আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়াঃ ৩৪০১-৩৫০০

 

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪০১

সুরকার

সুরকাররা এত ব্যস্ত

লেখা পড়ার সময়নাই

ফোন করে কয়কবি,

একটা গান দেন তো ভাই।

ফেবুতে কাল যে দিলাম,

বললাম হেসেতিনটা

ওসব পড়ার সময় পাই না

ব্যস্ত কাটে দিনটা।

পড়ার জিনিস কেউ পড়ে না

সবাই সাজে স্রষ্টা

সকলেই যদি স্রষ্টা সাজে

কারে কবেন ভ্রষ্টা?

কাম বেশী নাকম করেন

যত্ন করে কাজ করেন।

২৯/১২/২১। বাদ ফজর।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪০২

বাপের পোলা

এক যে ছিল বাপের পোলা

মানুষ তো না আস্ত গোলা

চক্ষু দুটো ঘোলাঘোলা।

নাকের বাঁশি আশি তোলা।

সিলটি কয় শোনখামাল

যতো লাগেনে,খা মাল।

তুই হলি গে রাজার পোলা

আশার বাড়ি টেংরিটোলা।

দেশটা এখন তোর বাপের

যে কয় তারে ডাকাতি

বলেন তারে হারামজাদা

দেখান তারে চাপাতি।

সাবাস আমার বাংলাদেশ

চোর ডাকাতে করলো শেষ।

১/১/২২।বাদ ফজর।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪০৩

নীপাদের নানী

শীত এলে গীত গায় নীপাদের নানী

শীত এলে ভয় মরে দেখে হীম পানি।

শীত এলে হাঁসগুলো করে কানাকানি

ঠান্ডায় ছাড়ে ওরা খাওযা দানাপানি।

শীত এলে ফিক করে হাসে ফুলরানী

ভাবখানা তিনি মেয়ে বড়ো খানদানী।

আসমান থেকে আসে কুয়াশার পানি

নবীজীর কাছে আসে আল্লাহর বানী।

শীত এলে গীত গায় নীপাদের নানী

তার মুখে শোনা যায় শুকরিয়া বানী।

২/১/ ২২। বাদ ফজর।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪০৪

কাজের কথা

আগে কাজ মাথায় তাজ

পরে কাজ শরম লাজ।

পরের কাজে তাড়াহুড়ো

বিরক্ত হয় জোয়ান বুড়ো।

যে করে কাজ আগে

মনে পূলক জাগে।

যে করে কাজ পরে

বারবার লাজে মরে।

কাজ করে নাও আগে

বকবে না কেউ রাগে।

হযনি কাজ কয় যে জন

কষ্ট ও ভয় পায় সে জন।

ফালতু কাজে সময় দান

টানো বসে গাধার কান।

৩/২/২২।৷ বাদ ফজর।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪০৫

গায়ে লাল জামা

শীত এলে শিশু দেয় গাযে লাল জামা

শীত এলে কাবু হয যতো বীর গামা।

শীত এলে অনায়াসে ভাঁপ ওঠা পানি

জিদ করে গায়ে দেয় হাসুদের নানী।

শীত এলে জিদ করে হাসুদের মামা

খাটে বসে মুড়ি খায় রোজ এক ধামা।

শীত এলে হাসুদের ছোট অলি মামা

বলে বল কি ভালরোদ নাকি ছামা।

শীত এলে চাচাজান গান গান রোজ

শীতে কার জামা নাই করে যান খোঁজ।

শীত এলে হাসুদের বুড়ো দাদু কাশে

ভোরবেলা ভাঁপা পিঠা বড় ভালবাসে।

শীত এলে লাল জামা পরে হাঁটে রানী

শীত এলে অজুর জন্য খোঁজে ততা পানি।

৪/১/২২।বাদ ফজর।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪০৬

গরম খবর ঢাকার

গরম খবর ঢাকার দাদা

গরম খবর ঢাকার।

টাকা এখন খাচ্ছে চিলে

গরম খবর ঢাকার।

বালিশ ভর্তি টাকা থাকে

বন কর্তার ঘরে।

কারো টাকার খবর পেয়ে

পুলিশ হার্টফেল করে।

কালো বিড়াল টাকা খায়

মন্ত্রীর বন্তা থেকে

শিয়াল বলে হুক্কা হুয়া

টাকা খেতে ডাকে।

লীগের ঘরে বীগের বাসা

বন্তা ভরা টাকা

উচিত কথা বলে কেনো

মরবা তুমি কাকা।

টাকা ধরো৷ উড়ছে টাকা

বুড়িগঙ্গার নায়ে

ব্যাঙ্কের ভোল্টের টাকা খাচ্ছে

তেলাপোকার ছায়ে।

গরম খবর ঢাকার দাদা

গরম খবর ঢাকার

ঢাকায় নাকি উড়ছে টাকা

দিল্লীচীনেরটাটার।

৮/১/২২। বাদর মাগরিব।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪০৭

প্রার্থনা

কোরো আমায় পরিত্রাণ

এ দীল করো ভৃত্যপ্রাণ

তোমার ভয়ে ম্রিয়মান

শীতল করো দগ্ধপ্রাণ।

তৃপ্ত করো এ মন প্রাণ

হে মাহান হে মহান

চিত্ত করো বিত্তবান

হৃদয় করো আলীশান।

বানাও আমায় মুগ্ধপ্রাণ

বানাও আমায় শক্তিমান

বানাও আমায় মহতপ্রাণ

তোমার প্রিয় আল ইনসান।

মহত উদার দানবীর

বানাও আমায় কর্মবীর।

জীবন পথের রাহাগীর

তোমার জন্য করো অধীর।

১০/১/২২।বাদ ফজর।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪০৮

চন্দনা

নাম রেখেছি চন্দনা

চলন বলন মন্দ না

মনপাখিটা অন্ধ না

করে রবের বন্দনা।

দেখে আকাশ দুনিয়া

বন্ধু তাহার মুনিয়া

হিসাব রাখে গুনিয়া

কোরান পড়ে শুনিয়া।

চন্দনা তো অন্ধ না

চক্ষু দুটো বন্ধ না

ডাকে সুরে মন্দ না

কেউ করোনা দ্বন্দ্ব না।

প্রাণটা খুলে হাসো

মন্দটারে নাশো

সৃষ্টির কাছে আসো

দেশকে ভালোবাসো।

১৩/১/২২। বাদ ফজর।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪০৯

নতুন বর্ণমালা

অ= অজু করে কোরআন শিখি

আ= আলেম থেকে এলেম শিখি।

ই= ইসলাম হলো রবের দ্বীন

ঈ= নামাজ ঈমানদারীর চিন।

উ= উটপাখিটা উটের মত

ঊ= সাগর তীরে ঊর্মি কত

এ= এ ধরনী রবের দান

ঐ= ঐরাবতের মস্ত কান।

ও= ওঠো মুমীন আজান দাও

ঔ= অসুখ হলে ঔষধ খাও।

ক= কোরান পড়ো হাদিস পড়ো

খ= খোদার পথে জীবন গড়ো।

গ= গযব এলে বিপদ হয়

ঘ= ঘরে বাইরে মরার ভয়

ঙ= ঙতে ব্যাঙ ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ

চ= চ তে চলে চাচুর ঠ্যাং

ছ= ছালাম দেয়ার সুন্নত গড়ো

জ= জামাত করে নামাজ পড়ো

ঝ= ঝুলছে আম সারি সারি

ঞ= ঞতে হয় মিঞা বাড়ি

ট= টাখনুর নীচে কাপড় নয়

ঠ= ঠাট্টা করলে বিপদ হয়

ড= ডিমও খাও ডাবও খাও

ঢ= ঢাকনা আগে খুলে নাও

ণ= হরিণ লিখতে মুর্ধণ্য চাই

ত= তালগাছের তালও খাই

থ= থালা ভরা থানকুনি শাক

দ= হাঁড়ির দই সকলে খাক।

ধ= ধনী হলে দাও জাকাত

ন= নফল পড়ো দুই রাকাত

প= পাপের জন্য মাফি চাও

ফ= তওবা করে ফায়েজ নাও

ব= বাবা মায়ের যত্ন নাও

ভ= ভায়ে ভায়ে হাত মিলাও

ম= মসজিদ হচ্ছে রবের ঘর

য= ফরয নামায ওয়াক্তে পড়

র= রাসূল হলেন দ্বীনের নবী

ল= লাল বর্ণ হয় উঠলে রবি

শ= শহীদ করে মরণজয়

ষ= বারো মাসে বর্ষ হয়

স= সত্য কথা বলতে হয়

হ= সরল পথে চলতে হয়।

ক্ষ= করো সবে ক্ষতির ভয়

ড়= বিপদ বাঁধা পাহাড় জয়

ঢ়= দৃঢ় ঈমান দৃঢ় মন

য়= দয়াময়ের দয়ার ধন

ৎ= সৎ মানুষের মহৎ কাজ

ং = বাংলাদেশে বাড়ুক আজ

ঃ= নিঃস্বজনের দুঃখে চাঁদ

ঁ= বলে কাঁধে মিলাও কাঁধ।

২৪/১/২২

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪১০

ঢাকার শহর

ঢাকার শহর ঢাকার শহর

নাম রেখেছি টাকার শহর

উড়ছে টাকা ঢাকার নগর

বইছে যেনো টাকার নহর।

ঢাকার শহর ঢাকার শহর

নাম হয়েছ টাকার শহর।

মামা খালা কাকার শহর

মধ্য রাতের ফাঁকার পহর।

উড়ছে টাকা পরীর হাতে

ক্লাব পাড়াতে নিশি রাতে

যন্ত্র দানব চলছে পথে

মানুষ চড়ছে পশুর রথে।

ঢাকার শহর বাঁকার শহর

রঙিন ছবি আঁকার শহর।

ঢাকার শহর টাকার শহর

এবং ইঁচড়ে পাকার শহর।

ঢাকার শহর টাকার শহর

দামী গাড়ির চাকার শহর

খোঁড়াখুড়ির চলছে বহর

দীলে দীলে পড়ছে কহর।

২৬/১/২২। বাদ জোহর।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪১১

এক যে ছিল

এক যে ছিল ভূতো।

ভুঁড়িঅলা দেখলেই সে

মারতো ওতে গুতো।

লোকটা করতো হে হি

বলতো নেহি নেহি

মলছি কান আর কখনো

ঘুষ খাযেঙ্গা নেহি।

পাড়ার দুষ্ট পোলা

ভবেশ এবং ভোলা

বললো হেসে- বা রে

ভূতো যদি পারে

আমরা কি তয় পারি না

বন্ধ করতে ঘুষ।

হাতে নে রে আলপিন,

আর

পেটে-করবি পুশ।

বন্ধ হবে ঘুষ।

৭/২/২২। বাদ ফজর।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪১২

মামা

মামা

গিয়েছিলাম লামা

গিয়ে দেখি গামা

খাচ্ছে পিতল তামা

বললামএবার থামা।

মামা

বললো হেসে গামা

তয় কি খাবো জামা

নাকি গাছের ছামা

বলতো পেটুক রামা।

মামা

বললো এবার রামা

আগে টাকা কামা

ফলবে আমলনামা

আসবে ধামা ধামা

খাবার খাবি গামা।

মামা

গাছতলাতে গামা রামা

খাচ্ছে খালি হামা

মামা।।

৭/২/২২। বাদ ফজর।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪১৩

মাটিই খাঁটি

একদিন আমি জেনে যাবো

আমি আসলে কেউ না

নদীর ঘাটের ঢেউ না

পানির তলের চেউ না।

একদিন আমি জেনে যাবো

আমি আসলে কেউ না

তল্পিবাহক ফেউ না

দুষ্ট ছেলের ভেউ না

আমি আসলে কেউ না।

একদিন আমি জেনে যাবো

খাঁটি কথার খাঁটি

আগেও ছিলাম মাটি

পরেও হবো মাটি

মাটির ঢেলা মাটি।

একদিন আমি জেনে যাবো

খাঁটি কথার খাঁটি

মাটি আমি মাটি

রক্ত আমার মাটি

মাংশ সেও মাটি

হাড্ডিগুলো মাটি

মাটিই আমি খাঁটি।।

৭/২/২২। বাদ ফজর।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪১৪

চাচা

চাচা

শোন কথা হাঁচা

আর যাবে না বাঁচা

যতোই বানাও মাচা

কিম্বা বাঘের খাঁচা

তাও যাবে না বাঁচা।

চাচা

শোন কথা হাঁচা

আর যাবে না বাঁচা

যতোই পরো মাস্ক

কেউ দেবে না টাস্ক

বাঁচার কোন ফন্দি

ঘেরাটোপেই বন্দী।

চাচা

শোন কথা হাঁচা

আর যাবে না বাঁচা

আসছো যখন যেতে হবে

মরণ খাট্টা খেতে হবে

বদমাইশী সব ছাড়ো

এবার আগে বাড়ো

করতে হবে পূণ্য

নইলে জীবন শূন্য।

চাচা

বলছি কথা হাঁচা

নয় যাবে না বাঁচা।

৭/২/২২। বাদ ফজর।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪১৫

সেই নবীজীর

আমরা তো উম্মত সেই নবীজীর

যাঁর গায়ে বিঁধেছিল শত্রুর তীর।

রক্তে ভিজেছিল পাদুকা জোড়া

তবু তিনি বলেছেনঅবুঝ ওরা।

মাফ করে দাও প্রভুওগো রহমান

হয়তোবা কোনদিন আনবে ঈমান।

কোনদিন অভিশাপ দেননি তাদের

বার বার আঘাত পেয়েছেন যাদের।

দিয়েছেন সেবা আর মমতা খালি

আল্লাহর অগণিত নিয়ামত ঢালি

তাই তিনি মহানবীরহমত ধরার

নবীর সরদার তিনি নেতা যে সবার।

অমঙ্গল চাননি কারো হননি অধীর।

আমরা তো উম্মত সেই নবীজীর।

করেননি বদদোয়া দেননি অভিশাপ

বলেছেনভয় করো দোজখের তাপ।

আমরা তো উম্মত সেই নবীজীর

বিপদে কখনো যিনি হননি অধীর।

১১/২/২২। বাদ জুমা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪১৬

বোনটি আমার ফুলি

ফুলি

রক্তরাঙা একুশ তারিখ

বলতো কেমনে ভুলি?

