আসাদ বিন হাফিজ এর ১০০ ছড়াঃ ৩৩০১-৩৪০০

 


আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩০১

ইনসাফ করো

ইসলাম বলে, ইনসাফ করো

ইনসাফকারী সবার বড়ো

ইনসাফের এক সমাজ গড়ো

ইনসাফ ছাড়া শান্তি কোথাও নাই

ইনসাফ করলে মনে শান্তি পাই

 

বেইনসাফী করো না কেউ

বেইনসাফী ধরো না কেউ

তাতে বাড়ে অশান্তির ঢেউ

ভেবে দেখো, ওরে আমার ভাই

ইনসাফ ছাড়া শান্তি কোথাও নাই

 

ইনসাফ কমায় অশান্তি দুখ

খুলে দেখো হৃদয়ের চোখ

ইসলাম মানেই শান্তি সুখ

এই কথাতে মিথ্যা কিছুই নাই

তাইতো আমরা ইনসাফের গুণ গাই

১৯//২১ বাদ ফজর

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩০২

বেহেশতী বাতাস

সকাল বেলার মধুর বাতাস লাগাও যদি গায়ে

তখন তুমি অসুখ ছেড়ে চড়বে সুখের নায়ে

বিধান তো ইসলামের, তুমি যখন সেটা মানো

তার মানে,জেনে, না জেনে ইসলাম তুমি মানো

 

ইসলাম মানলে জাতি, ধর্ম সবাই শান্তি পায়

যেমন তাদেরতৃষ্ণা মিটে যে জন পানি খায়

এতে মানুষ বেহেশতি সুখ একটু হলেও পায়

এভাবেই তো দ্বীনের চাদর মানুষে দেয় গায়

 

ইসলাম মানে আল্লাহর দেয়া সুখে ভরা দ্বীন

ইসলাম মানলে শান্তি পায় মানুষ এবং জ্বীন

ইসলাম বলে, আমল করো,তাতেই পাবে সুখ

আমলেই তো যায়রে সেরে সবার মন-অসুখ

 

শান্তি পেতে আমল লাগে,  লাগে না ঈমান

সব মানুষের জন্য দেয়া আল্লার বিধান

আল্লাহর বিধান বুঝে নাও, হিন্দু মুসলমান

গোঁড়ামীটা ছেড়ে বুঝো কোরআনী ফরমান

১৯//২১ বাদ জোহর

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩০৩

আমি এক লজ্জাবতী

তুমিই একক অধিপতি

তুমিই একক বিশ্বপতি

তুমিই একক সর্ব পতি

তুমিই একক মহামতি

 

তুমিই স্বামী তুুমিই পতি

তুমি ঠেকাও সবার ক্ষত

তুমি বিনে নাইরে গতি

ঠিক করো মোর মতিগতি

 

ওগো আমার অধিপতি

ডাকি তোমায় দেই না যতি

তোমার কাছেই হইগো নতি

তোমার পথেই বাড়াই গতি

 

আমি তো এক লজ্জাবতী

তোমার রহম চাইগো অতি

১৯//২১ বাদ আসর

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩০৪

কবে আবার

কবে আবার ফুল বাগানে রঙ বেরঙে ফুল ফুটবে

কবে আবার প্রেম কাননে শুদ্ধ প্রেমের বান ছুটবে

কবে আবার আঁধার ধরায় আসবে নঙিন ভোর?

কবে আবার চাঁদ বলবে  এই পৃথিবী সবার, তোর

 

কবে আবার গাছে গাছে ডাকবে পাখি, শুনবো সুর

কবে আবার কাঁচের চুড়ি মাতিয়ে তুলবে অন্তপুর

কবে আবার ঝরণা নদী কলকলিয়ে গাইবে গান

কবে আবার  সুরের টানে উঠবে ভরে হৃদয় প্রাণ

 

কবে আবার ক্ষণেক্ষণে দানব মনে জাগবে  মানবতা

কবে আবার প্রভুর প্রেমে ভাঙবে সকল নিরবতা

কবে আবার মানব মনে ফুটবে প্রেমের পুষ্প, ফুল

কবে আবার ভেসে যাবে মানব মনের সকল ভুল

কবে আবার মানব মনে ঘুচবে আঁধার, মন্দ কালো

 

আমরা যখন এসব ভেবে হচ্ছি কেবল দিশাহারা

তোমরা তখন নাফরমানী করছ ববের কারা কারা

হৃদবাগানে ফুটাই আবার সুবাসমাখা প্রেমের ফুল

আল্লার কাছে কেঁদে বলি, দাওনা ভেঙে আমার ভুল

 

আলকোরানকে আঁকড়ে ধরো,এটাই দ্বীনেের মুল

তবেই তুমি সফল হবে বলেছেন নবী, প্রিয় রাসুল

২১//২১ বাদ ফজর

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩০৫

নিয়ত ও বরকত

বন্ধুরা, আমার ভালবাসা নাও

যত পারো তত কাজ করে যাও

কাজে যেন রয় সঠিক নিয়ত

তাতেই সুফল, তাতে বরকত

 

ভালবাসো এই দুনিয়া জাহান

দেখো আর গাও তাঁর গুণগান

তিনি দয়াময়, দিলেন প্রাণ

তাঁর মত আর নেই রে মহান

 

তোমার প্রতিভা তোমার জ্ঞান

তোমার ইজ্জত তোমার সম্মান

কন্ঠের সুধা সবই তাঁর দান

তিনি যে মহান,তিনি রহমান

 

যেমন নিয়ত, যেমনটা চান

সেভাবেই দেন প্রভু রহমান

প্রশংসা সব প্রাপ্য যে তাঁর

এসো গাই সবে তার গুণগান

২১ আগস্ট ২১ বাদ মাগরিব

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩০৬

পরিমিত সব কিছু

পরিমিত শ্রম আর পরিমিত রেস্ট

মনে রেখো এইটাই সবচেয়ে বেস্ট

পরিমিত ঘুম আর পরিমিত খাওয়া

সবকিছু পরিমিত, পরিমিত চাওয়া

 

কোন কিছু অতিরিক্ত, নয় ভাল নয়

অতিরিক্ত লোভীজন দুঃখী শুধু হয়

ছাড় লোভ আর ভয়,তাতে হবে জয়

কোন কিছু অতিরিক্ত, নয় আর নয়

 

পরিমিত সব হলে জীবন সুখী হয়

কম বেশী করা হলে, হবে দুখীময়

পরিমিত খাও আর পরিমিত গাও

হাত ভরে দুখ নয়, সুখ শুধু নাও

২১ আগস্ট ২১ বাদ এশা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩০৭

কী যে তোমরা করো

আমরা পড়তাম হারিকেনে, বিজলি বাতি দেখি নাই

সদাই বলবো সত্য কথা, খাতায় সিথ্যা লেখি নাই

চাঁদ কি তখন কষ্টে ছিল, সে কি তখন হাসে নাই?

কোন প্রাণীটা কওতো সেদিন বিশ্ব ভাল বাসে নাই?

 

গাছে গাছে ফুল কি তখন, আপন মনে হাসে নাই

মানুষ ছিল সহজ সরল মিথ্যা মামলায় ফাঁসে নাই

এখনো মানুষ বেঁচেই আছে, তবে খুবই কষ্টে ভাই

সবার মনেই কষ্টের নদী, কেউতো এখন সুখে নাই

 

সুখটা এখন উড়াল পাখি, খুঁজে খুঁজে পাইনা তারে

তবুও সবাই ব্যাকুল হয়ে তারেই খুঁজি বারে বারে

আমরা খেতাম হালাল খাদ্য, তোমরা হারাম খাও

খুবতো হচ্ছো আধুনিক সব, কেমন মজা পাও?

 

প্রকৃতিরে উজার করে কী যে তোমরা করো

খোদার ধরা সাবাড় করে ফুটুস ফাটুস মরো

২৩//২১ বাদ ফজর

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩০৮

সিজিল করো দাদু

সিজিল করো সিজিল করো, গুছিয়ে রাখো সব

এইতো তোমার কর্ম দাদু, এইতো তোমার জব

যতো দরকার বিশ্রাম করো, অলসতা ছাড়ো

অলসতা শত্রু সবার, বন্ধু তো নয় কারো

 

মনে রেখো, চাইলে তুমি সবই করতে পারো

মানব মনে জনে জনে ফুটুক না ফুল আরো

সময়মতো কাজ করো আর সময় মতো ঘুম

সফলতা তোমার পায়ে খাবেই খাবে চুম

 

কাজের সময় সাহস রেখো, করো প্রভুর ভয়

তবেই কুমি সফল হবে, হবেই তোমার জয়

সময় বড়ো দামী দাদু,  সময় নষ্ট করো না

সময়টাকে যত্ন করো, তারে দাদু মেরো না

 

সিজিল করো সিজিল করো, গুছিয়ে রাখো সব

এটাই তোমার কাজ গো দাদু, এটাই তোমার জব

আল্লাহ বলেন, মুসলিম না হয়ে কভু তুই মরিস না

লড়াই করিস হকের পথে,  নাহক পথে লড়িস না

২৪//২১ আগ ফজর

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩০৯

বসত ঘর

বসতঘর তো ডাস্টবিন নয, ময়লা জমা রাখবেন

আপনিওতো খচ্চর নন, ময়লা নিয়েই থাকবেন

ঘরের কোণায়, খাটের তলায় ময়লা করেন জমা

কেমনে তবে নিজকে নিজে করবেন বলেন ক্ষমা

 

এসব কাজ তো খাটাস মার্কা লোকজনেরা করে

আপনি কেমনে ময়লা জমান নিজে শোবার ঘরে

কোনো দিন যা কাজে লাগার সম্ভাবনাই নাই

তবুও তারেই জমা রাখার পিরিত কেনো ভাই

 

আলগা পিরিত করে শুধু নিজের বদনাম কামান

কাজের সময় কাজের জিনিস খুঁজে শরীর ঘামান

পরিপাটি থাকতো যদি আপনার নিজের আবাসন

দেহে থাকতো শক্তি-বল, হাসতো সবার হৃদয় মন

 

ঘরটাতো নয় ডাস্টবিন কিংবা ময়লা রাখার ঝুড়ি

বসত ঘরটা সুন্দর হলে মনটা  হয় না কুঁজো বুড়ি

২৪//২১ বাদ মাগরিব

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩১০

সুন্দর জীবন

আল্লাহর হুকুুম সবাই মানে, সাগর, আকাশ, ভূমি

আল্লাহর হুকুম ছেড়ে কোথায় সুখ যে খোঁজ তুমি

এই ধরণীর সকল কিছুই আল্লাহ আল্লাহ ডাকে

একটৃ সুখ আর শান্তির আশায় তুমি ডাকো কাকে?

 

ভুল ঠিকানায় পা দিয়েছো, ডুবে আছো ভুলে

জীবনটা কি পার করবে বসে ভুলের কূলে?

ইসলাম ছাড়া সুখ খুঁজে কোথাও তুমি পাবে না

ইসলাম বলে হালাল খাও হারাম কভু খাবে না

 

প্রশংসা সব এক আল্লাহর, ভাগ বসাতে যেও না

সুদ, ঘুষ আর নষ্ট খাবার পেলেও বান্দা খেও না

পাপ ছেড়ে দাও, মন্দ ছাড়ো, ছাড়ো  যতো ভুন

জীবন তোমার সুন্দর হবে, সুবাসিত রাঙা ফুল

২৪//২১ বাদ জোহর

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩১১

ঘুমপরী

আয় না আমার ঘুম পরী

তুই যে আমার সুখ বড়ি

গাল দুটো তোর তুলতুলে

যাচ্ছিস কোথা চুল খুলে

 

আয় না দুটো চোখ ভরে

আয় না মেঘের নায় চড়ে

স্বপ্ন আনিস দু হাত ভরে

আয় না আমার ঘুম পরী

তুই যে আমার সুখ বড়ি

 

পাহাড় সাগর দেবো পাড়ি

নাইবা থাক জাহাজ, গাড়ি

চলে যাবো রে স্বদেশ ছাড়ি

চাঁদে গিয়েই গড়বো বাড়ী

 

ঘুম পরী তুই আয় রে আয়

আলতা রঙের নূপুর পায়

মেঘের নায়ে চড়ে আয়

বীরের মতো লড়ে আয়

 

লুটিয়ে পড়ি প্রভুর পায়

ঘুমপরী তুই আয়রে আয়

২৮//২১ ৪ঃ০০ টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩১২

ডাকছি মায়

কই গেলি রে মিলন বাদল

কই গেলি রে,  কই

চিড়ার সাথে খাবি নাকি

জীবন ঘোষের দই

 

গৌরনদী অনেক দূর

যেতে লাগে এক দুপুর

যেন একটা অচিনপুর

গৌরনদী অনেক দূর

 

কেউবা যায় ঘোড়ায় চড়ে

নাইওরী যায় নৌকা ভরে

মিলন বাদল আয রে আয়

তোদের খেতে ডাকছি মায়

৩১//২১ বাদ ফজর

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩১৩

নজরে মওলার পাগলামী

আজিমপুরের একটা ছেলে নজরে মওলা নাম

কে জানতো সে কখন কি করবে আজব কাম

ঘটনাটা অনেক আগের, ভাবতে পারেন রটনা

ঢাকা শহরেই ঘটেছিল, কি সব আজব ঘটনা

 

কে যে হঠাৎ করছে ভালো, কে যে করছেে মন্দ

কর্ম দেখেও যায় না বুঝা, মনটা জুড়েই দ্বন্দ্ব

শুরু হচ্ছে এরশাদ মিয়ার সবে  নয়া শাসনকাল

কেউ বলছে ভাল ভাল, কেউ দিচ্ছে ধুমছে গাল

 

নিউ মার্কেটে এলে তখন, উদোম পেটের ললনা

সে পেটে কে রঙ মাখতো জানলে তুমি বলো না

আর্মি যখন আলকাতরা, রঙ মেখে দিতো পেটে

গাড়ি থেকে নেমেই নারীরা রাগে পড়তো ফেটে

 

নজরে মওলার চোখে যখন পড়লো এসব ঘটনা

সে দেখে আর হাততালি দেয়, নয়রে এসব রটনা

ভোর হলেই নজরে মওলা নয়াবাজার গেটে যায়

তার আজব কান্ড দেখে পষচারীও ভিরমি খায়

 

যতোই বলি এসব কি তুই, শুরু করলি পাগলামী

সে হেসে কয়, পর্দা করার হুকুমটা কি দেই আমি?

