আসাদ বিন হাফিজ এর ১০০ ছড়াঃ ২১০১-২২০০

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১০১

হাবিজাবি কাবিখা

হাবিজাবি কাবিখা

ঘুমের দেশে যাবি, যা

 

নাতি ঘুমায়,জাতি ঘুমায়

ঘুমায় মায়ের কন্যা

কোথায় গেল মিটিং মিছিল

আবেগের সে বন্যা

 

ভালই আছে কুটি কাকা

বালিশ ভরা কোটি টাকা

চোর বাটপারে ভরা দেশ

টানবাজারে বাংলাদেশ

 

ভাইরে ভাই গেছিনো

এবার এলো ক্যাসিনো

টাকায় ভরা নেতার বাড়ি

সঙ্গে থাকে শতেক নারী

 

টাকার ঝলক দেখাইলো

নষ্ট হইতে শেখাইলো

দেশের মানুষ নেশা খায়

সোনা, টাকা কোথায় যায়?

 

নাতি ঘুমায়,জাতি ঘুমায়

ঘুমায় মায়ের কন্যা

কার খেলা যে কে খেলে

এবার বুঝে লন না!

২৫//২০১৯; রাত ১০টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১০২

মাগো মা

মাগো মা, জাগো মা

পোলা ঘুমায় ডাকো মা

একটু জোরে হাঁকো মা

দরকার হলে রাগো মা

ঘরে যারা ঘুমাও, শোন

জলদি সবাই জাগো না

 

আঁধার ঘরে হাঁটছে চোর

কখন হবে রাত্রি ভোর

তার অপেক্ষায় বসে থাকলে

উজাড় হবে দেশ

দেরী করলে জেগে দেখবা

তোমার সবই শেষ

 

জাগো জাগো জাগো মা

ভয় না পেয়ে রাগো মা

চোরের হাতে হাতিয়ার?

নাইরে বেশী রাতি আর

সবাই যদি করো তাড়া

চোররা হবে দিশেহারা

বাঁচবে বাংলাদেশ

২৬ //২০১৯; ভোর ৫টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১০৩

মা আপনাকে ভালবাসে

মা আপনাকে ভালবাসে,

আপনিওতো বাসেন

আপনাকে কেউ হাসি দিলে

আপনিওতো হাসেন

 

মায়ের কাছে আপনিও চান

এটা ওটা কারণ

সাধ্য থাকলে ওটা দিতে

মা করেন না বারণ

 

যার কাছে যা পাবেন ভাবেন

তার কাছে তা চান

কৃতজ্ঞ হন তারই কাছে

যখন সেটা পান

 

আপনার কোন বিপদ এলে

যিনি করেন পার

সত্যি বলেন, আপনি তখন

শোকর করেন তার?

 

ভালবাসার বিনিময়ে

ভালবাসা দেন

আদর করে দিলে কিছু

হাত পেতে তা নেন

 

এবার বলেন, যিনি করলেন

আপনার দেহ দান

তার কথা কি মনে থাকে?

নাকি ভুলে যান?

 

বিনি পয়সায় যিনি আপনায়

আলো বাতাস দেন

তাঁর হুকুমের খবর আপনি

কোন দিন কি নেন?

 

যার দয়াতে বাঁচেন আপনি

যার দয়াতে খান

কেমন করে তারে আপনি

নিজেই ভুলে যান?

২৬//২০১৯; ৪টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১০৪

জামায়াত শিবির ফাঁসি দিয়া

জামাত শিবির ফাঁসি দিয়া

হাসি ফুটলো মুখে

সাজু বিবি জেলে দিয়া

ভাসলাম এবার সুখে

 

ম্যারাডোনা পইড়া গেছে

লালকার্ড দেখছে চোখে

আমি নতুন শক্তি পেলাম

সাহস এলো বুকে

 

ছোট ছোট পুঁচকে দল

গেঁড়ে দিলাম মাটিরতল

বুঝলাম, খেলা এন্ডিংএ

নামলাম এবার ল্যান্ডিংএ

 

খুঁদ কুড়াতে পুষলাম যাদের

নিতে হবে খবর তাদের

ক্যাসিনোতে দিলাম হানা

ধরা পড়লো তিনটা কানা

 

একে একে খাইলাম আমি

সকল পাখির ছাও

এখনো প্রাণ যায়নি কার?

একটু করো রাও

২৬//২০১৯

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১০৫

ফাইসা গেছি তাই দেইখা

ফাইসা গেছি তাই দেইখা

আর হাইসেন না, ভাইবেন

আমি এখন ধরা খাইছি,

আপনি বাকী? খাইবেন

 

জমে গেছে জলের খেলা

কমে গেছে মাছ

আগে পড়ছে চুনোপুটি

এখন বটের গাছ

 

জামাত নেতার হইছে ফাঁসি

আমার মুখে ছিল হাসি

জমেছিল রঙ্গ রাশি

হেসেছিল বঙ্গবাসী

 

ভেবেছিল এখানেই

হবে খেলা শেষ

আরো খেলা বাকী ছিল

বুঝে নাইতো দেশ

 

দেশনেত্রী জেলে যাবে

ভেবেছিল কেউ?

খেলা হইল এমন দেখি

জেলে গেল সেও

 

বঙ্গবন্ধু মারা গেছে

টু শব্দ কেউ করে নাই

জেলে গেছে দেশনেত্রী

জনগণ তাও লড়ে নাই

 

বাঙালি কি জাতের বীর

বুঝতে কিছু বাকী নাই

আগে ছিল পাঞ্জাবীরা

এখন ওসব খাকি নাই

 

কেউতো পথে নামে নাই

পাবলিক মরার কামে নাই

টাকা ছিল খামে ভরা

এখন ওসব খামে নাই

 

টাকা আইলো হাতে হাতে

জমলো ফুর্তি দিনে রাতে

ভাবলাম আমরাই দেশের রাজা

পাপ করলে কে দেবে সাজা?

আমরা থামি নাই

এখন দেখি পুরাণ কামে

আমরাই ধরা খাই

 

শোন শোন দেশবাসী ভাই

সময় বেশি বাকীতো নাই

তুমিও ধরা খাইবা

ধরা খাওয়া কি যে মজার

টেরটা তখন পাইবা

২৬//২০১৯; রাত ১০টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১০৬

দেশ যায় রসাতলে

দেশ যায় রসাতলে

রস যায় কই?

রস খায় মুড়ি মেখে

পাড়ার সই

 

এই নিয়ে কবিরা

করে হইচই

ফেবুতেই তারা দেখি

ঘুরে পইপই

 

কবিদের চিল্লানি

কারো গায়ে লাগে না

কারণে ঘুম ভেঙে

মামা চাচা জাগে না

 

রস খায় কস খায়

বশ করে মন

কে আবার? জানো না

সিধু মহাজন

২৭//২০১৯; রাত ৩টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১০৭

আমলারা আম খায়

আমলারা আম খায়

কামলারা কাম

শুধু শুধু বামদের

হয় বদনাম

 

ওরা যায় গাছতলা

খায় আগাপাছতলা

মলা মাছ ডলা খায়

ওরা ডলা খায় না

 

ওরা শুধু ফল খায়

আর কিছু চায় না

এটুকুই আবদার

আর নাই বায়না

 

মাস শেষে ওরা পায়

তিন টাকা মায়না

বাঁশতলা বেলতলা

ওবা মোটে যায় না

 

মাঝে মাঝে ভাব করে

যেনো তারা রাগ করে

আসলে তা রাগ না

যতো কিছু পায় ওরা

পেতে চায় মাগনা

 

বামরাই ধামরাই

চলে যেতে চায়

যদি তারা ঠিকমত

খানাদানা পায়

২৭//২০১৯; ভোর ৫টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১০৮

জামাত যখন ডলা খায়

জামাত যখন ডলা খায়

শরীক তখন কলা খায়

নায়ের মাঝি নৌকা বায়

সুজন বন্ধুর বাড়ি যায়

ফাঁক তালে হয় ফাঁসি

জামাত কিসসা বাসি

 

নতুন খেলা শুরু হয়

বলে, গুরু লাগে ভয়

তখন বাতাস ঘুরে যায়

মাঝি নতুন সাহস পায়

 

মাঠে নতুন খেলোয়াড়

শাড়ি এবং সেলোয়ার

কেউ সে খেলা খেলে যায়

কেউ আপসে জেলে যায়

 

দেশজনতা ঘাস কি খায়?

সবাই তখন টাসকি খায়

ভাবে, এবার ছুটবে ঝড়

ঝড়ে ভাঙবে তাসের ঘর

 

কিন্তু না, গণবন্যা আসে না

জোয়ারে কেউ ভাসে না

জেলবন্দী কেউ হাসে না

পাড়া পড়শিও কাশে না

 

ভাবি, এবার খেলা শেষ

ঠান্ডা হবে বাংলাদেশ

কিন্তু খেলা হয়নি শেষ

নয়া খেলায় মাতে দেশ

 

দেশে এখন শিবির নাই

মারা গেছে বিবির ভাই

খেলায় আমি জিতে গেছি

কোথায় লাগে ডোনা মেসি?

 

নিজকে ভাবে রাজা সে

মণকে মণ খায় গাঁজা সে

টাকার কোন অভাব নাই

ভালো কোন স্বভাব নাই

 

হঠাৎ একি আইলো ঝড়

কে ভাঙেরে নিয়ন ঘর?

রাজার ঘরেও হানা দেয়

বস্তা বোঝাই টাকা নেয়!

 

আমি হলাম রাজা মশাই

কে কয় আমি ঘরজামাই?

চোরের দেশে চোরের রাজা

কে আমারে দেবে সাজা?

 

দেশটার যদি উন্নতি হয়

তবে জুয়া ক্যাসিনো কয়

নেতার কাছে টাকা সস্তা

ঘরেই থাকবে বস্তা বস্তা

 

কিন্তু যখন ডলা খায়

তখন জুতার তলা খায়

বাকী থাকে ভেড়ার দল

স্বাধীনতা-- চাইবি, বল?

২৭//২০১৯; বিকাল ৫টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১০৯

ক্যাশ যায় ক্যাসিনোতে

ক্যাশ যায় ক্যাসিনোতে

দেশ যায় কই?

দেশ যায় রসাতলে

নাই হইচই

 

হইচই করে যারা

তারা সব গেছে মারা

সুনসান পুরা পাড়া

চুপ করে রই

বুকে আছে কত জ্বালা

সব জ্বালা সই

 

ঘুনপোকা দেশ খায়

চুপচাপ কেশ খায়

খাসি আর মেষ খায়

তলে তলে গ্যাস খায়

 

খেতে নাকি মানা নাই

কারণ কি জানা নাই

 

বিল্লিকে দিলে লাই

দুধভাত খাইবেই

যত দাও তত সে

আরো খেতে চাইবেই

 

বুঝেশুনে দিতে হয়

বিনিময় নিতে হয়

থেকে ফিতে হয়

সকলেই জানে

 

দালালেরা চিরকাল

কম শোনে কানে

তারা শুধু গোলামীর

সুখটুকু জানে

২৭//২০১৯; রাত ৯টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১১০

নানীর বানী ডোবের পানি

নানীর বানী ডাবের পানি, মাগুর মাছের ঝোল

সবাই জানে পৃথিবী ডিমের মতো গোল

 

আমরা দেখি খাতার মতো

কিম্বা বইয়ের পাতার মতো

ধরার একটা পিঠ

চোখের সামনে পড়ে যেটুক

সেটুক দেখি নীট

 

কেমন করে গোল হয় এটা, কেমন করে ঘোরে

আমরা কি কেউ টের পাই তা, বলতে পারিস ওরে

 

মাথার ওপর ছাতার মতো

আকাশ উপুড় করা

গোল আকাশের নিচে ঘুমায়

সবুজ বসুন্ধরা

 

তুলোর মতো কেমন করে মেঘের বরফ ওড়ে

পাহাড় সমান বরফ সবই মাথার উপর ঘোরে

বৃষ্টি হয়ে নেমে আসে পাহাড় সমান মেঘ

মিষ্টি মধুর ঝুমুর ঝুমুর কী চমৎকার দ্যাখ

 

আমার খোদার লীলা দেখে ভোলরে মনের দুখ

দুহাত দিয়ে নে লুটে নে, জীবনের সব সুখ

২৮//২০১৯; ১০টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১১১

ভূতো রে

ভূত ভূত ভূত   ভূতো রে

ভূত কি দেয়    গুতো রে

নাতবৌ আর    পুতো রে

একচোখ কানা লুতো রে?

 

ভূত ভূত ভূত   ভূতো রে

হেঁটে হেঁটে পার হয় নদী

পরে যাদুর জুতো রে

 

রাত নিশিতে পাইলে পথে

দেয় নাকি কুত  কুতো রে

ছোট শিশু মেরে ফেলে

পাইলে কোন ছুঁতো রে?

 

ভূত ভূত ভূত  ভূতো রে

তুইতো বড় আজব, ঢুকাস

কানে চিকন সুতো রে

যাবি নাকি শিমুলতলী

দেখতে নয়া পুতো রে?

ভূতো রে

২৮//২০১৯; ৫টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১১২

কোন অঙ্গে যে মলম দেবো

কোন অঙ্গে যে মলম দেবো

সারা অঙ্গে ঘা

পায়ের থেকে মাথা অব্দি

একটু ফিরা চা

 

জঙ্গী বলে হুজুর ধরলাম

চুরি করায় নারী

শাপলাচত্বর দেখিয়ে দিলাম

পারি কিনা পারি

 

ধর্ষক ধরলাম, ধর্ষক ছাড়লাম

কাড়লাম কত প্রাণ

গাইলাম কত মজার মজার

গণতন্ত্রের গান

 

বিচারকরে বিদেশ দিলাম

ফেয়ার কোনটা হইছে?