ফেব্রুয়ারির একুশে যে

ভাই খেয়েছে গুলি।

তাই বেদনায় দুলি।

ফুলি

তোর মুখে যে শুনতে পাই

মায়ের মুখের বুলি।

তোর হাতে তাই তুলে দিলাম

নতুন দিনের তুলি

তুলি দিয়ে ভাঙবি রে তুই

স্বৈরাচারের খুলি?

আঁকবি নতুন বাংলাদেশ

হাসবে মজুর কুলি

নিপাত যাবে স্বৈরাচার

ভরবে সুখের ঝুলি।

বোনটি আমার ফুলি।

২৩/২/২২। বাদ জোহর।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪১৭

আল্লাহ মহান

জোসনার আলো আর তারাদের হাসি

এসো তার স্রষ্টাকে আরো ভালবাসি।

ভালবাসি ফুল পাখি পুষ্পের ঘ্রাণ

ভালবাসি নদী আর ঝরণার গান

গেয়ে উঠি সকলেই আল্লাহ মহান

আল্লাহ মহান তিনি বড় মহীয়ান।

ভালবাসি মাঠ বন উদার আকাশ

গ্রীষ্মের খরতাপে হিমেল বাতাস

ভালবাসি সুর ও বেলালী আজান

আল্লাহ মহান তিনি বড় মহীয়ান।

সবুজ স্বদেশ আর নীল আসমান

মানুষের হাসি মুখ উচ্ছ্বল প্রাণ

পশুপাখি তরুলতা সব তাঁর দান

আল্লাহ মহান তিনি বড় মহীয়ান।

মানুষের বিবেক আর প্রজ্ঞা ও জ্ঞান

হাসি খুশী আনন্দ যিনি করেন দান

এসো সবে তাঁর গুণ গাই অফুরান

আল্লাহ মহান তিনি বড় মহীয়ান।

২/৩/২২। বাদ ফজর।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪১৮

পরনিন্দা

পরনিন্দা করো নাতাতে বাড়ে পাপ

তাতে বাড়ে ঘরে ঘরে অশান্তি উত্তাপ।

পরের নিন্দা করে বেড়ায় মন্দ যত লোক

পরের নিন্দা করলে বাড়ে নিজেরই দুর্ভোগ।

পরনিন্দা করা হলো জঘন্যতম পাপ।

নিন্দাকারী নিন্দা পায়কেউ বাসে না ভালো

নিন্দার সাথে বেরিয়ে আসে মনের যত কালো

নিন্দাকারী এ সমাজের বিষ মাখানো সাপ।

নিন্দা হলো একের দোষ অন্য কাউকে বলা

দোষ না থাকলে সেটা হলো মিথ্যা পথে চলা

মিথ্যা নিন্দা দুটোই খারাপবাড়ায় অভিশাপ।

নিজের মুখের কথা যত মিষ্টি মধুর হবে

তাকেই মানুষ জগত জুড়ে বাসবে ভাল সবে

নিন্দাকারীর ভাগ্য জোটে শুধুই অনুতাপ।

১৭/৩/২২। বাদ ফজর।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪১৯

পাপ করে লাভ নেই

পাপ পথে চলে আর পাপ কাজ করে

বেঁচে নেই কেউ এই ধরনীর 'পরে।

পাপ কাজে লাভ নেই ক্ষতি শুধু ক্ষতি

তবে কেন পাপ করে বাড়াবো দূর্গতি।

কই ছিলেকই আছোযাবে কই ভাই

সেই কথা তোমার কি কিছু মনে নাই

তবে কেন পাপ করার জাগে দুর্মতি

পাপ কাজে লাভ নেই ক্ষতি শুধু ক্ষতি।

হিংসাঘৃণাআর নিন্দা করাও পাপ

মিথ্যুকের ভাগ্যে শুধু জোটে অভিশাপ

এইসব ছেড়ে দাওএসো ভালো হই

মন্দ-মিথ্যা রেখে সবে সত্য কথা কই।

মরিচীকা দেখে যদি জাগে ভীমরতি

তাতে কোন লাভ নেই ক্ষতি শুধু ক্ষতি।

২১/৩/২২। বাদ এশা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪২০

একদিন সুদিন আসবে

একদিন সকাল হবে

একদিন সূর্য উঠবে

একদিন সুদিন আসবে

একদিন ভোরের কোমল আলোয়

চারদিক ঝিকমিক করবে।

একদিন সুদিন আসবে।

মৌমাছি গুন গুন গাইবে

পখিরা চোখ মেলে চাইবে

চারদিকে কুসুম কোমল ফুলদল

ফিকফিক হাসবে

একদিন সুদিন আসবে।

একদিন এই প্রাণ হাসবে

মন খুলে সবে ভালবাসবে

দেশ কাল জাত ভুলে মানুষেরা

মানুষের কাছে আসবে।

একদিন সুদিন আসবে।

একদিন হিংসা বিভেদ ভুলে

সকলেই কাছাকাছি হবে।

খুশিতে প্রাণ খুলে হাসবে

সকলেই সকলকে ভালবাসবে।

একদিন সুদিন আসবে।

২৫/৩/২২। বাদ মাগরিব।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪২১

আমার ছড়া

আমার ছড়া জয় পতাকা নাড়ায়

আমার ছড়া বর্গী এলে তাড়ায়।

আমার ছড়া পাহাড় নদী মাড়ায়।

আমার ছড়া ঘুরে পাড়ায় পাড়ায়।

আমার ছড়া বুক ফুলিয়ে দাঁড়ায়

দল বেঁধে সে সন্ত্রাসীকে তাড়ায়

আমার ছড়া স্বৈরাচারকে হারায়

আমার ছড়া ঘুরে পাড়ায় পাড়ায়।

আমার ছড়া ভয়ের ভূত তাড়ায়

বন্ধু পেলে হাতটা সামনে বাড়ায়।

আমার ছড়া জয় পতাকা নাড়ায়

আমার ছড়া ঘুরে পাড়ায় পাড়ায়।

আমার ছড়া মমতার হাত বাড়ায়

ভাইয়ে ভাইয়ে দ্বন্দ্বটা সে ছাড়ায়।

পানি ঢালে কচি গাছের চারায়।

আমার ছড়া ঘুরে পাড়ায় পাড়ায়।

আমার ছড়া ফুলের ডালি সাজায়

আমার ছড়া প্রেমের বাঁশি বাজায়।

২৭/৩/২২। বাদ মাগরিব।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪২২

জানি

আমি কাঁদতে জানি, হাসতে জানি

ভোলার মতো কাশতে জানি

ডাকলে কাছে আসতে জানি

আমি ভালবাসতে জানি।

আমি জানি তুমি আমার সব

তুমি আমার আল্লাহ মাবুদ রব

আমি জানি

তুমি আমার রিজিকদাতা

আমার সকল বিপদত্রাতা।

আমার যতো সাধ আহলাদ

তুমি পুরাও স্বপ্ন সাধ।

আমি ভালবাসতে জানি

পরাণ খুলে হাসতে জানি।

২৮/৩/২২। বাদ ফজর।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪২৩

খুশীর ঈদ

রোজার শেষে ঈদ এলো

খুশীর মহা দিন এলো

ঈদের নামাজ পড়বো আজ

কায়েম করবো খোদার রাজ।

ভুলবো আমরা হিংসা দ্বেষ

ঘুরবো আমরা দেশ বিদেশ।

রোজার বড় শিক্ষা ভাই

ক্ষুধার কষ্ট বুঝতে পাই।

ঈদের খুশী অফুরান

অন্নহীনে অন্ন দান।

সিয়াম এসে ডেকে কয়

পরের কষ্ট বুঝতে হয়।

ভালবাসার ছুটলে বান

ঈদের খুশী হয় মহান।

রোজার শেষে খুশীর ঈদ

দূর করে দেয় মনের জিদ।

রোজা বলে পাপ ছাড়ো

মনের যতো সাপ মারো

ঘৃণা এবং রাগ ছাড়ো

ভাল কাজে আগ বাড়ো।

তবেই সফল খুশীর ঈদ

পুরবে মনের সব উম্মীদ।

৩০/৩/২২। বাদ মাগরিব।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪২৪

সিয়ামের মাস এলো

সিয়ামের মাস এলো সিয়ামের মাস

এসো হই এই মাসে আল্লাহর দাস।

করি ভাল চিন্তা, করি ভাল কাজ

গড়ে তুলি সুন্দর সুখের সমাজ।

এই মাসে শয়তান থাকে নাকি বন্দী

মন্দের সাথে তবে কেনো হবে সন্ধি।

সারাদিন রোজা রেখে ক্ষুধিতের জ্বালা

বুঝে নিয়ে মনে দেই লোভটাতে তালা।

পরের কষ্ট বুঝে দান করি অন্ন

সকলেই আমরা সকলের জন্য।

পরের কষ্ট বুঝি, অপরের মন

পরের জন্য বিলাই ধন্য জীবন।

গড়ে তুলি মায়াময় সুখের সমাজ

যাকে বলে সুশাসন, আল্লাহর রাজ।

সকলেই আমরা সকলের ভাই

আমাদের মাঝে কোন ভেদাভেদ নাই।

সকলেই আমরা আদমের জাত

তবে কেন অযথা করছো তফাৎ

সিয়ামের মাস এলো সিয়ামের মাস

এসো হই সকলেই আল্লাহর দাস।

৩১/৩/২২। বাদ ফজর।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪২৫

মানুষের জন্য

মানুষকে মানুষ বলে গণ্য করো

তোমার মানব জনম ধন্য করো

দেশ কাল জাতিভেদ স্রষ্টার দান

নানারঙ ফুলে যেন সাজানো বাগান।

ভাষা আর বর্ণের নানা কারুকাজ

গড়ে তোলে মানুষের বিচিত্র সমাজ

পাশাপাশি বাস করা গোলাপ বকুল

নানা জাতের মানুষও স্রষ্টারই দান

সকলের আগে সে আদম সন্তান।

তারপর জাতিভেদ ধর্ম ও ভাষা

তারপর মনে মনে স্বপ্ন ও আশা

তারপরও বুকে বুকে রয় ভালবাসা

সন্তান তরে কাঁদে মায়ের পরাণ

এই প্রেম ভালবাসা সব তাঁর দান।

আবেগের দরিয়াতে কত ঢেউ ওঠে

বাহারী বাগানে যেন নানা ফুল ফোটে

বিচিত্র সুবাসে নাচে বিচিত্র পরাণ

মানবের জন্য কাঁদে মানবের প্রাণ

স্রষ্টার প্রেমে সৃষ্টি গায় জয়োগান।

১০/৪/২২। বাদ আছর।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪২৬

তবলা বাজায় কাকায়

হাজার কোটি টাকায়

হচ্ছে সড়ক ঢাকায়

দেশের মানুষ খাচ্ছে চিপা

দ্রব্যমূল্যের চাকায়।

তবলা বাজায় কাকায়।

কারো ভাগ্যে মরার ঘুম

কারো ভাগ্যে সোহাগ চুম

কারো ভাগ্যে হঠাৎ গুম

থামছে নাতো টাকায়

তবলা বাজায় কাকায়।

কাকার নাকি কাকী নাই

সবই নগদ বাকী নাই

নগদ হলে ফাঁকি নাই

তেলা মাথায় তেল

হুজুর হলেই জেল।

নবাব সিরাজ মারা গেলে

মিরজাফরে গদী পায়

জমিদারে মারা গেলে

জমিদারী ভূতে খায়।

ভুতের বাড়ি নৈনিতাল

বোম্বে মরিচ অনেক ঝাল।

১১/৪/২২। বাদ জোহর।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪২৭

ঈদের স্মৃতি

রোজা জুড়ে যাদের থাকে ভাল হবার পণ

ঈদ স্মৃতিতে ভরা থাকে তাদের মিষ্টি মন।

মুরুব্বীদের সালাম করে ঈদি হাতে পাওয়া

পিঠা পায়েস কোরমা এসব মজা করে খাওয়া

ঈদের এসব স্মৃতি কিরে ভুলা কভু যায়

চারিদিকে খুশির আমেজ, আনন্দ উছলায়।

করি সবাই কোলাকুলি, আনন্দে দিন কাটে

সময় কাটাই খেলার মাঠে কিম্বা নদীর ঘাটে।

নেই ভেদাভেদ, পরকে সবাই আপন করে লই

সারাটা দিন কী যে ফুর্তি আনন্দ হইচই।

ঈদের দিনের হাসি খুশি, তুলনা তার নাই

সেজেগুজে সারা পাড়া ঘুরে মজা পাই।

হেস খেলে ভালোবেসে করি সবাই পণ

বছর জুড়েই এমন খুশি থাকুক সারাক্ষণ।

ঈদের স্মৃতি পড়লে মনে, মন হয়ে যায় ভালো

যেমন ভালো লাগে দেখলে প্রতি ভোরের আলো।

১৩/৪/২২। বাদ ফজর।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪২৮

ঈদআনন্দ

রোজা পেয়ে যে জন

করলোনা পাপ মোচন

তার মত নেই নাদান আর মূর্খ অর্বাচীন

সে শুধু পায় ক্ষুৎপিপাসায় কষ্ট সারাদিন।

পাপ করতে যে পায়না ভয়

রোজা মোটে তার জন্য নয়

কে কয় তাকে রোজা রাখতে পাপে যে রয় লীন

সে তো মহা দুর্ভাগা আর সে তো অর্বাচীন।

রোজাতে যে পাইলো মাফ

দীলটা রোজায় করলো সাফ

পূণ্য কাজে যে জন দিল মন

তাঁর জন্যই রোজা শুভ ক্ষণ।

মনে জাগলে খোদার ভয়

সেই রোজাতে পূণ্য হয়

মন্দ থেকে বেঁচে থাকে যে জন নিশিদিন

সে লোক হয় মুসলমান, পাক্কা সে মোমিন।

