আসাদ বিন হাফিজ এর ১০০ ছড়াঃ ১৬০১-১৭০০
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬০১
কই যান রাত দিন
সংলাপ বাদ
দিন।
কথায় পেট
ভরে না
মরা গাছ
নড়ে না।
নিজে পেতে বুক দিন
জনতাকে সুখ
দিন।
আন্দোলনের ডাক
দিন
বীরের মতো
হাঁক দিন।
কথায় চিড়ে ভিজে না
গদী ছাড়ে
নিজে না।
টিট ফর টেট
লেফট রাইট
লেফট।
২/১১/২০১৮; ৫টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬০২
খোকা দুধু খায়
মিটি মিটি
চায়
লাল জামা
গায়
আয় ঘুম
আয়।
ঘুম আয় জলদি
গায়ে দেবো
হলদি।
ঘোড়ায় চড়ে
আয়
ময়ূরপঙ্খী নায়।
খোকা ঘুম যায়
জুতা মোজা
পায়
কাজল দেয়া
চোখ
হাসি হাসি
মুখ।
ঘুমপরী ওরে
আয়রে আয় ওড়ে
আলতা রাঙা
পায়
আয় ঘুম
আয়।
৩/১১/২০১৮; ৬:৩০ মিনিট
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬০৩
দেশটা কি অদ্ভুত
চারদিকে বদ ভূত
অকারণে ধরে
ঘাড়
নিয়ে যায়
খাল পাড়।
ভূত খেলে কুতকুত
মন করে
খুতখুত।
প্রতিদিন রাইতে
ভূত আসে
বাইতে।
ডাকে জেঁলেঁ আঁইঁসোঁ
জেঁলেঁ বঁসেঁ
হাঁইঁসো।
বেঁশিঁ নঁড়াঁ
নঁড়োঁ নাঁ
ফাঁসিঁ জাঁলেঁ
পঁড়োঁ নাঁ।
দেশটা কি অদ্ভুত
দেশ জুড়ে
বদ ভূত
তালগাছে মায়
পুত
বসে কয় কুতঁকুঁত।
৪/১১/২০১৮; বিকাল ৪টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬০৪
ছেলেটার কোন দোষ ছিল না
তার ওপর
কারো রোশ ছিল না
এমনও না, কেউ
খোশ ছিল না
ফৈজুর দোকানে, একাই
সে চা খাচ্ছিল
মিছিলটা তখন
এ পথ দিয়েই যাচ্ছিল।
মিছিলের পেছনে পুলিশ ছিল
তার পেছনে
ফুলিস ছিল
আর কি ছিল
বলবো না
বাঁকা পথে
চলবো না।
হঠাৎ পুলিশ রেগে গেল
নিজের বন্দুক
দেগে গেল
মিছিলের লোক
ভেগে গেল
ছেলেটা এসব
দেখছিল
মনের খাতায়
লেখছিল।
বাপের কথা ভাবছিল
ভয়ে একটু
কাঁপছিল
হঠাৎ এলো
গুলি
উড়লো মাথার
খুলি।
বাপ পুলিশের
অফিসার
বললো, এটা অবিচার।
কোথায় গেল রান্না
পুলিশ বাড়ি
কান্না।
৫/১১/২০১৮; সকাল ১১টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬০৫
পরনারীর হস্ত ধরা
হারাম হারাম
হারাম
বিধবা পেলে
চেপে ধরা
আরাম আরাম
আরাম।
ফতোয়ায়ে কওমিয়ান
আল্লাহ বড় মেহেরবান।
ঠেকার মাসলা বেকার না
সবই পাবে
চেকার না।
হেলপার পাবে হ্যাকার না।
সবাই বিধবার
মেকার না।
তেতুল হুজুর তেতুল খায়
খাইতে নাকি
মজা পায়।
৬/১১/২০১৮; সকাল ৭টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬০৬
ইচ্ছে ঘুড়ি
এলো উড়ি
বুড়িগঙ্গা পার
হয়ে
ইচ্ছে ঘুড়ি
রাঙা বুড়ি
আদর করে
মার হয়ে।
ইচ্ছে ঘুড়ি
স্বপ্ন দেখায়
নিজেই ঘরের
বার হয়ে।
ইচ্ছে ঘুড়ি
খাচ্ছে মুড়ি
তুমিও খাও
তার হয়ে।
ইচ্ছে ঘুড়ি
বানায় যারা
মঙ্গল হোক
তাদেরও।
মঙ্গল হোক
সকল শিশুর
মায়ের কোলের
চাঁদেরও।
৬/১১/২০১৮; বিকাল ৩টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬০৭
নভেম্বরের সাত
রাত্রি হলো
কাত।
আসলো শিশির
ভোর
খোলরে এবার
দ্বোর।
লক্ষ লক্ষ টিয়া
বলে জিয়া
জিয়া
ছুটলো আলোর
বাণ
খুশি অফুরাণ।
নভেম্বরের সাত
রাজপথে মৌতাত
সিপাহী ও জনতা
গড়ে তোলে
একতা।
বলে বীরের জাত
সরাও আঁধার
রাত
থামাও রে উৎপাত
নভেম্বরের সাত।
৭/১১/২০১৮; দুপুর ১২টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬০৮
সংলাপটাও চলবে
ধরপাকড়ও চলবে।
আন্দোলনও চলবে
জনতার মন গলবে।
তারপরে কি ঘটবে
কে যে কখন
চটবে
আবার কিসব
রটবে
কোন প্রেমে
কে পটবে।
সময়ই কথা বলবে
বরফ হয়তো
গলবে।
সে জলে
কে ভাসবে
শেষ হাসা
কে হাসবে।
সেটা এখন বলা দায়
শুধু এটুক
বলা যায়
জনগণ কাঁচকলা
খায়
মোল্লা মাখা
নলা খায়।
লাভের গুড় খায় পিঁপড়ায়
লাভ নেই
লেবু চিপড়ায়।
৭/১১/২০১৮; রাত ৯টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬০৯
আমার লেখা খুবই ভাল
যদি পক্ষে
লিখি
বিপক্ষে লিখে
তুমি কেমন
সেটাও আমি
শিখি।
মনের জমিন কত বড়
কি কি নিতে
পারো
জানতে পারি
কে চাপাবাজ
অনেক কিছুই
আরো।
একটুখানি বাঁকা হলেই
কে কে করো
ফোঁস
বুঝতে পারি
কে মোল্লা আর
কে কে নন্দঘোষ।
যে যতটা মহান আছো
সেটা তোমার
গুণ
আমি কেন
করবো নিষেধ
মাখলে মুখে
চুন।
বাজে কথায় নষ্ট হয়
যে বলে
তার মুখ
তুমিই বলো
তবে সোনা
আমার কিসের
দুখ্?
৭/১১/২০১৮; রাত ১০টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬১০
আমি করলে পরকীয়া
তুমি করলে
লীলা
এসব কথা
বললে এখন
চামড়া নিবে
ছিলা।
পাবলিক সব তাবলীগ না
আরো পাবলিক
আছে
তারা এমন
ধোলাই দিবো
উঠবা মান্দার
গাছে।
শ্রদ্ধাভাজন শ্রদ্ধা করি
সামলে সুমলে
থাকো
পরনারী হাত
বাড়ালে
নিজের দুহাত
ঢাকো।
বিধর্মীরে বোরকা পরায়
ইমাম খোমেনী
তুমিই বলো
ইসলাম শুধু
থাকবে কোমে
নি?
আল্লাহর চাইতে বেশী ভয়
কারে তুমি
পাও
তোমার মতো
সেও তো এক
আদমেরই ছাও।
আগে হুজুর আমল করেন
বয়ান এখন
বাদ দেন
নিজের ঈমান
চিলে খাবে
ঈমান রক্ষায়
হাত দেন।
৮/১১/২০১৮; দুপুর ১টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬১১
লোকটা ছিল বেজায় কিপ্টে, কারুণের বাপ
খেতো নাকি টিকটিকি
ও বেজি আর সাপ।
কলাপাতায় বানাতো সে নিজের
চায়ের কাপ
করতো না সে পানি
গরম,
যদি লাগে তাপ।
তার বাড়িতে চাকর ছিল আরেক কাঠি সরেস
নামের সাথে দাস
বাদ দিয়ে লিখে দিতো
নরেশ।
লড়াই করবি? বললে বলে
মাথা নেড়ে, লড়েস।
কুস্তি করবি? বললে সেও
বলতো হেসে, করেস।
কারুণের সে বাপটাকেই নরেশ বলতো পিতা
শুনুন শুনুন বাজার
করে বড়ই গেছি জিতা।
আনতে বলছে তোষক
আমি কিনেছি এ ফিতা
ফিতা দেইখা খুশি
হইছে আপনার বেগম রীতা।
তারা এখন ভালই আছে কানে দিছে তুলো
কানটার যেন শুনতে
না হয় নদীর কুলুকুলু।
চোখে আছে গামছা
বাঁধা চক্ষু আরাম পাবে
এভাবেই সে রাতেও
নাকি সদরঘাটে যাবে।
৮/১১/২০১৮; ৩টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬১২
গণগ্রেফতার বন্ধ করো
সংলাপ হবে পরে
কিসের করো সংলাপ
তুমি
কান্না ঘরে ঘরে?