ক্যাসিনোতে জুয়ার আসর

প্রতিদিনই বইছে

 

সবাই আমায় আপন ভাবে

একটু হাসি চায়

আমিও দেই একটু সুযোগ

যেন সবাই খায়

 

খাইতে খাইতে পুরা জাতি

এখন দেখি টাল

এবার খেলবো ফাইনাল খেলা

দেখবে মহাকাল

২৮//২০১৯; ৮টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১১৩

বখরা

ক্যাসিনোর টাকা কন, ভাগে কে কে পান নাই

পুলিশের বড়কর্তা, আপনি টাকা খান নাই?

 

আমলা সাব গামলা ভরা টাকা আপনি লন নাই

তখন দেখি একবারও, লাগবো না তা কন নাই

 

আতি নেতা, পাতি নেতা, মন্ত্রী, এমপি সব্বাই

বলতেন হেসে লোক পাঠাই, দিয়া দিয়েন রব ভাই

 

তিন পয়সার সাংবাদিক, এরা বড় সাংঘাতিক

টাকা নিয়া কয় পাঠান নানরুটি তিনটা শিক

 

হুজুর তো কয়, মিয়া সাব, ছোট মেয়ের বিয়া সাব

বিয়া তো আর বিয়া না স্যার, মস্ত বড় অভিশাপ

 

বলতাম হুজুর ভাইবেন না, আল্লা নবী আছে

সময়মত পৌঁছে যাবে টাকা আপনার কাছে

 

জুয়ার টাকা সবে খান, দোষ কি শুধু আমার?

আমার পেট আমি ভরি, মামায় ভরে মামার

 

আমি একা জেলে যাবো, আপনাদেরকে ফেলে!

কবে ছিলাম আমি এমন, নিমকহারাম ছেলে?

 

আমি একা ডলা খাবো, আপনি খাবেন কলা

কেন মামা? মাখা ভাত, নেন না নিজের নলা

 

যারা যারা বখরা নিছেন, নখরা করেন ক্যান

সময় থাকতে নিজের হিসাব নিজে বুঝে নেন

২৯//২০১৯; ৭টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১১৪

মামা

তিন টাকাতে যেই কিনলাম

নতুন একটা জামা

শুনে হঠাৎ উঠলো ক্ষেপে

বিল পাড়ের গামা

 

বলল, ওরে হতচ্ছড়া

বাজে গপ্পো থামা

উন্নয়নের রাজা শুনলে

জীবন করবে তামা

 

বালিশ হলো হাজার টাকা

লাখ টাকাতে পর্দা

হাটে নাকি ঢোল দিচ্ছে

শুনে এলেন বড়দা

 

বই যে বড় অমল্য ধন

পড়িসনি তুই নিজে?

মানুষ শুধু বৃষ্টিতে নয়

রোদেও কিন্তু ভিজে

 

বড় কাজের বড় সাহস

লাগে বড় মন

নয়কি কেউ গিফট দেয়

ইলিশ পাঁচশ টন?

 

বিনিময় পায় সাথে সাথে

পিঁয়াজ আসা বন্ধ

বিনিময়টা কেমন হলো?

ভালো নাকি মন্দ?

৩০//২০১৯; ৮টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১১৫

সাহানা গো সাহানা

কত করবি বাহানা?

ভাবছিস কিছু বুঝি না?

আমার নামও রোজিনা

 

ছাগল কোথা, খুঁজতে যাস?

নাকি মজা লুটতে যাস?

কেন আসে জলিলে

রাগিস কেন বলিলে?

 

আজকে আসবে মধু খেতে

কালকে দেখবি, নাই

কার কাছে কও জমা থাকে

টাকা, আনা, পাই?

 

সবাই আসে চলে যায়

বরফ থাকলে গলে যায়

কেউ কি কিছু বলে যায়?

কান্দে শুধু আপন মায়

 

যার কাছ থেকে আসলি ভবে

তার কাছেই তো ফিরতে হবে

কিসের তবে দেমাগ তোর

শেষ ঠিকানা আঁধার গোর

/১০/২০১৯; রাত ৮টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১১৬

মায়ের চেয়ে মাসির দরদ

মাসির চেয়ে মাছির

শাস্ত্রকথা শুনেই গেলাম

হয়নি তবু তাছির

 

আপনজনকে পর করেছি

পর করেছি আপন

ইচ্ছেমত ঘর করেছি

রাত করেছি যাপন

 

আপন পরের ভেদ বুঝিনি

জেদ করেছি শুধু

এখন দেখি জীবনখানা

শূন্য মরু ধু ধু

 

যে দিনটি চলে গেল

আসবে না সে আর

সে কথাটিই এখন মনে

জাগছে বারংবার

/১০/২০১৯; ২টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১১৭

কেউতো বসে থাকে না ভাই

জগৎ সংসারে

ছড়াকারে ছড়া গড়ে,

পড়াকারে পড়ে

 

যে মরার সে মরে যায

যে গড়ার সে গড়ে যায়

যে লড়ার সে লড়ে যায়

ধরার যে জন ধরে

বাতাস বইছে বুঝবি যদি

গাছের পাতা নড়ে

 

ঝড়ের আগে বাতাস কেমন

থমকে যায়

ধ্যানে থাকলে হঠাৎ মানুষ

চমকে যায়

 

এই চমক তো ভয় না

সব বিজয়ই জয় না

 

জয় মানে তো সামনে আছে

আবার পরাজয়

পরাজয়ের উল্টো পিঠেই

বসে থাকে জয়

/১০/২০১৯; রাত ৯টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১১৮

বাঙালি কয় স্বাধীনতা দে

আমি বলি দিচ্ছু

বাঙালি কয় দিচ্ছু মানে?

বুঝিনা ওসব কিচ্ছু

 

বেঁটে খাটো ছোট মানুষ

কিন্তু সেকি বিচ্ছু!

রাগ উঠলে কামড়ে ধরে

বুঝে না আর কিচ্ছু

 

প্রাণের যদি থাকে ভয়

তয় পালিয়ে বাঁচতে হয়

 

খাইতে বললে খায় না সে

নাইতে বললে নায় না

তার মত সে হেঁটে বেড়ায়

অন্য কিছু চায় না

 

স্বাধীনতা জমা করে

পাঞ্জাবীদের তাড়িয়ে

বিচ্ছুর কামড় কে খেতে চায়

নিজের দুহাত বাড়িয়ে?

 

বাঙালি এমন জাত

সহজে সে খায় না শুনি

পরের মাখা ভাত

 

বাপ ভাইকে ছাড়ে না সে

পাপের শাস্তি হয়

এই জাতিকে হারানোটা

অত সোজা নয়

/১০/২০১৯; ৬টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১১৯

উপরে চলে সম্রাট নাটক

নিচে ফেনী নদী

এই না হলে টিকে না ভাই

ডাকাতিয়া গদী

 

সম্রাট আমার কত প্রিয়

সম্রাট জানের জান

সাধে কি আর করি আমি

তারে অপমান

 

আমি আছি বেকায়দাতে

বুঝতে তুমি পারো না?

সময় থাকতে ঘরের ইঁদুর

তবে কেনো মারো না

 

হুজুর গেছে পয়লা চোটে

তারপর গেছে রাণী

এখন যা যা ঘটছে দেশে

নাইরে বুকে পানি

 

আমার পাপে আমি মরবো

তোমার পাপে তুমি

চেষ্টা করে দেখতে পারো

বাঁচে কিনা ভূমি

 

আগে মারছি ভাইবেরাদর

যার হুকুমে হায়

তলে তলে সেইতো দেখি

আমার মরণ চায়

 

আমার হাত-পা কাটছে এখন

আমার পুরাণ গুরু

ক্যাসিনো সম্রাট দিয়া

হইছে খেলা শুরু

/১০/২০১৯; ৮টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১২০

দেশে কোনো বিষ্টি নাই

বীর শহীদের লিস্টি নাই

লিস্টির কোনো বাজেট নাই

লিস্টির টাকা কোথায় পাই?

 

আজব দেশে গুজব আছে

ইলিশ থাকে কাঁঠাল গাছে

গোয়াল ভরা বোয়াল মাছে

রাত্রি ভরা জোয়ান লাশে

 

মুক্তি হইলে রাজাকার

টাকার অভাব হইতো কার?

রাজাকাররা মাগনা খায়

মাগনা শোয়ার জায়গা পায়

 

নিরাপত্তায় পুলিশ পায়

গল্প করে দিন কাটায়

আজব দেশে গুজব ভাসে

তবলা বাজায় সর্বনাশে

 

কচি পাতা নড়ে চড়ে।

বোকা থাকে আপন ঘরে

বুদ্ধিমানরা জেলে যায়

বসে বসে মাগনা খায়

 

গাছ নাড়ালে মাছ পড়ে

চালাকে যায় লাশ ঘরে

ইলিশ যদি দিল্লি যায়

তারে নাকি বিল্লি খায়

 

গুজবের তো শেষ নাই

আইনে কারো দেশ নাই

জিয়া জলিল রাজাকার

হয়নি বলো সাজা কার?

 

সত্য বললে মরতে হয়

ফান্দে  শুধু পড়তে হয়

বেশি করে মিছা কও

বড় বড় নেতা হও

 

বন্দী করে ফন্দিবাজ

ফন্দিবাজের হয় না লাজ

মানুষ মারলে পূণ্য হয়

দেশটা মেধা শূন্য হয়

 

হায়রে আমার আজব দেশ

শুভংকরের বাংলাদেশ

খুনী বসে চুরুট খায়

তিরিশ টাকা বকশিশ পায়

/১০/২০১৯; ১১টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১২১

বুঝলে হে আনোয়ার?

জান নেয় জানোয়ার

ফর্মুলা সোজা

শুরু করো এইবার জানোয়ার খোঁজা

 

দুই, চার, ছয় পাও - হতে পারে ভিন্ন

সকলের গায়ে পাবে জানোয়ার চিহ্ন

মানুষের বুকে থাকে মমতা

জানোয়ার সাথে রাখে ক্ষমতা

 

যারা মারে পিটিয়ে

তার দেনা সহসাই দিতে হয় মিটিয়ে

 

চাপাতির কোপ দেয় যারাa

তার দেনা শোধ মানে, রইবে না খাঁড়া

সেও যাবে পরপারে

যাতে করে আর সে কোপ দিতে না পারে

 

যারা করে খুন

তারে নাকি দিতে হয় কাটা ঘায়ে নুন

মরে গেলে সাথী হয় দোজখী আগুন

 

মানুষকে করে যারা হত্যা

তার দেহে বয়ে যায় পশুদের স্বত্তা

যদিও দেখতে সে মানব

আসলে ওরাই হলো জঘন্য দানব

 

শোন হে আনোয়ার

এইসব জঘন্য দানব জানোয়ার

ঘৃণাতে ওদের কিছু হয় না

মানুষতো তারে কয়, যে এসব সয় না

যার যার ঋণ দেয় মিটিয়ে

হোক সেটা খুন বা মারা হোক পিটিয়ে

 

সাহসের অভাবে যে সয়ে যায় অন্যায়

সেও আর বাঁচে না, ভেসে যায় বন্যায়

/১০/২০১৯; ১০টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১২২

ভাইরে--

চলে গেছে আবরার

বলে গেছে বারবার

ভাইরে---

তোরা থাক আজ পথে

সব্বাই রাজপথে

আমি চলে যাইরে

ভাইরে

 

চিরকাল দিতে হয় রক্ত

রক্তেই ভেসে যায় জালিমের তখত

খুনরাঙা পথে আসে মুক্তি

মুক্তির সাথে তাই হোক নব চুক্তি

ভাইরে

মুক্তির আর পথ নাইরে

 

চলে গেছে আবরার

বলে গেছে বার বার

ভাইরে---

এইভাবে কেউ কেউ রয়ে যায়

কেউ কেউ এভাবেই ইতিহাস হয়ে যায়

সকলেই মারা যায়, তার ক্ষয় নাইরে

ভাইরে

 

আবরার বলে যায়

আয় সবে ছুটে আয়

রাজপথ জনতার

নাই ভয় নাইরে

ভাইরে

মিলেমিশে আয় সবে

মুক্তির গান শুধু গাইরে

রাজপথে দলে দলে ছুটে আজ

যাইরে

ভাইরে

/১০/২০১৯; ১১টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১২৩

মাথা ব্যথা

মাথা ব্যথা? চিন্তা নাই,

ব্যথা সেরে যাবে

মাথায় যে একটি বার

খড়গের কোপ খাবে

 

মাথাও নাই, ব্যথাও নাই

দাওয়াই আমার মন্দ না

হিসাব কি কঠিন খুব?

কি বলিস তুই চন্দনা?

 

ছাত্ররা করবে লেখাপড়া

রাজনীতি করার কাম কি

যদু মধু রাজনীতি বুঝে?

রাজনীতি বুঝে শাম কি?

 

রাজনীতি তো রাজার কাজ

সবাই তল্পী গুটাও আজ

নিজের কাজে মন দাও

পশুর জন্য বন দাও

 

কিসের মিছিল কানাকানি

খাও তো খালি দানাপানি

তোমরা করো হানাহানি

রাজ্য চালায় রাজা রাণী

১৫/১০/২০১৯; রাত ১২:০৫ মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১২৪

হায়রে কি দুনিয়া!

