আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়াঃ ৩০৭৬-৩০৯৯
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩০৭৬
ফাঁকা বুলি, টিকাটুলি
বিড়াল যখন বিল্লি হয়
রাজধানী তার দিল্লি হয়।
বিড়াল বলে, মেও
ইলিশ যা পাও, দেও।
পদ্মার ইলিশ বদ্দা খায়
নায়ের ইলিশ দিল্লি যায়।
ইলিশ খাওয়ায় পাক্কা সে
শেখ ফরিদের কাক্কা সে।
আমরা খাই ফাঁকা বুলি
শুয়ে বসে টিকাটুলি।
১/২/২১। ৩ টা।
ইনু মিনু
ইনু চালায় হিনো গাড়ি
মিনু বসে দেখে
কয়টা পেল নোবেল প্রাইজ
বসে বসে লেখে।
টিকা কেনায় আরেকটা প্রাইজ
পাওনা হলো দাদা
যে পেয়েছে টেন্ডার সে তো
বখরা দেবে আধা।
দোস্তের স্টক খালি হলো
করোনার কি গুণ
আলু ভর্তায় আমি দিলাম
একটুখানি নুন।
এই কারণে আরেকটা প্রাইজ
পাইতে পারি আমি
বোম্বে থেকে এমন খবর
দিল হঠাৎ মামী।
১/২/২১। ৪ঃ০০ টা।
বোম্বে হবে ভোর
পাকু গেল টাকু মাথায়
ভাকু এলো দেশে
নেকড়ে যেন গরু-ঘরে
পরাণ বন্ধুর বেশে।
বাপ দিয়েছে বাঁধন খুলে
মা দিয়েছে তালি
সখিরে দেখ কান ও গলা
সবই আমার খালি।
বাংলাদেশের মাটি সোনা
সোনার চেয়ে দামী
যতো দিবি ততো নেবো
'না' করবো
না আমি।
দিল্লি থেকে বিল্লি আসে
পরাণ বন্ধুর বেশে
দন্ত দেখায় পরাণ খুলে
মিষ্টি মধুর হেসে।
বলে, ওরে আর ভাবিস না
আমি আছি তোর
করাচিতে সন্ধ্যা নামবে
বোম্বে হবে ভোর।
১/২/২১। ৭ঃ০০ টা।
ম থেকে মা হয়
ম থেকে মা হয়
মা থেকে মামা।
জ থেকে জান্নাত
আর লাল জামা।
ট থেকে টিকটিকি
করে টিক টিক
ক থেকে কোরানের
কথা ঠিক ঠিক।
চ থেকে চলো যাই
চাঁদটাকে ধরি
ব থেকে বীর বেশে
দেশটাকে গড়ি।
২/২/২১। ১০ঃ ০০ টা।
আলোর প্রভাত
ইয়া আল্লাহ, কবুল করো এই মুনাজাত
আমাদের গাজী করো, দাও শাহাদাত।
দাও দাও আমাদের দাও খেলাফাত
আবার দেখাও আল্লাহ মহা কুদরাত।
আমাদের সাধ্য নেই পিঁপড়াকে মারি
তোমাকেই ভুলে গিয়ে, করি বাহাদুরি।
কোরানকে আঁকড়ে ধরি নাই হিম্মত
অথচ দাবী করি প্রিয় নবীর উম্মাত।
দেশে দেশে মার খাই কোরানকে ছেড়ে
কোরআনের পাতা তবু দেখি না নেড়ে
পথহারা মুসাফির ঘুমে কাটে রাত
দাও দাও প্রভু দাও আলোর প্রভাত।
২/২/২১। ৪ঃ০০ টা।
মন্টু ঝন্টু দুই ভাই
মন্টু ঝন্টু দুই ভাই
তাদের কোন ঘর নাই
থাকে ফুটপাতে
হীম হীম রাতে।
ঝন্টু বলে মন্টু ভাই
একটা গেটও খোলা নাই
খোলা যদি পাইতাম
সিঁড়ির তলে যাইতাম।
মন্টু বলে ঝন্টু ভাই
শহরে গাছতলা নাই
গাছতলা যদি যাইতাম
একটু আরাম পাইতাম।
গাছতলা নাই সিঁড়ি নাই
দেশে আবুল বিড়ি নাই
কই যে এখন যাই
এত কষ্ট পাচ্ছি ভাই
মা মরেছে তাই।
মা তো এখন চান্দে
বসে বসে কান্দে।
চান্দের বুড়ি অবেলায়
বসে বসে মোয়া খায়।
মায়ের কথা বাদ দে
আমার হাতে হাত দে
জড়িয়ে ধর আমার গা
জারে রে ক চলে যা।
কুত্তা যদি হইতি ভাই
সিঁড়ির তলে রইতি ভাই।
২/২/২১। ৫টা
হাতির ইচ্ছাপূরণ
হীম কুয়াশা হীম হীম
মোরগে খায় ঘোড়ার ডিম
হাতি পিন্দে লালশাড়ি
শীতে যাবে কার বাড়ি?