সংলাপ করে সময় খায়
ঘরে কান্দে হাজার
মায়।
পরোয়ানার খবর নাই
পথে ঘাটে ধরে।
গুম হওয়াদের ফেরত
চাই
সংলাপ হবে পরে।
আমার কর্মী জেলখানায়
তোমার কর্মী তেল
কামায়।
কী চমৎকার ইলেকশন
হাত-পা বেঁধে
সাঁতার দাও
আমি মরি জলে
ডুবে
তুমি সাঁতরে ওপার
যাও।
আমার ছেলে ঘরে নাই
তোমার ছেলে মরে
নাই।
বন্দুক রাখো মাটিতে
চলুক খেলা লাঠিতে।
৮/১১/২০১৮; ৪টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬১৩
দেশটাতে যে হচ্ছে কি
কে যে কখন
কচ্ছে কি
কার মাথায় কে দিচ্ছে
ঘি
কোত্থেকে কে নিচ্ছে
ফি
বুঝা বড় দায়
বিড়ালে দুধ খায়।
দেখলাম কত আস্ফালন
দেখলাম কত আন্দোলন
মিলেমিশে ডিনার খায়
হুজুর মাংস ছিনার
খায়।
সিঁদুর যেমন দেখতে লাল
কারো হস্ত রক্তে
লাল
ধরপাকড়ের অভিযান
যে চালায় সে মহীয়ান।
বিরানীতে আন্ডা
দেশের মানুষ ঠান্ডা।
বাড়ছে দেশে পান্ডা
সঙ্গে কিছু ডান্ডা।
এই ডান্ডা যে যাবে কই
বলবে সময় সমস্তই।
৮/১১/২০১৮; রাত ১১টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬১৪
ছি কুত কুত কুত
তেতুল গাছে বসে
আছে
বেহায়া এক ভূত।
ভূতের বাড়ি আমড়াগাছি
বাঁদর করে নাচানাচি
ভাল্লাগে না ভূতের
জ্বালা
ধূত।
বিড়াল ডাকে হোগলা
বনে
ছি কুত কুত
কুত।
ছি কুত কুত কুত
ভূতের চেয়ে বেশি
নাচে
রাঙা ভূতের পুত।
ভূতও নাচে যখন
আসে
বিদেশ থেকে দূত।
এমন নাচা নাচে
ভূতে
যায় না ধরা
খুঁত
আহা কি অদ্ভুত।
ছি কুত কুত কুত
তেতুল গাছের ভূত
তাড়াবে
কই সে মায়ের
পুত।
পুত তো দেখি
ঘাসের বনে
কাঁথা সিলায় আপন
মনে।
মাঝে মাঝেই হাঁক
মারে সে
দেশটা কি অদ্ভুত
ছি কুত কুত
কুত
ছি বুত কুত
কুত।
৯/১১/২০১৮; ৬.২০ মিনিট।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬১৫
কাল খেয়েছো ঘোড়ার ডিম
আজকে খাবে হাতির
আপ্যায়নে আদর যত্নে
বাড়বে আরো খাতির।
তোমরাই আমার আপনজন
প্রতিনিধি এ জাতির
কামার কুমার শ্রমিক
চাষী
জেলে এবং তাঁতীর।
সংলাপ হবে টংলাপ হবে
হবে খানাদানা
যতো ইচ্ছা দাবী
করো
করবো না তো মানা।
তোমার দাবী থাক তোমারই
আমার দাবী আমার
এর মধ্যে কেমনে
আসে
কথা দালাইলামার।
যার যার দাবী এসো সবাই
বুঝেশুনে নাও
নয়তো বসে ইচ্ছেমতো
গরম পানি খাও।
৯/১১/২০১৮; ১১টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬১৬
আমরা হলেম গুন্ডাপান্ডা
সাহস থাকলে আয়
ভদ্রলোকের ছাওয়াল মানে
বেঘোরে মার খায়।
মার জানো না কানতে পারো
যত পারো চিল্লাও
পানি ছাড়া ভদ্রলোক
সব
খাইতে পারি গিল্লাও।
তোমার বুকে সাহস নাই
সাহস কিনতে মাল
লাগে
সুশীল মারতে আমার
খুব
আরাম এবং ভাল্লাগে।
রাজনীতিতে ভদ্রতার তো
দেখি কোন মূল্য
নাই
গুন্ডামীরই জয়জয়কার
এরতো কোন তুল্য
নাই।
৯/১১/২০১৮; ৩টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬১৭
লোকটি দারুণ লম্বা
খায় সে অষ্টরম্ভা
গায় সে কম্বা
কম্বা
আহা, কম্বা কম্বা
কম্বা।
লোকটা দারুণ হাবা
দেখলেই বলে, বাবা
অষ্টরম্ভা খাবা?
দিনে দুইবার নাবা।
পারলে খেলবা দাবা
নয় ক্যান খেলতে
যাবা?
হারলে কমলা খাবা
ঘোড়ার ডিম্ব পাবা
কানতে কানতে
শালার সাথে
শ্বশুড় বাড়ি যাবা।
রাজনীতিতে করবা ভুল
ফাঁসির দড়ি পাবা।
লোকটি দারুণ লম্বা
খায় সে অষ্টরম্ভা
গায় সে কম্বা
কম্বা
আহা, কম্বা কম্বা
কম্বা।
১০/১১/২০১৮; ৯টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬১৮
ঐযে ঐযে আসছে বর
তারে সবে চাইপা
ধর।
শালা শালীর বকশিশ
দাও
তারপর বৌয়ের ঘরে
যাও।
বরের মাথায় পাগড়ি কই
নতুন বৌয়ের ঘাগড়ি
কই
চক চক করছে
গলার হার
খোল খোল বন্ধ
দ্বার।
চার চোখের মিলন হবে
চোখে চোখে কথা
কবে।
এবার করো মিষ্টি
মুখ
আসুক জিভে সৃষ্টি
সুখ।
কন্যা হাসে ইলিক ঝিক
জামাইর মুখে পানের
পিক।
মুখের পিক গিলে
খাও
কন্যা এবার নিয়ে
যাও।
১০/১১/২০১৮; ১০টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬১৯
আসলো নভেম্বর
উঠলো ভীষণ ঝড়
সময়টা সত্তর
ডুবলো বালুর চর
মৃত্যু এসে ছিনিয়ে
নিল
হাজারো অন্তর।
বিরাণ হলো ঘর
মরলো একাব্বর
বাড়লো জল তরতর
জলদি কিছু কর
নইলে ডুবে মর।
মরলো হাজার হাজার
ডুবলো হাট বাজার
মানুষ পশু বৃক্ষরাজি
হলো একাকার
সকলই ছারখার।
এক রাতের ঝড়ে
লক্ষ প্রাণ মরে
সাবধান হ রজবরে
নইলে আসে গজবরে।
১২/১১/২০১৮; ২:৪০ মিনিট।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬২০
কাব্য মানে ছড়া না
অ আ ক খ পড়া
না।
পানির কলস ভরা
না
জলে ডুবে মরা
না।
কাব্য মানে কবিতা
বর্ণালী এক ছবি
তা।
রক্ত রাঙা রবি
তা
খুশি মনের ববিতা।
কাব্যে থাকে গভীর ভাব
উঁচু গাছের আগায়
ডাব।
ছড়া হল ডালিম
ফল
পিয়াস পেলে খাবার
জল।
কাব্য হলো রমনী,
ছড়া মানে বালিকা
কাব্য মানে অবনী
ছড়া রঙের তালিকা।
সকাল বিকাল হাতের নাগাল
আমরা কত ছড়া
পাই
কাব্য লিখতে গিয়েই
দেখি
নানা রকম ধরা
খাই।
যখন বেশি ভাববো
তখন লেখবো কাব্য।
১৩/১১/২০১৮; ৫টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬২১
আক্কেলপুরের আক্কেল আলী
আক্কেল কিনতে হাটে
যায়
আক্কেল আলী পিছলা
পথে
বারে বারে আছাড়
খায়।
দুইডা টাকা হাতে নিয়া
আক্বেল ঘুরে বাজারময়
আক্কেল কই পাওয়া
যায়
বলতে পারেন মহাশয়?
কেউ দেয় না সঠিক খবর
আক্কেল আলীর মাথায়
হাত
দেখতে দেখতে বিকেল
গিয়ে
নামলো চোখে আঁধার
রাত।
আক্কেল আলী হাটে বসে
একা একা কান্দে
চাঁদের বুড়ি ডেকে
বলে
আয়রে আক্কেল চান্দে।
সব বোকারাই ধোকা খায়
বিলাত গিয়ে খোকা
খায়।
১৪/১১/২০১৮; ৫টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬২২
দাদাভাই এলো রে দুনিয়ায়
তোরা দেখবি কে কে আয়
ময়না টিয়া চড়ুই
মুনিয়ায়
আয় রে আয় দল বেঁধে
সব আয়।
দাদুমনি যাদুমনি সোনার খনি রে
যাদুমনি সোনারখনি ননীরখনি
রে।
আয় কে নিবি কোলে তারে
তার হাসির ঢেউয়ে
চমক মারে
কান্নাতে তার পান্না
ঝরে
আয় কে নিবি
কোলে তারে আয়।
এ যেন রে যাদুর বাঁশি
একটু কান্না একটু
হাসি
অঙ্গ জুড়ে অরূপ
রাশি
আয় মা খালা
আয়রে মাসি আয়।
বেহেশত থেকে এলো যাদু
বেহেশত যেন যায়
সবাই মিলে এই দোয়া
চাও
খোদারি দরগায়।
দাদুমনি সোনার খনি
আয় রে কোলে আয়।
১৪/১১/২০১৮; ৭টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬২৩
টাপুর টুপুর বিষ্টি পড়ে
টাপুর টুপুর টুপ
কে লাফালো কে লাফালো
দীঘির জলে ঝুপ।
টাপুর টুপুর টুপ।
বিষ্টি পড়ে বিষ্টি পড়ে
দীঘির জলে ঢেউ
এমন দিনে নাইতে
যাবি
দীঘির জলে কেউ?
বিষ্টি এলে মিষ্টি হেসে
টাপুর টুপুর টুপ
পারলে আমায় ছোঁ
দেখি রে
দিলাম আমি ডুব।
টাপুর টুপুর টুপ।
ডুব সাঁতারে কিণার ছুঁই
পারলে আমায় ধরিস
তুই
বাজার থেকে আসছে
দাদা
ছাতা মাথায়, ওই
পারলে ধরিস তুই।
চুপ
দে রে লম্বা
ডুব
টাপুর টুপুর টুপ
দাদার লাঠি ভীষণ
শক্ত
ব্যথা করে খুব
টাপুর টুপুর টুপ।
বিষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর
টাপুর টুপুর টুপ
দাদু আসছে ছাতা
মাথায়
দে রে সবাই
ডুব
দীঘির জলে ঝুপ।
টাপুর টুপুর টুপ।
১৬/১১/২০১৮; ৪টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬২৪
ঝির ঝির ঝিরানি
আজকে বুবুর ফিরানি
মা রাঁধবে বিরানী
জাফরান দিয়ে ইরানী।
বুবুর সাথে বর আসবে
সারা বাড়ি ঘর হাসবে।
আনন্দে নারী নর ভাসবে
জলে বালুর চর ভাসবে।
ঝির ঝির ঝিরানি
আজকে বুবুর ফিরানি
বন্ধ ক্ষেতের নিড়ানি
হি হি মজা
হি রাণী।
ঝির ঝির ঝড়বে
বৃষ্টি আরো পড়বে।
নাও দেখা যায়
হৈ রে হৈ
জলদি আনো ছাতা
কই?
১৬/১১/২০১৮; ৫টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬২৫
বানকুড়ালি বাও এলো
শুকনো পাতার গাঁও
এলো
তিন শিয়ালের ছাও
এলো
বকের একটা পাও
এলো।
বগা খোঁজে পুটিমাছ
বানকুড়ালি উড়ায় গাছ
শিয়াল ছা কয় কি হলো
পাতা কেনো চিল
হলো?
চিল হয় নাই পাতা রে
উড়ে বাবুর খাতা
রে।
সঙ্গে শিয়াল ছাও
ওড়ে
আগুন লেগে বন পোড়ে।
চৈতি হাওয়া এলোমেলো
বেজির ছানা কই গেলো
বানকুড়ালি বাও এলো
গাছের পাতা কই গেলো?
