আসাদ বিন হাফিজ এর ১০০ ছড়াঃ ১১০১-১২০০

 


আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১০১

আরো তুরিন আছে

তুরিনরে তুই একলা না

আরো তুরিন আছে

চান্স পেলে ভাবে উঠবে

ডগায় সুপারী গাছে।

 

এতো করে বললাম ঘুষ

সহনীয় মাত্রায় খাবি

মুরগীই যদি যায় মারা

ডিম কোথায় পাবি?

 

বিশ পঁচিশ কোটি ঘুষ চাইলি

এটা কোন কথা হয়

ঘুষ খেতে তো না করি নাই

এটা সহনীয় মাত্রা হয়?

 

এখন লোকে বলবে তোরে

ইঁদুর থেকে হাতি

সামনে যা পাস সবই তুই

দুহাতে ঘুষ খাতি।

 

তুইতো ছিলি বুদ্ধিমতি

বোকা বোকা কথা কস

লেবু যত চিপড়াবি তুই

ততই পাবি তিতা রস।

 

টিস্যু পেপার হিসুর পরে

সবাই জানে কি করবে

নাকের পানি ফেলবেইতো

তবে কি তা ঘি করবে?

 

দারোয়ানের দরকার তাই

দারোয়ানরে মাইনে দেই

দরকার নাই, রাখতেই হবে

এমন কথা আইনে নেই।

 

এটা সবার বুঝতে হবে

দরকার ছাড়া দাম নাই

বিয়ের শাড়ি যেই দোকানে

সেই দোকানে আম নাই।

 

তোর সে করা পাপের বোঝা

অন্য কেউতো বইবে না

যতোই ভাবিস আপনজন

তোর পাপ কেউ সইবে না।

 

তোর মতো যে বিবেকহারা

লোভ দেখালে টিস্যু হয়

এই ঘটনায় তার যেনো রে

একটু বিবেক শিক্ষা হয়।

১৪/৫/২০১৮;  বিকাল ৪:৪৫ মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১০২

তবে দাঁড়াও রুখে

হীরা,

বলতো,

নির্বাচনে সেনাবাহিনী কি দরকার?

একদম না, একদম না।

মানে কি!

সেনাবাহিনী চায় না কেন বলতো দেখি সরকার।

 

সরকার কেন চায় না সেটা সেই জানে

আমি কেন চাই না শোনেন তার মানে।

 

ভোটটা হলো পাবলিকের

সেনাবাহিনী ভোট দিবো?

তারাতো কেউ দাঁড়ায় নাই

পাবলিকেরে নোট দিবো?

 

ভোট দেবে না, নোট দেবে না

আইবো কেন ভোটে।

নির্বাচনে তাদের দরকার

দেখি নাতো মোটে।

 

তবে যারা চায়?

 

বুদ্ধি তাদের পায়।

 

কেন?

 

ভোটটা হলো জনগণের

তারাই ভোটে থাকবে

এই বাহিনী, সেই বাহিনী

তবে কেন ডাকবে।

 

আর্মি চাই না, পুলিশ চাই না

তারা থাকবে ব্যারাকে

রামদা নিয়া দলে দলে

পাবলিক ঘুরবো ট্যারাকে।

 

যেই দলের জোর বেশী থাকবে

তারা যাবে জিতে।

লাগলে হবে মারামারি

নইলে হবে হীতে।

 

বাহবা তোর তো বুদ্ধি বেশ

জলদি হ তুই নিরুদ্দেশ।

নইলে তুইও পড়বি ধরা

গুমের পরে দেখবো মরা।

 

ভাগতে গেলে মরতে হবে

লোকে কাপুরুষও কবে।

তারচে দাঁড়াও রুখে

থাকবে তবেই সুখে।

১৪/৫/২০১৮;  রাত ৮:০০ টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১০৩

আন্ধার রাইতে সবই কালা

জামাই খুবই ভালা

দেখতে শুনতে নাদুস নুদুস

রঙটা একটু কালা।

দেখেশুনেই মেয়ে তারে

দিছে গলায় মালা।

 

মেয়ের কথা একটা শুধু

বউ পিটান জামাই চাই না

জামাইর কথা কেন পিটাবো

আমি তো আর মদ খাই না।

 

মদ খাও না, ঘুষ কি খাও?