আগে যারা মানুষ ছিল

এখন তারা খুনিয়া

 

ছেলে মরে মায়ের হাতে

ছেলেও যায় অধপাতে

বাপের শিকার মেয়ে হয়

কারা এদের মানুষ কয়?

 

পড়তে গেলে দাস না হলে

লাশ হয়ে যায় ছাত্র

ধর্ষিতা হয় নাবালিকা

কন্যা পায় না পাত্র

 

হায় কি দেশে বসত করি

হায়রে কি দুনিয়া

মানুষগুলো দলে দলে

হচ্ছে কেবল খুনিয়া

 

মদখোর মারে আলেম ধরে

জালেমে দেয় তালি

দেশের মানুষ টাকা দিয়ে

খুনির দলকে পালি

 

আমি তুমি সবাই খুনি

খুনি মহারাজ

ভাবছি সবে খুন করাটা

বড় পূণ্যের কাজ

 

কেউবা মরে ক্রসফায়ারে

সাগর রুনি ঘরে

দেশের মানুষ রাজা বানায়

বড় খুনি ধরে

১৫/১০/২০১৯; রাত ৮টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১২৫

দুলালপুরের আলাল মিয়া

কানতে কানতে কয়

উচিত কথা ভাল হলেও

প্রাণে নাহি সয়

 

শোন শোন জালাল মিয়া

উচিত কথা কইও না

যারে তারে যখন তখন

বন্ধু কইরা লইও না

 

দেয়ালেরও কান আছে

কথা কইও হুশ করে

নইলে দেখবা সোনা তুমি

মইরা গেছো ভুস করে

 

মরণ এখন অনেক সস্তা

রাস্তাঘাটে পাওয়া যায়

উচিত কথা বললে পরে

রক্তগঙ্গায় নাওয়া যায়

১৬/১০/২০১৯; ভোর ১২:১০ মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১২৬

একদিন ইস্কুলে যাচ্ছিলাম।

হাতে ছিল আইসক্রীম,

মজা করে খাচ্ছিলাম

ফুর্তিতে গুনগুন গান কি গাচ্ছিলাম?

আমি মোটে নাচি নি, স্যার কয় নাচ্ছিলাম

ভাল ছেলে, আমি শুধু ইস্কুলে যাচ্ছিলাম

 

ইস্কুলে যেই গেছি দপ্তরি কয়---

শোন শোন খোকা বাবু, পেয়োনাতো ভয়

হেডস্যাার ডেকেছেন, তাড়াতাড়ি যাও

আর যদি পথে পথে আইসক্রিম খাও!

 

ভাবলাম, আজ খাবো নির্ঘাত মার।

কেমনে যে হই খোদা বিপদ পার!

দু রাকাত পড়বো নফল, বাঁচাও প্রভু

এই ভুল আর আমি করবো না কভু

 

ভয়ে ভয়ে গিয়ে বলি-- কাম ইন স্যার?

স্যার কয়-- কাম ইন তুমি আবরার?

ইয়েস স্যার, বলি আমি স্যার কয়, শোন

হেঁটে হেঁটে তিন বার বিশতক গোন

 

গোনা যেই শেষ হয়, স্যার শুধু কয়--

হেঁটে হেঁটে কোন কিছু খাওয়া ভাল নয়

তুমি হবে লেখাপড়া, আদবেও ভালো

তোমরাই জনমনে ছড়াবে আলো

 

সেই কথা ভুলি নাই, আজো মনে আছে।

ঋণী তাই রয়ে যাই, স্যারেদের কাছে

১৬/১০/২০১৯; রাত ২টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১২৭

লোকটা কিষাণ চন্দ না

নন্দলালের নন্দ না

দেখতে শুনতে মন্দ না

কালা খোঁড়া অন্ধ না

 

লোকটা ঘাটের নাইয়া

লোকে ডাকে ভাইয়া

দুপুর বেলা খাইয়া

গঞ্জের হাটে যায়

নায়ে উঠে ডাকতে থাকে

যাবি কে কে আয়

 

নায়ের মাঝে নাও ঊঠে

দাঁড়িপাল্লা ধান উঠে

লাঙ্গল এবং মই উঠে

বটগাছ বই উঠে

 

ঝগড়াঝাটি নাই।

এইতো আমার সোনার দেশ

একদিন ছিল ভাই

 

যে লাগালো ঘৃণার চারা

বাঁচতে হলে তারে তাড়া

১৬/১০/২০১৯; রাত ৯টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১২৮

সাপকে যদি প্রেম দাও তো

সাপ মেনে যায় বশ

চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে

সেই সাপুড়ের যশ

 

মস্ত হাতি বশ মানে সে

তোমাকে নেয় পিঠে

তোমার সাথে তার প্রেম তো

দেখছি দারুণ মিঠে

 

প্রেম যদি দাও হিংস্র পশু

তারাও বশ মানে

যেদিক তাকাই প্রেমেরই জয়

দেখিতো সবখানে

 

নিজের পোলা নিজে মারে

পোলা মারে বাপকে

তলোয়ার কি নিজে মারে

নিজে থাকার খাপকে?

 

পশুর চেয়ে অধম মানুষ

আমরা তাদের জাত

চারিদিকে নিকষ আঁধার

গভীর কালো রাত

 

বাড়ি গাড়ি দালান কোঠা

সব পশুদের দিয়ে

আমরা চলো এখন থেকে

বনে থাকি গিয়ে

১৭/১০/২০১৯; ১১টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১২৯

লেন্দুপ দর্জি

কি যে হলো মর্জি

জনতার রায় পেয়ে

গেল ক্ষমতায়

 

পাবলিক ভেবে নিল

হৃদয়টা ভরে যাবে

তার মমতায়

 

কী যে হলো ভীমরতি

ঘুরে গেল তার মতি

তলে তলে মহা ছক

আঁকলো

 

একদিন খুশী মনে

সংসদ অধিবেশ

ডাকলো

 

বললো, ভাইসব,

স্বাধীনতা খায় না কি

পিন্দে

ছোট আর গরীবকে

মানুষ তো চিরকাল

নিন্দে

 

পাবলিকে ভোট দিছে

দেশের ভালো কিছু

করতে

লড়াইটা মানে হলো

দল বেঁধে চল যাই

মরতে

 

মরে যদি যাই তবে

জীবনের বলো আহা

থাকে কি?

মুখ দিয়ে ভাত খাই

কখনো কি খাই ভাত

নাকে কি?

 

চল চল স্বাধীনতা

বেঁচে দেই

বড় ভাই বলে তারে

যেচে দেই

 

সংসদে দেশ বেঁচা

বিল হলো

পাশ

এখন ওরা পরাধীন

সকলেই

দাস

১৮/১০/২০১৯; দুপুর ১২টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১৩০

জুলুম করলে অত্যাচারী

শাসকে

তোমার কেন হাসি আসে

তুমি মুচকি হাসো কে?

 

হাসি দাদা এই ভেবে--

কারে তুমি অত্যাচারী

কও

তার গদী তো তুমিই দিছো

এবার মজা লও

 

দিন রাত কি তার জন্য লড়োনি?

তার জন্য মিটিং মিছিল করোনি?

 

গদী দিলে যারে

আজকে দেখো ধুমছে সে

মানুষ ধরে মারে

 

এটাই মানুষ, স্বার্থ ছাড়া

বুঝে না সে কিচ্ছু

মুখে মুখে মানবতা

আসলে সে বিচ্ছু

 

তাইতো আমি মানুষ নয়

খোদার শাসন চাই

যার সাথে ভাই ঝগড়াঝাটি

দলাদলি নাই

১৮/১০/২০১৯; রাত ৮টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১৩১

ক্যাসিনোর সে মন্ত্রী কয়--

ভোট দিতে কেউ আসে নাই

বিশ্ব জানে, তবু আমি

পেয়েছিলাম জয়

 

ভোট ছাড়া যে এমপি হইলাম

এইটা নায়ের গুণ

পাখির মত তারা পারে

করতে মানুষ খুন

 

ভোটের জন্য জীবন দিতে

কজন সাহস পায়?

পরের জন্য কজন বলো

জীবন দিতে চায়?

 

মাইরের ওপর অষুধ নাই

এটা বুঝে 'নাও'

হিসাব ছাড়া তাইতো গুলি

মিছিল করলেই খাও

 

জন্যইতো কই না কথা

এমপি, মন্ত্রী হইছি

ভাগের টাকা পাইনি আমি-

কোনদিন কি কইছি?

 

ক্যাসিনোতে আইলো ঝড়

তাইতো আমার লাগছে ডর

ভয়ের চোটে ফ্রুটিকা খাই

আবোল তাবোল তাই বলে যাই

ওসব কেনো ধরো--

আমার মত তোমরাও কি

বাঘের পিঠে চড়ো?

 

সর্বহারার জন্য কাঁদি

কোটি টাকা পাইয়া

গরীব দুখীর তাইতো আমি

আজো বড় ভাইয়া

২০/১০/২০১৯; রাত ৯টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১৩২

বুদ্ধি আমার কই গেল

চিন্তামনি মাইয়া?

কই যে গেল বুদ্ধি জানেন

কোন বড় ভাইয়া?

 

মুসলমানে অস্ত্র শানায়

অমুসলমান মারতে

কারা করে ভোলায় গুলি

মুমিন জীবন কাড়তে?

 

কার হুকুমে ভোলায় চলে গুলি?

কার হুকুমে মুসল্লিদের ওড়ে মাথার খুলি?

এরা সবাই হজ করতে মক্কা কেন যায়?

জুমাবারে মসজিদের শিন্নি কেন খায়?

 

নবীপ্রেমিক দেখলে যারা

আন্ধা গুলি করে

কেমনে তারাও মুসলমান

দাবী নিজকে করে?

 

কার হাতে কও মুসল্লিরা

আন্ধা গুলি খায়?

সেই গুলিটা বলতে পারো

কার হুকুমে খায়?

 

গদীত বসে আলেম ধরে

কারা জেলে নেয়?

অমুসলিমের জুতার তলি

কারা বসে লেয়?

 

কিছুই আমার বুদ্ধিতে হায়

মামা কেনো ধরে না

আমার কেনা গুলি কেন

তার বুকে কও পড়ে না?

 

আমার গুলি আমিই খাই

এর কি কারণ কও না ভাই?

২১/১০/২০১৯; রাত ৪টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১৩৩

বাবুল মিয়া কাবুল যায়

পথে একটা ঘড়ি পায়

ঘড়ি বেঁচে চকলেট খায়

চায়ে নাকি পিঁপড়া পায়

 

চায়ে নানা পিঁপড়া ক্যান?

আগে এটার জবাব দেন

 

এটা প্রেমের খেলা ভাই

আমার কোন দোষতো নাই

চিনির সাথে পিঁপড়ার প্রেম

চিনি সাহেব পিঁপড়া মেম

 

প্রেমের কোন বযস নাই

প্রেমের টানে দিল্লি যাই

কুড়ির সাথে বুড়ির প্রেম

সবাই খেলে প্রেমের গেম

 

চায়ের কাপে সাঁতার দাও

আমার বাড়ি তোমার গাঁও

২৩/১০/২০১৯; ১১টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১৩৪

দিল্লি থেকে বিল্লি এলো

গিললো ইলিশ কাঁটা

জরিনা বু বললো হেসে

দেবো না কি চা টা?

 

গরম চা তো খাই না আমি

দুধ থাকে তো দাও

লাগবে পাহাড়, বনবনানী?

আগরতলা যাও

 

আগরতলার ডাগর পোলা

বুদ্ধি রাখে কৈ

তার তো দেখি কোচর ভরা

বিন্নি ধানের খৈ

 

বিল্লি বলে, মেও--

জরিনা বু হেসে বলে

দেশটা দিলাম, নেও

 

এতো এতো ইলিশ দিলে

দেশ নেয়ার কি দরকার

আমি তোমরা বন্ধু থাকি

তুমিই থাকো সরকার

২৫/১০/২০১৯; রাত ৮টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১৩৫

ঘুষটা এখন উষ্টা খেয়ে

শেখের টেকে যায়

গরীব এখন গরীব মেরে

সুদের টাকা খায়

 

সুদে এখন টাকা বিলায়

আবদুল লতিফ খান

সেই টাকাতে ব্যবসা করে

কালা মিয়া চান

 

মাসে মাসে লাভের টাকা

গোণা তবু যায়

তখন বিপদ আসে যদি

আসল টাকা চায়

 

লাভের টাকা গুনে গুনে

কালা মিয়া ফতুর হয়

ঋণে টাকা কেন নেয় সে?

কারণ সেতো চতুর নয়

 

আগে যদি জানতো

তয় কি টাকা আনতো?

সুদ ক্যান হারাম বুঝলে আগেই

খোদার হুকুম মানতো

২৭/১০/২০১৯; ৬টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১৩৬

বর্ষা এলে ফর্সা আকাশ

কালো হয়ে যায়

চিরকালই বড়লোকে

গরীব মেরে খায়

 

এখন দেখি গরীবেরা

গরীব ধরে মারে

রিকসাঅলার টাকা এখন

মেথর পুতে কাড়ে

 

নানা রকম প্রতারনায়

গরীব এখন পাকা

কেন এমন নষ্ট হলো

গরীব মানুষ কাকা?

 

কেউ না থাকলেও

এদ্দিন জানতাম

আল্লাহ তাদের আছে

এমন করলে

কওতো আল্লাহ

কয়দিন থাকবো কাছে?

২৭/১০/২০১৯; ৭টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১৩৭

জেলের ভেতর মানুষ থাকে

চোর ডাকাতে বাইরে

জেলের ভেতর খুঁজে দেখি

ডাকাত তেমন নাইরে

 

বললাম, ডাকাত গেল কই?