যে হয়ে যায় গুণাহমুক্ত খাঁটি মুসলিমীন

তাঁর জীবনে ঈদআনন্দ রয় যে প্রতিদিন।

১৩/৪/২২। বাদ জোহর।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪২৯

আজব খবর

কুদরতেরই খেলা দেখে অবাক চেয়ে রই

তাঁর কুদরতের কথা আমি কেমন করে কই।

অবাক হয়ে তাকিয়ে দেখি আজব আজব গাছ

পাহাড় থেকে মাটি ফুঁড়ে বেরিয়ে আসে মাছ।

কুদরতেরই খেলা দেখে অবাক চেয়ে রই

তাঁর কুদরতের কথা আমি কেমন করে কই।

কত রকম আল্লাহ লেখা নাইরে তাহার শেষ

ফুল বাগানে ফুলের সেকি মুগ্ধ পরিবেশ।

যত দেখি ততোই আমি অবাক চেয়ে রই

তাঁর কুদরতের কথা আমি কেমন করে কই।

কত আজব পশু আমি অবাক হয়ে দেখি

সাধ্য কি তার কথা আমি হিসাব করে লেখি

কেমন করে তাঁর কুদরত সবার কাছে কই

তার মহিমার কথা বলার যোগ্য আমি নই।

আকাশ দেখি সাগর দেখি, দেখি পাহাড় বন

কচি মুখের হাসি দেখি, দেখি না তার মন।

কার মনে কি খেলা করে কেমন করে কই

কুদরতেরই খেলা দেখে অবাক চেয়ে রই।

তাঁর মহিমার গজল গাবে সাধ্য কারো নাই

হোক না মানুষ সাদা কালো, সবাই সবার ভাই।

কত আজব মানুষ আছে দেখে অবাক হই।

আজব ধরার আজব খবর কয়টা আমি কই।

১৪/৪/২২। বাদ ফজর।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪৩০

মহামতি ঘুম

তাকডুমাডুম ডুম

রাজ্য জুড়ে নেমে এলো

তেলেসমাতি ঘুম।

দৈত্য দিল ওম।

ঘুম জড়ানো জাতির গালে

পড়লো সোহাগ চুম।

রাজা ঘুমায় রানী ঘুমায়

নানা ঘুমায় নানী ঘুমায়

ঘুমায় মামা মামী

ঘুমটা অনেক দামী।

জাতি ঘুমায় নাতি ঘুমায়

ছাগল গরু হাতি ঘুমায়

ঘুমায় বাড়ির বউ

ইঁদুর বিড়াল মজা করে

সাবাড় করে মৌ।

নেতা ঘুমায় খেতা ঘুমায়

পুরাণ দিনের চেতা ঘুমায়

মরা এবং জেতা ঘুমায়

ঘুমায় মদন আলী

কোনাবাড়ির পোলা এসে

ঘর করে দেয় খালি।

নেয় রে কেড়ে মাথার বালিশ

কার কাছে যে দেইরে নালিশ

মন্ত্রী করে জুতা পালিশ

মাছি মিষ্টি খায়

ভেতর বাড়ি বাহির বাড়ি

উজাড় হয়ে যায়।

হুম

আইলো দেশে রাজার বেশে

মহামতি ঘুম।

১৪/৪/২২। বাদ জোহর।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪৩১

গাজীপুরের পোলা

গাজীপুরের পোলা

ডাবের পানি ভালবাসে

খায় না কোকাকোলা

সকালে খায় ছোলা

মেলায় গিয়ে চড়ে বসে

পেলে নাগরদোলা।

গাজীপুরের পোলা

মনটা উদার, খোলা

ভয় পায়না কোনকিছু

বোমা, কামান, গোলা

তার কাছে সব শোলা।

শশুরবাড়ি বানায় সে

সাতক্ষীরা টু ভোলা

গিন্নীর নাম- দোলা।

গাজীপুরের পোলা

হাজার টাকা তোলা

কোরান হাদীস সবই পড়ে

পড়ে রোমারোলা।

সবাইকে সে ভালবাসে

দীলটা বড় খোলা

গাজীপুরের পোলা।

১৭/৪/২২। বাদ এশা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪৩২

ঘুমের দেশে

ঘুম এলে যাই ঘুমের দেশে

উড়ে বেড়াই ভেসে ভেসে।

যাই চলে যাই পরীর দেশে

জড়াই তাদের ভালবেসে।

যাই চলে যাই তেপান্তর

মেঘের দেশে বাঁধি ঘর

মেঘপরী কয় হেসে হেসে

এলেন তবে অবশেষে?

পার হয়ে যাই সাত আসমান

হুরপরী গায় বেহেশতি গান

কেমন ছিলে সবুজ দেশে

কুশল জিগায় কাছে এসে।

হঠাৎ দেখি আরশ পাকে

ইশারাতে আমায় ডাকে

ফুলপরীরা শুধায় এসে

যাবে কিগো মাটির দেশে?

সবাই মিলে খেলতে থাকি

ঘুমের ঘোরে স্বপ্ন আঁকি

হঠাৎ আজান এলো ভেসে

মা ডেকে কন হেসে হেসে।

নামাজ পড়বে জলদি চলো

হাসছিলে ক্যান বলো বলো

খেলছিলে কি পরীর দেশে

তুমিই ছিলে বীরের বেশে?

১৯/৪/২২। বাদ জোহর।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪৩৩

শোনেন বলি সাফ বয়ান

শোনেন শোনেন মামুজান

চামে চামে ঘুষ যে খান

এর হিসাব তো দিত হবে

হাশরের ময়দান।

কলজায় একটু রাখেন ডর

জুলুম করেন যার ওপর

তার বিনিময় দিতে হবে

হাশরের ময়দান।

গোপনে যে পাপ করেন

তার কি হাশর তয় শোনেন

সব পাপেরই বিচার হবে

হাশরের ময়দান।

আপনি সুদের টাকা খান

পার পাবেন না সোনার চান

হারাম খাইলে হয় না কবুল

ইবাদত রে হে ইনসান।

কড়ায় গন্ডায় হবে হিসাব

হাশরের ময়দান।

গায়ের জোরে লোক পিটান

এর হাশরও শুনে যান

উচিত বদলা পাবেন আপনি

হাশরের ময়দান।

পরকিয়ায় ডুবে যান

এতিমের মাল আপনি খান

কঠিন শাস্তির খবর পাবেন

হাশরের ময়দান।

এতো যে আপনি পাপ কামান

কিহবে যদি মারা যান

জানতে পারবেন সবই আপনি

হাশরের ময়দান।

তওবা করেন, পাপ ছাড়েন

পূণ্য কাজে আগ বাড়েন

তার বিনিময় পাবেন আপনি

হাশরের ময়দান।

১৯/৪/২২। বাদ মাগরিব।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪৩৪

ইচ্ছে ছিল

ইচ্ছে ছিল কাব্য দিয়ে ঘুম ভাঙাবো জাতির

কাব্য দিয়ে সবার সাথে করবো আমি খাতির।

কিন্তু সবাই আনমনা

কাব্য পড়ে কয়জনা

সবাই বলে অন্ধকারটা নিচেই থাকে বাতির।

আজকে দেখি দিকে দিকে হাহুতাশ আর কান্না

কেউবা গড়ে টাকার পাহাড়, কেউবা খাবার পান না।

চারিদিকে পাপ অনাচার

সুরত ভালো মন কদাকার

চারিদিকে দুঃখ কষ্ট হচ্ছে কেবল রান্না।

থাকতো যদি জাকাত বিধান খাবার পেতো সকলে

জীবন এখন ওষ্ঠাগত নানান রকম ধকলে

শোষণ আছে ইসলাম নাই

নাই কোরানের শাসন নাই

আসল জিনিস পোকায় খায়, দেশ ভরেছে নকলে।

ইচ্ছে ছিল কাব্য দিয়ে ঘুম ভাঙাবো জাতির

চারিদিকে এখন শুধু কান্না শুনি নাতির

নাই কোরানের শাসন নাই

তাইতো দেশে শান্তি নাই

খান সাহেবের নামে এখন শাসন চলে তাঁতীর।

২০/৪/২২। বাদ ফজর।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪৩৫

হীরালালের গাঁয়ে ফেরা

হঠাৎ এলো হীরালাল

চিমসে গেছে টোলা গাল

হাড্ডি আছে গোস্ত নাই

গোস্ত বলতে চামড়াটাই।

বললাম, তোর এ দশা কেনো

কোথায় ছিলি এতোদিন?

বলল, মামা, পরে বলি

আগে কিছু খেতে দিন।

খেয়েদেয়ে বলল হীরা

কসম খোদার মাথার কিড়া

বললাম যেদিন, মানি না

এরপর কি হয় জানি না।

চক্ষু বেঁধে নিয়ে গেল

ভাবলাম বুঝি দেবে জেল

অমা, কোথায় জেল

ভানুমতির খেল।

চক্ষু দুটো খোলার পর

দেখি ওটা আন্ধা ঘর

বাঁচার কোন উপায় নাই

তিনদিন পর একবার খাই।

কেটে গেল ছয়টা মাস

ভাগ্য ভাল হইনি লাশ

হঠাৎ একদিন দরজা খুলে

আমায় নিল জীপে তুলে।

তখন মামা মধ্যরাত

বাঁধলো আমার দুটো হাত

তারপর দিল বেজায় মার

হুশ আসলো বিলের ধার।

জীপের কোন খবর নাই

পিটপিট করে চারদিক চাই।

কোথায় বাড়ি কোথায় ঘর

যেন বিরাণ তেপান্তর।

বেঁচে গেলাম বরাতজোর

রাত্রি শেষে আসলো ভোর

এ জুলুমের বদলা চাই

জালিমের আর নিস্তার নাই।

২৪/৪/২২। বাদ ফজর।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪৩৬

যখন হবো বুড়ো

আমি এখন বুড়ো

স্বপ্ন আমার যায় ডিঙিয়ে

তবু পাহাড় চূড়ো

দাঁতের নিচে হয় না তো আর

হাড্ডি গুড়োগুড়ো।

মনটা আমার হাওয়াই ঘোড়া

থাকে উড়োউড়ো

তারে ধরার চেষ্টা করে

হার মেনেছে নূরু

শেষে বলে সেলাম সেলাম

ভাল থাকেন গুরু।

আপনি এখন বুড়ো

কদিন বাদেই পটল তুলবেন

আমার হবে শুরু।

আমি তখন বসে বসে

খাবো মাছের মুড়ো।

আর নাচাবো ভুরু।

দুদিনবাদে আপনার দশা

হবে আমার পুরো

লোকে তখন বলবে আমায়

ভালো আছেন গুরু?

আমি তখন বলবো হেসে

কী যে বলিস, ধুরো

এই বয়সে কেউ কি আর

ভাল থাকে পুরো?

২৫/৪/২২। বাদ জোহর।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪৩৭

পূণ্য ছাড়া রেহাই নাই

বাপের কামাই বাপে নেবে, দেবে না তার পূণ্য

পীরের কামাই পীরে নেবে তোমায় দেবে শূন্য।

আসবে এমন কঠিন দিন

আমলনামায় পাপের চিন

সেদিন তুমি করবে কি, হাতে নিয়ে শূন্য।

হারাম খাওয়া নিষেধ তবু তুমি কেন খাও

হারাম খেয়ে তুমি ধরায় যেটুক মজা পাও

আগুনে যেদিন পুড়বে দেহ

পাপ নেবে না তোমার কেহ

সেদিন কিন্তু তাকাবেনা ফিরে তোমার মা-ও।

সঙ্গী যেদিন আমল হবে

পাপের খবর অঙ্গ কবে

ভাল কাজের থাকলে আমল তরিয়ে নেবে পূণ্য।

শেষ কথাটা বলে যাই

পূণ্য ছাড়া রেহাই নাই

উচিত কথায় মন তোমার হোক না যতই ক্ষুন্ন।

২৬/৪/২২। বাদ জোহর।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪৩৮

হকের পথে চলি

হকের পথের পথিক আমরা হকের পথে চলি

সড়ক পথে ঘুরে বেড়াই যাই না চিপা গলি।

পরের গীবত গাই না আমরা সবার ভাল চাই

নিত্য আমরা হারাম ছেড়ে হালাল রুজি খাই।

হকের পথে চলি আমরা নাহক পথে যাই না

কোরান মানি তাই আমরা হারাম কিছু খাই না।

আমরা করি ভাল কাজ ছেড়ে দিয়ে মন্দ

ডেকে বলি সবাই মিলে মন্দ করো বন্ধ।

নিজের ভাল করি আমরা পরের ভাল চাই

যার আদরের সৃষ্টি আমরা তার গুণগান গাই।

আমরা অধর্মকে বাদ দিয়ে আজ ধর্মের পথে চলি

আমরা মিথ্যা বলা বাদ দিয়ে আজ সত্য কথা বলি।

২৮/৪/২২। বাদ জোহর।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪৩৯

একটা কথা বলি

একটা কথা বলি

আদর পেলে আমি সত্যি

মোমের মত গলি।

রাগ দেখালে তার সামনে

আগুন হয়ে জ্বলি।

অহংকারী দেখলে পরে

দুটি পায়ে দলি।

একটা কথা বলি

বাপকা বেটা আমি কিন্তু

বীরের মত চলি

যত্ন করে আমি ফোটাই

ফুলের সকল কলি

দুষ্টামীটা করলে তার

কান দুটো দেই ডলি।

একটা কথা বলি।

রাতবিরাতে আমি কিন্তু

একলা একা চলি।

অবাক হয়ে সাগর দেখি

কোথায় যে এর তলি?

