গানঃ ৭১৪-৭২৫-আসাদ বিন হাফিজ
আসাদ বিন হাফিজ এর লিখা গান-৭১৪
মুহাম্মদ রাসূল সা.
যার উছিলায় মানব মনে ভাঙে সকল ভুল
যার উছিলায় হৃদয়মনে ফোটে প্রেমের ফুল
যার মহিমার প্রশংসা গায় আল্লাহু মকবুল
তিনিই আমার দয়াল নবী মুহাম্মদ রাসুল।
এ জগতের অধিপতি আল্লাহ বিশ্বের মূল
তাঁরই হুকুম পেয়ে নবী হলেন যে রাসুল
তাঁর প্রশংসায় উঠে মেতে তামাম বিশ্বকুল
তাঁর প্রশ্যসায় উঠে মেতে ধরনীর বুলবুল
তিনি আমার দয়াল নবী মুহাম্মদ রাসুল।
তিনি বলেন, কোরানহাদীস
শুধু দ্বীনের মূল
এতেই সারে মনেোরোগ মিথ্যা ও পাপ, ভুল
এতেই ভাসে মন্দ আঁধার মিথ্যা নদীর কূল
বিশ্বে ফোটে আলোর কুসুম সুবাসভরা ফুল
তিনিই আমার দয়াল নবী মুহাম্মদ রাসুল।
প্রার্থনা
শোকর করির এর সবটা প্রভু তোমার দান।
আমার গুণের প্রশংসা গায় হিন্দু মুসলমান
এসব ভেবে সুখ পাই আমি গর্বে ভাসে প্রাণ
আর কি লাগে শয়তান হতে সে বুঝ করো দান
ওগো মাওলা, রহমান
রহীম, প্রভু সোবাহান।
এবার বলো আমি মানুষ, নাকি
বদ শয়তান।
আমার গুণের বাহার দেখে খুশীতে মশগুল
কিন্তু আমি নর্দমার কীট, ভাবি
আমি ফুল।
এরচেয়ে কী আরো আছে মস্ত কোন ভুল
এমনটা কি ভাবতেন নবী মুহাম্মদ রাসুল।
তুমিই বলো এমন চিন্তা করা কি নির্ভুল।
আমায় তুমি মানুষ বানাও, বানাও
মুসলমান
ওগো মাওলা, রহমান
রহীম, প্রভু সোবাহান।
যার মনে রয় তিল পরিমান গর্ব অহংকার
সে কি হয় খাঁটি মানুষ, নাকি
নাফরমান।
এমন চিন্তা আমার মনে দাও গো হে রহমান
আমায় তুমি মানুষ বানাও, খাঁটি
মুসলমান
আমায় দাও মাওলা তুমি পবিত্র সে ঈমান।
ওগো সোবাহান তুমি যে রহীম ও রহমান।
তুমি যে মহান প্রভু, তুমি যে মহান
কে বুঝিতে পারে তোমার শান।
এ ধরনীর সকল কিছু, তোমার
অবদান
তুমি যে সোবহান মাওলা,তুমি
যে মহান।
এ ধরনীর সবাই গায় তোমার গুণ গান
চন্দ্র সূর্য গ্রহ তারা জমিন ও আসমান।
ফুল পাখি ঝরনা এবং নদীর কলতান
তুমি যে রহমান প্রভু, তুমি
যে মহান।
আমরা তোমার অধম বান্দা
দুনিয়া প্রেমে আমরা আন্ধা
ভুলে গেছি তোমার কথা প্রভু তব শান
ওগো রহীম রহমান, দয়া
করো দান।
আমরা অতি গুণাহগার, করো
পরিত্রাণ
তুমি যে মহান প্রভু, তুমি
যে মহান।
বদর, ওহোদ দেখিনি তো
বদর,
ওহোদ
দেখিনি তো, হিন্দাকেও তো দেখিনি হায়,
দেখিনিতো হামজার কলজে কেমন করে হিন্দা খায়।
শিশু আজগর কেমনে মরে, শুনেছি
সে কাহিনী
দেখলাম মানুষ কেমনে মারে লগিবৈঠার বাহিনী।
আকাশ কান্দে বাতাস কান্দে, কান্দে
শিশুর মায়
পশু পাখি কান্দে আর কয়, এ
কি দেখলাম হায়।