চোরও দেখি, নাই

কইতে পারিস কোথায় গেলে

তাদের দেখা পাই?

 

তাদের যদি দেখতে চান

আরামবাগে যান

ক্যাসিনোতে গিয়ে দেখেন

যদি দেখা পান

 

কেউবা ঘুরে শেয়ারমার্কেট

কেয়ার করে না

চুনোপুটি ধরা পড়ে

তারা পড়ে না

 

গদী থাকে যেই দলের

তারা থাকে সেই দলের

 

ব্যাংকের টাকা উধাও করে

ধরা পড়ে না

মানুষ ঠিকই মরে কিন্তু

ডাকাত মরে না

 

চুরি করে ভোল্টের টাকা

ডেস্টিনিটা করে ফাঁকা

 

যতই ঘুরুক কালের চাকা

ওরা ঘুরে না

ট্রাকের টাকা উড়তে পারে

ওরা ওড়ে না

 

ডাকাত যদি জেলে যায়

দেশটা বলো কে চালায়?

২৮/১০/২০১৯; ভোর সাড়ে ১২টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১৩৮

কথায় কথায় গুলি করো

কথায় কথায় ফাঁসি

বোবা কান্নার দেশে দেখি

তোমার উদাম হাসি

 

কি ভাবছো? আমরা তোমার

কেনা গোলাম দাসী?

নাকি তুমিই হিংসুটে এক

দারুণ সর্বনাশী?

 

চাষী মরে ফাঁসি দিয়া

তুমি খাচ্ছো খাসি দিয়া

আমি খাচ্ছি বাসী

আমি যাই মক্কাভূমি

তুমি গয়া কাশি

 

এইভাবে আর কয়দিন

চোরার নাকি ছয় দিন

গিরস্তে পায় এক দিন

সেই দিনটা কোন দিন?

২৮/১০/২০১৯

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১৩৯

আমার লেখা যেমন তেমন

তোমার লেখা মন্দ না

পাঠক পড়ে ঠিকই বুঝে

পাঠক তো আর অন্ধ না

 

ভুল বানানে লেখো যখন

মনে মনে হাসে

তারপরেও লেখক বলে

ঠিকই ভালবাসে

 

ছন্দ এবং অন্তমিলে

থাকে যদি ভুল

মুখে বলে, দারুণ দারুণ

ছিঁড়ে নিজের চুল

 

তুমি লেখক তাইতো কেহ

মন্দ তোমায় কয় না

কষ্ট পাবে তুমি এটা

ভক্তজনে সয় না

 

তবে কেনো করবে ভুল?

ফুটাও শুদ্ধ প্রেমের ফুল

২৮/১০/২০১৯; রাত ৯টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১৪০

ঘুমের মাঝে দেখতে পেলাম

তিনটে বিড়াল ছানা

এক সারিতে বসে সবাই

গাচ্ছে মজার গানা

 

তাইরে নারে না না

তাইরে নারে না না

 

একটা বিড়াল দেখতে পায় না

একটা জন্মকানা

একটা বিড়াল অন্ধ ছিল,

ছিল না তা জানা

 

বললাম, বাহ, বেশ তো গাইলি

দুধ আছে ভাই খাবি?

আমার বাড়ি বিয়ের আসর

গাইতে সেথা যাবি?

 

দুধ কি ভাই, কেমন লাগে

কেমন করে খায়?

দুধ কেমন তা দেখবি তোরা?

আমার সাথে আয়

 

আসবো দাদা?  অন্ধ যে গো

কেমন করে যাই?

লোভের বড়ি থাকলে সাথে

দাও না দাদা খাই

 

লোভের বড়ি, ক্ষোভের বড়ি

মাগনা পেলেও খেতে নাই

এই দুনিয়ায় খাইছে যারা

তারা তো কেউ জেতে নাই

 

ক্ষোভের সময় খাইতে গেলে

তাতে কেবল ক্ষতি হয়

লোভের বড়ি খাইলে পরে

কেবল অবনতি হয়

 

লোভের বড়ি খাইও না

ক্ষোভের জলে নাইও না

২৯/১০/২০১৯; রাত ৮টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১৪১

যারে দেখি ভালো

তারে বলি কালো

কালোটাকে ভালো বলি শত মুখে ভাই

দেখলে কোথাও আলো

বলি আগুন জ্বালো

দুধ বেঁচে তো আমরা ভাই মদ্য কিনে খাই

 

আমরা

হতভাগার জাত

দিনকে বলি রাত

রাত্রি হলো ঝলমলে দিন কোরাস সবে গাই

ভালো মানুষ আমরা ধরে জেলখানা ঢুকাই

 

ভালো হলে অন্ধ বলি

মন্দ সদানন্দ বলি

পরকে বলি আপন আর আপন বলি পর

মাথা গরম হলে ভাঙি নিজেই নিজের ঘর

৩০/১০/২০১৯; ভোর ১২:৪০ মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১৪২

রাসূলের সৈনিক

পান খায় দৈনিক

খায় আমসত্ব

জিকিরেই মত্ত

 

রাতদিন আলু খায়

শয়তান হেসে যায়

পাপে দেশ ভেসে যায়

তাতে কি?

পাপ হয় দিনে রাতে

শুধু হয় রাতে কি?

 

হুজুরেরা পান খায়

লুচ্চার দান খায়

মুরগীর রান খায়

দাওয়াতে

খুশি হয় মিলাদে

দশ টাকা পাওয়াতে

 

তারপর সস্তায়

ধর্মটা বস্তায়

ভরে নেয় বাজারে

মুরিদান এসে যায়

শত নয়, হাজারে

 

বাবা কয় গান ধর

দান কর, দান কর

নয় পাবে সাজা রে

টাকা দাও মাহফিলে

টাকা দাও মাজারে

মৌসুমী ফল খেয়ে

হয় বাবা তাজা রে

 

হুজুরেরা সর খায়

মুসলিম তড়পায়

তাতে কি?

হুজুরের চাই তবু

অহরহ পাতে ঘি

৩০/১০/২০১৯; ৬টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১৪৩

লেখক হবেন? ভাবনা কি?

গেছেন কভু পাবনা কি?

চলুন তবে যাই

ভাবনা কিছু নাই

 

আমি কবি, তুমি কবি

কবি কবিরাজ

ক্যাসিনোতে পাওয়া যায়

কবি মহােরাজ

 

কবি হবে? তবে খাও

গাঞ্জার বিড়ি

পার হও তাড়াতাড়ি

কাব্যের সিঁড়ি

 

নেশাটাই বড় ভাই

নেশাটাই খাঁটি

নেশা করে চলো যাই

রাজবাড়ি হাঁটি

৩০/১০/২০১৯; রাত ৮টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১৪৪

নতুন কবি শোন

নতুন কবি রঙিন ছবি মনের ভেতর আঁকো

ভালোমন্দ যে যা বলুক চুপটি করে থাকো

ভুলগুলোকে শুধরে নাও আলোচনা থেকে

অন্যজনকে পড়তে দাও আদর করে ডেকে

 

সে যদি হয় সত্যি আপন ভুলটা ধরে দেবে

ভুল ধরে যে তাকে আপন বন্ধু ভেবে নেবে

ভুল রেখো না ভাবনা এবং ছন্দ অন্তমিলে

লেখা হলে যাও না বন্ধু এবার মতিঝিলে

 

তুমি নবীন তাইতো জানি তুমিও কম ভাবো না

বীজে যেমন লুকিয়ে থাকে মহীর সম্ভাবনা

ভাবনাগুলো ধরে এনে শব্দ দিয়ে সাজাও

ছন্দগুলো ধরে এনে ধিতাং ধিতাং বাজাও

 

তুমিই হবে কবি যদি প্রভু এটাই চান

কবি হবার শক্তি সেতো মহাপ্রভুর দান

তাই করোনা অহংকার, শোন নতুন কবি

এখনোতো হওনি তুমি নজরুল কিবা রবি

৩১/১০/২০১৯; ভোর ১টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১৪৫

জিতলো কে

হীরালালের ছোট্ট মাথায় বুদ্ধি রাশিরাশি

বলে মামা,শুনছো খবর, মৎস গিলে খাসি

প্রজা গিলে টাটকা খানা, রাজা গিলে বাসি

আমরা শুধু খবর শুনে মুচকি মুচকি হাসি

 

বলে মামা, হাসছো কেন, পাবনা থেকে আসি

আমি এখন পুরাই ভালা, জানে রঞ্জা মাসি

আগে মানুষ, মানুষ ছিল, ছিল খোদার দাসী

এখন মানুষ তামার গড়া, দারুণ সর্বনাশী

 

মানুষ এখন মানুষ মারে, মানুষে দেয় ফাঁসি

মানুষ মেরে ফুর্তি করে, ডিনারে খায় খাসি

নিরো এখন আরাম করে বাজায় কাঁচা বাঁশি

আমি বলি দামী কথা, তোমরা উড়াও হাসি

 

ভীতু যারা তারাই মামা, পাকা খুনী হয়

ভাল মানুষ খুনী হয়, যখন সে পায় ভয়

সাহসীরা হাসতে হাসতে নিজে ফাঁসি লয়

বুঝা বড় কঠিন মামা, কার যে হলো জয়

 

যার হয় ফাঁসি, সে হয় শহীদ, পূণ্য রাশিরাশি

যে দেয় ফাঁসি, সে হয় খুনী, আস্ত দোযখবাসি

তুমিই বলো জিতলো কে, উনি নাকি খুনী

'উনি' বলে চেঁচায় কে রে শালিক না  টুনটুনি?

০১/১১/২০১৯; দুপুর ২টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১৪৬

ডিজিটালের নতুন আইন

জানেন নাকি কি আজ?

এখন থেকে খাবেন না আর

তরকারীতে পিঁয়াজ

 

কাঁচা পিঁয়াজ মুসলিমে খায়

হিন্দুরাতো খায় না

বিশ্বাস না হয় মেলে দেখো

ইতিহাসের আয়না

 

তরকারিতে মশলাপাতি

খাওয়া বেশী ভালা না

তরকারিতে মশলাপাতি

দেয়া বলো জ্বালা না?

 

বাজার থেকে আনতে গেল

পিঁয়াজ নাকি রিয়াজে

বললাম পিঁয়াজ কেন নিবা

বললো, বাড়ি বিয়া যে

 

দোকানদারে বললো বাবা

পিঁয়াজ রেখে সোনা নাও

এখন থেকে তরকারীতে

তামা কাঁসা সোনা খাও

 

আগের নিয়ম আগে ছিল

এখন নিয়ম ভিন্ন

নেতা মানে তার গায়ে নাই

কোন মারের চিহ্ন

 

নেতা থাকবে লন্ডনে বা

নয়তো থাকবে জার্মানি

দেশ থেকে সে নেবে শুধু

হীরা সোনা আর মানি

 

দেশের নেতা বিদেশ থাকবে

নইলে কিসের নেতা সে

দেশে থাকলেই মরার ভয়

বিদেশ থাকবে জেতা সে

 

পিঁয়াজের দাম বাড়লে বাড়ুক

তাতে তাহার ক্ষতি কি

পিঁয়াজ তাহার কি হয় বলো

সে পিঁয়াজের পতি কি?

০১/১০/২০১৯; রাত ৭টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১৪৭

একটা মজার ছড়ার জন্য

রইছো কি গাল ফুলিয়ে

তাকিয়ে দেখো রাখছে ছড়া

কাটাতারে ঝুলিয়ে

 

বিমানবন্দর করার জন্য

নিচ্ছে জমি কাড়িয়া

দিচ্ছো তুমি সেই খুশিতে

সাথে ব্রাহ্মণ বাড়িয়া

 

তারপরে কি বন্ধু তোমার

আরো ছড়া চাই

তবে দেখো ফেনী নদীর

পানি গাঙে নাই

 

পিঁয়াজের সের দেড়শো টাকা

চালান এখন বন্ধ

আমার প্রেমে বন্ধু আমার

চিরকালই অন্ধ

/১১/২০১৯; ৮টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১৪৮

এসো তাঁর গুণগান গাই

ওই নীল আকাশে

কে হাসে, কে হাসে?

ঝিরি ঝিরি বাতাসে

কে হাসে, কে হাসে?

ওই ফুল হেসে যায়

কার ইশারায়?

প্রভুর মায়ায়

এসো তাঁর গুণগান গাই

এসো তাঁর গুণগান গাই

 

পাখিদের গানে গানে

ঝর্ণার কলতানে

ভ্রমরের গুঞ্জরনে

একি সুর বাজে

এসো তাঁর সুর গেয়ে যাই

এসো তাঁর গুণগান গাই

 

চাঁদ হাসে আকাশে তারাদের সাথে

ধরণীতে ভয় এসে কি খেলায় মাতে

আঁধার কি হেসে যায়

চরাচর ভেসে যায়

দিগন্ত রেখায়

পৃথিবীতে সব হয় যার মহিমায়

এসো তাঁর গুণগান গাই

এসো তাঁর গুণগান গাই

/১১/২০১৯; ভোর ৫টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১৪৯

এখন থেকে মাগো আমি দুষ্টামী আর করবো না

তুমি যা যা নিষেধ করো সে সব আমি ধরবো না

লাফিয়ে নিচে পড়বো না

তোমার ঘাড়ে চড়বো না

মাগো আমি বড় হবো, এখন আমি মরবো না

সবার মত বলবো না, এখন আমি পড়বো না

 

হঠাৎ সোনা এসব কথা কেনো বলছিস, ওরে

কে শেখালো এসব কথা বল না সোনা তোরে?