কান্দে বসে ফুপুরে
মধ্যদিনের দুপুরে।
১৭/১১/২০১৮; ১০টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬২৬
ইচ্ছে ছিল, কিচ্ছে বলে, করবো বাজার মাত
লিখতে বসে নাকাল
হলাম, নিজেই হলাম কাত।
ইচ্ছেটাকে বললাম ওরে
কিচ্ছে বলার সাধ
ঢের হয়েছে, দে না বাপু
ওসব এখন বাদ।
কলম নিলাম ঘুরিয়ে
কিচ্ছা গেল ফুরিয়ে।
খাতার ওপর শব্দ দিয়ে লিখলাম সবুজ ছবি তা
ধন্য ধন্য বলেন
পন্ডিত, এইতো হলো কবিতা।
গাঁয়ের সাথে এঁকে
দিলাম ব্যস্তবাগিস শহরও
একই সাথে এঁকে
দিলাম রিক্সা গাড়ির বহরও।
বহর ঘুরে শহরে
শহর ডুবে নহরে।
ধানের ক্ষেতে কেমন করে কৃষক ফলায় ধান
পড়া রেখে ছাত্র
কেনো, ছড়ায় অগ্নি বাণ।
এঁকে দিলাম কবিতাতে, সবাই
বলে বেশ
হঠাৎই এক দানো
এসে কাব্য করে শেষ।
কাব্য গেলো পরপারে
বাকিরাসব অন্ধকারে।
দানো খায় কাব্য গিলে, আমি মারি ছড়ড়া
তাতে দানো মরে
নাতো, তবে খায় ধররা।
ছড়ড়াগুলো মাঝে মাঝে
ছড়া হয়ে যায়
সেই ছড়া ধরে
ধরে টেংরা পুটি খায়।
আপনি যদি হন খালু
তবে খান গোল
আলু।
১৭/১১/২০১৮; ২টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬২৭
শীত মানে ঈদ না
অকারণ জিদ না
মায়া ভরা হৃদ
না
শীত মানে শীত
গুন গুন গীত।
হীম হীম ঠান্ডা
একদম উগান্ডা
খায় লালু পান্ডা
সি মোরগের আন্ডা।
ভিজা পিঠা
খই মুড়ি
খেতে দেয়
শীত বুড়ি।
খেজুরের রস দেয়
হুজুরের যশ দেয়
তিল দেয় নাড়ু
দেয়
ফুল পাখি চারু
দেয়।
কাঁপে দাগী পান্ডা
মিয়াজীর ডান্ডা।
শীত মানে শীত
আবুলের গীত।
১৮/১১/২০১৮; ১১টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬২৮
শীত এলে
শীত এলে
শীতের কথা কইতে
হয়
কাঁথা গায়ে লইতে
হয়
শীতের জ্বালা সইতে
হয়
জামার বোঝা বইতে
হয়।
শীত এলে
পিঠা পায়েশ খাইতে
হয়
শ্বশুরবাড়ি যাইতে হয়
ঠান্ডাজলে নাইতে হয়
শীতের গান গাইতে
হয়।
শীত এলে
খেজুর গুড় দেখতে
হয়
শীতের কথা লেখতে
হয়
ঠান্ডা পাও সেঁকতে
হয়
দরকার হলে বেঁকতে
হয়।
শীত এলে
নিজের কাজের ভিত
নাই
পরের জন্য গীত
গাই।
১৯/১১/২০১৮; ১টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬২৯
ঘাটে রাখো বেঁধে নাও
কাস্তে রাখো নায়ে
সবাই মিলে গোস্ত
খাও
রেঁধেছে দুই জা'য়ে।
ধানের শীষ মাথায় লও
চলো এবার বাড়ি
লাঙ্গল রাখো চাঙ্গে
তুলে
হাকাও জোরে গাড়ি।
ভাইয়ে ভাইয়ে ঝগড়া বাদ
ইনসাফ মতো ভাগ
হবে
অনুমানের আমল বাদ
দাঁড়িপাল্লায় মাপ
হবে।
বাংলাদেশে ভোট এসেছে
নোট এসেছে গাঁয়ে
নানারঙের পাল উড়ে
ঘাটে বাঁধা নায়ে।
সঙ্গে আসে রঙের কোট
নাম দিয়েছে মহা
জোট
কিছু বললে ফুলায়
ঠোঁট
দাপট দেখায়, দেখায় চোট।
সামনে দেখো ঐক্যজোট
চলো চলো দেবো
ভোট।
২১/১১/২০১৮; ১১টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬৩০
ভোট এসেছে নোট হেসেছে
জোট এসেছে গাঁয়
সঙ্গে নতুন কোট
এসেছে
হাসি হাসি পায়।
কোটঅলা যেই চোট দেখায়
বাঙালি সেই গোট
দেখায়।
কোটঅলা যেই নোট
দেখায়
বাঙালি সেই ঠোঁট
বেকায়।
নোটে জোটে হয় না কাম
চোটে ঠোঁটে হয় বদনাম।
ভোটে দাঁড়ায় কলা
গাছ
আরেকটু দে মলা
মাছ।
২১/১১/২০১৮; ১২টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬৩১
নেশা যদি পেশা হয় নেশা তাতে কমে না
পেশা ছাড়া নেশাটাও
ঠিকমত জমে না।
রাজা ছাড়া তাজ
কামে লাগে না
তাজ পেলে রাজা
কভু ভাগে না।
নেশার জন্য পেশা
চাই নইলে পেশা জমে
না।
নামাজ পড়া ফরজ কাজ, তাও পেশা হয়
লেখালেখি পেশা করা, তবে
কেনো নয়?
মেধার মূল্য সবাই
পায়,
লেখক কেনো নয়?
পাক কালামের হুকুম
তাই লেখা লিখত হয়।
ওয়াজ করলে পয়সা চাই,
লেখায় কেনো পয়সা
নাই
কোরঅানের সবক নিতে
লাগে পয়সা, বাতাসা
লেখা লিখে তবে
কেনো বইবে লেখক হতাশা?
পয়সা পাবে কাগজ কালি প্রেসের ম্যানেজার
লেখকের নাই পয়সা
কেনো, একি অনাচার?
সারাদেশের লেখক সমাজ
এবার একটু জাগো
দেশের কাজের সাথে
এবার নিজের কাজে লাগো।
২২/১১/২০১৮; ৮টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬৩২
যে বিড়াল ধরেনা ইঁদুর
কি দরকার সে বিড়াল
পোষা
পেট না ভরলে
কি দরকার কও
শুধু শুধু খাওয়া
দোসা।
বাদাম যদি নাই বা থাকে
কোত্থেকে হয় বাদাম
খোসা।
কলার ভেলার চাইতে
ভাল
মাথামোটা তালের কোষা।
সমাজ এখন নষ্ট এমন
কিলবিল করে রক্তচোষা।
ইঁদুর যদি না ধরে
তো
কি দরকার বিড়াল
পোষা।
২৩/১১/২০১৮; ২টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬৩৩
তালের কোষা তালের কোষা
কোথায় তুমি যাও
খালার বাড়ি যাবো
আমি
সঙ্গে আমায় নাও।
আরও যাবে পোষা বিড়াল
তিনটি বিড়াল ছাও
তালের কোষা বলো
তুমি
কড়ি কতো চাও?
এমনি নেবে? বাহ বা বা
দোসা তুমি খাও?
দিতে পারি দুটো
দোসা
যদি তুমি চাও।
বাদাম ছিল সব খেয়েছি
খোসা আছে ছড়ানো
খোসার মাঝেই প্রীতিগুলো
আজো আছে জড়ানো।
পোষা বিড়াল কোষা চড়ে
খালার বাড়ি যাবে
খোসা দিয়ে খেলবে
আর
দোসা দিলে খাবে।
২৩/১১/২০১৮; ৩টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬৩৪
শাপলা ফুল শাপলা ফুল
পানির নিচে লম্বা
চুল
চুল না ওটা
দেহ রে
সবাই করে স্নেহ
রে।
শাপলা দিয়ে মালা হয়
লকেট হয় ফুল
কেউ ফুল খোঁপায়
পরে
কেউ বা বানায়
দুল।
শাপলা ফুল শাপলা ফুল
ডুবে খু্ঁজি তোমার
মূল
ভেসে খুঁজি বিলের
কুল
শরীর তোমার কী তুলতুল।
শাপলা ফুলের বাহারে
মন ভরে যায়
আহারে।
২৩/১১/২০১৮; ৬ :৩০ মিনিট।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬৩৫
রাজনীতিতে
আজ নীতি নেই
নীতি খাইছে পোকায়
নীতি নীতি করে
কান্দে
আজদাহা সব বোকায়।
নীতি মিয়া চিপায় পড়ে
আহা উহু কোঁকায়
তারা এখন পড়ে
আছে
বুদ্ধিমানের ধোঁকোয়।
আন্দোলনের রাস্তা ছেড়ে
বোকারা ভোট টোকায়
কান্ড দেখে দেশের
মানুষ
কিংকর্তব্য খোকায়।
রাজনীতিতে নীতি নাই
তাইতো মনে ভীতি
ভাই।
শুনি পুরাণ গীতি
ভাই
নীতি এখন স্মৃতি
তাই।
২৩/১১/২০১৮; ৯টা
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬৩৬
নন্দলালের মন্দ কপাল
চক্ষু থেকেও অন্ধ
সে
দুই পক্ষের লড়াই
দেখে,
দেখেনা তো দ্বন্দ্ব
সে।
এক পক্ষে লোক বেশুমার
আরেক পক্ষে অস্ত্রপাতি
নন্দ বলে অস্ত্র
কোথায়
এগুলো তো আগরবাতি।
এক গুলিতে হাজার মনে
ভয়ের ডানা ঝাপটায়
রাত্রি হলেই হাট
ভেঙে যায়
ভীড় থাকেনা চাপটায়।
নন্দলালের মন্দ কপাল
হাটের কিলের ভয় পায়
নাক বরাবর নল দেখে
এই রে বুঝি
জান যায়।
ভোটটা নন্দ করবে ফেয়ার
রেজাল্ট দেবে ইচ্ছেমত
বুকটা নন্দ বাঁচাতে
চায়
চায় না নিজের
বুকের ক্ষত।
হুমড়ি যদি খায় সকলে
অস্ত্র যদি ঘুরে
যায়
নন্দের তবে জীবন
বাঁচে
হাটের কিলের ভয়টা
যায়।
নন্দের এখন প্রতিটা পল
কাটে দুরু বক্ষে
কার ভোট কে নেয়
ছিনিয়ে
দেখে নাতো চক্ষে।
২৪/১১/২০১৮; ৭টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬৩৭
কেউ নিরামিষ খায়
কেউ কি না বিষ
খায়
কেউ তাজা ফিস
খায়।
কেউ খায় আন্ডা।
কেউ খায় আন্ডা
কেউ খায় ডান্ডা
কেউ খায় জানডা।
কেউ খায় পান্ডা।
কেউ খায় পান্ডা।
কেউ খায় মানডা
কে্উ খায় চিমটি
কেউ খায় ডিমটি।
ডিমটি খাওযা হলে
কেউ কেউ যায়
জেলে।
২৫/১১/২০১৮; ৫টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬৩৮
জনগণ চায় না
বিড়ালেও খায় না
চায় শুধু বিবি
মেম।
ইভিএম, ইভিএম।
ইভিএম ইভিএম
বিবি মেম চায়
গো
ভোটের মাঠে
তাই বিবি মেম
থুক্কু, ইভিএম
কল্কে এবার পায়
গো।
বিবি মেম চায় গো
ইভিএম পায় গো
টকঝাল খায় গো
মনোমত রায় গো।
মেমের কথা ফেলি না
উল্টাপাল্টা খেলি
না।
জানে সবই এলিনা।
সামনে থেকে গেলি
না
?
