভাই, হাটে গেছেন বাড়ি নাই

-তে লিখ পাপের কাজ তবে কেন করো ভাই

-তে দাও জোরে লাফ, নিজে দীল করো সাফ

-ত বলো বাপরে বাপ, আল্লাহ তুমি করো মাফ

 

-তে মওলা ম-তে মা, -তে এবার বাড়ি যা

-তে রাত পান্তা ভাত, -তে লাল কমলা খা

-তে শাল, -তে ষাঁড়, -তে হও সাগর পার

-তে হাত ধরো তার, যে জন চেনায় পরোয়ার

 

-তে বড়, -ত গাঢ় বাজাও জোরে তুর্য নাদ

চন্দ্রবিন্দু দন্ত মেলে হাসছে যেনো ঈদের চাঁদ

//২১;৪টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৬৬

চন্দনা

না, কাঁদিস না চন্দনা

লাগছে আমার মন্দ না

শুধু একটু কষ্ট

মনটা আমার ভালই আছে

শরীর একটু নষ্ট

 

এরে নাকি অসুখ কয়

কেন লোকের অসুখ হয়

কোথায় গেলে সুখ যে পাই

কর না তাহার বন্দনা

না, কাঁদিস না চন্দনা

 

তাঁর কাছে সুখ অভাব নাই

তাঁর কাছে চল সুখ টোকাই

তিনিই অমর আর তো কেহ

অমর কোন নন্দ না

না, কাঁদিস না চন্দনা

//২১;৯টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৬৭

প্রাণপণ লড়ো

হাসপাতাল চিকিৎসা করে না,

চিকিৎসা করে ডাক্তার

এই কথা বলেছিল

আমাদের আকতার।

টাকা থাকলে টাকা ঢালো

তাতে কোন ক্ষতি নাই

মনে রেখোশেষমেষ

আল্লাহ ছাড়া গতি নাই।

তার কথা মানে নাই বড়লোক যারা

টাকা ঢেলে বাঁচে নাই অনেকেই তারা।

বাঁচা মরা যার হাতে তাঁর কাছে যাও

বাঁচবার কোন পথ যদি তবে পাও।

তারপরও বাঁচবার চেষ্টাটা করো

অসুখের সাথে সবে প্রাণপণ লড়ো।

৯ই আগষ্ট ২০২১;১১টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৬৮

আসবে আবার জয়

লাগলে আগুন তসবি রেখে আগুন নেভাও আগে

আমার কথা শুনতে তোমার খুব কি খারাপ লাগে?

গ্রামের যুবক কোথায় পায় মদের বোতল রোজ

কোরান হাদিস জানো ঠিকই রাখো কি তার খোঁজ

 

কোন বাড়িতে রাত দুপুরে মানুষ আসে যায়

গহীন রাতে কোথায় বসে কে কোন মাল খায়

ভালো মানুষ হওয়া ভালো, কিন্তু এ পাপ সওয়া নয়

নাকি তোমার ঈমান নড়বড়,পাপ তাড়াতে করে ভয়?

 

মুরগীতো খাও জবাই করে,হারাম খাওয়ার ভয়ে

সুদের টাকা কেমনে গোনো, হাজার শয়ে শয়ে?

ফরজ মানো, হালাল খাও, হারাম করো দূর

এই না হলে তোমার বুকে কিসের রবের নূর?

 

ঈমান আনো, মুসলিম হও, ছাড়ো হাজার ভয়

তবেই মুমীন তোমার হাতে আসবে আবার জয়

১০//২১;৩টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৬৯

নাতাশা ও বাতাসা

হাসনাবাদের নাতাশা

বললোদাদা বাতাসা

কোথায় তোমরা পাইতা

কেমন করে খাইতা?

সুপারশপে খুঁজে দেখলাম

এয়ারপোর্টে গিয়ে দেখলাম

কোথাও এটা নাই

কেমন করে খাই?

বললামথাকি কী দেশে

গেলাম এবার বিদেশে

বললামআছে বাতাসা?

বলে কি কনতা তা সা?

ওসব খুঁজে পাবেন না

তা তা সা কেউ খাবেন না

খেলে হবে আমাশা

এটা কেমন তামাশা?

বললামনেটে ছবি দে

কারে ধরছে কবিদে?