 

মাগো সেদিন পড়ে অবাক, ভীষণ খবর পেপারে

মায়েরা যে বাচ্চার ওপর ভীষণ রকম ক্ষ্যাপারে

নিজের বাচ্চা করে জবাই

এটাও হজম করে সবাই

মানুষ কেন, এমন কর্ম পশুরা কি করতে পারে?

সন্তান মারে কোন পশুটা জগত সংসারে?

 

একটুও কি দেয়নি রহম আল্লাহ ওদের দীলে?

কেমনে মারে নিজের সন্তান মা কাকুরা মিলে?

তুমিও আমায় বকা দাও

তুমিও আমার মরণ চাও?

ওরে বাবা, মা কখনো সন্তান মারতে পারে?

মায়ের চেয়ে আপন বল, কে আছে সংসারে?

 

তুই যে মায়ের সোনামানিক, আঁচল ছেঁড়া ধন

তোর ক্ষতি কি সইতে পারে মায়ের অবুঝ মন

তবে যে মা করলো জবাই,

এটা কেমনে সইলো সবাই

কেউ করেনি প্রতিবাদ মা, কেনো তবে কন?

মা দেখলেই ভয়ে কাঁপে তাইতো আমার মন

/১১/২০১৯; ৪টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১৫০

রত্নাগড়ের বিলে।

দেখলাম সেদিন একটা মাছ

সাপে ফেললো গিলে

ছো মেরে সে সাপটাকে

নিয়ে গেল চিলে

এসব দেখে ব্যথা পেলাম

আমার নরম দীলে

 

কে যে কোথা যায়রে দাদা

কে যে কি সব খায়

মর্জিনার মা খেতে বসেই

কাঁচা লংকা চায়

দাঁত নাই তবু হাড্ডি নিয়ে

অযথা চিবায়

 

কেউ বাঁচে না, মৎস সাপ

ছাগল কিংবা গরু

সময় হলে যায়রে মারা

পাখি, বনের তরু

 

আসলে সবার যাইতে হয়

কী লাভ করে মরার ভয়?

 

দাঁত নাই তবু মর্জিনার মা

কাঁচা লংকা খায়

সময়মতো রাজা প্রজা

উজির মারা যায়

/১১/২০১৯; বিকাল ৫টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১৫১

তুমি আমায় ভালো বলো

এটা তোমার গুণ

এই লেখাটাই কারো কাছে

হতে পারে চুন

 

দই না খেয়ে চুন খেলে হায়

মুখটা যেমন পোড়ে

তেমনি যে কেউ উল্টোওতো

ভাবতে পারে তোরে

 

মরুভূমির বালুকে কেউ

যদি ভাবে জল

তার সাথে তোর তর্ক করার

কিইবা আছে, বল?

 

আকাশের ওই চাঁদটা নাকি

ভরা দুধের বাটি

কারো কাছে ওটাই আবার

আটার রুটি খাঁটি

 

যে যা ভাবার ভাবুক তাতে

তোর কি আসে যায়

তোর মাখা ভাত কেউ কি বসে

সকাল বিকাল খায়?

 

তোর যা ভাবার তুই ভেবে নে

তোর যা করার কর

তাতে তো আর নারীগুলো

হবে নারে নর

 

নিজের মনটা ভালো থাকবে

নিজে থাকবি ভালো

তোর খুশিতে হাসবে পাখি

জগত হবে আলো

/১১/২০১৯; ভোর ১টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১৫২

সবই খোদার দান

পাহাড়, নদী, কে বানালো

কে বানালো ফুল

কে বানালো হাত পা, মাথা

কে বানালো চুল?

 

সবই খোদার দান

তিনি মহীয়ান

 

তিনি দিলেন আকাশ বাতাস

দিলেন চাঁদের আলো

দিলেন কোরান, চলার বিধান

তাইতো তিনি ভালো

 

তিনি রহীম, তিনি রহমান

তিনি মাওলা, রব

মানুষ, পশু, চাঁদ সিতারা

সবই তাহার, সব

 

তাঁর বানানো সারা জাহান

সকল কিছু তাঁর দয়া, দান

/১১/২০১৯

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১৫৩

নবী এলেন

জনম নিলো মোদের নবী

দূর আরবের দেশে

চাঁদ সিতারা আকাশ বাতাস

উঠলো সবাই হেসে

 

হাসলো নদী, পাহাড়, মরু

পাখির কলরব

নবী বলেন, এসব দিলেন

বুদ, মাওলা, রব

 

তিনি দিলেন আল কোরান

আমরা মানি তাঁর বিধান

/১১/২০১৯

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১৫৪

দুনিয়া আমার, বন্ধু, পৃথিবী আমার

আকাশ আমার, বাতাস আমার,

আমার চন্দ্র তারা

যেদিক তাকাই অবাক মানি,

আমি পলকহারা

 

পাহাড় আমার, সাগর আমার,

আমার মেঘের ছায়া

আমার ওপর পড়ছে ঝরে

মহাপ্রভুর মায়া

 

বনবনানী আমার বন্ধু, নদীর পানি আমার

বৃক্ষছায়া আমার বন্ধু, জোস্নারাতও আমার

আমার আছে স্বপ্ন আশা

বুকে অযুত ভালোবাসা

পৃথিবীর অথৈ মায়া সকল কিছু আমার

আমিই গড়ি প্রেমের নদী, ভালোবাসার খামার

 

আমার আছে কান্না হাসি

দুঃখ সুখ রাশি রাশি

নদীর কলতান

পাখপাখালি ভালবেসে

শোনায় আমায় গান

এসব কিছুই আমার জন্য মহাপ্রভুর দান

তিনি সোবহান গো মওলা, তিনি রহমান

/১১/২০১৯; রাত ৪টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১৫৫

ভন্ডগুলো ভালো কর্ম পন্ড যদি করে

ভালো মানুষ ভন্ডদেরে দন্ড দিও ধরে

 

সমস্বরেঃ ধরে ধরে ধরে।

 

ভন্ডগুলো দেশের যতো গন্ডগোলের হোতা

গন্ডগোলের পিলারগুলো ওদের মাথায় পোঁতা

তাদের জ্বালায় শিশু বুড়ো সর্বহারা মরে

 

সমস্বরেঃ মরে মরে মরে।

 

তাদের জ্বালায় ভয়ে পালায় মাতা ভগ্নি কন্যা

সারাদেশে যায় বয়ে যায় শুধু পাপের বন্যা

 

সমস্বরেঃ বন্যা বন্যা বন্যা।

 

সেই বন্যায় ভেসে ভেসে, অট্টহাসি হেসে হেসে

সারাদেশে স্রোতের মতো কলকলিয়ে গযব আসে

 

সমস্বরেঃ আসে আসে আসে।

 

এই কষ্ট আর সইবো কতো, ভন্ড এবার ধরো

বাঁচতে চাইলে ভন্ড ধরো, নইলে মামা মরো

 

সমস্বরেঃ মরো মরো মরো।

/১১/২০১৯; ৪টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১৫৬

আঁধার মানে

আঁধার মানে আলো নাই

চোখের সামনে ভালো নাই

মন্দ হাঁটে দেশে

কানা ফকির বেশে

 

আঁধার মানে অন্ধকার

রাত্রি নিশি, বন্ধ দ্বার

পাবলিকে সব ঘুমায়

তেলাপোকা চুমায়

 

আঁধার মানে গভীর রাত

বিড়ালে খায় পান্তাভাত

তুমি থাকো রেগে

আকাশ ঢাকা মেঘে

/১১/২০১৯; ২টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১৫৭

মর্জিনার মা

মর্জিনার মা নাইতে যায়

চন্দ্রভানু খাইতে যায়

পেটে ক্ষিধে তাইতে যায়

চোরা দিনে রাইতে যায়

 

ছোট চোরা, বড় চোরা

চুরি করে খায়না ধরা

ব্যাংকের টাকা লুট করে

যখন তখন হুট করে

 

শেয়ার মার্কেট কেডা খায়

চশমা পরা বেডা খায়

বেডিরওতো ভাগ থাকে

ঘরে শিয়াল ব্যাঙ ডাকে

/১১/২০১৯; ২:৩০ মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১৫৮

বিবির ও শিবির

যে ছেলেটা ধর্ষণ করে, সে ছেলেটা বিবির

যে ছেলেটা ধর্ষক ধরে, সে ছেলেটা শিবির

যে ছেলেটা খুনী হয়, সে ছেলেটা বিবির

যে ছেলেটা গুণী হয়, সে ছেলেটা শিবির

 

যে ছেলেটা ত্যাজ্য হয়, সে ছেলেটা বিবির

যে ছেলেটা ন্যায্য বলে, সে ছেলেটা শিবির

যে ছেলেটা শিক্ষক মারে, সে ছেলেটা বিবির

যে ছেলেটা সালাস করে, সে ছেলেটা শিবির

 

যে ছেলে যায় শুঁড়িখানায়, সে ছেলেটা বিবির

যে ছেলেটা মসজিদে যায়, সে ছেলেটা শিবির

যে ছেলেটা চাঁদাবাজ, সে ছেলেটা বিবির

যে ছেলেটা শান্তসুবোধ, সে ছেলেটা শিবির

 

যে ছেলেটা মাস্তান হয়, সে ছেলেটা বিবির

যে ছেলেটা আল্লাভীরু, সে ছেলেটা শিবির

গুন্ডা মাস্তান বদমাশ ছেলে, সবই বিবির হয়

সমাজে যারা ভদ্র ছেলে, তাদের শিবির কয়

১০/১১/২০১৯; ৭টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১৫৯

দেশে যত আন্দোলন হয়, সবই শিবির করে

এতো মারি তবু শিবির, বাড়েই কেবল ঘরে

 

কোটা সংস্কার আন্দোলন কও,

ওরাই তো দেয় উস্কানী

ছাত্র মরে ক্যাম্পাসে আর

ওরা হাসে জুস টানি

 

মেডিকেলে আন্দোলন হয়, আন্দোলন হয় বুয়েটে

সবাই যখন যায় পালিয়ে, ওরাই আসে ডুযেটে

 

আন্দোলন হয় ভার্সিটিতে,

আন্দোলন হয় জাবিতে

জানতে পারি এসবই হয়

শিবিরের রঙ চাবিতে

 

যেদিক তাকাই দেখি শুধু, শিবির শিবির শিবির

তাইতো রাতের ঘুম হারাম হয়, সর্বনাশা বিবির

 

শিবির মানেই মহা আতঙ্ক,

শিবির মানেই যম

নাম শুনলেই আটকে আসে

গলার কাছে দম

 

শিবির দাদা নষ্টের গোড়া, শিবির ধ্বংসের মূল

আমরা কাটি গাছের গোড়া, ওরা ফোটায় ফুল

১০/১১/২০১৯; রাত ৯টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১৬০

কোপা আরো কোপা।

লাল করে দে খোপা

মার শিখেনি আজ অবধি

খালি করে চোপা

 

কোপ চলবে ইডেনে

প্রকাশ্য হিডেনে

মার ধর জাস্ট ফানি

চলবে এবার মাস্তানী

 

না পারলে যা তাবলীগে

তোদের জায়গা সাব লীগে

বলে দিস সব বাবলীকে

নয় পিটাবে পাবলিকে

 

নেত্রী হওয়া সোজা না

পুকুরে সুঁই খোঁজা না

আধাবেলা রোজা না

ফাঁকতালে মাল গোঁজা না

 

পুরুষ মাস্তান পাড়ায় থাকবে

নারী মাস্তান বাড়ি

মনে রাখিস মাস্তানরা দেয়

নৌকাতে যুগ পাড়ি

 

নারী মাস্তান বাড়ি বাড়ি

দেখবি সামনে কাড়ি কাড়ি

১১/১১/২০১৯; ১০টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১৬১

দুপুর উপুড় করে নূপুরের গায়

ঢেলে দিল একদিন সুকুমার রায়

 

দুপুরটা নির্জন সবুজাভ বন

সেখানেই শুয়ে থাকে ভীত এই মন

লোকালয় ছেড়ে যায় অনেক দূরে

সেখানেই শুধু শুনি শান্তিরা ঘুরে

 

জনপদে গুম খুন বাসা বেঁধে রয়

রাতদিন জেগে থাকে চিনচিনে ভয়

 

রাজপথে গুলি হয়

ঘরে চুলাচুলি হয়

মাঠে ফাঁকা বুলি হয়

মিথ্যার সয়লাব বয়ে যায়

ভয়টুকু জনপদে অকারণ রয়ে যায়

স্বস্তুিরা বনছায়

ডাকে বসে আয় আয়

আয় আয়, আয় আয়.......

১১/১১/২০১৯; ৫টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১৬২

জীবনে যে কোন কালেই

ধর্মকর্ম মানতো না

মরার পরে কী হবে তা

আসলেই সে জানতো না

 

সে কি জানতো মরার পরে

ধর্ম তাকে মানতে হবে

ধর্ম মতেই দাফন কাফন

সকল বিধান টানতে হবে

 

তবে কি সে মরতে যেতো

অযথা কও হিন্দুস্তান

মরে বুঝলো, সে হিন্দু নয়

মৃত বাদল, মুসলমান

 

তাই জানাযা, দাফন পেলো

ভাগ্যে জুটলো কবরও

গোয়ার্তুমি ছাড়তে হলো

করতে হলো সবরও

 

কী লাভ হলো সারা জীবন

নাস্তিক থেকে, ভগবান

বলতে পারো ভাগ্যে কেনো

ছিল এতো অপমান?