২৫/১১/২০১৮; ৬টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬৩৯
বিচারকদের
পোয়াবারো
কেন দাদা
বলতে পারো?
কেন হঠাৎ
এ প্রমোশন?
সামনে দাদা
কী ইলেকশন?
ভোট না পেলে
আইনে
থাকবো জেতার
লাইনে।
নির্বাচন তুই
অবাধ চাস
ভোট না নিয়ে
কোথা যাস?
২৫/১১/২০১৮; ৯টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬৪০
বাহার মজা লাগতাছে
কি চমৎকার তালি
সালাম দিলে সালাম
পাবি
গালি দিলে গালি।
এই নিয়মটা অনেক পুরান
আমরা গেছি ভুইল্যা
গুলির বদল গালি
দেই
আমরা মায়রে তুইল্যা।
শক্তিও নাই সাহসও নাই
জিনিসও নাই হাতে
গালিটাও না দিলে
বল
কি দিমু তোর
পাতে।
তুই থাকবি মাথার ওপর
আমি পায়ের তলে
বুকে বুকে বুক
মিলাবো
কেমনে গলা গলে?
হয় আমারে উঠতে দে
তুই নেমে আয় নিচে
নইলে দেখবি সর্ষে
ফুল
তুই পালাবি খিঁচে।
আমার কোন দোষ নাই
নন্দঘোষের মোষ নাই।
২৬/১১/২০১৮; ১১টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬৪১
লোকটার মাথা বাঘে খাইলো
নাকি খাইলো সিংহে
এই বাদানুবাদ চলবে
দাদা
কনতো আর কয় দিন
হে।
নাটক দেখে হাসছো তুমি
জানো, তোমার লাভ
নাই
সকালবেলা জালে দিবা
ঘরে কোন গাব
নাই।
তুমি রাঁধো বিড়াল খায়
মুরগীর ছা ভাত
ঠোকরায়
তুমি আগে ঈমান
করো ঠিক
তুমি যাবা কোন
দিক?
লাখ টাকার প্রশ্ন এটা
উত্তর করো ঠিক
যদি চাও সংসদে
গিয়ে
করবা পিকনিক।
২৬/১১/২০১৮; ৩:১৫মিনিট।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬৪২
লাভের গুড় পিঁপড়ায় খায়
দুধভাত খায় বিড়ালে
ক্ষেতে যতই আগাছা
থাক
সাফ হবে ভাই
নিড়ালে।
পরের মাথায় কাঁঠাল রেখে
খাওয়ার আশা বাদ
দাও
নিজের ঘরটা শক্ত
করার
কাজে এবার হাত
দাও।
মানব সেবা বড় ধর্ম
সেই সেবাতে মন দাও
পাখির জন্য বনই
দরকার
সেই পাখিরে বন দাও।
বনের ভেতর হরিণ ছাও
তারে ধরো রাঁধো
খাও।
২৭/১১/২০১৮; ১০:৩০মিনিট।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬৪৩
লোকটা মানে কাকা সে
ঘুড়ি উড়ায় আকাশে
এ কাজে অতি
পাকা সে
স্বভাবে বেশ বাঁকা
সে।
লোকে ডাকে ত্যাদর খান
নিজে খান খিলি
পান
ঘুরতে যান আন্দামান
গানা গান সোহাগ
চান।
লোকটা মানে কাকা সে
যাবে নাকি ঢাকা
সে
কোথায় পাবে টাকা
সে
ঘুরায় গাড়ির চাকা
সে।
কাকা যাবে ঢাকা
যেথা দালান পাকা
রাস্তাগুলো বাঁকা
হৃদয়গুলো ফাঁকা।
১০/১২/২০১৮; ৬টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬৪৪
সামনে আজব ইলেকশন
ভোট করিবো রঙ্গে
পাবলিক দিব হাটের
কিল?
পুলিশ থাকবো সঙ্গে।
পুলিশ দেখলে পালাইবো
ছুট দেখাবো হেতারা
সেই ফাঁকেই তো ভোট
নিবো
কোট পরা সব নেতারা।
পুলিশ থাকবো মাঠের মাঝে
বুক পাবে এক দল
অন্য দলেও পাবে
দাদা
হা করা এক নল।
আজব এ দেশ বঙ্গ
ভোটের হরেক রঙ্গ।
২৭/১১/ ২০১৮; ২টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬৪৫
কাজের লোক কাজ করে
কইয়াদেষ্টা কয়
তরকারিতে ঝাল হইছে
খাইতে ভাল নয়।
পরের খুঁত ধরাটাই
ওদের এক স্বভাব
চাকরেরও অধম তবু
ভাবে নিজে নবাব।
ওদের চোখ এতো খারাপ
ভাল কিছু দেখে
না
গ্লাস অর্ধেক খালিই
দেখে
অর্ধেক ভরা লেখে
না।
কপাল পোড়া ওরা
যেন ল্যাংড়া ঘোড়া।
২৭/১১/২০১৮; ৪টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬৪৬
হীরালালে হাটে যায়
বাপকা বেটা ডাটে
যায়
পয়লা নদীর ঘাটে
যায়
গাঙ পেরোলে হাট
কিনবে একখান খাট।
খাট না বাবা খাটিয়া
তাইতো এলাম হাঁটিয়া
নিজের নাক কান
কাটিয়া
যাবো গরুর গাড়িতে
মা রাঁধবে হাঁড়িতে।
রান্না হবে গরম ভাত
টিনের থালে পাড়বো
পাত
পথেই দেখিস হবে
রাত
রাত্রি বড় আন্ধা
রে
তোর তো খালি
ধান্ধা রে।
ধান্ধা বাবা করতে হয়
কখনো ভেক ধরতে
হয়
নইলে বাবা মরতে
হয়
ইলিয়াসের মত গুম
আজীবনের যত ঘুম।
সেই ঘুমে পুলসেরাত পার
লাশ ক্যান পড়ে
জলার ধার
মরার বাড়ি কান্না
কার
ইলিয়াসের বৌ
কোথায় গেল লৌ।
২৭/১১/২০১৮; রাত ৮টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬৪৭
বাতাসের হিল্লোল বয় অবিরত
গতিমান হও তুমি
বাতাসের মত।
ফলভারে বৃক্ষরা হয় অবনত
তুমিও বিনয়ী হও বৃক্ষের
মত।
ফলহীন বৃক্ষরা উদ্ধত হয়
ব্যবহারে মানূষের হয় পরিচয়।
কটু কথা সেই বলে কটুভাষী যে জন
জমজম পানি দিয়ে
ধুয়ে নাও মন।
দুরাচার চেয়ে ভালো সদাই সুজন
সকলেই ভালবাসে কোকিল
কূজন।
গোলাপ গোলাপই হয় ইরাণ আরব
ন্যায়ের স্বপক্ষে হও তুমিও
সরব।
২৮/১১/২০১৮; ৫টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬৪৮
বাতাসগুলো আসলো তেড়ে
শনশনাশন শন
হাটুরেরা ছুটলো জোরে
হনহনাহন হন।
মৌমাছিরা উঠলো কেঁপে
পনপনাপন পন
কাঁচের গেলাস ভাঙলো
তাতে
ঝনঝনাঝন ঝন।
তারই সাথে আসলো শীত
কনকনাকন কন
বাতাস দিল শূণ্যে
উড়াল
গনগনাগন গন।
শূন্য হাঁড়ি উড়লো তাতে
ঠনঠনাঠন ঠন
লাটিম তখন ঘুরলো
জোরে
বনবনাবন বন।
শীতের দিনে একলা ঘরে
কেমন করে মন
মা রাঁধছে কৈ মাছ
শোন
ছনছনাছন ছন।
মা বলে আহ, সর না বাবু
রাখ না জ্বালাতন
বাবু কাঁদ। মা বলে
শোন
আমার সোনা ধন।
আমার চেয়ে এ দুনিয়ায়
কে আছে আপন, ওরে--
কে আছে আপন।
২৮/১১/২০১৮; ৭:৩০ মিনিট।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬৪৯
ঢালকানগর বাজলে ঢোল
খোকার মুখে ফোটে
বোল।
বলে, মা দে, ইসবগুল
সারুক পেটের গন্ডগোল।
ইসবগুলের দৌলতে
হয না খোকার
বৌ ফতে।
বৌটা বড় ঝগড়াটে
চোপা চালায় তল্লাটে।
মানুষ ভাবে বদনাম কই
ঠিক বলি নাই
কস না সই?
বিশ্বাস না হয় দেখে
যা
রান্না কেমন খেয়ে
যা।
কানে তালা দিচ্ছিস ক্যান
কথা কস না কাতলা
সেন।
বউ তো নারে
ডাইনী বুড়ি
বয়সটাতো কয়েক কুড়ি।
চেহারাটা ডাকাতিয়া
তাইতো কাঁপে আমার
হিয়া।
২৯/১১/ ২০১৮; ৭টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬৫০
বঙ্গে এলো রঙ্গের খেলা
অঙ্গে এলো কোট
সঙ্গে এলো সবার
হাতে
নতুন নতুন নোট।
হায়রে আমার ভোট।
হায়রে আমার ভোট।
ভোটের জন্য জঙ্গ করে
কেউবা হারায় অঙ্গ
কেউবা আবার বসে
বসে
দেখে খালি রঙ্গ।
কারো আবার খেলা
দেখে
হয় যে স্বপ্নভঙ্গ।
ভোট করে কেউ নোট গড়ে
কারো ভোটে ঠোঁট
নড়ে
কেউবা দেখায় চোট
কেউবা বাঁধে জোট।
জোটে গেলে দল থাকে
না
নিজের গায়ে বল থাকে
না।
২৯/১১/২০১৮; রাত ৯টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬৫১
চলার পথটা বাঁক নিয়েছে অন্য দিকে যাই
তোরা যারা বন্ধু
ছিলি ভালো থাকিস ভাই।
চলার পথে আবার
যদি দেখা হয়ে যায়
জড়িয়ে ধরে বলিস
বন্ধু আয়রে বুকে আয়।
চলার পথটা বাঁক নিয়েছে অন্য দিকে যাই
তোরা যারা বন্ধু
ছিলি দোয়া করিস ভাই।
এ পৃথিবীর খেলাঘরে
খেলিস রঙের খেলা
খুশিমনে চড়িস এলে
কভু মরণ ভেলা।
দোয়া ছাড়া বন্ধুরা সব দেয়ার কিছু নাই
আল্লাহর হুকুম ছাড়া
বন্ধু কিছূ ঘটে নাই।
এ পৃথিবী মায়ার
ভুবন পরও আপন হয়
মানুষ হলে এসো
রে গাই মানবতার জয়।
২৯/১১/২০১৮; ১০:৪৯ মিনিট।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬৫২
বাবা পরতো চশমা
বলতো কিছু কস মা
চশমা ছিল সঙ্গী
তার
বন্ধু ছিল অঙ্কিতার।
একদিন বাবা নাই হলো
চশমার ঘরে ঠাঁই
হলো।
টেবিল খাতা চশমা
বলতো বাবা, বস মা।
আজ কেউ কিছু বলে না
মন তো কারো
গলে না
রেলগাড়িটা চলে না
অঙ্কিতার কান মলে
না।
বাবা রাতের তারা হলো
ঘরটাও তো ভাড়া
হলো
স্বপ্নে আসেন বাবা
বলেন, কিছু খাবা?