বললআমার নানাজান

তিনি ছিলেন আমাজান।

ঘরে ঘরে হতাশা

কোথায় পাবি বাতাসা

ফোঁস বোতলে পানি খা

তাইরে নাইরে গানা গা।

কতো খুঁজলো নাতাশা

পায়নি একটা বাতাসা।

১০ই আগষ্ট ২০২১;৮টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৭০

নাই

সকল কথা বলতে নাই

মিষ্টি কথায় গলতে নাই

অসৎ পথে চলতে নাই

সত্যটারে দলতে নাই

 

প্রদীপ আছে সলতে নাই

অযথা কান মলতে নাই

ঘা হলে তা ডলতে নাই

আগুন হয়ে জ্বলতে নাই

 

মিথ্যা কথা বলতে নাই

পাপের পথে চলতে নাই

তবে কেনো চলো ভাই

মিথ্যা নিজেও বলো ভাই

১০//২১;১টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৭১

নাতনীর কষ্টের ছড়া

আমার একটা নাতনী আছে গুণের কোন শেষ নাই

নিজের একটা বিশ্ব আছে তাইতো কোন দেশ নাই

আমার একটা বিড়াল আছে কিন্তু কোন মেষ নাই

সবই আছে ফিটফাট শুধু রান্না ঘরেই গ্যাস নাই

 

কী নাই বলো, সবই আছে, শুধুই পরিবেশ নাই

স্কুল কলেজ সবই আছে, মানুষ গড়ার লেশ নাই

মনে করো মাথা আছে, কিন্তু মাথায় কেশ নাই

সুখও আছে থোকা থোকা কিন্তু দুঃখের শেষ নাই

 

মুহাম্মদের ভক্তও আছে,  কিন্তু মিমের পেশ নাই

আলেম জালেম সব আছে ভন্ড জনের শেষ ণাই

লোকে বলে দেশও আছে, ছাগল গরু মেষও আছে

সবই আছে দেশের ভেতর, বাঁচার পরিবেশ নাই

১০//২১;৩টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৭২

আমার কোন অভাব নাই

তোমার অনেক প্রশ্ন আছে,

আমার কাছে জবাব নাই

পরের ভাতে ছাই দেয়ার

আমার কোন স্বভাব নাই

 

নবাবপুরে নবাব নাই

তাজ বিহারীর কবাব খাই

তাই বলে কেউ ভাইবেন না

আমি থাকি ঘরজামাই

 

ঢোল সেতারা রবাব নাই

তবু আমার অভাব নাই

দয়াল প্রভুর অসীম দয়ার

নিত্য বাতাস মাগনা পাই

 

তাঁর প্রেমে রই মগ্ন আমি

আর কিছু নাই এমন দামী

যেদিক তাকাই সেদিক আমি

তাঁর রহমের পরশ পাই

 

প্রভু, তোমার রহম চাই

তোমার কিছু অভাব নাই

তোমার প্রেমের ছায়াতলে

আমায় একটু দিও ঠাঁই

১০//২১;৪টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া- ৩২৭৩

মাফ করবেন

মাফ করবেন, স্বঘোষিত দ্বীনের হরেক ঠিকাদার

কোথায় আছে কোরাআনে মাজহাব বানাও চার

আল্লাহ বলছে ইসলাম সহজ আপনি বানান কঠিন

আপনার ইসলাম মানবো নাকি মানবো রবের দ্বীন

 

আল্লাহ বলেন, ঈমান আনো মুসলিম হয়ে মরো

আপনি কেন বলেন, মুমীন নানান ফেরকা ধরো

ফেরকাবাজি ধাপ্পাবজি ওসব ফেরকা ছাড়েন

ঈমান আনুন মুসলিম হোন যদি নিজে পারেন

 

ইসলাম বলে, হও মুজাহিদ, আলীর মতো বীর

আপনি বলেন, মুসলিম হবে? আগে ধরো পীর

ছয় তরিকা, নয় উসুল, কখনো  ইসলাম নয়

ইসলাম হলো মরতে হবে, করো আল্লাহর ভয়

 

ইসলাম হলো কোরআন হাদীস, আরবী জুব্বা নয়

আবু জেহেল কাফের ছিল, মুসলিম কেমনে হয়

দাড়িও ছিল, পাগড়িও ছিল, জুব্বাও ছিল গায়ে

তাই বলে কি মুসলমানও করতো সালাম পায়ে

 

ঈমান এনে মুসলিম হোন, নিজে কোরান জানেন

হক না-হকের বিধান জেনে হকটা হুজুর মানেন

মাফ করবেন দ্বীনের খাদেম, বলেন কোনটা ভুল

কোরান হাদীস খাঁটি ইসলাম, নয় কি দ্বীনের মূল?

১১//২১;ভোর ৬টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৭৪

উচিত কথা ছাড়ি না

মনের ভেতর ছন্দ এলে না লিখে যে পারি না

ইচ্ছে করলেই যখন তখন ছন্দটারে মারি না

আমি তো নই কারিনা

কলিকাতা বাড়ি না

উচিত কথ মনে এলে কইতে আমি ছাড়ি না

 

কঠিন কথা লিখেই বলি, কাউকে ধরে মারি না

আমার বাড়ি ফুল্লবাগান কোন পুলিশ ফাঁড়ি না

আপোষ করতে পারি না

অযথা মুখ নাড়ি না

কিন্তু তবু উচিত কথা কইতে আমি ছাড়ি না

 