ডাইনে বায়ে রোজ কি চাও?

মন্দ পাড়া, তাও কি যাও?

সুযোগ পেলে ফাও কি খাও?

 

তওবা তওবা কি যে কন

মন্দ কাজে দেই না মন

শরিয়ত যা পাপ কয়

আমি তারে পাই ভয়।

মন্দ সাথে চলি না

মিথ্যা কথা বলি না।

 

আন্ধার রাইতে সবই কালা

আপনি বড় মানুষ ভালা।

লেংড়া কানা দোষ তো নাই

আমার শুধু মানুষ চাই।

১০/৫/২০১৮;  সকাল ৯ টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১০৪

কেঁদে কোন লাভ নেই

ঝরার ফুলটা ঝরে গেছে কেঁদে কোন লাভ নেই

কেউ যদি ভাব ছিন্ন করে তার সাথেও ভাব নেই।

 

সময় হলে ঝরবে ফুল

মানুষ হলে করবে ভুল

ভুলটাই আবার ফুল হবে সত্যি এমন খাব নেই

মিথ্যে আশায় সময় নষ্ট করে কোন লাভ নেই।

 

ফুল ঝরলে ফুটবে ফুল

তওবা করো করলে ভুল

ফুল বাগানে পানি দাও যাতে নতুন ফুল ফোটে

পুরাণ রবি হারিয়ে যায়, নতুন রবি রোজ ওঠে।

 

তাপ ছাড়াতো কোন কালেই হয় না কোন রান্না

হীরা মোতি পান্নাও হয় না, যতোই করো কান্না।

২৮/৪/২০১৮; রাত ৮:৫০ মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১০৫

মায়ের কান্না

ঈদ আনন্দ, ঈদ আনন্দ, আনন্দ কই বলো

ঈদের দিনে মাগো কেনো চক্ষু ছলোছলো।

ঈদের দিনে হাসতে তুমি

পরকে ভালবাসতে তুমি

অ মা, কেন কাঁদছো তুমি আমায় খুলে বলো।

মজার মজার ফিরনি পায়েশ রাঁধবে মাগো চলো।

 

মায়ের কান্না থামে নাতো, আরো বেড়ে চলে

কাঁদতে কাঁদতে মা আমাকে মনের কথা বলে।

তোর এক ভাই গুম হয়েছে,

আরো এক ভাই খুন হয়েছে

এ অবস্থায় আমার কি বল আমোদ করা চলে?

কান্নাও যে আসে না আর আটকে থাকে গলে।

 

আমার মতো লক্ষ মায়ের কলিজার ধন ছেলে

আজকে ওরা মা বাপ হারা

আছে কঠিন জেলে।

তারপরেও ঈদ আসে

মায়ের কি কও নিঁদ আসে?

ঈদের দিনে দুঃখ রাঁধি ফিরনী পায়েশ ফেলে।

 

আমার মুখে হাসি তো চাস, চাস আনন্দ খুশী

মা শুধু চায় বুকের ধনকে বুকে রাখতে পুষি।

যা তবে সব জেলের তালা ভাঙতে

আগুন রঙে দেশটা আবার রাঙতে

মনে রাখিস রাজবন্দী নয় খুনের দোষে দোষী

রাজবন্দীরা জেলেই যায়, যায় না আন্দালুসি।

১৫/৫/২০১৮;  রাত ৮ টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১০৬

বাপের বেটা

যদি বাপের পোলা হই

খাল পার হয়ে তবে কই

তরকারিতে নুন নাই

তোরও কোন গুণ নাই।

 

আমার সাহস দেখেশুনে

পাড়ার লোকে কয়

বাপের বেটা দেখলি নি

পায় না বউরে ভয়।

 

আমি এমন বেডা

বউ ধরলে টেডা

দেখ পেছনে কেডা

বলে দৌড় দেই

হারাই বুদ্ধির খেই।

 

আমার গাঁয়ে সবচে সাহস

আমারই

বাকিরাতো ভয়ের বড়

খামারী।

 

গাঁয়ের মানুষ বাঘে খায়

বোকা মানুষ রাগে খায়

নেতা ধরে আগে খায়

তারপর যারে বাগে পায়।

১৫/৫/২০১৮;  রাত ১০:৩০ মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১০৭

লোভের গুড়

ওরে আমার নাতি

কত্তো রকম খেলা আছে

কত্তো মাতামাতি।

সে সব রেখে বায়না ধরলি

কিনবি বড় হাতি।

 