শ্বশুড়বাড়ি যেতে চায়
শীতের পিঠা খেতে চায়
খেজুর তলে কাঁটা
হাতি বলে টা টা।
হাতির ছেলে তাঁতীর বাড়ি
খাতির করে কয়
একটা চাদর দে বানিয়ে
শীতকে করি জয়।
নইলে যাবো গহীন বনে
চুপি চুপি সংগোপনে
এই ইরাদা মনে মনে
কে লড়ে ভাই শীতের সনে।
২/২/২১। ৮টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩০৮৩
মাঝে মাঝে মনে হয়
মাঝে মাঝে মনে হয়।
মাঝে মাঝে মনে হয়
কিছু কথা বলে যাই
দেশ ছেড়ে চলে যাই
মাফিয়ারে ডলে যাই
এয়ারপোর্টে বসে খাই
চিপস আর ফান্টা
বিদেশের বাতাসে
গিয়ে বাঁচাই জানটা।
মাঝে মাঝে মনে হয়।
মাঝে মাঝে মনে হয়
কেউ নেই সদাশয়
পৃথিবীটা হোক লয়
গরীবের হোক জয়
আর কোন নাই ভয়
এক হাতে টিপে মারি
দুরাচার জান্তা
যেইভাবে টিপে খাই
মরিচ আর পান্তা
মাঝে মাঝে মনে হয়।
মাঝে মাঝে মনে হয়
আসাদের লাল সার্ট উড়িয়ে
জালিমের গদীটাকে গুড়িয়ে
মিসমার করে ফেলি পুড়িয়ে
এনে দেশটাতে খেলাফত
এনে দেই ইসলামী হুকুমত
দূর করে দেই ভুল ভ্রান্তি
এনে দেই ঘরে ঘরে শান্তি।
২/২/২১। ১০টা
ফেব্রুয়ারি এলে
ফেব্রুয়ারি এলে
যদি নামে পথে কয়টা দুঃসাহসী ছেলে
স্বৈরাচারে যায় পালিয়ে নিজের গদী ফেলে।
ফেব্রুয়ারি এলে
শিকল ছিঁড়ে পথে নামে মায়ের দামাল ছেলে
দেশটাতে ফের আনে শান্তি নিজের রক্ত ঢেলে।
ফেব্রুয়ারি এলে
আবার নামে পথে কয়টা মুক্তিপাগল ছেলে
ভয় তাড়িয়ে ওরা তখন রক্ত খেলা খেলে।
ফেব্রুয়ারি এলে
কিশোর যুবক পথে নামে রক্ত চক্ষু মেলে
গদীলোভী শেয়াল পালায় মুখের খাবার ফেলে।
ফেব্রুয়ারি আয়
মায়ের ছেলে মাকে বলে মিছিল করতে যায়
ছেলের পথে তাকিয়ে থাকে উদাস চোখে মায়।
৩/২/২১। ৭ঃ০০ টা।
তোর কি তাতে
চুরি করলে আমি করছি
তুইতো চুরি করোস নাই
যে কলেজে আমি পড়ছি
তুইতো তাতে পড়োস নাই।
চুরির মাল আমি ধরছি
তুইতো সে মাল ধরোস নাই
টাকার পাহাড় আমি গড়ছি
তুইতো পাহাড় গড়োস নাই।
ফকিন্নির পো তোর কি তাতে
তোরে কইছি কইতে
আমার পাপ আমারই থাক
তোরে কইছি লইতে।।
ভালা মাইনষের ছাও
কেনে মরবার চাও
কি লাভ ফিরলে হুশ
যখন শোনবা ঠুস?