চাইলে ধরে মারতে পারি, তবু কাউকে মারি না

কি লাভ শুধু ঝগড়া করে, তাই অযথা হারি না

ছন্দ আমি মারি না

এসব গুজব জারী না

আমি শুধু উচিত কথা কইতে কভু ছাড়ি না

১১//২১;২টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৭৫

আমার লেখা

আমার লেখা আমার নয়, সবই আল্লাহর দান

আমার নয়, পারেন যদি তাঁর গুণ সবাই গান

চাষী পারেন চাষ করতে, কেউবা পারেন গান

সব যোগ্যতা তাঁরই দেয়া , তিনিই মেহেরবান

 

তিনি রহীম তিনি রহমান, রিজিক করেন দান

কোন কিছু লাগলে শুধু তাঁর কাছেই তা চান

সব প্রশংসা তিনিই পাবেন, তিনিই সোবাহান

সব যোগ্যতা তাঁরই দেয়া , তিনিই মেহেরবান

 

আমার লেখা লাগলে ভালো শুনুন হৃদয়বান

আপনি ভালো মানুষ তাই ভালো হৃদয় প্রাণ

আকাশ, মাটি, সাগর ভালো, আপনিও মহান

সকল ভালোর এক শিল্পী, গুণ শুধু তাঁর গান

 

আমার লেখা আমার নয়, সবই আল্লাহর দান

আমার নয়, পারেন যদি তাঁর গুণ সবাই গান

১১//২১;৫টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৭৬

পাওয়া যায়নি

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৭৭

ভোলানাথের মন নাই

ভোলানাথের পোলা নাই

ঘরে কোকাকোলা নাই

আটার দলা গোলা নাই

বাসী খাবার তোলা নাই

পিঠা ভাজার খোলা নাই

দাঁতগুলো তার নষ্ট

তবু নাই তার কষ্ট।

বললে বলেমনে নাই

হরিণ ছানা বনে নাই

নিজে পরের ধনে খাই

মনের সুখে গানা গাই

সঙ্গে টাকা আনা পাই

আগে কথা জানা চাই

তবে ভুলার কষ্ট

লাগে বুকে পস্ট।

বুক আছে তার মন নাই

কোন আপন জন নাই

মন নাই তাই পণ নাই

দেশে যুদ্ধ রণ নাই

মিছিল করার জন নাই

ঘরের চালে শণ নাই

ভোলানাথ কি বোকা

বলেদাঁতে পোকা

দিলে খাবো ধোকা

আমি কচি খোকা

নাইরে আমার কষ্ট

হৃদয় খানা নষ্ট।

বললামআছিস সুখে ভাই

জাতি আছে দুঃখে তাই

তার যে আছে মন

জ্বলে হিজল বন

কে কাড়ে কার ধন

মরতে কতক্ষণ?

মরার কোন ক্ষণ নাই

তারও আপন জন নাই।

আছে তবু মরার ভয়

এ কথা কি ভয়ে কয়?

ভোলানাথের মন নাই

সঙ্গে জনগণ নাই

তার নাই তাই কষ্ট

সবই বললাম পষ্ট।

১২ই আগষ্ট ২০২১;রাত ৩ টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৭৮

বসে বসে চা টা খান

শুনছি নাকি আইউব খান

গাইতো বসে হিন্দি গান

আপনি মানুষ ইন্ডিয়ান

তবে কেনো পিন্ডি যান?

 

নাম রেখেছেন আলেক চান

তাই কি আপনি মুসলমান?

আপনি নাকি হারাম খান

তাতে কি খুব আরাম পান?

 

হারাম খাওয়া সবই মানা

নাই কি তা আপনার জানা?

সবই জানে মেহেরজান

হারাম খায় না মুসলমান

 

আপনি যখন জানেন সব

কেনো করেন এতোসব?

সত্য কথাই বলে যান

বসে বসে চা টা খান

১২//২১;৪টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৭৯

অবাক সৃষ্টি

একি আজব সৃষ্টি ভাই

কোথাও অনাসৃষ্টি নাই।

খোলেন অন্তর্দৃষ্টি ভাই

দেখেন প্রভুর কৃষ্টি ভাই।

নয়ন ছাড়া দৃষ্টি নাই

জিহ্বা ছাড়া মিষ্টি নাই

মেঘের থেকে বৃষ্টি পাই

সবই আজব সৃষ্টি ভাই।

এই বিশ্বটাই ইষ্টি ভাই

তাঁর রহমেই বৃষ্টি পাই

তাঁর রহমেই মিষ্টি খাই

স্রষ্টা ছাড়া সৃষ্টি নাই।

সবই আজব সৃষ্টি ভাই

আমরা তাঁরই সৃষ্টি ভাই

তিনিই সবার ইষ্টি ভাই

তাঁর রহমের লিষ্টি নাই।

তাঁর রহমের দৃষ্টি চাই

কী দুনিয়ার কৃষ্টি ভাই

আল্লাহ ছাড়া সৃষ্টি নাই।

সবই অবাক সৃষ্টি ভাই।

কী যে অবাক সৃষ্টি ভাই

অবাক সৃষ্টির লিষ্টি নাই।

১২ই আগষ্ট ২০২১;রাত ৮টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৮০

ঘুমের পরী

কেমনে আসে ঘুমের পরী তারে আমি দেখতে চাই

তারে দেবো খেলনা গাড়ি যদি তারে দেখতে পাই

সঙ্গে দেবো স্বপ্ন ডানা

খেলনা পুতুল বিড়াল ছানা

তবু একদিন আয় না পরী যেন তোরে তেখতে পাই

 

