আসাদ বিন হাফিজ এর ১০০ ছড়াঃ ২৩০১-২৪০০
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩০১
ধর্ম বলে কাছে আসো
মানুষ, তুমি ভালোবসো।
মন্দটারে সবাই নাশো
ভালোবাসো, ভালোবাসো।
তোমার সুখে তুমি হাসো
ভালোবেসে কাছে আসো।
শান্তি আনো ধরাতে
এ পৃথিবী ভাগ
করে নাও
যার যা আছে
বরাতে।
কেউ করো না কারো ক্ষতি
প্রেমে আসুক সবার
মতি।
কেউবা গরীব, ধনী অতি
সবই করেন মহামতি।
মানুষ, পশু, বৃক্ষ অপার
তুমি, আমি সৃষ্টি
যে তাঁর।
আকাশ, বাতাস, সাগর, নদী
পাহাড়, মাটি আর জলধি।
সকল কিছুই তাঁর।
সকলকিছু তোমার জন্য
তাঁরই উপহার।
কেউ করো না হানাহানি
ঘৃণা, গর্ব ছাড়ো
তবেই তুমি শান্তি
পাবে
সুখী হবে আরো।
ভালোবাসা, প্রেম পিপাসা
সবই তাঁহার দান
তিনিই সবার মালিক, প্রভু
স্রষ্টা সুমহান।
৫/১/২০২০; ৬টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩০২
আশা নাই তুই বললি ক্যান,
আশা ছাড়া বাঁচে
কেউ?
আশা দেখে কৃষক
শ্রমিক,
চরের গরীব চাষা
সেও।
আশায় আশায় জীবন বাঁচে
শিরায় শিরায় রক্ত
নাচে
আশা আছে বলেই
মানুষ
প্রভুর কাছে রহম
যাচে।
সোনা, তামা, কাসা নাই?
রিকা আছে, রাশা নাই?
ফল পাকা সব, ডাসা
নাই?
কেমনে বলো আশা
নাই?
আশা আছে, চাষা আছে
শাপলা জলে ভাসা
আছে।
যদি দেখো আঁধার
আছে
ভাববে পাশে আলো
আছে।
ফুলের বনে ভ্রমর আসে
রাত্রি শেষেই সূর্য
হাসে।
সাগর জলে জাহাজ
ভাসে
যে কাঁদে সেই
আবার হাসে।
কে বলে রে আশা নাই?
কান্না আছে, হাসা নাই?
মনে ভালো বাসা
নাই?
কবে দেখবি 'নাসা' নাই।
ধরায় কি ফল পাকে না?
দুখ চিরদিন থাকে
না।
গাছে গাছে পুষ্প
হাসে
দুখের পরে সুখও
আসে।
৬/১/২০২০; ১টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩০৩
ডাকাতিয়া গ্রাম বলে যারে তুমি জান তা
সেখানে যে ধর্ষিতা, হয় আজো 'কানতা'।
কানতার মাতা পিতা
ভাই বোন নাই রে?
কান্তাতো কাঁদে তাই, ভাই
কোথা পাইরে?
কতকাল এইভাবে কানতারা কাঁদবে
কত আর শোক
দুখে এই বুক বাঁধবে?
নূরুরাতো মার খায়,কেউ
কিছু বলে না
ধর্ষক ও খুনীদের
বুক মোটে টলে না।
এইভাবে এই দেশ কত আর চলবে?
কবে কও খুনীদের
মনপ্রাণ গলবে?
জনগণ বসে বসে
কতো মার খাইবে
এভাবেই দিনকাল চিরদিন
যাইবে?
খুনী, ডাকু, ধর্ষকে ভরে গেছে দেশটা
কোথা গিয়ে থামবে
বলো এর শেষটা?
৬/১/২০২০; ৬টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩০৪
সবাই আমায় ভালোবাসে, আমিও যে বাসি
সবাই এসে বসতে
চায়,
আমার পাশাপাশি।
কোন সুদূরে যায় হারিয়ে, সূর্যি মামা রাতে
ভোরে এসে বলে
দে হাত, আলো দেবো হাতে।
বাতাস এসে কানে কানে ফিসফিসিয়ে কয়
আল্লাহ ছাড়া অন্য
কাউকে করি নাতো ভয়।
আমার কুশল জিগায় সবে, আমার কাছে এসে
সবার সাথেই আমার
ভাব,
চলি ভালোবেসে।
রাতের বেলা তারার মেলা পিদিম জ্বেলে কয়
আমরা আছি লক্ষ
তারা, কিসের তোমার ভয়?
পাখি ডাকে কিচির মিচির, কেমন আছো ভাই?
ভোর বিহানে প্রভুর
শানে এসো না গান
গাই।
ফুলের বনের প্রজাপতি, গল্প বলে, শোনো--
সহায় হলে মহান
প্রভু, অভাব হয় না কোন।
মাঠ ভরা অই সর্ষে ফুলের, হলুদ বরণ ঢেউ
বলে, নবীর উম্মত
সম ভাগ্যবান নয় কেউ।
৭/১/২০২০; রাত ৩টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩০৫
ওরে আমার খোকা
কে কয় তোরে
বোকা?
বলিস তারে, বোকা না ভাই
দেই না আমি
ধোকা।
ধোকা দিলে পাপ হয়
আমার মা ও বাপ
কয়
কোরানে তা নিষেধ
আছে
এইটা কিন্তু মিছে
নয়।
ওরে আমার খোকা
পরের মাথায় দিস
নেরে তুই
মিছেমিছি টোকা।
যে তোরে কয় বোকা,
তারে বলিস,
তোর কি কোন
বুদ্ধি নেই?
মাথায় দুষ্ট পোকা?
ওরে আমার খোকা।
ধোকা দেয়া বোকার কাজ
তাতে বাড়ে পাপের
রাজ।
৭/১/২০২০; ১১টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩০৬
হীম কুয়াশা, হীম হীম
এক যে ছিল
জীম মীম।
তাদের মাথায় তিনটে
শালিক
পাড়তো বসে ডিম
ডিম।
হীম কুয়াশা, হীম হীম
রিম ঝিমা ঝিম, ঝিম
ঝিম
আহা, রিম ঝিমা
ঝিম,
ঝিম ঝিম।
কাঁপতো বসে শীতের বুড়ি
শীত নামতো গুড়ি
গুড়ি
বলতো নে খা, পাথর
নুড়ি
রিম ঝিমা ঝিম, ঝিম
ঝিম
হীম কুয়াশা, হীম হীম।
হীম কুয়াশা, হীম হীম
লক্ষ তারা টিম
টিম।
বাতাস বহে কনকন
ডালিম ঘোরে বনবন
হীম কুয়াশা, হীম হীম
রিম ঝিমা ঝিম, ঝিম
ঝিম
আহা, রিম ঝিমা
ঝিম,
ঝিম ঝিম।
৭/১/২০২০; ২টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩০৭
লিখতে দাদা ভাল্লাগে না
লিখে দাদা হয় কি
পাপের পরে পাপই
বাড়ে
পাপ কভু হয় ক্ষয়
কি?
রাতভর দাদা জিকির করে
ফরজ ফজর পড়ে
না
সবাই করে এপাশ
ওপাশ
পীর বাবাতো নড়ে
না।
মাহফিল শোনে লক্ষ মানুষ
পাপ তো তারা
ছাড়ে না
নিজের ভেতর আস্ত
শয়তান
সে শয়তানও মারে
না।
মরা ভাইয়ের গোশত খায়
হায় এ জাতির
আলেমে
এসব দেখে বগল
বাজায়
সোনাডাঙ্গার জালেমে।
৮/১/২০২০; ৪টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩০৮
হায়রে আজব দুনিয়া
মানুষ বানায় প্রেমের
জন্য
কেমনে সে হয় খুনিয়া।
রাসূল দিছে কোরান
হাদিস,
ইসলাম শিখে শুনিয়া।
হায়রে আজব দুনিয়া।
হায়রে আজব দুনিয়া
কোরান বলছে পূণ্য
করো
পাপ করে সে গুনিয়া।
ডাক্তার বলে অষুধ
খাও
মুসলিম বাঁচে ফু নিয়া।
হায়রে আজব দুনিয়া।
হায়রে আজব দুনিয়া
আল্লাহ বলেন উদার
হও
মানুষ বাঁচে গোঁ
নিয়া।
এসব দেখে দূরে
বসে
কাঁদে ছোট্ট মুনিয়া।
হায়রে আজব দুনিয়া
হায়রে আজব দুনিয়া।
৮/১/২০২০; ৬টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩০৯
ভাগ করো ভাই ভাগ করো
ভাগ করো আর রাগ
করো।
বিশ্বটাকে দেশে দেশে
আসো সবাই ভাগ
করি
মিসাইলগুলো থাকবে পড়ে?
আসো সবাই তাক
করি।
আমার সোনার দেশের মত
দেশ যে কোথাও
নাই
ওরাতো খায় সিদ্ধ
করে
আমরা মসলা খাই।
ভাগ করো ভাই ভাগ করো
ভাগ করো আর রাগ
করো।
ধর্মে ধর্মে ভাগ করো
ডাল খিচুড়ি পাক
করো
হিংসা এনে জাগ
করো
ভাগ করো আর রাগ
করো।
সাদা কালো ভাগ করো
লম্বা খাটো ভাগ
করো
সবুজ জমিন খাক
করো
মনুষত্ব ভাগ করো।
বড়ো থেকে ছোট হও
তাতে নিজে ধন্য
হও
মানুষ থেকে বন্য
হও
বাপ মা থেকে
অন্য হও।
ভাগ করো ভাই ভাগ করো
মোল্লা ঠাকুর ভাগ
করো
শেখ সৈয়দে ভাগ
করো
বৃক্ষ থেকে শাক
বড়ো।
ভাগ করো ভাই ভাগ করো
নারী পুরুষ ফাঁক
করো
শিশু বুড়ো ভাগ
করো
আলু পটল চাক
করো।
হাতির নাকতো পিঁপড়া খায়
পিঁপড়ার কতো শক্তি
ভাই
ছোটই এখন আসল
শক্তি
বড়োর ওপর ভক্তি
নাই।
ভাগ করো ভাই ভাগ করো
ভাগ করো আর রাগ
করো।
নাকি বলবে, এক হও
নীল আকাশে মেঘ
হও।
৮/১/২০২০; ১১টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩১০
ধর্ষণের যে বিচার চাও
উদাম বুকে নাইচ্চা
ভাবোনা ক্যান পশুর
দেশে
আজো আছো বাইচ্চা।
অস্ত্রগুলো নিজে শানাও
মানুষগুলো পশু বানাও
পর্দা গেলো কই?
ঢাকনা খোলা পাইলে
বিড়াল
খাবে না ক্যান
দই?
কেমন করে চলতে হবে,
ইসলাম কি তা বলে
নাই?
আগের দিনে মা বোনেরা
পশু দেখে চলে
নাই?
ভালো থাকার সমাজ যে
নিজেই দিচ্ছো কাইচ্চা
ধর্ষণ কবে বন্ধ
হইছে
উদাম বুকে নাইচ্চা?
বাঁচতে হলে মানুষের নয়,
খোদার হুকুম মানো
কেমনে পশু দমাতে
হয়
কোরান পড়ে জানো।
৯/১/২০২০; ৫টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩১১
হাজার সেক্সের বন্যা বহে
কন্যা কহে, আহো
এমন দেহ দেখার
পরেও
কেমনে তুমি থাহো?
দুনিয়াটা ভোগের জন্য
ভোগের বড়ি খাও
রাষ্ট্র দিছে সুযোগ
তুমি
পানশালাতে যাও।
টাকা বানাও লুট করে
চলে আসো হুট
করে
তোমার জন্য সবই
খোলা
যা যা তুমি
চাও।
কেমনে বলো ধর্ষণ তবে থামবে?
