আসাদ বিন হাফিজ এর ১০০ ছড়াঃ ২৯০১-৩০০০
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯০১
শ্লোগান যদি এমন হয়
🚩
সারাবাংলা ঘেরাও কর
খুঁজে খুঁজে ধর্ষক
ধর।
🚩
সারা বাংলা ঘেরাও
কর
বাঁচতে চাইলে ধর্ষক
ধর।
🚩
নারীর সামনে অন্ধকূপ
নারীবাদিরা কেন চুপ।
🚩
গ্রামে গ্রামে খবর
দে
ধর্ষক ধরে কবর
দে।
🚩
ধর্ষক ধরো কর্তন
করো
সুখশান্তির সমাজ গড়ো।
🚩
নারী থাকলে গদীতে
ইজ্জত থাকে নদীতে।
🚩
নারী থাকলে গদীতে
ইজ্জত টিপে বদীতে।
🚩
নারী থাকলে ক্ষমতায়
নারী ইজ্জত লুটে
খায়।
🚩
সবাই নে পর দাস্তানা
গুড়াও ধর্ষক আস্তানা।
🚩
নারে মা আর নাস্তা
না
ভাঙবো ধর্ষক আস্তানা।
🚩
ধর্ষক পাবি যেখানে
মার লাগাবি সেখানে।
🚩
বুকের কান্না থেমে
গেছে
আগুন এখন চোখে
আর চলবে না ধর্ষণ
দেশে
আমরা দেবো রুখে।
৬/১০/২০। ৩ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯০২
আজব খেলা
আজব খেলা চলছে দেশে ফুস মন্তর ফুস
পেট না ভরলে
খেতে পারো বাটিভরা ঘুষ।
তোমার জন্য গুমের
ভর্তা বুবুর জন্য জুস
কারো জন্য কাঁচা
লঙ্কা তোমার লেবেনচুস।
আজব খেলা চলছে দেশে মেঘনা নদী ভরা
মাছের বদল মিলে
যাচ্ছে জেতা মানুষ মরা।
ফুটবল খেলা হচ্ছিল
তো সোনাডাঙার মাঠে
বাঘের জন্য কে যায়
দাদা পদ্মা নদীর ঘাটে।
আজব খেলা চলছে দেশে কেউবা মরে বাড়ি
মিন্নি মরে কেন্টনমেন্টে,
সিনহা পুলিশ ফাঁড়ি
এর কোনটা সত্য
না ভাই সবই আমরা
ঘটাই
সেটাই রটে দেশ
বিদেশে আমরা যেটা রটাই।
শিশু ধর্ষণ করতে পারিস,করলি কেনো বিয়ে
তোরে আমি ধরতে
পারি এ অভিযোগ দিয়ে।
আজব খেলা চলছে
দেশে, পেলে গরম টোস্ট
সেটা নিয়েই মেতে
থাকে, চায় না খেতে রোস্ট।
মাথা ব্যথার কান্না থামাই হাতটা কেটে আমি
শ্বশুরের যে মেয়ে
তারে, ডাকতে পারি মামী।
৬/১০/২০। ৫ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯০৩
জাগলে লেখক
জাগলে লেখক, জাগবে সমাজ, জাগবে চন্দ্রতারা
জাগলে লেখক, জাগবে স্বদেশ, জাগবে ঘুমেরপাড়া।
সূর্যিমামা জাগলে যেমন জাগতে সবার হয়
মনের আঁধার দূর
হয় যার কোরান বুকে
রয়।
এসো এসো ভাই বোনেরা ফুলের বনে যাই
প্রজাপতির সঙ্গে মিশে
আনন্দে গান গাই।
তাকিয়ে দেখি পাখপাখালি, বনবনানী, সব
আকাশ, সাগর, ঝর্ণা যা যা দিলেন
প্রভু রব।
কত রকম ফল-ফলাদি, খাবার দিলেন ভাই
পশু,পাখি, মৎস দিলেন, তার
যে সীমা নাই।
জাগলে লেখক, বিশ্ব জাগে, ফুলের সুবাস বয়
জাগলে লেখক, এসব কথা সবই খুলে কয়।
জাগলে লেখক বিশ্ব জুড়ে প্রেমের সুবাস বয়
জাগলে লেখক, স্বৈরাচারের সত্যি
পতন হয়।
৬/১০/২০। ১১ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯০৪
আযান হাঁকো
আহা,
চলছে খেলা, হৈ হৈ হৈ
এবারও হযনি গোল
খেলার সময় খেলা
হপে
কিসের গন্ডগোল?
দুটি দলই খেলছে ভালো
বলটা গেলে বারে
গোল বারটা বলের
আগেই
সরে যেতে পার।
হৈ,
এমন তরো আজব
খেলা
আর দেখেনি কেউ
জিততে গিয়েও হেরে
যায়
গণজোয়ারের ঢেউ।
চলছে খেলা ছক্কা চারের
হঠাৎ শুনি গোউউউল
খেলার ছলে ধর্ষক
বলে
গায়ের কাপড় খোল।
ইস্যু দিয়ে ইস্যু হটায়
স্মৃতি করে কাত
এভাবেই কি থাকবে
টিকে
দুঃশাসনের রাত?
সবার আগে বিদায় করো
দুঃশাসনের দিন
জলদি তুমি আযান
হাঁকো
যুগের মুয়াজ্জিন।
৭/১০/২০। দুপুর
১২ঃ০০ টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯০৫
আইন
আর যেয়োনা আইনের ঘরে
হুদাই আইনে ফাঁসি
হয়
খুনী ধর্ষক সন্ত্রাসীদের
দেখলে আইনের কাশি
হয়।
যুগের পরে যুগ কেটে যায়
বিচার শুধু বাসি
হয়
আমজনতার জন্য আইন
এমন সর্বনাশী হয়।
দেশে এখন আইন আদালত
কোন কিছুর দরকার
নাই
যেসব কিছু ঘটছে
দেশে
মনে হয়রে সরকার
নাই।
মারতে এলে মাইর লাগা
খুনীরে কর খুন
তোর মাঝে ফের
আসুক ফিরে
সাচ্চা বীরের গুণ।
মারতে এলে মরতে হবে
আইন তো এটা
চায় না
মুগুর ছাড়া দুঃশাসনও
কোন কালে যায়
না।
৭/১০/২০। ১ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯০৬
হিসাব রাইখেন
বাঙি ক্ষেতে বাঙি পাকছে
ক্ষেতমালিকের নাইরে
খোঁজ
সেই বাঙিতে খেকশিয়ালে
মজা করে দেয়রে
ভোজ।
কাঁঠাল গাছে পাকছে কাঁঠাল
মালিক খবর রাখে
না
পাকা কাঁঠাল বাদুরে
খায়
কাঁঠাল আস্ত থাকে
না।
পেয়ারা গাছে পেয়ারা থাকে
পাখিতে খায় ঝাঁকে
ঝাঁকে
তোমার কোন খবর
নাই
তুমি কেমন মালিক
ভাই?
সম্পদ যদি ভোগ না করো
সম্পদ তখন বোঝা
মনে করো দিনভর
তুমি
নিজে ছিলে রোজা।
তোমায় যেটুক দিলেন খোদা
সামলে রাখো তারে
নইলে তারও হিসাব
তোমায়
দিতে হতে পারে।
৭/১০/২০। ২ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯০৭
জোট বাঁধো
সিনহা খুনের সে আসামী প্রদীপ গেলো বেঁচে
আর্মি মেজর মেরেও
সে,
ধরাতো দেয় যেঁচে।
মেজর মারলে হয় না কিছু
যে বাঁচাবে সে, আছে
পিছু
একটা ধর্ষণ দিয়া
সব কিচ্ছা দিলো কেঁচে।
সিনহা খুনের আসামী, প্রদীপ
গেলো বেঁচে।
হাতের ব্যথায় কাঁদলে পরে গলা কাটে বিচারে
আগের কিচ্ছা ঢাকা
পড়ে নিত্য নতুন ফিচারে।
খুনীরে বাঁচায় খুনীরা
তাদের বাঁচায় গুণীরা
এসব খেলা সেইতো
বুঝে, বুঝে না তা টিচারে।
তুমি যার চাও ফাঁসি, তার তো কিছু হবে না
মহামান্য বিচারপতি চেয়ারে
কাল রবে না।
কেউ যদি চোখ
উল্টে চায়
পাল্টে যায় রে ফাঁসির
রায়
রাষ্ট্রপতি করলে ক্ষমা
কেউতো কিছু কবে না।
জোট বাঁধো সব জনগণ, দুঃসাশনটা হটাতে
নয় লম্পট পিছু
নেবে নিজের মাবোন চটাতে।
কেউ থেকে যাক
সতীস্বাধ্বী
চায়নি কভু কোন
অপরাধী
তারা তো চায়
যখন তখন নানা অঘটন
ঘটাতে
জোট বাঁধো সব জনগণ, দুঃসাশনটা
হটাতে।
৭/১০/২০। ৮ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯০৮
খোকার পায়েস খাওয়া
খোকার মুখে হাসি ছিল
হাতে চিকন বাঁশি
ছিল
আদর করার মাসি
ছিল
খেলার জন্য দাসী
ছিল।
পড়তে যেতো রোজ
করতো না সে ভোজ।
মা বলতো খা না বাবা
খায় না ভাত
শুধু হাবা
ওরে আমার খোকা
তুই কি তবে
বোকা?
খোকার মুখে মিষ্টি হাসি
হাসিতে দেশ যাচ্ছে
ভাসি
ডাকছে কোলে বুবন
মাসি
দাসী বলে আমি
আসি।
দাসী কোথায় যাবে
আমায় রেখে দাসী
কি
একা বাদাম খাবে?
পায়েস নিয়ে এলো দাসী
বসলো আমার পাশাপাশি
বললো হেসে, খাও
তোমায় আমি ধরে
দেবো
ঘুঘু পাখির ছাও।
আগে বাবু খুশি
মনে
পায়েসটুকু খাও।
আমি তখন চাকুর চুকুর
পায়েস খেয়ে দিলাম
ঢেকুর।
৭/১০/২০। ১১ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯০৯
আমার ছড়া লেখা
লিখতে গেলাম ছড়া
দিদা বললো ছড়া
কই,
এ তো দেখি
চড়া।
মা শুনে কয়, ছড়া লিখবি?
শিখেছিস কি পড়া?
তখন কি আর করা।
বাংলা বইটা বের
করে
করলাম শুরু পড়া।
বাবা শুধায়, আমির,
আজকে কি তোর
পড়া?
বললাম বাবা, এই কবিতা
আমার জীবন গড়া।
বাবা বললেন, বেশ।
পড়া হলে শেষ।
বাপ বেটাতে নাস্তা
করে
হবো নিরুদ্দেশ।
বললাম আমি, বাবা,
কোথায় তুমি যাবা?
চরে যামু মিষ্টি আলু
তুলে তুমি খাবা।
ভাগ্যে থাকলে গাছের
ডালে
পাখির ছানা পাবা।
আমার চোখে ভাসছে তখন
হলুদ পাখির ছানা।
ধরতে যদিও মানা।
কে শোনে কার
মানা?
কল্পনাতেই হাতে নিলাম
তুলতুলে সে ছানা।
৮/১০/২০। ১ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯১০
শীতকাল
শীতের দিনে দল বেঁধে সব সবুজ চরে যাই
কতকিছু দেখার আছে, লেখাজোখা
নাই।
ধঞ্চেপাতার আকুল করা মনমাতানো ঘ্রাণ
দেয় ভরিয়ে বুকে
রাখা আনচান করা প্রাণ।
পিয়াঁজ ফুলের গন্ধ নাকে ঠোকর দিয়ে কয়
অলসতা তাড়াও ওটাই
আটকে রাখে জয়।
কাঁচা পাকা টমেটোর কী নজরকাড়া রূপ
ফুল কপি ও বাঁধা
কপি নির্বাক ও নিশ্চুপ।
গাজর, মুলা, সর্ষে ফুলের বিচিত্রসব গুণ
শীতকালটা কাটে যেনো
চলছে হানিমুন।
৮/১০/২০।২ঃ০০ টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯১১
নারীর প্রিয়
নারীর প্রিয় পুরুষ মানুষ, পুরুষেরও নারী
এ কথাটা আমি
এবার জোরেই কইতে পারি।
এক নারী তো অন্য
নারীর ভাল দেখতে পারে
না।
অন্য নারীর গলায়
নারী পারা দিতে ছাড়ে
না।
পুরুষ যাদের বেশী প্রিয়, নারীবাদী সে হয়
সারাক্ষণ তার আশেপাশে
পুরুষ যেন রয়।
দেখবেন এসব নারী
কিন্তু ঘরে বেশী থাকে
না।
তাদের দুঃখ নানান
পুরুষ কেন তারে ডাকেে
না।
নারী যখন ক্ষমতায় যায় নারীর ইজ্জত থাকে না
বলতে পারেন নারী
কভু নারীর ইজ্জত রাখে
না।
নারীর হাতেই নারীর
ইজ্জত নষ্ট বেশী হয়
এসব কথা আমি
তো নই, ইতিহাসও কয়।
নারী যদি বাঁচতে চাও, ভুল করো না আর
নারীর হাতে সিংহাসনের
দিও না কভু ভার।
নারী যদি বাঁচতে
চাও অলীক আশা ছাড়ো
ঘৃণা ছেড়ে সবাই
মিলে প্রেমকে বাড়াও আরো।
৮/১০/২০। ৩ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯১২
বাচ্চা ছড়া তিনটি
ছড়া। এক
রঙধনু সাতরং সব রঙ খাঁটি
না
কিছু রঙ বানানো
রঙের ঘাঁটি না।
সাদা রঙ ফকফকা, লাল টুকটুক
কেউ দেয় দুখ
আর কেউ দেয সুখ।
কালো হয় কুচকুচে, আকাশের নীল
কোন কোন মানুষের
কালো হয় দীল।
কেউ দেয় চাঁদ তারা আলো ঝিলমিল
খুকি হাসে ফিকফিক, কেউ
খিলখিন।
ছড়া। দুই
চারদিকে থৈ থৈ পানি
আর পানি
তার মাঝে বাস
করে সুন্দরী নানী।
নাও দিয়ে যদি তার বাড়ি কভু যাই
গিয়ে দেখি নানী
ঘরে নানা ঘরে নাই।
বলি নানী তুমি আছো নানা গেছে কই
উনি গেছে মাছ
ধরতে শিং মাগুর, কই।
ছড়া। তিন
কয়দিন থাকবে কও এই রোষ
কয়দিন থাকবে কও এই জোশ
কয়দিন চলবে প্রতিবাদ, ফোঁস
কয়টারে ফাঁসি দিলে
তুই হবি খোশ?