আসমানে যে উড়ছে ঘুড়ি, সে
ঘুড়ি কে উড়ায় বল
কার হুকুমে পিচঢালা এ রাজপথে বয় রক্তের ঢল।
অক্টোবরের আটাশ তারিখ মানুষ মরে পশুর ঘায়
কচি কচি কিশোর যুবক সে ঘায়ে হায় প্রাণ হারায়।
লগি বৈঠা খালে বিলে আগে জানতাম নৌকা বায়
এখন দেখি লগি বৈঠা রাজপথ জুড়ে খুন ঝরায়।
কোরআন পড়ার অপরাধে মাতা ভগ্নি জেলে যায়
মসজিদের সেই মুসল্লিগণ অকাতরেই গুল্লি খায়।
দেশের সকল ছাত্র যুবক জাগরে সবে জাগরে জাগ
দে মিটিয়ে খুনী, বদমাশ
তাদের সকল পাওনা, ভাগ।
আকাশ কান্দে বাতাস কান্দে, শহীদানের
কান্দে মায়।
হিন্দার সকল নাতিপুতি, পাওনা
নিবি, আয়রে আয়।
ঢাকা শহর রক্তে ভাসিল
জলদস্যু কোন কারণে ঢাকা আসিল
পল্টন চত্ত্বর, ঢাকা
শহর রক্তে ভাসিল
লগি বৈঠা তরুণ প্রাণ কেমনে নাশিল।
রক্তে ভাসে ঢাকা শহর, তাজা
তরুণ প্রাণ
লগি বৈঠা ভাঙেরে মন, হৃদয
হয় খানখান।
অবাক বিশ্ব চেয়ে দেখে তরতাজা ঈমান
লগিবৈঠা মারছে দেখো হাফেজে কোরান।
খালি হলো মায়ের বুক, বোন
হারালো ভাই
ছেলে হারা বাপের কান্না কাহারে শোনাই।
কই থেকে যে খুনী ডাকাত, ঢাকা
আসিল
পল্টন চত্ত্বর, ঢাকা
শহর, রক্তে ভাসিল।
মানুষ মেরে নৃত্য করে লগিবৈঠার বাহিনী
কে দেখেনি সে দৃশ্য, কে
শোনেনি কাহিনী।
এই ডাকাতদের তাড়াতে বাজাও বাঁশি লো
ডাকাত তাড়াও পুরুষ-নারী, চাচী
মাসী লো।
শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন
আমাদের প্রিয় সংগঠন
শ্রমিকের সেরা সংগঠন
এক সুবিশাল আন্দোলন।
শ্রমিক স্বার্থ সংরক্ষণ
আমাদের মূল মন্ত্র
আমরা মানিনা বিঘ্ন বাঁধা
অহেতুক ষড়যন্ত্র।
ঘাম শুকোবার আগেই শ্রমের
দাও মিটিয়ে পূর্ণ দাম
এই কথা ধরার পথে প্রান্তরে
হেঁকে যায় প্রিয় ইসলাম।
তবু শ্রমের সঠিক মজুরী
শ্রমিক আজও পায় না
মানুষ ঠকাবার বদ মতলব
পুঁজিপতির কভু যায় না।
শোষকের আইন আর নয়
আল্লাহর আইন চাই
যেন সকলেই হক ইনসাফ
সমভাবে পেয়ে যাই।
শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন
মানেনা কোন জুলুম শোষণ
শ্রমিক স্বার্থের করে সে যতন
যেখানে শ্রমিক নির্যাতন
সেখানেই গড়ে আন্দোলন।
চায় শান্তি, খোদার
শাসন
শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন।
ওরে, আয় আয় আয়
সময় বয়ে যায়
ফুলের মত গড়বো জীবন
সবাই ছুটে আয়।
হাসবো খেলবো পড়বো রোজ
কষ্টে কারা করবো খোঁজ
আমরা হবো ফুলের মত
খোদার দুনিয়ায়।
মন্দ কথা বলবো না,
মন্দ পথে চলবো না
ধন্য হবে সবার জীবন
খোদার মহিমায়।
সুখ ছড়াবো দেশে দেশে
মিলবো মোরা মধুর হেসে
বুকে নেবো ভালোবেসে