৩১//২১ বাদ জোহর

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩১৪

কাঠঠোকরা

ঠক ঠক ঠক কাঠঠোকরা

ঠোকরাতে খুব পারিস

কী করেছে বৃক্ষ কেনো

তারে ধরে মারিস?

 

শুনি, কি তোর নালিশ?

দেয়নি কাঁথা, বালিশ?

তার জন্য মারবি কেনো

ডাকতে পারিস শালিশ

 

ঠক ঠক ঠক কাঠঠোকরা

না ডেকে তুই শালিশ

নিজেই বিচার করলি কেন

তুই কি হাকীম পালিস?

 

তুই তো একটা জালিম পাখী

বৃক্ষে ঠোঁকর মারিস

পশু পাখীর কবে লাগে

নরম নরম বালিশ?

//২১ বাদ আসর

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩১৫

কবুল, কবুল

মন্দটারে মন্দ বলি

অন্ধজনকে অন্ধ বলি

গন্ধটারে গন্ধ বলি

দ্বন্দ্বটারে দ্বন্দ্ব বলি

 

কই না কিছু ভুল

ফুলকে বলি ফুল

 

সত্যটারে সত্য বলি

জমুক মনে ন্যায়ের পলি

ফুটাই মনে প্রেমের কলি

আয় না করি গলাগলি

 

ভালবাসি আল্লাহ রাসুল

তুমিও বলো, কবুল, কবুল

//২১ বাদ ফজর

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩১৬

সুখের নূপুর

হতাশার কালো মেঘ কেটে যাবে সহসাই

আলোর জোয়ার ছুটে আসবেই

আঁধারের পর্দা ছিঁড়ে আলোর ঝর্ণাধারা

তোমার হৃদয় জুড়ে ফের হাসবেই

 

তারারা তোমাকে ভাল বাসবেই

চাঁদের জোসনা কাছে আসবেই

বাতাসে ডানা মেলে মেঘপরী ভাসবেই

ঝরণা পাহাড় সাগর নদীরাও হাসবেই

 

আশার বৃষ্টি আবার অচিরেই ঝরবে

অসুন্দর তাড়াতে সবে এক হয়ে লড়বে

সুন্দর জীবন আবার নিজেরাই গড়বে

দরকার মত কোরান, হাদীসও পড়বে

 

রোদেলা দুপুরে ঘুঘু পাখি ডাকবেই

প্রিয়াও নয়নে স্বপ্নকাজল মাখবেই

মনের ময়লা এসো আগে করি দূর

ঘরে ঘরে আবার শুনি সুখের নূপুর

//২১ বাদ এশা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩১৭

আর না দাদা, আর না

পল্টনের দৃশ্য দেখে হৃদয় ফাটে কার না

পশু মারছে মানুষ ধরে, বক্ষ ফাটে কার না

গুন্ডা লীগের গুন্ডামী, খুব দেখেছি, আর না

লগি বৈঠার গুন্ডামী, খুব  দেখেছি আর না

 

লগি বৈঠার গুন্ডামী চলবে না আর এই দেশে

পশুর মত মানুষ মারা চলবেনা আর এই দেশে

ছাত্র শ্রমিক কৃষক যুবা চলরে সবাই বীর বেশে

গুন্ডা লীগের গুন্ডামী দলরে সবাই বীর বেশে

 

সন্ত্রাসীদের কান্ড দেখে, বাংলা জুড়ে কাঁদছে মায়

আয় ছুটে আয় মায়ের পুত, পশুগুলো রুখবি আয়

আগুন জ্বালা, দে জ্বালিয়ে, ভন্ডামীর সব আস্তানা

বাংলা জুড়ে চলবে ন্যায়, চলবে না আর মাস্তানা

 

আয় ছুটে আয় মুক্তিসেনা, দাসখত চুক্তি মানি না

আমরা জানি লড়াই করা,আপোস করা জানি না

গুন্ডা লীগের গুন্ডামী আর চলবে না রে এই দেশে

লগি বৈঠার গুন্ডামী, রুখবি চল আয় বীর বেশে

 

মানুষ মারার দৃশ্য দেখে হৃদয় ফাটে কার না

পশু মারবে মানুষ ধরে, আর না দাদা আর না

২০//২১ ভোর ৬ঃ০০ টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩১৮

আমরা মুসলমান

রাত পোহালে, ভোর

থমকে দাঁড়ায় চোর

বলে, কি, আলো?

আগেই ছিল, ভালো

 

কাক কালো, কালি কালো

কালো মাথার কেশ

কি দরকার আলো দিয়ে

কালোই ছিল বেশ

 

গোলেমালে তালেগোলে

হচ্ছে বাড়ি লন্ডনে

তিরিশ টাকা দিলাম তোরে

নে ওরে তুই, ভন্ড নে

 

কালো টাকা খাইতে দে

ইবলিসের গুণ গাইতে দে

পাপে আরো নাইতে দে

ঘুষের টাকা দান করমু

বেহেশত কিনে নাও ভরমু

 

জর্দা দিয়ে খামু পান

শুনুম বসে বাঈজীর গান

তবলা বাজা আলেক চান

আল্লাহ অতি মেহেরবান

তিনি সবই করবেন মাফ

কারণ আমরা মুসলমান

২৩//২১ রাত ১০. ০০ টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩১৯

সাড়া দাও

আকাশ তোমার, জমিন তোমার, তোমার চন্দ্র তারা

তোমার হুকুম পালন করে ধন্য হলো তারা,

মাওলা ধন্য হলো তারা

 

ইবলিশ হলো নাফরমান

বুঝলো না সে তোমার শান

আত্মগর্বে ইবলিশ হলো বিষবৃক্ষের চারা

বিশ্ব জুড়ে ছড়ালো সে মিথ্যা, পাপের ধারা

 

আদম এমন নাদান জাত

ময়লা দিয়ে খায়রে ভাত

আলো রেখে আঁধার খুঁজে হয়রে পাগলপারা

বুঝে না যে, ইবলিশের ধোকায় পড়ছে তারা

 

হাত পা মাথা সবই তোমার, তোমার অন্নজল

নদী নালা খাল বিল তোমার, তোমার ফুল ফল

স্বাধীনতা পেয়ে মানুষ পশু হয়ে যায়

মরে যাবে জেনেও তারা দোযখ কিনে হায়

 

মানুষ তুমি পশু তো নও, পশু কেন হও

নবীর দেয়া আল কোরআন হাত তুলে লও

বীর বাহাদুর, রাজা ফকির সকলে যায় মারা

আল কোরানের ডাকে বন্ধু দেও না তুমি সাড়া

২৭//২১ ৪ঃ০০ টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩২০

সুখ দুখ

যতো দুখ ততো সুখ

বলে হাসে শাহরুখ

সুখ যদি পেতে চাও ধৈর্য ধরো

দশ মাস দশ দিন অপেক্ষা করো

 

তারপর প্রসবের সে কি কষ্ট

তবু মার মুখে থাকে হাসি পষ্ট

যাতনার পরে হাসে কোলে চাঁদমুখ

দুনিয়াতে নেমে আসে জান্নাতি সুখ

 

দুখ নাই সুখ নাই

ডেকে ডেকে বলে যাই

দুঃখকে এসো তাই রোজ ভালবাসি

বিনিময়ে পেয়ে যাই সুখ রাশি রাশি

২৯//২১ বাদ জোহর

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩২১

এসো সবাই মানুষ হই

কোনবা দেশে বাস করি, কোনবা দেশে থাকি

কোন মুখেতে কেমন করে আল্লাহ নবী ডাকি

লক্ষ লক্ষ মুসল্লিতে মসজিদ ভরা যেই দেশে

কোন কারণে ইমামেরা জেলে বন্দী সেই দেশে

 

আলেমেরা জেলে থাকবে, ধর্ষক থাকবে বাইরে

মানুষগুলো কান্দে আমি কোনবা দলে যাইরে

চোর ডাকাত আর গুন্ডা বদমাশ, দোষী ওরা নয়

কোরআন পড়া আলেমগুলোই শুধু দোষী হয়

 

অনাচার সইতে পারে যে দেশের সব জনগণ

তাদের উচিত শহর ছেড়ে চলে যাওয়া বৃন্দাবন

আলেম থেকে জালেম হওয়া যে সমাজে ভালো

সে সমাজ ভেঙ্গে ফেল, পারলে আগুন জ্বালো

 

নইলে চলো সবাই আমরা মানুষ নামের পশু হই

আমরা করবো খুনোখুনী, হাতিরা সব পড়বে বই

শিয়াল পন্ডিত মাস্টার হবে, আমরা হবো ছাত্রসব

শিয়াল যদি পিটানি দেয়, জুড়বো আমরা কলরব

 

নইলে এসো আমরা সবাই নতুন সমাজ গড়ি

মুসলিম এবং মানুষ হই, কোরান হাদিস পড়ি

২৯//২১ বাদ মাগরিব

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩২২

থাকবে না কেউ

গুম, খুন, হত্যার , নারকীয় দেশে

কতপ্রাণ অগোচরে চলে যায় ভেসে

কত মার বুক খালি, ভাই হারা বোন

সেই দেশে বাঁচবার ফর্মূলা শোন

 

চুমু দিলে চুমু দিবি, কিল দিলে কিল

কমবেশী দিস না রে, মোটে একতিল

মনে রাখিস, গুমকারীর একটাই মাথা

তারে দিস হীম শীতে ভিজে ভারী কাঁথা

 

মারামারি করে বাছা, যদি যাস টিকে

তোর নামে জয়ধ্বনি হবে দিকে দিকে

হেরে গেলে মরে যাবি, পাবি নাতো ছাড়

পয়মাল ছাড়ে না রে, করে ছারখার

 

ভীনদেশী খুনী এসে যদি করে ঠুসঠাস

তাদেরকে দিয়ে দিস শক্ত মোটা বাঁশ

ফেলানী সিনহারা অকারণেই মরে

খুনীর পাওনা যেন মাটিতে না পড়ে

 

ইট দিলে পাটকেল দিতে হয় জানা নাই?

পাওনাটা দেয়া ভাল,, তাতে কোন মানা নাই

ঋণী থাকা ভাল নয়, দিয়ে দাও পাওনা

ওরা শুধু ভাত খায়, তুমি ভাত খাও না?

 

গুম, খুন হত্যার বধ্যভূমি

দেশেই একদিন মরবে তুমি

খুনীরাও মরবে, থাকবে না কেউ

রাজা মন্ত্রী চামচা আর সব ফেউ

৩০//২১ বাদ আছর

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩২৩

রণে চলো

বলবে কিছু? বলো, বলো

চক্ষু কেনো টলোমলো

অশ্রুতে চোখ ছলোছলো

তুষের অনল জ্বলছে বুকে

কোন কারণে বলো, বলো

 

বর্ষাজলে শ্যাওলা ভাসে, সওদাগর তাও আসে না

গোমড়ামুখো আকাশ কাঁদে, হাসতে বললে হাসে না

মনযমুনা উথাল পাথাল, ময়ূরপঙ্খী ভাসে না

সবাই শুধু মধু খোঁজে, কেউতো ভালো বাসে না

 

মনের কথা মনে থাকুক, বনের পাখি বনে

পিঁপড়া আসে কামড় দিতে অতি সংগোপনে

এসব কি আর বলা যায়

বাঁদর পাকা কলা খায়

ঘরের মানুষ ঘর ছেড়ে আজ, যাচ্ছে ছুটে রণে

 

চারদিকে আজ গুমের ভয়

এই জুলুম কি পরাণ সয়

মিছিল হলেই গুলি আসে

তাই দুটি চোখ ছলোছলো

আলেম পঁচে জেলখানাতে

তাই দুটি চোখ টলোমলো

 

বাছারে তুই জলদি আয়, তোর বাপ একা রণে য়ায়

বিষপোকাটা দেখলে তারে পিষে মারিস জোড়া পায়

 

দেশের ইজ্জত পোকা খায়

খাওয়া কি সওয়া যায়

ওরে আমার বোকা ছেলে মায়ের চোখ টলোমলো

জলদি করে আজান দে, সবাইকে বল রণে চলো

/১০/২১ বাদ জুমা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩২৪

কলজেখেকো হিন্দা

হযরত হামজার কলজেখেকো খুন পিয়াসী হিন্দা

তুমি কি জানো, সে ডাইনী, আজো আছে জিন্দা?