আমি যারে ফাঁসি দিমু নির্ঘাত মরবে।
সেই যম একদিন
আমারেও ধরবে।
ছাড়বে না কাউরেই
কালাইয়ের বাপ
আজরাইল ভুলে না কারো
কোন পাপ।
৮/১০/২০। ৪ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯১৩
ছড়া লেখা
ছড়া লিখি ভুরিভুরি
কিন্তু কিছু হয় না
আমার ছড়া সম্পাদকরা
কেউ তো ভাল
কয় না।
আমার লেখা আমি পড়ি
সঙ্গে পড়তে ময়না
বলে মামা কি যে লেখো
ছড়া কিছু হয় না।
ফেবুতে কয় ভালো ভালো
এটাই বলতে হয়
এই জিনিসটা তেল
না মামা
ভদ্রতাটা রয়।
মন্দ বলা মন্দ মামা
মন্দ তো কয় না
মন্দ বললে সে কথাটা
কেউ কোনদিন সয় না।
ছড়ার মত ছড়া যদি
একটা দুইটা লিখতে
তবু না হয় ছড়ার
দেশে
কোনরকম টিকতে।
৮/১০/২০। ৫ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯১৪
বেলীফুলে পোকা
বরই গাছে বরই ফলে কলা গাছে কলা।
সবসময়ই উঁচা থাকে
চোরা মায়ের গলা।
তুই খাইলে আমারে
দিস মাঝে মাঝে নলা।
এ দুনিয়ায় ঢের
দেখেছি নানান ছলাকলা।
থামাবি তোর বলা?
এমনি আমার বুকে
আছে নানা রকম জ্বলা।
উন্নয়ন তো কম করি
নাই
তবু কেন ছুটে
আসে আজো ঘৃণার দলা।
মানুষ কেন উঁচিয়ে
দেখায় ছেঁড়া জুতার তলা।
সুযোগ পেলেই শুরু
করে গালাগালি বলা।
বলতে পারিস পলা?
দুঃখজনক বুবু।
কাল বলল, রুবু।
আর্মি মারা ঠিক
হয় নাই
ধর্ষণ করা ঠিক
হয় নাই
ঠিক হয়নি কেন্দ্রীয়
ব্যাংক লুট
ঠিক হয়নি গুম, খুন
এতো হুটাহুট।
সব করেছি ভুল?
কি কস বেলীফুল।
ইচ্ছে করছে দুহাত
দিয়ে
ছিঁড়ি মাথার চুল।
এবার যদি বানে
ভাসে পদ্মা নদীর কূল?
দেশ জুড়ে যে এতো
দিলাম হাকীমপুরী গুল
সব হবে ভন্ডুল?
বুবু,
বেলীফুলে পোকা
পাবলিক সবাই বোকা।
নইলে সবাই বছর
বছর
খাইতো এতো ধোঁকা?
যা চালিয়ে বুবু।
ঝড়টা যদি জোরে
আসে
একটু হবি উবু।
আবারও তো ভাসতে
পারে নৌকা ডুবু ডুবো।
৮/১০/২০। ৯ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯১৫
কী আপদ!
কী আপদ! কী আপদ!
ধর্ষণের যে পক্ষ
নিলি
তোর বউ কি নিরাপদ?
বাড়িতে কি মা নাই
তোর
সেই মা কি নিরাপদ?
কী আপদ! কী আপদ!
কী আপদ! কী আপদ!
ধর্ষণের যে পক্ষ নিলি
তোর মেয়ে কি নিরাপদ?
তোর যে মেয়ে
স্কুলে যায়
সে মেয়ে কি নিরাপদ?
যে মেয়ে যায়
কলেজে
সেই মেয়ে কি নিরাপদ?
কী আপদ! কী আপদ!
কী আপদ! কী আপদ!
ধর্ষিতা হয় শিক্ষিকা,
ধর্ষিতা হয় ছাত্রী
বিয়াবাড়ি ধর্ষিতা হয়
বিয়ের নতুন পাত্রী
চার বছরের শিশু
ধর্ষণ,
ষাট বছরের বুড়ি
ধর্ষিতা হয় যে মেয়েটার
বয়স উনিশ কুড়ি।
কী আপদ! কী আপদ!
এর মধ্যে কি নেই রে তোর
খালা চাচী মামী
নাকি তুই ধর্ষক
সুহৃদ
নিজেও সমকামী।
কী আপদ! কী আপদ!
কী আপদ! কী আপদ!
ধর্ষণের যে পক্ষ
নিলি
তোর খালা কি নিরাপদ?
৯/১০/২০। ০০ঃ৩০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯১৬
হায়রে দেশের পুলিশ
হায়রে দেশের পুলিশ
তুইও একদিন মানুষ
ছিলি
কেমনে ওটা ভুলিস?
মানুষের যে আত্মা
ওটা
কেমন করে খুলিস?
তোরও ছিল মা বাবা,
ছিল নিজের বউ
তুই কিরে আজ মানুষ
আছিস,
রক্ত মাংসের কেউ?
কেমন করে যুবক ছেলের
গায়ে বন্দুক তুলিস?
তুইও একদিন মানুষ
ছিলি
কেমন করে ভুলিস?
হায়রে দেশের পুলিশ
হায়রে দেশের পুলিশ।
৯/১০/২০। ১ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯১৭
জলে ভাসা নাও
এই পাখি নদী নীড় জলে ভাসা নাও
পাহাড়ের উঁচু শির
আর কে কে চাও?
চাঁদ তারা রাত
তারা মিটিমিটি জ্বলে
বনে বনে নানা
ফল কেন তারা ফলে?
শিরশির করে কেন রোজ হাওয়া বয়
কোন কোন বারে
তার ছুটিছাটা হয়?
তোমার তো ঈদ আছে
তার ঈদ কবে?
সেইদিন কোন মাঠে
গরু জবেহ হবে?
আম গাছে আম হয় আতা গাছে আতা
কোন গাছ হতে
তার লাগে নারে পাতা?
পাখা আছে তাই
নাকি পাখি উড়ে যায়
ঘুড়িটা যে ওড়ে
তার পাখা কে জোগায়?
গাছ নদী পাখি বন নদী কলতান
মেঘরাশি রাশিরাশি কও কার
দান?
এইসব তারই গড়া
যিনি রহমান
যাঁর অতি প্রিয়জন
এই ইনসান।
৯/১০/২০। ৬ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯১৮
ভয় ও জয়
নারে ভাই, নারে, না
মানুষ কিছু পারে
না
মানুষ যদি পারতো
মাথার উকুন মারতো।
বছর বছর ডাক্তার যায়
বছর বছর আহে
মাথার উকুন মাথায়
বসা
বছর বছর থাহে।
মানুষ কতো সাহসী
তেলাপোকা ভয় পায়
এমনিতেই কি স্বৈরাচার
বছর বছর জয় পায়।
সাহস একটু কমাও
ভয়টা বুকে জমাও।
সত্যি তুমি ভয় পাও?
বিজয় নেবে? এই নাও।
৯/১০/২০। ১০ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯১৯
সূর্য উঠলে দিন হয়
সূর্য উঠলে দিন হয়
খালে বিলে মীন
হয়
এতে কোন ভুল
নাই
টাকু মাথায় চুল
নাই।
এসব কিন্তু সত্য ভাই
সত্য কথা বলতে
নাই
সত্য বললে ফাঁসি
হয়
এসব কথা মাসী
কয়।
তাইতো এসব বলি না
জটিল পথেও চলি
না
নবীর পথে চলি
তাই
সত্য কথা বলি ভাই।
১০/১০/২০২০
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯২০
দুই কানা
তুই কানা আর মুই কানা
কত খুঁজলাম সুঁই
খানা
পেলাম তো না দুই
কানা
নষ্ট করলাম ভূঁই
খানা।
পাবো না যে তাও জানা
লোকে বলে গাও
গানা
বলি, সুঁইটা দাও
নানা7
বার বার কেন
চাও,নানা?
লজ্জা কেন দাও
নানা?
টাকা লাগবে? নাও নানা।
টাকশালে যাও, দাও হানা
কয় টাকা চাও, আও নানা।
সফর খরচ দুই কোটি
সোনামুখী দুই কোটি।
নিবো তুই আর মুই
জুটি
আমি মাগুর, তুই পৃটি।
তুই কানা আর মুই কানা
চিতই পিঠা তুই
বানা
তারপর চল খাই
রুটি
ফল খাবি? চল খাই
ফুটি।
তুই কানা আর মুই কানা
দান করে দাও
দুই আনা
তারপর চলো যাই
ঘানা
খাই সেখানে মটরদানা।
তুই কানা আর মুই কানা
লুটপাটে তো নেই
মানা
আয় খুশিতে লুট
করি
মধ্যরাতের ভোট করি।
১০১০২০২০। ৪ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯২১
কলমযোদ্ধা
গল্পকারের কলম নাকি
বুক পকেটে থাকে
গল্পগুলো রাখে নাকি
নিজের মাথার টাকে।
কবির কলম চিন্তা করে
দাঁতের চিপায় বসে
তাইতে নাকি কাব্য
থাকে
ভেজা ভেজা রসে।
কানে কলম গোঁজা তুমি
দেখতে পাবে যার
বুঝবে সে জন হয়ে
গেছে
দারুণ ছড়াকার।
গল্প লিখে গাল্পিক হয়
কাব্য লেখে কবি
ক্যামেরাম্যন কাটুস
কুটুস
তোলে নানান ছবি।
এই দেখে যে হাসে তার
নাম হয়ে যায়
ছড়াকার।
১২/১০/২০। ০০ঃ০১
মি।।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯২২
বৃষ্টি জিজ্ঞাসা
বৃষ্টির সময় খাটে বসে
চালভাজা খাও যারা
কেমন আছো তারা?
অ সোনাদি গুন গুন করে
কি গান তুমি
গাও
তোমার মত বৃষ্টিরও
কি
আছে দুটো পাও।
বৃষ্টিগুলোর বাড়ি কই
কেমন করে আসে
ওরাও কি নীলাকাশে
পাখির মত ভাসে।
পাখির নাহয় ডানা আছে
ওদের ডানা কই
দেখি নাতো তাদের
কভু
পড়তে খুলে বই।
নাদের মত ওরা ও কি
দুষ্ট ছেলের দল
অ সোনাদি সত্যিটা
তুই
বল না খুলে
বল।
১২/১০/২০। ১ঃ ০০টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯২৩
নাতি হাতি বাতি
বুড়া কালটা সেরা কাল
যদি থাকে নাতি
নাতির সাথে খেলা
করে
দাদা নামক হাতি।
হাতি হাতি হাতি
খেলে দাদা নাতি।
খেলা তো না চলে
যেন
আজব মাতামাতি।
দাদার জা'গায় কোনদিন
নানা এসে বসে
সারাটা ঘর ভরে
যায়
নানার পানের রসে।
নাতি নাতি নাতি
খেলে নানা নাতি
নানী হাসে ফুটো
দাঁতে
দেখে তেলেসমাতি।
নাতি নাতি নাতি
বুড়া কালের বাতি।
১২/১০/২০। ২ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯২৪
ছড়ার ছড়া
ছড়া হচ্ছে হাবিজাবি
সোনাডাঙার রাঙা ভাবী
গাছে বসে পেয়ারা
খারি
স্বৈরাচার তুই কবে
যাবি?
দেখলেই বলে ছড়া দিন
টাকা দিয়ে ছড়া
কিন
ছড়া হল ছড়াপিন
ঢুকলে বুকে টের
পাবি।
ছড়ার জ্বালা বড় জ্বালা
ধান্না মরিচ কালা
কালা
তুই ভেবেছিস টুকু
খালা
ও মা বাঁচাও
গান গাবি।
১২/১০/২০। ৩ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯২৫
লেখক হওয়া
লেখক হওয়া সোজা না ভাই
লেখক হইতে তেল
লাগে
লেখক যদি হতে
চাও ভাই
কেউ মেরো না বেল
আগে।
পারলে কাতার দুবাই যাও
খোদার কাছে ডলার
চাও
লেখক এখন থাকে
না আর
বিলের ধারে, ফুল বাগে।
বই ছাপাতে টাকা লাগে
মামা চাচা কাকা
লাগে
তেল লাগে ভাই
ড্রাম ভরা
আরো লাগে মই ধরা।
ভাল লেখে লেখক হইবা
করো না আর সে আশা
সাগর পাড়ে দাঁড়াও
দেখো
লেখা সবই তেল
ভাসা।
যে লেখকের তেল নাই
সে লেখকের বেল
নাই।
১২/১০/২০। ১০ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯২৬
ইয়া নাফসির চলছে কাল
একটু দিবি মিল্লাত ভাম
ভুলে গেছি বাপের
নাম।
ভুইলা গেছি মাতৃ
ধাম
কেমন করে দেয়
সালাম।
ইস্টিশানে ইজ্জত ঝুলে,! ~
মানবতা গেছে ফুলে
দাফন কেউ পদেয়না
ভুলে।
শুধু বকে বাপ-মা তুলে।
কী দেশে যে কি হলো
গায়ের ঘাম ঘি হলো
নিজের বউ ঝি হলো
ভোটার ছাড়া ভি হলো।
কই গেলো রে পিঠের ছাল
ইয়া নাফসির চলছে
কাল।
১২/১০/২০। ৫ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯২৭
ছড়ার দাম
কমেন্টের দাম দুই টাকা
লেখার দাম বারো
দুইডা টাকা রেখে
তুমি
দশটা টাকা ছাড়ো।
মাগনা খাইলে জেলে যাও
পোড়া রুটি ডলে
খাও
যে যতটা পারো।
আমার লেখায় মসলা লাগে
কিনে আনতে হয়
আরো কত সময়
লাগে
সে কথা কে কয়।
মাগনা খেতে জিহ্বা টাটায়
পুকুর ঘাটে যাও
বিনা পয়সায় খেজুরের
রস
কোথায় তুমি পাও।
নইলে দাদা নামাজ শেষে
মসজিদ গেটে দাঁড়াও
খুচরা ছড়া পেতে
পারো
টাকা পয়সা ছাড়াও।
আমার ছড়া কিনতে চাও?