জেগে দেখি বাবা নাই
মা যে বসে
কান্দে তাই।
৩০/১১/২০১৮; ৯টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬৫৩
বলতে পারিস খোকা
কোন মানুষটা বোকা?
চালাক বলি কারে।
কি সে করতে
পারে?
যে খায় বার বার ধোঁকা
সেই মানুষটাই বোকা।
চক্ষু দিছে দেখার
জন্য
সে তো কিছু
দেখে না
কান দিছে শোনার
জন্য
সে তো কিছু
শোনে না।
আলসেমী তার কাটে না
পা দিয়ে তাই
হাঁটে না
নাও বাঁধে সে ঘাটে
না
খাটতে বললে খাটে
না।
কখন যে হয় হালাক
এই ভয়ে যে কাতর
থাকে
পাপকে দেয় তালাক
পাপের কাজ যে করে
না
সেই তো মানূষ
চালাক।
৩০/১১/২০১৮; ১১টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬৫৪
ভেবে ভেবে দেখলাম
কত কিছু লেখলাম
লিখে লিখে হয়ে
যাই হদ্দ
লোকে তাই কবি
কয় অদ্য।
ভাবনারা ছুটে যায় সদ্য
লিখলাম গদ্য ও পদ্য
ভাবনারা ছুটে যায়
নীলিমার উপরে
ছুটে যায় সাগরের
অতলে স্যু পরে।
আজও লিখি, অদ্য
খাতা ভরা গদ্য
ও পদ্য।
কোন লেখা ভুল হয়
কোন লেখা ফুল
হয়
কোন লেখা হয়ে
যায় পদ্ম
ভাবনারা থাকে নাতো
বদ্ধ।
ছুটে যায় আরশে
ছুটে যায় হরষে।
লিখে লিখে হয়ে যাই
হদ্দ
অদ্য
সদ্য
গদ্য
পদ্য।
লিখে লিখে মাস যায়, বরষে
তবু থাকি লেখাটার
পরশে
লেখাটাই নেশা তাই
ধরি নাতো মদ্য।
ভালবাসি পদ্য।
অদ্য ও সদ্য।
জীবনের ঝুলিটা
ফকফকাখালি ভাই
আজো কত গালি
খাই।
ঝুলিটায় তালি নাই।
চোখে দেখি বালি
ভাই
আরো দুটো শালি
চাই
লেখাগুলো গোছাবে
আর চোখ মোছাবে।
অদ্য
লিখে লিখে হয়ে
গেছি হদ্দ।
১/১২/ ২০১৮; ৪টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬৫৫
নবাবগঞ্জে নবাব নাই
বাজে লোকের অভাব
নাই।
প্রেমিক হওয়ার স্বভাব
নাই
কেনো নাই তার
জবাব নাই।
মুটকো মরিচ ঝাল লাগে না
ভালো কথাও ভাল
লাগে না
নৌকা চলতে খাল
লাগে না
কালো বরণ কেশ
বানে ভাসে দেশ।
নবাবগঞ্জে নবাব নাই
ভাল হওয়ার স্বভাব
নাই
খাবেন? ভাল কবাব
নাই।
কেনো নাই তার
জবাব নাই।
আদালতে বিচার নাই
এখন ভাল টিচার
নাই
ভাল একটা ফিচার
নাই
বিদেশে যায় গ্যাস
ফকির তবু দেশ।
১/১২/২০১৮; ১১টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬৫৬
মিথ্যা বলার কম্পিটিশন
চলছে এখন চৌদিকে
এমন সময় যায়
না বলা
থামান এসব বৌদিকে।
রেডিও টিভি মিথ্যা বলে
মিথ্যা লেখে পেপারে
তাইতো দেখি চৌদিকে
বীর জনতা ক্ষ্যাপা
রে।
বুবুর বাক্স মিথ্যা বলে
দাদার বাক্সে মিথ্যা
চলে
জা' ননদীও কমনা
ইলিশ ধরে পদ্মাতে
নয়
ইলিশ ধরে রমনা।
পুরান ঢাকার অসুখ হলে
দাদা যায়রে হসপিটাল
হাতির ঝিলে কুমীর
ঘুরে
এটা কি তুই
কসরে লাল!
হিমালয়ের তুফান আসে
বাতাসে সব উড়ে
সেই বাতাসে ব্যালটবাক্স
যায়রে ভেঙেচুড়ে।
২/১২/২০১৮; ভোর ৫টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬৫৭
ভায়ে ভায়ে ছিল মিল
রহম ভরা ছিল
দীল।
নামলো মাঠে আজাজিল
একে অন্যে দেখায়
কিল।
কী মুশকিল, কী মুশকিল!
তুরাগ নদীর তীরে
মুসল্লিদের ভীড়ে
নামে শয়তান আজাজিল
কী মুশকিল, কী মুশকিল!
একই পাতে খেতো ভাত
এখন তোলে গায়ে
হাত
দুপুর বেলা আঁধার
রাত
কী মুশকিল, কী মুশকিল!
তাবলীগ মারে তাবলীগে
বগল বাজায় সাব
লীগে
খাড়ায় দেখে পাবলিকে
কী মুশকিল, কী মুশকিল!
তুরাগ তীরে লাশ হয়
ঘৃণা শুধু চাষ
হয়।
কারো সর্বনাশ হয়
শয়তান তাতেই পাশ
হয়।
কী মুশকিল, কী মুশকিল!
যে শহীদ সে খুনী হয়
যে খুনী সে শহীদ
হয়।
কী মুশকিল, কী মুশকিল!
২/১২/২০১৮; ২:৩০মিনিট।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬৫৮
দন্ত বাহার খান কয়
জোরে ভোট আর নয়।
ঠাকুর ঘরে কে রে
আমি কলা খাই
না
আগে নিতাম ঠিকই
তবে
এখন আমি চাই
না।
বিশ্বাস করলে করেন
না করলে মরেন।
হাসলে যদি দোষ
হয়
তয় চাইপা ধরেন।
নইলে একটা টিকেট
দেন
চলে যামু ফরেন।
২/১২/২০১৮; ৫টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬৫৯
হারলেও নাকি পালাবে না
এমন দাবী কাকার
কে বলেছে আগ বাড়িয়ে
রাম বাবুকে ডাকার।
ভূতে যখন পায় ভয়
তখন রাম রাম
কয়।
তবে কি তিনি ভয় পেয়েছেন
দেখছেন ডিমের আকার।
উল্টো ঘুরার শখ হয়েছে
ইতিহাসের চাকার?
কনতো এ কি ভাবছেন
এতো কেনো কাঁপছেন?
তবে কি ভাবেন গুম হবেন
চোখের লেন্সে জুম
হবেন
তেতুল কাকা পাকেনি
তো
আগেই খাবেন পাকার?
দেশের খবর পরে নিয়েন
কি খবর কন ঢাকার?
২/১২/২০১৮; ৭টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬৬০
আপনি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী
এক বার নয়, তিন
বার
লজ্জা নাই এমপির
ভোট
আইছেন এবার কিনবার?
তাতে দেশের মান থাকে?
বেইজ্জতির পাড় নাই
দেশের একটা মান
আছে
বলেন মান কার
নাই?
জেলে থেকে জিতে যাবেন?
এতো সাহস কই পান?
মনোনয়ন বাতিল বাতিল
কাগজপত্র লই যান।
চাকরী করি আমি যার
তারে আপনি হারাবেন
আমরা তার গোলাম
আছি
কেমনে আপনি তাড়াবেন?
কেয়ার নিয়ে ফেয়ার ভোট
করে দেবো এই বার
জিতবে শুধু আমার
মালিক
এবং যারা নেইবার।
৩/১২/২০১৮; ৯টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬৬১
দুইটা ছেলে বসা ছিল ফুটপাতে
মেতে ছিল নানা
রকম ঝুটবাতে।
ওদের নাকি হয়নি
খাওয়া কালরাতে
কিনে খাবে পয়সাও
নেই চার হাতে।
ভবঘুরের হদ্দ ছিল দিদার মিয়া
দোস্ত ছিল সঙ্গে
এখন কি ধার গিয়া।
দিদার মিয়ার চোখে
পড়ে দুইটা ছেলে
কাটাকাটি খেলছে বসে
এলেবেলে।
দিদার বলে, এই পিচ্ছি, বাসা কই
মারা গেছে মা বাবা
ভাই সমস্তই।
পেটের ভেতর বাতাস
ছাড়া কিচ্ছু নাই
দেন না দুইডা
টাকা, কিনে কিছু খাই।
দিদার বলে আয়
ওরা, এ ওর চোখে
চায়।
শেষে কি না ঢোকে
এক হোটেলে
পরাণ ভরে ভাত
খায় ওরা দু'ছেলে।
এমন যদি হতো দেশের সকলে
দেশটা কি আর থাকতো
বলো ধকলে?
৩/১১/২০১৮; ১১টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬৬২
কখনো যদি হস্তি পড়ে ফান্দে
হস্তির বউ চান্দে
বসে কান্দে।
চামচিকা এসে লাত্থি
দেয় হাতিকে
এখন থেকে সালাম
দিবি নাতিকে।
একদিন ছিলেন প্রধানমন্ত্রী
এখন আসামী বৈ ননতো
পড়ছেন ফান্দে সোনার
চান্দে
করবেন কি আর কনতো?
মনে ভীষণ খারাপ লাগে?