পশুর দেশে মানুষ
পথে নামবে?
মানুষগুলো পশু বানাও,
মানুষ বানাও অন্ধ
যে ফুল তুমি
করবে চাষ
তারই পাবে গন্ধ।
তুমি করলে আগুন চাষ
জ্বলবে বন্ধু বারো
মাস।
৯/১/২০২০; ৬টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩১২
আও না সোনা, আও
আমার কোলে আও।
খেতে দেবো দুধের
বাটি
মজা করে খাও।
আও না সোনা, আও
আমার কোলে আও।
পেড়ে দেবো চাঁদের থালা?
ওইটা তুমি চাও?
চাঁদের থালায় করে
তুমি
তারার সন্দেশ খাও?
কাছে এসে পাশে বসো
দেবো আমি তাও
আরো দেবো রাঙিন
জামা
শ্বশুর বাড়ি যাও।
টুকটুকে লাল বউ দেবো
ডালিম ফলের মৌ দেবো
আও না সোনা, আও
আমার কোলে আও।
১০/১/২০২০; ৪টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩১৩
চুপ কর তুই রানা।
কে কে নয়া
মুক্তি হইছে
দেখেছে তিন কানা।
ভয় পেয়েছে এমন
ওরা
খায়নি সাত দিন
খানা।
শুনছিস তুই রানা?
পুরাণ মুক্তি মারা
গেছে
কয়জন পিলখানা?
কজন খাইছে ফাঁসির
দড়ি
কয়জন জেলখানা?
স্বাধীন দেশে মুক্তি মরে
বুলেট রাতে খায়
কারা কারা সে তালিকায়
আপসে ঢুকে যায়?
এসব কিছু দেখতে নাই
মনের কথা লেখতে
নাই
স্বাধীনতা সোনার হরিণ
তবু তারে চাই
দরকার হলে মিছে
বলো
কোন বাঁধা নাই।
১১/১/২০২০; ৫টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩১৫
জ্বিনের বাদশা টিনের চালে
ব্যায়াম করে সন্ধ্যা
কালে
জল খায় তিরিশ
মণ
বলে, মানুষ খারাপ
ভীষণ
করে যুদ্ধ, রণ
শুধুই অকারণ।
তাতে বাড়ে ক্ষতি
বোমার ঘায়ে শেষ
হয়ে যায়
কচু বনের লতি।
আমি বলি ঝগড়া
ছাড়ো
যুদ্ধে লাভ হয় না কারো
মিল মোহাব্বত বাড়াও
আরো
বাড়বে অঢেল ধন
পরের ভালো চাইবে
সবে
করো এমন পণ।
ভাবো ধরায় পর নেই কেউ
সবাই আপনজন
পর মানুষটা আপন
হতে
লাগে কতক্ষণ?
মানুষের মন খুঁজে
বেড়ায়
একটা নিটোল মন
যে মন তাকে
বাসবে ভালো
শুধু সারাক্ষণ।
এসো সবাই ভালবাসি
ভাগ করে নেই
কান্নাহাসি।
১২/১/২০২০; ১০টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩১৬
ভোটের কথা কইয়েন না
ভোট তো দিব
ইভিএম
ভোটের পিঠা ঘরে
বসে
খাইবো তখন বিবি
মেম।
ভোটের আবার প্রচার কি
কারে ভোটার চিনে
না
যার হাতে নাই
টাকাকড়ি
সে ভোট কভু
কিনে না।
ভোটের কথা কইয়েন না
ভোট তো দিব
ইভিএম
মোদী থাকলে গদীতে
কোথায় লাগে সিপিএম।
পাবলিক এবার ফোট
অনেক দিছি নোট।
১২/১/২০২০; ১টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩১৭
এই দোকানে আইন নাই
মাগনা নিলে ফাইন
নাই
এক নম্বরি লাইন
নাই
বাঘা গোপী গাইন
নাই।
আইন তো গেছে খাইতে
দেরী অইবো আইতে
সময় লাগে নাইতে
আইসেন দাদা রাইতে।
শোনেন দাদা জোর যার
দেখবেন দেশে আইন
তার
আইনে চিনে মহাজন
কলা খাচ্ছে জনগণ।
খাওরে কলা খাও।
টাকা ছাড়া মাগনা
কিনবা
ভাবছো আইনের ছাও?
আইন টাকাতে কিনতে
হয়
আইনের দোকান চিনতে
হয়।
১২/১/২০২০; ৭টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩১৮
যতোই কালো হোক না দাদা,
আমার ছেলের হাসি
বলতে পারো তারেই
আমি
সবচে ভালোবাসি।
তেমনি আমার লেখা যদি
মন্দও হয় তবু
খারাপ আমার লাগে
যদি
মন্দ কয় কেউ
কভু।
অন্ধ ছেলে দেখতে পায় না
আমার ছেলে পায়
এতেই দারুণ খুশী
থাকে
আমার ছেলের মায়।
ভালোর ওপর ভালো আছে
ভালোর কোন শেষ
নাই
সকল দেশেই ভালো
আছে
ভালোর কোন দেশ
নাই।
১২/১/২০২০; রাত ১১টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩১৯
ভাইরে,
মা মরেছে, দেশে এখন
আদর সোহাগ নাইরে।
শীতের দিনে পিঠা
খেতে
কোন বাড়িতে যাইরে।
আমার মা নাই
তাই বলে কি
কারো মা আর নাইরে?
ভাইরে,
খেজুর রসের পিঠা
পায়েশ
বোনের আদর নাইরে।
বিলে ছিল টেংরা
পুটি
তাদের কোথায় পাইরে।
এই শহরে ভিজা
পিঠার
দোকান কেনো নাইরে?
ভাইরে,
বউ চলে যায়
রোজাফিসে
রান্নার সময় নাইরে
পিঠার বদল সকাল
বেলা
কলা রুটি খাইরে।
পিঠার কথা বললে
বউয়ের
বকা খেতে পাইরে।
ভাইরে,
ভাইরে,
এই অভাগার দুঃখ
দেখার
দেশে কেউ নাইরে।
ভাইরে।
১৩/১/২০২০; ১০টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩২০
মৌমাছি গুন গুন, কোন গান গায়
মৌমাছি উড়ে উড়ে
কোন দেশে যায়?
কোন ফুলে মধু আছে, কোন ফুলে নাই
এই কথা তার
কানে কে বলে রে ভাই?
মৌচাক মৌচাক, রূপ অপরূপ
যে দেখে সে নির্বাক, হয় নিশ্চুপ।
চাক ভরা মধু থাকে, পড়ে না সে ঝরে
অপরূপ চাক ওরা
গড়ে কি করে?
মৌমাছি গুনগুন, বলে ওরে শোন শোন
সেই কথা বলে
যাই,
শোন ভাই বোন।
চাক ভরা মধু রাখি, বিষ রাখি গায়
মেঘ ভাসে নীলাকাশে
যার ইশারায়।
যিনি অতি মহিয়ান, শোন ইনসান
তাবৎ পৃথিবী করে
তাঁর গুণ গান।
১৩/১/২০২০; ৫টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩২১
আমার ভাষা
আমার ভাষা মায়ের ভাষা গাঁয়ের ভাষা তাই
আমার ভাষা আমার
ভায়ের রক্তে কেনা ভাই
আমার ভাষা স্বপ্ন
আশা তার জয়গান গাই
আমার ভাষা বাংলা
ভাষা তুলনা তার নাই।
এই ভাষাতেই হাসি কাঁদি, গল্প করি রোজ
এই ভাষাতে শহীদ
ভায়ের নিত্য করি খোঁজ।
এই ভাষাতে মায়ের
আদর বোনের সোহাগ পাই
এই ভাষাতে আমার
প্রভুর গুণগান আমি গাই।
আমার ভাষা মায়ের ভাষা গাঁয়ের ভাষা ভাই
আমার ভাষা বাংলা
ভাষা তুলনা তার নাই।
১৩/১/২০২০; ভোর ৬টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩২২
একটা নদী
একটা নদী নিরবধি সাগর পানে ধায়
একটা নদী আজাবধি
গুনগুন গুন গায়।
একটা নদী একেবেঁকে নীল সায়রে যায়।
একটা নদী কলোকলো
কার গুণগান গায়।
একটা নদী ডাকে ওরে আয় নায়রি আয়।
একটা নদী ডাকে
যেনো সন্তান ডাকে মায়।
একটা নদী মেঘলামতি পার হয় ডিঙ্গি নায়
একটা নদী পার
হয়ে সে শ্বশুরবাড়ি যায়।
একটা নদী আকাশ দেখে সবুজ দেখে গাঁয়
একটা নদী ডাকে
ওরে আয় কিশোরী আয়।
একটা নদী পাহাড় থেকে সাগর পানে যায়
একটা নদী ডাকে
চলরে, সাগর মোহনায়।
১৩/১/২০২০; ১১টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩২৩
নারী কেনো নিরাপদ নয়
নারী চালায় দেশ?
পুরুষের কি সাধ্য
আছে
ছিঁড়ে নারীর কেশ?
ধর্ষক বান্ধব দেশ দরদী
সাপের ছোবল চায়
নারী এখন গদী
পাইয়া
সাপের ছোবল খায়।
ধর্ষণ ধর্ষণ মধু বর্ষণ
উস্কানি দেয় নারী
এতে নাকি নারীও
হয়
অভিজ্ঞতায় ভারী।
নারীর সুখের নাই সীমানা
নারী চালায় দেশ
নারী চোখের ইশারায়
কি
বাড়ছে ধর্ষণ বেশ?
এ দেশ এখন নারী প্রধান
দেশেটা চালায় নারী?
নারীর হাতে সোনার
স্বদেশ
রান্নাঘরের হাঁড়ি।
ধর্ষক বান্ধব সরকার চাও?
আবার তারেই গদী
দাও।
১৩/১/২০২০; ১টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩২৪
জেলে এখন বাচ্চাও হয়
পুলিশ বাচ্চার বাপ
নিরাপত্তার চাকরী করে
বন্দুক অলা সাপ।
থানার ওসি দারুণ খুশি
গারদে পায় নারী
ভাঙ্গা পথে চালায়
তখন
লক্করঝক্কর গাড়ী।
দেশটাতে বয় পাপের নহর
শহর থেকে গাঁও
আসল রেখে সবাই
খোঁজে
কোথায় আছে ফাও।
দেশগেরামে হাজার সাপ
ফণা তুলে হাঁটে
লাভ হবে না দুপা
তুলে
থাকলে বসে খাটে।
যদি দাদা বাঁচতে চাও
হাতে শক্ত লাঠি
নাও।
১৩/১/২০২০; ৪টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩২৫
নারী এখন পুলিশও হয়
ডিউটিতে যায় রাতে
ঘরে পুরুষ তাকিয়ে
দেখে
তরকারি নাই পাতে।
থানার ওসি নাকে রাতে
মুলার গন্ধ পায়।
মুলার খোঁজে ওসি
শুধু
এদিক ওদিক চায়।
চাকুস চুকুস দুধ খায় বিল্লি
দুধেও বিড়াল খায়
পিঁপড়া চোষে ঝোলা
গুড়
গুড়েও পিঁপড়া খায়।
যদি চাও, ঝোলা গুড়
অশ্লীলতা করো দূর।
১৩/১/২০২০; ৫টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩২৬
একি তেলেসমাতি!