কথা শুনে চিন্তায় পড়ে

মলি এবং পলি।

আমি এবার চলি।

আমি এবার চলি মামা

আমি এবার চলি।

২৮/৪/২২। বাদ এশা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪৪০

ভালোর জন্য লড়ো

মন্দ যতো দূর করে দাও, ভালো কাজ করো

মন্দটাকে দূর করতে সাহস নিয়ে লড়ো।

পড়ো এবং পড়ো,

মহত জীবন গড়ো

কোরান হাদীস পড়ে তুমি নবীর পথ ধরো।

লড়ো এবং লড়ো

তুমিই হবে বড়ো

সুখী সমাজ গড়ার জন্য ঐক্য সবে গড়ো।

শান্তির জন্য লড়ো

সন্ত্রাসীকে ধরো

মন্দ দেখে চুপ না থেকে এবার একটু নড়ো।

ভালোর জন্য লড়ো

আলোর জন্য লড়ো

তুমিও মানুষ আমিও মানুষ, হিংসা কেন করো।

২৯/৪/২২। বাদ ফজর।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪৪১

ঈদ মানে

ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে হাসি

ভাগ করে নাও যদি ভালবাসাবাসি।

ঈদ মানে বাপ মার নিদারুন কষ্ট

যদি হয় ছেলেপেলে বেপরোয়া, নষ্ট।

এটা চাই, ওটা চাই, অকারণ বায়না

যদি কেউ রাগ করে ঈদ রাতে খায়না।

যতটুকু পাও যদি খুশি মনে নাও

মার হাতের রান্না মজা করে খাও।

ঈদ হয় হাসিখুশি, ভরে যায় প্রাণ

ঈদে যদি মন খুলে করো তুমি দান।

অপরের কষ্ট যারা করে দূর

তার মন আনন্দে হয় ভরপুর।

ঈদ মানে চারদিকে মিলনের ঢেউ

নেই ভাই মারামারি, পর নয় কেউ।

২/৫/২২। রাত ১২ঃ১৮

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪৪২

কালি

লোকটা হাশেম আলী

বাপ ছিল তার মালী

একটা ছিল বউ তার

তিনটা ছিল শালী।

দুইটা ছিল সুন্দরী আর

একটা ছিল কালি

সেই কালিটার বিয়ে হল

শহর নোয়াখালী।

স্বভাব তার খারাপ ছিল

লোককে দিত গালি

জামাই মিয়া গালি শুনে

দিত হাতে তালি।

বলতো হেসে বারে বাহ

এই শিখেছো খালি

বাপের বাড়ি ভাত খাওনি?

শুধু খেতে বালি?

এসব এবার দাও না ছেড়ে

এটা নোয়াখালী

গালির বদল মানুষে দেয়

পঁচা ডিমের হালি।

সেই থেকে সে দেয় না গালি

তবু নাম তার যায় না কালি।

২/৫/২২। বাদ ফজর।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪৪৩

আয়নার ঈদ

ছোট্ট মেয়ে আয়না

বলি, কাছে আয় না।

ঈদ এসেছে তোর কি আছে

কিছু কেনার বায়না?

ও ফ্যালফেলিয়ে তাকায়

চক্ষু গাড়ির চাকায়

বলে, মামা বস্তির মেয়ে

ভাতই খেতে পায় না

কি থাকবে তার বায়না?

সে জানাল গার্মেন্টসে

চাকরী করে আয়না

মা মেয়ে কেউ তিন মাস ধরে

কোন বেতন পায় না।

সারাদিনে একবেলা খায়

দুবেলা ভাত খায় না

তার কি ঈদের বায়না।

মালিক বড় পাজি

আসকর আলী হাজি

বেতন দেয় না ঈদ করতে যায়

মালয়েশিয়া, চায়না।

মানুষ তো না, হায়না।

গার্মেন্টস কর্মী আয়না

তিন মাস বেতন পায় না

ইসলাম কিন্তু এমন জুলুম

কোন মতেই চায় না।

ঘাম শুকাবার আগে যেন

শ্রমিক বেতন পায়

ইসলাম এটাই চায়।

মালিক যারা বেতন দাও

যদি ঈদের ফায়দা চাও।

২/৪/২২। বাদ মাগরিব।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪৪৪

মানুষ হতে চাই

মা জননী হাসে

আরো কাছে আসে

বলে, বাবা বড় হয়ে

কি হবি তুই বল

করিস নারে ছল।

আমি তাকাই মায়ের চোখে চোখে

খুশি যেন ছলকাচ্ছে মায়ের মুখে মুখে

বললাম, হেসে মাগো

বলবনা মা, কথা শুনে তুমি যদি রাগো।

মা হেসে কয়, সত্য কথা কবা

ডাক্তার নাকি ইঞ্জিনিয়ার হবা?

নাকি হবা কবি?

নাকি তুমি শিল্পী হয়ে

আঁকবে মজার ছবি?

আমি বলি শোন,

জজ ব্যারিস্টার হলে পরে

লাভ কি আছো কোন?

দোয়া করো একটা শুধু-

রিজিক দেবেন যিনি

তাকে যেন চিনি।

তাঁর হুকুমে চলি

সত্য কথা বলি।

আমি যেন মাগো শুধু

হালাল খাবার খাই

ঘৃণা নয় মা, আমি যেন

ভালবাসা পাই।

সবাই যেন দোয়া করে

এটুক শুধু চাই

ডাক্তার কবি যা-ই হই আমি

সবার আগে মাগো

আমি মানুষ হতে চাই।

দেখলে যেন সবাই বলে,

কেমন আছেন ভাই?

৪/৫/২২। বাদ এশা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪৪৫

অমানুষ

যাদের ভাবি শত্রু তারা আমায় ভালবাসে

বিপদ দেখলে ওরাই দেখি কাছে ছুুটে আসে।

কত বন্ধু, আপন দেখলাম, বিপদ দেখলে নাই

যায় পালিয়ে দূরে যদি কিছু আমি চাই।

আমার ভাল দেখলে দেখি ঈর্ষা করে তারা

গলায় গলায় ভাব দেখাতো গতকালও যারা।

আমার খ্যাতি দেখলে ওরা হিংসায় মরে যায়

মুখে যদিও হাসি থাকে, মনে ব্যথা পায়।

আমার যদি উন্নতি হয়, কেউ কেউ হয় নারাজ

যাদের ভাবতাম মহামানব,দীল ভাবতাম দারাজ

এমন মানুষ পশুর অধম, পরের মন্দ চায়

মানুষ হলেও তাদের বলো মানুষ ভাবা যায়?

৫/৫/২২। বাদ জোহর।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪৪৬

নফল নিয়ে বাড়াবাড়ি

পড়শিজনকে উপোস রেখে পেট পুরে যে খায়

নবীর দলের নয় সে কেউ, নাম তার কাটা যায়।

কি লাভ করে জিকির আজকার, এবং এবাদত

মুসলিম বলে নাম যদি তার হয়ে যায় রে রদ।

আগে হও মানুষ তুমি, হওরে হৃদয়বান

নবীর কথা আমল করো, আনো রে ঈমান।

পাগড়ি জুব্বা মুসলমানের নয়রে পরিচয়

আল্লাহ নবীর কালাম মানলে মুসলমান সে হয়।

আল্লাহর হুকুম পালন করাই আসল এবাদত

ফরজ রেখে নফল নিয়ে মাতে যেজন বদ।

ফরজ এবং হালাল হারাম আগে মান্য করো

আল্লাহর হুকুম, ওরে মুমীন, মুসলিম হয়ে মরো।

দ্বীন কায়েমের চেষ্টা করা যদি ফরজ হয়

নফল নিয়ে বাড়াবাড়ি তবে সঠিক নয়।

৫/৫/২২। বাদ মাগরিব।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪৪৭

আবোল তাবোল

আবোল তাবোল বাবোল গাম

পোকায় খাইল তিনটা আম।

পোলা খাইল মাম

আমি কালো জাম।

জামের বিঁচি উপকারী

গুড়া করে খাও

ডায়াবেটিস থেকে তুমি

বাঁচতে যদি চাও।

তেতুল বিঁচি, মটরদানা

কে দেয় বলো মজার খানা

কার হুকুমে আতা গাছে

আতা তুমি পাও?

আবোল তাবোল বাবোল গাম

কজনে নাও তাঁহার নাম

কজন তারে খাজনা দাও

তাঁর পাকানো ফল যে খাও।

পোকায় খাইল তিনটা আম

তোমরা চলো ডাইনে বাম

কোরান মানো কজন ভাই

প্রশ্ন রেখে বাড়ি যাই।

৬/৫/২২। বাদ ফজর।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪৪৮

আমার বাড়ি

আমার বাড়ি গাজীপুর

ঢাকা থেকে অল্প দূর

নানা রকম ফলের দেশ

খেতে সবই মজা বেশ।

আম কাঁঠালের অভাব নাই

যাদের স্বভাব ভালো পাই

তাদের বানাই খেশ

সবুজ বরণ দেশ।

বাড়ির পাশে ফলের গাছ

পুকুর বিলে অঢেল মাছ

শাল গজারীর বন

মিষ্টি তাদের মন।

গাজীপুর তো গাজীর বাস

হয় না কারো হুকুম দাস

স্বাধীনভাবে চলে

সত্য কথা বলে।

দেশটা ভরা সবুজ সোনা

ফলফলাদি ফসল বোনা

তাদের আছে দুঃখ শোক

ঘৃণা করে মন্দ লোক।

কালিগগঞ্জের পোলা

খায় না কোকাকোলা।

অক্সিজেনের অভাব নাই

গাজীপুরে আসেন ভাই।

৬/৫/২২। বাদ জোহর।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪৪৯

ভেউ

ছড়া পড়ার দরকার নাই

আপনি স্বাধীন, সরকার নাই

সে দেয় ঘামের দাম কি

তয় সরকারের কাম কি।

চলেন কাটি পাকা ধান

কাঁদুক বসে মিয়া চান

একযুগ যারে খাওয়াইলাম

সেও বলে মুক্তি চাই।

এমন দাবীর যুক্তি নাই

যুক্তি ছাড়া মুক্তি নাই।

স্বাধীন আপনি, কিসের দাম?