তোরে দেখার ইচ্ছে নিয়ে দিন কেটেছে অবিরত

সেই ইচ্ছেটা বুকে নিয়ে রাত কেটেছে শত শত

তবুয়ো তোর পাইনি দেখা

বললো হেসে কাজল রেখা

ঘুম পরী যে ঘুরে বেড়ায় রাত বিরাতে ভুতের মতো

 

ঘুম পাড়াতে আদর করতে মা জননীর কষ্ট কতো

বুঝতে পেলে আয় না ছুটে অবুঝ পাখি টিয়ার মত

শোনরে আমার ঘুমের পরী

লাগলে দেবো সোনার তরী

ঘুমেঘোরে যে সোনার তরী স্বপ্নে আমি দেখি কতো

 

ঘুমের পরী আয় না সোনা

আমরা খেলি স্বপ্ন বোনা

আমরা ঘুরি সাহস নিয়ে ঘোড়ায় চড়ে বীরের মতো

তবু কেনো দিস না দেখা তুই না আপন সখীর মত

১৩//২১;রাত ২টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৮১

যে পারে সে গুল্লি খায়

নৌকা যাবে উজানে

দিল্লী যাবে বু'জানে

কোন সুখে তা কে জানে

যার সুখ শুধু সে জানে।

কী সুখ পায় পরাণে

কেন লোকে বর আনে

কে দেয় বুবু বালির ঘর

কি হয় পিতা হইলে বর।

নাগরও হয় সুত্রধর

কে কার জান কেবা পর

সবাই ছুটেন বৃন্দাাবন

চল্লিশ সেরে হয়রে মণ।

ছড়ড়া হয়তো কড়ড়া হয়

নাইরে তাতে মরবার ভয়।

যে পারে সে দিল্লী যায়

যে পারে সে গুল্লি খায়।

১৩ই আগষ্ট ২০২১;রাত ৪টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৮২

পীর কখনো হালাল খায়

গাছে গাছে করমচা

কে চায় খেতে গরম চা?

দীলটা যদি নরম হয়

তবে লোকের শরম হয়।

খা রে বসে করমচা

কেন খাবি গরম চা

চাইতে হলে খড়ম চা

মানুষ হলে শরম পা।

বলে গেছে শাহ জালাল

খাইতে হলে খা হালাল

নইলে ধরে খা দালাল

খা রে বসে খা আলাল।

তবু আদম হারাম খায়

বিনিময়ে দোযখ পায়।

শয়তান তাতে মজা পায়

কারো তাতে ঈমান যায়।

কেনো চড়িস পীরের নায়

পীর কখনো হালাল খায়।

১৩ই আগষ্ট ২০২১;ভোর ৫টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৮৩

তবেই পাবি

টুপী জুব্বায় জরীর কাজ

আটকে আছে ইসলাম আজ

মিসকিন ভরা এই সমাজ

কেমনে পড়িস জরীর সাজ?

 

জাকাত ফেতরা দান লেহাজ

করেন বাঁচান ইসলাম আজ

মিসকিন থাকলে সেই সমাজ

কোথায় পাবে ইসলাম আজ?

 

থাকলে ধরায় খোদার রাজ

ক্ষুধা নিজেই পেতো লাজ

গরীবী হটানো দ্বীনের কাজ

এই দ্বীনে তুই সাজরে আজ

 

এটাই দ্বীনের আসল কাজ

তবেই পাবি আল্লাহর রাজ

১৩//২১;ভোর ৬টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৮৪

আগস্ট মাস

রক্তরাঙা আগস্ট মাস

আগস্ট মানে রক্ত, লাশ

আগস্ট মানেই সর্বনাশ

আগস্টে হয় ঘর বিনাশ

 

আগস্ট মাসে রক্ত ঝরে

কেউ শহীদ হয় কেউ মরে

আগস্টে হয় জীবন ক্ষয়

আগস্ট মানেই মৃত্যু, ভয

 

কেউ করে না জীবন জয়

ধরায় কি কেউ অমর হয়

মানুষ মানেই অমর নয়

তবুও কেনো মরার ভয়?