তিন মাইল হেঁটে
দেখতে গেলাম
সওদাগরের নাতি।
গিয়ে দেখি লাল
টুকটুক
নাদুস নুদুস হাতি।
মাথার ওপর ধরে
আছে
রঙিলা এক ছাতি।
এদিক ওদিক কী যেন
সে
খুঁজছে আতিপাতি।
লাল টুকটুক হাতি।
আমায় দেখে বললো দাদা,
শোনেন তেলেসমাতি।
শখ করে তো গিয়েছিলাম
একাই ঝিনাইগাতি।
শুয়েছিলাম বৃক্ষতলে
তখন মধ্যরাতি।
কয়টা পিঁপড়া শূড়ের
আগায়
জুড়লো মাতামাতি
কাটুস কুটুস দিচ্ছে
কামড়,
বুঝুন বুকের ছাতি।
টুটলো আমার ঘুম।
ভাবলাম কটা দুষ্টু
পিঁপড়া
দিচ্ছে আদর, চুম।
হুম।
অমা, চুম কোথা ভাই?
ব্যথার কামড়। যেন
এটম ব্যোম
ব্যথার জ্বালায় হারিয়ে
গেল
আমার চোখের ঘুম।
বললাম, ওরে পিচ্চি
পিঁপড়ে
পালাও, পালাও তুম।
কে শোনে কার
কথা রে ভাই
ছুঁড়ছে এটম ব্যোম।
ভাবলাম, ওদের পিষে মারি।
ওরা এতো ন্যারো।
ধরতে কি আর পারি
ওদের
ব্যোম মেরেছে তেরো।
তেরো পিঁপড়া, এক হাতি
চললো লড়াই সেই
রাতি।
না পারি ওদের
ধরতে
না পারি কিছু
করতে।
অবশেষে
ছাড়লাম ঝিনাইগাতি
বুঝুন তেলেসমাতি।
অসম যুদ্ধ লড়তে নাই
পিঁপড়া হেলা করতে
নাই।
যতোই থাকুক হাতির
শূঁড়
পিঁপড়ার খানা ঝোলা
গুড়।
১৪/১/২০২০; ১০টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩২৭
মায়ের ভাই মামা হয়
বাপের ভাই বামা
যে আছে তোর
ওপরে
তারে টেনে নামা।
দেশটা বানা তামা
দু হাতে মাল
কামা।
দেখবি যার ক্ষমতা
ধরবি তারই ধামা।
বাবার শালা মামা।
ক্যাসিনোতে হামলা হলে
লুকোতে দে হামা
নয়তো শীতে ফুটপাতে
শো
ছিঁড়ে গায়ের জামা।
মসজিদে যা নামাজ পড়তে
মন্দিরে দে পুঁজো
নেতার সামনে নতও
হবি
মনে হবে কুঁজো।
রূপী রূপী বহুরূপী
কুপি হাতে যাস
আঁধার রাতে বলে
ফেল
আর কি হতে
চাস?
১৪/১/২০২০; ১১টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩২৮
ধান শোকোতে রোদে দিলাম
ধান খেলো ভাই
পক্ষীতে
স্বাধীন দেশটা মাকে
দিলাম
দেশটা খেলো রক্ষীতে।
স্বাধীন দেশের পতাকাটা
যিনি উড়ান পয়লা
তিনি হন না সোনা
মানিক,
তিনি নাকি কয়লা।
স্বাধীনতার ঘোষকই হয়
রাজাকারের বাচ্চা
যে দেখে নাই
লড়াই যুদ্ধ
সে হয় মুক্তি
সাচ্চা।
যুদ্ধ দূরে, যে করে নাই
লড়াই করার ভঙ্গি
লড়াকু সে সেনারে
কয়
এরাই আসল জঙ্গি।
ঘরের চালে বসে বসে
চড়ুই এবং শালিক
বিশ্বরে কয় শোনো
দাদা
আমরা ধানের মালিক।
আমরা আসল মুক্তিযোদ্ধা
দেশ চালাবো আমরা
জনগণ কেউ বললে
কথা
তুলবো তাদের চামড়া।
১৪/১/২০২০; ৫টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩২৯
'সবাই পায় সোনার খনি, চোরের
খনি আমি'
জাতির পিতার এ কথাটা অনেক বেশী দামী।
এ খনিতে আমরা আজো, করছি সবাই বাস
চোর না হলে
এ দেশে তো, হতেই হবে
লাশ।
পাঁচটা বছর মন্ত্রী ছিল, কোনো চুরি করে নাই
সে খেসারত দিতে
হল,
নিজামী কি মরে নাই?
চোর ডাকাতের দেশটা আমার আমি নিজেও চোর
চোর না হলে
কবেই আমার হয়ে যেতো
গোর।
বড়ো চোরে বড়ো নেতা, ছোটো চোরে ছোটো
যেটা তোমার পছন্দ
হয়,
সেটাই তুমি লোটো।
খুনখারাবী, ব্যাংক ডাকাতি, শেয়ারমার্কেট লোটা
মনে করো দেশে
আরো বাড়লো চোরের কোটা।
সবাই পায় সোনার খনি, চোরের খনি তিনি
আমরা সবাই চোর
বলে,
চোরের নেতা চিনি।
দেশে আরো চোর বাড়ুক, চোরে ভরুক দেশ
চোরে চোরে যাক
না ভরে সোনার বাংলাদেশ।
১৪/১/২০২০; ৭টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩৩০
ভালো
তুই ভালো না, আমি ভালো
এবং আমার স্বামী
ভালো
কইছে আমার মায়
গাছের তলে পাকা
আম
পাইলে শুধু খায়।
গাছের আম সে পাড়ে না
কাউকে ধরে মারে
না
সহজে সে হারে
না
পরের মাল সে কাড়ে
না।
ভালো মানে অনেক ভালো
শীতে পরে গরম
শালও
মাঠে চরায় গরুর
পালও
টিপে দেয় সে আমার
গালও।
তুই ভালো না, আমি ভালো
এবং আমার স্বামী
ভালো।
মামা এবং মামী
ভালো
সবচে অন্তর্যামী ভালো।
১৪/১/২০২০; ৮টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩৩১
মিল খেয়েছে চিলে
চোট লেগেছে দীলে
প্রেম পিরীতি ভালবাসা
সবই কেড়ে নিলে?
করলে শুধু ঘৃণার চাষ
শীত বসন্ত বারো
মাস
শ্রদ্ধা ভক্তি স্নেহ
প্রীতি
সবই খেলে গিলে?
ফুটলো নারে প্রেমের ফুল
ফুটলো বুকে হিংসার
হুল
হিংসার পরে হিংসা
শুধু
করে গেলে রীলে।
মায়া দিছে উড়াল ভাই
দয়া কারো দীলে
নাই।
প্রতিহিংসার আগুন
দেখে
চমকে ওঠে পিলে।
১৪/১/২০২০; ১১টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩৩২
গিন্নি আমার অনেক ভাল,
এমন বউ আর হয় না
মনের বদল মন চায়
শুধু
চায় না টাকা
গয়না।
গিন্নি আমার অনেক ভাল
রাগ করে সে রয় না
মনের কথা মনেই
রাখে
মুখ ফুটে সে কয়না।
ইচ্ছে করে ডাকি তারে
টিয়া পাখি, ময়না
সত্যি বলছি তার
বিরহ
প্রাণে আমার সয় না।
১৫/১/২০২০;। রাত
১২:৩০ মিনিট।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩৩৩
খাদক
আম খায় জাম খায় রাম খায় রাণী
মাম খায় পাম
খায় সব খায় নানী।
পুকুরের জল খায়, সাগরের
পানি
জল দিয়ে গুলে
খায় সব শয়তানী।
হাঁস খায় দাস খায় ঘাস খায় নানী
তাস খায় পাশ
খায় বাঁশ খায় কানী।
জল দিয়ে অকারণ
খায় বসে পানি
খানা নিয়ে সারাদিন
তার পেরেশানী।
হাতি খায় ছাতি খায় নাতি খায় রাতে
জাতি খায় তাঁতী
খায় বাতি খায় দাঁতে।
লাশ খায় কাশ
খায় শাঁশ খায় হাতে
সব খায় রব খায়, খায়
কমজাতে।
মেষ খায় গ্যাস খায় কেশ খায় হেসে
সব খানা হয়ে
গেলে দেশ খায় শেষে।
১৫/১/২০২০; ৪টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩৩৪
খোকা বাবু বোকা নয়, ধোকা সেতো দেয় না
কারো মনে ধোকা
দিয়ে, অভিশাপও নেয় না।
ধোকা মানে মিছে কথা, মিছে বলা পাপ
মিছে যদি বলেই
ফেলো করো অনুতাপ।
মিছে বলা ভাল তো নয়, সকলে তা জানো
জানার কথা মানার
সময় কজনে তা মানো?
খোকা বাবু বোকা নয়, পোকা সেতো খায় না
দরজাতে টোকা ছাড়া, কারো
ঘরেই যায় না।
খোকা বাবু ভালো ছেলে ভালো কথা বলে
খোকা বাবু ভালো
ছেলে, সৎ পথে চলে।
খোকা বাবু বোকা নয় ধোকা সেতো দেয় না
কারো মনে ধোকা
দিয়ে অভিশাপও নেয় না।
১৫/১/২০২০; ৬টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩৩৫
মন্দটারে দলি আমি
ভন্ডটারে দলি আমি
ভালো পথে চলি
সত্য কথা বলি।
দোয়া করো আমি যেন
সদা সত্য কই
চির জীবন আমি
যেন
ভালো পথে রই।
সবাই যখন ব্যস্ত নিজের কাজে
আমি যেন থাকি
সবার মাঝে।
সবাই যেন আমার থেকে
ফুলের সুবাস পায়
সবাই যেন শান্তি
সুখের
অনন্ত গান গায়।
১৬/১/২০২০; ২টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩৩৬
যে কথাটা কইতে চাই
সে কথাটা বইতে
নাই।
আইন জানে না কামালে
আইন জানে সব জামালে।
আইন কি কভু পড়তে হয়?
ইচ্ছে মতো গড়তে
হয়।
গদীর মাথায় চড়তে
হয়।
সুযোগগুলো ধরতে হয়।
পরের করা ফালতু আইন
পাল্টে দিলাম গোপী
গাইন।
যে দেখে নাই
আইনের হাত
সে দেখে নাই
আঁধার রাত।
আইন মানেরে কিছু না
দিনাজপুরের লিচু না।
যখন যেটা ইচ্ছে
হয়
তখন সেটা ল' কি নয়?
১৬/১/২০২০; ৬টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩৩৭
মরা ভাইয়ের গোশত খাওয়া,
গীবত করা সমান
কেমনে আপনি পরের
দোষ
নিজে করেন বয়ান।
দোষ বলাটা গীবত হুজুর,
ভুল বলাটা মিছে
দোষটা যদি হয়রে
বলা
যার দোষ তার
পিছে।
ইসলাম বলে, কারোর দোষ,
কেউ কখনো বলবে
না
অন্য ভাইয়ের মান
সম্মান
কেউ কখনো দলবে
না।
তাতে কোন পূণ্য তো নাই,
নিজেরই পাপ হয়
তুমিই যখন পাপ
করো,
পাও না খোদার
ভয়?
তবে কেন গীবত করে
পাপী তুমি হও
অন্যে ভাবো মোমিন
তুমি,
তুমি মোমিন নও?
১৬/১/২০২০; ৬টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩৩৮
টাকা দিয়ে ভালোবাসা
কেনা কিরে যায়?
ভালোবাসা যে পাবার
সে
এমনি এমনি পায়।
ভালোবাসা চাইতে হয় না
এমনিতেই সে আসে
কেউ জানেনা কে যে কাকে
কখন ভালোবাসে।
ভালোবাসা দেয় উড়িয়ে
মনের পোষা ভুল
ভালোবাসা স্বপ্নে ভাসা
প্রেমের রাঙা ফুল।
যতোই করো ঘৃণার চাষ
বাড়াও নিজের সর্বনাশ।
ঘৃণার পাহাড় নাশো
প্রেম দরিয়ায় ভাসো।
হাসো সোনা হাসো
একটু কাছে আসো।
১৬/১/২০২০; রাত ১১টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩৩৯
ময়লা যতো ঘাটবে ততো
গন্ধ আরো ছড়াবে
ময়লা থেকে সরবে
তুমি,
নাকি অঙ্গে জড়াবে?