৩/২/২১।১টা
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৩০৮৬
হনুমানের বাচ্চা
এই দেশটা চোর ডাকাতে ভরা।
মানুষ খুঁজতে গিয়ে দাদা
খাইছি আমি ধরা।
কনতো কি আর করা?
মানুষ দেখতে রাজধানীতে
এলাম চড়ে নায়
মিন্টু রোডে কাউয়া বিড়াল
দেখি কোরাস গায়।
রাবিশ রাবিশ খবিস ভরা
অট্টালিকার সারি
ওসব নাকি উজির নাজির
ভদ্দলোকের বাড়ি।
ঘরে ঘরে চাইয়া দেখি
চোর ডাকাতে ভরা
যাই পালিয়ে সেখান থেকে
বলেন কি আর করা।
ক্লাবপাড়াতে শকুনগুলো
উকুন ধরে খায়
খাওয়ার পরে বাতাস খেতে
লেকের পাড়ে যায়।
ভয়ে ভয়ে আমি তখন
নিজের দিকে চাই
দেখি সেথা হনুমানের
বাচ্চা বসা ভাই।
৩/২/২১। ২ টা।
বাসো হাসো আসো
আমায় যারা ভালো বাসো
সবাই এবার একটু হাসো
আরো একটু কাছে আসো
সমস্যা আর নাই
নতুন করে পেইজ খুলেছি
ঢুকে পড়ো ভাই।
বাংলা কিম্বা ইংরেজিতে
নাম লিখে নাও খোঁজ
নতুন রান্না ছড়া পাবে
মন ভরে দাও ভোজ।
ফেবুর ঘরে জায়গা পাওনা
মাওনা চলে যাও
পেজের দুয়ার খোলা আছে
খোশে ঢুকে যাও।
আরো আছে ভক্ত সুহৃদ
তাদের কিছু ঘর
তারা ডাকে আসো আসো
কেউ নও তো পর।
৩/২/২১। ৫টা
এই মাস এই দেশ
এই মাস আগুনের
এই মাস ফাগুনের
এই মাস পলাশ আর কৃষ্ণচুড়ার
এই মাস অধিকার আদায় করার।
এই মাস অরুণের
এই মাস তরুণের
এই মাস রক্ত দেয়া ও রক্ত নেয়ার।
এই মাস অধিকার আদায় করার।
শোষণের নাগপাশ দাও দাও গুড়িয়ে
জালিমের তখ্ত দাও দাও পুড়িয়ে
উড়িয়ে দাও যতো জঞ্জাল, ময়লা
আর সব কাজ থাক, এই কাজ পয়লা।
আমরাতো কেউ নই ভীরু আর বুজদিল
আমরাতো নই কেউ হীনবল আত্মা
আমরা তাড়ারোই যত আছে মুশকিল
ঈমানতো দেয় না অশুভ ভয়ভীতি পাত্তা।
এই দেশ প্রেম আর মমতার
এই দেশ মজলুম জনতার
এই দেশ অসহায় নিপীড়িত মানুষের
এই দেশ তোমাদের আমাদের সকলের।
এই দেশ তোমাদের আমাদের সকলের।
এই দেশ তোমাদের আমাদের সকলের।
৪/২/২১। ৬ টা।
কী যে মজা পাচ্ছিলাম
বিলের ধারে
চিলের সাথে
তিলের নাড়ু খাচ্ছিলাম
কী যে মজা পাচ্ছিলাম
আহা, কী যে মজা পাচ্ছিলাম।
দীলের সাথে
দীল মিলিয়ে
মিলের ছড়া গাঁথছিলাম
কী যে মজা পাচ্ছিলাম
আহা, গুনগুন গান গাচ্ছিলাম।
মনের সুখে
ছড়ার তালে
হাত পা নেড়ে নাচছিলাম
কী যে মজা পাচ্ছিলাম।
আহা, সুখে ভেসে যাচ্ছিলাম।
সবাই দেখুক
সে নাচ কেমন
মনে মনে চাচ্ছিলাম
কী যে মজা পাচ্ছিলাম
আহা, কী যে মজা পাচ্ছিলাম।
তিলের নাড়ু খাচ্ছিলাম
আহা, কী যে মজা পাচ্ছিলাম।
৫/২/২১। ১১টা
জীবনটাকে গড়ো
লিখলেই তো লেখা হয়
শিখলেই তো শেখা হয়
তবে কেনো শেখো না
পরাণ খুলে লেখো না।
ধরলেই তো ধরা হয়
পড়লেই তো পড়া হয়