জলদি ছুটে আয়।
আসাদ বিন হাফিজ এর লিখা গান-৭২২
এসো হাতে হাত রাখি
মিলেমিশে গড়ে তুলি কোরানী সমাজ।
যে সমাজে শিশু পায় ফুলেল জীবন
যে সমাজে নারী পায় সুবাসিত মন
অন্তরে খেলা করে প্রেম কারুকাজ।
এসো এসো গড়ে তুলি এমন সমাজ।
শ্রমিকেরা পেযে যায মজুরীর দাম
শুকোবার আগে তার শরীরের ঘাম
ঘুচে যায় শোষণের যতো বদনাম
এসো এসো গড়ে তুলি এমন সমাজ।
অন্যায়,
অবিচার
হয়ে যায় শেষ
জালিমের জুলুমের হয় নিঃশেষ
অপরাধী পাপ করে পায় কত লাজ
এসো এসো গড়ে তুলি এমন সমাজ।
সুখ আর শান্তিতে ভরে যায় ঘর
খুশী খোশালীতে ভরে সব অন্তর
নিরাপদে থাকে এই মানব সমাজ।
এসো এসো গড়ে তুলি এমন সমাজ।
এসো হাতে হাত রাখি সকলেই আজ
মিলেমিশে গড়ি এক মায়াবী সমাজ।
পাহাড়ের কান্নাগুলো
আমার কান্না কেউ দেখে না রে হায়।
পাষাণ ডেকে কয়,
এ ধরণী বড় নির্দয়
ঝরণার নোনাজলে সাগর ভরে যায়।
মেঘের অশ্রুকণা বৃষ্টির ফোঁটা হয়ে কাঁদে
কান্না পেলে চাঁদ বুড়ি কাঁদে বসে চাঁদে।
আমি দেখি উদাস মলয়
প্রজাপতি - ফুলের প্রণয়
জমে জমে ঝর্ণার জলও নদী রে কাঁদায়।
রাখাল প্রশান্তি পায় শ্যামল বৃক্ষ ছায়ায়।
রোদ্দুর দেখা পেলে কুয়াশা কান্না থামায়
তোমার রহম ডোরে
বেঁধে নাও প্রভু মোরে
জীবনে মরণে আমি যেন থাকি তব ছায়।
অবশেষে ভালবেস
মধু ভেবে এ আমি, কী বিষ খেলাম।
উড়ে গেল পাখি কোন দূর নীলিমায়
আমি কেন বসে আছি বটের ছায়ায়।
সেই কবে শুনেছিলাম পায়েলা নূপুর
ঘুঘু ডাকা ছিলো সেই মেঘলা দুপুর।
বিকেল গড়িয়ে ফের সন্ধ্যা এলো
দিন শেষে পৃথিবী রজনী পেলো
বাতাস আমারে দিল বিদায়ী সেলাম।
কী আমি পেলাম।
সারাদিন কত খেলা, আনন্দ লহর
দিন শেষে এসে গেল রাতের প্রহর।
দুনিয়ার মোহ কোন প্রেম নয় কভু
দুনিয়া প্রেমেই কাল কেটে গেল তবু
অবশেষে দিন শেষে কী আমি পেলাম
দুনিয়াকে ভালবেসে কী আমি পেলাম।
আমারে কাঁদায়ে তুমি
আমারে একা রেখে কোন খানে যাও।
আমি চাই সারাক্ষণ, সঙ্গ
তোমার
তোমার পরশ চাই, অশেষ
অপার
দাও দাও ভালবাসা, শুধু
প্রেম দাও।
তুমি আছো সাথে তাই, চাই
না কিছু
মিথ্যা কুহক যতোই আসে পিছু পিছু
অদম্য সাহসে তুমি আমারে জড়াও।
দাও দাও ভালবাসা, শুধু
প্রেম দাও।
আমারে দাও তুমি ভালবাসা, প্রেম
দূর করো বিপদ বাঁধা, যতো
প্রব্লেম।
তোমার নামের তসবি,ক্বলবে
জড়াও।
দাও দাও ভালবাসা, শুধু
প্রেম দাও।
তোমারেই পেতে চাই আর কিছু নয়
তোমারেই ভালবাসি, করি
যেন ভয়
আমারে আপন করে, তুমি
প্রিয় নাও
দাও দাও ভালবাসা, শুধু
প্রেম দাও।
No comments