যে দিয়েছে গালি তার
মুখ হয়েছে নষ্ট
পাপ বাড়লে তার
বেড়েছে
তোমার কিসের কষ্ট?
শোন, বলি কানে কানে
মন্দ মানুষ তাকেই
জানে
কে ভালো আর কে মন্দ
সবার কাছে পষ্ট।
যে বলেছে মন্দ
কথা
সে লোকটাই ভ্রষ্ট।
১৭/১/২০২০; ১টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩৪০
তুমি দেখো চন্দ্র তারা
তোমায় দেখে চান্দে
নীল আকাশে বসে
ওরা
তোমার দুঃখে কান্দে।
তোরা খাবি পশু ধরে
মানুষ কেনো খাস
তোরা কিরে জাহান্নামে
সবাই যেতে চাস?
পাপের পরে পাপ করিস
পাপের পরে পাপ
তবু কিরে মনের
ভেতর
হয় না অনুতাপ?
আজ বাদে কাল মরে যাবি
কোথায় পাবি ঘরের
চাবি?
ভাবতে পারিস জাহান্নামের
আগুনের কি তাপ?
১৮/১/২০২০; ৬টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩৪১
শোনেন শোনেন দাদাজান
আসেন বসেন আদা
খান
সঙ্গে পিঁয়াজ মুড়ি
কেমন আছে বুড়ি?
বুড়ি শীতে কাবু হয়?
বুড়ির পুতে বাবু
হয়?
বালিশ কম্বল তাঁবু
হয়?
তবে বুড়ির কিসের
ভয়?
ভয়ের কিছু নাই রে
লেপের তলে যাইরে
শীতের পিঠা খাই
রে
গুনগুন গান গাই রে।
সঙ্গে গান গায় মুনিয়া
তিনশো ধর্ষক, খুনিয়া।
১৮/১/২০২০; ৩টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩৪২
আমরা তো সব নামে মুসলিম
কামের মুসলিম কই
কয়জন চলি আল্লাহর
পথে
কোরআন হাতে লই?
কোরআন বলে সুদ খাওয়া
হারাম হারাম হারাম
আমরা বলি সুদ
খাওয়া
আরাম আরাম আরাম।
ইসলাম বলে ভালো কাজে
তোমরা সবে মন দাও
আমরা বলি ওগো
আল্লাহ
আরো কিছু ধন দাও।
তারপর মানুষ মরে যায়
সে ধন বসে
পিঁপড়া খায়।
১৯/১/২০২০; ১০টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩৪৩
আজব দেশের আজব খবর
বলে গেলেন মাসি
যে শোনে তার
চোখের অশ্রু
ঝরে রাশি রাশি।
বাড়ির যারা কামলা ছিল
ছিল যারা দাসী
মানুষ শোনে দূরে
থেকেও
এখন তাদের হাসি।
মালিক ছিল যারা বাড়ির
কে খবর নেয়
তাদের
ওরা এখন খুঁজে
বেড়ায়
ক্ষত কেন চাঁদের।
সর্বনাশা দাসীর মুখে
এখন অট্টহাসি
মালিক থাকে জেলে
এখন
কারো বা হয় ফাঁসি।
আজব দেশের আজব খবর
বলে গেলেন মাসি
যে শোনে তার
চোখের অশ্রু
ঝরে রাশি রাশি।
১৯/১/২০২০; ৪টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩৪৪
ছাইপাশ এসব কিযে লিখি
দেশের মানুষ জাগে
না
এতো এতো অন্যায়
দেখে
কেউ তো তবু
রাগে না।
মিডা কথায় মুচকি হাসলে
পাপ কখনো ভাগে
না
পাপের শাস্তি সবার
জানা
তবু ক্ষমা মাগে
না।
হইতাম যদি নজরুল তবে
অগ্নিবীণা বাজাইতাম
জাগো জাগো বলে
আবার
সব স্বদেশী জাগাইতাম।
মিছিল নিয়ে এগিয়ে যেতাম
বলতাম, বাড়ো আগে
ঐক্য মানেই মিলে
যেতাম
গভীর অনুরাগে।
১৯/১/২০২০; ১১টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩৪৫
যার যেটা ভাই ভালো লাগে
সে সেটা ভাই
করবেই
মানুষ হচ্ছে প্রেমের
কোকিল
প্রেমের জন্য লড়বেই।
ভালোবাসার জনকে পেলে
বুকে টেনে ধরবেই
প্রেমের টানে ফুল
বাগানে
মরতে হলে মরবেই।
জোর করে রে ভালোবাসা
কোনদিনই হয় না
পছন্দ না হলে
মানুষ
গাধার বোঝাও বয় না।
যার জন্য নাই ভালোবাসা
তার জ্বালাতন সয় না
প্রেমের কথা মুখ
ফুটে ভাই
সকলেই তো কয় না।
ধরায় যদি বাঁচতে হয়
সবই ভালো বাসতে
হয়।
১৯/১/২০২০; ১১:৩০
মিনিট।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩৪৬
স্বপ্নে কি না পারি?
স্বপ্নে আমি লড়াই
করে কোনদিন কি হারি?
স্বপ্নে আমি ঘোড়ায় চড়ে সমুদ্র দেই পাড়ি।
মেঘের ওপর স্বপ্নে
আমি বানাই নতুন বাড়ি।
স্বপ্নে আমি আফ্রিকাতে
বাঘ ভাল্লুক মারি।
স্বপ্নে আমি স্বৈরাচারের
গদীটা নেই কাড়ি।
স্বপ্নে কি না পারি?
স্বপ্নে কি না পারি?
স্বপ্নে আমি লিলিপুট
হই,
টুপীকে কই শাড়ি
স্বপ্নে আমি সাগরতলে
বানাই পুলিশ ফাঁড়ি।
স্বপ্নে দেখি এই ধরনীর
টিপছি আমি নাড়ী।
স্বপ্নে আমি স্বপ্ন-বালক, দারুণ
স্বপ্নচারী।
স্বপ্নে কি না পারি?
স্বপ্নে আমি সবই
পারি, বাস্তবে কেন্ হারি?
২০/১/২০২০; রাত ৩টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩৪৭
মাগো,
সারাটাক্ষণ তুমি কেনো
আমার পিছে লাগো।
একটু যদি ঘুমোতে
যাই বলো খোকা জাগো।
গবেষণায় বসলে তুমি
তখনই ক্যান রাগো।
মানুষ কেনো কষ্ট
করে,
ভাববো নাকি মাগো?
তাকিয়ে দেখো আকাশ বাতাস বৃক্ষলতা সব
এই মানুষের সুখের
জন্যই দিলেন প্রভু, রব।
ক্ষুধায় তিনি খাবার
দিলেন, রাতে দিলেন ঘুম
ঘুমটা যেনো আরাম
হয়,
দিলেন চাঁদের চুম।
তবু মানুষ কেনো শুধু ঝগড়া লড়াই করে
দেশে দেশে যুদ্ধ
হয়,
অশান্তি ক্যান ঘরে?
খেতে দিলেন পশু
পাখি, মৎস দিলেন জলে
রোদে যেন কষ্ট
না পায়, ছায়া গাছেের
তলে।
সারাটা দিন খাম খাম করে, জমা করে ধন
একটু সবর নাই
যে মনে, কেমন অবুঝ
মন।
ভাবে না সে এই ধরাতে, থাকবে
কতক্ষণ?
কী হবে এই লড়াই
করে মিছেই অকারণ?
তাই নিয়ে মা গবেষণা মানব জাতির তরে
তবু কি মা বসতে
পারি, তোমার বকার ডরে?
২০/১/২০২০; ৫টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩৪৮
তোমার কাছে অঢেল আছে
ঘৃণা, অসম্মান
সেই ঘৃণাটাই করছো
তুমি
মুক্তহস্তে দান।
করো, করো, করো
ঘৃণা দিয়ে পারলে
তুমি
আকাশ পাতাল ভরো।
আমার কাছে ওসব নাই
কেমনে আমি দেই
আমার আছে প্রেমের
খনি
তার বেশীতো নেই।
লাগলে কারো প্রেমের দানা
বন্ধু কাছে আসো
এই নাও একটু
ভালবাসা
এবার তুমি হাসো।
আমি করি প্রেমের ফেরি
প্রেমই শুধু করি 'কেরি'।
২০/১/২০২০; ১১টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩৪৯
যার কাছে ভাই যা আছে
তাইতো বিলায় লোকে।
খুশীর দিনে হাসি
বিলায়
দুঃখ বিলায় শোকে।
স্বপ্ন ভালো আঁকতে হয়
যা বিলাবে থাকতে
হয়।
তুমি দেখি ঘৃণা
বিলাও
কথার ফাঁকে, ফাঁকে।
মানুষতো চায় প্রেম-বাণী
হিংসা, ঘৃণা, নয়
অহংকার ও হিংসা, ঘৃণা
পূণ্য করে ক্ষয়।
আমার আছে ভালোবাসা,
হৃদয়াকাশ ভরা
পূণ্যপ্রেমের বৃষ্টি
নেবে?
থাকবে না আর খরা।
২০/১/২০২০; ১২টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩৫০
আমায় তুমি গালি দিলে, ঘৃণা দিলে ছুঁড়ে
নীলাকাশে সে ঘৃণাটা
মেঘ হয়ে আজ উড়ে।
সে ঘৃণাটাই কুঁড়ি
মেলে, ভেজা মাটি ফুঁড়ে।
সে ঘৃণাটা ঘুরে
বেড়ায় দমকা বাতাস জুড়ে।
ঘৃণার বৃষ্টি এখন দেখি চৈত্র মাসেও হয়
ঘৃণা শুধু পাপটা
বাড়ায়, পূণ্য করে ক্ষয়।
তবু মোমিন বান্দার
মনে জাগে নারে ভয়
ঘৃণা দিয়ে কেউ
কি পারে বিশ্ব করতে
জয়?
আমার আছে ভালোবাসা, স্বপ্ন আশা মনে
আমায় দেখে বিশ্বভুবন
হাসে ক্ষণে ক্ষণে।
বলে, বন্ধু দাও
না বলে, সুখ আসে
না রণে।
সুখ যদি চাও
যাও না তবে প্রেমের
বৃন্দাবনে।
গুণীজনে কয়
প্রেমই শুধু করতে
পারে বিশ্বভুবন জয়।
২০/১/২০২০; ১টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩৫১
স্বপ্নেরা চলে যায়, স্বপ্নেরা আসে
জীবনের চারপাশে স্বপ্নেরা
হাসে।
স্বপ্নেরা আছে তাই
সকলেই বাঁচি
স্বপ্নেরা আশা হয়ে
করে নাচানাচি।
ঘুমঘোরে যারা ধরে, স্বপনের পাখি-
তার পাখি উড়ে
যায় করে ডাকাডাকি।
যারা দেখে স্বপ্নটা
নির্জন ও নিরালায়
কখনোবা স্বপ্নও তার
দিকে ফিরা চায়।
স্বপ্নরা আশা হয়, কর্মীও খাসা হয়, নিজে
স্বপ্নরা সুখ দেয়, শান্তির
লুক দেয়, লিজে।
মানে না সে রোদ, ঝড়, বৃষ্টি
ও বন্যা
মানে না সে পরাজয়, স্বপ্নের
কন্যা।
২১/১/২০২০; ৬টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩৫২
পাটোয়ারী মাস্টার
যেই ছোঁড়ে ডাস্টার
পাও ভাঙে হাঁসটার
সেকি আহা দৃশ্য।
হাউ মাউ ছুটে আসে
কে মারলো কচি
হাঁসে
হাঁস কাঁদে প্যাক
প্যাক
এই তোরা দ্যাখ
দ্যাখ
মনে হয় কেয়ামতে
কেঁপে ওঠে বিশ্ব।
চিৎকার চেঁচামেচি
জুড়ে দেয় চাচাচাচি
অদ্ভুত নাচানাচি
মনে হয হাঁস
নয়
পৃথিবীটা লাশ হয়
ওরা হয় নিঃস্ব।
বলি, চাচা থাম থাম
চাচা করে হামতাম।
বলে, শোন গুম
খুন
এটা নয় রাজগুণ
হতাহত এভাবে
চললে,
কার দোষ মানুষে
দু কথা বললে?