মানুষেরই মনতো
আর কটা দিন
সবুর করেন
কষ্ট করে সনতো।
পোলারা সব পথে লাফায়
কেউতো নিতে আসে
না
নাকি বুকে দরদ
নাই
কেউ আর ভালবাসে
না।
আর কটা দিন পরে আসুক
তখন পাবে লাশ
তো
কাঁদবে বলে মা জননী
দেশকে ভালো বাসতো।
৩/১১/২০১৮; ৪টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬৬৩
পাতিহাঁস হাঁস তবে
ইতিহাস হাঁস নয়
মরা লাশ লাশ
তবে
এজলাস লাশ নয়।
ফাইন মনে জরিমানা
ফাইন মানে ভালো
লাইট মানে হালকা
লাইট মানে আলো।
গণতন্ত্র মানে হলো
জনতার রায়
আজ দেখি গনতন্ত্র
শুধু গুলি খায়।
গনতন্ত্র এলে ভয়
মার বুক খালি
হয়।
৩/১২/২০১৮; ৬টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬৬৪
ধুম ধারাক্কা ধাম ধুম
বাড়ি ছেড়ে যাও
ঘুম
ঘুমের সময় শেষ
জাগো বাংলাদেশ।
ওই যে দেখো রবির কর
ঘুম ছেড়ে তুই
রাস্তা ধর।
মাঠ পেরিয়ে ঘাট
পেরিয়ে
যা পেরিয়ে তেপান্তর।
সামনে যারে দেখতে পাও
সে তো ভীতু
দেওয়ের ছাও
সাপের যেমন মায়া
নাই
দেওয়ের তেমন হায়া
নাই।
দেওয়ের কপাল মন্দ
এক চোখে সে অন্ধ
আরেক চোখে ভুল
দেখে
ডাইন বললে বাম
লেখে।
দেওয়ের বাড়ি দুলালপুর
এখান থেকে অনেক
দূর।
দেওটা যদি মারতে
চাও
তবে দুলাল পুরে
যাও।
৩/১২/২০১৮; ৮টা।
আসাদ বিন
হাফিজ এর ছড়া-১৬৬৫
কারো নাই মাথা ভাই
কারো নাই লেজ
আশা নাই জিতে
যাবো
শোন পারভেজ।
কি যে করি ভেবে মরি
করলাম কত ছলনা
মনোনয়ন বাতিল করলাম
আর কি করি
বল না।
পাবলিক এমন ক্ষেপেছে
জেতার কোন আশা
নাই
মিষ্টি কথায় পার
পামু
এমন কোন আশা
নাই।
বয়কট করমু ছুতা কই
পায়ের নিচে জুতা
কই?
৩/১২/২০১৮; ৯টা।।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬৬৬
তখনো উঠেনি রবি, পূবাকাশ লাল
সময়টা ভোর ভোর
ঠিক উষাকাল।
দিন নয় রাত
নয়,
আঁধার পালায়
এ সময় মহানবী
সা এলেন ধরায়।
ধূসর উষর ভূমি, মরুময় প্রান্তর
কঠিন কঠোর ছিল
মানুষের অন্তর
হানাহানি খুনোখুনি হতো
নিত্যদিন
এ সময় জন্ম
নেন নবী আলামিন।
বিশ্বের বিস্ময় তিনি রহমত খোদার
পূণ্য ও প্রেমের
তিনি একক আধার।
এসো পড়ি তার
নামে দরুদ ও সালাম
সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম।
৪/১২/২০১৮; ৮টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬৬৭
খামার বাড়ি আমার না
চাচার কিম্বা মামার
না।
গদী আমার নামার
না
বোতামটা এ জামার
না।
তবুও বোতাম নিতে
হয়
নইলে আসে নিত্য
ভয়।
গদীটা কেউ কাড়তে এলে
কিম্বা বেশী বাড়তে
গেলে
কিম্বা দুধটা নাড়তে
গেলে
তখন সাবধান হতে
হয়
নইলে আসে মরার
ভয়।
জানা কথা ভুলতে নাই
পাকা পটল তুলতে
নাই।
৪/১২/২০১৮; ১১টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬৬৮
ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি।
ইসির দোষ ধরলে
কেউ তার হবে ফাঁসি
এই সংবাদ শুনে
কারো মুছে গেলে হাসি।
বু্ঝবেন সে রাজাকার
জমে গেছে সাজা
তার।
তারে ধরে দেবেই
ফাঁসি এই দেশবাসী।
ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি
শোনেন কাছে আসি
হাসির কিছু ঘটে
নাই
বাজে কথা রটে
নাই
তবে তুই হাসলি
ক্যান তোরও হবে ফাঁসি।
ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি
দেবে সর্বনাশী
হাসলে ফাঁসি না হাসলেও
বাসলে হাসি না বাসলেও
ফাঁসির খেলার নাই
তুলনা বলছে এসব মাসি।
৪/১২/২০১৮; ৩:৩০ মিনিট।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬৬৯
আল্লাহর ওয়াস্তে একটা ভোট দেনগো মিয়া ভাই
ভোট ছাড়া যে এই অধমের
কোনই গতি নাই।
ঋণখেলাপী হাজার কোটি
দুদক নাকি ধরবে
টুটি
এই দুনিয়ায় আমার
কোন সহায় সম্পদ নাই।
আল্লাহর ওয়াস্তে একটা
ভোট দেনগো মিয়া ভাই।
এতীম শিশু আমি ভাইরে পিতা মাতাও নাই
জায়গা জমি বাগানবাড়ি
ছেলের নামে ভাই
সর্বহারা আমি ডাকি
তাইতো বন্ধু থাকি
থাকি
শেয়ার বিজনেস বউয়ের
নামে আমার কিছু নাই।
আল্লাহর ওয়াস্তে একটা
ভোট দেনগো মিয়া ভাই।
বিনা পয়সার গোলাম বউয়ের ভয়ে ভয়ে থাকি
তসবি হাতে হরদমে
হায় আল্লাহ রাসূল ডাকি।
সইতে নারি ঋণের
ভার
বলবো কতো দুঃখ
আর
বিএমডব্লিউ দোস্তের দেয়া
আমার কিছুই নাই।
আল্লাহর ওয়াস্তে একটা
ভোট দেনগো মিয়া ভাই।
৪/১২/২০১৮; ৮টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬৭০
হীরালালে বললো হেসে কাকা
কয়ডা টাকা নিয়া
চলেন ঢাকা।
কাকা হেসে কয়
যাবোতো নিশ্চয়
কিন্তু কেন যেতে
হবে কাকা?
রাস্তাটাও দেখছি বেজায়
ফাঁকা।
হীরা হেসে কয়
বলবো তো নিশ্চয়
মান সম্মান সব কি বিড়াল
খাইছে
দেশে নাকি নতুন
ফকির আইছে।
নযা ফকির? এরা কারা?
ফকির হইছে মিয়া সাবে এবং শেখের পোলা
ফকির হইছে খান
বাহাদুর, তালুকদার ও জোলা।
নবাব মিয়া ফকির
হইছে
এসব কথা পেপার
কইছে
কি যে আজব
কারবার।
দেশটা এখন ফকিরের
দরবার।
পোলাটাতো রাজপুত্তুর
বৌটা নাকি রানী
নিজে স্বয়ং ঋণখেলাপী
শুনছি কানাকানি।
হাজার কোটি দেনা
মুখগুলো সব চেনা
তাইতো নিজে ফকির
হইছে
হইছে মাদার ফাঁকার।
টাকার দরকার টাকার।
দুইডা কইরা টাকা দেন পাতে
বাদাম কিনে খাবে
ওরা রাতে।
১১/১২/ ২০১৮; ৯টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬৭১
ছড়া নেবেন ছড়া
টক ঝাল মিষ্টি
কড়া
গোস্তের আগে বড়া
উজান কৈ ধরা।
ছড়া নেবেন ছড়া
টক ঝাল মিষ্টি
কড়া
পোলা শিখুক লড়া
থাকবে না এ খরা।
ছড়া নেবেন ছড়া
টক ঝাল মিষ্টি
কড়া
ইস্পাত দিয়ে গড়া
শীশার গুল্লি বড়া।
ছড়া নেবেন ছড়া
টক ঝাল মিষ্টি
কড়া
রাখেন আপনের পড়া
আগে দরকার লড়া।
১১/১২/২০১৮; ১০টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬৭২
সব ধর্মের একই কথা মিথ্যা বলা মন্দ
খুনোখুনি মারামারি ভাল
তো নয় দ্বন্দ্ব।
সব মানুষকে ভালবাসো ভেবো না কেউ পর
এই পৃথিবীর সবটা
মিলেই বিশাল একটা ঘর।
ছোট-বড়ো, ধনী-গরীব, রক্ত সবার লাল
বিভেদটাকে দেয় ঘুচিয়ে
কাল ও মহাকাল।
কিসের গর্ব, কিসের বড়াই, কেউ বাঁচেনি বিশ্বে
ধনী-গরীব, রাজা-প্রজা, সাদা- কালো নিঃস্বে।
কষ্টে কেনো থাকবে তুমি, সুখ অনন্দ থুয়ে
ঘৃণা ও লোভ
মুছে ফেলো হৃদয় থেকে
ধুয়ে।
মহৎ যাঁরা তাদের মাথা একটাইতো, বেশী না
সব হৃদয়ই স্রষ্টার
দেয়া, একটাওতো দেশী না।
এসো এসো সবাই এসো তাঁর গুণগান করি
সকল পথ ছেড়ে
দিয়ে প্রেমের পথটা ধরি।
৫/১২/২০১৮; ৯টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬৭৩
সারা বিশ্ব একটা ঘর
কোথায় যে এর কারিগর
মানুষরা সব ভাই
বেরাদর
আয় আনন্দ করি
করি জড়াজড়ি।
ফুলে থাকে সুবাস জানি
প্রজাপতির কানাকানি।
তাতেও থাকে কাঁটা
কপাল যাদের ফাঁটা।
আনন্দটা সীমায় বাঁধো
অসীম করো না
আনন্দটা করতে গিয়ে
নিজে মরো না।
বেহিসাবী আনন্দটা
বিপদ ডেকে আনে
পরিমিতির বোধ থাকলে
গোলাপ ফোটে প্রাণে।
৬/১২/২০১৮; ৯টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬৭৪
আমার অনেক বিদ্যা আছে
বুদ্ধি আমার কম
জীবনটাকে সাজাই নি তো
তাইতো মনোরম।
সবাই জানে কোথায় থাকে
আজদাহা তার যম
কিভাবে যে ধরতে
হয়
সেই বিপদে দম।
বিদ্যার সাথে বুদ্ধি মিলাও
বুদ্ধির সাথে বিদ্যা
তবেই তুমি পারবে
যেতে
খুব সহজে জিদ্দা।
আমার মত বোকা হলে
আটকে যাবে কাম।
আমি বোকার হদ্দরাম।
৫/১২/২০১৮; ৯:২০ মিনিট।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬৭৫
রংপুরের রংবাজেরা
রাঙা বিড়ি খায়
রাঙা হাতের পিঠাপুলি
আরো খেতে চায়।
রাতের বেলা কাঁঠাল তলে
কালো কি যে নড়ে
রংপুরের রাঙা বাবুর
বুক ধড়ফড় করে।
ইলেকশনের কথা শুনলে
পাতলা অসুখ হয়
রংপুরের রাঙা বাবু
হাসপাতালে রয়।
শোনেন শোনেন আক্তার ভাই
হাসপাতালে ডাক্তার নাই।
৬/১২/২০১৮; ৬টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬৭৬
ইষ্টিকুটুম মিষ্টিকুটম
কুটুম গেলো কই
ভাঁপা পিঠা ভিজা
পিঠা
নিজের পাতে লই।
শীতের দিনে পিঠা মজা
সঙ্গে মজা পায়েশও
শীতের সাথে পাল্লা
দিয়ে
বাড়ে পিঠার খায়েশও।
ইষ্টিকুটুম মিষ্টিকুটম
আয় রে পিঠা
খাই
পিঠা খাবার ধুম
পড়েছে
মামার বাড়ি যাই।
মামীর হাতের পিঠা মজা
নাড়ু নানীর বানানো
শ্বশুর বাড়ির পিঠার
দাওয়াত
যায় না কভু
ফালানো।
৭/১২/২০১৮; রাত ২:৩০ মিনিট।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬৭৭
ঝরণায় জল পড়ে ঝিলমিল ঝিল
আমাদের খুকু হাসে
খিলখিল খিল।
খিলখিল হাসে আর পিলপিল
হাঁটে
এইভাবে খুকুটার দিনগুলো
কাটে।
ছোট মাছ বিলে নাকি কিলবিল করে
সেই মাছ খুকু
আনে রোজ রোজ ধরে।
বলে মামা, আরো আছে
জাল নিয়ে যাও
রোজ রোজ ধরে
ধরে ছোট মাছ খাও।
তিল তিল বেড়ে খুুকু খুকি হয়ে যায়
ছোট মাছ রোজ
রোজ তবু খুকি খায়।
ঝিলমিল জলে দেখে
খুকি চেহারা
একদিন তারে এসে
নেয় বেহারা।
খুকি আজ কই তুই দেখি না তোরে
কী আশায় এই আমি
দাড়াই দ্বোরে।
বুক ভরা হাহাকার, তুই
নাই ঘরে
আমার চোখের নীর
টুপটাপ ঝরে।
৭/১২/২০১৮
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬৭৮
বাদাবনে ভোট আসে
সঙ্গে দাদা গোট
আসে।
গোটের সাথে জোট
আসে
কালো বরণ কোট
আসে।
কোটের সাথে এলে নোট
জমে ওঠে মজার
ভোট।
নড়ে উঠে পাতলা
ঠোঁট
ঢাকা খেকে লাঙ্গলকোট।
লাঙল কোটের লাঙ্গলে
ঝিমায় বসে জঙ্গলে।
তাতে কোন দোষ
নাই
বাদাবনে মোষ নাই।
৯/১২/২০১৮; ৬টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬৭৯
নবী বলেন বৃক্ষ লাগাও, তুমি বৃক্ষ করো নাশ
নবীর হুকুম দূরে
ঠেলে করো নিজের সর্বনাশ।
বান্দারে তোর বুদ্ধি
নাই
বৃক্ষ নিধন করো
তাই
নিজের হাতে আপন
গলে বান্দা নিজে লাগাও
ফাঁস।
প্রতি দমে বাতাস গিলো, দেহে পাঠাও অক্সিজেন
নিঃশ্বাস ফেলো সঙ্গে
ফেলো দুষিতসব নাইট্রোজেন।
বাতাস ছাড়া মানব শিশু সবাই হবে মরা লাশ।
পশুপাখি কীটপতঙ্গ বন্ধ
হবে সবার শ্বাস।
বন্ধ করো বৃক্ষ
নিধন
রক্ষা করো মানব
জীবন
রক্ষা করো, বাঁচাও প্রাণীকূলের
অযুত আবাস।
৯/১২/২০১৮; ৮টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬৮০
সিইসি সাব-
কয়ডা মানূষ মরলে
সংঘাত
হইছে এটা বলা
যায়
আপনারর মতো দেশের মানুষ
সবাই কি কাঁচকলা
খায়?