তবে কেনো ধরো না
কোরান বুঝে পড়ো না।
নড়লেই তো নড়া হয়
গড়লেই তো গড়া হয়
তবে কেনো নড়ো না
জীবনটাকে গড়ো না।
এসো কোরান পড়ি
জীবনটাকে গড়ি।
৫/২/২১। ২ টা।
আলোর নূপুর
আর কত দূর, আহা, আর কত দূর
আর কত দূরে বলো আলোর নূপুর
কত দূর গেলে পাবো আরশের নূর
এই মন যার স্বপ্নে রয়েছে বিভোর।
হেঁটে হেঁটে বহু পথ এসেছি মাড়িয়ে
দিয়েছি কত না পাড়ি অজানা সাগর
আঁধারের রাত কত এসেছি মাড়িয়ে
আর কত দূরে আছে সুহাসিনী ভোর।
যতোই আসুক আঁধার, রাত্রি তিমির
আমরা ছড়াবো পথে আলোর শিশির
নূর দিয়ে মুছে দেবো আঁধারের ঘোর
রাত্রির পর্দা ছিঁড়ে এনে দেবো ভোর।
মনজিল হোক যতো দূর আরো দূর
আমরাই এনে দেবো আলোর নূপুর।
৫/২/২১। ৬ টা।
কী যে অনাসৃষ্টি
কেউ খায় টক-ঝাল
কেউ খায় মিষ্টি
কারো কাছে ভাল লাগে
শীতকালে বৃষ্টি।
কী যে অনাসৃষ্টি।
কেউ হয় দুশমন
কেউ হয় ইষ্টি
কেউ ডাকে আয় বলে
কেউ করে লিষ্টি।
কী যে অনাসৃষ্টি।
কারো চোখ মায়া ভরা
কারো রাগী দৃষ্টি
কেউ করে মারধোর
কেউ দেয় ফিস্টই।
কী যে অনাসৃষ্টি।
৬/২/২১। ৩ টা।
সহজ কথা বলি
সহজ কথা বলি
দ্বীনের পথে চলি
ফুটাই হৃদয় কলি
প্রেমের টানে গলি।
সহজ কথা বলি
সহজ পথে চলি
মন্দ দেখে জ্বলি
পায়ের নিচে ডলি।
সহজ কথা বলি
পূণ্য পথে চলি
আগুন হয়ে জ্বলি
দেখে পাপের পলি।
পাপের পথ ছেড়ে দাও
দ্বীনের পথ বেছে নাও।
৬/২/২১। ৬ টা।
নষ্ট জীবন
এক দুই তিন চার
এ দুনিয়া একাল্লাহর
তার ক্ষমতা সীমাহীন
বুঝে না তা অর্বাচীন।
দুই তিন চার পাঁচ
এ জীবন ঠুনকো কাঁচ
রং তামাশায় ডুবে থাকে
তাই করেনা কোরান টাচ।
তিন চার পাঁচ ছয়
পেত যদি খোদার ভয়
জীবন হতো মধুময়
নষ্ট জীবন সুখের নয়।
৭/২/২১। ১১ঃ০০ টা
খাও খাও
ডিম খাও দধি খাও
শোষকের গদী খাও
লুটেরার নদী খাও
আর খাও যদি পাও
হারামীর বাচ্চা
ভর্তার সাথে খাও
মরিচটা কাচ্চা।
মামা মামী খেয়ে যাও
বাটপার দামী খাও
প্রতারক নামী খাও
ধরে বদকামী খাও
খেতে যদি চাও বসো
চাচী আর চাচ্চা
যতো পারো খেয়ে যাও
হারামীর বাচ্চা।
বদলোক ধরে খাও
লড়াইটা করে খাও
নিজেরটা গড়ে খাও
বেশরম নারী খাও
বেশ্যার বাড়ি খাও
যদি পাও তবে খাও
চাটুকার লুচ্চা
ধরে ধরে খেয়ে যাও
হারামীর বাচ্চা।
৭/২/২১। ৭ঃ০০ টা।
তারার ফুল
ঝিকমিক ঝিকমিক চান্দের আলো
ঝলমল ঝলমল করে
আহা, ঝলমল ঝলমল করে।
চোখ জুড়ানো মন ভুলানো
তারায় আকাশ ভরে।
ওমা,তারায় আকাশ ভরে।
এতো বড়ো আকাশ মাগো
তারায় তারায় ভরা
আমার কেবল ইচ্ছে করে
তারার আকাশ ধরা।
তুই মা আমায় সঙ্গে করে
চাঁদে একটু নিবি
নাকি দুটো তারা আমায়
নিজেই পেড়ে দিবি?