বলি, চাচা মরে নাই
হাঁস কারো ফরে
নাই
ছোট এক ভুলে
কেউ কেউ হয়ে
যায়
ইবলিশ শিস্য।
বলে, চাচা, বাবারে
চল তবে খাবারে
হাঁসটাই রাখি আজ
লিস্টে।
দেখবি, কী দারুন
জমে গেছে নবারুণ
ফিস্টে।
২১/১/২০২০; ১১টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩৫৩
পোলাও।
কে কে খাবে
সবকটাকে
জলদি জলদি বোলাও।
হোকনা সে গণি মাস্টার,
ছাত্রপেটা ঠোলাও।
জলদি জলদি বোলাও।
খেতে বলো একসঙ্গে
গরম গরম পোলাও।
পোলাও।
খেতে বললে মন ভরে
না?
গালটা কেনো ফোলাও
কান্ধেও ব্যাগ ঝোলাও
কী? তোমার মতই
মানুষ ছিল
মনীষী রোমা রোঁলাও!
না না দাদা, তা বলছি না,
পোলাও খেতে পছন্দ
করে
ঘরে আমার পোলা
ও।
পোলাও পেলে নেয়
না ছেলে
এমন দামী সোনা
ও।
এমনকি এক তোলা
ও।
গন্ধ পেলে ছুটে আসে
চুকচুকে চোখ ভোলা
ও।
পোলাও
কে কে খাবে, বোলাও।
২২/১/২০২০; ৪টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩৫৪
দন্ডের পরে দন্ড দাও
তবু বাড়ে ভন্ডের
ছাও।
দন্ড দিয়ে কুকুর বিড়াল
মানুষ করা যায়
না
কিন্তু দেখো দন্ড
ছাড়াই
হচ্ছে মানুষ হায়না।
জেল জুলুমের ভয়ে যদি
ডাকাত মানুষ হতো
তবে কিরে খাঁচার
পাখি
বনে ফিরে যেতো?
মানুষ তখন মানুষ হয়
পেলে আপন পরিচয়
মানুষ তখন মানুষ
হয়
জাগে যদি খোদার
ভয়।
নবী রাসূল মহামানব
গাইলো প্রেমের গান
সে প্রেমেরই গায়
গান
নদীর কলতান।
প্রেমের বাণী রেখে যারা
হিংসা, বিভেদ করে
পায় না তারা
সুখ শান্তি
নিজের মনের ঘরে।
মানুষ যদি হতেই চাও
আল্লা নবীর গুণ
গাও।
২২/১/২০২০; ভোর ৫টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩৫৫
আমায় তুমি মন্দ বলো। ---বলতেই পারো।
যখন তোমার ভাল
বলার সাধ্য মোটে নাই।
তোমার বলা আমার
গায়ে মন্দ মাখে নাই।
বরং তোমার মুখেই
সেটা রয়ে গেছে ভাই।
আমার তুমি গীবত করো। ---করতেই পারো।
কারণ তুমি মরা
ভাইয়ের গোশত খেতে চাও।
তাতে আমি বলিনিতো, আমায়
একটু দাও।
মরা ভাইয়ের গোশত
তুমিই, মজা করে খাও।
আমায় তুমি গালি দাও। --- দিতেই পারো।
তোমার মুখ তুমিই
যদি নষ্ট করো, তবে ---
আমার তাতে বাঁধা
দেয়ার কিইবা বলো রবে।
তোমার আমলনামা তুমি
পাপেই ভরো তবে।
গীবত করো, গালি দাও, মন্দ বলো যতো--
তাতে আমার পাপ
হবেনা, গায় হবেনা ক্ষত।
তুমি থাকবে তোমার
মত,
আমি আমার মত।
তবু তোমার ভালোই চাবো, আমি অবিরত।
২২/১/২০২০; ৬টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩৫৬
দাদা গো---
আকাশ ভরা মেঘের
পাহাড়
পাহাড় ভরা পানি
বুবু কান্দে ফোঁস
ফোঁস করে
চক্ষু মোছে নানী।
চক্ষু মোছে নানী, চক্ষু মোছে নানী।
কুটুম আসে দলে দলে
ধুমধাম করে খায়
চাচী মামী সবাই
বসে
বিয়ার গীতি গায়।
বিয়ার গীতি গায়, বিয়ার গীতি গায়।
রঙবেরঙে সাজায় বাড়ি
ফুলে সাজায় বরের
গাড়ি।
কেউ হাসে কেউ কান্দে।
হীরালালে বসে বসে
চাইয়া থাকে চান্দে।
কয় না কিছু
যদি তারে
বোকা ভেবে বান্ধে।
বোকা ভেবে বান্ধে, বোকা ভেবে বান্ধে।
কান্না হাসি দূরে নয়
পাশাপাশি শুয়ে রয়।
আজকে আমি কাঁদি
হাসে তোমার দাদী।
ফুলের হাসি সুখের হয়
পাতার নিচে দুঃখ
রয়।
আগে পেলে পরাজয়
তার জন্য বিজয়
রয়।
তার জন্য বিজয় রয়, তার জন্য বিজয় রয়।
২২/১/২০২০; ১টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩৫৭
শোনেন বলি সোনার চান
গুলি করেই থাকতে
চান?
রইলো না তয় টিক্কা
খান?
কই গেল তার
মেশিনগান?
এতো বড়াই কইরেন না
এতো বেশী লইড়েন
না
সাপের লেজে ধইরেন
না
নিজের গর্তে পইড়েন
না।
ক্ষেপলে দেশে পাবলিকে
উইড়া যাইবো সাব
লীগে
উনসত্তুরে দেখেন নাই
তবু কিছু শেখেন
নাই?
গুলি থাকলে বন্দুকে
সে চিনে না বন্ধু
কে
আজরাইল কি খালু
হয়?
কেন দেখান মরার
ভয়?
কোন বাহাদুর মরে নাই
হায়াত কারো ঘরে
নাই।
২২/১/২০২০; ২টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩৫৮
ইটের পাঁজর লোহার খাঁচায়
তোমরা থাকো ভাই
আমায় একটু ছুটি
দাও,
মায়ের কাছে যাই।
কতদিন যে দেখি না হায়
আমার মায়ের মুখ
যে মুখেতে লুকিয়ে
আছে
ধরার সকল সুখ।
কতদিন যে শুনি না হায়
ঘুঘু পাখির ডাক
দেখি না হায়
আমের গাছে
মৌমাছিদের চাক।
ঝিমধরা অই শান্ত দুপুর
শান বাঁধানো ঘাট
দুর্বাঘাসে বসে বসে
গল্প বলার হাট।
বিকেল বেলা হরেক খেলা
মাঠে খেলার ধুম
শীতের রাতে মায়ের
কোলে
মিষ্টি মধুর ওম।
এসব কিছু হারিয়ে বলো
কেমনে আমি থাকি
কোথায় আমার মা জননী
কেমনে তারে ডাকি।
২৩/১/২০২০; ৩টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩৫৯
ইতিহাস দেখো নাই, পাতিহাঁস দেখো
পাতিহাঁস দেখে দেখে
ইতিহাস লেখো।
ইতিহাস দেখে নাই
কেউ কোনো কালে
এতো বড় চোখ
বল,
আছে কার ভালে।
পাতিহাঁস মারা গেলে নাতিহাঁস এসে
ইতিহাস লিখে দেয়
গদী ভালবেসে।
লিখে তার চোখ
হয় অতিশয় ঘোলা
কয় শোন, রাজাকার ছিল
কার পোলা।
যুগ যুগ নথি ঘেঁটে ফাইনালে দেখি
ফাস্ট হয় যার
নাম তার নাম লেখি।
ফাস্ট হয় এইবারও
যারা দল বিগ
জামাতী নয় তারা, তারা
সাব লীগ।
কৃষক, শ্রমিক আর ছাত্র ও সেনা
সকলেই তারা আজ রক্তও
দেনা।
আওয়ামের রায় তবে
কই সাফ সাফ
কোনদিন হবে না যে, এ দেনার
মাফ।
রাজাকার কারা তার লিস্ট মেলে বলিলে
বলতে যে হবে
এই,
লেখা আছে দলীলে।
২৩/১/২০২০; ৪টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩৬০
একাত্তুরে বিএনপি তো
মায়ের পেটে আসে
নাই
ভানুর বউ পেছন
থেকে
খুকুর খুকুর কাশে
নাই।
তার নাম তবে কেমনে এলো
রাজাকারের তালিকায়
গাঁজার সাথে ডাল
কি খেলো
কান্নাকাতর বালিকায়?
ঝুললো যারা ফাঁসির কাঠে,
তালিকাতে নাম নাই
রাজাকারের এই তালিকায়
শিবিরের কি দাম
নাই?
যেই মেয়েটা ফাঁসি চাইলো
তার বাপই তো রাজাকার
প্রসিকিউটর আরিফ টিপু
হয়নি আজো সাজা
তার।
মুক্তিযোদ্ধা রাজাকার হয়,
রাজাকার হয় মন্ত্রী
এই তালিকা কে বানালো
কোন সে ষড়যন্ত্রী।
মূল তালিকা বাতিল হয়
প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছাতে।
দেখব এবার কিসব
থাকে
ভুল তালিকার কিচ্ছাতে।
২৩/১/২০২০; ১২টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩৬১
তোমায় আমি গালি দেবো
সময় আমার কই?
তুমি যখন গীবত
করো
আমি পড়ি বই।
কতকিছু দেখিনি হায়
কতকিছু জানি না
আল্লার হুকুম যা জানি
তা
এখনো সব মানিনা।
ছাড়িনি তো মিথ্যে বলা
গীবত করা ছাড়িনি
ডাক এলে যে চলে
যাবো
কেমনে বলবো, পারিনি।
তোমায় বন্ধু মন্দ বলবো,
সময় আমার নাই
দোয়া করো আমি
যেনো
তোমার ভালো চাই।
২৩/১/২০২০; ৬টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩৬২
আঁধার টুটে, পুষ্প ফোটে, সুবাস ছোটে বায়
আয়রে ছুটে আলো
ঠোঁটে প্রভাতপাখি আয়।
রাঙা আলো হাসুক
আবার সুদুর নীলিমায়
আলোর কুসুম যাক
ছড়িয়ে সারা দুনিয়ায়।
আবার হাসুক বিশ্বজাহান আলোর পরশে
পাখির মতোই ধরুক
রে গান সবাই হরষে।
প্রভাত বেলা আলোর
মেলা রক্তরাঙা ভোর
প্রভাত বেলা খুলিস
ওরে রুদ্ধ দুয়ার তোর।
বাসিস ভালো সাগর নদী, বৃক্ষ পাখি সব
তোরই জন্য এসব
গড়েন মহান প্রভু, রব।
এ পৃথিবী আকাশ
মাটি, সবই তাঁহার দান
তাঁর দয়া তো অপার
অসীম, অনন্ত মহান।
২৪/১/২০২০; ২টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩৬৩
ভোরের আকাশ মিষ্টি বাতাস ফুল্ল সুবাস কয়
লাগবে নাকি বন্ধু
তোমার শান্তি সুখের জয়?