পাইলে খাবেন পাকা আম।

কাউযা কারে খোরপোশ দেয়

বিবি কেন খোরপোশ নেয়

কে যে কখন ট্যাকসো চায়

কোন কারণে দিল্লী যায়।

কুকুর করে ভেউ

কারণ স্বাধীন সেও।

ভেউ করার যার সাহস নাই

সে কি স্বাধীন? বলেন ভাই।

৭/৫/২২। বাদ ফজর।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪৫০

এলো ত্যাগের দিন

ঈদ মোবারক ঈদ মোবারক এলো ত্যাগের দিন

আল্লাহর ইচ্ছার কাছে নিজের ইচ্ছা করো লীন।

দাও ছেড়ে দাও লোভ লালসা, আল্লাহয় করে ভয়

আল্লাহর ভয়ে মন্দ কাজের হোক না সবই লয়।

দ্বীনের পথে অটল হওরে সকল মুসলেমীন।

ঈদ মোবারক ঈদ মোবারক এলো ত্যাগের দিন।

মনের পশু কোরবানী দাও, ছাড়ো হারাম কাজ

সবাই মিলে গড়ে তোল কোরানের সমাজ।

সবাই মিলে আঁকড়ে ধরো আল্লাতালার দ্বীন।

ঈদ মোবারক ঈদ মোবারক এলো ত্যাগের দিন।

হিংসা বিভেদ ঘৃণা ঈর্ষা কোরবানী দাও আজ

মিথ্যা পাপের কাজে হৃদয় পাক না আজি লাজ

আজ মিলনের গান গাই এসো বিশ্ব মুসলেমীন

ঈদ মোবারক ঈদ মোবারক এলো ত্যাগের দিন।

৭/৫/২২। বাদ জোহর।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪৫১

বলরাম পাণ্ডে

বলরাম পাণ্ডে

বাড়ি যায় সানডে

ভাত খায় মানডে

তরকারি আণ্ডে।

চোখ দুটো গোল গোল

খেয়ে বলে হরিবোল

দোলনাতে খায় দোল

বলরাম দেয় টোল।

তবু নাই নিস্তার

বিপদটা রিসতার

নাম তার পাণ্ডে

রোজ খায় ডাণ্ডে।

৭/৫/২২। বাদ মাগরিব।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪৫২

ডর পায়

নফসের খাহেশাত

সব করে বরবাদ

ইহকাল পরকাল দুই কাল যায়

এ খাহেশ মানুষের মন্দটা চায়।

রিপুর এ আহবান

করো তুমি খানখান

মনটাকে বল তুই আয় ফিরে আয়

জেনে বুঝে মন্দ, কেবা হতে চায়।

জীবনের জয়গান

বিবেকের বড় দান

যদি নাও মেনে তুমি বিবেকের রায়

এ জীবন ধন্য হয়, সুখ সেতো পায়।

এ জীবন নয় খেলা

যদি চলে যায় বেলা

হতাশায় দিন কাটে, হৃদয়টা তড়পায়

মরণের কথা ভেবে সে শুধু ডর পায়।

৮/৫/২২। বাদ মাগরিব।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪৫৩

জাকাতের শিক্ষা

একটা বুড়ি স্বামীহারা চিন্তায় কাটে রাত

একটামাত্র ছেলে তার দেয় না খেতে ভাত।

ভিটা ছাড়া তাদের কোন জমাজমি নাই

সেই ভিটাতে কোনমতে পেল তারা ঠাঁই।

মাহাজনের রিকসা চালায়, ছেলে তবু খায়

সেই বুড়িটা চিন্তা করে কোথায় খাবার পায়।

বাঁচার জন্য সেই বুড়িটা ভিক্ষা ধরলো শেষে

তার এক স্বজন সে খবরটা পেল অবশেষে।

অল্পকিছু টাকা হয় বউয়ের গয়নার জাকাত

শোকর করে গয়নাটা তার নেয়নি কোন ডাকাত।

ওই টাকাতে রিকসা কিনে বুড়িকে দেন তিনি

বুড়ি বলেন, ভালবাসায় করলে আমায় ঋণী।

লোকটা তখন সেই বুড়ির ছেলেকে ডেকে কয়

মাহাজনের রিকসা চালান এখন থেকে নয়।

এই রিকসাটা তোমার মায়ের, তিনি মহাজন

তিনি পাবেন রিক্সার জমা, বাঁচেন যতক্ষণ।

তুমি পাবে বাকি টাকা, জমা পাবেন তিনি

এই আশাতে জাকাত দিয়ে রিক্সা দিলাম কিনি।

একটা রিক্সা মা ও ছেলের বাঁচার উপায় হয়

জাকাত করে সমাজ থেকে ভিক্ষাবৃত্তি ক্ষয়।

সেই বুড়িটা মরার আগে করেনি আর ভিক্ষা

সমাজ করো স্বাবলম্বী এই জাকাতের শিক্ষা।

৯/৫/২২। বাদ জোহর।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪৫৪

সমাজ গড়ার ডাক

মিথ্যা বলা ছাড়লি না তুই,

করিস হারাম কাজ

তবুরে তুই মুসলিম বলিস,

নাই কিরে তোর লাজ।

ফরজ রেখে নফল নিয়ে

করিস বাড়াবাড়ি

সমাজ জুড়ে ফেতনা ফাসাদ,

করিস মারামারি।

তুই অমানুষ, কিসের মুসলিম,

তুইতো ধোঁকাবজ।

তোর কারণে কায়েম হয় না

ধরায় খোদার রাজ।

কোরবানী কর মনের পশু,

বনের পশু নয়

বিশ্বজুড়ে শান্তি সুখের

তবেই হবে জয়।

মানবতা জিতবে যদি

ইসলাম জিতে যায়

শান্তি সুখের সমাজ গড়ি

সবই মিলে আয়।

১০/৫/২২। বাদ ফজর

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪৫৫

কাঁঠাল চাপার তলে

কাঁঠাল চাপার তলে

চল যাই দলে দলে

সেথায় গিয়ে খেলবো আমরা,

মিলবো গলে গলে।

মাতবো গানে গানে

সুখ বিলাবো প্রাণে

গানতো আমরা গাইতে পারলাম

সুর দিয়েছেন বলে।

আমরা হবো ফুলের মতো

সুবাস বিলাবো

মনের পাশে মনকে এনে

আমরা মিলাবো।

বলবো মানব মানুষ হও

তোমরাতো কেউ পশু নও

তবে কেন দাও গো ব্যথা

প্রতারণার ছলে।

এই যে ছায়া এই যে মায়া

এসব তাঁরই দান

আল্লাহ বড়ই রহমদীল

তিনি মেহেরবান।

পাখিরা তাঁর গুণ গায়

কারণ তাঁহার নুন খায়

তাঁর, জপের মালা আয় না পড়ি

আমরা সবাই গলে।

১০/৫/২২। বাদ মাগরিব।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪৫৬

বেহেশত এতো সোজা না

দুই হরফে নেকী কুড়ি

সওয়াব পাবো ভুরি ভুরি

বেহেশত আমার বান্ধা

হুজুর কইছে দিতে অইবো

মাসে দেড়শো চান্দা।

পাইছে তোরে বোকারাম

চোখ থাকিতে আন্ধা

বিনা শ্রমে টাকা মারার

এটা একটা ধান্ধা।

নামাজ পড়ার খবর নাই

চান্দা দিয়া হবি পার

হুজুর নিজেই আটকে যাবে

দিবে না কেউ তাকে ধার।

ইয়া নাফসি হবে সার

সেদিন বুঝবি কেবা কার

বেহেশত এতো সোজা না

খোদা চাবে ফরজ, হালাল

নফল কামের বোঝা না।

বাঁচতে চাইলে ফরজ ধর

হালাল কামাই খা

হারাম কামাই দান করে

নয় দোযখে যা।

কবিরা গুনাহ করা তুই

জলদি করে ছাড়

তওবা কর, নয় পাবি না

কোন মতে ছার।

বেহেশত এতো সোজা না।

মুরীদের টাকা পীরে খায়

পীর তো লেংড়া খোজা না।।

১২/৫/২২। বাদ ফজর।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪৫৭

পানির তলে নানীর বাড়ি

পানির তলে নানীর বাড়ি

কারা যেতে চাও

চুপটি করে দিঘীর জলে

নজর করে চাও।

পানির তলে নানীর বাড়ি

কেউ কি দেখতে পাও

যেতে হলে জলে ডুবাও

আস্তে করে পাও।

নানীর বাড়ি যাবো আমি

জলে দিলাম ডুব

কই যে গেল নানীর বাড়ি

খুঁজলাম ডুবে খুব।

বাড়িও নাই, বৃক্ষও নাই

নাইরে জামের গাছ

দিঘীর জলে খেলা করে

টেংরা পুটি মাছ।

মাছরে জিগাই, নানীর বাড়ি

কোথায় গেল, কই

তোমার নানী খেতে গেছে

পাতলা খানের দই।

এবার ওঠো, ঢেউ দিও না

তাকাও খাপে খাপে

ওই যে দেখ জলের তলে

নানীর বাড়ি কাঁপে।

১২/৫/২২। বাদ জোহর।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪৫৮

ক্ষুধার জ্বালা বড় জ্বালা

ক্ষুধার জ্বালা বড় জ্বালা

জ্বালার তো অষুধ নাই

ক্ষুধার কষ্ট থাকলে দেশে

সে সমাজে শান্তি নাই।

ক্ষুধার কষ্ট করো দূর

সমাজ হবে শান্তিপুর

সমাজ থেকে অভাব দূরের

দাওয়াই হলো জাকাত ভাই।

ক্ষুধার কষ্ট স্বভাব নষ্ট

অশান্তি ও পাপ বাড়ে

ক্ষুধার কষ্ট ধনী গবীব

কে, কবে সইতে পারে।

জাকাত হলো ক্ষুধার কষ্ট

দূর করনের মূল দাওয়াই।

মনে রেখো জাকাত ফরজ

ধনীর জাকাত দিতেই হয

এটা হলো গরীবের হক

জাকাত কোন ভিক্ষা নয়।

জাকাত দিলে ধন বাড়ে

সম্পদ তাতে কমে না

চুরি ছিনতাই প্রতারণা

পাপের খেলা জমে না

এসো এসো সবাই মিলে

শান্তি সুখের সমাজ চাই।

জাকাত মোছে চোখের পানি

দীন দুঃখীদের সকল দুখ।

সমাজ জুড়ে দেয় ছড়িয়ে

অপার অঢেল শান্তি সুখ

সুখের সমাজ গড়তে হলে

আগে জাকাত কায়েম চাই।

১৩/৫/২২। বাদ ফজর।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪৫৯

গরীবের জন্য রহম

ঘর নাই, বাড়ি নাই, ফুটপাতে থাকে

এদের খবর বলো, কে কবে রাখে।

তাদের জন্য এসেছে সুখের বিধান

ফরজ জাকাত দাও, দাও অনুদান।

বুভুক্ষ মানুষেরা পথে পথে ঘুরে

তোমার বিবেক কেন তবু জাগে না

কত শিশু বুড়ো আহা কষ্টে মরে

ওদের জন্য একটু মায়া কি লাগে না?

কে দেবে তাদের বলো এতটুকু ঠাঁই।

কে বাঁচাবে অসহায়, নিঃস্বের প্রাণ।

কে তুলবে তার জন্য বাঁচার শ্লোগান।

কে গড়বে তাদের জন্য সুখের বাগান।

তাদের সে মুখে হাসি এনেছে জাকাত

ঘুচে গেছে বঞ্চিতের আঁধারের রাত।

তাদের জন্য এসেছে ফেতরা অনুদান

তাদের জন্য এসেছে জাকাত বিধান।

জুলুম আর শোষণের হবে অবসান

শোষণহীন সমাজটা গড়বে কোরান।

এ জন্য কায়েম চাই জাকাতের আইন

গরীবের জন্য রহম, খোদার ফরমান।

১৪/৫/২২। বাদ মাগরিব।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪৬০

রিজিক

যিনি রাজ্জাক রিজিক দেয়ার

দায়িত্বটা তার

বিশ্বলোকে রিজিক তিনি

দেননি বলো কার?

গাছের রিজিক মাছের রিজিক

সবার রিজিক দেন

রিজিক নিয়ে তুমি তবে

চিন্তা করো ক্যান?

সুযোগ পেলেই এর ওর হক

মেরে তুমি খাও

যতোই পাও রিজিক তুমি

ততোই আরো চাও।

লোভের জিহ্বা লম্বা তোমার

তাইতো অভাব সারে না

তাতে কিন্তু একতিল সম্পদ

নিজের ভাগে বাড়ে না।

শুধু বাড়ে পাপের বোঝা

সুদ, ঘুষ যতো যাও

নিজের জন্য নিজেই তুমি

দোযখ বেছে নাও।

আল্লাহর হুকুম নামাজ শেষে

রিজিক তালাশ করো

তুমি তখন বসে বসে

তসবি টেপা ধরো।

খোদার হুকুম মান্য করো

সুখটা যদি চাও

নইলে তুমি পাপ কামিয়ে

জাহান্নামেই যাও।

১৫/৫/২২। বাদ মাগরিব।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪৬১

রিজিকদাতা

আল্লাহ সবার রিজিকদাতা

বিশ্বাস যদি করো

তবে কেন সুদ, ঘুষ খাও,

হারামের পথ ধরো।

রিজিক ওড়ে নীল আকাশে,

পাহাড়,সাগর জলে

রিজিক থাকে গাছের ডালে

কঠিন মাটির তলে।

পানির তলে মাছও রিজিক পায়

মৌমাছিরা তারাও খাবার খায়

বনবনানী ঘুরে দেখো

কত খাবার ফলে।

তবু কেন পাপ জেনেও

এতীমের মাল খাও

আল্লাহর নিষেধ তবু কেন

হারাম পথে যাও।

শিরিক করে পাপের মালা

পরো নিজের গলে।

শূন্যের সাথে শূন্য দিলে

বাড়ে কেবল শূন্য

হালাল পথে থাকলে বাড়ে

পূণ্য এবং পূণ্য।

হালাল পথে ছুটে চলো

সবাই দলে দলে।

১৫/৫/২২। বাদ এশা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪৬২

হক মেরো না কারো

যতোই তওবা করো বান্দা মাফ পাবে না তুুমি

যদি তুমি করো দখল একহাত পরের ভূমি।

বান্দার হক মাফ করেন না প্রভু

যদি বান্দা মাফ না করেন কভু

মাফ পাবে না পীর আউলিয়া কারো পদচুমি।

তওবা করলে সব গোনাহ হয়ে যাবে মাফ

এই কথাটা ডাহা মিথ্যা শুনে রাখো সাফ।

পরের মাল করলে তুমি চুরি

লাভ হবে না করলে সীনাজুরি

এ পাপের তো মাফ পাবে না কোন কালে তুমি।

আল্লাহর হক নষ্ট করলে মাফ যদি বা পাও

পরের হক নষ্ট করলে মাফ পাবে না তাও।

পরের হক যারা মেরে খায়

তার কাছে যদি তারা ক্ষমা চায়

সে যদি মাফ করে তবেই ক্ষমা পাবে তুমি।

পড়শির হক আদায় করো, আত্মীয়ের হক দাও

তাদের রেখে ক্ষুধার্ত, কেমনে তুমি খাও?