আগে ফেলো টাকা
কুপন নিয়ে গিয়ে
দেখো
কোথায় চেয়ার ফাঁকা।
১৩/১০/২০। ৭ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯২৮
বাড়ি যাও
ছড়া পড়ে মরা মানুষ কেউ কি গড়াগড়ি যায়
গুলিস্তানের মোড়েও
কি ছড়া পরী ধরে
খায়।
তা খায় বাবা, একটু
শুধু দাঁড়াতে হয় লাইনে
লাজুক পরী হেসে
বলে,
আমি ছড়া খাইনে।
খাও না যখন বাড়ি যাও
ছড়া তো নয় হাঁসের
ছাও
রাস্তার ধারে পাওয়া
যায়
যখন তখন খাওয়া
যায়।
ক্যানভাসারের হাতে ছড়া চাখতে পারো ফাও
এরই ফাঁকে কেউবা
হারায় সদরঘাটের নাও।
কারো শুনি পকেট
ফাঁকা,
কেউবা বলে মন্জু
কাকা
মাগনা ছড়া চাখতে
কেনো সদরঘাটে যাও।
মাগনা ছড়া খাইতে নাই
দিনে কিম্বা রাইতে
নাই
কেমন খেলে বলতে
হয়
তবেই লোকে ভদ্র
কয়।
ইচ্ছে হলে ছড়া খাও, ঢেকুর তুলে কমেন্ট দাও।
কেডা চাচা বিড়ি
চাও,
রাস্তা ধরো বাড়ি যাও।
১৩/১০/২০। ৯ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯২৯
ইচ্ছেমতি
ইচ্ছেমতি ইচ্ছেমতি
জানতে চাও কার
মতিগতি?
তারে খাওয়াও কচুর
লতি
তারপর বলো ভাই
আপনার মত দুটো
মানুষ
এই দুনিয়ায় নাই।
এতো ভালো মানুষ হয়?
নাই মনে যার
লোভ ও ভয়
তার হবে না কার
হবে জয়
আপনার মত মানুষ
নাই
আমি আপনার ছোট
ভাই।
আপনার পায়ের ধুলো দিন
বাঁচবো আমি যতো
দিন
আপনি থাকবেন ততোদিন
আমার মনের মাঝে।
বহুদিনই ভাবছি বলবো
কইনি কিছু লাজে।
ইচ্ছেমতি, ইচ্ছেমতি
এমনি চালাও তেলের
গতি।
তোমার কাছে মানবে
নতি
মহারাজের বউ
খেতে দেবে বাটি
ভরা
ডালিম দানার মউ।
১৩/১০/২০। ১০ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯৩০
ভাইরে
ভাইরে।
আইনে যদি মানুষ
মারে
আমরা কোথা যাইরে।
শয়তান মানুষ সবাই
চেনে
তারেই ক্যান দেয়
লাইরে।
এসব কথা যতই
ভাবি
মনে ব্যথা পাইরে।
ভাইরে।
আমার থেকে চাঁদা নিয়ে
মদ কিনে খায়
মাস্তানে
তবু তারে কোনদিনই
কইনি বাবা রাস্তা
নে।
পাড়ার যে হয় বড় ভাই
তারচে বড় শয়তান
নাই
দরকার হলে সেইতো
আবার
দেখি মরা লাশ
টানে।
ময়লার মাঝে ভাল থাকে
ভালর মাঝে মন্দ
মাটির নিচে রাখলে
মন্দ
আর বেরোয় না গন্ধ।
মন্দটারে কবর দাও
সবার মাঝে সবর
দাও।
১৩/১০/২০। ৯ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯৩১
আয়রে সবাই আয়
তারা করে ঝিকমিক ঝিকমিক ময়না বলে ঠিক
একটু পরেই জ্বলবে
আগুন দেখবি চতুর্দিক।
আগুন জ্বলবে গ্রামে গ্রামে
ফৌজদার হাটের মাঠে
আগুন জ্বলবে শীত
সকালে
আবার শুকনো কাঠে।
জ্বলবে আগুন নদীতে। স্বৈরাচারের গদীতে।
আগুন জ্বলবে গুলিস্তানে
আবার সদরঘাটে।
আয়রে কিশোর আয়রে নবীন
মা বোনেরা আয়
দুঃশাসনের গায়ে আগুন
মাখবি কে কে আয়।
তারা করে ঝিকমিক ঝিকমিক ময়না বলে ঠিক
একটু পরেই জ্বলবে
আগুন দেখবি চতুর্দিক।
১৪/১০/২০। ১ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯৩২
জবাব খান
কোন কমেন্টের জবাব দাদা আপনি জানি চান?
সব কমেন্টের জবাব
দাদা ডিসে আছে, খান।
কেউ যাবেন না খালি হাতে
হোক না দিনে, হোক
না রাতে।
রান্না ঘরে আরো আছে যত লাগে পাবেন।
মজার কমেন্ট ধরে
ধরে যত পারেন খাবেন।
ছড়া খাবেন, কমেন্ট খাবেন
আরো যা যা লাগে
চাবেন
যত লাগে দেবে
এনে জোবেদ আলি খান।
দয়া করে আপনি
একটু কমেন্ট খেয়ে যান।
তিনটি বুয়া রাঁধছে কমেন্ট এলেই আপনি পাবেন
নায়ের ভেতর বসে
কেনো শুধু বাতাস খাবেন।
আরো যারা জবাব
চায় বলে দেবেন তাদের
দিবারাতি জবাব নিয়ে
বসে থাকে কাদের।
আমার একটু তাড়া আছে
রোগী বসা কাঁঠাল
গাছে
ভাইজান আমি যাই, বাই
বাই বাই, বাই।
১৪/১০/ ২০। ২ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯৩৩
করবি কারে তাক
হারামখোরে অস্ত্র বানায় হালালখোরে খায়
অস্ত্র দিয়ে হারামখোরে
এই দুনিয়া কাঁপায।
নিরীহরা মারা পড়ে
শক্তিমানরা মারে
একই খেলা দেশে
দেশে
দেখছি বারে বারে।
মানুষ মারার জন্য ওরা খরচ করে ডলার
অথচ সার পায়না
কৃষক ফলন কমে কলার।
জালিমরা সব জুলুম করে
মজলুমানে মরে
বালাখানায় অট্টহাসি
কান্না ঘরে ঘরে।
এত যে ভাই দেমাগ দেখাও পাইপ টানা সব বাবু
কার ভয়ে সব ঢুকলে
ঘরে এখন কেন কাবু?
এক করোনার ভয়ে দেখি
এটমবোমা কাত
বিশ্ব মোড়ল অস্ত্রবাজের
পড়ছে মাথায় হাত।
কোটি টাকার অস্ত্র এখন কারে করবি তাক
বালাখানায় বসে বসে
আল্লাহ আল্লাহ ডাক।
১৪/১০/২০।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯৩৪
আলেক চান
নানুর বাড়ি পানুর মায়
বানু বানু কান্দে
কেমনে গেল এত রাইতে
বানু একা চান্দে।
সোনার ছেলে সোনা দিয়া
ছিঁড়েছে তার নরম
হিয়া
নানু এখন বসে
বসে
স্বাধীনতা রান্ধে।ৃ
কই গেলিরে আলেক চাঁন
রাইতে থাকিস গাছে
হায়েনারা আইলে কমু
খাইছে তারে মাছে।
১৪/১০/২০। ১ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯৩৫
কি কচুটা পারো
যখন মানুষ বনে ছিল,
স্কুলে কেউ যায়
নাই
তখন কিরে কন্যা
শিশু
মায়ের দুধুু খায়
নাই।
দশ মিনিটের স্কুল সেদিন
কোথায় ওরা পাইতো
কেমনে তবে বনের
শিশু
মায়ের দুধু খাইতো?
গরু ছাগল কোথায় পড়ে,
তবু কেন বাচ্চা
হয়
কোন স্কুলে পড়ে
হাতি
নাদুস নুদুস বাচ্চা
লয়?
টেন মিনিটের স্কুলে
যারা ট্রেনিং নিচ্ছে
তারা এখন মাসে
মাসে
বাচ্চা কি কেউ
দিচ্ছে?
একবারে সে কয় বাচ্চা দেয়
দশটা নাকি বারো
তবে তুমি কওতো
দেখি
কি কচুটা পারো?
১৪/১০/২০। ৩ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯৩৬
আসো বসে কান্দি
মায়ের চেয়ে খালা প্রিয় যাদের বাবার কাছে
সে ছেলেটা ধর্ষক
হলে বলার কি কও আছে?
স্বামীর চেয়ে দেবর মজা বুঝলে কোন ছেলে
দোষ কার কও সে ছেলে
কাজিন প্রিয় হলে?
পাশের বাসার ভাবীর রান্না, তুলনা তার নাই
শুধু এটুক বলতে
বার বার ভাবীর কাছে
যাই?
যে সমাজে পরকীয়ার তুফান জোরে বয়
সে সমাজে সন্তান
বলেন কেমনে ভাল রয়?
ধর্ষণ দিদি খুবই খারাপ, অশ্লীলতা ভালো?
তবে কেন রূপের
আগুন চোখের ওপর ঢালো?
সত্যি তুমি চাও না ধর্ষণ? অসভ্যতা ছাড়ো
নয় সমাজে ধর্ষণ
দিদি বাড়তে পারে আরো।
আবেগটারে সবাই আসো বিবেক দিয়া বান্ধি
পাপের কথা স্মরণ
করে তওবা করি, কান্দি।
১৫/১০/২০। ১ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯৩৭
যৌবন মৌবন
তোমারে আমি মন্দ বলবো, সময় কোথায় ভাই
দুহাতে কেবল ঘোলাজল
ঠেলে মঞ্জিল পানে যাই।
পদে পদে পাপ, নাই
অনুতাপ, পাপের উত্তাপ বাড়ে
লোভ লালসার এ জগতে
হায়,
মন্দ বলিব কারে?
লোভের জালে জড়ায়নি পা, পড়েনি রূপের ফান্দে
সেসব কথা মনে
করে বলো কজন ভয়ে
কান্দে?
রঙের মেলায় এসেছি
আমরা, রঙ নিয়ে খেলা করি
আঁধারের রাত সামনে
জেনেও বালুর প্রাসাদ গড়ি।
আলেয়ার পিছে, মহুয়ার বনে কেটে যায় সারা বেলা
তবু তো থামেনা
বন্ধু আমাদের মোহের জীবন
খেলা।
এইভাবে কত, হয়ে গেল গত, জীবনের যৌবন
তাকিয়ে দেখলে বিশ্ব, নিজের
সাজালে না
মৌবন।
১৫/১০/২০। ৯ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯৩৮
কবির ঘুম
ঘুম এসে ওম দেয় চুম দেয় কপালে
বলে কবি রাতভর
কার সাথে গপালে?
কত বলি রুম
ঝুম
রাত হল দাও
ঘুম
সারারাত শুধু শুধু
কারে কারে ঠকালে
ঠকানোর খেসারত ঘুম
যাও অকালে।
ফজরের পরে ঘুম অতিশয় মিষ্টি
ঘুম যেন ঘুম
নয়,
আদরের ইষ্টি
সেই সাথে হয় যদি
সকালের বিষ্টি
আহা কি যে মিষ্টি
মিষ্টি মিষ্টি।
রুম ঝুম রুম ঝুম
দিনভর দাও ঘুম
ঘুমে ঘুমে দিন
পার,
হোক না
লোকে কয় নানা
কথা,
কোক না।
তুমি যাও রাজশাহী,
পেয়ে যাও বাদশাহী
ঘুমে ঘুমে খেয়ে
নাও,
নাস্তা
ময়ূরের ডিম দুটো
আস্তা।
তারপর নিঝঝুম
চুপচাপ দাও ঘুম
ঘুমটা যে উর্বশী
কবিতার রাস্তা।।
ঘুমে ঘুমে খেয়ে
নাও,
নাস্তা।
রুম ঝুম রুম ঝুম
সারাদিন দাও ঘুম
জোহরের নামাজটা চোখ
মেলে পড়ে নাও
সেই ফাঁকে পেটটাও ভরে নাও।
রুম ঝুম রুম ঝুম
আমি তুমি হাম
তুম
চোখে দিয়ে কুম
কুম
দাও ঘুম দাও
ঘুম
আসরের অক্ত
ওঠা খুব শক্ত
তবু চলো ওঠে
যাই
ফরজের মাফ নাই
ওঠে পড়ো ধামধুম
হাম তুম হাম
তুম।
মাগরিব পড়ে ফের ঘুম দিতে গিয়ে
শুনি এই রাত্রেই
কবিতার বিয়ে
শব্দরা দল বেঁধে
সকলেই আসবে
এ ওর গায়ে
পড়ে খিলখিল হাসবে
এসে যাবে ছন্দ
মিটে যাবে দ্বন্দ্ব
মন্দরা বলবে, টাটা বাই, যাইরে
কবিতা রে নিয়ে
সব ভাল থাক ভাইরে।
ঘুম এসে ওম দেয় চুম দেয় কপালে
মানুষ তো নিজে
ঠকে
অপরকে ঠকালে।
প্রতিদিন এই কথা
মনে রেখো সকালে।
১৫/১০/২০। ৮ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯৩৯
ফরজ রেখে দোয়া
যে পড়ে না পাঞ্জেগানা দোয়ার বরকত দিয়া
এক আমলে তুমি
তারে জান্নাত দিলা মিয়া?
এতো সস্তা জান্নাত
তুমি কেমনে বলো পাইলা
নবী কেন ভেস্ত
কিনলো বুকের রক্ত ঢাইলা?
দেশ চলবে খোদারআইনে এটা কোরান বলে নাই
এ কাজটা ফরজ
নাকি দোয়ার মত নফল
ভাই?
দেশ দুনিয়া চালায়
কে যে সেইটা তুমি
জানো?
তুমি দেখি দোয়া
দিয়া বেহেশত ধরায় আনো।
যে দেশে নাই পর্দার ফরজ, স্বামীর সেবা দিয়া
সে নারীকে কেমনে
তুমি বেহেশত যাবে নিয়া?