পালিয়েছে রাতের আঁধার, হারিয়েছে ভয়
পুব আকাশে উঠছে
ফুটে, রক্তরাঙা জয়।
রক্তরাঙা আকাশ এবং ফুলের সুবাস কয়
ভীতু এবং অলস
যারা, জয়তো তাদের নয়।
জয় তো তাদের, কর্মে যেজন দুঃসাহসী হয়
রাঙা ভোরের আলোয়
ভাসে মিষ্টিমধুর জয়।
বীর সিপাহী, দুঃসাহসী, পায় না যারা ভয়
তারাই পারে ছিনিয়ে
নিতে চিরকালে জয়।
জয় যদি চাও, ভয়কে তাড়াও, ওঠে দাঁড়াও ভাই
অই যে আসে
প্রভাত আলো, ভয় এখানে
নাই।
ওঠো, ওঠো সূর্য হাসে, আসে নতুন দিন
ঊষা মানেই নতুন
জীবন স্নিগ্ধ অমলিন।
২৪/১/২০২০; ৯টা।টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩৬৪
ডাকছে পাখি
খোলরে আঁখি
প্রভাত বায়ু
অঙ্গে মাখি
ফজর পড়তে যাই।
একটু পরেই
সূর্য উঠবে
সময় বেশী নাই।
নামাজ শেষে
হেসে হেসে
একে অন্যে
ভালো বেসে
পরষ্পরে
কাছে এসে
সালাম জানাই।
পাড়াপড়শি
কেমন আছে
খোঁজ নেই একটু
ভাই।
রাঙা আকাশ
ঠান্ডা বাতাস
পুষ্প সুবাস
পাই।
দুর্ভাগা সে
যে এ মধুর
সকাল দেখে নাই।
আয় সকলে
দলে দলে
সকাল দেখি ভাই।
মিষ্টি ভোরে
সৃষ্টিকর্তার
আয় গুণগান গাই।
২৫/১/২০২০; ৪টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩৬৫
সাগরের জল নীল
বলে কে?
জলে কোন রঙ নাই
রঙ নাই।
চাঁদে গিয়ে রং ঢং
করে কে?
চাঁদে কোন বুড়িচং
নাই।
জলে কোন রঙ নাই, নাই।
জল তবু নীল দেখি
নীলাকাশে চিল দেখি
পাগলার বিল দেখি
চেরাগালি হিল দেখি
দেখে মজা পাই
জলে নীল ছবি
ভাসে
আকাশের ভাই।
আকাশটা নীল নীল
তাই দেখি জল নীল
সাগরের তল নীল
নীল কারো চোখ
আয় আয় মুছে
দেই
সকলের দুখ্।
দুখ নাই, সুখ পাই
আমরা যে ভাই
ভাই।
২৫/১/২০২০; ৫টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩৬৬
পাখি ডাকে কিচির মিচির
প্রভুর গুণগান গায়
উঠরে মুমীন মসজিদে
চল
ফজর পড়বি, আয়।
ভোরের বাতাস লাগায় না যে
নিজের আপন গায়
সে কখনো দেয়
নি তো ডুব
সুখের দরিয়ায়।
ভোরের বাতাস মাখলে গায়ে
অসুখ সেরে যায়।
কে কে যাবি
ফুল কুড়াতে
আয়রে ছুটে আয়।
ভোরের বাতাস সুবাস মাখা,
সতেজ করে মন
ভোরের বাতাস মহা
প্রভুর
ধনের সেরা ধন।
২৫/১/২০২০; ৬টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩৬৭
শিরিষ কাগজ দিয়ে ঘষে
বদনাম তোলা যায়
না
বদনাম এতো খারাপ
জিনিস
বিড়ালেও তা খায়
না।
বদনাম করে পালাও যদি
জাপান কিম্বা চায়না
তাতেও কিন্তু বদনামগুলো
তোমায় ছেড়ে যায়
না।
মরে গেলে ডাকাত সরদার
বদনাম ঠিকই রয়
মরার পরেও তাকে
লোকে
অমুক ডাকাত কয়।
বদনাম একবার হয়ে গেলে
মরেও নিস্তার নাই
নিজাম ডাকাত নামটা
কিন্তু
আজও মোছে নাই।
২৫/১/২০২০; ১১টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩৬৮
ভোট নিয়ে আর কথা নাই
ভোট তো দিব
ইভিএম
ভোটের পরে হাসবে
বসে
সুরঞ্জনা, বিবি মেম।
কয়টা কাউয়া কা কা করবে
পিপীলিকা মিছিল ধরবে
হায়াত নাই যার
সে-ই মরবে
জয়িতা, জয় ধ্বনি
ধরবে।
অভিনন্দন বার্তা নিয়ে
আসবে ছুটে সিপিএম
তাতে খোশে সায়ও
দেবে
রাধাকৃষ্ণ, নটরডেম।
রামদো ভুতে বলবে বা,
গণতন্ত্র বাইটা খা
দেশে আইলো ইভিএম
খুশি হইলো বিবি, মেম।
ভোটের কোনো কাম নাই
জনতার তো দাম
নাই।
২৬/১/২০২০; ৭টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩৬৯
প্রেম দাও বলে যতোই কাঁদো
প্রেম চলে যায়
উড়ে
চাইলে কভু প্রেম
আসে না
প্রেম চলে যায়
দূরে।
প্রেম যদি ভাই পাইতে হয়
প্রেম যমুনায় নাইতে
হয়।
প্রেমের গান গাইতে
হয়
প্রেমের বড়ি খাইতে
হয়।
নিজের বুকের জমা প্রেম
সবই ঢেলে দিতে
হয়
উড়ে আসা প্রেমগুলোকে
বুকে টেনে নিতে
হয়।
প্রেম দিলেতো প্রেম আসে
চলনবিলেও প্রেম হাসে।
বাঙালিতো এসব কথা
চলনবিলে খোঁজে না
যতোই বলো প্রেমের
বাণী
মেছাল ছাড়া বুঝে
না।
আযহারী যেই প্রেমের বাণী
উজাড় করে দিয়েছে
লক্ষকোটি প্রেম তখনি
তাকে ধরতে ছুটেছে।
যে দিয়েছে ঘৃণা তারে
তাকেই ভাল বেসেছে
মূর্খজনের মুর্খামীতে
একটু শুধু হেসেছে।
তাইতো সবে দলে দলে
ছুটে আসে তাঁর
মা'ফিলে।
অবাধে সে ভাইরাল
হয়
সে কি ভাইরাল
করো কয়?
কে কে কবি ভাইরাল চাও
ঘৃণা রেখে প্রেম
বিলাও।
একবার লাগলে প্রেমের
টান
ছুটবে শেয়ার লাইকের
বান।
২৬/১/২০২০; ৮টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩৭০
ভালোবাসতে শক্তি লাগে
ভক্তি লাগে অন্তরে
বলতে হয় না জিকির
করে
দিলাম আমি মন তরে।
তুমি গোলাম স্মরণ করো
মালিক কি কি বলেছে
তোমার মনটা দিনে
রাতে
সেই মতো কি চলেছে?
ভুলে গেছো খোদার হুকুম?
কোরআন পড়ে জেনে
নাও
নফস বলেছে তাই
কি তুমি
জেগে জেগে হারাম
খাও?
ভুল গো দাদা ভুল।
কোরআন বলছে ঘৃণা
ছাড়ো
ফোটাও প্রেমের ফুল।
২৬/১/২০২০; রাত ১১টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩৭১
তোমার প্রেমে আমার মন
আজও টলোমলো
তাই কি তুমি
আমায় রাণী
প্রেমের কবি বলো?
আমার একটা দোকান ছিল
প্রীতি ছিল নাম
সেখান থেকেই ভালোবাসা
আমি বিলাতাম।
এখনো তো আমি শুধু
প্রেমের চাষই করি
আগের মতোই প্রেমের
জন্য
আজও আমি লড়ি।
আজো আমি প্রেমের ফেরিঅলা
গলা পেলেই দেই
বাড়িয়ে গলা।
২৭/১/২০২০; ৪টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩৭২
বলতে পারো, ধরায় কেনো এসেছিলেন নবী
জগৎজনে শেখান যেনো
শুদ্ধ প্রেমের ছবি।
প্রেমের রঙে রাঙে
যোনো ধরার সকল কবি
প্রেমের পুষ্প গায়ে
মাখাই হয় সকলের হবি।
ছোট বড় সব মানুষকে বাসতে হবে ভালো।
সব হৃদয়ে জ্বালতে
হবে শুদ্ধ প্রেমের আলো
মানুষ মানে মানুষ
শুধু, হোক সে সাদা কালো
মন্দ মানেই মন্দ
এবং ভালো মানেই ভালো।
মন্দ লোকে ভালোটাকে করতে চাবেই দূর
তুলবে নানা অভিযোগ
ও তুলবে নানা সুর।
মানব মনে জমবে
আঁধার, করতে হবে দূর
তাইতো তিনি নিয়ে
এলেন সঙ্গে হেরার নূর।
এসো, এসো, প্রেম যমুনায় ডুবে মরি সবে
তাতেই খুশী হবেন
জেনো স্রষ্টা, প্রভু, রবে।
২৭/১/২০২০; ৫টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩৭৩
ডাক্তার বাবুর ছাতা নাই
রঞ্জা মাসির রাতা
নাই।
জামার কোন হাতা
নাই
গাছের গায়ে পাতা
নাই।
চাকরি আছে ভাতা নাই
স্কুল আছে খাতা
নাই
পিতা আছে মাতা
নাই
কোথাও কোন দাতা
নাই।
নাইএর দেশে করি বাস
আছে শুধু সর্বনাশ
রাস্তার পাশে মরা
লাশ
রক্তেভেজা সবুজ ঘাস।
২৭/১/২০২০; ২টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩৭৪
কোরান বলে ইসলামটাকে
সবাই মিলে আঁকড়ে
ধর
হুজুর বলেন, নানান ভাগে
ইসলামটাকে ফেরকা কর।
একভাগে তুই ইমাম হবি
আরেক ভাগে আমি
মনে রাখিস কোরান
থেকে,
মুরুব্বীরা দামী।
দমে দমে জিকির কর
নজরানাতে পকেট ভর
দরকার হলে চিল্লা
তে যা
নইলে কামেল পীরকে
ধর।
দরকার হলে মাজার বানা
জিকিরে হ ফানা
ফানা
যারে দেখবি লেংড়া
কানা
তারা ছাড়া সবাই
পর।
দমে দমে জিকির
কর।
তাতেই আসবে টাকাকড়ি
আন্ধার হলে আসবে
পরী
দমে দমে জড়াজড়ি
জিকির সহ ফিকির
কর।
আয় রে নারী
আয় রে নর।
আয় রে ছুটে মুসলমান
জমা দে রে তোর
ঈমান।
২৭/১/২০২০; ৬টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩৭৫
মুসলিম বিশ্বে রাষ্ট্র চালায়
এজিদ এবং সীমারে
মুসলিম উম্মাহ ডুবে
আছে
ফেরকাবাজির বিমারে।
এই ফাঁকে হয় ইমাম খুন
আলেমরা সব বন্দী
হয়
খুনীর সাথে কেমন
করে
মুসলমানের সন্ধি হয়?