বাড়িত আগুন - সংঘাত হয়নি
গাড়ি ভাঙচুর - সংঘাত হয়নি
দুইটা খুন - সংঘাত হয়নি।
কয়টা মরলে আপনার মতে
সয়ঘাত হবে কনতো।
তাও জানেন না তবে
এবার
গাট্টি বোচকা লনতো।
দেশে কি তয় সরকার নাই
এমন ইসি দরকার
নাই।
মিথ্যাটারে সত্য বলে
সত্যটারে মিছা
বউ ঝি গো হাতে
হাতে
তাইতো এখন পিছা।
১২/১২/২০১৮; ১১টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬৮১
আমরা যারা রাজনীতিবিদ
আমরা খাবো দেশটা
গুমোট করে রাখবো
সদা
দেশের পরিবেশটা।
জনগণ সব কাঁচা মাল
আমারে দে ভাগের
তাল
যতোই পারুক পাবলিক
গাল
দেখবি খেলা শেষটা
কান্দে বসে কেস্টা।
রাজনীতিবিদ ঘরজামাই
শ্বশুরবাড়ির খানা
খাই।
দেশটা খোশে ভাগ
করি
কম পড়লে ভাগ
রাগ করি।
১২/১২/২০১৮; সকাল ৯টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬৮২
এইডা কিতা কয়
দুইডা মানূষ মরি
গেল
সংঘাত নাহি হয়।
ঘরের মইধ্যে আগুন দিল
সংঘাত নাহি হয়।
গাড়ি করলো গুড়া
গুড়া
সংঘাত নাহি হয়।
তয়
সিইসিরে জবাই করলে
সংঘাত কিবায় হয়।
কয়ডা মানুষ মরলে
পরে
সংঘাত তারে কয়?
ইবা
সিইসির কি মাথা নষ্ট
ইতা কিবায় কয়?
১২/১২/২০১৮; ৩:৩০ মিনিট।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬৮৩
পরের ধনে পোদ্দারীটা করা ভালা নয়
অছিরদ্দি ছলিমদ্দির আপন
শালা নয়।
খুবতো কইলেন সবই
হয় আমার অর্ডারে
তার মানে কি আপনি
গুলি চালান বর্ডারে?
বিরোধী দল হচ্ছে গ্রেফতার আপনার নির্দেশে?
হচ্ছে গুলি, মরছে মানুষ, আপনার
নির্দেশে?
নাকি আপনি দাপট
দেখান এসব বীর বেশে?
ম্যাজিসিয়ান বুকেও
নেয় যেমন তীর হেসে।
একই মামলায় দুরকম রায় কার হুকুমে হয়?
মনডা আগে ঠিক
করেন কারে দেবেন জয়।
যা করার তা করেন
জলদি, হাতে সময় নাই
আপনি দেখছেন সাপের
পাও?
আমি দেখি নাই।
পরের ধনে পোদ্দারীটা ছাড়েন বরকন্দাজ
যায় না বলা
কখন আবার উল্টো ঘুরে
রাজ।
১২/১২/২০১৮; ৪:৩০ মিনিট।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬৮৪
হীরালালের ঘুম আসে না রাইতে
বড় বড় নেতা
আসে ভোট চাইতে।
কারে রেখে কারে
যে দেয় ভোট
যতো ভাবে ততোই
শুকায় ঠোঁট।
হীরা আলম ভোট চাইলে
সুশীল আসে তেড়ে
কেমন করে ভোট
করে তয়
সন্ত্রাসী সব নেড়ে?
লগি বৈঠার খুনীরা ভোট চায়
ভোট চায় যে শেয়ারমার্কেট
খায়।
ব্যাংক লুটেরা বিলায়
ভোটের চিনি
কারো গলায় ঝুলে
সোনা গিনি।
কেউবা ভোট চায় জেলে বসে
কেউ ভোট চায়
মামলা মাথায়
কারো আবার চান্দি
গরম
ভোট চায় আর টাকু
হাতায়।
সন্ত্রাসী কয় শান্তি দেবে
সে কি কথার
চোট
দুর্নীতিবাজ বলে
আয়
বাঁধি আমরা জোট।
চাপাবাজের চাপায় নীতি
জনমনে বাড়ায় ভীতি
বাতাসে সংঘাত।
রাতের পরে দিন
আসে না
আসে আঁধার রাত।
বাংলাদেশে চলছে এবার
আজব রকম ভোট
ব্যালট পেপার কেমনে
পেলো
রাসবিহারীর গোট।
১২/১২/২০১৮; ৮টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬৮৫
আজব ভোটের রঙ্গ দেখো
আজব ভোটের রঙ্গ
ভোটের আগেই হারায়
মানুষ
নিজের নানা অঙ্গ।
সারাদেশে চলছে গ্রেফতার
হয় না মোহভঙ্গ।
হায়রে ভোটের রঙ্গ
দেখো
আজব ভোটের রঙ্গ।
গ্রেফতার করতে এখন আর
ওয়ারেন্ট লাগে না
সুড়সুড় করে জেলে
যায়
সাহস জাগে না।
প্রতিবাদের ঢেউ উঠে না বঙ্গে
আদালতে ঘুরছ সবাই
ঢঙ্গে।
চলছে দেদার নাটক সেথা
চলছে নানা প্রহসন
তোপের মুখে বিরোধীদল
সরকার করে নির্বাচন।
নমিনেশন নেয় না ইসি
করে নানান বাহানা
সরকারীদল মুলা খায়
তাদের বেলা তাহা
না।
একপক্ষে বিরোধী দল
আরেক পক্ষে সরকার
এই মুহূর্তে আন্দোলন
বড় বেশী দরকার।
জালিমশাহী পুচ্ছ নাচায়
গুচ্ছ ধরে টান
দে
গণতন্ত্র ফেরত পেতে
দরকার হলে জান
দে।
১৩/১২/২০১৮; ১১টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬৮৬
তিন বাড়ির তিন ছাগল
মানে তিনটা গোট
মিলেমিশে গড়লো ওরা
নির্বাচনী জোট।
ব্যাঘ্র মামা সিইসি
শিয়াল প্রতিপক্ষে
মাঠটা তবু সমান
দেখছে
সবাই নিজের চক্ষে।
অস্ত্রগুলো বস্ত্র দিয়ে ঢাকা
কল্পনাতে জয়ের ছবি
আঁকা।
কারণ এবার অস্ত্র
জমা নেবে না
অস্ত্রহীনে ভোটের সুযোগ
দেবে না।
আজব রকম আসলো ভোট
তাই হাসছে কালো
কোট
বলছে সবাই এবার
ফোট
নাচছে মাঠে তিনটে
গোট।
শুনছি এবার নতুন সুর
সবাই যাবে রসূলপুর।
দা বটি আর গজারী
কাঠ
করবে দখল এবার
মাঠ।
লগি বৈঠার দিন তো শেষ
ধানের শীষের বাংলাদেশ।
মহা জঞ্জাল তো মহা
জোট
দেখো এবার আজব
ভোট।
১৩/১২/২০১৮; ৬টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬৮৭
আমি যখন ছোট্ট ছিলাম তোমরা ছিলে বড়ো
সকাল বিকাল বলতে
আমায় পড়ো পড়ো পড়ো।
এটা ওটা ধরতে
গেলে করতে মানা, না।
বটি কাঁচি ছুরি
ওসব,
না,
ধরে না, না।
আগে বাবু বড়ো
হও,
অনেক অনেক বড়ো।
ধরতে মানা, লড়তে মানা, পড়তে মানা নাই
কতকিছু জানার আছে, সেসব
জানা চাই।
জানার জন্য পড়তে
হয়
পড়ে জীবন গড়তে
হয়
ন্যায়ের পথে লড়তে
হয়,
লড়াই জানা চাই।
আমি যখন ছোট্ট ছিলাম তোমরা ছিলে বড়ো
প্রতিদিনই বলতে আমায়
পড়ো,
পড়ো,
পড়ো।
জীবন যদি গড়তে
জয়
তবে অনেক পড়তে
হয়
পড়েই জীবন গড়তে
হয়,
তুমিও জীবন গড়ো।
১৩/১২/২০১৮; ১১টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬৮৮
ইলিয়াস আলী লুনা
ধানের শীষের পক্ষে
গিয়ে
করেছে কি গুনা?