এতীমের মাল কাইড়া
খায় যেসব ধান্ধাবাজ
দানেরগুণে তারে তুমি
জান্নাত বিলাও আজ?
বড় সাহেব জানে না তার ঘুষের পরিমান
দাড়ি টুপী দেখে
তারে বেহেস্ত করলে দান?
হায়রে হুজুর ভন্ড
দোয়া দিয়ে ফিরাবি
তুই শিরিক করার দন্ড?
১৫/১০/২০। ১০ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯৪০
ভয় নাই
কবেই তো মরে যেতে পারতাম
মরি নাই কেন
চাচা কনতো?
করে যে মরবো, জানা
নাই
এখনো তো খাই
দাই
বলেনি তো কেউ
তোর খানা নাই।
নোটিসটা কেউ কভু পাইলে
বমি করে ফেলে
দেয় খাইলে
যতটুকু লেখা আছে
তার বেশি পায় না
ঢাকাতেই মারা যায়
কাল ছিল চায়না।
এইসব কথা কিন্তু সকলের জানা
তবে কেন ভয় পাস? মিছিলেই
যা না।
মিছিলের গুলি বল কয়জন
খাইছে?
কপালের গুলি কিন্তু
শুয়ে থেকে পাইছে।
অতএব ভয় নাই, যদি যাস মরতে
তবেই তো দেশটারে
পারবিরে গড়তে।
১৬/১০/২০। ০১ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯৪১
হারিক্যানের সলতে
বন বড় না মন বড়
নাকি জ্বালাতন বড়
যদি পারো বলতে
তবে তোমায় বকশিশ
দেবো
হারিক্যানের সলতে।
তোমায় তবে ঠকাইছি
পারবে না কেউ
বলতে।
বন বড় না মন বড়
নাকি জ্বালাতন বড়
যদি পারো বলতে
তবে তুমি এ সমাজে
পারবে ঠিকই চলতে।
সন্ত্রাসীরা পারবে না কেউ
তোমার দু কান
মলতে
তখন তোমার হাতে
থাকবে
হারিক্যানের সলতে।
তুমি তখন বাপের বেটা
পারবে ঠিকই জ্বলতে
এই ছড়াটা লিখেছি
তো
এই কথাটা বলতে।
১৬/১০/২০। ৫ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯৪২
হাসি নেবেন হাসি
হাসি নেবেন হাসি।
আজকে হাসি সস্তা
দেবো
বোনাস দুইটা খাসি।
হাসি নেবেন হাসি।
আজকে বিশ্ব হাসি দিবস হাসি কিনতে যাও।
কত বছর খাওনি
হাসি একটু না হয় খাও।
দেশে হাসির হয় না ফলন
বিদেশ থেকে আনো?
তাইতো হাসির দাম
বেড়েছে খবর তুমি জানো?
হাসি ছিলো দাদার কালে গাছের ডালে ফলতো।
অমাবস্যা রাতের বেলা
তেতুল তলা জ্বলতো।
হাসি ছিল রাশি
রাশি চাষী ভাইয়ের মুখে
ছোট্টশিশু হাসতো নাকি
শুয়ে মায়ের বুকে।
আরো কত গল্প শুনি, হাসির ছিল দাসী
দাসীর হাতে থাকতো
নয়া কলাপাতার বাঁশি।
সেই বাঁশিতে ফু দিল
যেই মাসী সর্বনাশী
সেদিন থেকে হাসতে
গেলে পায় যে সবার
কাশি।
হাসি নেবেন হাসি।
আজকে হাসি সস্তা
দেবো
বোনাস দুইটা খাসি।
হাসি নেবেন হাসি।
১৬/১০/২০। ৮ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯৪৩
চলছে খেলা চলুক
চলছে খেলা চলুক
যে যা বলার
বলুক
শক্তি যাদের আছে
তারা
দলিতদের দলুক।
চলছে খেলা চলুক
হিমালয়ে গলছে বরফ
আরো একটু গলুক
সূর্য তোমার পাটে
গেছে
আরো একটু ঢলুক।
যে যা বলার বলুক
মহাকালও চলুক
গলছে বরফ গলুক
চলছে খেলা চলুক।
আমার যখন হবে ভোর
রাত নামবে তোর।
আমার মত তুইও
তখন
দেখবি আঁধার ঘোর।
বলবি তখন হা ভগবান
কোথায় রাঙা ভোর?
চারিদিকে দেখবে আঁধার
তখন হারামখোর।
চলছে খেলা চলুক
মহাকালের কথা এবার
মহাকালে বলুক।
যার যেভাবে ঢলার কথা
সে সেভাবে ঢলুক।
আমার নিচে ধর্ষক
আছে
গাছের পাতা বলুক।
১৬/১০/২০। ১১ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯৪৪
আলেম তিনি
আলেম তিনি জালেম যিনি করেন কুপোকাত
দিনকে যিনি দিনই
বলেন রাতকে বলেন রাত।
সত্যটাকে আঁকড়ে ধরেন
মিথ্যা নিজে ছাড়েন
জালিমশাহীর সামনে যিনি
সত্য বলতে পারেন।
ভয়তো করেন এক আল্লাহকে অন্য কাউকে নয়
বিশ্বাস করেন তাঁরই
হাতে জীবন, মৃত্যু, জয়।
আলেম তিনি জালেম যারে
করে ভীষণ ভয়
দেয় শাহাদাত, নয় ক্ষমতা
কোনটা পরাজয়?
তারেই শুধু আলেম কয় যার নাইরে পরাজয়
বাঁচলে গাজী মরলে
শহীদ বিশ্ব যাদের কয়।
১৭/১০/২০। ৫ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯৪৫
লোভের নুন
পৃথিবীতে যোগ্য যারা তারা কিছু করবেই
তারা দাদা মনে
মনে স্বপ্নপ্রাসাদ গড়বেই।
বীরের মত লড়বেই
মারতে এলে সেও
খুনীর কন্ঠ চেপে ধরবেই।
পৃথিবীতে যোগ্য যারা
তারা কিছু করবেই।
তোমার মাঝে থাকলে আগুন ফাগুন হয়ে জ্বলো
শক্তি থাকলে সাহস
করেই সত্য কথা বলো।
মিথ্যা বাতিল দলো
রাস্তা দিয়ে বুক
ফুলিয়ে বীরের মতো চলো।
তোমার মাঝে থাকলে
আগুন ফাগুন হয়ে জ্বলো।
শয়তান যদি ক্ষমতা পায় ভালো চেপে ধরবেই
যতই ক্ষমা চাক
না ভালো, তবুও তারা
মরবেই।
বিপদ জালে পড়বেই
জালটা কেটে বের
হতে তো ভাল যারা
লড়বেই।
শয়তান যদি ক্ষমতা
পায় ভালো চেপে ধরবেই।
যোগ্যরাই তো জিতবে শেষে, হারুপার্টি হারবে
চালাক চতুর যোগ্য
যারা জয়ের নিশান নাড়বে।
এমন সময় কোকিল
এসে বাসায় আন্ডা পাড়বে
কায়দা করে চালাক
কোকিল কাকের বাচ্চা মারবে।
যোগ্যরাই তো জিতবে
শেষে, হারুপার্টি হারবে।
কোকিলগুলো চিনতে যদি কাউয়া করে ভুল
বারে বারে দেখতে
হবে ফোরাত নদীর কুল।
কাউয়া যাতে কোকিল
না হয়, নজর রাখো
খোলা
নেতা যেনো কবির
মতো হয় না আত্মভোলা।
মুসলমানের দুশমন শুধু কাফের বেদ্বীন নয়
নবীর নাতির দুশমন
কিন্তু মুসলমানই হয়।
ক্ষমতার লোভ কাড়ে
যদি কভু খোদার ভয়
একটা লোভই এক জীবনের
পূণ্য করে ক্ষয়।
১৭/১০/২০।১১ঃ০০ টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯৪৬
রহিমুদ্দির পোলা
--মামা, রহিমুদ্দির পোলা।
-- হ্যাঁ, রহিমুদ্দির পোলা।
-- সদরঘাটে নাইমা কয়,
ঢাকার আকাশ খোলা।
আমি কইলাম, তাতে তোর
কি?
তোরাও তো জোলা।
দেখি তার মন খারাপ, চক্ষু
ঘোলা ঘোলা।
বললাম, তুই মাইন্ড
করলি?
আমিও তো জোলা।
গত মাসে বিয়া
করছি। শ্বশুরবাড়ি ভোলা।
মামা, পোলা তখন
হাসে।
খানিক ছিল ফারাগে।
এবার কাছে আসে।
-- তাতে তোর কি?
তরে কই নাই বদনাম করা পাপ।
পোলা যদি দেয়
এখন,
তোরে অভিশাপ।
তুই কি জানিস
দোযখের, সে কিরে উত্তাপ?
শত মাইল দূর
থেকেই ডাকবি বাপরে বাপ।
-- সরি, মামা সরি।
আসল কতা কইলো আমায় উল্লাপাড়ার পরি।
গিয়ে দেখি উঠোনে
সে খাচ্ছে গড়াগড়ি।
সবাই তারে চাচ্ছে
নিতে খাটে ধরাধরি।
-- তো!
-- রহিমুদ্দির পোলা।
-- হু, রহিমুদ্দির পোলা।
-- নতুন করে চাকবি নিছে, এখন
নাকি ঠোলা।
-- হোক না কামান গোলা। তোর কি তাতে পোলা।
-- আগে খাইতো লিকার চা, এখন
কোকাকোলা।
-- তারপর?
-- সেদিন ফিরছে মধ্যরাতে, জুতা মাথায়
তোলা।
গায়ের জামা খোলা।
হাতে পাটের শোলা।
মানিক কইলো, এই দশা
ক্যা কাকা?
বিকালে না শোনলাম
আপনি চলে গেছেন ঢাকা?
-- কে কাকা? সমন্ধির পো। আমি তোর বাপ।
এই যে হাতে সাপ।
সাপের বিষ তোরে
দিমু মাগনা তিরিশ কাপ।
-- মানিক কয়, চাচা।
আপনি নাকি মদ খান, এ কথা কি হাচা?
--- নো, নেভার, নো।
মাগনা পেলে মধু খাই
যেদিন একটু পাড়া যাই।
ও জরিনা, গানও গাই।
এখন টাকার অভাব
নাই।
আসামি মানে টাকা
গাড়ির নয়া চাকা।
আলু ক্ষেত ফাঁকা।
হেহ হে। বুঝলা
কিছু কাকা?
খাইলে চলো ঢাকা।
-- কাকা, এখন যাওয়া লাগে
না।
মোড়ের একটু আগে না
সুরেশ বাবুর দোকান
সেখানে হাত ঢুকান।
আছে নয়া মাল।
কে কয় আমি
টাল?
মামা, আমারও তো নানাবাড়ি
সদর বরিশাল।
১৮/১০/২০। ১০ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯৪৭
চলে যাবো
চলে যাবো চলে যাবো
সত্যি চলে যাবো
কবে যাবো জানি
না।
তবু কেন আল্লাহর
হুকুমটা মানি না
জানি না।
চলে যাবো চলে যাবো
মাটিরই তলে যাবো
কবে যাবো জানি
না।
তবু কেন আল্লাহর
হুকুমটা মানি না
জানি না।
মনটারে তাই বলি
চল সোজা পথে
চলি
পাপটারে পায়ে দলি
ক্ষমা যেনো পাইরে
আর পথ নাইরে
ভাইরে।
চলে যাবো চলে যাবো
বার বার বলে
যাবো
যাইরে
দোয়া করিস আল্লাহর
দয়া যেন পাইরে।
ভাইরে।
১৮/১০/২০। ১১ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯৪৮
আনন্দ-ফুল
মায়ের ছেলে মায়ের কাছে ছায়া হয়ে থাকবে
মাকে ছেলে মা মা বলে
চিরকালই ডাকবে।
শিল্পী বসে আকাশ
নদী পাখি সবই আঁকবে
গাছের কাঁঠাল সময
হলে যেখানে থাক পাকবে।
শীতের দিনে গায়ে ঠান্ডা সবারইতো লাগবে
সময় হলে মোয়াজ্জিনে
জোরে আযান হাঁকবে।
কোন কথাটা ভুল
বলেছি, কোন কথাটা ভুল।
বলতে পারলে তুমি
পাবে তারার বকুল ফুল।
খোকাখুকু হাসে।
তার মানে কি বকুল
ফুল কবিও ভালবাসে।
কবিরে তো রোজই
দেখি বালু নদীর পাশে।
দেখি কবি খালি
পায়ে হাঁটে দুর্বাঘাসে।
নদীপাড়ে কবি আসে
কওতো কিসের আশে।
গালের মাঝে হাতটা দিয়ে তিতলি বোন ভাবে
এই প্রশ্নের জবাব
সে খোদার কাছে চাবে।
স্বপ্নে দেখে বলছে
কবি তিতলি আমার বোন
কবির কাজ আমি
বলি,
মন দিয়ে তুই শোন।
একজনের কাজ অন্যজনে করতে পারে না
মরলে মানুষ শিশুর
মতো নড়তে পারে না।
কবি বানায় সুখ-আনন্দ
মৌমাছিদের মতো
একটা ফোঁটা মধু
দেয় না বনের পশু
যতো।
মায়ের মতো একটা শিশু বাপকি দিতে পারে?