 

আগস্ট আসে বারে বারে

পলাশ ফোটে তেপান্তরে

রক্তরাঙা এ আগস্ট মাস

আগস্ট মানেই রক্ত, লাশ

১৩//২১;৬টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৮৫

এ নয় শুধু কথা

ভেবে দেখলাম মাথা গরম, পাগল হইতে বাকী নাই

ইসলাম হলো সহজ বিধান তাতে তুফান বাঁকি সাই

কিন্তু এমন পেলাম ইসলাম জীবন জুড়ে ঝাকি খাই

যার কাছে যাই খুঁজে দেখি কারো দ্বীনই খাঁট সাই

 

আল্লা বলেন ইসলাম সহজ, মেনে মনে শান্তি পাই

সহজ বিধান কঠিন করে জীবন ভরা কষ্টই পাই

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ পড়তে লাগে কতক্ষণ

বাকী সময় হালাল পথেই বেড়াক ঘুরে হৃদয মন

 

আলিমগুলো জালিম এখন, ইসলাম বানায় রোজ

গরীব মানুষ পায় না খেতে, দরবেশ করেন ভোজ

কারা কারা কষ্টে আছেন, খলিফা রাতে খুঁজেন

কোনটা ইসলাম খলিফারচে আপনি বেশী বুঝেন?

 

গরীব বুড়ির অসুখ দেখে তার পাশেই যান নবী

রাতের বেলা ঘুরেন বাদশা, এই ইসলামের ছবি

মানুষ কেনো নষ্ট হয়? কষ্ট কেনো পায় রে ভাই

এসব দূরের চিন্তা কেন তোমার মনে নাইরে ভাই

 

এবাদত তো জ্ঞানের চর্চা বাড়াও মুমীন রাতে

পড়, বলে কোরান শুরু ঈমান কি নেই তাতে?

ইসলাম জেনে, ঈমান এনে, আমল করো তাতে

তার ফজিলত সবাই তবে পাবেই নিজের হাতে

১৪//২১;৫টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৮৬

পাওয়া যায়নি।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৮৭

ইসলাম মানে

ইসলাম মানে অন্যরকম হৃদযকাড়া আলো

ইসলাম মানে চেষ্টা করা হতে আরো ভালো

ইসলাম মানে মায়ায ভরা মধুর কোন ফুল

ইসলাম মানে জানা মাত্রই ছেড়ে দেয়া ভুল

 

ইসলাম মানে মন্দ রোখার চেষ্টা শুধু করা

ইসলাম মানে শুদ্ধ প্রেমের হস্ত চেপে ধরা

ইসলাম মানে সবরকম শির্ক তুমি ছাড়ো

ইসলাম মানে ভালকর্মে তুমি নিজে বাড়ো

 

ইসলাম মানে কায়েম করো ধরায় শুদ্ধ দ্বীন

ইসলাম মানে মিথ্যা ছেড়ে হওরে আলামীন

ইসলাম মানে মন্দ কাজ, দাওরে করে লীন

ইসলাম মানে খোদা প্রেমে হওরে অন্তর্লীন

১৪//২১;১০টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৮৮

ইসলাম তো নয়

ইসলাম তো নয় চক্ষু বুঁজে গাজায় মারা টান

ইসলাম তো নয় ঢোল তবলা বাদ্যমুখর গান

ইসলাম তো নয় পরের মাল সব হস্তগত করা

ইসলাম তো নয় মাজার ঘুরে ভন্ড পীর ধরা

 

ইসলাম তো নয় দরগায় বসে মজমা শুধু করা

ইসলাম তো নয় সুযোগ পেলে পরকীয়ায় পরা

ইসলাম তো নয় পরনারীর দুই হাত চেপে ধরা

ইসলাম তো নয় মন্দ ও পাপ জেনে নিজে করা

 

ইসলাম তো নয় সওয়া যতো পাপ ও অনাচার

ইসলাম তো নয় মন্দ কাজের খুলে রাখা দ্বার

ইসলাম তো নয় জলসায় বসে গাওয়া পঁচা গান

ইসলাম তো নয় ঘুরে ঘুরে খাওয়া মুরগীর রান

 

ইসলাম কি নয় জানলে যখন তওবা করো ভাই

বলো আল্লাহ এসব পাপে না যেনো আর জড়াই

১৫//২১;১০টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৮৯

ছন্দমালা

নিবেন নাকি, ছন্দমালা?

সবই আছে, সাদা-কালা

পানসুপারী বিয়ের ডালা

ছন্দ বাটেন মুক্তা খালা

 

বলেন, নে, ধর, ছন্দমালা

না ধরলে কন, দূন হ শালা

ছন্দ মানেই কথার মালা

ছন্দ মানে দুইটা তালা

নইলে সোনা, দ্রত পালা

 

ছন্দ আছে কালা, ধলা

ছন্দ মানে ম্যাচের শলা

ছন্দ হলো চকির তলা

ছন্দহলো, ডলামলা

 

ছন্দ মানে আগরতলা

ছন্দ মানে সাগর কলা

ছন্দ মানে, ছলাকলা

ছন্দ মানে কথা বলা

১৫// ২১;দুপুর ১২টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৯০

পরী ও পরিমল

কেমন আছিস পরিমল

দেখবি নাকি পরী, চল

দেশটা জুড়ে পরীর ঢল

কয়টা খাবি পরী, বল

 