কারবালাতে ইমাম মরে
কাফের তাঁরে মারে
না
মুসলমানের ঐক্য হলে
রোম পারস্য পারে
না।
কারবালাতে ইসলাম মরে
মুমীন তবু নড়ে
না
স্বৈরাচারী খুনীকে কেউ
শক্ত হাতে ধরে
না।
মুসলমানরা এ অনাচার
যখন দাদা সয়ে
যায়
গজব এসে তাদের
ওপর
তখন একটু বয়ে
যায়।
বিশ্বজুড়ে শাসন চালায়
আজো সীমার, নাফরমান
খোদার গজব খুঁজে
বেড়ায়
কোথায় মুমীন মুসলমান।
গদী থেকে এজিদ সীমার
জলদি করে তাড়াও
মুসলিম হলে নিজের
পায়ে
শক্ত করে দাঁড়াও।
২৭/১/২০২০; ৯টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩৭৬
কোনটা খারাপ কোনটা ভালো
কে জানে না বলো?
তবে কেন জেনশুনে
খারাপ পথে চলো?
তুমি, মন্দ পথে চলো?
তুমি, মন্দ পথে
চলো?
খারাপ কাজের ফলে তোমার
ভাগ্যে জমে পাপ
তার জন্য কয়দিন
তুমি
করো অনুতাপ?
তুমি কেনো বসে
বসে
মন্দ জমা করো?
তুমি, মন্দ পথে চলো?
তুমি, মন্দ পথে
চলো?
ছাড়তে হবে মায়ার জগত
কেড়ে নেবে জান
তুমিই জানো এরপরে
কে
দেবে প্রতিদান।
তবে কেন জেনশুনে
খারাপ পথে চলো?
তুমি, মন্দ পথে চলো?
তুমি, মন্দ পথে
চলো?
২৮/১/২০২০; ৬টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩৭৭
সবুজ বনের অবুঝ পাখি
কারে জপিস ডাকি
ডাকি।
তোর সে করুণ
সুরে সুরে
উতল এ মন যায়
রে উড়ে
কে দিয়েছে এ বয়সে
ওরে বন্ধু তোরে
ফাঁকি।
জপিস কি তুই প্রভুর ও নাম
জগত গাহে যাহার
সুনাম
সবুজ পাতায় ও নাম
আঁকি
সময় কাটাস ডাকি
ডাকি
তোর সে মোহন
ডাকের সুরে
পরাণ আমার যায়
সুদূরে
ইচ্ছে করে সারাটাদিন
তোরই মতো আমিও
ডাকি।
তোরই মতো একলা আমি
তারেই ডাকি দিবসযামী
তোরই মতো উড়ে
উড়ে
জীবন রাঙাই তাঁরই
নূরে
সেই অসীমের নূরই
আমি
আজো সারা অঙ্গে
মাখি।
সবুজ বনের অবুঝ পাখি
তারেই জপি ডাকি
ডাকি।
২৮/১/২০২০; ১২টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩৭৮
ঝুমকো লতা ঝিঙে ফুল
মামার মাথায় বাবরি
চুল
বুবুর কানে সোনার
দুল
বিয়ে বাড়ি, ভাঙা টুল।
কে কও বাবুর
হাসির তুল?
বাবুর হাসির নাই তুলনা
এ কথাটা কেউ
ভুল না।
সুবাস ছড়ায় বকুল ফুল
মানুষে খায় গাছের
মূল
পেঁপে গাছের পেঁপে
খায়
আয় কোলে তুই
নেচে আয়।
কুটুস কুটুস ছোট্ট
পায়।
বাবুর হাঁটার নাই তুলনা
কেউ কখনো তা ভুল
না।
সবচে মজা মায়ের কোল
বাবার প্রিয় উচ্ছে
ঝোল
বাবুর প্রিয় দোদোল
দোল
বুবুর প্রিয় পিঠা
গোল
মায়ের প্রিয় বাবুর
বোল।
বাবুর বোলের নাই তুলনা
কেউ কখনো তা ভুল
না।
২৮/১/২০২০; ৪টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩৭৯
এক যে ছিল খোকা।
তার সাথে খেলতে
এলো
জাঁদরেল কয়টা বোকা।
ভাবলো তারা জিতে
যাবে
দিয়ে তাকে ধোঁকা।
খোকা তো নয় বোকা।
বলে, লাগবি আমার
সাথে
কয়টা গুবরে পোকা?
ঢাকার ছেলে খোকা।
দিল্লিকা লাড্ডু খায়
না সে
খায় না বোকার
ধোঁকা।
যতবারই লড়াই লাগে
জিতে ঢাকার খোকা।
খোকার সাথে পারে নাই
পোলার সাথে লড়ে।
ভাবছে পোলা সরে
যাবে
ইভিএমের ডরে।
আব্বে হালায় কয় কি!
ইভিএমে ছিনিয়ে নেবে
খোকার পোলার জয় কি?
২৮/১/২০২০; রাত ৮টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩৮০
তোমার একটা রাজ্য আছে
রাজ্যের নাম দেহ
এ রাজ্যটা তুমিই
চালাও
আর চালায় না কেহ।
এ রাজ্যটার রাজা তুমি
দেহটাতো রাজ্যের ভূমি।
এ রাজ্যের রাজধানী যে
মস্তক তাহার নাম
তার হুকুমে দেশটা
চলে
পুরে মনস্কাম।
সাড়ে তিনহাত রাজ্য দাদা
বড় বেশী নয়
এ রাজ্যে কি সত্যি
সত্যি
তোমার শাসন রয়?
নাকি চালায় এ রাজ্যটা
দুষ্ট সে শয়তান
মিছামিছি দাবী করেন
আপনি মুসলমান।
২৯/১/২০২০; ১টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩৮১
হালাল হইছে পতিতালয়
দালাল হইছে সৌদি
এই খবরটা শোনার
পর
বেহুশ হইছে বৌদি।
পীর সাহেবের চাইতে ওরা
পাগড়ি পরে বড়ো
কুলসুমে কয় বড়ো
হুজুর
একবার তুমি মরো।
পতিতালয় অতীতালয়
কোনটা গজবখানা
নবীর দেশে জন্ম
নিয়াও
হয়নি তোমার জানা।
বিশ্ববাসী আন্ধা তো নয়
সবাই তো নয় কানা
সবাই জানে সৌদি
এখন
বিশ্বে পাপের ছানা।
২৯/১/২০২০; ভোর ৫টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩৮২
ওগো চাঁদ
তোমার বুকের ক্ষত
সকলেই দেখে
আমার বুকের ক্ষত
কেউ দেখে না
না না না কেউ
দেখে না।
কত সাথী হারিয়েছি
এ জীবনে হায়
কত ব্যথা নদী
হয়, বুক ভেঙে যায়
আমার ব্যথার কথা
কেউ লেখে না
না না না কেউ
লেখে না।
সীমারের হাতে মরে ইমাম হোসেন
তাই কাঁদে অহরহ
ফোরাত নদী
কাঁদে না পাষান্ড
এজিদের মন
তার শুধু দরকার
ক্ষমতার গদি।
হারে না ইমাম হোসেন লড়ে যায় বীর
দেয় না ঈমান
মুমীন, দিতে পারে শির
আল্লাহর রাহে খুন
যুগে যুগে দেয়
শহীদ নিজ রক্তের
হিসাব তো করে না
না না না হিসাব
তো করে না।
যুগে যুগে এজিদেরা লোভ নিয়ে আসে
পাপের দরিয়ায় তারা
ডুবে আর ভাসে
কোন দেশে সিসি
হয়,
দোজখের পিসি হয়
হাশরের কথা সেতো
মনে রাখে না।
না না না সেতো
মনে রাখে না।
২৯/১/২০২০; ৬টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩৮৩
পদ্মা নদীর মাঝি--
ওপার যাবো বন্ধু
তুমি
সঙ্গে নিতে রাজি?
তুমি একাই? নাকি নেবে
সঙ্গে তোমার তাজি?
ভোর বিহানে ওপার
কেন,
কাজ কি তোমার
কাজি?
দুপুর বেলা বিয়ের দাওয়াত
তাই ছুটেছি মাঝি।
পরিবারের দাওয়াত ছিল,
রাজি হয়নি মা ঝি।
একাই যাচ্ছি মাঝি।
ফিরবে কখন? থাকবে নাকি
ফিরে আসবে আজি?
বিয়ে বাড়ি যাচ্ছো
সাথে
নিচ্ছো ফুলের সাজি?
বা বাহ বা কাজি।
মাঝি।
আশা করছি দিনেদিনেই
ফিরে আসবো আজি।
আসতে যদি রাজি
হয়
মোহনগঞ্জের গাজি।
নাওয়ে ওঠো কাজি
আমি যেতে রাজি।
২৯/১/২০২০; ১০টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩৮৪
গোষ্ঠী শুদ্ধ বাপ মরলো
জনগণ কেউ লড়ে
নাই
নতুন করে কইতে
অইবো
জনগণ কেউ ফরে
নাই?
জানি জানি, সব জানি
কে কে করছে
শয়তানী।
জনতার রায় দরকার
নাই
ইভিএমের সরকার চাই।
আগে নিছি ভোট জোরে
এবার নিবো আপসে
ইভিএমের গুনে এবার
ভোট পাবে তাপসে।
পাবলিক বসে কলা খাও
নইলে যার যার
বাড়ি যাও।
২৯/১/২০২০; ২টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩৮৫
আমি নাকি মন্দ বলি--
তোমার খালি অভিযোগ
আমার কথা প্রচার
করার
তোমার কেন এত ঝোঁক?
আমার বেলা পাপ যদি হয়
তোমার কেন হয় না
তোমার আকাম সইতে
পারে
আমার আকাম সয়না।
পাবলিকরে কই মন্দ ছাড়ো
নিজের মুখের লাগাম
নাই
বলতে পারো গালির
মাঝে
এত মজার কি সুখ
ভাই?
মন্দ থেকে গন্ধ ছড়ায়
অন্ধজনেও জানে
সবারই তো ক্ষতি
হয়
হারাম মদ্য পানে।
২৯/১/২০২০; ৮টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩৮৬
আম্মু খালা আদর করেন,আদর করেন মামা
নানা খাবার দেন
যে কিনে রঙিলা সব জামা।
সবাই বলেন, পড়ো পড়ো
পড়ো
পড়ে সোনা হতে
হবে তোমার অনেক বড়ো।
বই পড়ি না, আমি পড়ি জগত এ সংসার
কেমন করে নিত্য
সূর্য হারায় রে বার
বার।
পাখি ডাকে কিচিরমিচির, রাতে কোথা যায।
বনের পশু, পাখপাখালি, ওরা কে কি খায়।
রাতে ওরা ঘুমায়
কোথা, বালিশ কোথা পায়।
মুগ্ধ চোখে দেখি
আমি দুনিয়ার কারবার।
টাপুরটুপুর বৃষ্টি পড়ে, ওরা থাকে কই?