যত দিন যায়, তত বাড়ে তার, ছানাপোনা বিশ্বময়

ডাইনী বাড়ে, পিশাচ বাড়ে, খুনী সন্ত্রাসী নিঃস্ব নয়

 

সে পিশাচী আর কারো নয, খাস ইবলিশের ভক্ত

দুই হাতে তার অঢেল খুন, চোখে মুখ শুধুই রক্ত

জ্যান্ত লোকের ঘাড় ভেঙে পান করে সে তাজা খুন

ভাত খাইতে লবণ লাগে, খুন খাইতে লাগে না নুন

 

অক্টোবরের আটাশ তারিখ, তারে দেখবি পল্টনে

মানুষ খুনের জন্য পাগল, লগি বৈঠার বন্টনে

কী আসে যায়, মানুষ তারে, করলে শুধুই নিন্দা

খুন পিয়াসী ডাইনী নাচে, খুনিয়া শাড়ি পিন্দা

 

হিন্দা মারে জিন্দা মানুষ, কলজে ছিঁড়ে খায়

খুনিয়ারা শাড়ি পিন্দা নাচে, বুকটা চিঁড়ে খায়

শরমিন্দা সে হয় না কভু, নিন্দা যতোই করো

বাঁচতে চাইলে রক্তখেকোর কন্ঠ চেপে ধরো

/১০/২১ বাদ মাগরিব

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩২৫

সময় বড়ো কম

সময় বড়ো কম

সামনে খাঁড়া যম

হেলা ফেলায় সময় পার

করো না একদম

 

হায়াত সবার নির্ধারিত

সময় হলে মরতে হবে

বিদায় ঘন্টা উঠলে বেজে

বাড়ির পথ ধরতে হবে

 

পরীক্ষাটা দাওনি তুমি

গল্পে সময় করলে পার

ফাইনালে যে পাস করোনি

কওতো তুমি দোষটা কার

 

মরার পরে গল্প করার

সময় পাবে ঢের

যে সময়টা চলে গেল

আসবে না সে ফের

 

তাই বলছি, সময় কম

সামনে খাঁড়া যম

হেলা ফেলায় সময় পার

করো না একদম

/১০/২১ বাদ ফজর।।।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩২৬

ডাইনী বুড়ি হিন্দা

ডাইনী বুড়ি হিন্দা

আজো আছে জিন্দা

দেখো কেমন নাচ জুড়েছে

লগি বৈঠা পিন্দা

 

লোকে যদি বলে পিচাশ

হয় না শরমিন্দা

গায় মাখে না ঘৃণার থুতু

লোকের হাজার নিন্দা

 

দূর আরবের হিন্দা

আজো আছে জিন্দা

পল্টন মোড়ে দেখো নাচে

রক্তশাড়ি পিন্দা

 

উন্মাদিনী হিন্দা

পারলে তারে থাপ্পড় লাগাও

ছাড়ো অলীক নিন্দা

বেঁচে থাকলে মারবে মানুষ

পিচাশিনী হিন্দা

 

লাশের ওপর নাচবে আবার

রক্তশাড়ি পিন্দা

ডাইনী বুড়ি হিন্দা

চাই না থাকুক জিন্দা

পারলে তার বক্ষ মাঝে

শক্ত বল্লম বিন্ধা

/১০/২১ বাদ জোহর

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩২৭

জাকাত চাই

ধনীরাই হচ্ছে আরো ধনী, গরীব হচ্ছে নিঃস্ব

গরীব মারার এমন খেলা, চলে কোন বিশ্ব

নষ্ট করো তুমি খাবার, আমরা খেতে পাই না

না না না  এমন সমাজ আমরা কভু চাই না

 

যে সমাজে নিঃস্ব, এবং পথশিশু, ভিখারীরা নাই

এমন একটা সুখের সমাজ কোথায় গেলে পাই

তেমন সমাজ পেতে পারো জাকাত কায়েম হলে

রাষ্ট্রই নেবে এদের ভার, ইসলাম তো তাই বলে

 

যেমন রাষ্ট্র নিয়েছিল চার খলিফার সে জামানায়

তেমন সমাজ গড়তে হলে আয় সকলে ছুটে আয়

জাকাত যদি থাকে চালু, না খেয়ে কেউ থাকে না

তাই দুর্ভিক্ষের ছবি আর শিল্পী জযনুল আঁকে না

 

তন্ত্র মন্ত্র ছাড়ো সবাই, আল কোরআনের পথ ধরো

জাকাত গরীবের ন্যায্য হক, এর জন্য আজ লড়ো

জাকাত জাকাত জাকাত চাই আওয়াজ তোল ভাই

জাকাত ছাড়া গরীব দুঃখীর কোনই উপায় নাই

/১০/২১ বাদ এশা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩২৮

এমন সমাজ চাই

কল কারখানায় শ্রমিক ঝরায় নিজের রক্ত ঘাম

অথচ তারা পায় না খেতে, পায় না শ্রমের দাম

ধনীর দুলাল দেয়না জাকাত, রক্ত চোষা জাত

গরীব দুঃখীর জীবনে তাই, আসে না প্রভাত

 

জাকাত যদি থাকতো কায়েম

দীন হীন কেউ থাকতো না

পথশিশু, বিধবা, ইয়াতীম

কান্নার ছবিও আঁকতো না

 

এমন সমাজ গড়তে হবে, নেইরে যেথা ক্ষুধার ভয়

কান্না ভুলে মানুষ যেনো হাসতে পারে জগতময়

সে সমাজে খুঁজে দেখো, জাকাত নেয়ার লোক নাই

মানুষ থাকে  ভাই ভাই হয়ে, কারো মনে শোক নাই

 

এমন সমাজ তোমরা কেউ

ইসলাম ছাড়া পাবে না

সবাই খাবে হালাল শুধু

হারাম কেউ খাবে না

 

আল কোরানের শাসন যদি কায়েম থাকে তবে

কেউ হবে না ক্ষুধায় কাতর, বিশ্বাস করো ভবে

যে সমাজের মানুষ শুধু ডরায আল্লাহ পাকে

সে সমাজে অভাব বলো, কেমন করে থাকে?

১২/১০/২১ বাদ ফজর

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩২৯

দেশের হাল

বড়লোকে ভোজন করে, মধ্যবিত্ত খায়

গরীবেরা পায়না খেতে চক্ষু মেলে চায়

খানা দেখে টোকাই খায় চেটেপুটে হাত

মরিয়মে সালুন ছাড়া গিলে দুটো ভাত

 

ডিনার করে দিনু কাকু, ঘুষের টাকা পাইয়া

লাঞ্চ খেতে যায় সখিনা, ইন্টারপড়া মাইয়া

আসামীরা খেতে ডাকে দারগাপুলিশ রোজ

দারগাবাবু রাখেনা তার মায়ের কোন খোঁজ

 

এপার্টমেন্টের দারোয়ান, ফকির ঢুকতে দেয়না

ক্যামেরার দিক নজর তার, টাকা দিলে নেয়না

দয়ার সাগর মেম সায়েব, কুকুর পালে তিন টা

কাজের বেটি নাস্তাপেটে, পার করে সে দিন টা

 

বাসায় যাবার সময় নাই, রোজ দুপুরে খায় না

বিবি সাবে ড্রাইভার ডাকে, সাহেব গেছে চায়না

লাল পানিতে মধ্য রাতে চুমুক মারে মিস রিয়া

বয়স চল্লিশ, অঢেল বন্ধু, হয়নি আজও বিয়া

 

আগে পুলিশ পাছে পুলিশ, গাড়ি চড়ে কেডা যায়

ওভারব্রিজে বসে বসে দেশের মানুষ বাতাস খায়

১২/১০/২১ বাদ জোহর

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৩০

আয়রে তোরা আয়

পথে পথে আজো কাঁদে মানবতা হায়

সমাজটা ভাঙতে হবে, ভাঙবি কে কে আয়

আয়রে ছুটে আয়

 

দেখ তাকিয়ে এতীম কাঁদে, কাঁদে টোকাই শিশু

যাদের দুঃখে কাঁদতেন নবী, মুহাম্মদ. যিশু

তাদের কষ্ট লাঘব করতে আয়রে ছুটে আয়

সমাজটা ভাঙতে হবে, ভাঙবি কে কে আয়

আয়রে ছুটে আয়

 

দেশ বিদেশে করে বাড়ি

ব্যাঙ্কে রাখে টাকাকড়ি

ক্যাসিনোতে খেলতে কারা সিংগাপুরে যায়

দেশের ইজ্জত দেয় লুটিয়ে নয়া দিল্লীর পায়

জনগণকে ভোটের সময় কাঁচকলা দেখায়

রুখতে হবে সব দাগাবাজ আয়রে তোরা আয়

আয়রে ছুটে আয়

 

গরীব মারার হোতা ওরা, রক্ত চুষে খায়

লোভের মুলা নাকে ঝুলায় নানান বাহানায়

বড় লোকে হারাম খাওয়ার টাকা কোথায় পায়?

সবার রিজিক দিলেন খোদা, সেসব কোথা যায়

রুখতে হবে হারামখোরদের, আয়রে তোরা আয়

আয়রে ছুটে আয়

 

শয়তান আজো নাচে দেখরে খোদার দুনিয়ায়

গরীবের হক মেরে তারাই মজা করে খায়

সব ভাওতাবাজ রুখতে ওরে আয়রে তোরা আয়

যে মানে না খোদার হুকুম, রুখবি তারে আয়

আয়রে ছুটে আয়

 

পথে পথে আজো কাঁদে মানবতা হায়

সমাজটা ভাঙতে হবে, ভাঙবি কে কে আয়

আয়রে ছুটে আয়

১২/১০/২১ বাদ মাগরিব

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৩১

ভাল হবার মন্ত্র

এসো এসো নওল কিশোর, এসো সোনামনি

খোদার হুকুম মানলে খুশি হবেন কাদেরগনি

খুশি হবেন তোমার আমার স্রষ্টা, মাবুদ যিনি

চাঁদ সুরুজ গ্রহ তারা তাঁর কাছে সব ঋণী

 

এসো এসো ইসলাম জানি, ইসলাম মানি রোজ

কোরআন থেকে রবের হুকুম করি সবাই খোঁজ

কোরআন পড়ি, হাদীস পড়ি, পড়ি দ্বীনের বই

সত্য ন্যায়ের পথে চলি, হক পথে সদা রই

 

এসো এসো মন্দ রেখে ভালো যা তাই করি

সত্য, সুন্দর, কল্যাণ দিয়ে বিশ্বভুবন গড়ি

আঁকড়ে ধরি ভালো ভালোর জন্য লড়ি

ভাল হবার মন্ত্র শিখি কোরান হাদিস পড়ি

১৩/১০/২১ বাদ ফজর

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৩২

গামলা ভরা হবি

বড় লোকে ঘুমের ভেতর মরা হাতি খায়

ছোটলোকে খালি হাতে শ্বশুরবাড়ি যায়

শোনেন আজব দুনিয়ায়

যার আছে সে বেশী চায়

যার নাই সে বৃক্ষতলে নাক ডেকে ঘুমায়

 

উকুন যদি রাজা হয়, মাথার রক্ত খায়

গাধা বসে কনসার্ট করে বাঁশরী বাজায়

বক্তিমা দেয় হনুমান

বিল্লি খায় মিষ্টি পান

তেলাপোকা খাটের তলে তবলা বাজায়

 

বাঁদর দেখায় বাঁদরে নাচ, ইঁদুরে খায় ধান

কালো নোটে ফকির করে বাড়ি আলিশান

বউ পাঠিয়ে বাপের বাড়ি

মাতবর কিনে নতুন শাড়ি

গামলা ভরা জলে ভাসে নীলাকাশের চান

 

গামলায় ভাসে চন্দ্র তারা, গামলায় ভাসে রবি

গামলায় ভাসে মুক্ত আকাশ, দেখে যুগের কবি

গামলা কিন্তু আকাশ নয়

কিসের তবে মরার ভয়

রাজা রানী সাজা এখন, চোর ডাকাতের হবি

১৩/১০/২১ বাদ জোহর

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৩৩

কিল সমাচার

কিলের বদল কিল

ঢিলের বদল ঢিল

এই নীতিকে মন্দ বলে

দুষ্ট আজাজিল

 

কখনো কয়, সও

পিঠ পেতে কিল লও

বার বার কিল খেয়ে খেয়ে

শক্তপোক্ত হও

 

কিলের মজা বুঝে পাহাড়,

শাপলা ভরা বিল

রোদ বৃষ্টি যায়রে সয়ে

রাগে না একতিল

 

আবার বলে, কী?

কিল দিয়েছে ফটাস করে

কোন মারানির ঝি

মাটির তলে গেড়ে ফেল

দরকার হলে মেরে ফেল

 

বাড়াবাড়ি ভাল নয়

কোন দিন কি শয়তান কয়?

পোলা মরছে মিছিল কর

নিজেও গুলি খেয়ে মর

 

নো সওয়া, নো বাড়াবাড়ি

পাওনা থাকলে দে মিটিয়ে

মরার আগে তাড়াতাড়ি

১৪/১০/২১ বাদ জোহর

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৩৪

গাজীপুরে এলে

লাল শাপলার বিল দেখাবো

মন মুনিয়ার মিল দেখাবো

নীলাকাশে চিল দেখাবো

মায়াভরা দীল দেখাবো

গাজীপুরে এলে

সময় তোমার কেটে যাবে

পাখির সাথে খেলে

 

ডাসা পেয়ারার বন দেখাবো

সহজ সরল জন দেখাবো

ঘুঘুডাকা ক্ষণ দেখাবো

গাজীপুরে এলে

জীবন যৌবন কাটবে তোমার

দারুণ হেসেখেলে

 

শালগজারীর বন দেখাবো

মধুর জ্বালাতন দেখাবো

স্বপ্নমাখা পণ দেখাবো

গাজীপুরে এলে

পাকা কাঁঠাল খেতে ছুটবে

রসগোল্লা ফেলে

 

আম জাম লিচুর অভাব নাই

একা খাওয়ার স্বভাব নাই

মিলেমিশে খাবো

আসবে কিনা ভাবো

১৪/১০/২১ বাদ আসর

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৩৫

ধর্মদ্রোহী নিপাত যাক

পোলাহারা মা জননী দাওয়ায় বসে কাঁদে

কেউ দিও না পা ওরে, ইবলিসী ওই ফাঁদে

নাস্তিকেরা আস্তিক সেজে ধর্ম নিয়ে খেলে

ধার্মিকেরা সেই জিলিপি প্রসাদ ভেবে গেলে

 

কেউবা গ্যালে শিন্নি ভেবে, মজা করেই খায়

শয়তান রাখে কোরানটারে দেবীর রাঙা পায়

মিছিল করার উস্কানী দেয়, দাঙ্গা বাঁধায় ঘরে

সেই দাঙ্গায় ধর্মের পোলা, ফুলের মতো ঝরে

 

যায় না পূজায়, মন্ডপে মন্দিরে যে হিন্দু

সেই দুরাচার দাঙ্গা লাগায় নিতাই, শরদিন্দু

আজান হলে খোদার ঘরে যায় না যে মুমীন

দাঙ্গার হোতা ধর্ম নয়, এসব ইবলিশ বেদ্বীন

 