ধনীর ধনে গরীবের হক

মেরে খায়রে যেসব ঠগ

পার পাবে না তারা কিন্তু কাবার দেয়াল চুমি।

১৬/৫/২২। বাদ ফজর।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪৬৩

লাগ ভেলকি

দেখতে চাইলে সাপের পাও

পায়ে হেঁটে দিল্লী যাও

দিল্লীতে সে করে বাস

নাম ছিল তার অমর দাস।

দুই পা ছিল অমর দাসের

প্রেমিক ছিল বাড়ির পাশের

একদিন অমর হলো সাপ

সবাই বলে বাপরে বাপ।

পা দুটো তার রয়েই গেলো

ডুবায় সে পা গরম তেল

পা বলে, তুই ঢাকা যা

গিয়ে পদ্মার ইলিশ খা।

ঢাকায় এলো অমর দাস

দেখলো পথে মরা লাশ

লাশের গায়ে গুলির দাগ

লাগ ভেলকি লাগরে লাগ।

১৬/৫/২২। বাদ জোহর।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪৬৪

তাবেদার

আলেমেরও তালিকা হয়

জালিমের ক্যান হয় না

সেই কথাটা সাহস করে

দুদকেও কয় না।

ব্যাংকে গেলেই হিসাব মিলবে

কারা পাচারকারী

সেই টাকাতে কারা বিদেশ

কিনছে নতুন বাড়ি।

আলেমগুলো জেলে রেখে

চোর ডাকাতে চালায় দেশ

আলেম খোঁজার আগে দুদক

পারলে ছিঁড়ো তাদের কেশ।

খুব তো তুমি বাহাদুর

বেচতে পারো চানাচুর।

দেশে কয়টা নাস্তিক আছে

তার লিস্টি কি আছে কাছে?

মন্দ লোকের জয়জয়কার

দুদক তাদের তাবেদার।

১৬/৫/২২। বাদ আছর।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪৬৫

পাপ হবে না ক্ষমা

যতোই তওবা করো তুমি পাপ হবে না ক্ষমা

পরের হক নষ্ট করলে সে পাপ থাকবে জমা।

যার হক তুমি করলে নষ্ট

দূর না হলে তার মনোকষ্ট

সে না করলে ক্ষমা তুমি পাবে নাতো মাফ

জানিয়ে দিলেন এ কথাটা সবারে আল্লা সাফ।

এতীমের হক মারলে তুমি তার কাছে মাফ চাও

পরের হক মারলে জলদি তার কাছে ছুটে যাও

সে যদি তা মাফ না করে

ঠকবে তুমি কাল হাশরে

যার হক তুমি করলে নষ্ট তার কাছে মাফ চাও।

নইলে তুমি সে পাপ নিয়ে জাহান্নামে যাও।

সাবধান বান্দা, পরের হক কেউ করো না নষ্ট

সে পাপ তোমার জমা থাকবে, মনে রেখো পষ্ট।

তওবাতে তা হবে না মাফ

জেনে রেখো এ কথা সাফ

তবে কেন পরের হক জেনেও করো নষ্ট।

কেন তুমি পরের মনে অযথা দাও কষ্ট।

পরের গাছের কাঁঠাল তুমি না বলে যদি খাও

এটাই হলো চুরি দাদা, একটু বুঝে নাও

তালতলাতে যেয়ো না

পরের মাল খেয়ো না

সাধ্যমতো বান্দার হক দিয়ে তুমি দাও।

যতোই তওবা করো তুমি পাপ হবে না ক্ষমা

পরের হক নষ্ট করলে সে পাপ থাকবে জমা।

১৬/৫/২২। বাদ মাগরিব।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪৬৬

লিস্টি করো লিস্টি

লিস্টি করো লিস্টি

কে শয়তানের ইস্টি।

ষড়যন্ত্রের হোতা কে

বাড়ায় অনাসৃষ্টি।

করো তাদের লিস্টি।

লিস্টি করো লিস্টি

কে বিদেশের ইস্টি।

জালেমেরা কারে দেয়

রসগোল্লা, মিষ্টি।

করো তাদের লিস্টি।

দেশের টাকা বিদেশ পাঠায়

হারাম টাকা কে বসে খায়

কালো টাকায় কারা কারা

দেয় হোটেলে ফিস্টি

করো তাদের লিস্টি।

কারা ধরে আলেম মারে

ষড়যন্ত্রের কাঠি নাড়ে

করো তাদের লিস্টি

বহাও কিলের বৃষ্টি।

নাস্তিক কারা লিস্টি করো

আস্তিক যারা ঐক্য গড়ো

তাড়াও অনাসৃষ্টি

করো নয়া লিস্টি।

১৭/৫/২২। বাদ ফজর।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪৬৭

দুশ্চিন্তাতে কাটে রাত

আলেম দিয়ে জেল ভরেছে

জালেমের তাও ঘুম নাই

ভয়ের চোটে কতো যুবক

করলো শেষে গুম ভাই।

কতো যুবক খাইলো গুলি

কারো গেলো মাথার খুলি

চোরের মায়ের লম্বা গলা

উন্নয়নের শোনায় বুলি।

লাল হয়ে যায় কর্ণফুলি

রক্ত ঝরে কুমারখালি

আলেম দিয়ে জেল ভরবে?

আর তো জেলে রুম নাই।

তাই সরকারের ঘুম নাই।

হুজুর দিলে পানি পড়া

ঘুমটা যদি আইতো

দুরু দুরু বুকটা তবে

একটু শান্তি পাইতো।

ঘুমের বড়ি কাজ করে না

চোখের পাতা ভাঁজ করে না

শান্তি খাইছে কুকুরে

ডুব দিব কোন পুকুরে?

সেই চিন্তাতে মাথায় হাত

দুশ্চিন্তাতে কাটে রাত।

১৭/৫/২২। বাদ জোহর।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪৬৮

উচিত কথা

উচিত কথা কইতে নাই, উচিত কথা তিতা

উচিত কথা বললে ক্ষেপে স্বজন এবং মিতা।

গুজব শুনি মুক্তিযুদ্ধে যায়নি নাকি জিয়া

যুদ্ধ করছে পাকিস্তানের খাঁচায় বন্দী টিয়া।

উচিত কথা কইতে নাই, উচিত বড় তিতা

যে দেখে নাই মুক্তিযুদ্ধ তারে ডাকি পিতা।

কারা করলো মুক্তিযুদ্ধ, কারা কাটে ফিতা

এসব কথা কইতে নাই, উচিত বড় তিতা।

উচিত কথা বইতে নাই,উচিত কথা কইতে নাই

ঠাকুমার ঝুলির মতে,উচিত কোলে লইতে নাই।

উচিত কথা পাড়ায় পাড়ায় তবু লোকে কয়

কেমনে বলে এসব কথা, পায় না মোটে ভয়?

এসব কথা বলে বেড়ায়, বাউল গানে গানে

এসব কথা বলে বেড়ায়, বাতাস কানে কানে।

উচিত কথা কইতে নাই, উচিত বড়ো তিতা

উচিত কথা বললে ক্ষেপে স্বজন এবং মিতা।

২০/৫/২২। বাদ ফজর।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪৬৯

গজব

কোথায় গেলি আতর জান

এখনো তুই ঈমান আন

খোদার গজব এলে পরে

বাঁচায় নাতো শাহ পরাণ।

সিলেট ভাসে বানের জলে

ঘরদুয়ার সব পানির তলে

জলে ভাসে সগীর খান

তালি বাজায় ইবলিস খান।

মানুষ এখন ইতর আলী

গজব এখন কুমারখালি

করোনা যায়, বন্যা আসে

ইতর আলী বানে ভাসে।

ডেঙ্গুতে লোক মারা যায়

গুম হয়ে যায় সৈয়দ,খান

মাজার জুড়ে বাবার দল

বসে বসে গাঁজা খান।

দুর্নীতিতে দেশ ভাসে

নানা গজব তাই আসে।

সইছে মানুষ শত পাপ

তাই লেগেছে অভিশাপ।

বাঁচতে হলে পাপ ছাড়ো

নইলে গজব পাও আরো।

দেশের মানুষ মন্দ হলে

রাজা মন্দ হয়

এ কথাটা আমার না

কোরান পাকে কয়।

২১/৫/২২। বাদ ফজর।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪৭০

স্মৃতিমাখা দিন

আমার বাড়ির পাশে ছিল

শাল গজারীর বন

মায়ায় ভরা ছিল আমার

মা খালাদের মন।

নানান রকম পশু ছিল

নানান রকম গাছ

বেলাই বিলে ছিল কতো

মিষ্টি পানির মাছ।

বনে ঢুকে আমরা খেতাম

কত বুনো ফল

সেসব দিনের কথা কি রে

ভুলতে পারিবল।

বর্ষা এলে হিজল ফুল

করতো জলে খেলা

শাপলা তুলে আমরা তখন

কাটিয়ে দিতাম বেলা।

কতো রকম পশু পাখি

বনে করতো বাস

এমনি করে শীতগ্রীষ্ম

কাটতো বারো মাস।

কই যে গেল সেসব আহা

স্মৃতিমাখা দিন

গাঁয়ে এখন ইট ও পাথর

মানুষ হৃদয়হীন।

২৯/৫/২২। বাদ এশা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪৭১

তাই চোরের এ দেশটা

মন্দটারে মন্দ বলা

কনতো কোন পাপ নি

মন্দ দেখিমন্দ বলি

ক্ষ্যাপেন কেন আপনি?

উচিত কথা বলি বলে

আমায় করেন তাড়া

জ্বী হুজুর যে বলতে পারে

তারে করেন ভাড়া।

কোটি টাকা চুরি করলে

মন্ত্রী বানান তারে

চুরি ছাড়া কেউ কি বলেন

এমপি হতে পারে?

চুরি করে চেয়ারম্যানে

চুরি করে মেম্বারে

বড় চোরা চুরি করে

টাকা রাখে চেম্বারে।

ভাল মানুষ থাকলে দেশে

চোর কি নেতা হয়?

আমরাও চোর না হলে কি

চোরেরই হয় জয়?

চোরই বানায় চোরকে নেতা

ঠিক বলিনি কেস্টা?

চোরে চোরে মাসতুতু ভাই

তাই চোরের এ দেশটা।

৩০/৫/২২। বাদ জোহর।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪৭২

মন্দের সাথে ভাব নাই

মন্দটাকে মন্দ বলিভালোটাকে ভালো

সাদাটাকে সাদা বলিকালটাকে কালো।

নীলকে বলি নীল ও লালকে বলি লালও

তোমরা সবে চোর না হলে চোরকে কেন পালো?

এমন কথা মনে আসেসাহস করে বলিনা

পারি তবু কখনো তো মন্দটারে দলি না।

সমাজ জুড়ে মন্দ এসে আসন গাড়ে তাই

আমরা সবাই নন্দঘোষমন্দ গিলে খাই।

শুনতে যত খারাপ লাগুক এ কথাটা সত্য

আমরা পালি মন্দ সবে শেখ রায় ও দত্ত।

আমরা হলে ভাল তবে নেতা হতো ভালো

আমরা হলে আলো তবে জগত হতো আলো।

মন্দটাকে ঘৃণা করেমামা কোন লাভ নাই

আগে বলো মন্দ-সাথে আমার কোন ভাব নাই।

৩০/৫/২২। বাদ আছর।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪৭৩

তোমার দয়া চাই

এ জীবনটা তোমার দেয়া

তোমারই তো দান

লিখতে যেন পারি আমি

তোমার গুনগান।

চাই না কিছু কারো কাছে

তোমার দয়া চাই

এর বাইরে আমার প্রভু

চাওয়ার কিছু নাই।

ধনগরিমাযশ ও খ্যাতি

নাম দিয়ে কি হবে

এ ধরাতে এসব কিছু

কদিন বেঁচে রবে?

যাবো যখন নিজের বাড়ি

সবই পড়ে রবে

নিজের কামাই ধন সম্পদ

সঙ্গী কি কেউ হবে?

একলা এসে একলা যাবো

তোমার কাছে আর কি চাবো।

তোমার দয়া ছাড়া আমার

চাওয়ার কিছু নাই

জীবনটা তো সফল হবে

তোমায় যদি পাই।

২৪/৫/২২। বাদ জোহর।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪৭৪

পরের ভাল চাইবো

পরের ভাল চাইবো সবে

পরের ভাল চাইবো

তার বিনিময় পরকালে

রবের কাছে পাইবো।

স্বার্থ নিয়ে করবো না আর

ঝগড়ামারামারি

পরের জন্য ছোটখাটো

স্বার্থ দেবো ছাড়ি।

তার বিনিময় মহান প্রভু

রবের কাছে পাইবো।

পরের হক মারবো না

পরের হক কাড়বো না

আমার যতো চাওয়া আছে

রবের কাছে চাইবো।

তার কাছে নাই অভাব কোন

যা চাই সবই পাইবো।

পরের ভাল চাইবো মোরা

পরের ভাল চাইবো

তার বিনিময় পরকালে

রবের কাছে পাইবো।

২৫/৫/২২। বাদ ফজর।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪৭৫

এ সমাজটা ভালো হোক

এ সমাজটা ভালো হোক, সকলে তা চায়

তবে কেন নিজেরা সব মন্দ পথে যায়।

নিজে ভাল না হলে কি সমাজ ভাল হয?

মন্দটাকে দূর করতে, তবে কেন ভয়?

নিজে কেন হয় না ভাল, কিসের ইশারায়?

মনে মনে চাইলেই ভাল, কেউ কি ভাল হয়?