 

কোথায় গেলে ভক্তরা সব

শিষ্যরা আজ কই?

তাকিয়ে দেখো আমি এখন

আগের বাদল নই

 

আমি এখন নাস্তিক আর নই

আমিও এক মুসলমান

তবে আমি মুমীন তো নই

আমি একটা নাফরমান

১১/১১/২০১৯; ৬টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১৬৩

ভালোবাসি

ভালোবাসি ফুল, পাখি, আকাশের নীল

ভালোবাসি চাঁদতারা, আলো ঝিলমিল

ভালোবাসি নাও, নদী, খোলা পরিবেশ

ভালোবাসি মাকে আর ভালোবাসি দেশ

 

ভালোবাসি ভাইবোন আর পরিজন

ভালোবাসি গাছপালা, অবারিত বন

ভালোবাসি পাখিদের কুহু কুহু তান

ভালোবাসি ঝরনার অবিরত গান

 

ভালোবাসি আকাশ, নিখিল ভূবন

ভালোবাসি দুনিয়ার অপার সৃজন

ভালোবাসি নবী আর আলকোরআন

ভালোবাসি জগতের মালিক মহান

১১/১১/২০১৯; ১১টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১৬৪

ছড়ড়া দিলেম ছড়িয়ে

যা পড়ানোর পড়িয়ে

বললাম যা তুই, আনবি খুঁজে

কয়টা ছেলে লড়িয়ে

 

কয়টা ছেলে ধর্ষক আর

কয়টা ছেলে পড়িয়ে

কয়টা ছেলে ক্যাসিনো যায়

বই পুস্তক সরিয়ে

 

কয়টা ছেলে ইভটেজার হয়

বাপের পয়সা উড়িয়ে

কয়টা ছেলে লাল আলু খায়

নাড়ার তলে পুড়িয়ে

 

কয়টা ছেলে গুলি খেয়ে

হাঁটে এখন খুঁড়িয়ে

কয়টা ছেলে নিঃস্ব এখন

বাঁচে খাবার কুড়িয়ে

 

ছড়ড়া চলে গড়িয়ে

রাজপথে তরতরিয়ে

 

বলে মামা নূর হোসেনরা

সবাই গেছে হারিয়ে

বাকিরাতো বাড়ি যাচ্ছে

সোনাডাঙ্গা ছাড়িয়ে

 

ডাকবো তাদের, জমবে লড়াই?

উঠবে তেতে গরম কড়াই?

উঠবে ফুলে তিস্তা, গড়াই?

চোর ডাকুদের থামবে বড়াই?

 

আমি তবে যাই

দেখবো কে কে ফিরতে রাজি

কারে কারে পাই

১২/১১/২০১৯; দুপুর ১টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১৬৫

দুর্ঘটনা একের পরে এক

বাড়ছে দেশে চোখ খুলে দেখ

তাইতো আমি কই--

কার কারণে ঘটছে এসব

বলছি সমস্তই

 

মরছে মানুষ জলে ডুবে

মরছে ট্রেনে চড়ে

ট্রাকের তলে কেউ পিষে যায়

কেউবা  মরে লড়ে

 

দালান ভেঙে কেউ মারা যায়

কেউবা পাহাড় ধ্বসে

কেউ জানে না কখন যাবে

পরাণখানা খসে

 

রান্নাঘরে সাপের বাসা

পোলা মারে বাপ

কওতো দেখি এসব কিছু

কিসের অভিশাপ?

 

নিজের কন্যা ধর্ষণ করে

ঘরের ভেতর পিতা

কোথায় গেল ধর্মগ্রন্থ

কোরান বাইবেল গীতা?

 

ধর্ম কবে বলছে কারে

মানুষ করো খুন

আপন ভাইকে বিয়ে করো

যারা আছো বোন

 

গুমের মিছিল এখনো তো

আগের মতই চলছে

শান্তিতে দেশ চলছে না কি

মন্ত্রী তবু বলছে

 

আমরা যতো গুলি খাই

মন্ত্রী ভাবে শান্তি পাই

দেখেও কিছু শেখে না

খোদার গযব দেখে না

১২/১১/২০১৯; ৩টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১৬৬

চকবাজারে আগুন লাগে

ঠকবাজারে আগুন

মাঘের শীতে সবজি বলে

পিঁয়াজ গরম, ভাগুন

 

ঝড় ঝঞ্ঝা জলোচ্ছ্বাস

গযব হয়ে আসে

ঘরের ভেতর ডেঙ্গু মশা

মিটমিটিয়ে হাসে

 

ছোট্ট মশার কামড় খেয়ে

মানুষ মরে ঘরে

সরকার বলে খোদার মশা

সরকারে কি করে

 

খোদা কেন মশা পাঠায়

চলো মিছিল করি

কেন পাঠায় ঝড় বন্যা

প্রতিরোধ আজ গড়ি

 

কিন্তু তাতে হয় না কিছু

গযব আরো বাড়ছেই

আলেম মারা জালেমগুলো

প্রতি পদে হারছেই

১২/১১/২০১৯; ৪টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১৬৭

প্রিয় নবীর ওফাতে যার

ঈদের খুশী জাগে

তারে কি কি করা দরকার

তুমিই বলো আগে

 

দুইটা ঈদের খবর লেখলো

কোরানে কি ভুল?

কোথায় পেলে তিনটা ঈদের

খবর হে আবদুল?

 

আল্লাহ কি তয় ভুলোমনা,

নাকি ছিল ঘুমে?

কোথায় বলছে ঈদ করতে

পীরের কদম চুমে?

 

কাফেররা কি আল্লাহর নামে

মিথ্যা বাণী ছড়ায়?

কোন শয়তান তোমায় এসে

মিথ্যা বাণী পড়ায়?

 

কবে রাসূল এলেন গেলেন

আল্লাহ কি তা জানেন না?

নবী বলো, আল্লাহ বলো

তিন ঈদ তারা মানেন না

১২/১১/২০১৯; বিকাল ৫টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১৬৮

ইচ্ছে হলে

ইচ্ছে হলে

গালিও দেই, ইচ্ছে হলে তালি

ইচ্ছে হলে

আদরও দেই, কাউকে ফুলের ডালি

ইচ্ছে হলে

গুলি করি, ইচ্ছে হলে গুম

ইচ্ছে হলে

কারো গালে আঁকি মধুর চুম

 

ইচ্ছে হলে

নিজের দলের ছেলেকে দেই জেল

ইচ্ছে হলে

কারো অঙ্গে মাখতে পারি তেল

 

ইচ্ছে হলে

সংসদেও কিচ্ছাকথা কই

কাউকে বানাই সতীন আর

কাউকে বানাই সই

 

ইচ্ছে হলে

যাও না জেলে, নয় গলে নাও ফাঁসি

জগত জানে,

তোমায় আমি কত ভালবাসি

১২/১১/২০১৯; ৬টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১৬৯

তোমরা তো ভাই বন্ধু আছো

পিঁয়াজের কি দরকার

পিঁয়াজ চাইলো মালদ্বীপের

হাম পিয়ারে সরকার

 

তারে কেমনে ফিরাই বলো

একটুখানি সমঝে চলো

 

পানি যেমন অঢেল আমি

বর্ষা এলে দেই

তেমনি দেবো পিঁয়াজ শোন

বাঁধা তাতে নেই

 

তুমি আমার বন্ধু আছো

ট্রানজিট, বন্দর দাও

গ্যাসটা দিও মাগনা বন্ধু

ক্যাশটা দিও ফাও

১২/১১/২০১৯; ৭টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১৭০

জোনাক জ্বলা রাত

ঝিলমিল ঝিলমিল ঝিলের জলে, জোনাক পোকা জ্বলে

আসমানের অই চাঁদ দেখা যায় পানির অতল তলে

ঝিলমিল করে তারার ফুল

আঁধার যেনো বুবুর চুল

ঝিলমিল করে তারার মালা বুবুর চিকন গলে

 

লুকোচুরি খেলবি কে কে আয় না জলদি চলে

না হয় চল যাই খোলা মাঠে আমরা সদলবলে

শন শনাশন বাতাস বয়

আহা সেকি শান্তিময়

সেথায় বসে কিসসা কথা বলবো অনর্গলে

 

সময়গুলো গড়িয়ে যাবে সবই পলে পলে

অনেক রাতে ফিরবো ঘরে সবাই দলে দলে

চাঁদ মামাটা বলবে তখন, আয়

ঘুমের সময় যায়রে বয়ে, যায়

উঠতে হবে বিহান বেলা, পড়ার সময় হলে

১৩/১১/২০১৯; রাত ১টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১৭১

হারাধনের দশটা ছেলে

হারাধনের দশটা ছেলে নষ্টের গোড়া সব

ভাত খায়না শুধুই ওরা, করে কলরব

চারজনতো মস্ত ডাকাত, ছয়টা ছেলে চোরা

কাছে পেলে ওদের ধরে বানিয়ে দিস তোরা

 

দিনের বেলা ঘুমায় ওরা, রাতের বেলা জাগে

ধরা পড়ার টের পেলেই ওখান থেকে ভাগে

বিপদ দেখলে ওরা তখন, মামার বাড়ি যায়

মামী জানে ভাত নয় ওরা, আলু পোড়া খায়

 

খাইতে দিলে খায়না ওরা, এটা ওটা চায়

ওদের আজব বায়না মামা মিটানো যে দায়

হারাধনের দশটা ছেলে হঠাৎ ধরা খায়

ডাকাত চোরে মিলেমিশে সবাই জেলে যায়

১৪/১১/২০১৯; ৩টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১৭২

ভুলিও

ভোর বিহানে মোরগ ডাকে

মসজিদে দেয় আযানও

ঘুম থেকে রোজ উঠি আমি

উঠে আমার বাজানও

 

অযু করে মসজিদে যাই

মিষ্টি হাওয়ার পরশও পাই

তাকিয়ে দেখি কি চমৎকার

ফুলের বাগান সাজানো

 

ফুল ফুটেছে গোলাপ জবা

গন্ধরাজ আর বেলীও

আমায় দেখে মিষ্টি হেসে

বললো দেখে শেলিও

 

এলি যখন গন্ধ নে

সকাল বেলার ছন্দ নে

তোর সাথে আর কে কে এলো

সবাই দুহাত মেলিও

 

পড়বে ঝরে গোলাপ কলি

জুঁই চামেলী ছোট্ট বেলী

প্রজাপতির সঙ্গে মিশে

সে সব তুমি তুলিও

ফুলের সঙ্গে খেলতে খেলতে

নিজের ব্যথা ভুলিও

১৪/১১/২০১৯; ৬টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১৭৩

ভালো লাগে

ভালো লাগে পৃথিবীটা, সূর্যের হাসি

ভালো লাগে আকাশের মেঘ রাশিরাশি

ভালো লাগে পৃথিবীর মাঠ, নদী, বন

ভালো লাগে মানুষের প্রেমমাখা মন

 

এই মাটি, এই দেশ, সবই ভালোবাসি।

ভালো লাগে ফসলের উপচানো হাসি

ভালো লাগে ফুল, ফল, পাখির কূজন

ভালো লাগে প্রিয়জন, আত্মীয় সুজন

 

সবচেয়ে ভালো লাগে মামনির হাসি

যিনি দেন এই হাসি তাঁকে ভালোবাসি

জগতের সবকিছু তাঁর দয়া, দান

মাবুদ, মাওলা তিনি, স্রষ্টা মহান

১৬/১১/২০১৯; ৪:৩০ মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১৭৪

তোমাকেই ভালবাসি

তোমাকেই ভালবাসি, তোমাকেই চাই

তোমাকেই যেনো কাছে চিরদিন পাই

যতো থাক দুঃখ ব্যথা, তুমি আছো পাশে

দুখগুলো সুখ হয়ে হৃদয়ে তা ভাসে

 

আমার সকল সুখে পাশে থেকো তুমি

যেদিকে তাকাই দেখি, তুমি আর তুমি

তুমি ছাড়া জগতে কেউ নাই, কিছু নাই

শয়নে স্বপনে যেনো তোমাকেই কাছে পাই

 

তুমি বিনে হৃদয়, ফাঁকা মরুভূমি

জীবন ধন্য হোক, তব নাম চুমি

জীবনে মরণে শুধু তোমাকেই চাই

সুখে দুখে বারবার যেনো কাছে পাই

১৬/১১/২০১৯; ৬টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১৭৫

হাটে গেলে টের পাই আমি

উন্নয়নে ভাসছে দেশ

দাম বাড়ছে ঘন্টায় ঘন্ট্য়

উন্নয়ন তো হচ্ছে বেশ

 

দাম বাড়ছে চাল ডাল আর

তেল নুন পিঁয়াজের

দাম বাড়ছে পীর সাহেবের

বাড়তি নজর নিয়াজের

 

পিঁয়াজের দাম বাড়ছে মানে

বাড়ছে ক্রয় ক্ষমতা

দরকার হলে বাঁশও দেবে

মোদীর পরে মমতা

 

আপনি শুধু খেয়ে যান

জয় বাঙলা গেয়ে যান

১৬/১১/২০১৯; ৭টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১৭৬

বাংলাদেশটা জাপান হচ্ছ

মানুষ হচ্ছে বিত্তবান

দাম বাড়ছে সে সবেরও

যেসব আপনি নিত্য খান

 

উন্নয়নের জোয়ার বইছে

টের কি আপনি পান না?

নাকি আপনি জন্ম থেকেই

পিঁয়াজ মরিচ খান না?