এবার

আস্তিক নাস্তিক খেলা হবে, ধার্মিক ছুটে আয়

দেখি, নাস্তিক কেমন করে, ধর্মের রক্ত খায়

হিন্দু মুসলিম শত্রু তো নয়, মিথ্যা দ্বন্দ্ব ভোল

ধর্মদ্রোহী নিপাত যাক, জোরসে ধ্বনি তোল

১৫/১০/২১ বাদ ফজর

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৩৬

ইসলাম জানি, ইসলাম মানি

ইসলাম জানি, ইসলাম মানি, কোরান হাদিস ঠিক

আল্লাহর বিধান মানে না রে কাফের মোনাফিক

মুসলিম যারা দাবী করো, খোদার বিধান মানো

কোরআন হাদীস পড়ে পড়ে সে বিধানটা জানো

 

এর বাইরে আর ইসলাম নাই, একীন রাখো ঠিক

দ্বীনের বাণীই সঠিক বাণী, তা, ছড়াও চতুর্দিক

পীরের কথা মান্য করো, নেতার কথাও মানো

সে কথাটা কোরআন হাদিস মত কিনা জানো

 

মিল পেলে তা মান্য করো, উল্টো হলেই বাদ

নইলে তোমার আমল ঈমান সকলি বরবাদ

তুমি শুধু বান্দা খোদার, এক আল্লাহর দাস

তার বাইরে যাবার কারো, নাইরে অবকাশ

 

ইসলাম জানি, ইসলাম মানি, কোরান হাদিস ঠিক

আল্লাহর বিধান মানে না রে কাফের মোনাফিক

১৫/১০/২১ বাদ মাগরিব

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৩৭

সাদা সাদা দীল

সাদা রঙ কাশফুল আকাশ ছুতে চায়

পথিককে হাত নেড়ে ডাকে আয় আয়

হেলে দুলে খেলা করে, মধুর হাওয়ায়

তাকে দেখে মেঘ হাসে, দূর নীলিমায়

 

সাদা সাদা মেঘ আর সাদা কাশফুল

ডেকে ডেকে বলে তুই করিসনে ভুল

মন সাদা, দীল সাদা, সাদা কর পণ

সাদা দীল পৃথিবীর হীরা কাঞ্চন

 

সাদা দীল বলে আহা আরশ কত দূর

যে আরশে ফুল পরী বাজায় নূপুর?

যে আরশে হুর পরী নাচে, গান গায়

ফুল শিশু হেঁটে যায় কচি কচি পায়

 

কাশফুল, সাদা মেঘ, সাদা দীল বলে

বল দেখি কার কথায় দুনিয়াটা চলে?

কার গুণে মুখরিত আকাশ মাটি

কার গুণে পৃথিবী হলো পরিপাটি

 

পশু পাখি ফুল সদা,  যাঁর গুণগান গায়

তাঁর গুণে হই মশগুল,আয়রে ছুটে আয়

১৬/১০/২১ বাদ ফজর

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৩৮

শত্রু চেনো আগে

শোন শোন হিন্দু মুসলিম,  শোন দিয়া মন

যার যার ধর্ম স্বাধীনভাবে করে সে পালন

এই কথাটা স্বতসিদ্ধ,  হিন্দু মুসলিম মানে

কথাটা দুর্বৃত্তরাও ভালো করেই জানে

 

তারাই করে কোরআন এবং মন্ডপ অপমান

হিন্দু মুসলিম নয়রে ওরা, সব দুর্বৃত্ত শয়তান

ওরা লাগায় দাঙ্গা এবং লুটপাট ওরাই করে

আগুন লাগায় দুষ্টচক্র  হিন্দু মুসলিম ঘরে

 

হিন্দু এবং মুসলিম দোকান লুট করে নেয় তারা

ডাকাত সেজে করে লুটপাট, গুন্ডা করে ভাড়া

হিন্দু মরে, মুসলিম মরে, গোলাগুলি ওরাই খায়

বুদ্ধি দোষে কুড়াল মারে নিজেই নিজের পায়

 

লড়াই যদি করতেই হয়, শত্রু চিনে করো ভাই

দুর্বৃত্তরা আস্ত শয়তান, ওদের কোন ধর্ম নাই

১৭/১০/২১ বাদ ফজর

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৩৯

চেষ্টা ও কেস্টা

কেস্টা

বলতে পারিস খেলার,

কোথায হবে শেষটা?

চারিদিকেই, হায়, হতাশা

গুমোট পরিবেশটা

অকারণে কুকুর কাঁদে

সঙ্গে ছাগল, মেষটা

কোন কারণে কেস্টা?

 

তবে কি সে জিতে যাবে

সফল হবে চেষ্টা?

মানবতা কান্না করবে

তার কি পাবে তেষ্টা?

জিতে যাবে ঘষেটিরা

হেরে যাবে দেশটা?

 

কী মনে হয় কেষ্টা?

দেশবাসী সব উদাসীন

দেশপ্রেমের নেই লেশটা?

মধ্য রাতে আলো নেভে

পালায় আলোর রেশটা?

বলতে পারিস কেস্টা?

কার ইশারায় এসব ঘটে

কার ইশারায় অশান্ত হয়

দেশের পরিবেশটা?

 

ঘোলাজলে মাছ কে মারে

ঝড় নাই তবু ওড়ে কেন

ডাইনী বুড়ীর কেশটা?

পুলিশ এলে বিজলী যায়?

জটিল বড় কেসটা

ভোটের আগে ভোটার ধরার

এও কী কোন চেষ্টা

বলতে পারিস কেস্টা?

 

হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা করে

ভোট গুনতে যায় লগি

আগে কিরে ইঞ্জিন চলে,

নাকি চলে বগি?

 

কেস্টা

বুঝলি কিছু শেষটা

যাচ্ছে কোথায় দেশটা?

মন্দির মসজিদ পুড়লে পুড়ুক

ক্ষমতা চাই তবু

লগি বৈঠা হার মানেনি,

মানবে না হার কভু

 

কেস্টা

এই হয়েছে শেষটা

 

১৭/১০/২১ বাদ মাগরিব

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৪০

বিড়াল মিউ মিউ কান্দে

মাছের কাটার জন্য বিড়াল মিউ মিউ কান্দে

জনগণে কাইন্দা মরে, পইড়া গেছে ফান্দে

স্বৈরাচারের কথা পাকা, জান দে তুই জান দে

উচিত কথা বলতে গেলেই তারে ধরে বান্ধে

 

হায়রে স্বাধীন দেশ

সুখেই আছো বেশ

সুখে নাইরে আমজনতা ফান্দে পইড়া কান্দে

 

কেন কান্দিস,

জিগাইলে কেউ মুখ খুলে তা কয় না

হু হু করে কান্না করে, চক্ষে পানি বয় না

কান্না করা বারণ দেশে, স্বামী গেলে চান্দে

চোখের পানি যার ঝরে, তারে ধরেই বান্ধে

 

মাছের কাটার জন্য বিড়াল মিউ মিউ কান্দে

চাল, ডাল রেখে মা এখন, শুধুই পানি রান্ধে

 

গরম পানি খাইলে খা

গেলাস গেলাস ঢাইলে খা

নইলে রাজার গুম বাহিনীর হাতে নিজের জান দে

মাছের কাটার জন্য বিড়াল তবু মিউমিউ কান্দে

১৭/১০/২১ বাদ এশা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৪১

আমের ভেতর আঁট

আমের ভেতর আঁট আঁটির ভেতর শাস

গণতন্ত্রের ভেতর স্বৈর শাসক করেন বাস

আঁটির ভেতর নরম শাস, শাসে শুধু কস

মানুষজন সেই শাসের খায়না তিতা রস

 

বাঙালীরা কাঙালী সেই রস তারা খায়

গুলি, গুম, জেল, ডান্ডা কত মজা পায়

উন্নয়নের ভর্তা খায় চোতরা পাতা দিয়া

দেশী টাকা বিদেশ নেয় সবুজ বরণ টিয়া

 

ব্যাংকটা লুটে আইটিপরা দেশী একাব্বর

দেশটা লুটে চাপাঅলা উটকো মাতাব্বর

দেশে আছে গাও গেরাম তাতে গুমের লাশ

সে লাশ খোঁজে দুঃখিনি মা শুধু বারো মাস

 

আমের ভেতর আঁট আঁটির ভেতর শাস

গণতন্ত্রের ভেতর স্বৈর শাসক করেন বাস

১৮/১০/২১ বাদ ফজর

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৪২

আয় লড়ি

আম পাতা জোড়া জোড়া

মাররে চাবুক, ছুটুক ঘোড়া

কে বলে তুই কপাল পোড়া

তুই শাহ সিকান্দর

ঝান্ডা তুলে ধর

 

ভীতুরা কেউ বাঁচে না

মরা মানুষ নাচে না

রাজা প্রজা মারা যায

বীর বাহাদুর লড়ে যায়

বুকের ভেতর সাহস ভর

পালাক ভয়, পালাক ডর

 

মরার দিনক্ষণ ঠিক করা

যায় না তারে লিক করা

সময় এলে মরতেই হয়

কী লাভ করে মরার ভয়

 

ওরে সবাই আয়রে আয়

ভাবতে গেলে সময় যায়

আয় মিছিলে, আয় লড়ি

বীরের জীবন আয় গড়ি

১৮/১০/২১ বাদ জোহর

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-;৩৩৪৩

নড়ছে ধর্মের কল

পুলিশ এলে বাত্তি নেভে

কোরান আসে উইড়া

এর মাজেজা সবাই বুঝে শিশু, যুবক, বুইড়া

 

সামনে আছে ইলেকশন

বিরোধীদল ধরতে হয়

বিরোধীরা জেলে গেলে সঙ্গে যাবে ওদের জয়

 

মাঠ চষবে সরকার,

ভোট চুরির কি দরকার?

দেখবে সবে বনবন করে ভোট বাড়ছে নৌকার

 

লাগে লাগুক দাঙ্গা আরো,

মরে মরুক পাবলিক

খেলা খেলে ওলামা লীগ, বলে আমরা তাবলীগ

 

ধর্মনিরপেক্ষ যারা,

ধর্ম নিয়ে তারা আজো খেলে

ধর্মহীনরা আশকারা পায়, ধার্মিক থাকে জেলে

 

ফাঁক তালে তো ভোটে জেতে

ধান্ধাবাজের দল

এসব কথাই বলছে এখন,  নড়ছে ধর্মের কল

১৯/১০/২১ বাদ ফজর

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৪৪

আমরা গড়বো

মুসলমানের দুই ঈদ,

রোজা এবং কোরবানী

কথাটা কোরআনের,

হাদীসেরও এই বাণী

 

ইদানিং ঈদ নিয়েও,

হইছে শুরু শয়তানী

কারা যেন নিত্য ঈদ,

করছে এখন আমদানী

 

বিশ্ন জুড়ে মুসলিম মরে

তুমি করো ঈদ

তুমি মুসলিম? নাকি তুমি

শয়তানের মুরীদ

 

মুসলিম হলে মামা তুমি

ধান্ধাবাজি ছাড়ো

ঈমানদারের বাচ্চা তুমি

মিছিল নিয়ে বাড়ো

 

সবাই তোল এক আওয়াজ

আমরা গড়বো খোদার রাজ

১৯/১১/২১ বাদ জোহর

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৪৫

হোক

যে খুনী তার ফাঁসি হোক

সে রানী বা দাসী হোক

শুভংকরের মাসী হোক

বাড়ি মক্কা, কাশী হোক

 

ফাঁসি হোক তার যে খুনী

বেঁচে যাক সে, যে গুণী

কিল দিলে সে খাক কুনি

হোক শ্রীকান্ত হোক রুনী

 

যে খুনী তার হোক ফাঁসি

তার কপালে ধিক রাশি

খোকার মুখে ফিক হাসি

সব খুনীদের হোক ফাঁসি

 

খুনীর দোসর সব খুনী

বলে গেছে সাগর রুনী

ভাবিস না তুই দেশবাসী

খুনীর ঠিকই হয় ফাঁসি

২০/১০/২১ বাদ ফজর

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৪৬

ভূতের কিল তিতা

সুখে থাকলে ভূতে কিলায়

গুণী লোকে কয়

আমার মতো বাজে পোলার

অত সুখ কি সয়?

 

তাই করছি এমন কাজ

দুঃখ যাতে হয়

জনগণে শান্তিতে নয়,

দৌড়ের ওপর রয়

 

আমার চেয়ে শয়তান যারা

তাদের মানি নেতা

তাদের শাসন কায়েম হলে

দেখি ফেরায় কে তা

 

মনে রাইখো ভূতের কিল

অনেক বেশী তিতা

সুখের চাইতে দুখেরে তাই

করলাম আমি মিতা

 

জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে?

বাড়ছে যখন বাড়ুক

বিদেশ থেকে দাদা এসে

মারলে মানুষ মারুক

 

না রে ভাই মিছিল করা, অত সহজ নয়

গুলি এসে লাগতে পারে তাই পাচ্ছি ভয়

২১/১০/২১ বাদ মাগরিব

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৪৭

মামা, আগে নামা

ভালই আছি মামা

অনুচিতের দেশে তুই, উচিত কথা থামা

সোনার চেয়ে দামী এখন কাসা পিতল তামা

তাইতো কথা কয় না এখন গামা এবং সামা

 

বাঁশের পাতা গান শোনায়, যুগের বাতাস বুঝে

কথায় কথায় হিন্দি কয়, কিয়া বলা তুম মুঝে?

শনশন শন, বনবন বন, নাটাই নিজেই ওড়ে

দেশের মানুষ টাসকি খায়, নাকি মাথা ঘুরে?

 

শোনেন বাপের শালা

মুখে মারেন তালা

নইলে বুঝবেন সুন্দরীরা বেজায় রকম কালা

বুঝবেন তখন জ্বালা

 

আপনি করবেন হুজুর হুজুর, হুজুর দেবে বাঁশ

মনে রাখবেন, নইলে আপনি হবেন মরা লাশ

 

মামা

দিনকাল খুব ভালা না, একটু মাথা ঘামা

গায়ের চামড়া বাঁচবে যদি সামলে রাখিস জামা

মামা, গদির চিন্তা থামা

গাছের আগার পেত্নিটারে টেনে আগে নামা

মামা,

নইলে দেখবি কত খারাপ

হয় কোর আমলনামা

দোহাই লাগে মামা দোহাই লাগে মামা

২৩/১০/২১ বাদ ফজর

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৪৮

বলুন তেলের জয়

কার চরকা যে কে ঘুরায়, বুঝা বড়োই দায়

উঠোনের ধান, চতুর শালিক বসে বসে খায়

যারে বলি শালিক তাড়াও, সে কি বলে আয়?