চাওয়ার সাথে আগে নিজের ভাল হতে হয়।

নিজে খারাপ থেকে কি লাভ, চাইলে ডানে বায়।

অমুক খারাপ, তমুক খারাপ এসব বলা ছাড়ো

নিজে আগে ভাল হও, যে যতোটা পারো।

আমরা ভাল হলে দেখবে সমাজও বদলায়।

দেশটা যদি সুন্দর চাও, সুন্দর করো মন

সবাই মিলে ভাল হওযার করো এবার পণ

দেশটা তখন ভাল হবে প্রেমের বারতায়।

২৫/৫/২২। বাদ মাগরিব।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪৭৬

সবাই বলে ভালো হও

সবাই বলে ভালো হও,

ভালো তো কেউ হয় না

ভালো হয় না চড়ুই পাখি,

শালিকটিয়াময়না।

সবাই করে চাপাবাজি

এসব চাপাসয় না

সবাই শোনেগানের মত

হুজুর থামেনকয় না।

চোর শোনে না ধর্মের কথা,

হুজুর কি খুব শোনে?

চাপাবাজি করে হুজুর

কেমনে টাকা গোণে?

ধর্মের বানী বলে যারা

দানের টাকা খায়

কোন আশাতে তারা আবার

বেহেশতটাও চায়?

দুর্নীতি ভরা এ দেশ

আলেম জালেম সকলে

দেশটা শুধু গোল্লায় যায়

এসব পাপের ধকলে।

পড়শি থাকে অনাহারে,

হুজুরে খায় গোস্ত

কেমনে হবে এ সমাজে

ইসলাম কায়েমদোস্ত?

গরীব মরে অনাহারে,

হুজুর বানায় বাড়ি

গরীব চলে পায়ে হেঁটে,

হুজুর কিনে গাড়ি।

এইভাবে তো ইসলাম কায়েম

হয় না কোনদিন

মায়ায় জড়াও মানুষদেখো,

কায়েম হবে দ্বীন।

২৬/৫/২২। বাদ ফজর।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪৭৭

দে রে তোরা জাকাত দে

ওরে

দে রে তোরা জাকাত দে

গরীবের হক মারিস না

গরীবের হক বাহুবলে

তোরা কাড়িস না।

ভিক্ষার টাকা চায় না গরীব,

ভাগের টাকা চায়

বড়লোকের টাকায় গরীব

জাকাতের ভাগ পায়।

সেই টাকাটা দে গরীবকে

নিজে ধরিস না।

যে দিয়েছে তোরে সম্পদ

তারে কর তুই ভয়

নইলে তোর এ সহায় সম্পদ

হতে পারে লয়।

প্রভুর হুকুম লঙ্ঘন করে

ধরা পড়িস না।

চলে যাবি দুদিন বাদে

পাপের বোঝা নিস না কাঁধে

গরীবের হক লোপাট করে

নিজে মরিস না।

২৬/৫/২২। বাদ জোহর।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪৭৮

থাকবোনা তুমি আমি

থাকবোনা তুমি আমিথাকবেনা কেউ

থাকবে না নদীতটথাকবে না ঢেউ।

রাজা আর মহারাজাবীর পালোয়ান

থাকবে না শেখ সৈয়দ রায় আর খান।

চলে যাবে যে যাবারনতুনেরা আসবে

ফুলবনে ফুলকলি মিটিমিটি হাসবে।

কপোত আর কপোতী,ওরা ভালবাসবে।

রাত শেষে প্রতিদিন নয়া ভোর আসবে।

কারো ধন কেড়ে তাই কারো লাভ নাই

মারা গেলে দেখবে কারো ভাব নাই।

নমরুদ গালি খাবেফেরাউনও তাই

তবে কেনো জুলুমের পথ ধরো ভাই?

এক পেট খেতে পারোতিন পেট খাও না

তবে কেন মেরে খাও অপরের পাওনা।

সকলেই সুখে থাকতুমি কি তা চাও না?

অন্যের পাওনাটা তবে দিয়ে দাও না।

মিছে মায়াহিংসা ও লোভ দাও ছাড়ি

কিছু পূণ্য হাতে নিয়ে যাও নিজ বাড়ি।

২৭/৫/২২ বাদ আছর।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪৭৯

ইলিশ মাছের তিরিশ কাঁটা

(ইলিশ মাছের তিরিশ কাঁটা

বোয়াল মাছের দাড়ি)

আগে জানতাম পুরুষ খারাপ

এখন দেখি নারী।

মাথায় তারা দেয় না কাপড়,

লাজ শরমের বালাই নাই

এমন পোশাক পরে তারা,

দেখলে নিজে শরম পাই।

পিঁঁপড়ার মত মানুষ যায়

পতিতাদের দেখতে

রাস্তাঘাটে যেসব দেখি

শরম লাগে লেখতে।

মানুষ এখন যতোই ঘুরুক

দিল্লী মস্কো চায়না

মনে রাখবেন তবু মানুষ

ছিলা কলা খায় না।

ছিলা কলায় সারাদিনই

মাছি ভনভন করে

মানুষ খায় না সেসব কলা

অসুখ হওয়ার ডরে।

২৯/৫/২২। বাদ মাগরিব।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪৮০

সাপের ঘরে সাপ হয়

সাপের ঘরে সাপ হয়

সাপই সাপের বাপ হয়।

ক্যান যে ভুলিস সুপুত্তুর

কে দিছিল চুয়াত্তুর?

আঞ্জুমানের গলায় ফাঁস

ফুটপাত জুড়ে মরা লাশ

কেমনে ভুলিস পুরাণ পাপ

পাপ কয়বার হয় রে মাফ?

দিচ্ছো তুমি নাকে তেল

আলেম খাচ্ছে ফাঁকে জেল।

কে দেয় তোমায় গোল আলু

কারে ডাকো বাপ? খালু?

চুয়াত্তুরের পুরাণ ভূত

ডাকছে আবার কুতুর কুত

ঋণ তো দেয় চীন, ভারতে

চাল নাই মামা আড়তে।

বাসন্তী পরে মাছের জাল

আজ বুঝবা না বুঝবা কাল।

৬/৬/২২। বাদ আছর।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪৮১

বৃষ্টি এলো

বৃষ্টি এলো, বৃষ্টি এলো, মিষ্টি বাতাসে

ধুয়ে দিল ধুলোমাখা সবুজ পাতা সে।

ধুয়ে দিল পাহাড়, নদী, ধুয়ে দিল বন

ধোয়নি কেবল দুষ্টদের, নষ্ট পঁচা মন।

বৃষ্টি এলো, বৃষ্টি এলো, ভ্যাপসা গরমে

পালিয়ে গেল তপ্ত হাওয়া যেন শরমে।

পালিয়ে গেল ময়লা পঁচা আবর্জনা সব

রুমঝুম ঝুম ভাললাগা দিলেন প্রিয় রব।

বৃষ্টি যেন করছে খেলা দমকা বাতাসে

বৃষ্টি যেনো হৃদয় মনে শান্তিদাতা সে।

মাঠে যেন হাজার পরী নাচন জুড়েছে

সঙ্গে যেন ঝুমুর ঝুমুর মনটা উড়েছে।

এ বৃষ্টিতে ভিজবি যদি আয়রে ছুটে আয়

বৃষ্টিতো নয় সুখটা যেন আদর দিয়ে যায়।

৯/৬/২২। বাদ মাগরিব।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪৮২

হাসি ও ফাঁসি

হাসি হাসি রাশি রাশি

কেউ যায় গয়া কাশী

কেউ যায় মক্কা

কেউ মারে ছক্কা।

হাসি হাসি ভালবাসি

কেউ হয় সর্বনাশী

কেউ ফক ফক্কা

কেউ পায় অক্কা।

হাসি হাসি রাশি রাশি

কেউ রানী কেউ দাসী

কেউ মামী কেউ মাসি

কেউ চাষা কেউ চাষী।

কেউ বাজায় বিষ-বাঁশি

ভাল মানুষ দেয় ফাঁসি।

১০/৬/২২। বাদ জুমা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪৮৩

জোঁক সোজা হয় নুনে

কলাগাছে কলা ধরে

তাতে ধরে ডাব কি?

চোরে শোনে চোরা কথা

তাতে হয় লাভ কি?

কাঁঠাল গাছে আম নাই

খালি কথার দাম নাই।

কানা ছেলে পড়ে বই

তেতুল গাছে আম কই?

উল্টাপাল্টা সিক্সটি নাইন

দেশে চলে জংলী আইন

ওয়াজে কোন লাভ নাই

চোরের সাথে ভাব নাই।

পারলে মারো ডান্ডা

চোর বাবাজি ঠান্ডা।

জোঁক সোজা হয় নুনে

মানুষ লাঠির গুণে।

১০/৬/২২। বাদ আছর।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪৮৪

আঁধার করো দূর

পাপ করে কেউ পাপী হয়,

কেউ পাপী হয় স'য়ে

ভাল লোকও কবরে যায়

পাপের বোঝা লয়ে।

পরের পোলায় লাভ কি বলো

ডাকলে তোমায় বাপী

পাপ রুখো নাই, তাইতো তুমি

পাপ না করেও পাপী।

তসবি পড়া জলে যায়

থাকলে পাড়ায় পাপ

দুধ কলাতে যতোই পোষো

ছোবল হানে সাপ।

মন্দ যারা করে তারাই

জাহান্নামে যাবে

মন্দ আমি করিনি তো

পাপে কেমনে পাবে?

এসব ভেবে লাভ নাই মামা,

ভাবনাটা ঠিক করো

নফল তুমি করবা মামা,

আগে ফরজ ধরো।

নফলে তো সোয়াব হয়,

ফরজ ছাড়লে পাপ

মন্দটাকে দূর করা কি

নয়রে ফরজ বাপ?

ফরজ ছেড়ে যতো ভাবো

পাপতো আমি করিনি

আমি যাবো বেহেশতে ভাই,

মন্দ আমি ধরিনি।

লাভ হবে না তাতে-

মোল্লা পুরুত সবার জন্য

আঁধার আসে রাতে।

ময়লা করো দূর

নইলে ময়লায় ঢেকে যাবে

তোমার আলোকপুর।

১০/৬/২২। বাদ মাগরিব।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪৮৫

ভালবাসা দাও

আমরা যখন ঘুমের দেশে যাই

পৃথিবীর হানাহানি কিছু কি টের পাই?

কাউকে কি দেই গালি?

তবে কেন জাগলে পরে ঝগড়া করি খালি?

ভাইয়ে ভাইয়ে নাইরে বনিবনা

হিসাব করি কোন ভাই পেলাম

কয়টা ধূলিকণা।

এইতো দেশের হাল

ভাই ও বোনে ঝগড়া করি

মোরগে খায় চাল।

পরকে মেরে আমরা সবাই

বড় হতে চাই

যার যতটা হায়াত আছে

তার বেশী কি পাই?

গোলাম আযম বেঁচে থাকে

শেখ মুজিব যায় মারা

কেনো তবে ক্ষমতাদ্বন্দ্বে

হওরে পাগলপারা?

তুমি যদি অন্য কারো ভালবাসা চাও

তবে তুমিও দ্বন্দ্ব ভুলে ভালবাসা দাও।

দাও ছেড়ে দাও হানাহানি

ফকির বাদশাহ রাজা রানী।

১১/৬/২২। বাদ ফজর।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪৮৬

তেলের জয়

পারতাম যদি তেল দিতে

কাড়তাম সবার মন

গাল ফুলিয়ে বল তো তুই

থাকতি কতক্ষণ?

আমার লেখা হয় না ভাল

তাতে ক্ষতি নাই

তেল দিলে তা হয়ে যেতো

চাঁদের চে রোশনাই।

তেলের গড়ি রাস্তা ছাড়াই

গড়গড়াইয়া যায়

তেল দিলে বউ হেসে বলে

আরো কাছে আয়।

নেতা খুশী, পীরে খুশী

খুশী বসের মন

তেলে খুশী রসের ভাবুক

বাংলার জনগণ।

এই দুনিয়া হয়ে গেছে

তেল মবিলের দাস

তেল নাই তবে তুমি হবে

জ্যান্ত মরা লাশ।

যেমন পারি তেমন লিখি

তবু বলবেন, বেশ

কারণ আপনি জানেন তেলে

ভরে গেছে দেশ।

জয় বাংলা, তেলের জয়

পাপও তেলে পূণ্য হয়।।

১১/৬/২২। বাদ জোহর।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪৮৭

ওরে নবীন আয়

ওরে নবীন আয়

মন্দ যতো তারে দলিস

রাঙা দুটো পায়।

ধর চেপে তার হাতটা যারা

মন্দটারে চায়।

যারা ছড়ায় ঘৃণা ও দ্বেষ

প্রেম রেখে যে ছড়ায় বিদ্বেষ

সত্য ন্যায়ের বেড়ি পরা

সে দুষ্টদের পায়।

ওরে নবীন আয়

জুলুম করার সাহস জালিম

কেমন করে পায়?

তার দুটো হাত ভেঙে দে

তোর সে মরণ ঘায়।

নবীন রে তুই আয়।

দূর করে দে কান্না দুঃখীর

তার মুখে চাই হাসি

সব শোষকের কবর দে

নবীন রে তুই আসি।

লুটছে যারা পরের ধন

সইবি তারে কতক্ষণ?