দেনা আমায় তারার ফুল
মুঠো মুঠো ভরে
যতো দেখি তারার ফুল
হৃদয় কেমন করে।
তারা ফুলের বিশাল বাগান
কোন মালি মা গড়ে
ইচ্ছে করে তাঁর কাছে যাই
নিজেই বোরাক চড়ে।
চল না তারে বানাই বন্ধু
সারা জীবন ভরে
তাঁর টানে মা মনটা আমার
কেমন কেমন করে।
৮/২/২১। ৫টা
তোডরমল
আবদুল আলী জমিদার
তিনবার হলো বমি তার।
কারণ কি ভাই কারণ কি
কৌটায় ছিল পুরাণ ঘি।
জবর খানা খাইছে রাতে
বমি নাকি হচ্ছে তাতে।
খাইয়া হজম করতে হয়
নইলে বমির থাকে ভয়।
লোকটা ছিলো বড়ই বদ
খাইছে নাকি ভেজাল মদ
মদ চেনে না জমিদার
তাতেই হচ্ছে দাস্ত তার
হারাম খেয়ে পগারপাড়
বিষ্ণুপুরের জমিদার।
উল্টাপাল্টা খাইতে নাই
ভাঙ্গা নাও বাইতে নাই।
যেমন কর্ম তেমন ফল
বলে গেছে তোডরমল।
১০/২/২১।১টা
ধন্য জীবন
কবিতা শোনা নবীর সুন্নত
হাদীসে কি পড়ো নাই
নবীর উম্মত দাবী করো
সুন্নত কেনো ধরো নাই?
কবি ডেকে নবী কতো
কাব্য আসর করতেন
নবীর ডাকে কবি গিয়ে
নিজের লেখা পড়তেন।
নবীর একজন কবি ছিল
নবী ভালো বাসতেন
সেই আনন্দে কবির দল
সুখসাগরে ভাসতেন।
নবীর নায়েব সায়েব বাবু
অত কথা মনে নাই
এক অক্ষরে দশটা নেকী
বসে বসে গোণে তাই।
কয় ফোটাতে বোতল ভরে
হক্কানী পীর হুজুরদের
কয়টা ফোটা পূণ্য দিয়ে
কলস ভরে বুজর্গের?
সাগর পাড়ে বসে গোণে
সোয়াব বড় আল্লামা
কড়ি গোণা সোয়াব দিয়ে
ভরে নিজের পাল্লা মা।
সারা রাত্রি নফল পড়লে
অনেক বেশী সোয়াব হয়
জ্ঞান সাধনায় থাকলে রত
তার ফজিলত কে বা কয়?
শহীদরাতো সবচে দামী
তাদের কোন মৃত্যু নাই
হাদীস মতে জ্ঞান সাধনার
দাম কি কেউ জানো ভাই?
জ্বীন ও মানুষ কেউ আসেনি
সওয়াব গোণার জন্য
কোরান হাদিস মেনে করো
নিজের জীবন ধন্য।
১০/২/২১। ৬ টা।
একটু বাড়াও
অন্তমিলের দন্তগুলো
একটু ধারাও
ভয়ের সাথে ভীতিটাকে
একটু বাড়াও।
ভয় না পেলে হয় না সাহস
রুখে দেয়ার
ভয় না পেয়ে করলে আঘাত
হয় না ফেয়ার।
ভয়টা এসে বুকে বুকে
সাহস বাড়ায়
মরার ভয়ে মানুষ তখন
রুখে দাঁড়ায়।
সাহস যখন যায় ছড়িয়ে
পাড়ায় পাড়ায়
মানুষ তখন এক হয়ে সব
রুখে দাঁড়ায়।
অন্তমিলের দন্তগুলো একটু ধারাও
ভয়ের সাথে ভীতিটাকে একটু বাড়াও।
১১/২/২১। ৩ টা।
No comments