ওদের দিকে মুগ্ধ
হয়ে রই তাকিয়ে রই।
নীলাকাশে চাঁদের চেরাগ
কই হারিয়ে যায়
এতো এতো তারার
বাতি, কেমন করে পায়।
এসব দেখে সকাল
দুপুর রাত হয়ে যায়
পার।
যতোই দেখি ততোই আমি অবাক শুধু হই
মামা বলেন, জানবে সবই
যদি পড়ো বই।
৩০/১/২০২০; ৩টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩৮৭
একদিন হুট করে
মামাজান বললেন
তিনি নাকি হেঁটে
হেঁটে
আমাজান চললেন।
কেন মামা আমাজান
হেসে কয় মামাজান
বুঝলি।
এতকাল বসে বসে
সুখ কতো
খুঁজলি।
লাভ কিছু হলো
তাতে
সুখটা কি পেলি
পাতে
কেন তবে একা
একা
যুঝলি।
বুঝলি।
আমি যাবো আমাজান
বলে যায় মামাজান
তারপর একদিন
সুখ নিয়ে
ফিরবো।
সুখ নিয়ে বাংলার
ঘাটে ঘাটে
ভিড়বো।
সেই সুখ মিলেমিশে
ছাতু করে পিষে
পিষে
সকলেই খাইবো
এ কারণে আমি
মামা
আমাজান
যাইবো।
৩০/১/২০২০; ৫টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩৮৮
ভালো মানুষ হতে নাই
ভালো কথা কতে
নাই।
ভালোর সঙ্গে রতে
নাই
দেশ যদি হয় ডাকাতের
কাপড় তোলে জাকাতের।
দলে দলে গুন্ডা হও
হাত বাড়িয়ে হুন্ডা
লও।
চেলা ও চামুন্ডা
হও
দেশ যদি হয় লুটেরার
কি হবে কও ভোটে
আর।
ভার্সিটিতে লড়তে যাও
বাপের পোলা মরতে
যাও।
ভাঙা নায়ে চড়তে
যাও
দেশ যদি হয় চোরাদের
ভাবো সে দেশ
গোরাদের।
অপমানের শেষ নাই
তোমার কোন দেশ
নাই।
ভিপি নূরের কান্না
সে দেশে হয় রান্না।
৩০/১/২০২০; ৬টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩৮৯
পুরান ঢাকার পোলা।
সার্টের বোতাম খোলা।
গলির মোড়ে বসে
খায়
ফান্টা, কোকাকোলা।
আব্বে হালায়, জলদি দে
চিৎকার করে ভোলা।
বাবা হালায় ঘরে
নাইক্কা
ঘরের দুয়ার খোলা।
পুরান ঢাকার পোলা।
ভোর বিহানে চিবায়
বসে
মুঠো মুঠো ছোলা।
তারপর খায় পানি
দিয়ে
ইসবগুল এক তোলা।
বোনরে কয়, মারবো থাপ্পড়
চা দিস না ক্যালা?
অ শয়তারের চেলা।
ভোলা।
পুরাণ ঢাকার পোলা।
আগে খেতো পথের
মোড়ে
ফান্টা, কোকাকোলা।
এখন ভয়ে যায়
না পথে,
পথে ঘুরে ঠোলা।
৩০/১/২০২০; ৪টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩৯০
খোদার হুকুম পর্দার বিধান
বিশ্ব যদি মানতো
তবে কি আর করোনাতঙ্কে
বিশ্ববাসী কানতো।
অশ্লীলতা থেকে যদি
সবাই দূরে থাকতো
তবে কি আর মরণব্যাধি
এইডস এভাবে লাগতো।
প্রভুর বিধান মানলে তবে
এসব গযব আসতো
না
ভূমিকম্প, মহামারী,
বন্যা বিশ্ব নাশ
তো না।
মানুষ তুমি স্বাধীন হও
আরো কিছু দুঃখ
লও।
নইলে ছাড়ো স্বাধীনতা
প্রভুর হুকুম মানো
জীবনটাকে সুন্দর করো
শান্তি ও সুখ
আনো।
৩০/১/২০২০; রাত ১০টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩৯১
শোনেন শোনেন সিইসি সাব
একটা কথার জবাব
দেন
ইভিএমের জন্য আপনি
নিজে এত উতলা
ক্যান?
ইভিএমের জন্য কোন
আন্দোলন কি হইছে
ইভিএম দেন বলে
কেউ
আপনারে কি কইছে?
বিরোধীদল সকলে কয়
ইভিএম কেউ চাইনা
আমার খানা আমিই
খাই
পরের হাতে খাই
না।
তারপরেও ইভিএমটা
দিতেই কেন হইবে
এ রহস্য আপনি
বলবেন,
নাকি অন্যে কইবে?
জনগণের টঙ্কা মারার
এইটা কোন ফন্দি
নাকি আপনি হুকুমের
দাস
হুকুমজালে বন্দী?
ইভিএমের জন্য আপনি
কেন এতো পেরেশান
যাবার আগে সিইসি
সাব
এর রহস্য বলে
যান।
৩১/১/২০২০; রাত ১টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩৯২
আজ্ঞে,
বলতে পারেন এ জীবনে
আর কি আছে
ভাগ্যে?
কোন সে গাঁয়ে জন্মেছিলেন
কোন শহরে থাকেন
কারে ডাকার কথা
ছিল
কাকে এখন ডাকেন?
আপনার মনে ব্যথার ঢেউ
সুখ জীবনে পাননি
কষ্টের পরে কষ্ট
পাইছেন
সুখের বড়ি খাননি।
এই যে এতো সোনাদানা
সহায় সম্পদ গড়লেন
এগুলো ক ভোগ
করে কি
আপনি নিজে মরবেন?
,
কিছুই আপনার জানা
নাই
কি আছে কার
ভাগ্যে?
তবে কিসের বড়াই
করেন
বলতে পারেন, আজ্ঞে?
৩১/১/২০২০; ৬টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩৯৩
পোস্টটা আমার ইসি
বদ লোকে কয় ছি ছি
সবাই শুধু বদনাম
করে
এমনি মিছামিছি।
যে দিয়েছে চাকরিটা
জয়টা তারই থাক
রিটা
পুলিশ করে পার্টিটা
তাই জনতা খায়
পিটা।
সবই রাখছি কেয়ারে
জয় বিলাবো শেয়ারে
আর্মি পুলিশ আমলারে
পারলে তাদের সামলা
রে।
নয় জনতা হারবেই
আমার পার্টি পারবেই।
৩১/১/২০২০; ১১টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩৯৪
ফ্যানের রাজা জিইসি
ভোটের রাজা সিইসি।
বলছে রাজা আপসে
জিতবে এবার তাপসে।
বলছে স্বভাব বাতিকে
আর জিতবে আতিকে।
মারামারি করিস না
অযথা কেউ মরিস
না।
লীগের সাহস বাহিনী
এখানে শেষ কাহিনী।
ঠান্ডা পানি ঝিলামে
ভোট হয়েছে নিলামে।
ভোট করেছে ইভিএম
খুশী এবার বিবি
মেম।
৩১/১/২০২০; ১টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩৯৫
সারা শহর ভরে গেছে
নির্বাচনী পোস্টারে
পোস্টার যদি রুটি
হতো
গরম করে টোস্টারে
ঘরে ঘরে বিলিয়ে দিতাম
মজা করে খাইতি
শাহাবাগের কন্যা সবাই
একটা করে পাইতি।
ভোটের গরম পুকুরে
আরাম করে নাইতি।
তবে কি তুই
ভোটকেন্দ্রে
কষ্ট করে যাইতি।
হরেক রকম মার্কা এবং
নানান ছবির পোস্টারে
শহর জুড়ে তাকায়
মানুষ
আর খালি খায়
উষ্টা রে।
উষ্টা খেয়ে তবে কি আর
মনে ব্যথা পাইতি
সময়মত পালিয়ে যেতি
কোস্টারিকা, হাইতি।
৩১/১/২০২০; ৪টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩৯৬
নির্বাচনে খরচ হলো -- কোটি কোটি টাকা
এ টাকাতে কেনা
যেত আরো একটা ঢাকা।
বানান যেত নীলাকাশে, নয়ালি
চাঁদ আঁকা।
তা না করে
নির্বাচনে কি লাভ হল কাকা?
গণতন্ত্র সেলাইন পাইলো
জনগণে এলান পাইলো।
নেতার হাতে চা বি খেল, লাগল
না যে টাকা।
একদিন পেল যানজট
মুক্ত বিচিত্র এ ঢাকা।
এন করেঙ্গা তেন করেঙ্গা
সিঙ্গাপুরি লেন করেঙ্গা
সবার পকেট বেন
করেঙ্গা, মানিব্যাগটা ফাঁকা।
এতোকিছু ওয়াদা পেলো
নগরবাসী, কাকা?
শেয়ার মার্কেট, ব্যাংক খেয়েছি
খেয়ে বহুত স্বাদ
পেয়েছি
জলদি করে লিস্টি
করো আর কি বাকি
কাকা।
এবার খেয়ে ঢাকা
শহর করে দেবো ফাঁকা।
৩১/১/২০২০; ৭টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩৯৭
নির্বাচনে লীগের শুনেন
সত্যি কোন হার
নাই
এমন জেতাই জিতবে
যে
জেতার কোন পাড়
নাই।
জিতলে তো আর কথাই নাই
হারলেও যে জিত
তার
এ সরকারের অধীনেই
নির্বাচন হোক বার
বার।
এমন দাবী পোক্ত করার
এরচে ভাল বাহানা
বলতে পারিস আর কোথা
তা
খুঁজে পাবি সাহানা।
হারলে পাবে ডাবল জয়
লীগের তবে কিসের
ভয়?
৩১/১/২০২০; ৮টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩৯৮
গেদু চাচা পড়ে বই
সকিনা তুই গেলি
কই
ক্ষুধা লাগছে খেতে
দে
যে যেতে চায়
যেতে দে।
আসা যাওয়া খোদার হাতে
এড়াতে কেউ পারে
না
তবু মানুষ বাঁচার
চেষ্টা
কোনদিনই ছাড়ে না।
কেউবা মরে মধ্যরাতে
গুলি খেয়ে সিঁড়িতে
কেউবা মরে ফুটপাতে
টান দিয়ে শেষ
বিড়িত।
মরা নিয়ে কেউ থেকো না
অশান্তি ও টেনশনে
মরার আগে টান
দিয়ে নাও
জীবনের শেষ বেনসনে।
আইলে মরণ মরতে হবে
বাঁচলে জীবন গড়তে
হবে।
লড়তে হবে বাঁচতে
যদি চাও
এবার বসো, ধরো বাদাম
খাও।
৩১/১/২০২০; ৯টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৩৯৯
সোনামনির হাসি।
এক হাসিতে নেয়
রে কেড়ে
চিত্ত রাশি রাশি।
সোনামনির হাসি।
সেই হাসিটা দেখার
জন্য
বার বার ছুটে
আসি।
সোনামনির হাসি।
সেই হাসিটা দেখতে
আসে
মুগ্ধ জগতবাসী।
সোনামনির হাসি।
সেই হাসিতে মুক্তা
যেনো
ঝরে রাশি রাশি।
সোনামনির হাসি।
কোটি টাকায় যায়
না পাওয়া
এমন একটা হাসি।
সোনামনির হাসি।
সেই হাসিতে সুখ
শান্তি
ভরা রাশি রাশি।
সোনামনির হাসি।
সেই হাসিটা প্রেমের
ফুল
ছড়ায় রাশি রাশি।
সোনামনির হাসি।
সেই হাসিটা দিয়ে
গেলো
ফেরেশতারা আসি।
সোনামনির হাসি।
সেই হাসিটা আমরা
সবাই
কতই ভালো বাসি।
সেই হাসিটা মায়ের কোলে
দিলেন সোবাহান
সেই হাসিটা আল্লাহতালার
শ্রেষ্ঠ অবদান।
৩১/১/২০২০; ১০টা।
আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-২৪০০
সত্য খাইছে নীলতিমিতে
সত্য জলে ভাসে
না
শালিক টিয়া ময়না
এখন
পরাণ খুলে হাসে
না।
সিইসি ও বিচারপতি,
এবং জনগণ
মুখে মারে তালা
সবে,
সত্য জানে মন।
সবার নাকি একটা পরাণ,
দুইটা যদি থাকতো
তবে কি আর সত্যটারে
সবাই মিলে ঢাকতো?
সিনহা সাহেব অবশেষে
দেশ ছেড়ে যান
পালিয়ে
সিইসি সাব বেঁচে
আছেন
দেশের মানুষ জ্বালিয়ে।
পুলিশ এবং গুন্ডাতন্ত্র
গণতন্ত্র খায়
রান্নাঘরে বসে কান্দে
গণতন্ত্রের মায়।
গণতন্ত্র উদ্ধার করবি?
পথে নেমে আয়
আর কতদিন মারবি
কুড়াল
নিজেই নিজের পায়?
৩১/১/২০২০; ১১টা।
No comments