ধান খাওয়ার এইতো লগন, সময় বয়ে যায়

 

জামাই হচ্ছে জমিরুদ্দি, ছমিরুদ্দি দুধু খায়

ছমির  দুধু খাওয়া জমির শুধু দেখতে পায়

দুঃখে তাহার পরাণ ফাটে, ছমির দেখায় ডাট

জমিরুদ্দির ভাগ্যে জোটে তিন পা ভাঙা খাট

 

জামাই যখন দাওয়ায় বসে ক্ষুধার চোটে কান্দে

শাশুড়ি মা ছমির জন্য পোলাও কোরমা রান্ধে

ছমিরে খায় পোলাও ভাত, জমির পায়না বাসি

জমিরুদ্দির কথায় আমি, কও, কান্দি না হাসি?

 

পরের পোলা জবর ভালা, আঁচল ধরে হাঁটে

জামাই মিয়া পুকুর ঘাটে বসে জিভটা চাটে

জামাই মিয়ার মিষ্টি পঁচা, ছমির তেল দারুণ

মিঠাই দিয়া কি করবো, তেলের বস্তা ছাড়ুন

 

কতো লোকের কতো কথা, ওসব শুনলে হয়?

আসুন, হাসুন, ভালবাসুন, বলুন তেলের জয়

২৩/১০/২১ বাদ জোহর

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৪৯

শুভ্র জীবন গড়ো

পাখি করে কিচির মিচির, সূরুজ যখন জাগে

নামাজ পড়ার ডাক আসে তার একটু আগে

সে ডাক বলে, উঠো মুমিন,ঘুমের সময় শেষ

ঠিক তখনি উঠে দাঁড়ায় আমার বাংলাদেশ

 

শহর গাঁয়ের মুমিন বান্দা, মসজিদে যায় দলে

আল্লাহ প্রভু, আল্লাহ মহান, কন্ঠে সবাই বলে

আল্লাহ তখন বান্দার কাজে এতোটা খুশী হন

খাদ্য তালাশ করতে যাও, নিজেই তিনি কন

 

সবার রিজিক তিনিই দেন, করেন সবই দান

তাঁর সে দানের অন্ত নেই, সে দান অফুরান

ঘুষ না খেলেও ভাগ্যের খানা পাবে তুমি ঠিক

তবে তোমার নজর কেন যাচ্ছে পাপের দিক

 

ভোরের মতো শুভ্র সুন্দর, একটা জীবন গড়ো

শুভ্র জীবন গড়ার জন্য কোরান হাদীস পড়ো

২৩/১০/২১ বাদ মাগরিব

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৫০

সকাল বেলার রূপ

যে দেখেনি ভোর

পাখি ডাকা, সূর্য ওঠা

হীম শিশিরের রূপ-

সে দেখেনি পৃথিবী কত অপরূপ

 

বিহান বেলা যে উঠেনি

ফুলের রেনু যে লুটেনি

যে শোনেনি নদীর কলতান

সে দুর্ভাগা, তার কষ্টে জগত পেরেশান

 

সকাল বেলা যে জাগেনি

ভোরের হাওয়া গায় লাগেনি

যে দেখেনি ঘুমে বৃক্ষ ছিল ম্রিয়মান

সে দেখেনি পৃথিবীর রূপ কি অনির্বাণ

 

যে শোনেনি পাখির কূজন

সে চেনেনা আপন সুজন

শুনতো যদি কবুতরের বাকুম বাকুম ডাক

পৃথিবীর রূপ দেখে সে হতো যে অবাক

 

সকাল বেলার রূপ

সত্যি অপরূপ

২৪/১০/২১ বাদ ফজর

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৫১

হস্ত আছে দুইটা

আপনার মতো আমারও হস্ত আছে দুইটা

তবে কেন আমার ধন খেতে আহেন লুইটা

ভাবছেন বড় বাহাদুর

কনতো মরণ কাঁহা দূর

মাস্তানীটা বাদ দিয়া, চাল খুঁজে খান খুইটা

 

জীবন হচ্ছে কচুপাতার পানি

পটল তুলতে গেছে আপনার নানী

জানেন নাকি পরাণ পাখি কখন যাবে ছুইটা

তবে, ভুলেন কেনো আমারও হস্ত আছে দুইটা

 

আপনার বয়স কতো হবে, বারো কিংবা তেরো

এই বয়সেই পাইকা গেছেন, পড়ে গেছেন ফের

এই বয়সেই চক্ষু দুইটা

গেছে নাকি আপনার ফুইটা

জানেন নাকি কার দখলে আকাশ সাগর ভুইঁটা

 

তার হুকুমেই সব চলে, আপনিও বীর বাহাদুর

তার হুকুমে কাঁদেন হাসেন শোনেন নিজে গানের সুর

তার হুকুমের বাইরে যায় না কোন, দানব অসুর

 

রঙ্গলাল তো স্ট্রোক করে মইরা গেছে, জানেন?

কোথায় গেল গ্যাং লিড়ার, তারে ডাইকা আনেন

নয়তো সবার সৃষ্টিকর্তা, তারে এবার মানেন

 

আপনেও তো মাছ খাইছেন, মাছ রান্ধে কুইটা

আপনার লাহান আমারও হস্ত আছে দুইটা

২৪/১০/২১ বাদ এশা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৫২

মন্দ তুমি ছাড়ো

আমরা সবাই মিলেমিশেে করবো ভালো কাজ

আমরা সবাই দুনিয়ায় গড়বো  খোদার রাজ

মন্দ কাজে বাঁধা দেবো, বলবো মন্দ ছাড়ো

ভালো কাজে হাত লাগাও যে যতটা পারো

 

ভালো যদি না পারো ভাই, মন্দরে দাও বাদ

তখন বুঝবে ভালো কাজের কি যে মধুর স্বাদ

ভালো কাজে মনটা হবে নীল আকাশের চাঁদ

তারা ভরা আসমান হবে হৃদয় বাড়ির ছাদ

ভালো কিছু করার জন্য সাহস নিয়ে লড়ো

 

মন্দ ছাড়লে জীবন থেকে পাপ হয়ে যায় দূর

ভালো করলে জীবন খাতায় বাড়ে পূণ্য নূর

ভালো যদি না পারো ভাই মন্দ করা ছাড়ো

পূণ্যটুকু না হোক তবু পাপ হবে না কারো

২৮/১০/২১ বাদ জোহর

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৫৩

আরো একটা ভি চাই

জ্বি চাই দাদা, জ্বি চাই

আরো একটা ভি চাই

চিনাবাদাম? জ্বি চাই

চায়ের বদল টি চাই

 

কাজের জন্য ঝি চাই

চোরের জন্য ছি! চাই

কি চাইতে যে কী চাই?

তিরিশ টাকার ঘি চাই

 

কার জন্য যে কি চাই

ঠোঁট নড়লেও ফি চাই

জ্বি চাই দাদা, জ্বি চাই

আমার একটা ভি চাই

 

চাইতে কোন মানা নাই

লঙ্করখানায় খানা নাই

 

বাবা মরছে, নানা নাই

কারো কিছু জানা নাই

২৯/১০/২১ বাদ ফজর

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৫৪

মাতৃভূমি বাংলাদেশ

তোমরা যখন আন্ডা খাও

আমরা খাই ডিম

বড়লোকে মামলেট খায়

শীতকে বলে হীম

 

হীম কুয়াশা হীম হীম

শীতে কাবু নানু

উদলা গায়ে ব্যায়াম করে

মৃধাবাড়ির পানু

 

ঠান্ডা জলে হি হি করে

হ্যাবলা কান্ত দাস

বলে,দে মা ভাপা পিঠা

দিতে যদি চাস

 

শীত বর্ষা গ্রীষ্মমাখা

অরূপ রূপের দেশ

এই আমাদের জন্মভূমি

মাতৃভূমি বাংলাদেশ

২৯/১০/২১ বাদ আছর

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৫৫

এই দেশ সকলের

এই দেশ নয় কোন শকুনের

এই দেশ নয় কোন শৃগালের

এই দেশ সিংহের ব্যাঘ্রের

এই দেশ মায়াময় হরিণের

এই দেশ সকলের, সকলের

 

এই দেশ নয় শুধু জাফরের

এই দেশ নয় শুধু ঘষেটির

এই দেশ নয় শুধু জালেমের

এই দেশ আলেমের আলেমের

 

এই দেশ নয় শুধু কুকুরের

এই দেশ নয় শুধু শুকরের

এই দেশ হরিণের টিয়াদের

এই দেশ রায় রিয়াদের

এই দেশ সকলের সকলের

 

এই দেশ নয় পরদেশীদের

নয় কোন চাটুকার ভন্ডের

এই দেশ নয় শুধু ক্ষমতার

এই দেশ জনতার জনতার

 

এই দেশ নয় চোর ডাকাতের

এই দেশ মামাদের কাকাদের

এই দেশ কৃষকের শ্রমিকের

এই দেশ কুলি মুটে মজুরের

এই দেশ সকলের সকলের

৩০/১০/২১ বাদ ফজর

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৫৬

বুঝার শক্তি দাও

বুঝার শক্তি দাওগো মাওলা বুঝার শক্তি দাও

কোনটা ভালো কোনটা মন্দ বুঝার শক্তি দাও

মন্দটাকে পায়ে দলার শক্তি আমায় দাও

ভালোটাকে আঁকড়ে ধরার শক্তি সাহস দাও

বুঝার শক্তি দাওগো মাওলা বুঝার শক্তি দাও

 

বুঝার শক্তি দাওগো মাওলা বুঝার শক্তি দাও

কোনটা সত্য কোনটা মিথ্যা বুঝার শক্তি দাও

মিথ্যাটাকে পায়ে দলার শক্তি আমায় দাও

সত্যটাকে আঁকড়ে ধরার শক্তি সাহস দাও

বুঝার শক্তি দাওগো মাওলা বুঝার শক্তি দাও

 

বুঝার শক্তি দাওগো মাওলা বুঝার শক্তি দাও

আলো এবং আঁধার চেনার শক্তি আমায় দাও

আঁধারটাকে পায়ে পিষে মারার শক্তি দাও

আলোটাকে ছড়িয়ে দেয়ার শক্তি সাহস দাও

বুঝার শক্তি দাওগো মাওলা বুঝার শক্তি দাও

 

বুঝার শক্তি দাওগো মাওলা বুঝার শক্তি দাও

কোনটা ন্যায় কোনটা অন্যায় বুঝার শক্তি দাও

অন্যায়টাকে পিষে মারার শক্তি আমায় দাও

ন্যায়টাকে আঁকড়ে ধরার শক্তি সাহস দাও

বুঝার শক্তি দাওগো মাওলা বুঝার শক্তি দাও

৩০/১০/২১ বাদ জোহর

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৫৭

ভূতের কান্না

কে বলে ভূত নেই বাবা?

তবে যে ভূতের ভয় আছে

কে বলে ভোট নেই বাবা?

তবে যে ভোটের জয় আছে

 

দিনের ভোট যদি, রাতে হয়?

তবে কে ঠেকায় ভূতের জয়

রাতের ভোটের জয় আছে

সে জয় ঘুমায় তাল গাছে

 

চোরাই ভোটের ভয় আছে

ভয় দাদা তার ক্ষয় আছে

জয় ঘুমালে তাল গাছে

সেই জয়েরও লয় আছে

 

ভূত ভয়ে কয় ছাড়ুন ছাড়ুন

কান ধরলাম চুরি করবো না

মনে থাকবে কিলের কথা

পরের মাল আর ধরবো না

 

না না না, তিন সত্যি ভাই

ভোট চুরিতে আমি নাই

৩১/১০/২১ বাদ জোহর

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৫৮

মনের দুঃখে হাসি

মায়ের চেয়ে মাসী ভাল

মাসীর চেয়ে দাসী

গণতন্ত্রের চেয়ে ভাল

স্বৈরাচারের হাসি

 

গুমের চেয়ে গুলি ভাল

তার চে ভাল ফাঁসী

কবর দেয়ার জন্য পায়

মা-বাপ ছেলের লাশই

 

ভোটের চেয়ে লুটই ভাল

ইতরে পাক পাশই

মক্কার চেয়ে খরচ কম

যেতে গয়া কাশী

 

স্বদেশ থেকে বিদেশ ভাল

গরুর চেয়ে খাসি

তাই বিদেশে বাড়ী করতে

আমরা ভালবাসি

 

সরকার এবং বিরোধী দল

ঘুমায় পাশাপাশি

আন্দোলনের বহর দেখে

পায় রে আমার হাসি

 

কই গিয়ে তুই দেশী পাগল

করিস হাসাহাসি

তোর হাসিরচে বেশী ভাল

বুড়োবুড়ির কাশি

 

এসব কথা লিখি আর

মনের দুঃখে হাসি

হেসে হেসে সুখসাগরে

হাত পা ছেড়ে ভাসি

/১১/২১ বাদ ফজর

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৫৯

গাজীপুরের পোলা

গাজীপুরের পোলা

ডাবের পানি পেলে সে

খায় না কোকাকোলা

বড়গাঁওয়ে বাড়ি তার

দীলটা বড় খোলা

ঠিক বলিনি, ভোলা?