তোর তো স্বভাব ধরি মল

পরী গেলে জেলে, বল

কোন চিপাতে থাকবি,বল

ঢুকা শালা ডাবের নল

 

এবার কেমন লাগছে, বল

খা রে পাজি পরীর জল

পরী যেন লাউয়া ফল

খেতে মজা পরী ফল

 

বাতি নিভলে পেত্নি পরী

দেয় বিছানায় গড়াগড়ি

সুখে আহা, মরি, মরি

সুখের পোটলা নরম পরী

 

স্বপ্নে ওড়ে সুষম পরী

কোনটা রেখে কারে ধরি

তার বিপদে আয় না লড়ি

শাহাবাগে মিছিল করি

 

পরীর যদি কিছু হয়

কাউযা যদি পিছু লয়

আমি কিন্তু পাই না ভয়

হবে রে তোর পরাজয়

 

বিশ্ব জুড়ে পরী রয়

তার ভক্তরা নিঃস্ব নয়

পরীর কোটি শিষ্য হয়

তারা আনবে পরীর জয়

 

গাওরে সবে পরীর জয়

এ দুনিয়াই পরীময়

তাদের শুধু বিজয় হয়

তবে কেনো মরার ভয়?

 

পরী পরী তোল রে সুর

আমরা সবাই হই অসুর

পরীর মুক্তি দূরে নয়

পরীর শুধু বিজয় চয়

 

শোন রে বন্ধু পরিমল

আমরা সবাই পরীর দল

পরীর শিষ্য অসুর হয়

সারা ভুবন অসুরময়

১৬৮/২১;দুপুর ১টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৯১

জন্মখাতা

আমি যেদিন এসেছিলাম সেদিন কি চাঁদ হেসেছিল

নাকি সেদিন সূর্যিমামা দেখতে  ধরায় এসেছিল?

ফুল বাগানের ফুলেরা কি আমায় ভাল বেসেছিল?

পাখিরা কি দেখে আমায় সুখ আনন্দে ভেসেছিল?

 

বলনা মাগো গেখতে সেদিন কে কে বাড়ি এসেছিল

কার মাগো মা, মুগ্ধ নয়ন খুশীর চোটে ভেসেছিল?

আমায় দেখে কার বুকে বল শক্তি সাহস এসেছিল

ভানুর বউ আমায় দেখে খুকখুক করে কেশে ছিল

 

আমায় দেখে মলয় বায়ু জয়ের নিশান তুলে ছিল

আপন স্বজন আমায় দেখে নিজেন কষ্ট ভুলে ছিল

আমার জন্মের খবর পেয়ে কারা আশা পুষে ছিল

সবাই সেদিন খোশখবরে আপন আপন হুশে ছিল

 

আমার জন্মের খবর পেয়ে উর্ধে  কাদের হাত ছিল

তখন কি রে দিনের আলো নাকি আঁধার রাত ছিল

আমার সৃজন জীবন পাতায় জন্ম মৃত্যুর খাত ছিল

সে অদৃশ্য খাতার পাতায় কার নেপথ্যে  হাত ছিল?

 

আমি যেদিন এসেছিলাম জন্মখাতা খুলেছে কে?

আমার সকল ভালোবাসা তাঁরই জন্যে বরাদ্দ যে

১৬//২১;ভোর ৪টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৯২

পটল তোলা

পটল তোলা ভালো নয়

পটল কারো খালু নয়

কারো কন্ঠ তালু নয়

নীল পাহাড়ী ঢালু নয়

 

এর মানে তো মৃত্যু হয

বোটা ছিঁড়ে পড়তে হয়

ধরা থেকেই সরতে হয়

মাটির গর্তে পড়তে হয়

 

মাটির গর্ত আঁধারময়

আঁধার গর্ত জ্বালাময়

জ্বালা কারো খালা নয়

নর্দমা ও নালা নয়

 

পটল তোলা ভালো নয়

পটল কোনো আলু নয়

১৬//২১;২টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৯৩

আল্লাহর হুকুম

আল্লাহর হুকুম, পর্দা করো, তুমি জর্দা খাও

কেমনে তবে সেই সমাজে শান্তি তুমি চাও?

আল্লাহর হুকুম, হারাম রেখে হালাল শুধু খাও

যদি তোমরা দোযখ রেখে জান্নাত যেতে চাও

 

আল্লাহর হুকুম, মানুষ হও, তুমি সাজো পীর

মুমীনরা হয় দুঃসাহসী, মুজাহিদ আর বীর

আল্লাহর হুকুম, ক্ষুধার কষ্টে কারা করো খোঁজ

তুমি মুমীন কেমনে হবে? ভোজন করে রোজ?