 

সকাল বেলা দশ টাকা যা

বিকাল বেলায় বিশ

মরতে হলেও দিতে হবে

উন্নয়নের ফিস

 

নইলে কেমনে বুঝবেন দাদা

উন্নয়ন যে হচ্ছে

পিঁয়াজ এখন খায়না মানুষ

কার্গোতে সব পঁচছে

 

ভাতের বদল মানুষ এখন

তন্দুর রুটি খায়

কদিন পরে পাথর খেয়েও

বলবে মজা পায়

 

উন্নয়নের জুড়ি নাই

আসেন দাদা ভুঁড়ি খাই

১৬/১১/২০১৯; ৮টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১৭৭

মাসিক বেতন তিনশ টাকা

পিঁয়াজ আমি খাই না

সত্যি বলছি, বিশ্বাস করেন

ক্যাসিনোতে যাই না

 

বেতন দিয়া করিস কি

চুরি করতে শিখিস নাই?

কেমন করে বাঁচবি তবে

তুই কি আমার ঘরজামাই?

 

গেলে তুইও সম্রাট হইতি

রাজা হইতেও বাঁধা নাই

কবে যে তুই মানুষ হবি

আজো রইলি গাধা তাই

 

হারাম ছাড়া আরাম নাই

হারাম খেয়ে মক্কা যাই

এসব কি তুই দেখস নাই?

কি হয় যদি পাপ কামাই?

 

পাপের বাড়ি সাপে যায়

পাপের বড়ি বাপে খায়

১৬/১১/২০১৯; ৯টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১৭৮

আকাশে তারার দেশে

উড়ে যাই বীরের বেশে

চাঁদ শুধায় মিষ্টি হেসে

কেমন আছো ভাই

কতদিন মাটির দেশে

দেখি না বীরের বেশে

জাগে না পুষ্প হেসে

কেউ তো জেগে নাই

 

জাগে না ঘুমের পাড়া

পড়ে না কারো সাড়া

নাই কোন নাড়াচাড়া

কেউ তো জেগে নাই

সবুজাভ দেশ আছে

ফল ধরে গাছে গাছে

খাবার মানুষ নাই

 

হাসে না ফুল বালিকা

ফুটে না জুঁই মালিকা

নাই রে ভূঁই চালিকা

কেউ তো জেগে নাই?

খোঁপাতে পুষ্প গুঁজি

দেখে না বোনও খুঁজি

ভাই যে জেগে নাই

 

সকলে ঘুমের দেশে

পড়ে রয় মরার বেশে

ফাঁকে তস্কর এসে

সবই লুটে খায়

বল না কিশোর বালক

আগামী দেশের চালক

এও কি সওয়া যায়?

১৭/১১/২০১৯; ১০টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১৭৯

চাঁদে যায়

কী যে করি কন।

দেশের কথা ভাবলে আমার

মাথা করে বন

দুর্ঘটনা ঘটছে এতো

কেনো অকারণ

 

লাগছে আগুন চৈত্র ফাগুন

কিছুই মানে না

তদন্তটীম তারাও সঠিক

কারণ জানে না

 

ট্রাকের নিচে পড়ছে মানুষ

মরছে জলে ডুবে

কেউ জানে না কখন কারে

মরণ এসে ছোঁবে

 

ট্রেন যে কেনো এক্সিডেন্ট হয়

ব্রেনে ধরে না

আলেম জালেম সবাই মরে

মরলে নড়ে না

 

দুর্ঘটনার দায় নেয় না

কোনদিনই সরকারে

রেলমন্ত্রী তেলমন্ত্রী

থাকে কিসের দরকারে?

 

ডজন ডজন মন্ত্রী পালি

নিত্য খাওয়াই ঘাস

ক্যাসিনোতে বসে খেলে

রাজা উজির তাস

 

মাতাল হয়ে রাষ্ট্র চালায়

গাড়ি পড়ে খাঁদে

ওরা বলে কি মজা ভাই

পৌঁছে গেছি চাঁদে

১৯/১১/২০১৯; ৩টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১৮০

কার টাকাতে

সরকার কেনো অস্ত্র কিনে

কোন জানোয়ার মারতে?

আমার টাকায় বুলেট কিনে

আমার জীবন কাড়তে?

 

সর্দি হলে বিদেশে যাও

কার টাকাতে বলো

আমার টাকায় ফুর্তি করে

আমায় তুমি দলো

 

কার টাকাতে গাড়ি হাঁকাও

কার টাকাতে খাও

কার টাকাতে ড্রয়িংরুমে

বানাও সোনার নাও?

 

এই করেছি, সেই করেছি

করো বাহাদুরী

ব্যাংকের টাকা ট্যাংকে করে

কারা করে চুরি?

 

সবই জানি রাজা রানী

কত খাইবা রঙিন পানি?

১৯/১১/২০১৯; ৪টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১৮১

উন্নয়নের বাতাস নাকি

নুনের গায়ে লাগছে

পিঁয়াজের পর লবণ সাহেব

বাজার থেকে ভাগছে

 

পিঁয়াজ ছাড়া তরকারী খায়

ডিজিটালের সরকারে

লবণ ছাড়া খাবে এখন

দেশবাসী সব দরকারে

 

চিনি চোরা চিনিস তোরা?

প্রধানমন্ত্রী ছিল

তবু তারে চিনি চোরা

উপাধি কে দিল?

 

কে যে রহিম, কে যে রাম

কার কখন কি হয়রে নাম

সবই লেখা ভাগ্যে

যাক গে

বুঝলেন কিছু, আজ্ঞে

১৯/১১/২০১৯; ৫টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১৮২

আব্বু বলেন

আব্বু বলেন, পড়ো পড়ো

আম্মু বলেন, খাও

ভাইয়া বলেন, জীবন গড়ো

আপ্পি কন, কী চাও?

 

ফাস্টো যদি হইতে পারো

এনাম তবে মিলবে আরো

কিনে দেবো খেলনা গাড়ি

উড়োজাহাজতাও

 

দাদু বলেন, কিসসা কথা

শুনবে নাকি আরো

হাতেম তায়ীর কিসসা তুমি

নিজেই নাকি পারো?

 

তুমি এমন মানুষ হবে

করবে জগত আলো

তোমার কথা বলবে সবাই

বাসবে জগত ভালো

 

বড় পাবে সম্মান তোমার

ছোট আদর রাশি

সবাই পাবে ভালোবাসা

মুগ্ধ মধুর হাসি

২০/১১/২০১৯; ভোর ৫টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১৮৩

এদেশে আর থাকবে না

নেমকহারাম কোন

সেই ব্যাবস্থা হয়ে গেছে

কেমনে তবে শোন

 

আমার দেশের উন্নয়ন যে

সত্যি সত্যি হইছে

সারাদেশে উন্নতির যে

জোয়ার শুধু বইছে

 

সত্যি যদি বুঝতে চাও

তবে বন্ধু বাজার যাও

 

দেখবা সেথা পেঁয়াজের দাম

হইছে শত শত

সবজির দাম দফায় দফায়

বাড়ছে অবিরত

 

নিমকহারাম হইতে গেলে

নিমক কিছু লাগবে

দেশে যতো নিমক আছে

অচিরেই তা ভাগবে

 

দেশে দেখবা নিমক নাই

কেমনে খাবা নিমক ভাই?

 

নিমকহারাম হওয়ার সুযোগ

দেশে কারো থাকবে না

আন্দোলনের খাহেশ দেখবা

তখন কারো জাগবে না

 

নুনের বদল চিনি খাবে

জয় উন্নয়ন গানা গাবে

২০/১১/২০১৯; ৪টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১৮৪

দেশের মানুষ এখন নাকি

লবন ছেড়ে চিনি খায়

এসব কথা বলে বেড়ায়

যারা, যিনি বিদেশ যায়

 

অবাক এখন বিশ্ববাসী

আমেরিকা, রাশিয়া

কেমন করে করলো এটা

বিনা ভোটে আসিয়া

 

আরো কত গল্প শুনি

গল্প শুনে স্বপ্ন বুনি

 

শুনছি নোবেল নিয়া নাকি

আসবে ওরা হাসিয়া

আরো আসবে বার্মা থেকে

পাহাড়িয়া খাসিয়া

 

নুন তাড়ালে নোবেল পাই

আমার বুদ্ধির জুড়ি নাই

২০/১১/২০১৯; ৫টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১৮৫

তোমার হাতে জয়

রাত্রে ফোটে চন্দ্রতারা,

দিনে সূর্য হাসে

এভাবেই তো চিরটাকাল

ওরা ঘুরে আসে

 

কোন কালেই রাতের বেলা

সূর্য আসে না

আঁধার হলেও দিনের বেলা

তারা হাসে না

 

খোদার নিয়ম কোন কালে

পাল্টানো তো যায় না

মানুষ ধরে হায়নারা খায়

মানুষ হায়না খায় না

 

তারপরেও মানুষ বাড়ে,

হায়না কমে যায়

অথচ হায়নাগুলোই

মানুষ ধরে খায়

 

ইতিহাসের রাত এসেছে,

সামনে আছে ভোর

রাত্রি গিয়ে সকাল হলেই

সময় হবে তোর

 

ইতিহাসের চাকা গড়ায়,

সময় হাঁটে রোজ

শিয়ালগুলো গর্তে লুকায়,

যায়না পাওয়া খোঁজ

 

রাত্রি যাবে, প্রভাত হবে

তোমার কিসের ভয়

কাল সকালে দেখবে মানুষ

তোমার হাতে জয়

২০/১১/২০১৯; ৭টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১৮৬

আমার দেশে

আমার দেশটা ছবির মত নীল সবুজের হাট

মাঠে মাঠে সোনার ফসল ধান, সরিষা, পাট

আকাশ নীলের ছবি ভাসে সাগর নদী বিলে

উড়াল দিয়ে সে নীল দেখে  বিরহীনি চিলে

 

সবুজ বনে অবুঝ পাখি মনের সুখে গায়

বনের যতো সুস্বাদু ফল পশু পাখি খায়

দুপুরবেলা ফুপুর বাড়ি নূপুর পরে পায়

কার সাথেরে ছোট্টবুড়ি রোদে হেঁটে যায়

 

বিকেল বেলা খেলার মাঠে খেলে শিশুর দল

কেউবা খেলে হাডুডু আর কেউবা খেলে বল

চাঁদ সিতারা রাতে হাসেকুমুম হাসে দিনে

মানুষগুলো ডুবে থাকে ভালোবাসার ঋণে

 

ভালোবাসে বিশ্বজাহান, জন্মভূমির মাটি

ভালোবাসে দুনিয়ার এই সজ্জা পরিপাটি ভালোবাসে আপনস্বজন, ভালোবাসে মাকে

ভালোবাসে মহান প্রভু, স্রষ্টা, আল্লাহপাকে

২২/১১/২০১৯; রাত ৩টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১৮৭

হাজার টনি ঋণ

চাঁদাবাজির দিন শেষ ভাই

পিঁয়াজবাজির শুরু

লবণ বলে আমায় চিনিস?

চাপাবাজির গুরু

 

তরকারী কয় শোনো দোস্ত

আমায় নিবা সঙ্গে?

আগুন দিবো সব জিনিষে

নেচে নেচে রঙ্গে

 

চাল ডাল তো দফায় দফায়

দামটা বাড়ায় লাফায় লাফায়

আদা বলে, দাদা

বাঙালি যে কাঁদছে দেখো

এটা সুখের কাঁদা

 

আগে কাঁদতো পিঁয়াজ কেটে

এখন কাঁদে দামে

ভালোবাসা পাঠিয়ে দিলাম

ডিজিটালের খামে

 

দিন বদলের দিন

সবার ঘাড়ে তুলে দেবো

হাজার টনি ঋণ

২৩/১১/১৯সকাল ৭টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১৮৮

গরু জবাই করে খায়

যারা যারা মক্কা যায়

তারা যেন অক্কা পায়

সাহস দিলাম দোস্ত রে

মসজিদ ভাঙার খবর দিলাম

খবরটা কি চোস্ত রে

 

যা চালিয়ে ডলাই মলাই

হুজুর মানে আস্ত কলাই

যাঁতার নিচে ফেল

যতই যাবে দিন দেখিস তুই

জমবে আরো খেল

 

কোরান হাদিস জঙ্গী বই

বলে বলে পোড়াই

নামে যদিও শেখ সৈয়দ

কোরান মানি থোড়াই

 

আল্লাহ রসূল মানি না

গোবর চোনা খাই

মরে গেলে আমরাই বাছা

ইটের কবর চাই

 

নবীর পক্ষে মিছিল করলে

গুলি করে যাই

আমরা কেমন মুসলমান

এবার বুঝ ভাই

২৩/১১/২০১৯; ৫টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১৮৯

গরীবের জামা

শীত যদি পাড়ে আন্ডা

কাবু হয়ে যায় পান্ডা

কাবু হয়ে যায় বাঘ হাতি

থেমে যায় সব মাতামাতি

 

শীতের এমন ধকলে

ঘরে ফিরে যায় সকলে

পথে পথে যে জন ঘোরে

মারা যায় যে সে বেঘোরে

 

তাই তো বলি, ভাই বোন

যা বলে যাই তা তোরা শোন

শীতকে একটু আদর কর

তার সম্মানে কাপড় পর

 

যাদের কোন কাপড় নাই

তারা একটু দাঁড়া ভাই

সূর্যিমামা আয়রে আয়

গরীব শীতে কষ্ট পায়

 

মামা, ওরে মামা

তুই গরীবের জামা

২৫/১১/২০১৯; ৫টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১৯০

আমি একটা পাগল মানুষ আপনাকে কি বলি

সারাটাদিন আমি রে ভাই মনের সুখে চলি

ধমক দিলে গলি না ভাই আদর দিলে গলি

এটা জানে কামরুন এবং তার বাগানের কলি

 

আবোল তাবোল যেটাই লিখি, কষ্ট নিয়েন না

আপনার মুখটাই নষ্ট হবে, গালি দিয়েন না

আপনার মত ভালো মানুষ, এই জগতে নাই

আপনি কি আর বস্তির ছেলে গালি দিবেন ভাই?