কবি ফোঁটায় আনন্দ-ফুল
হাসি বারে বারে।
১৯/১০/২০।১১ঃ০০ টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯৪৯
সন্তান এখন
নূরু মিয়ার বাপে
মরছে নিজের পাপে
হারাম কামের পাপ
দুধে পালা সাপ।
বাপ মা এখন হইছে বুড়ো
কত কইছে শোনরে
নূরু
বাড়ি গাড়ি সহায়
সম্পদ
সবই এখন তোর
আজ আছি কাল
চলে যাবো
আমরা অচীন গোর।
বাবার খায়েশ গোরে যাবার
আমি কি আর করি
রাতের বেলা বাবার
গলায
পাড়া দিয়া ধরি।
আমি এখন বাবা হবো
আর কি দরকার
তোর
কলাপাতায় ঢেকে দেবো
তোদের নয়া গোর।
হারাম কামের কামাই এসব
এক জীবনের পাপ
সন্তান এখন ঘরে
ঘরে
জীবন্ত কালসাপ।
২০/১০/২০। ৬ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯৫০
ওরে কাদের খান
বিষ করেছি পান
ওহে কাদের খান
এখন সবই মিডা
লাগে
যাক না মান
সম্মান।
নেংটা দেশে কাপড় পরে কেডা
ওরাতো ভাই মানুষ
না,
সবাই জঙ্গী বেডা
হুত কইচ্ছে লজ্জাশরম
চলি যাইবো জেডা
কাপড় পরে বেশরমে, ওরে
ধরে পেডা।
মশা মারলে মায়া লাগে মশা মারা ছাড়
মারবি যদি টিপে
টিপে আস্ত মানুষ মার
নিজের বউরে পাডা
বাপের বাড়ি
বান্ধবী তো বইসা
আছে জলদি পাডা গাড়ি
আমরা এমন সভ্য হইছি
অসভ্যরা লজ্জাতে
চোখ খোলে না, ভান
ধরেছে
ঘুমিয়ে আছে শয্যাতে।
শাহাবাগে ঘুমিয়ে থাকে বেশরমের প্রগতি
মেয়েরজামাই নিয়ে পালায়
শাশুড়িমা কি গতি।
হায়রে কলি কাল
কাউয়া নাকি চেটে খায়
ভানুমতির গাল।
২০/১০/২০। ৮ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯৫১
ঢাকার মানুষ
ইট পাথরের কঠিন শহর
বাতাস বড় নষ্ট
মানুষ আসে সুখের
আশায়
পাইকারী পায় কষ্ট।
কবুতরের খোপের মত
দালান জুড়ে রুম
কত মানুষ এসি
ছাড়া
সেই খোপে দেয়
ঘুম।
গাজীপুরের অক্সিজেন
যদি কিছু যায়
ঢাকাবাসী সে অক্সিজেন
রিলিফ ভেবে খায়।
মানুষগুলো কিপ্টা ভীষণ
দেয় না তাহার
দাম
পয়সা দিয়ে কিনে
তারা
পাপের পঁচা ঘাম।
২১/১০/২০। ৬ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯৫২
দেশে গাধির অভাব নাই
তোমার বুদ্ধির বহর দেখে
আমার খালি হাসি
পায়
চোরের স্বাক্ষীর এতো
গুণ
বাড়ির মালিক ফাঁসি
পায়।
ইস্কুল আছে টিচার নাই
দেশে কোন বিচার
নাই।
ছেলের গালে দাড়ি আছে
তোমার কোন দাড়ি
নাই।
তুমি পরো দশহাত
শাড়ি
ছেলের কেনো শাড়ি
নাই।
এই অবিচার সওয়া যায়?
নাকি কাউকে কওয়া
যায়?
শোনেন শোনেন শ্যামল দাদা
দেখেন নাইতো দুপায়ী গাধা।
টকশো দেখেন, গাধা গাধি
আহাম্মকের দাদা দাদী
তিড়িং বিড়িং লাফায়, কয়
আম্মা কেনো বাবা
নয়
প্রসব ব্যাথা বাবার চাই
এ দাবীতে আপোস
নাই।
আম্মা একা কষ্ট পাবে
বাবা কেনো পাবে
না
মানুষ এসব সইতে
পারে
গাধিরা তা খাবে
না।
প্রশ্ন আছে, জবাব নাই
দেশে গাধীর অভাব
নাই।
এদের বুদ্ধির ঘোলা
জল
দেশটা নিলো রসাতল।
২১/১০/২০। ৬ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯৫৩
রাম বোকা
বাবা।
ভার্সিটি কি মানুষ
ধরে
বানায় বোকা, হাবা?
টকশোতে তাই গিয়ে
ওরা
করে কাবা কাবা?
ওরা নাকি টিচার।
নিজের নামে ড. লেখে-
লেখে বসে ফিচার।
গবেষণার নামে করে
আজব রকম বিচার।
গবেষণায় পাইছে ওরা
শুদ্ধ বলা দোষ।
শুদ্ধ কথা শুনলে
ওদের
বাড়ে কেবল রোষ।
নিজের ভালো ছাড়া কভু
পরের ভালো চাইতে
নাই
নিজের মুখ ছাড়া
কভু
পরের মুখে খাইতে
নাই।
সালাম দিয়ে পরের ভালো
চায় তো কেবল
বোকারা
এখন থেকে আল্লাহ
হাফেজ
বলা ছাড়ো খোকারা।
কে কয় এদের বুদ্ধিজীবী
এরা সবাই রাম
বোকা
এদের কাছে আর যাসনে
এবার একটু থাম
খোকা।
২১/১০/২০। ৯ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯৫৪
মনের খুশি
তোমার যাহা ভালো লাগে তাহাই তুমি করো
ফুল বাগানে জল দাও, নয় প্রজাপতি
ধরো।
মনই তোমার সবচে
আপন এ মনটারে বলো
যে বানালো তোরে
রে মন তাঁর হুকুমে
চলো।
আকাশ বাতাস পাহাড় নদী সবই তাঁহার দান
সব ফেলে তাই
চল রে মন গাই
তাঁহারই গান।
তিনি দিলেন হাসি
আনন্দ তিনিই দিলেন সুখ
ভাসা ভাসা চক্ষু
দিলেন, নাকের পাশেই মুখ।
মুখের মাঝে জিহ্বা দিলেন,টেস্টা দিলেন তারে
টক ঝাল নুন
মিষ্টিটা কি, সে শুধু
বলতে পারে।
এতো সাধের দেহ
দিলেন, দিলেন মধুর মন
সবই আবার তাঁহার
কাছে করবি নিবেদন।
ও মন
তোর যাহা মন ভালো
লাগে তাহাই তুমি করো
ফুল বাগানে জল দাও, নয় প্রজাপতি
ধরো।
২২/১০/২০। ৫ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯৫৫
কী অদ্ভুত! কী অদ্ভুত!
কী অদ্ভুত! কী অদ্ভুত!
সালাম শুনে কান্না
করে
মুসলমানের পুত!
মুসলমানের পুত কোথায়?
ও ব্যাটা তো শ্মশানঘাটের
ভূত।
কী অদ্ভুত! কী অদ্ভুত!
হাউ মাউ কাউ-- খাও
ভার্সিটিতে টিচার হয়
কালা কুত্তার ছাও।
সালাম কালাম দাও
যারা
জঙ্গীর দলে যাও
আল্লাহ হাফেজ বলে
কেন
বিদায় সবাই নাও।
তোমরা কি গো আল্লাহ
হাফেজ
ফিরনি করে খাও?
ব্যাস।
ক্ষেপলো সারা দেশ।
একদিনে সে হয়ে
গেল
শয়তানের দরবেশ।
আহা বেশ বেশ
বেশ।
বলো, আহা বেশ
বেশ বেশ।
জঙ্গী দেখতে গেলাম।
হায় কি দেখতে
পেলাম!
রাষ্ট্রপতি মিষ্টি হেসে
বলছে সালাম, সালাম।
ভারী মজা পালাম।
কী অদ্ভুত! কী অদ্ভুত!
সালাম শুনে কান্না
করে
মুসলমানের পুত!
২২/১০/২০। ৭ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯৫৬
বনমালী
সালাম দিলে সালাম মিলে, গালি দিলে গালি
যা নিতে চাও, দাও
বিলিয়ে ওগোও বনমালি।
পুষ্প রেনু তুমি থরে থরে
যাও বিলিয়ে প্রিয়
ঘরে ঘরে
বিনিময়ে হাজার মনের
নাওগো প্রেমের ডালি।
সালাম দিলে সালাম
মিলে,গালি দিলে গালি।
ফুলের সুবাস তুমি দাও ছড়িয়ে
দান করে যাও
তুমি দুহাত ভরে
ভাঙা হৃদয়গুলো আবার
দাওগো জোড়াতালি।
যা নিতে চাও, দাও
বিলিয়ে ওগোও বনমালি।
ব্যথা দিলে ব্যথা মিলে, সুখ দিলে সুখ
যার জন্য এ ধরনী
আজও রয় উন্মুখ
সে সুখ দিয়ে
দাওনা ভরে বিশ্ব বনমালী।
সালাম দিলে সালাম
মিলে,গালি দিলে গালি।
২২/১০/২০।১১ঃ০০ টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯৫৭
রুমঝুম রুমঝুম
রুমঝুম রুমঝুম রুমঝুম রুমঝুম ঝুম
বিশ্বজুড়ে সালাম দেয়ার
পড়ে গেছে ধুম।
বলো,
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম,
আসসালামু আলাইকুম।
দেখা হলেই বলতে হয়
আসসালামু আলাইকুম।
নামাজ শেষে বলতে
হয়
আসসালামু আলাইকুম।
সালাম হলো হৃদবাগানের
আনন্দ কুমুম।
সালাম হলো বিশ্বজনের সবার কল্যাণ চাওয়া
সালাম হলো স্নিগ্ধ
সমীর ভোরের মিষ্টি হাওয়া
সালাম হলো ভালোবাসার
হৃদয় তাবাসসুম।
সালাম হলো শীত সকালে লেপের নিচে ওম
সালাম হলো কবুতরের
ভোরের বাগবাকুম।
সালাম হলো কল্যাণ
বার্তার আদরমাখা চুম।
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম,
আসসালামু আলাইকুম।
২৪/১০/২০।১০ঃ০০ টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯৫৮
বনপথে হয়েছিল দেখা
কবে যেনো ডেকেছিলো কুহু আর কেকা
বনপথে আমাদের হয়েছিল
দেখা
তুমি ছিলে একা
আমি ছিলাম একা
হঠাৎ তোমাকে দেখে
খাই ভ্যাবাচেকা
কবে যেনো আমাদের
হয়েছিল দেখা?
সেই দেখা হয়ে গেল কুসুম সকাল
সেই দেখা রয়ে
গেল কাল মহাকাল
হেঁটে গেলে তুমি
শুধু একবার চেয়ে
কিছুই বলোনি তুমি
মা হাওয়ার মেয়ে।
আমি কি বলেছি কিছু? তাও বলি নাই
পথ শুধু বলেছিল, আমি
তবে যাই।
পথ হেঁটে চলে
গেল,
দেখলাম চেয়ে
বললে না কিছু
ওগো আদমের মেয়ে।
তুমি ছিলে একা মেয়ে, আমি একাকী
এটুকুই কপালে শুধু, ছিল
লেখা কি?
কিছুই জানি না শুধু, জানে
সেই জন
যার হাতে বাঁধা
থাকে এ জীবন, মন।
২৪/১০/২০। ৬ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯৫৯
মিছিল করো
আপনি একটা গালি খাবেন
মিছিল করবেন রাগে
গালির বদল মিছিল
হলেই
ওদের ভালো লাগে।
গালি দিতে কষ্ট কি ভাই
কয়টা মিনিট লাগে
আপনারাও পারেন রে ভাই
প্লাকার্ড বানান আগে।
ব্যানার বানাও, মিছিল করো
কামের তো নাই
শেষ
তোমরা করো মিটং
মিছিল
আমরা চালাই দেশ।
২৪/১০/২০। ৭ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯৬০
লকডাউনের জ্বালাতে
লকডাউনের জ্বালাতে
ভাত আসে না থালাতে
বলছি কি আর খালা
কবি দেখে মানুষ
সাধে
তাজা ফুলের মালা।
লেখালেখি অনেক ভাল
লেখলে নাকি টাকা
পায়
ডাক্তার সাহেব এক পৃষ্ঠা
লিখে পাঁচশো টাকা
চায়।
দলিল লেখক দলিল লেখে
তারও টাকা গুনতে
হয়
দোকানদারের ফর্দ নাকি
হাজার টাকা শুনতে
হয়।
লিখলে টাকা সবাই পায়
তাবিজ লেখে হুজুরে
কবি লেখক পায়
না টাকা
পায় সম্মান, পুঁজো রে।
কবিতা তো অমূল্যধন
মূল্য তারে দিতে
নাই
গীতিকারকে টাকা দিলে
ইজ্জত কিছু থাকে
ভাই?
২৫/১০/২০। ১ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯৬১
আহা সোনার দেশ
কাজের বুয়ার কথা দাদা
শুনলে জ্বলে গা যে
ভাবছি দাদা এই বুয়াকে
রাখবো না আর কাজে।
আস্ত তেলের বোতল পাইছি
লাগলে খালু নিয়েন
দোকানদারের চাইতে খালু
দুই টাকা কম দিয়েন।
চাউল পাইছি ম্যালা ডি
চাউল বড় ভালা
দেখবেন খালু? কালকে তবে
আনমু নে এক থালা।
কাজের বুয়া বিক্রি করে
আমরা কিনে খাই
এমন সোনার দেশটি
আহা
আরতো কোথাও নাই।
২৫/১০/২০। ২ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯৬২
সালাম দাও
দেখা হলেই সালাম দাও
ঘরে ঢুকতে সালাম
দাও
নবীর শিক্ষা মেনে
নিয়ে
সব মানুষের ভাল
চাও।
মুরুব্বীকে সালাম দাও
টিচারকেও সালাম দাও
আব্বু আম্মু মামা
খালু
সবার যেন দোয়া
পাও।
বন্ধুজনকে সালাম দাও
আপন পরকে সালাম
দাও
সালাম দিয়ে আল্লার
কাছে
সবার জন্য মঙ্গল
চাও।
বারে বারে সালাম দাও
গাছের আঁড়ে সালাম
দাও
সালাম হলো শান্তিবার্তা
অশান্তি সব দূরে
নাও।
২৫/১০/২০। ৬ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯৬৩
তিরিশ টাকার পাপ
রহিমুদ্দির বাপ।
বাজার থেকে আনলো
কিনে
তিরিশ টাকার পাপ।
রহিমুদ্দি কয়
মোটেই ভাল নয়।
হুজুর কইছে পাপ
খারাপ
জাহান্নামে যামু না
মাগনা পেলে আলকাতরা
খাই
পাপ কখনো খামু
না।
রহিমুদ্দি কাঁদে।
পাপগুলো বাপ জলদি
দাও
ফেলে আসি ছাদে।
পাপগুলোরে ধুয়ে নেবে
আষাঢ়িয়া ঢল
মনে রেখো পাপ
ধুইতে
লাগে পূণ্য জল।
বাবা বলে, তাই!