 

মজা করতে দোষ নাই

মরা সাপের ফোঁস নাই

হাসলে বাড়ে রোশনাই

মুক্তারপুরে বাড়ি

লাগবে একখান গাড়ি

 

একদিন পরে দিয়ে দেবো

কালিগঞ্জে বিয়ে দেবো

সবই কিন্তু নিয়ে দেবো

ইয়ে দিলে ইয়ে দেবো

 

গাজীপুরের পোলা

হয়তো আপনভোলা

কেউ ভাবে মজার ছেলে

কেউবা কামান গোলা

 

গাজীপুরের পোলা

যতোই ভাবো পাটকাঠি

আসলে তো শোলা

তিনশ টাকা তোলা

/১১/২১ বাদ জোহর

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৬০

ভুলি নাই

শহীদের স্মৃতিগুলো

আজো কেউ ভুলি নাই

মনে আছে সবকিছু

শুধু হাতে গুলি নাই

 

হাতে আছে তাজা ফুল

কারো হাতে খুলি নাই

ভালবাসা দিতে জানি

কারো চোখ তুলি নাই

 

শহীদের স্মৃতিগুলো

আজো কেউ ভুলি নাই

মনে আছে সবকিছু

কারো হাতে খুলি নাই

 

চাপ চাপ রক্ত

ভুলা বড় শক্ত

 

খুনীদের চামড়া

আজো টেনে তুলি নাই

খুনরাঙা শহীদের

কোন কথা ভুলি নাই

 

ভুলি নাই, ভুলি নাই

ভুলবো না কোনদিন

শহীদের স্মৃতিগুলো

বুক জুড়ে অমলিন

/ /২১ বাদ মাগরিব

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৬১

চাই না

নতুন যারা, লেখে ভাল

তারা ছড়ায় সোনার আলো

তেলের বোতল চায় না

হারাম খানা খায় না

 

তেলে বাড়ে ভুঁড়ি

তেলের পাগল ছুঁড়ি

গোণে উনিশ কুড়ি

তেল দিয়ে খায় মুড়ি

 

নিজের লেখা নিজে পড়ো

নিজের ভুল নিজে ধরো

ঠিক করে নাও নিজে

লাগবে মজা কী যে!

 

লাইক কমেন্টের বায়না

লেখক চুষে খায় না

তেলের বায়না ছাড়ো

এবার আগে বাড়ো

 

ওসব চায় ফকিরে

চেয়ে কেন ঠকিরে

 

তেলে জমিন পিছলা হয়

তেলে আছাড় খেতে হয়

চাই না কমেন্ট, চাই না লাইক

শ্বশুর বাড়ির চাই না বাইক

/১১/২১ বাদ এশা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৬২

সাহস নাই

নেতাগুলো খ্যাতা হলো

খ্যাতাগুলো নেতা

বকলম সব গুন্ডাগুলো

এখন দারুণ চেতা

 

দশটা হুন্ডা বিশটা গুন্ডা

এখন চালায় দেশ

শিয়াল বলে হুক্কাহুয়া

দেশ তো চলে বেশ

 

বন্দী এখন মা জননী

গদা ঘুরায় মাসি

গিন্নী মাজে হাঁড়িপাতিল

বাড়ি চালায় দাসী

 

রোমে আগুন, পুড়ছে দেশ

নিরো বাজায় বাঁশি

সবাই মুখে মারছে তালা

নইলে যে হয় ফাঁসি

 

ভানুর বউয়ের সাহস নাই

দেয় না জোরে কাশি

এমন সাহস আমারও নাই

পরাণ খুলে হাসি

/১১/২১ বাদ ফজর

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৬৩

মাগনা হাওয়া খাবি

ভোট এসেছে আরেকবার

খেলা হবে ধুন্ধুমার

জিতে যাবে বৈঠা লগি

আলু খাবে মগা-মগি

 

ভোট হবে না নিশি রাতে

ভোট হবে সব দিনে

চাকরী দেয়ার লোভ দেখিয়ে

ভোট নিব সব কিনে

 

দশ টাকা সের চাল দেবো

দশটা দেবো হুন্ডা

দিন দুপুরে ভোট টোকাবে

বিশটা সেরা গুন্ডা

 

তোদের আর ভাবনা কি

মাগনা হাওয়া খাবি

কষ্ট করে ভোটটা দিতে

কেনো কেন্দ্রে যাবি

 

আমি থাকতে ভরসা নাই

মাগনা হাওয়া রোজ বিলাই

কই কাদিরাবাতাস দে

কারো কাছে চাই না পে

/১১/২১ বাদ জোহর

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৬৪

পাপ ছাড়ে না বাপকে

কাক খাচ্ছে কাকের গোস্ত

সাপ খাচ্ছে সাপ কে

জাতির পোলা এত খারাপ

খাচ্ছে জাতির বাপ কে

 

ইচ্ছে করে ওদের ধরে

মেরে ফেলি চাবকে

ওরা বলে, দোষ কার বলো

পাপ ছাড়ে না বাপকে

 

খুনীর হাতেই খুনী মরে

যুদ্ধ ছাড়াই নিজের ঘরে

খাস বলি ভাই আপ কে

ঠাঁই দিয়ো না পাপ কে

 

যদি নিজের ভালো চাও

পাপ করা সব ছেড়ে দাও

ভয় করো অগ্নি তাপ কে

পাপ ছাড়ে না বাপকে

/১১/২১ বাদ আছর

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৬৫

আগুন জ্বালা ফারুক

জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে-- বাড়ুক

দেশের লোক মারছে টাকা- মারুক

দাম বাড়লে বেশী টাকা-- পায় কে?

সে টাকাতে মিঠায় কিনে - খায় কে

 

ওরা দেশী, বেশী বেশী, কিনে আরো খাক

দামের গুণে দেশী সবে বেশী আরাম পাক

সুখ যদি না সয় তবে খাক না মধুর চাক

মধু খেতে দেশ ছেড়ে সব বিদেশ চলে যাক

 

দাম বাড়লে সম্পদ বাড়বে, আসবে হাতে টাকা

সেই টাকাতে কিনলে গাড়ি, ঘুরবে গাড়ির চাকা

বিদেশ থেকে ইলিশ খেতে আসবে মাসী কাকা

তাদের জন্য দালান বানাও প্রাসাদ পাকা পাকা

 

দাম বাড়ছে বাড়ুক

এসব শুনে কেউ বলে না

আগুন জ্বালা ফারুক

/১১/২১ বাদ এশা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৬৬

জলময়ূরী

সাগর জলে আগুন জ্বলে, মুক্তো হীরে পান্না

ওসব দিয়েই হবে নাকি আজকে আজব রান্না

গিন্নী বলে, জলদি করে ওসব আনতে যান না

কানের কাছে ঘ্যানর ঘ্যানর গিন্নী করে তাননা

 

কিন্তু যাবো কেমন করে, জলময়ূরী কই

জলময়ূরী নীলের দেশে, অবাক চেয়ে রই

মেঘপরীরা তাকে নিয়ে খেলছে দারুণ খেলা

তারা সবাই যাচ্ছে উড়ে চড়ে মেঘের ভেলা

 

যতোই ডাকি জলময়ূরী আয় না কাছে আয়

জলময়ূরী হাত নাড়ে আর দূরে সরে যায়

জলময়ূরী যেতে যেতে বলে, শোন খোকা

যাদের তোমরা চালাক বলো, তারাই আসল বোকা

 

পাপ সায়রে সারাটা দিন সাঁতার কাটে তারা

টের পাবে ঠিক ওরা সবাই যাবে যখন মারা

পাপীর সাথে আড়ি আমার তাই তো চলে যাই

খুঁজে দেখি পূণ্যবানদের দেশ কি কোথাও পাই

 

মানুষ যদি মানুষ হয় আসবো আবার ফিরে

নয়তো বন্ধু দেখা হবে রূপ-সাগরের তীরে

/১১/২১ বাদ ফজর

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৬৭

ব্যস্ত জীবন

তোমার সাথে গল্প করবো

সময় আমার কই

এখনো তো হয়নি পড়া

কোরান, হাদিস, বই

 

খেতে বসবো সে সময়টাও

আমার এখন নাই

নেটে আছি ব্যস্ত ভীষণ

কখন খেতে যাই?

 

হয়নি আমার নামাজ পড়া

গোসলটাও বাকি

বেয়াড়া সময় বড়ো জ্বালায়

আমারে দেয় ফাঁকি

 

আরো জ্বালায় চক্ষু দুটো

চশমা পরা লাগে

সুঁইয়ের ভেতর সুতো ঢুকায়

দাদী আমার আগে

 

ফুলের সুবাস, পাখির গান

শোনার সময় কই

জোস্না দেখার মানুষ আমি

এখন তো আর নই

 

হায় রে আমার ব্যস্ত জীবন

মানুষ হবি, আয়

ইট পাথরের শহর ছেড়ে

সোনার গাঁয়ে আয়

/১১/২১ বাদ ফজর

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৬৮

সুখীজন

বাস ভাড়া বাড়ছে, লাশ ভাড়াসহ

মানুষ কি মরে গেল, জাগে সন্দেহ

মানুষ তুমি মন্দ না

শুনে হাসে চন্দনা

জেতারা কি মরে ভূত, বেঁচে নেই কেহ?

 

পৃথিবী দাপিয়ে বেড়ায় দানবের দল

মানুষের দিকে তাক, করে রাখে নল

দেহ মরে, মন মরে

সাহসের বন মরে

জেতা মানুষ মরা লাশ হয় অবিকল

 

মন্দরা বন্ধ করে, যত ভালো কাজ

শয়তানের মস্তকে শাসনের তাজ

প্রেত হাসে অট্টহাসি

মানবতা পায় ফাঁসি

পৃথিবী চষে খায় ঝানু ধরিবাজ

 

বাস ভাড়া বাড়ছে, লাশ ভাড়াসহ

তবু তুমি রাগবার মানুষ তো নহ

খাও দাও, ঘুম যাও

স্বপ্নে কি পরী পাও?

আর পাও অমৃত, যা,হাত পেতে লহ

/১১/২১ বাদ জোহর

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৬৯

নতুন চর

ঝগড়া করার সময় নাই

মিছিল করবো পরে

মিছিল করে লাভ কি বলো?

সম্রাট তাতে মরে?

 

মতিউরে গুলি খায়

দেশের মানুষ বুলি খায়

টুলির পোলা মারা যায়

কি লাভ মিছিল করে?

 

মিছিলে কি সিংহাসনের

পায়া কিছু নড়ে?

মিছিল শেষে হাউমাউ কান্না

শুনি ঘরে ঘরে

 

মিছিলের আর কাম নাই

রক্তের কি রে দাম নাই

এসি রুমে ঘাম নাই

মিছিল করিস পরে

নাটের গুরু পারলে পিটা

রাস্তায় ধরে ধরে

 

লগি বৈঠার গুন্ডা ধর

পলিথিনের বস্তায় ভর

গাঙে পড়ছে নতুন চর

পারলে চরে ফসল কর

/১১/২১ বাদ ফজর

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৭০

পাবলিক কভু হারে না

জ্বালানির দাম বাড়ে

ফালানীর দাম বাড়ে না

পাবলিক চাইলে কোন কাম

করতে বলো পারে না?

 

ইয়াহিয়া টিক্কা যায়

শাহে পরাণ ভিক্ষা চায়

স্বৈরাচারে শিক্ষা পায়

ঠেকলে পাবলিক ছাড়ে না

পাবলিক কিন্তু হারে না

 

বিলাই চোরা ইলিশ খায়

গিরস্ত তাতে মারা যায়?

যেদিন গিরস্ত সুযোগ পায়

পিটান দিতে ছাড়ে না

পাবলিক কভু হারে না

 

পাবলিক কভু হারে না

ধরলে পাবলিক ছাড়ে না

/১১/২১ বাদ জোহর

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৭১

ভয়কে করি দূর

ভয়কে করি দূর রে এবার

ভয়কে করি দূর

ভয় তাড়াতে বুকে ভরি

আল কোরানের নূর

 

চলো এবার যাই হারিয়ে

সুদূর অচিনপুর

ভয়কে করি দূর রে এবার

ভয়কে করি দূর.

 

নও বেলালের শুনি আযান

তাজা করি নিজের ঈমান

সাদা দীলে নেই ঢুকিয়ে

আনন্দ ভরপুর

ভয়কে করি দূর রে এবার

ভয়কে করি দূর

 

ভালোবাসি আল্লাহ নবী

জগত, সংসার

আল্লাহ যদি সহায় থাকেন

ভাবনা কিসের আর

 

 

বুকের ভেতর নেই ঢুকিয়ে

দয়ার সমুদ্দুর

ভয়কে করি দূর রে এবার

ভয়কে করি দূর

/১১/২১ বাদ ফজর

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৭২

ভুল যদি ফুল হয়

ভুল যদি ফুল হয়

শিক্ষার মূল হয়

যদি বলে, সাবধান

ভুল আর করো না

গুলোকে ভুল কয়

ভুল আর ধরো না

 

ভুল তখন ফুল হয়

সততার মূল হয়

মেঘনার কুল হয়

ভুল এসে ঢেকে দেয়

জীবনের পরাজয়

মানবতা হেসে ওঠে

মানুষের হয় জয়

 

ভুল বলে, শিখে নাও

আর ভুল করো না

ভুলগুলো ফেলে দাও

আর ভুল ধরো না

 

চোখ দুটো মেলে রাখো

দেখো দেশ দুনিয়া

ভুল ফেলে গান গায়

মাছরাঙা, মুনিয়া

 

বাতাসের সাথে খেলে

বৃক্ষের পাতারা

শিশুদের সাথে খেলে

বিশ্বের মাতারা

 

ভুল তবে ফুল হয়

তাজা দুলদুল হয়

তাতে চড়ে পার হও

মরুভূমি, প্রান্তর

ভুল দিয়ে ঠিক করো

দুষিত অন্তর

 

তবে ভুল ফুল হয়

নয় ভুল, শূল হয়

ভুল শুধু ভুল নয়

ভুল নাশে পরাজয়

১০/১১/২১ বাদ ফজর

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৭৩

জানে না ইউহান্না

যেই হাসলো পান্না

ফিক করে যে হেসে দিল

সুবোধ ছেলে মান্না

 

বিড়াল ছানা উঠলো হেসে

ছেড়ে সুখের কান্না

খই ফুটানো মায়ের হাসি

চুলায় মায়ের রান্না

 