 

আল্লাহর হুকুম, নামাজ পড়ে খাদ্য খুঁজতে যাও

তুমি এখন সওয়াব বেঁচেই রিজিক খুঁজে পাও

আল্লাহর হুকুম, গোলাম তুমি, প্রভুর নির্দেশ মানো

গোলাম হয়েও তুমি এখন তাঁকেই আঘাত হানো

 

আল্লাহর হুকুম, প্রভু এবং বান্দার হকও দাও

তুমি এখন সকল জনের হকটা মেরেই খাও

১৬//২১;রাত ১০টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৯৪

অদ্ভুত মানুষ

তুই হয়েছিস অদ্ভুত মানুষ, ভুত কি চিনিস না

তুই হয়েছিস বিদ্যাসাগর, বিদ্যাই  চিনিস না

নিজকে ভাবিস ঈমানদার, ঈমান চিনিস না

হাট থেকে তুই সব কিনিস, ঈমান কিনিস না

 

আল্রাহর হুকুম জানিস নিজে কিন্তু মানিস সা

ফরজ ফরজ জিকির করিস, ফরজ চিনিস না

কত কিছু জানিস তুই, কোরআন জানিস না

সবার হুকুম মানিস তুই খোদার হুকুম মানিস না

 

তুই তো বড়ো অদ্ভুত মানুষ, জ্ঞানী গুণী জন

তুই কি জানিস মানুষ বড়ো, নাকি বড়ো মন

মন দেখেছিস? বলতো তুই,মনটা কতো বড়ো

তবে কেনো দাবী করিস কিতাব শুধুই পড়ো?

 

তুই তো বড়ো অদ্ভুত মানুষ, ধনের সীমা নাই

সে ধন দিয়ে কখনো কি হায়াত কেনা যায়?

ওরে আমার জ্ঞানী, গুণী, পন্ডিত মহা জন

বলতো দেখি জ্ঞান দিয়ে তুই বাঁচবি কতক্ষণ?

 

তবে রে তুই পাপ ছেড়ে দে, কর আল্লাহর ভয়

নিজের বুদ্ধি কোন কালেই কোন কাজর নয

চাপাবাজি ছেড়ে সবাই  দ্বীনের আমল করো

হাজার রকম পন্ডিত নয়, মুসলিম হয়ে মরো

 

ওয়াজ তোয়াজ নফল রেখে ফরজ সবে ধরো

অদ্ভুত আমল ফেলে দিয়ে সঠিক আমল ধরো

১৭//২১;দুপুর ১টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৯৫

মন পাখিটা

মন পাখিটা উড়াল পাখিবেঁধে রাখা যায় না

ঘুরে বেড়ায় পাহাড় বনেমক্কা থেকে চায়না।

মন পাখিটা উড়াল দিয়ে কখন যে কই যায়?

একটা মাত্র মনতারেকেউ কি খুঁজে পায়?

নিজের একটা মন সবারথাকে না তাও বশে

ঘুরে বেড়ায় পুকুর বিলে,কলো জামের রসে।

নাস্তিক জনে আল্লাহ খোঁজেমন কি খুঁজে পায়?

মন উড়ে চায় বেহুদা কাজেহারাম জিনিস খাঢ।

মন পাখিটা প্রভুর ভয়ে যখন সমঝে চলে

মিথ্যে ছেড়ে উড়াল পাখি নিজে সত্য বলে।

বিবেকের সে হুকুম মানেশাসন করলেও মানে

কেমন করে মন বাঁৎতে হয় বিবেক সবই জানে।

মন পাখিরে শাসন করে বিবেক আরাম পায়

আদর সোহাগ শাসনে তারে কাছে টানা যায়।

বিবেক ও মন পরাণ বন্ধুওরাই চির সাথী

তাদের জন্য এসো সবাই হৃদয়মালা গাঁথি।

১৭ই আগষ্ট ২০২১;৪টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৯৬

আমাদের বদরুল

আমাদের বদরুল

দিয়ে গেছে বদ রুল

এই কখা বলে গেছে

পাহাড়িয়া সদরুল

 

বদ রুল ভালা নয়

বদ রুল জ্বালাময়

বদ রুলেই কষ্ট

জীবন হয় নষ্ট

 

বদ রুল আর নয়

বদ রুল আর নয়

বলে কাঁদে সদরুল

বদ রুল আর নয়

 

হৃদয়টা জুড়ানের

রুল হল কোরানের

এই রুল প্রীতিময়

এ জীবন ফুল হয়

 

সে রুলের সুবাসে

শুধু ফুল সু হাসে

আর হাসে চাঁদটা

ঘুঁচে যায় রাত টা

 

রাত করে কান্না

আলো হয় রান্না

খায় বসে মান্না

আমাদের পান্না

 

আরবের আলামীন

ঘুরে ঘুরে সারাদিন

বলে গেছে বদ রুল

সব ভুল, সব ভুল

 

বদ রুল আর নয়

বদ রুল আর নয়

১৭//২১;রাত ১০টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৯৭

নবীর পরেই কবির ইজ্জত

নবীর পরেই কবির ইজ্জত, মানুষ কেন দেখে না?