 

দেশটাই তো নেংটা পাগলার, নেংটা কারে করি

কষ্ট পাইছেন? মাফ করে দেন, সরিরে ভাই সরি

নিজের লেখা নিজে লিখেন, আমার কথা আমি

কার লেখা যে সত্য সেটা, বলবে অন্তর্যামী

 

পাবলিক যদি বুঝতে পারে আমায় দিবে দোয়া

যদিও পাগলা এখন থাকে খাটের ওপর শোয়া

২৭/১১/২০১৯; ৩টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১৯১

পা দিয়েছো হাঁটতে প্রভু, হাত দিয়েছো ধরতে

বুকে দিলে শক্তি সাহস বীরের মতো লড়তে

ভালোবাসতে মন দিয়েছো, মুখে দিলা হাসি

তাইতো মহান প্রভু তোমায় এতো ভালবাসি

 

সুবাসভরা ফুল দিয়েছো, নাকে দিলা ঘ্রাণ

নাদুস নুদুস দেহ দিলা, দেহে দিলা প্রাণ

দন্ত দিলা মুখে প্রভু, আরো দিলা জিভ

তোমায় মনে রাখি কিনা, সঙ্গী দিলা ইভ

 

আকাশ দিলা, বাতাস দিলা, দিলা মাটি, পানি

অধম গোলাম আমরা যেনো তোমায় প্রভু মানি

যখন তুমি ডাকবে আবার, হাজির হতে হবে

থাকবে না তো কোন কিছু, শুধু তুমি রবে

 

তোমার দয়ার বর্ণনা দেই সাধ্য আমার কই

যতো ভাবি ততো প্রভু অবাক আমি হই

তবু প্রভু তোমার হুকুম, মনে কেনো রাখি না

জান্নাতের সে বাগান কেন নিজের মনে আঁকি না

২৭/১১/২০১৯; ৪টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১৯২

নিজের মেয়ে ধর্ষণ করে যে সমাজে বাপ

এখনো কি পূর্ণ হয়নি সে সমাজের পাপ?

আপন মায়ে সন্তান মারে পরকিয়ার জন্য

আর কি করলে এসমাজটা হবে নিখাঁদ বন্য?

 

চুলার তলে সাপের বাসা, গযব তবু দেখো না।

খোদার রহম কেমনে পাবা, সেটাওতো শেখো না

নষ্ট দেখে নষ্টইতো হও, ভাল হওয়ার নাম নাই

তোমার কাছে আল্লা নবীর কথার কোন দাম নাই

 

ডেঙ্গু মশা মারে নাতো, গযব মারে তোমারে

তুমি সেটা দেখো নাতো, তুমি দেখো বোমা রে

আলেম পাঠাও কারাগারে, জালিমরে দাও ক্ষমতা

তালাশ করো চকির তলে, কোথায় গেল মমতা?

 

লুচ্চারা হয় মন্ত্রী, এমপি, লুচ্চা নেতা হয়

চারিদিকে পাপের বহর, কয়টা খোদা সয়?

২৮/১১/২০১৯; রাত ২টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১৯৩

জঙ্গী

জঙ্গী ওরা জঙ্গী

যাদের হাতে পিস্তল থাকে

অস্ত্র যাদের সঙ্গী

 

যারা কেড়ে খায় জনতার রায়

জঙ্গী ওরা জঙ্গী

গণতন্ত্র যারা গুলি করে মারে

জঙ্গী ওরা জঙ্গী

 

আলেম যারা ধরে ধরে মারে

জঙ্গী ওরা জঙ্গী

যারা ধরে মারে কোরানের পাখি

জঙ্গী ওরা জঙ্গী

যারা গুলি করে হাঁটুর নিচে

জঙ্গী ওরা জঙ্গী

রাতের আঁধারে গুম করে যারা

জঙ্গী ওরা জঙ্গী

ইলিয়াস আলী নাই করে যারা

জঙ্গী ওরা জঙ্গী

আরমানকে যারা ধরে নিয়ে যায়

জঙ্গী ওরা জঙ্গী

 

জঙ্গী ওরা জঙ্গী

যাদের হাতে পিস্তল থাকে

অস্ত্র যাদের সঙ্গী

 

মিছিলে মিছিলে গুলি করে যারা

জঙ্গী ওরা জঙ্গী

যাদের চেহারায় হিংস্রতা ভাসে

জঙ্গী ওরা জঙ্গী

যাদের ভয়ে বিচারক পালায়

জঙ্গী ওরা জঙ্গী

মধ্যরাতে ভোট কাড়ে যারা

জঙ্গী ওরা জঙ্গী

 

মায়ের পেটে গুলি করে যারা

জঙ্গী ওরা জঙ্গী

খুনের নেশায় মত্ত যারা

জঙ্গী ওরা জঙ্গী

শেফালির গায়ে রক্তবসন

পরায় যারা জঙ্গী

অস্ত্রই যাদের শক্তি তারা

জঙ্গী শুধু জঙ্গী

 

জঙ্গীতে জঙ্গীতে ভরে গেছে দেশ

জনগণ এখন বন্দী

পাখির মত মানুষ মারে যারা

আঁটে হত্যার ফন্দি

জঙ্গী ওরা জঙ্গী

জঙ্গী ওরা জঙ্গী

 

যার হাত আজ খুনে লাল হয়

জঙ্গী ওরা জঙ্গী

লগিবৈঠার তান্ডবে মাতে

জঙ্গী ওরা জঙ্গী

শাপলাচত্বর রক্তে ভাসায়

জঙ্গী ওরা জঙ্গী

ধর্ষণ করে মা বোনেরে যারা

জঙ্গী ওরা জঙ্গী

ধর্ষণের যারা সেঞ্চুরী করে

জঙ্গী ওরা জঙ্গী

 

জঙ্গী ওরা জঙ্গী

যাদের হাতে পিস্তল থাকে

অস্ত্র যাদের সঙ্গী

২৯/১১/২০১৯; ৬টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১৯৪

বাঁচার জন্য খাইতে হয়

সময় মত নাইতে হয়

শ্বশুর বাড়ি যাইতে হয়

মনের সুখে গাইতে হয়

 

সেবার জন্য বাঁচতে হয়

যেমনি নাচায় নাচতে হয়

ডাকলে কাছে আসতে হয়

জগত ভালো বাসতে হয়

 

আদর যেনো সবাই পায়

রাজা ফকির সবাই খায়

যতো পায় সে আরো চায়

নিজের মাও শ্রদ্ধা চায়

 

আল্লাহ নবী ভক্তি চায়

কে কও রক্তারক্তি চায়?

তবু রক্তারক্তি হয

অযথা হয় শক্তি ক্ষয়

 

হায়রে বোকা দুনিয়া

ক্যান হলিরে খুনিয়া

২৯/১১/২০১৯; ১০টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১৯৫

সমাজটা যে যাচ্ছে কোথায়

টের কি কিছু পান না

চতুর্দিকে হাহুতাশ আর

চতুর্দিকেই কান্না

 

স্বজনহারার ব্যথা নিয়ে

কাঁদছে আপনজন

মৃতের মিছিল বাড়ছে দেশে

শুধুই অকারণ

 

আকাশ কাঁদে বাতাস কাঁদে

কাঁদে সবুজ বন

বন হারিয়ে পশুপাখি

কাঁদে আমরণ

 

কান্নাগুলো বন্যা হয়ে

যেদিন ছুটে আসবে

স্বৈরাচারের বসন সেদিন

বানের জলে ভাসবে

৩০/১১/২০১৯; রাত ২টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১৯৬

আবোল তাবোল বাবোল গাম

কামের কাম কি করিলাম?

বাতাস পেটে ভরিলাম

কিসের জন্য লড়িলাম?

 

স্বাধীন দেশে মানুষ হবে গুম।

গুলি খাবে সকাল বিকাল,

বুলেট দেবে চুম

 

মিছিল করলে চলবে গুলি,

গুলি খাবে পেটের ছাও

স্বাধীন দেশের স্বাধীন গুলি

মাগনা খাবা, আর কি চাও?

 

আইলাম গুলি খাইলাম বেশ

সাবাস স্বাধীন বাংলাদেশ

চলছে দেদার ধর্ষণও

চলছে গযব বর্ষণও

 

তোমার যখন নীতি নাই

চলবে গযব ইতি নাই

৩০/১১/২০১৯; ১১টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১৯৭

যাঁহার বুকে জমা আছে পবিত্র কোরান

তারে যদি বন্দী করে, সেকি মুসলমান?

কোরানকেও বন্দী করে কেমনে মুসলিম হয়?

কেমনে বলি তার অন্তরে আছে খোদার ভয়?

 

নাকি সেজন  ইবলিশ শয়তান কাফের নাদান

নাকি সেজন অভিশপ্ত, খোদার নাফরমান?

এসব প্রশ্ন মনের ভেতর বারবার কেনো আসে?

কোরান মাহফিল বন্ধ করে, কও কি খোদার দাসে?

 

গরুও খায়, মক্কাও যায়, পূঁজোয় গিয়ে নাচে

এদের যদি মুমীন বলো, ঈমান কি আর বাঁচে?

সেকুলারের মানে হলো খোদা, ইশ্বর নাই

তবে কেন গির্জা, মসজিদ, মন্দিরে রোজ যাই?

টুপী পড়ে ইনু সাহেব ধর্মরে কয় আফিম

আমরা যারা ধর্ম করি তবু তাদের গা হীম

৩০/১১/২০১৯; বিকাল ৪টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১৯৮

আল্লাহর হিসাব সোজা।

দেন না তিনি কারো মাথায়

অতিরিক্ত বোঝা

 

যে যা যখন চায়

সে তা তখন পায়

 

যেমন দেশের জনগণ, তেমনি হবে রাজা

যেমন চাবে তেমন পাবে তুমিও ডিম ভাজা

তুমি যদি গাঁজা খাও, রাজা খাবে গাঁজা

লুটেরাদের দেশে হবে ব্যাংক লুটেরা রাজা

 

তুমি হবা চরিত্রহীন, রাজা হবে ভালো

আঁধার দেশে রাজা কেন পাবে একা আলো?

তাইতো বলি শোন বাছা, রাজার কোন দোষ নাই

ধোড়া সাপের মস্তকে গোখরো সাপের ফোঁস নাই

 

খোদার হিসাব সোজা

রূপসীদের চুলে শুধু

থাকবে ফুল গোঁজা

৩০/১১/২০১৯; ৫টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২১৯৯

এক যে ছিল রাজার কুমার

বাজার করা জানতো না

রাজার কুমার এই দেমাগে

আল্লাহ রাসূল মানতো না

 

পিঠে যদি কিল দিত কেউ

হাউমাউ করে কানতো না

রাজার ছেলে তাই কখনো

খেলার ছলে রানতো না

 

ধান কখনো ভানতো না

কাউকে আঘাত হানতো না

শীতে কেনো কাঁথা লাগে

এটাও নাকি জানতো না

 

রাজার কুমার বড়ো হয়ে

নিজে হলো রাজা

বলল আনো মৎস্য আনাজ

সবই তাজা তাজা

 

কোরান পড়ে জঙ্গি হলে

পাবে উচিত সাজা

লাঠির ঘায়ে ভেঙ্গে দেবো

শক্তপোক্ত মাজা

 

কোত্থেকে যে আসলো উড়ে

একটা মশা তাজা

হাজার সৈন্য রইলো পড়ে

মরে গেলো রাজা

 

রাজার মন্ত্রী রাতের বেলা

খাইছে নাকি গাঁজা

বললো হেসে শ্মশানে নাও

আগে করো ভাজা

 

রাতে একটা ভোঁজ দিয়ে দাও

ডাকো কোথায় খাঁজা

সঙ্গে তাকে আনতে বলো

তিরিশ ছিলিম গাঁজা

 

যে মানেনি আল্লাহ রাসূল

এই হবে তার সাজা

কই গেলিরে যন্ত্রীদল

এবার বাদ্য বাজা

 

হায় দেমাগি রাজা।

সারা জীবন নামাজ রোজা

সবই করলি কাজা

মশার সাথে পারলি না তুই

কোথায় দাপট, যা যা

৩০/১১/২০১৯; রাত ৮টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২২০০

আল্লাহ তোমার শোকর করি

বাইশশো ছড়া লিখে

তোমার অপার রহম খোদা

এই অধমের দিকে

 

তুমিই দিলে শব্দভান্ডার

ছন্দ এবং সুর

তোমার রহম ছিল বলেই

এলাম এতো দূর

 

সব কৃতিত্ব তোমার প্রভু

সবই তোমার দান

আমি জানি তুমি মহান

কতো মেহেরবান

 

তোমার গোলাম যারা আজো

লিখছে তোমার নাম

তুমিই তাদের মোহাফেজ হও

পুরাও মনস্কাম

 

তুমি ছাড়া আর কেহ নাই

প্রভু, আপনজন

আমরা শুধু গোলাম তোমার

ওগো নিরঞ্জন

৩০/১১/২০১৯; রাত ১১টা

No comments

Powered by Blogger.