হাসতে হাসতে বিষম খেল

কিশোরী ইউহান্না

সে জানেনা বাবা কেন

মিষ্টি কিছু খান না

দাদী কেন এখন আর

গলা ছেড়ে গান না

মামী কেন রাগ করে,

মামাবাড়ি যান না

জানে না ইউহান্না

 

ঘরে হাসির ফাটলো বোমা

হাসলো জরি, হাসলো সোমা

বইলো হাসির বন্যা

হাসলো হাঁসের কন্যা

 

যেই হাসলো পান্না

ফিক করে যে হেসে দিল

নাম হাসানুল বান্না

মুচকি হাসি দিয়ে বলেন

হারাম তিনি খান না

খবরটা সবাই জানে,

জানে না ইউহান্না

আর জানে না নান্না

১২/১১/২১ বাদ মাগরিব

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৭৪

মন্দ কাজ সব ছাড়ো

মন্দ কাজ সব ছাড়ো ভাই

মন্দ কাজ সব ছাড়ো

মন্দ কাজে ক্ষতি ছাড়া

লাভ হয় না কারো

 

মিথ্যা পাপ খারাপ কাজে

ক্ষতি সবার হয়

তার উপরে থাকে ভাইরে

পরকালের ভয়

 

হত্যা ধর্ষণ মারামারি

জুলুম যদি ছাড়ো

সমাজ থেকে দুঃখ ব্যথা

কমবে কিনা আরো

 

তুমিও সুখী আমিও সুখী

শান্তি আসবে দেশে

মানুষ তখন মানুষ হয়ে

চলবে বীরের বেশে

 

তোমার আমার সবার সুখ কি

বন্ধু তুমি চাও না

আর কিছু না, সেটুকু সুখ

সবাই কিন্তু পাওনা

১৩/১১/২১ বাদ ফজর

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৭৫

ভালোবাসো সব

ভালো যদি না পারো ভাই

মন্দ তুমি ছাড়ো

তোমার দ্বারা হয় না যেনো

ক্ষতি কভু কারো

 

পারলে করো ভালো কাজ

যে যতটা পারো

না পারলেও দোষ হবে না

মন্দ যদি ছাড়ো

 

তুমি যখন ভালো মানুষ

মন্দ কেনো হবে

মন্দ ছেড়ে ভাল হলে

বাসবে ভালো সবে

 

ভালোবাসো বৃক্ষ নদী

আকাশ পাখি সব

ভালোবাসো মানুষ রতন

ভালোবাসো রব

১৪/১১/২১ ভোররাত

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৭৬

ভন্ডামীটা ছাড়ো

যে যাবার সে যাবে চলে

যে আসার সে আসবে

যে কাঁদার সে কাঁদবে বসে

যে হাসার সে হাসবে

 

যার ইচ্ছে সে ফুল পাখি

দেখেই ভালবাসবে

কেউবা আবার ধরায় এসে

মন্দ পাপ নাশবে

 

ছিল, আছে, থাকবে সবাই

থাকবে মন্দ ভালো

আগের মতো থাকবে ধরায়

সাদা এবং কালো

 

কেউবা যাবে সাদার দলে

কালোর দলে কেউ

সবই থাকবে,সঙ্গে থাকবে

মন্দ ভালোর ঢেউ

 

একদল থাকবে মুমীন এবং

একদল ঈমানহীন

একদল থাকবে নাস্তিক আর

একদল খোদার দ্বীন

 

আস্তিক নাস্তিক যেটা খুশী

হতে তুমি পারো

দোহাই খোদার বন্ধু তুমি

ভন্ডামীটা ছাড়ো

১৪/১১/২১ বাদ ফজর

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৭৭

ইউহান্না

ইউহান্না গো ইউহান্না

করছো তুমি কিউ কান্না

আম্মু দুধু দেয়নি আজ

আম্মুর হাতে অনেক কাজ?

ঘর গোছানো আর রান্না

তাইতো সময় মা পান না

না, কাঁদেনা ইউহান্না

নাও দুধু খাও, নো কান্না

 

ইউহান্না গো ইউহান্না

করছো তুমি কিউ কান্না

মিউ আসেনি খেলতে তাই

চক্ষুটা কি মেলতে নাই?

নাও না নানু দুধু খাও

কয়টা চুমু আদর চাও?

না, কাঁদে না ইউহান্না

হীরা মোতি নাও পান্না

হা করতো মিষ্টি নানী

বোতলে নয় গো পানি

খাওগো নানু, খাও

দুধের সাথে মধু দিলাম

এবার মুখে নাও

 

ইউহান্না গো ইউহান্না

হাসি, না, নিউ কান্না?

১৫/১১/২১ বাদ ফজর

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৭৮

মাগো আমায়

মাগো আমায় দাও পরিয়ে যুদ্ধে যাবার সাজ

সীমান্তে মা মানুষ মারছে কুটিল যুদ্ধবাজ

মরছে আমার ভাই বোনেরা মরছে আমার বাপ

স্বাধীনতা খাচ্ছে ছিঁড়ে আজদাহা এক সাপ

আমার মাথায় দাও পরিয়ে বীর যোদ্ধার তাজ

 

মাগো আমায় দাও পরিয়ে যুদ্ধে যাবার  সাজ

সীমান্তে মা মানুষ মারছে কুটিল যুদ্ধবাজ

মরছে আহা দেশদরদী, মরছে আমার ভাই

যুদ্ধবাজেরই রক্ত আছে, রক্ত আমার নাই?

মানুষের মা লজ্জা আছে, সাপের তো নাই লাজ

 

মাগো আমায় দাও পরিয়ে যুদ্ধে যাবার  সাজ

সীমান্তে মা মানুষ মারছে দারুণ যুদ্ধবাজ

রক্তের বদল রক্ত চাই, লাশের বদল

যে করবে আমার ক্ষতি, তার হবেই সর্বনাশ

মানুষখেকো অসুর দানব পায় না কি আর কাজ?

১৬/১১/২১ বাদ ফজর

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৭৯

ডাকঘর

কিছু দূর পর পর ছিল আগে ডাকঘর

সারাদেশ জুড়িয়া

কেউ যদি হতো লাশ, কেউ যদি হতো পাশ

খবরটা পিয়নে দিত দেশ ঘুরিয়া

 

ছিল নাতো বাস ট্রেন,প্রযুক্তি ভরা ব্রেন

ডাকহরকরা যেতো ঘোড়াটিতে চড়িয়া

পথ ছিল সুনসান, ভীতি ভয় অফুরান

বাঘ কিবা হনুমান নেয় যদি ধরিয়া?

 

ছিল নাতো নেট টিভি, রং ঢং এতো বিবি

দুর্গম পথ দিতো পায়ে হেঁটে পাড়ি

চিঠি তবু নিয়ে যেতো প্রাপকের বাড়ি

 

বাড়ি বাড়ি গেট নাই, পরকিয়া ডেট নাই

করতো না মানুষ এতো বিপদের পরোয়া

ঠুসঠাস গুলি নাই, বাটপারি বুলি নাই

বিপদ তো পশু আর টুকটাক ঘরোয়া

 

মানুষেরা পশু আজ, খুনী আর ধড়িবাজ

সাদা মন সাদা দীল, সব গেছে ফুরিয়া

"ভুলোনাকো" লেখা খাম আসে না আর উড়িয়া

 

কিছুদূর পর পর আজো আছে ডাকঘর

নাই শুধু প্রেম প্রীতি অফুরান মমতা

আছে শুধু দেমাগ আর কচুপাতা ক্ষমতা

মায়া আর পাবে না, কারো দীল খুঁড়িয়া

হাতে হাতে ঘুরে দেখো মোবেলিক পুরিয়া

১৬/১১/২১ বাদ জোহর

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৮০

খলিফার কাজ

আমরা তো উম্মত সেই নবীজীর

অকাতরে বুকে নিতেন শত্রুর তীর

তায়েফের প্রান্তরে পাথরের ঢিল

খেয়েছেন তবু ক্রোধে হননি অধীর

 

ফেটে গেছে মস্তক, খুনে জামা লাল

বদ দোয়া করেননি, দেননি তো গাল

বলেছেন, হে মাবুদ ওরা বুজদীল

পাপ আর মন্দতে ভরেছে নিখিল

 

রহমান রহীম তুমি, দয়া করো দান

মাফ করে দাও ওদের, হে মেহেরবান

সে নবীর সুন্নত- দয়া, ভালোবাসা

জালিমের দুশমন, বিশ্বের আশা

 

আমরা তো নই কেউ সন্ত্রাসী, জঙ্গী

এইসব বলে যারা শয়তানের সঙ্গী

আমরা তো স্রষ্টার প্রতিনিধি ধরাতে

এসেছি চৌদিকে মানবতা ছড়াতে

 

মজলুম, অসহায়, নিপীড়িত জনতা

আমাদের কাছে চায় ভালবাসা, মমতা

দিকে দিকে যত বাড়ুক মানবতা ভক্ষক

বলে দাও, মুসলিমই মানবতার রক্ষক

 

লোভ, হিংসা, ঘৃণা দূর করে দাও সব

খলিফাকে হুকুম দিয়েছেন রব

২০/১১/২১ বাদ এশা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৮১

ভাবো রে মন, ভাবো

আসার বেলা এসে ছিলাম

যাবার বেলা যাবো

এসেই ধরায় কেঁদে ছিলাম,

বলে ছিলাম,খাবো

 

খেতে খেতে সারা জনম

করে দিলাম পার

কখন আসবে সমন আহা, রিজিক নাইরে আর

 

হঠাৎ করেই চলে যাবো,

কাঁদার সময় পাবো না

থরে থরে খাবার থাকবে,

কিছুই আমি খাবো না

 

কই যে ছিনু, কোথায় আছি,

কোনখানে ফের যাবো

সে সব কথা ওরে মন,

কখনো কি ভাবো?

 

ভাবো রে মন ভাবো

সময় হলে আজরাইলের

ঠিকই দেখা পাবো

২১/১১/২১ বাদ ফজর

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৮২

ইচিক দানা

ইচিক দানা বিচিক দানা

মায়ের ছিল মুরগী ছানা

রাখাল ছিল অন্ধ, কানা

ছানা নিল চিলে

খবর শুনে মা জননী

ব্যথা পেল দীলে

 

ইচিক দানা বিচিক দানা

দেশবাসীরা ল্যাংড়া কানা

চিলের রাজা দিলো হানা

রাখালে টোপ গিলে

সবুজ সোনার দেশটা খেল

দুই ঘাতকে মিলে

 

হেলমেট দেবে টহল এবার

চলবে জলপাই জীপ

উন্নয়নের বরশি নাচ

কার হাতে তার ছিপ

 

আসবে লরি বরশি নিয়ে

পড়শি আপন জন

বীর বাঙালি সড়ক বানায়

তাইতো সারাক্ষণ

 

ইচিক দানা বিচিক দানা

চিলেই খাবে মুরগি ছানা

২১/১১/২১ বাদ জোহর

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৮৩

সুখ থাকে মনে

লোকটাকে দেখলাম

কতকিছু শেখলাম

সেই কথা লেখলাম

অবশেষে ছড়াতে

 

লোকটার হাত নাই

লোকটার জাত নাই

লোকটার ভাত নাই

লোকটার কেউ নাই

নিদারুণ ধরাতে

 

পা নাই, হাঁটে না!

চুলদাড়ি কাটে না

তবু বুক ফাটে না

ফুটপাতে বুকপিঠে

পারে শুধু গড়াতে

 

লোকটা বিদঘুটে

তার মেয়ে ফুটফুটে

হাসে হি হি কুটকুটে

খোঁচা দিয়ে বাপ-পেট

পারে নাতো নড়াতে

 

সুড়সুড়ি লাগে পেটে

বাপ মেয়ে দুই- বেঁটে

মেয়ে যায় পায়ে হেঁটে

বাপ দেখে হাসে

কচি মেয়ে শুধু হাঁটে

কি যে অনায়াসে

 

দুইজনে খায় রুটি

আর করে খুনসুটি

হেসে হয় কুটিকুটি

চোখে আহা সুখগুলো

চিকচিক করে

এই সুখ পাবে নাতো

নাদানের ঘরে

 

সুখ কভু পায় না, না-শোকর বান্দা

সুখ কভু পায় না, যারা খায় চান্দা

সুখ কভু পায় না, যারা করে ধান্ধা

সুখ থাকে নির্লোভ মানুষের মনে

সুখ থাকে আত্মায় বুঝলে হে কনে?

২২/১১/২১ বাদ মাগরিব

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৮৪

এজতেমার পাঞ্জাবী

হেসো না ভাই হেসো না

আমার কাছে ঘেঁষো না

গিয়েছিলাম টঙ্গী

ইজতেমাতে গিয়ে আমি

হয়ে গেলাম জঙ্গী

 

কিনতে চাইলাম বাঙ্গালী

চকবাজারে পেলাম না

মারের ভয়ে সাহস করে

ইসলামপুরে গেলাম না

 

ইজতেমাতে গিয়ে দেখি

সবাই পরছে পাঞ্জাবী

বাঙ্গালী কই, বাঙ্গালী কই

সবই দেখি খান, ভাবী

 

টুপী দাড়ি পাগড়ি জুব্বা

রাজাকারের দাদা

এজতেমাতে বাঙ্গালী যায়?