শোষক জালিম দে ধরে দে

এক দড়িতে ফাঁসি।

আয় না সবাই মিলেমিশে

মানুষ ভালবাসি।

আয় রে নবীন আয় রে ছুটে

সুন্দরের হই চাষী

আয় না আবার স্রষ্টা ও তাঁর

সৃষ্টি ভালবাসি।

আয় ধরাতে দেই ছড়িয়ে

পূণ্য রাশি রাশি।

১২/৬/২২। বাদ ফজর।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪৮৮

গোপন প্রেম

তোমার আমার গোপন প্রেম

গোপন করে রাখো

লজ্জা শরম জলদি করে

কাপড় দিয়ে ঢাকো।

মনে রেখো, সবার কাছে

সকল কথা বলতে নাই

উদোম গায়ে রাস্তাঘাটে

যখন তখন চলতে নাই।

গোপন কথা গোপন রাখো

গোপনে করো অভিসার

দোহের প্রেম দোহে রাখো

ছড়াও কি তা চারিধার?

তবে কেনো গোপন কথা

কাব্যে করো ফাঁস

তোমার আমার প্রেম কি তবে

বাদাবনের ঘাস?

১২/৬/২২। বাদ জোহর।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪৮৯

নীল আকাশে লৌ

রান্না ঘরে কান্না করে

পান্না লালের বউ

তরকারিতে কে দিয়েছে

পাতিল ভরা মউ।

মউ কি খাবে নন্দিনী

দেশটা এখন বন্দিনী

মিছিল হলে গুলি চলে,

রাস্তা জুড়ে লৌ।

এইতো দেশের হাল

হাঁড়িতে নাই চাল

সবারই হয় ভাবী এখন

মৃধা বাড়ির বউ।

চাল ডাল আর তেলের দাম

নাইরে কিছু কমার নাম।

জিনিসপত্রের দাম ঠেকেছে

পাহাড় ছেড়ে আকাশে।

দাম বাড়াচ্ছে দামোদর,

ক্ষুদিরামের কাকা সে।

আমজনতার মরার দশা

তারা মারছে মাছি, মশা

করে না কেউ ফোঁসফাঁস বা,

হাত করে না বাঁকা সে।

রান্না ঘরে কান্না করে

পান্না লালের বউ

চোখে দেখছে সর্ষে ফুল,

নীল আকাশে লৌ।

১৪/৬/২২। বাদ ফজর।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪৯১

উন্নয়নের কলা

চোর ঢুকেছে বাড়িতে

চাল তুলছে গাড়িতে।

এক রাত্রেই উজাড় দেশ

কি লাভ মাথার ছিড়লে কেশ?

ভোট নিয়েছে, নোট নিয়েছে

চোট দিয়েছে দীলে

এখন শুধু দরকার চোরের

পিঠ বাঁকানো, কিলে।

উন্নয়নের কলা খেয়ে

জ্বলছে গলা লোকের

বাড়ছে শুধু কষ্ট মাতম

দুঃখ এবং শোকের।

চোরা করছে চুরি ভোট

চোট দিয়েছে দীলে

সেদিন থেকে আমার সুখ

খাইছে নয়া চিলে।

১৫/৬/২২। বাদ ফজর।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪৯২

পদ্মা সেতু দিয়া

ফুড়ুত ফাড়ুত গাড়ি যায়

পদ্মা সেতু দিয়া

আমার বাবার টাকা নাই

হয় না আমার বিয়া।

আমি হচ্ছি বুড়ো

সঙ্গে বন্ধু নূরু

গাড়ি দেখে পুড়ে যায়

দুই বন্ধুর হিয়া।

হিয়া কান্দে টিয়া কান্দে

কান্দে মিয়ার ঝি

পদ্মা সেতুর গাড়ি দেখে

আমার হইবো কি?

কবে আসবে আমার বর

পাগড়ি মাথায় দিয়া।

কবে আমার পরাণ বন্ধু

আমায় যাবে নিয়া।

ফুড়ুত ফাড়ুত গাড়ি যায়

পদ্মা সেতু দিয়া

আমার বাবার টাকা নাই

হয় না আমার বিয়া।

বড় লোকের গাড়ি যায়

তামশা দেখে গরীবে

গরীবে কি বড় লোকের

টুটি চেপে ধরিবে?

১৫/৬/২২। বাদ আছর।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪৯৩

ভোটের যুদ্ধে

ধনীর আছে অঢেল টাকা,

টাকা দিতে পারবে

ইলেকশনে তবে কেনো

ধনী বলো হারবে?

গরীবের তো কিছু নাই

চাটুকারও পিছু নাই

তবে কেনো গরীবেরা

ভোটের যুদ্ধে পারবে?

ধনীরা ভোট কাড়বে

গরীব ধরে মারবে

আম জনতার অধিকার

মাটির তলে গাঁড়বে।

ছয় যন্ত্রের কলকাঠি

সারাজীবন নাড়বে

বাঁশের লাঠি নাওনি হাতে

কেমনে তুমি পারবে?

১৭/৬/২২। বাদ মাগরিব।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪৯৪

দেশ ভাসছে বন্যায়

দেশ ভাসছে বন্যায়

তবু বাড়ছে অন্যায়

আজো দেশে ধর্ষিতা হয়

বধু মাতা কন্যায়।

ভাল হওয়ার দিকে তবু

কারো একটু মন নাই।

পাপী করে পাপ আর

ভালোরা তা সয়

এভাবে কি কোন কালে

সমাজ ভালো হয়।

জীবন দেয়ার মালিক যিনি

জীবন নেয়ার মালিক তিনি

রক্তচক্ষু দেখে তবে

তোমার কিসের ভয়?

যেজন দেখায় রক্তচক্ষু

সে কি বেঁচে রয়?

পাপ অনাচার করো দূর

বইবে দেশে সুখের সুর

কোরান হাদীস খুলে দেখো

বার বার এসব কয়।

সাহস করে সবাই বলো

মন্দ আমি চাই না

নিজেও করি ভালো কাজ

মন্দ কাজে যাই না।

আমরা খাই হালাল খাবার

হারাম কিছু খাই না।

১৮/৬/২২। বাদ ফজর।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪৯৫

মন্দ ও দ্বন্দ্ব

মন্দ এসে ভালো সরায়

ভালো সরায় মন্দ

চিরটাকাল ভালো-মন্দের

চলছে রে ভাই দ্বন্দ্ব।

ভালো-মন্দের চলছে লড়াই

চলবে চিরদিন

ইতিহাসের পাতায় পাতায়

থাকবে তারই চিন।

ভালো মন্দ থেকে তুমি

একটা বেছে নাও

ইচ্ছে হলে মন্দ কিম্বা

ভালোর পথে যাও।

যেমন কর্ম তেমন ফল

অন্যথা তার হবে না

শক্তি থাকলেই মন্দ নিবা

নিয়তি তা স'বে না।

ইচ্ছে হলে জান্নাতে যাও

ইচ্ছে হলে জাহান্নাম

ভালো কিছু চাইলে তুমি

আজই ছাড়ো মন্দ কাম।

১৮/৬/২২। বাদ জোহর।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪৯৬

তাইতো আসে বন্যা

আসলো পানি

ভাসলো শহর

কাদের দোষে বল।

উন্নয়নের

সড়ক বানায়

ধরবো তাদের চল।

এক পাশে বাণ

একপাশে ধান

ধূ ধূ তেপান্তর

উন্নয়নের ঠেলায় কেন

ভাঙলো আমার ঘর।

ভাসে আমার কোলের পোলা

ভাসে আমার ইটের খোলা

ভাসে আমার বর

তুই পাষাণী মর।

ভেসে গেল দামী গাড়ি

ভেসে গেলে ঘরের হাঁড়ি

আসলো আমার জ্বর

ভাঙলো আমার ঘর।

তুই পাষাণী মর।

ঘরে পানি বাইরে পানি

পথে পানির তোড়

রানওয়ে তাও পানির তলে

কী যে বিপদ ঘোর।

লাশ রাখনের জায়গা নাই

কেমন লাগে তোর?

উন্নয়নের চাপা ছাড়

নইলে খাবি আচ্ছা মার

সন্তানহারা মায়ের তুই

শোনরে মাতম, শোর।

তুই পাষাণী, তুই ডাইনী

তুই তো হারামখোর।

বাঁধ খুলে কে ছাড়লো পানি

সে কথা ক্যান কসনা নানী

জানি, আমরা সবই জানি

পরাণ সখি তোর

বাঙালিকে মারার জন্য

খুলে দিল ডোর।

তাইতো আসে বন্যা

বুঝলি বাপের কন্যা।

এ অনাচার সইবো না

কি করবো তা কইবো না।

১৯/৬/২২। বাদ ফজর।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪৯৭

বাবা মানে হাবা

বাবা মানে হাবা।

যতই করি কাবা কাবা

হয় নাতো রাগ বাবা।

কাঁধে নিয়ে বরং বলে

কওতো কোথায় যাবা?

বাবা মানে হাবা

দোকানে নিয়ে আদর

বলে কি কি খাবা?

যা খেতে মন চায় তোমার

বাবার কাছে চাবা।

বাবা মানে হাবা।

বাইরে থেকে এসে বলে

আও না কোলে বাবা।

ময়লা গায়ে কোলে নিয়ে

বলে রোজই নাবা।

বাবা মানে হাবা।

বাবার কাছে পরাণ খুলে

যখনি যা চাবা

সবই তুমি পাবা।

এরই নাম তো বাবা।

বাবা মানে হাবা।

আদর পাবে, শাসন পাবে

যখন কাছে যাবা

তাইতো বাবা হাবা।

১৯/৬/২২। বাদ মাগরিব।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪৯৮

হারিকেনে সলতে নাই

কারা বাঁধ দেয় উজানে?

কেন বাঁধ দেয়? বু জানে।

গোপন কথা কইতে নাই

বিপদ ঘাড়ে লইতে নাই।

তাই মিডিয়া কয় না কিছু

বিপদ হাঁটে কথার পিছু।

ক্যান বানাচ্ছে মরণ ফাঁদ

ক্যান দিচ্ছে উজানে বাঁধ।

সে সব যদি জানতে

গলা ছেড়ে কানতে।

আমাদের তাকাই চান্দে।

উন্নয়নের বুবু তখন

মহা সড়ক বান্ধে।

যখন নাকি নামবে ঢল

তখন নাকি পরাণ বন্ধু

ছেড়ে দেবে বাঁধের জল।

সে জলে দেশ ভেসে যাবে

দেশের মানুষ ফেঁসে যাবে

সড়কে পড়বে জল আটকা

সেই পানিতো ডুববে আহা

মানুষ, পশু, ফল টাটকা।

ডুববে মানুষ, গরু, ছাগল

সাহেব সুবা,পথের পাগল

নারী পুরুষ, ছোট বড়ো

বানের জলে ডুবে মরো।

বন্ধুর বাড়ে লোভের জিভ

বুবু পড়েন সিঁদুর টিপ

ঘরবাড়ি সব ভেসে যায়

বুবু তখন সিদ্ধি খায়।

এমন বুবু যাদের রয়

কে ঠেকায় তার পরাজয়।

কোথায় লাগে পলাশী?

থাকলে দালাল বিলাসী।

মীরজাফরে নিমক খায়

কুড়াল মারে জাতির পায়।

জাতি তখন গোলাম হয়

দালালে পায় আপসে জয়।

কলা খায় আলালে

মজা মারে দালালে

সে পায় হাজার দুয়ারি

যুদ্ধে জেতে জুয়াড়ি।

আসল খবর কয় না কেউ

কে পাঠালো বানের ঢেউ?

দেশ কেন যায় পানির তল

ষড়যন্ত্রের কে নাড়ছে কল।

দেশ ভেসে যায় বন্যায়

সেতু খোলে কন্যায়।

পদ্মা সেতুর কি হবে হাল

আজ না বুঝে বুঝবে কাল।

এসব কথা বলতে নাই

হারিকেনে সলতে নাই।

২০/৬/২২। বাদ ফজর।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪৯৯

চুরি বিদ্যা

ভালো লিখে লাভ কি বলেন

কেউ কি লেখা পড়ে?

ভালো লেখা পড়ে কি কেউ

ভালো জীবন গড়ে?

জীবন চলে জলের মতো

ভাসে পাপের বন্যায়

সমাজ জুড়ে তাইতো দেখি

বাড়ে কেবল অন্যায়।

লেখাপড়া শিখে চোরা

ডাকাত হয়ে যায়

কোটি কোটি টাকা ডাকাত

বিদেশে পাঠায়।

যারা ছিল মানুষ তারা

অমানুষ হয় পড়ে

কী হবে কও নতুন করে

স্কুল কলেজ গড়ে?

মানুষ যদি পড়ে পড়ে

অমানুষই হয়

তবে কেন লেখাপড়ায়

সময় করি ক্ষয়?

মানুষ ছিলাম, মানুষ আছি

মানুষ থাকতে চাই

চুরি করার বিদ্যা আমি

নাইবা শিখলাম ভাই।

২০/৬/২২। বাদ মাগরিব।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৫০০

তবু লেখা চলবেই

আমার লেখা ভালো না তাই

পেপার এসব ছাপে না

আমার লেখা ভালো না তাই

সমাজ দেহ কাঁপে না।

পাপ অনাচার থামে না

স্বৈরাচারও নামে না

কাউরে মিছে পাম দেই না

তাইতো কেউ ফাঁপে না।

আমার লেখা ভালো না তাই

পেপার এসব ছাপে না

তেল ছাড়া যে লেখার মান

সম্পাদকে মাপে না।

আমার কাছে তেল নাই

শরবত করবো? বেল নাই।

তবু লেখা চলবেই

উচিত কথা বলবেই।

মন্দ যত শক্তি থাকলে

দুপায়ে তা দলবেই।

২১/৬/২২। বাদ ফজর।

No comments

Powered by Blogger.