চলরে বাপ জলদি
করে
আমরা ছাদে যাই।
আকাশ জুড়ে মেঘ
উড়ছে
বৃষ্টি এখন নাই।
বাপবেটাতে মিলেমিশে
পাপ ফেলিতে যাই।
এই কথাটা হাটে যাবার
কইতি যদি আগে
তবে কি আর পয়সা
দিয়ে
পাপটা কেনা লাগে?
হায়রে আমার বাপ
আয় দুজনে তওবা
করি
আর করবো না পাপ।
২৬/১০/২০। ৪ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯৬৪
জ্ঞানের বড়াই করো না
জ্ঞান নিয়ে যে বড়াই করো সব কি তুমি জানো?
হাতি কেন খায়
না রাতে লিলি বিস্কিট, ডানো?
মশা কেন সজাগ
থাকে ঘুমায় না কেউ
রাতে?
বলতে পারো ঘোড়া
কেন ঘুমায় না ডান
কাতে?
মৌচাকের সে মধু কেন পিঁপড়ে খেতে যায় না?
সেকি তখন মধুর
ঘ্রাণ মোটেও নাকে পায়
না?
মাথায় যেটা চুল
হয় সেটা মুখে কেন
দাড়ি?
কয় চাদরে কওতো
হয় আস্ত একটা শাড়ি?
আঙুল কাটলে রক্ত পড়ে চুল কাটলে যে পড়ে না
গুলি খেলে মানুষ
মরে,
চুল কি তবে মরে
না?
পীর বুজুর্গ অনেক জানে, সকল হুকুম জানে কি?
খোদার হুকুম যারা
জানে তারা হুকুম মানে
কি?
এমন কতো প্রশ্ন
আছে,
জবাব কারো জানা নেই
খোদার হুকুম না মানলে
জান্নাত কারো পানা নেই।
২৬/১০/২০। ৬ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯৬৫
আইলা ভবে
আইলা ভবে
খাইলা ভবে
যাইবা কবে
শোধবা স্রষ্টার ঋণ
এ পৃথিবীর মহলে
কেউ
রয় না চিরদিন।
স্বাধীন স্বাধীন
তুমি স্বাধীন
থাকবা কয়দিন
এ দুনিয়ায় জানো?
তবে কেনো আল্লাহর
আইনে
তুমি আঘাত হানো?
সবাই যদি
নিরবধি
পাহাড় নদী
রবের হুকুম মানে
তুমিও তবে দরুদ
পড়ো
তোমার রবের শানে।
২৬/১০/২০। ১০ঃ০০
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯৬৬
পিঠ ঠেকেছে দেয়ালে
মটর দানা কটর কটর
কে করে রে পটর
পটর
কিসের এত ফটর
ফটর
মুখ করে দে সিলাই
সামনে দে এক বিলাই।
কিলাই কিলাই কিলাই।
মামা,
খাইছি অনেক কিল
পল্টন, মতিঝিল
দেখছি উড়াল চিল
কার সাথে কার
মিল
শেখের সাথে শীল
শয়তান আজাজিল।
পাইছি অনেক ভয়
যদি গুলি হয়?
হুজুর জেলে রয়
জানাযাটা কে পড়াবে
ঠাকুর মহাশয়?
পিঠ ঠেকেছে দেয়ালে
চলি যে কোন
খেয়ালে!
২৭/১০/২০। ৬ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯৬৭
বেহায়া দুর্দিন
কেউ সুখে নেই, কেউ।
না নদীর পানি, নীল
সায়রের ঢেউ
কেউ সুখে নেই, কেউ।
বদ মানুষের বদ নিঃশ্বাসে
বাতাসও মনমরা
নেটের জ্বালায় বসে
কান্দে
অচেনা ডাকহরকরা।
কেউ সুখে নেই, কেউ।
না নদীর পানি, নীল
সায়রের ঢেউ
কেউ সুখে নেই, কেউ।
মনের দুঃখে বনের পাখি
কান্দে বসে ডালে
ভরা বর্ষায় মৎস
কান্দে
বসে ঘরের চালে।
নিষ্ঠুরতা দেখে কাঁদে
বনের যত পশু
নিষ্ঠুরতা দেখে কাঁদে
সালমা সগীর নসু।
মানুষ আছে মায়া নাই
নাইরে প্রেমের চিন
চারিদিকে হাঁটে শুধু
বেহায়া দুর্দিন।
২৭/১০/২০।১১ঃ০০ টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯৬৮
আমেনা
সময় তো বয়ে যায়
সবকিছু সয়ে যায়
যা হবার হয়ে
যায়
কোনকিছু থামে না
আমেনা।
যে যাবার চলে যায়
কেউ কেউ বলে
যায়
গাছপালা রয়ে যায়
নদীনালা বয়ে যায়
কোনকিছু থামে না
আমেনা।
তুমি আমি চলে যাই
কাউকে কি বলে
যাই
এটা নাই, ওটা নাই
সারাদিন খাই খাই
খাই খাই থামে
না
আমেনা।
একদিন সব ফেলে
দুই হাত পাও
মেলে
ফেলে নিজ বউ ছেলে
কই যায় কেউ
তা জানে না
আমেনা।
এলে শুধু যেতে হয়
ক'জনের মনে রয়
ক'জনেই পায় ভয়
ভয় যদি থাকতো
আল্লাকে ডাকতো
তাও ভয় থাকে
না
আমেনা।
২৭/১০/২০। ৩ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯৬৯
কার জন্য?
নদী নীর বয়ে যায়
যেতে যেতে কয়ে
যায়
ধন্য মানব তুমি
ধন্য
আমি তো তোমার
জন্য।
আকাশের চাঁদ কয়
ওরে নাই, নাই ভয়
কে ঠেকায় তোর
জয়
ধন্য মানব তুমি
ধন্য
আমি তো তোমার
জন্য।
ফুল হেসে হেসে কয়
পাখি ভালবেসে কয়
নাই ওরে নাই
ভয়
সবই তোর জন্য
ধন্য মানব তুমি
ধন্য
আমি তো তোমারই
জন্য।
এ জগতের সবকিছু
পাহাড়ের উঁচু নিছু
বাতাসের ঢেউ
পর নয় কেউ
সকলে আপন
পাল তোলা মন
দারুচিনি বন
সবই তোর জন্য
ধন্য মানব তুমি
ধন্য
আমি তো তোমারই
জন্য।
পৃথিবীর সব যদি মানুষের জন্য
মানুষের জন্ম তবে
কও কার জন্য?
সারাদিন তুমি তার
গুণগান গাও
যা কিছু চাইবার
তার কাছে চাও।
২৭/১০/২০। ৭ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯৭০
বাবা এবার থাম
বাবার ওপর বাবা আছে
মামার ওপর মামা
যারা মামা বেশি
বাড়ছে
তাদের একটু থামা।
দুই দাঁত যখন পড়ে গেছে
ছিঁড়তে পারে জামা
বাহাদুরের পুতে দেখে
নিজের আমলনামা।
কি থেকে যে কী হয়
কারো সর্দি ঘি হয়।
বাবা এবার থাম
ছাড় না পাপের
কাম।
২৭/১০/১০।১১ঃ০০ টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯৭১
আসলে দেশ কাদের?
কাদের।
বলতে পারো
দেশটা এখন কাদের?
দিনে সূর্য রাতের
বেলা
দেশটা কি ভাই
চাঁদের?
কেউ কয় দেশ
জনগণের
কেউ কয় মুজিববাদের।
আসলে দেশ কাদের?
লগি বৈঠায় মানুষ মারে
দেশটা কি ভাই
তাদের?
না কিরে ভাই
সেনা মারে
দেশটা এখন তাদের?
স্বামীর সামনে বউ পিটায়
দেশটা এখন তাদের?
আসলে ভাই
দেশটা এখন কাদের?
নামী দামী চোর যারা
দেশটা এখন তাদের?
নাকি রিজার্ভ ব্যাংক
লুটেরা
দেশটা এখন তাদের?
কাদের।
সত্যি করে কওতো
ভাই
দেশটা এখন কাদের?
মামা যে কয় দেশটা
নাকি
এখন মরণ চাঁদের?
আসলে দেশ কাদের?
২৯/১০/২০। ৫ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯৭২
মরণ কারো ঠেকে না
এই বাহিনী, সেই বাহিনী
রাহিনীর তো অভাব
নাই
আল্লার ওপর ভরসা
করার
তোমার কোনো স্বভাব
নাই।
দেহরক্ষী নাই বলে কি
গরীব ধরায় বাঁচে
না?
নয়া নয়া অস্ত্র
দেখে
তারা কেউতো নাচে
না।
তোমরা করো নাচানাচি
সোনাদানার অভাব নাই
তবু তোমরা মরো
কেনো?
বললে বলো, জবাব নাই।
এতো এতো গোলা বারুদ
সৈন্য তোমায় বাঁচায়
না
দম ফুরাইলে রঙিলা
মন
তোমারে আর নাচায়
না।
রাত দুপুরে গুলি করে
বেতন খাওয়া সৈনিকে।
দেশের মানুষ জানতে
পারে
খবর পড়ে দৈনিকে।
আমায় মারার চিন্তা এবার
বাদ দিলে কি হয় না
মানুষ মারার চিন্তা
শুধু
কেনো করিস ময়না?
২৯/১০/২০।১১ঃ০০ টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯৭৩
ধানের বদল তুষ
নামাজ পড়েন রোযা করেন
দাড়ি রাখছেন সুন্নতি
ভাবছেন মামা এতেই
হবে
পরকালের উন্নতি।
নারে মামা, না
আমার দিকে চা।
নামাজ রোযা দান এবাদত
সবই যাবে ফাও
যদ্দিন মামা পা নাচিয়ে
ঘুষের টাকা খাও।
হারাম টাকায় করলে মামা
নিজের নতুন বাড়ি
এতীমখানায় দান করলে
টাকা কাড়িকাড়ি।
সবই যাবে ফাও
খোদা জানে কোন
টাকাতে
হাজি খেতাব পাও।
দোয়া কালাম তসবি টেপার
আগে ছাড়ো ঘুষ
নইলে দেখবা আমলনামায়
ধানের বদল তুষ।
৩০/১০/২০। ১১ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯৭৪
ভয় পেয়ো না
ভয় পেয়ো না, ভয় পেয়ো না
হায়াত থাকতে মরবা
না
ভাগ্যে থাকলে সরতেই
হবে
যতোই বলো সরবা
না।
ভাগ্যে যদি লেখা থাকে
তুমি হইবা খুনি
তোমার কি আর সাধ্য
আছে
তুমি হইবা গুণী?
ভাগ্যের লেখা না যায় খন্ডন
মরতে কে যায়
প্যারিস লন্ডন?
তবু তাকে মরতে
হয়
তবে কিসের মরার
ভয়?
বন্দুক কামান অস্ত্র সৈন্য
চারিদিকে পাহারায়
তবু নাকি সময়
হলে
নিজের সন্তান মা হারায়।
ভয় পেয়ো না, ভয় পেয়ো না
হায়াত থাকতে মরবা
না
মনের বাঘের ভয়ে
কারো
বুকে বন্দুক ধরবা
না।
৩১/১০/২০। ৩ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯৭৫
আপনার হাবীব সুহাম্মদ
আপনার যিনি হাবীব হন
আমি কি নই তার
উম্মত?
আমার নবী মুহাম্মদ (সা)
আপনার তো হয় প্রেমাষ্পদ।
তাঁরই নামে জিকির
করি
মুহাম্মদ, মুহাম্মদ, মুহাম্মদ।
আপনার তিনি দোস্ত হন
আমার তিনি নেতা
হন।
তাঁর যদি হয় অসম্মান
উম্মতের যে ফাটে
প্রাণ।
আপনি ডাকেন প্রেমাষ্পদ
মুহাম্মদ,মুহাম্মদ,মুহাম্মদ।
উম্মতের যে প্রাণ ফাটে
আপনার প্রাণ কি ফাটে
না
আপনার কেমনে দিন
কাটে
আমার যে দিন
কাটে না।
আপনার যিনি প্রেমাষ্পদ
নবী আমার মুহাম্মদ।
আবরাহারে আপনি যেমন
করেছিলেন তুষ
সেই খেলাটা আবার
দেখান
বাতিলের হোক হুঁশ।
আপনি শুধু বলেন, কুন
জল হয়ে যাক
বস্তার নুন।
মানবতার জন্য তার
বিশ্ব দেখুক কী দরদ।
মুহাম্মদ,মুহাম্মদ,মুহাম্মদ।
৩১/১০/২০। ১১ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯৭৬
অখাদ্য কেউ খেয়ো না
আমার আপন নানা
এবং তিনটা কানা
পুলের ওপর বসে
বসে
খাচ্ছে আজব খানা।
ফাঁকে ফাঁকে তিন কানাতে
গাচ্ছিল খুব গানা
এমন সময় সেই
খানাতে
দিলাম আমি হানা।
নানা বলে, তুই এলি ক্যান
এখন নানা যা না
বড়লোকের কথার মাঝে
ছোটর আসা মানা।
কানা বলে, নানা।
একদেশে এক রাজা
ছিল
সে ছিল দিনকানা।
দিনের বেলা সেই
দেশে
পথে হাঁটা মানা।
রাতের বেলা রান্নাবান্না
রাতের বেলা খানা
তাতে গায়ে রোদ
লাগে না
সবারই তা জানা।
সেই দেশেতে গরু দেখলে
মানুষ তারে কয়
আজব দেশের মানুষরা
সব
গরু ছাগল হয়।
তারারে কয় শাপলা ফুল
শাপলারে কয় তারা
সৈন্য থাকে সোনার
খাটে
রাজা থাকে ভাড়া।
চোর ডাকাত হয় রাজসঙ্গী
রাজাই আসল চোর
দেশবাসীও হারাম খায়
রাজাই হারামখোর।
গল্প বলছে কানা
শোনে আমার নানা।
হাত না ধুয়ে
খাচ্ছে সবাই
বাতাস তাদের খানা।
নানী শুনে কয়
এখানেই তো ভয়।
অখাদ্যরে খাইতে গেলে
কিলও খেতে হয়।
কিল তো আর মিষ্টি হাতের
চিমটি খাওয়া নয়
হাটের কিল ঘাটের
কিল
পিঠে কতো সয়।
সেই দেশে কেউ যেয়ো না
অখাদ্য কেউ খেয়ো
না।
১/১১/২০।৬ঃ০০ টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯৭৭
কেন লিখি
আগে নাকি কবি ছিলাম
এখন লিখি ছাইপাশ
ছড়ার ভূতে ধরছে
সেদিন
যেদিন হইছে বাইপাস।
তাই এখন আর লিখি না
কোন কিছু খাতাতে
এখন লেখা থাকে
না আর
ডাইরীর কোন পাতা
তে।
ঝাপসা চোখে এখন বসে
মোবাইল বাটন টিপি
তাই দেখে না এখন
লেখা
নতুন পুরান সিপি।
আমি লিখি আমার দুঃখে
দুঃখটা কি তুলবেন
মুখে?