তবে কেন তাদের
জীবন
করছো ভুনা ভুনা?
ইলিয়াসের খোঁজ নাই
গুম হয়েছে, গুম
আরো কেন গুম
করলে
লুনার চোখের ঘুম?
প্রার্থিতা তার হয়নি বাতিল
হয়ে গেছে গুম
স্থগিতের আর কি মানে
করতে পারো তুম?
গুমের জ্বালা বড় জ্বালা
জীবন করে কালা
কালা।
গুম রে তুই
পালা পালা
লুনার আসুক ঘুম
বাড়িটা নিঝঝুম।
১৩/১২/২০১৮; ৮:৩০ মিনিট।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬৮৯
যতো ওরা ভাববে
ততো ওরা ডাববে।
যতো ওরা ডাববে
ততো ওরা চাপবে।
যতো ওরা চাপবে
রাজপথ কাঁপবে।
কাঁপবে রাজপথ
কাঁপবে নাক নথ
জনতার গর্জন
করবেই অর্জন।
জনমত জিতবে
জনতাই টিকবে।
১৪/১২/২০১৮; ১২টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬৯০
ধর্ষিতা বোন কাঁদে নৌকা ঠেকাও
আহত ভাই কাঁদে
নৌকা ঠেকাও।
হাজারো মজলুম কাঁদে
নৌকা ঠেকাও
জেলের কয়েদী কাঁদে
নৌকা ঠেকাও।
পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা কাঁদে নৌকা ঠেকাও
আহত স্বজন কাঁদে
নৌকা ঠেকাও।
ফাঁসির বীরেরা বলে
নৌকা ঠেকাও
গুম হওয়া সাথীরা
বলে নৌকা ঠেকাও।
পুত্রহারা মা কাঁদে নৌকা ঠেকাও
স্বামীহারা বোন কাঁদে
নৌকা ঠেকাও।
গুম হওয়া পিতা
কাঁদে নৌকা ঠেকাও
ঘরে ঘরে আহাজারী
নৌকা ঠেকাও।
নৌকা ঠেকাও ভাই নৌকা ঠেকাও
নৌকা ঠেকাও আহা
নৌকা ঠেকাও।
১৪/১২/২০১৮; ৩:৩০ মিনিট।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬৯১
আমরা লড়াকু লড়বোই
শান্তির এ সমাজ
গড়বোই
লড়বোই।
অনাচার অবিচার মানি
না
আপোসটা কারে কয় জানি
না।
জুলুমের জিঞ্জির ভাঙবোই।
শান্তির এ সমাজ
গড়বোই
লড়বোই।
হাতে হাতে হাতিয়ার
জাগোরে জোয়ান
দা বটি লাঠি
নিয়ে
হও আগুয়ান।
বাতিলের এ সমাজ ভাঙবোই
শান্তির সুসমাজ গড়বোই
লড়বোই।
শপথের বলে হও দীপ্ত।
ব্যাঘ্রের মত হও ক্ষীপ্ত।
হাঁকো হায়দরী হাঁক
আবিলতা মুছে যাক।
ঐ দেখো ওঠে
নব সূর্য
বাজাও বাজাও ফের
তুর্য।
শান্তির এ সমাজ
গড়বোই
লড়বোই।
১৪/১২/২০১৮; ৬:৪৫ মিনিট।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬৯২
সেদিন আমি গিয়েছিলাম
মেঘ পরীদের দেশে
রাজকুমারের বেশে
মিষ্টি মধুর হেসে
পরীরাসব আমায় ঘিরে
নাচলো অবশেষে।
বরফ পাহাড় বরফ নদী
বরফ বাড়িঘর
বরফ বৃক্ষ বরফ
সাগর
বরফ তেপান্তর।
আহা কি সুন্দর
আহা কি সুন্দর।
বরফ পাখি বরফ নাও
বরফ নায়ের পাল
বরফ পরী ধরে
আছে
সেই সে নায়ের
হাল।
রোদ পড়ে সে বরফ
নদী
করছে ঝিকিমিকি
অবাক আমি দেখি।
পাহাড় ভাঙে পাহাড়
গড়ে
বৃক্ষ সারি সারি
বরফ খুকি মুচকি
হেসে
আগলে দাঁড়ায় বাড়ি।
আহা, আগলে দাঁড়ায়
বাড়ি।
১৫/১২/২০১৮; ভোর
৪টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬৯৩
ইশ ইশ ইশ রে
জলে থাকে ফিস
রে
ঢেউ কেনো দিস
রে।
চুপ চুপ চুপ
মাছ দেয় ডুব
ভাল লাগে খুব
ধরে তুই নিস
রে
তাজা তাজা ফিস
রে।
রেঁধে তুই খাবি, খা
সাথে খা কাবিখা।
সুখটার চাবি খা।
ইশ ইশ ইশ রে
জলে থাকে ফিস
রে
ঢেউ কেনো দিস
রে।
১৪/১২/২০১৮; ভোর ৪:৩০ মিনিট।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬৯৪
ভোর হলো, হলো ভোর
এইবার খোলো দ্বোর।
ঐ পাখি ডাকে
পাতার ওই ফাঁকে।
কিচির মিচির কিচ
বুনবো আলোর বীজ
হাসবে আলোর ভোর
হাত ধরবো তোর।
কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে
মায়া যাবো বিলিয়ে
প্রাণে প্রাণে মিল
রোদ ঝিলমিল।
মক্তবে যাবো রে
বাতাসা খাবো রে।
চল যাই দল বেঁধে
সুর করে গান
গেয়ে।
১৪/১২/২০১৮; ভোর ৫টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬৯৫
ইচ্ছেগুলো দিচ্ছে পাড়ি
সাগর নদী মরু
ইচ্ছেগুলো বনবনানী
বৃক্ষ শাখা তরু।
ইচ্ছেগুলো নীলাভ আকাশ
দূর আকাশের চাঁদ
ইচ্ছেগুলো স্বপ্ন মধুর
কল্পনা ও সাধ।
ইচ্ছেগুলো পুচ্ছ নাচায়
গুচ্ছ ভরা গায়ে
ইচ্ছেগুলো আলোর কুসুম
ময়ূরপঙ্খী নায়ে।
ইচ্ছে নদী নিরবধি
কলকলিয়ে চলে
ইচ্ছেগুলো মনের কথা
সবার কাছে বলে।
ইচ্ছেগুলো কিচ্ছা কথা
গল্প দাদুর খাতা
ইচ্ছেগুলো ভোরের শিশির
বনের সবুজ পাতা।
১৫/১২/২০১৮; সকাল ৮টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬৯৬
হাছেন আলী মোল্লা
খায় রসগোল্লা।
তার বউ রোকাইয়া
চলে মাথা ঝুকাইয়া।
পোলার নাম ইমান আলী
করে খালি তালিবালী।
মেয়ের নাম বিলকিস
খায় বসে কিসমিস।
তালি তার জামাতে
বাপ যায় জামাতে।
দিনে যায় পাঁচ
বার
চায় বাপ বাঁচ
বার।
মোল্লার পা নাই
ছাগলের ছা নাই।
১৫/১২/২০১৮; ১২টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬৯৭
দুর্নীতি নীতি নয়
নীতি দূর হওয়া
করা যায় কাউকে
যায় না তা কওয়া।
টের পেলে লোকে ভাবে
বদলোক আমিনিট।
তাতে করে নিজেরই
হয় বদনামী।
সকলেই জানে তবে
মানে খুব কম
দুর্নীতি করতে
ফুসলায় যম।
তাতে শুধু পাপ হয়
মনে কালো সাপ
হয়।
তাকে করো ভয়
হোক তব জয়।
দুর্নীতি করো না
বাঁকা পথ ধরো
না।
১৫/১২/২০১৮; ২টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬৯৮
হেরে যাবে টের পেয়েছে
তাই কি এতো
হামলা?
তাতেও ভরসা পাচ্ছে
না তাই
গামলা ভরা মামলা?
গণহারে ধরপাকড়
মুরুব্বীকে চড় থাপড়
এবার ঠেলা সামলা।
সারাদেশে হামলা।
চলছে এবং চলবে
সময় কথা বলবে।
বীর জনতা দলবে
ভাদার দুকান মলবে।
তিরিশ তারিখ ডিসেম্বর
করবি কি তার
কিসিম কর।
১৬/১২/২০১৮; ১০টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৬৯৯
মেহেরপুরে পুলিশ যখন লীগের হাতে মার খায়
বোয়াল তখন ধলিবিলে
মাছের নয়া চার খায়।
পুলিশরাতো ফুলিস না
মারের কথা ভুলিস
না
ছাগলওতো গামলাভরা নিত্য
নতুন 'মার'
খায়।
মার খাওয়াটা সবার জন্য সত্যি বলছি ভালো নয়
পুলিশতো আর কোটা
দাবীর কালু কিম্বা আলো
নয়
নলটা ধরলে ঘুরিয়ে
কোথায় যাবি খুঁড়িয়ে
মোটাতাজা গরু মানেই
ওরা সবাই চালু নয়।
সাবাস সাবাস পুলিশ ভায়া নলটা ধরো ঘুরিয়ে
তোমার বুদ্ধি দেখছি
ভায়া যায়নি মোটে ফুরিয়ে।
আবার ফিরুক বুদ্ধিটা
চলুক এবার শুদ্ধিটা
স্বৈরাচারের ঐরাবত
দাও না এবার গুড়িয়ে।
১৭/১২/২০১৮; ১১টা।
আসাদ
বিন হাফিজ এর ছড়া-১৭০০
ইউহান্না গো ইউহান্না
করছো তুমি কিউ
কান্না?
কেন মোছো চোখের
জল
কোথায় তোমার বুদ্ধি, বল
সবটা খুলে আমায়
বল।
ইউহান্না গো ইউহান্না
হয়নি আজও সব রান্না
দেয়নি মতি লাল
পান্না
তাই কি তোর
হয় কান্না
খসে পায়ের রূপোর
মল
সবটা আমায় খুলে
বল।
খেলছিলি তুই মাঠে বল।
বলছিলি কি অনর্গল?
রাখছিলি কি হিয়ার
তল
সবটা আমায় খুলে
বল।:
কেন পায় রে তোর
কান্না
হোকনা মার পায়েস
রান্না।
তোরে দেবো ভরা
বল
পায়েস খাবি? সঙ্গে চল।
ইউহান্না গো ইউহান্না
করছো তুমি কিউ
কান্না?
কিসের এতো দুঃখ
বল
সব পাঠাবো রসাতল।
১৭/১২/২০১৮; ৭টা।
No comments