কোরান পড়ে কী সব শেখে, এসব কেন শেখে না

কবির কি কাজ আল্লাহ বলে, পন্ডিত কেন বলে না

কবির প্রেমে নবীই গলেন, মানুষ কেনো গলে ন

 

কবির কি কাজ কোরান বলে, মানুষ কেন বলে না

কোরান পড়ে মানুষ কেন সঠিক পথেে চলে না?

মানুষ কেনো নিজেই করে হাজারো রকম ভুল?

কোরান পড়ে, তাও বুঝে না কোনটা দ্বীসের মূল?

 

কোন কাজটা দরকারী আর কোন কাজটা নয়?

এই কথাটা কোরআন পড়ে আগে  জানতে হয়

দ্বীনের সুবাস পতঙ্গও পায়, মানুষ কেন পায় না

সকলে খায় হালাল রিজিক মানুষ কেন খায় না

 

নবীর পরেই কবির ইজ্জত, মানুষ কেন বুঝে না?

কোরান পড়ে মানুষ এসব সত্য খোঁজে নাকেন

১৮//২১;বাদ ফজর

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৯৮

আগের মানুষ

আগের মানুষ সালাম দিতোএখন বলেহাই!

মক্কা ছেড়ে চলরে সবাইবৃন্দাবনেই যাই।

ক্যামিক্যালের বিষ কিনে চলঘরে বসেই খাই।

মক্কা অনেক দূরের দেশচলবৃন্দাবনেই যাই

সেথায় আছে বাধারাণীএকটা গাৎাও নাই।

মাথায় যদি পচন ধরেেইমলম দেবো কই?

কোন বাগানে পাবি রে তুইসাদা সাদা খই?

খই কি কোন গাছে ধরেনাকিথাকে জলে

তুই কি মালিকনাকি দাসবিবেকে কি বলে।

মানুষ এমন ফানুসভাবে নিজেই মহা রাজা

ফুটুস করে কেমনে মরে সেই সে মহারাজা।

কেমন করে মানুষগুলোছাড়ে ফরজ কাজ

বুদ্ধি বিবেকলজ্জা শরম কোথায় গেল আজ?

আগে লোকের বিবেক ছিল,এখন গেল কই?

আগে লোকে কোরান পড়তো এখন পড়ে বই।

 ১৮ই আগষ্ট ২০২১;৪টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩২৯৯

আমায় বুঝান

ফজর পড়ে যাও বেরিয়েরিজিক তালাশ করো

এ কাজ শুধু জরুরীই নয়এটাই ফরজ বড়ো।

হুজুর বলছেনফরজ রেখে নফল সবাই ধরো।

ফজিলতের বয়ান শোনো এতেই আমল করো।

মোহতারামের ইসলাম বড়োনাকি প্রভুর হুকুম

ভেবে পাই না কোন রাস্তাতে এবার আমি ঢুকুম।

মোটা মোটা কিতাব দামীনাকি দামী কোরআন

হুজুর কি ইসলাম শেখান নাকি ইসলাম লুকান।

আপনার কাছে ইসলাম আছেআমায় করেন দান

কোন দোকানের ইসলাম ভালআপনি কোনটা খান

আল্লা বলেন কোন গান গাইতেআপনি কোনটা গান।

রাগ করবেন নাসেই কথাটাই একটু বলেই যান।

আল্লাহর হুকুম মানবো নাকি আপনার হুকুম কন

আমায় বুঝানতারও আগে নিজেও বুঝে লন।

 ১৮ই আগষ্ট ২০২১;সন্ধ্যা ৬ টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩০০

পরিমিতিবোধ

যার নাই কোন পরিমিতিবোধ, তারে বড়ো ভয

মানুষ তারে কয় না মানুষ, তারেই পাগল কয়

পরিমিতিবোধ না থাকলে, নিজেরই ক্ষতি হয়

পরিমিত খাওযা ও ঘুম, এবাদতও করতে হয়

 

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ,'বার লোকে পড়ে

ওয়াক্তটা কি মানুষ কখনো, কম বা বেশী করে?

দিনের বেলায় কাজে নামো, রাতে থাকো ঘরে

মানুষ আজ এসব ভুলে বিপদে কম, কি পড়ে?

 

পরিমিত কাজ করা যে, অনেক অনেক দামী

একটা নারী শরিয়ত মতো কয়টা রাখে স্বামী?

আল্লাহ বলেন,ওরে মুমীন, বেহুদা কাজ ছাড়ো

মানুষ বলে, ফুর্তি করো, যে জন যতো পারো

 

সময় গেলে যে হয় না সাধন, মহাশয়রাই কয়

সময়ের কাজ সময় মতো তাইতো করতে হয়

নিজের যখন বিবেক আছে, তারে দাওরে কাজ

ফেরকাবাজি ছেড়ে সবাই গড়ো আল্লাহর রাজ

১৮//২১;রাত দশটা


No comments

Powered by Blogger.