১/১১/২০। ২ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯৭৮
আহা, বেশ বেশ বেশ
আহা, বেশ বেশ বেশ।
উন্নয়নের জোয়ারে হায়
ভাসছে সোনার দেশ।
আহা, বেশ বেশ
বেশ।
শুনতে পেলাম মাটির নিচে
আছে তরল গ্যাস।
সে গ্যাস খাচ্ছে
ইন্দুর মিয়া
আরাম করে বেশ।
আহা, বেশ বেশ
বেশ।
উন্নয়নের জোয়ারে হায়
ভাসছে সোনার দেশ।
আহা, বেশ বেশ
বেশ।
তেল গ্যাস আর খনির গুদাম
খেয়ে করছে শেষ
খাইতে নাকি জবর
মজা
রূপালী সন্দেশ।
আহা, বেশ বেশ
বেশ।
উন্নয়নের জোয়ারে হায়
ভাসছে সারা দেশ।
আহা, বেশ বেশ
বেশ।
২/১১/২০। ১ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯৭৯
সিদরাতুল মুনতাহা
ডাকছে পাখি মিষ্টি সুরে-পিউকাহা পিউকাহা
আগে চলো আমরা
যাই সিদরাতুল মুনতাহা।
মুনতাহা, মুনতাহা, আহা, সিদরাতুল মুনতাহা।
সেখান থেকে চলে যাবো আমরা সবাই ইল্লিনে
কাঁদিসনা তুই ওরে
পাপী লাগলে তুইও দিল্লী
নে।
মুনতাহার এ বাগান
জুড়ে অপার শান্তি সুখ
আহা।
মুনতাহা, মুনতাহা, আহা, সিদরাতুল মুনতাহা।
মুনতাহার যে বরই পাতা হাতির কানের মতো
তবেই বুঝো, সে সব গাছের
বরই বড়ো কতো?
সেই কাহিনী কুরআন
পড়ে নতুন করে শোন
আহা
মুনতাহা, মুনতাহা, আহা, সিদরাতুল মুনতাহা।
এ পথে তো তারাই যাবে, জান্নাত পাবে যারা
জাহান্নামে যারাই যাবে
সিজ্জিন পাবে তারা।
সে সিজ্জিনে কষ্ট
কতো কেমন করে কই আহা।
মুনতাহা, মুনতাহা, আহা, সিদরাতুল মুনতাহা।
এসব কথা বড়ো হলে সবই জানতে পারবে
কোরান হাদিস মানবে
যতো সুখও ততো বাড়বে।
মুনতাহার সে স্বপ্নকথা
কেমন করে কই আহা।
২/১১/২০। ২ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯৮০
পিউকাহা পিউকাহা
চোখ গেলরে পাখি বলে পিউকাহা পিউকাহা
চল ছুটে চল কে কে যাবি
সিদরাতুল মুনতাহা।
মুনতাহা, মুনতাহা মুনতাহা, মুনতাহা।
সিদরাতুল মুনতাহা, সিদরাতুল মুনতাহা।
খোদার প্রিয় বান্দা শুধু আসতে পারে এখানে
জালিমজনে জুলুম করে
পায়না জায়গা এখানে।
এখান থেকে মুমিনরা
যায় ইল্লিনে, ইল্লিনে
ইল্লিনে তো জান্নাতি
সুখ পায় সকলে পায়
আহা।
সিদরাতুল মুনতাহাতে চলরে সবাই যাবো
সিদরাতুল মুনতাহাতে গেলেই
জান্নাত পাবো।
মুনতাহা, মুনতাহা, মুনতাহা, মুনতাহা।
সিদরাতুল মুনতাহা, সিদরাতুল মুনতাহা।
চোখ গেলরে পাখি ডাকে পিউকাহা, পিউকাহা
চল ছুটে চল কে কে যাবি
সিদরাতুল মুনতাহা।
মুনতাহা, মুনতাহা মুনতাহা, মুনতাহা।
সিদরাতুল মুনতাহা, সিদরাতুল মুনতাহা।
২/১১/২০। ৯ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯৮১
সাবধান সাবধান
খোলা রাখো চোখ কান
চারদিকে শয়তান।
সাবধান সাবধান
মোনাফিক বেঈমান
পথেঘাটে ঘুরছে
বাতাসেও উড়ছে
সাবধান সাবধান
খোলা রাখো চোখ
কান।
আবেগের বন্যায়
ভাসে মাতা কন্যায়
ভাবে না এ অন্যায়
বেআব্রু দেহ খান
নাকি পুরো মনপ্রাণ
চোখ রাখো খোলা
পানি বড় ঘোলা
চেতনাটা টান টান
ফাও মরে আরফান।
ক্রুসেড তো চলছেই
বিষবৃক্ষ ফলছেই
আগুনওতো জ্বলছেই
মার মার বলছেই
ফাঁকতালে মুসলিম
অহরহ দলছেই
গুজবের বন্যায়
ডুবে মাতা কন্যায়।
সাবধান সাবধান
খোলা রাখো চোখ
কান।
যারে ভাবেন দরবেশ
তিনি কিন্তু পর বেশ
মেয়ে কিন্তু নর বেশ
মিছিলের তালে তালে
দিয়ে যাচ্ছে চড় বেশ।
যারে ভাবেন দরবেশ
তিনি কিন্তু পর বেশ।
মুখোশের আড়ালে
ভীনদেশী চাড়ালে
খায় দেশ ধর্ম
এই তার কর্ম।
সাবধান সাবধান
খোলা রাখো চোখ
কান
চারদিকে শয়তান।
মোনাফিক বেঈমান।
মুখে কয় তাকবীর
মনে কয় কাট
শির
তার চাই রক্ত
ক্ষমতা ও তখত।
সাবধান সাবধান
চারদিকে শয়তান
মোনাফিক বেঈমান
খোলা রাখো চোখ
কান
সাবধান সাবধান
সাবধান সাবধান।
৩/১১/২০। ৪ঃ০০টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯৮২
টিয়া পাখির বিয়া
টিয়া পাখির বিয়া হবে মিয়া বাড়ি যাইয়া
তাইতো টিয়া নাইতে
গেছে কালোজিরা খাইয়া।
মন খুশিতে ভরে
গেছে বিয়ার খবর পাইয়া
বিয়ার বাজার করতে
গেছে মদনপুরের নাইয়া।
বিয়া করতে পালকি লাগবে নয়তো ঘোড়ার গাড়ি
নইলে জামাই কেমনে
যাবে নতুন শ্বশুর বাড়ি।
আরো লাগবে নতুন
বৌয়ের লাল রঙের শাড়ি।
সঙ্গে লাগবে তিরিশ
মণ দই ও মিষ্টির
হাঁড়ি।
টিয়া পাখি বিয়া করবে সঙ্গে যাবে কোকিল
আগে বিয়ার ঘটক
ছিল এখন নাকি উকিল।
সঙ্গে যাবে কাকের
ছা,
রাজি খেয়ে দু কিল।
তাই না দেখে
হাততালি দেয় দুষ্ট মেয়ে
টুকিল।
৩/১১/২০। ৭ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯৮৩
কত রকম পাগল আছে
আঘাত দিলে দে না গায়ে,দিস না আঘাত কলিজায়
কলিজাতে আঘাত দিলে
তা থাকে না দুনিয়ায়।
সে আঘাত তো পৌঁছে
যায় আরশ মহল্লায়।
কত রকম পাগল
আছে ভবের দুনিয়ায়।
পাগলের তো মাথা খারাপ তাই পাগলে গালি দেয়
সেই গালি কি বস্তা
ভরে কেউ কখনো বাড়ি
নেয়।
পাগলের সে গালি
শুনে কার কি বলো
আসে যায়।
আকাশের দিক থুতু মারলে নিজের গায়েই পড়ে
সেই থুতু তো হাপুস
হুপুস পাগলেই খায় ধরে।
পাগলে তো ময়লা
খায় তাতে কার কি আসে
যায়।
আসমানরে কেউ থুতু দিলে নিজের বুকে পড়ে
সেই ময়লা সে চেটে
খায় নিজেই ধরে ধরে
নিজের ময়লা নিজে
খেলে কার কি আসে
যায়।
যার কোন নাই ছবি ভবে, কেমনে ব্যঙ্গ চিত্র হবে
নিজে হাসির খোরাক
হলে কার কি আসে
যায়।
কত রকম পাগল
আছে ভবের দুনিয়ায়।
৪/১১/২০। ১ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯৮৪
শহীদেরা
শহীদেরা আমাদের প্রেরণার বাতিঘর
চিরকাল ছিল, আছে, থাকবে
শহীদেরা ক্ষয়হীন,প্রেরণার জ্যোতিঘর
আল্লাহর পথে লোক
ডাকবে।
অনাদি অনন্ত কাল
ওরা জীবন্ত জীবন
শহীদেরা পৃথিবীতে মৃত্যুহীন
প্রাণ
শহীদেরা গড়ে যায়
স্বপ্নের সুবাসিত বন
সাথে নিয়ে ঘুরে
ওরা জান্নাতি ঘ্রাণ।
কোরানের পথে আসো বলে ওরা ডাকে
ভালো হও, ভালো হও, পথে
পথে হাঁকে
নিরাশার বুকে ওরা
আশা হয়ে আসে
আশাহীন চোখে ওরা
আশা হয়ে ভাসে।
শহীদেরা অবিরাম গেয়ে যায় জীবনের গান
শহীদেরা এঁকে যায়
জান্নাতের স্বপ্ন অফুরান।
৪/১১/২০। ৬ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯৮৫
মাগো তুমি
কুয়াশার কণাগুলো মাগো তোর কান্না
চিকচিক করে যেন
হীরা মোতি পান্না।
শীত আসে পথেঘাটে
বাড়ে দুর্ঘটনা।
গুম খুন হত্যা
নানারূপ রটনা।
পরিযায়ী পাখি যেন রাজপথে নামে
ফয়সালা হয়ে যায়
নানা রঙ খামে।
কিভাবে যে নেতা
বাঁচে, গুলি তার লাগে না
তার মনে কখনো
কি রাগ, ক্রোধ জাগে
না?
গুলি খায় জনগণ, লড়ে পথে ঘাটে
নেতা শুধু কলিকাতা, চৌরঙ্গী
হাঁটে।
রাজা বুঝে রাজনীতি, আমরা
তো বুঝি না
কই থাকে রাজরাণী
ভয়ে তাও খুঁজি না।
সবুজের দেশ তবু লাল হয় বার বার
হিংসুটে মানুষের হিংসুটে
কারবার।
এই দেশে আর মাগো
গুম খুন চাই না
কোরআনের রাজ চাই, তাও
মাগো পাই না।
তুমি তোল দুই হাত আল্লাহর কাছে।
যার কাছে তুমি
বলো সব কিছু আছে।
থাকে যদি তবে
কেন আমাদের দেয় না
এতো দোয়া করি
তবু দোয়া কি সে নেয়
না?
৪/১১/২০। ৯ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯৮৬
ছড়ারাজ
(জাস্ট ছড়া। তথাকথিত
ছড়ারাজ প্রার্থীদের জন্য)।
ছড়া লিখে ধরা খায় আমাদের ছড়ুয়া
ছড়া নাকি লিখে
ভাল সুকুমার বড়ুয়া
কোন ছড়া বেশি
পড়ে বলো দেখি পড়ুয়া
শিশুতোষ, হিবিজিবি, রাজনীতি ঘরোয়া?
সেই ছড়া লিখে আমি হয়ে যাবো ছড়ারাজ
নয়তোবা কবিতারে দেখে
হবো কবিরাজ?
তার চেয়ে বেশি
যদি লিখে ফেলে নূরতাজ?
বলবো,সংখ্যাতে হয়না
কেউ আর ছড়ারাজ।
ছড়ারাজ হতে চাও, শিখে নাও তাল লয় মাত্রা
সেই সাথে শিখে
নাও,
ছন্দের সুনিপুন যাত্রা।
নয় শেখো তেলমারা, তোষামুদী, নানারূপ
ধান্ধা
চাইবার আগে দাও
অতিশয় দরকারী চান্দা।
তুমি পাবে ছড়ারাজ, কবিরাজ, উপাধির বস্তা
ছড়ারাজ হওয়া ভাই
আদতেই অতিশয় সস্তা।
আরো আছে টেকনিক, শোন
মহারাজ
যারা চাও দিয়ে
যাও মোটা খাম আজ।
৫/১১/২০। ৭ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯৮৭
করোনায় কান্না
বুদ্ধির হাটে নাই বুদ্ধির দাম
তার চেয়ে দাও
খাই,
বসে আম, জাম।
সিজনটা মার গেল
করোনার জন্য
বেড়ে গেল ঝোঁপঝাড়, আগাছারা
বন্য।
করোনারা খারাপ আছে,
গরীব বেশী খায়
না
বললাম, বাড়ি কই?
হেসে বলে চায়না।
চায়না তো আমাদের পেয়ারের দেশ
সেধে সেধে খেতে
দেয় প্যারা সন্দেশ।
তবে তুই এদেশ
ছেড়ে চলে যা না বাপ
করোনারা হেসে কয়, ছেড়ে
দে না পাপ।
দেশ ভরা পাপিয়ারা, পাপ তাই যায় না
করোনাও পাজি আছে, তার
এক বায়না
তোর দিকে একবার
মেলে ধর আয়না।
যে দেশে হুজুরেরা জেলখানা থাকে
সেই দেশ আমাদের
বার বার ডাকে।
পাপ করে একজন, ভোগ
করে জাতি
ভাগাভাগি করে পাপ
খায় দিন রাতি।
এ জাতির কপালে
তো আরো দুঃখ আছে
করোনা তো দেখছে সব বসে বট গাছে।
৫/১১/২০। ১ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯৮৮
নবীনবরণ
যেদিকে চাও সেদিক আহা ফুলের ছড়াছড়ি
মন বলে সে ফুলের
ওপর যাইরে গড়াগড়ি।
নানা রকম ফুলে
ফুলে বাগান দেখি ভরা
নতুন ফুলের নতুন
সুবাস কতো হৃদয়হরা।
গোলাপ চাঁপা বকুল বেলী রঙবেরঙের ফুল
উপচে পড়ে উজান
নদীর উল্লাস মুখর কুল।
যেদিক তাকাও সেদিক
আহা ফুলকলিদের মেলা
মাথার ওপর ভাসছে
দেখো হাজার তারার ভেলা।
ডালে ডালে ফুটে আছে হাজার গীতিকার
গান লাগবে? হাত বাড়ান। বলুন কি চাই আর?