যায় তো বোকা, গাধা

 

হেসো না ভাই হেসো না

কাউকে ভালো বেসো না

বেশী কাছে এসো না

সবার সাথে মেশো না

 

গেঞ্জির ভেতর বাঙ্গালী

উপরে সব পাঞ্জাবী

ডালের ভেতর গোস্ত আছে

মজা করে খান ভাবী

২৮/১১/২১ বাদ মাগরিব

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৮৫

সকিনা

বনের ভেতর ছনের ঘর

বসত করে সকিনা

বুনোফুলেই খেলে সে

ফুটবল বা হকি না

 

তারে সবাই আদর করি

ভুলেও তারে বকি না

তাতে সবার লাভই হয়

ভালবেসে ঠকি না

 

সে দেয় হাসি, শোনায় গান

সতেজ করে, সে মন প্রাণ

তার  হাসিতে হেসে ওঠে

আকাশের অই সোনার চান

 

মিষ্টি মেয়ে সকিনা

মরুভূমির জকি না

ভালোবেসে ঠকি না

তাইতো তারে বকি না

২৮/১১/২১ বাদ মাগরিব

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৮৬

মুকুলিত মুকুল

মুকুল অবশেষে ফুটেছিল

সুবাস চৌদিকে ছুটেছিল

মৌমাছি অগনন জুটেছিল

মুখরিত হয়েছিল দশদিক

ব্যাবহার ছিল তার অতিশয়

অমায়িক,আন্তরিক মানবিক

 

নব্য হাতেম ছিল দয়া আর দানে

মমতায় ভরা ছিল প্রাণ তনু মন

দিন গেছে গল্পে আনন্দ গানে

স্রষ্টা সৃষ্টির ছিলো যে আপন

 

গুণটাকে গুণ দিলে যত গুণ হয়

ততোটুকু গুণ ছিল, প্রাণ মধুময়

অমায়িক কন্ঠ ছিল সুললিত বাণী

মুকুলিত মনোরমা মমতার রাণী

 

জান্নাতের উঁচাসনে দিও তাঁরে ঠাঁই

তোমার মুকুলকে যেন মুকুলিত পাই

২৮/১১/২১ বাদ মাগরিব

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৮৭

জাতে বাঙাল

জাতে বলো বাঙ্গালী

গায়ে পরো পাঞ্জাবী

ইজতেমা যাও টঙ্গী

সেজে আসো জঙ্গী

 

হলিআর্টিজেনে তবে কারা

রাইফেল নিয়ে থাকে খাঁড়া

কার সঙ্গে করো যুদ্ধ

ওরা কি সব বুদ্ধ?

 

জঙ্গী সাজে খুনে ডাকাত

জানেনা সে ফরজ রাকাত

কারে আবার সুন্নাত কয়

কয় রাকাতে নফল হয়

 

উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে

দাজ্জাল বাদশা ছুঁড়ে মারে

যে বা যারা ইসলাম কয়

তারা সবাই জঙ্গী হয়

 

ডাকাত নূরুল জঙ্গী ভাই

নামটা নূরুল ইসলাম তাই

নাম যদি হয় শরীফ খান

যান না চলে পাকিস্তান

 

বাঙ্গালী এদেশ করছে জয়

শেখ সৈয়দ ক্যান দেশে রয়

/১২/২১ বাদ এশা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৮৮

বিজয় দিনের ছড়া

রাজাকাররা দে দৌড়, পালায় পালায়

মিত্ররা সব যুক্তি করে রেবা রাণী খায়

খুশীর চোটে বীর বাঙালি উল্লাসে লাফায়

পিন্ডি ছেড়ে দিল্লি গিয়ে অঘোরে ঘুমায়

 

বাঙালি কি খাইলি বুঝবি পেটে কামড় দিলে

সুখ শান্তি দেখবি সেদিন নিয়ে  গেছে চিলে

স্বাধীনতার মজা এখন চিল শকুনে খায়

দিল্লিদোসর হিল্লা করতে দেখরে চিনে যায়

 

হায় বাঙালি হায়

পরাণ ফেটে যায়

আমার বিজয় খামার বাড়ি

ছাগল গরু খায়

/১২/২১ বাদ ফজর

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৮৯

আবেদ আলী মোল্লা

- কার গলায় ঝোল্লা?

- আবেদ আলী মোল্লা

- কেমন সেয়ান পোল্লা?

- আগুনের গোল্লা

 

- রোজ ভোরে খায় কি?

- তিন সের ছোল্লা

- আরো কিছু চায় কি?

-চায় রসগোল্লা

 

আবেদ আলী মোল্লা

খায় রসগোল্লা

যায় নায়ে ভোল্লা

আবেদ আলী মোল্লা

 

আবেদ আলী মোল্লা

আবেদ আলী মোল্লা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৯০

দুলাভাই হই মুই

পরের বউ দেখলে আর যাইওনা নিজে আগাইয়া

পরের মাল খাবা এবার মুখোশ দিলাম লাগাইয়া

 

আগে বানছি গরুর মুখ, খাইতো পরের ঘাস

মানুষ এখন হইছে ইতর, বছরে বারো মাস

 

এইডস দিলাম তাও হয় না ভালা,

মুখে দিলাম মাক্স

স্বভাব ভালা করতে লাগলে দিবাম মাটির লাক্স

 

গতর ভরা ময়লা নিয়া আসিস না এই পাড়ে

ভুল করলে ফেরেশতাদের রদ্দা খাবি ঘাড়ে

 

পাপ ছাড়ে না বাপকে দাদা, মনে রাখিস তুই

বোন দিলে তো পরই আপন, দুলাভাই হই মুই

১০/১২/২১ বাদ মাগরিব

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৯১

বরিশালের পোলা

বরিশালের পোলা এসে

ঢাকাতে হয় ছেলে

আমরা কই, কি লাভ এমন

দুষ্ট পোলা পেলে

 

জন্মের খবর জানে পোলা

মরার খবর জানে না

মানুষ হলো খোদার বান্দা

খোদার হুকুম মানে না

 

খোদার হুকুম মানতে না চাও

খোদার জমিন ছাড়ো

নইলে তুমি আল্লাহ রসুল ভালবাসো আরো

১৫/১২/২১ বাদ ফজর

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৯২

সময় বড়ো কম

সময় বড়ো কম

হ্যা, সময় বড়োই কম

সামনে খাঁড়া যম

হেলায় খেলায় সময় নষ্ট

করো না একদম

কারণ, সময় বড়ো কম

সত্যিই, সময় বড়োই কম

 

বিজলি চমক যেমন যেমন

জীবনটাতো তেমন তেমন

এই আছে এই নাই

কোন সাহসে আমরা তবে

পাপের পথে যাই

কার কতটা কাছে আছে

কেউ কি জানো যম

সময় বড় কম

 

কচুপাতার পানি যেমন

টলোমলো করে

প্রাণপাখিটা সময় হলে

থাকে না আর ঘরে

ফুড়ুৎ করে উড়ে যায়

আরশে একদম

সময় বড়ো কম

 

মেঘ নেমে কয় ঝমারঝম

বৃষ্টি গেলে নাইরে দম

মেঘ আকাশে ওড়ে যায়

সন্ধ্যা দুপুর ভোরে য়ায়

আয়রে আমার টাট্টুঘোড়া

সোনালী টমটম

সময় বড়ো কম

সামনে খাঁড়া যম

 

বেলুন যেমন ফুলতে ফুলতে

ফুটুস করে হায়

মানুষ তেমন চলতে চলতে

ফুটুস মরে যায়

এই দেখছি, এই দেখেছি

জীবনে হরদম

সময় বড়ো কম

 

সময় বড়ো কম

সময় বড়োই কম

সামনে খাঁড়া যম

হেলায় খেলায় সময় নষ্ট

করো না একদম

১৫/১২/২১ বাদ মাগরিব

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৯৩

যেমন কর্ম তেমন ফল

যেমন কর্ম তেমন ফল

তেমন কর্ম করবো বল

 

সত্য কথা বলতে হয়

মিথ্যা পায়ে দলতে হয়

সরল পথে চলতে হয়

বাঁকা পথে জীবন ক্ষয়

 

এসো সুন্দর পথে চলি

এসো সুন্দর কথা বলি

সুখ শান্তির সঙ্গে সদা

এসো করি ঢলাঢলি

 

বদনাম কারো করতে নেই

মন্দ জিনিস ধরতে নেই

নষ্ট জীবন গড়তে নেই

পাপের পথে লড়তে নেই

 

সব শিশুরাই মানব কলি

এসো ন্যায়ের পথে চলি

আমরা হই সুবাস ফুল

ভাঙি সবার মনের ভুল

 

যেমন কর্ম তেমন ফল

তেমন কর্ম করবো বল

আমরা শিশু চলরে চল

ভালো কাজের বহাই ঢল

১৬/১২/২১ বাদ ফজর

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৯৪

মক্কা বিজয়

কুয়াশার আঁধিয়ারে

নাই নাই ভয়

শীত শেষ আসে

বসন্ত বিজয়

 

মন হাসে দীল হাসে,

হাসে অন্তর

ফুলবনে সুখে হাসে

তৃপ্ত ভ্রমর

 

ঝেরে ফেল বরাভয়

পরাজয় মানি না

বিজয়ের সৈনিক

হারত তো জানি না

 

হয়নি লড়াই যুদ্ধ

ভীত দুশমন

মক্কা বিজয়ে পায়

নতুন জীবন

 

তৃষিত বালি পায়

প্রেমের পরশ

বিশ্বে ইসলাম তাই

অনন্য সরস

১৬/১১/২১ নয়টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৯৫

কালের কন্ঠ

সুনীল আকাশ

ঢেকেছে মেঘে ভয় নেই রাহবার

মেঘ তাড়িয়ে

বসন্ত  আনবো আমরাই বারবার

 

সুনীল আকাশ

ঢেকেছে মেঘে ভয় নেই রাঁহাগীর

মেঘ তাড়াতে

শামিল হয়েছি আমরা অযুত বীর

 

ডাক দিয়েছে

লক্ষ সেনা,জাগো আরেকবার

বাংলা থেকে

তাড়াও সবাই, শোষক স্বৈরাচার

 

ডাক দিয়েছ

আলকোরান তাড়াও জুলুমবাজ

কায়েম করো

এই দুনিয়ায় মহান প্রভুর রাজ

১৭/১২/২১ বাদ আছর

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৯৬

কেমনে হতে পারলি

আম যদি না হতো মিষ্টিঁ, ঢিল দিতো কোন কালা

সম্পদ থাকলে ডাকাতের গ্রাম থেকে দূরে পালা

ওরে পালা পালা পালা

সম্পদ থাকলেই জ্বালা

সাঈদী যদি অজ্ঞ হতো কে দিত জেলে তালা

 

গুণ আছে তাই সাঈদী জেলে, নিজামী পায় ফাঁসী

ফাঁসী পায় না খান সাহেবের

তিন নম্বরের দাসী

 

দাসী নাচে মাজার ধরে

সুখ দিল না নিজের বরে

সুখের আশায় দাসী ঘুরে এখন গয়া, কাশি

 

লিচু গাছে লিচু নাই রে, তালের গাছে তাল

লগিবৈঠার জন্য তুই, আর কাটিস না খাল

কুমীর আসবে দলে দলে

তরেই খাবে ছলে বলে

সবই আমি বলবো নাকি কই থাকে পয়মাল?

 

তুই মরবি দুঃখ নাই, আমায় কেন মারলি

বাপকা বেটি এত বোকা কেমনে হতে পারলি

২৩/১২/২১ বাদ  ফজর

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৯৭

কেমন মজা

লগিবৈঠায় পিটাইলি

কত রক্ত ছিটাইলি

যত খায়েশ মিটাইলি

এবার একটু জিরা

আজরাইলরে ফিরা

 

আজরাইলরে ফিরে না

মরলে কইতর ভিড়ে না

পোলায় গদি ছিঁড়ে না

নিজেই ঝাঁইকা বয়

কবরে বাপ রয়

 

কবরে রয় আপন লাশ

বুকের ওপর কাঁচা বাঁশ

লক্ষ কর্মী, লক্ষ দাস

মজা করে চল্লিশা খায়

কেউ ডাকেনা তুইও আয়

 

কেমন মজা আপন বাড়ী

হার মানে কি বৈঠার বাড়ি?

সুখে কি বুক ফাইটা যায়

নাকি লগি হাঁইটা যায়?

২৪/১২/২১ বাদ মাগরিব

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৯৮

আর?

ওরে খোকা, শোন শোন

তোরা দুটি ভাই বোন

মিলে মিশে চলবি

হক কথা বলবি

হাসবি খেলবি পড়বি রোজ

আল্লাহর নামে করবি ভোজ

 

আল্লাহ খুশী হবেন/ হবেন হবেন হবেন

ভাল সবে কবেন/কবেন কবেন কবেন

 

মন্দ কিছু করবি না

মন্দ কিছু ধরবি না

 

আচ্ছা আচ্ছা আচ্ছা

সহি বিলকুল সাচ্চা

আর?

 

আর

গুরুর কথা শুনবি

ভালো স্বপ্ন বুনবি

হাসবি খেলবি পড়বি রোজ

ভালো মানুষ করবি খোঁজ

তাদের সাথে চলবি

ভালো কথা বলবি

২৬/১২/২১ বাদ এশা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৩৯৯

মায়ের কামনা

ওরে আমার খোকন সোনা

একটি কথা শোন

মিষ্টি মুখের চাঁদের কণা

তোরা যে ভাই বোন

 

তোরা আমার নয়নমনি

আমার জানের জান

তোদের দেখে উথলে ওঠে

বুকে খুশীর বান

 

মায়ের মনে কষ্ট দিস না

দেশকে বাসিস ভালো

সবার মনে দিস বিলিয়ে

মিষ্টি চাঁদের আলো

 

তোরা যেন হতে পারিস

সুবাসমাখা ফুল

তাকে তুলিস টেনে কেহ

চললে পথে ভুল

২৬/১২/২১ বাদ ফজর

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩৪০০

জিদ করে না ভালো শিশু

জিদ করে না ভালো শিশু

জিদ তো করে বোকারা

জিদ দেখে তো হেসে ওঠে

ভালো খুকু খোকারা

 

ভালো মানুষ বুকে জমায়

ভালবাসার আলো

বলে, তুমি হিংসা ছেড়ে

নিজেও হও ভালো

জিদতো করে যাদেব  মাথায়

কামড়ায় দুষ্ট পোকারা

 

জিদ কাজটাই বাড়াবাড়ি

শিখায় কেবল কাড়াকাড়ি

মারামারি লাগায় শয়তান

রাগ হিংসার ধোকারা

 

সবাই মিলে চলতে হয়

ভালো কথা বলতেহয়

পঁচা কথা বলে শুধু

পঁচা পঁচা বোকারা

জিদ করে না ভালো শিশু

ভালো খুকু খোকারা

২৭/১২/২১ বাদ ফজর


No comments

Powered by Blogger.