থরে থরে বেলাবেলি
ভরবে কাব্য ডালি
আপনি শুধু চুমুক
দিয়ে পাত্র করবেন খালি।
তারায় তারায় প্রতিদিনই মঞ্চ থাকবে ভরা
তরুণতুর্কী নাচবে মঞ্চে, ভাগবে
জীর্ণ জ্বরা।
আসবে নবীন হাসবে
জমিন ফুটবে নতুন ভুল
জীর্ণ পুরান ভেসে
যাবে, ভাঙবে নদীর কুল।
৫/১১/২০। ৮ঃ ০০ টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯৮৯
তেমন মানুষ বানাও
তেমন মানুষ বানাও আল্লাহ যেমন তুমি চাও।
তোমার মনের মতো
মানুষ আমায় করে নাও।
আমার যতো ন্বপ্ন, আশা, ইচ্ছা, আছে
প্রভু
তোমার মতের বাইরে
যেন যায়না ওরা কভু।
তোমার মনের মতো
মানুষ আমায় করে নাও।
তেমন মানুষ বানাও
আল্লাহ যেমন তুমি চাও।
আমি তোমার গোলাম মাওলা, বান্দা গোনাহগার
আমার আবার ইচ্ছা
কিসের আমি যে তোমার
তুমি মাওলা রহমান, রহীম, করুণার
আঁধার।
তোমার হাবীব আমার
নবী,
উম্মত আমি তাঁর।
তোমার মনের মত আমায় গড়ে তুমি নাও
তেমন মানুষ বানাও
আল্লাহ যেমন তুমি চাও।
৬/১১/২০। ৫ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯৯০
আলু খাই
মানুষ যতো বুড়া হয়
বুদ্ধি গুড়া গুড়া
হয়।
কালো চুল হয় সাদা সাদা
নাতিরে কয় সোহাগ
দাদা।
হজম শক্তি কমে যায়
পেটে কথা জমে
যায়।
বেশি বেশি কথা কয়
বলি, দাদা কথা
নয়।
কথা বলা মানা দেশে
দাদা শুনে উঠে
হেসে।
দাদা বলে, শোনো নাতি
দেশে তখন কালরাতি।
নয় মাস পুরা যুদ্ধ হয়
সত্যটা কি চাপা
রয়?
কে দেয় যুদ্ধ ঘোষণা
সবই জানে রোশনা।
কে করেছে লড়াই জানি
কে করেছে বড়াই
জানি।
বুক পেতে কে গুলি খায়
দেশ ছেড়ে কে চলে
যায়।
মুহম্মদ আর বুদ্ধ কি
কে দেখেনি যুদ্ধ
কি?
দেশের মানুষ সব জানে
কে ঘুমাইছে কোনখানে?
বল, যে যুদ্ধ করে নাই
সেকি যুদ্ধের ফরে
ভাই?
আমার কাছে জবাব নাই
আয় না দাদা
আলু খাই।
৭/১১/২০। ৭ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯৯১
ফুল ও প্রজাপতি
হলদে পাখির মিষ্টি ছানা
নীলাকাশের কাজল টানা
আলতা রঙের নতুন
শাড়ি
দাদুর মুখের সফেদ
দাড়ি
কোথায় গেলে পাই
বলতে পারিস ভাই?
না রে ভাই, না রে, না না
এতো কিছু হয়নি
জানা
জানতে আমি চাই
বলনা আমায় ভাই।
প্রজাপতির ডানায় ডানায়
রূপ পাবি রে কানায়
কানায়
এ রূপ যেন
তারেই মানায়
কী অপরূপ রূপ
দিবি নাকি প্রজাপতির
রূপ সাগরে ডু্ব।
প্রজাপতির রঙিন পাখায়
ফুলবনের শাখায় শাখায়
বলতে পারিস কে রঙ মাখায়
সে কী রূপের
ঢেউ
সে রূপ দেখতে
ফুলের বনে
যাবি নাকি কেউ?
ফুলের বনে যাবো
কী আনন্দ পাবো।
চল না তবে ভাই
ফুলের বনে যাই
ফুলের বনে নেচে
নেচে
সুখ আনন্দ পাই।
তাই তাই তাই
প্রজাপতির যিনি মালিক
তাঁর গুণ গান
গাই।
মিষ্টি ফুলের যিনি
মালিক
তাঁর গুণ গান
গাই।
এই অপরূপ রূপের
মালিক
তাঁর গুণ গান
গাই।
তাঁর গুণ গান গাই।
তাঁর গুণ গান
গাই।
তাঁর গুণ গান
গাই।
৭/১১/২০। ৭ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯৯২
কোরান দিয়ে
বান্দরবানের বান্দরগুলো
হঠাৎ দেখি বান্ধা
বললাম ওরে এইদশা
ক্যান
দেসনি পীরের চান্দা?
এক হুজুরে কইছে এসব
সবই পীরের ধান্ধা
বাঘের গল্প শুনে
শুনে
সব হয়েছিস আন্ধা।
পীরের গাড়ি নষ্ট হইলে
বাঘে এসে ঘোড়া
হয়
এমন পীরে সত্যি
কি আর
নিজের জন্য চান্দা
লয়?
সব হুজুরের কেরামতি
হুজুর ছাড়া নাইরে
গতি।
এসব কিছু দেখান
তিনি
যেনো সবার ভক্তি
হয়।
তাই বলেছি, খোদার বান্দা,
চান্দা তোরে দিমু
না
পীর তো হলেন
পীরের পীর
হুমায়ুনের হিমু না।
পীরের কজন খাদেম এসে
বাঁধলো পায়ে দড়ি।
বললো, রূপার দামে
তো আর
হয় না সোনার
ভরি।
আপনি একটা বুদ্ধি দেন তো
এখন কি তা করি?
কোরান হাদিস থাকতে
কেনো
পীরের রাস্তা ধরি?
পড়বি যদি কোরআন পড়
কোরান দিয়ে জীবন
গড়।
৮/১১/২০। ৬ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯৯৩
আল কোরআন
কোরআন জানো কোরআন মানো
কোরআন পড়ো রোজ
কেউ না রাখুক
কোরআন রাখবে
তোমার মনের খোঁজ।
তুমি যদি করো ভালো কাজ
কোরআন বলবে, এইতো তুমি
সেরা সৃষ্টি হয়ে
গেলে আজ।
এভাবেই তো ভালো
তুমি
হবে রে রোজ
রোজ।
মন্দ কিছু করতে গেলে
কোরআন বলবে ভাই
ভাল মানুষ হলে
তাদের
মন্দ করতে নাই।
এভাবেই তো মন্দ
থেকে
বাঁচবে তুমি রোজ।
কোরআন জানো, কোরআন মানো
কোরআন পড়ো ভাই
আল কোরআনের মতো
আপন
বন্ধু তো কেউ
নাই
এই কোরআনই হোক
না তোমার
সঙ্গী প্রতি রোজ।
৯/১১/২০। ৯ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯৯৪
গদী নদী গদি
ছোট্ট একটা গদী।
তার জন্য ষড়যন্ত্র
হয় রে নিরবধি।
তার জন্য মুর্খ
কামায়
নেকীর বদল বদী।
ছোট্ট একটা গদী।
সেই গদীটার জন্য
কেউ
বহায় রক্ত নদী।
ছেলে মারে পিতাকে
সে
সুযোগটা পায় যদি।
তবু তার চাই
ই চাই
সিংহাসনের গদী।
ছোট্ট একটা গদী।
তার জন্য রেশারেশি
হয়রে নিরবধি।
গদী পেলে খাওয়া
যায়
ক্ষমতার দুধ, দধি।
এই আশাতে গদী
টোকায়
রীমা, সীমা, নদী।
একটা ছোট্ট গদী।
সেই গদীটা হায়াত
বাড়ায়
শুনছো অদ্যাবধি?
তবে কেন বাড়াও
তুমি
লোভের পাহাড়, নদী?
এই দুনিয়া শান্তি
পেতো
লোভটা কমতো যদি।
একটা ছোট্ট গদী।
গদী, যদি, নদী।
৯/১১/২০। ৭ঃ০০টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯৯৫
বুলবুলি
বুলবুলি চুল খুলি
কই যাও, কই
আমার জন্য এনো
একটা
ছড়া ছবির বই।
কিনে দেবো তোমায় আমি
বরিশালের দই
সদরঘাট গিয়ে দেখি
কত হই চই।
আর যাবো না সদরঘাট
দেখবো গাঁয়ের সবুজ
মাঠ।
১০/১১/২০। ৮ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯৯৬
উল্টা বুঝি
সবাই বুঝে উল্টা দাদা
ভুলটা সবাই দেখে
নয় দেখে ছয় রে দাদা
মুখে আটা মেখে।
পরীরাণী পেত্নী তো হয়
পেত্নীও হয় পরী
ফুলের মালা গলায়
দিয়ে
ইচ্ছে করে মরি।
যারে দেখি ভাল লাগে
ঘরের মানুষ ছাড়া
এই মন্ত্রে জাগছে
দেশ
শহর গ্রাম পাড়া।
সবাই আছে পঁচা কামে
ভালো কামে নাই
দুগ্ধ বেঁচে আমরা
এখন
মদ্য কিনে খাই।
রাজা থাকে বন্দীশালায়
চোরা চালায় দেশ
সবাই বলো আরো
জোরে
সোনার বাংলাদেশ।
১০/১১/ ২০। ১ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া- ২৯৯৭
কবি পাগল
কবিরা সব পাগল হয়
আজব গুজব কথা
কয়
কবিরা সব গপ্পোবাজ
চাপা মারাই তাদের
কাজ।
সোনার তরী ধান কাটে?
কবি থাকে কোন
খাটে?
সোনার তরী যায় না জলে
কবির মাথায় থাকে
কবির মাথায় তরী
থাকলে
বিশ্বকবি ডাকে।
মধুমতি নদীর কথা
যদি কবি কয়
সে শহরে বাস
করেও
পল্লী কবি হয়।
ভগবান রে লাথি দিয়ে
বিদ্রোহী হয় কবি
পাগল ছাড়া কে আঁকে
এমন আজব ছবি?
চাঁদটাকে ভাই রুটি করে
কবি হওয়া যায়
সাগর জলে বসে
কবি
চড়ৃই ভাজা খায়।
খড়কুটোতে পাখির বাসায়
বনলতা সেন
কেমন করে কাজলদিঘী
চক্ষু ঢেলে দেন?
কবি মানেই পাগল, বুঝলা
কবি মানেই স্বপ্নবাজ
কবি জাগায় স্বপ্ন
দাদা
তাইতো তুমি আছো
আজ।
কবি বোনে স্বপ্ন মনে
তাইতো তুমি বাঁচো
কবি পাগল বলে
বলে
মজা করে নাচো।
মনে করো পাগল নাই
কলাই ক্ষেতে ছাগল
নাই।
১১/১১/২০। ৫ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯৯৮
স্বপ্নযাত্রা
স্বপ্ন রে বলি ভাই
চল আরো দূরে
যাই
মেঘ হয়ে ওড়ে
যাই
রাজবাড়ি ঘুরে যাই।
আকাশটা ভেদ করে
যেতে হবে আরো
দূরে
আরশের কিনারে
স্বপ্নের মিনারে।
বোররাক চড়ে যাই
হক পথে লড়ে
যাই
দুনিয়াটা গড়ে যাই
ছায়া সুনিবিড়
শান্তির নীড়।
১১/১১/২০। ৮ঃ০০
টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৯৯৯
একদিন
একদিন
আমিও মানুষ ছিলাম।
গাছে চড়তাম
পাখি ধরতাম
খেলা করতাম
বই পড়তাম
কতো।
আজ সে মানুষের
হৃদয়টা ক্ষতবিক্ষত।
আমি হাসতাম
কাছে আসতাম
ভালোবাসতাম
কতো।
আজ সে মানুষের
চলছে ক্ষরণ যতো।
ফুল হাসতো
দিদা কাশতো
বারো মাসতো
মামা আসতো
আলু খাসতো
বাড়ি যাসতো
বলতো
সেই মানুষ কি
আজকের মতো
টলতো?
হৃদয়ানলে জ্বলতো?
একদিন
আমিও মানুষ ছিলাম।
আজ পশুদের প্রেম
দেখে এই
পোড়া চোখ পুড়ে
দিলাম।
১২/১১/
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩০০০
আমরা স্বাধীন
মাছ কিনতে যায় মাছুম খান
কিনে আনে মুরগীর
রান
এনে বলে আলু
খান
বুঝলি কিছু মানিক
চান?
তাও বুঝিসনি? শোন তবে
বর্ষা এলে এই ভবে
চুমুক দিয়ে জল খাবি
গায়ে অনেক বল পাবি।
হা করে কি দেখছিস তুই
এ দেশ হলো
স্বাধীন ভুঁই।
স্বাধীন মানে স্বাধীন তুই
কারো কথা শুনবি
না
কে কয় ওরে
পল্টন মোড়ে
ধানের চারা বুনবি
না।
মতিঝিলে ঝিল নাই বলে
শাপলা কিরে হয় নাই
মানুষ দেখলে মারবি
গুলি
মানুষ মারলে ভয় নাই।
স্বাধীন মানে নিয়ম কানুন
শরবত করে চুমুক
দাও
স্বাধীন মানে ইচ্ছে
হলে
বঙ্গভবন দখল নাও।
বুঝলি এবার কিছু?
গুন্ডা দেখলে নেতা
কবি
ঘুরবি তাদের পিছু।
১২/১১/২০। ১ঃ০০
টা।
No comments