কৃষকের পুত রাজা হবি

হঠাৎ রাতারাতি।

এইটা কি তোর স্বপ্ন দেখা

ভানুর তেলেসমাতি।

 

নাতি

হাতি হইলে রাজা হয় না

লাগে অস্ত্রপাতি।

গুন্ডা লাগে হুন্ডা লাগে

লাগে বুকের ছাতি।

 

জেল জুলুমও সওয়া লাগে

মিছা কথা কওয়া লাগে

ঘাট অঘাটে বওয়া লাগে

ধুরন্ধরও হওয়া লাগে।

 

নাতি

রাজা হওয়ার চেয়ে ভাল

রসুলপুরের তাঁতি।

আরামে সব ঘুমাতে পারে

নিভিয়ে রাতের বাতি।

 

রাজার মনে ভয়

কখন যে কী হয়!

রাজ্য চালান নয়তো নাতি

খেলা চড়ুইভাতি।

একার ভুলে কষ্ট পায়

পুরো দেশ ও জাতি।

 

নাতি

মনে পড়ে গাছে থেকে

গাব পেড়ে তুই খাতি

তরে না হয় কিনে দিবো

পাকা গাব দুই পাতি।

 

হাতি কিনতে যাস না তুই

তবু ঝিনাইগাতি

লোভের গুড় পিঁপড়া খায়

খায় না আমার নাতি।

১৬/৫/২০১৮;  দুপুর ১টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১০৮

আমার পড়া

ঘুমকে বলি, যা না বাবা

আমার অনেক পড়া আছে।

 

তাই বলে কি পালিয়ে যাবো

থাকবো না আর তোমার কাছে?

 

যতোই ওকে বারণ করি

আমার কথা শোনে না

ঘুম তাড়াবার ছোট্ট চারা

একটাও সে বোনে না।

 

ঘুমটা এসে আরাম করে

বসে চোখের পাতাতে

কি লিখতে যে কি লিখি

ঝাপসা দেখি খাতাতে।

 

যতোই বলি পালা পালা

ততোই চেপে বসে

টেরই পাই না কোন ফাঁকে যে

কলম পড়ে খসে।

 

স্বপ্নে আমি গাছে বসে

আম জাম পেড়ে খাই

মা তো ভাবে লিখছি আমি

দুধ এনে দেয় তাই।

১৬/৫/২০১৮; বিকাল ৬ টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১০৯

আমাদের মাইনকা

মাইনকারে তুই কই যাস

তুই কি মাইনকা দই খাস?

 

না মামা আমি খাই না দই

আমিতো খাই পড়ার বই।

 

পড়ার বই খাস মানে কি?

লোকজন এসব জানে কি?

 

বই খাই মানে পড়া গিলি

না পারলে যাই হাঁটতে হিলি।

 

হিলি খাবেন খিলি পান

দেখবেন অনেক মজা পান।

 

পানের মাঝে জর্দা নাই

লোকের চোখে পর্দা নাই।

 

পর্দা পাবি মর্দা কই

নিজের গালে চড় দা কই।

১৭/৫/২০১৮;  রাত ১২:৪৫ মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১১০

পীর নয় বীর চাই

পথে ঘাটে পীর আছে

ঘরে ঘরে ক্ষীর আছে।

আলীশান নীড় আছে

দরবারেও ভীড় আছে।

 

পীর বাবা ক্ষীর খায়

মুরিদেরা ধীর পায়

যেন মুসাফির যায়

শেখ সৈয়দ মীর যায়।

 

ইসলাম বীর চায়

পীর নয় শির চায়

ময়দানে ধীর চায়

সাহসের তীর চায়।

 

পীর আছে ভুরি ভুরি

বীর নেই এক কুড়ি

তীর নেই হাতে

তাই অধপাতে।

 

পীর নয় বীর চাই

আরো কিছু শির চাই

ময়দানে তীর চাই

সাহসের বীর চাই।

১৮/৫/২০১৮

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১১১

দরকারে মার দেও দরকারে তেল

নিম গাছে ডিম পাড়ে মায়া হরিণে

যে যে সেই ডিম চাস গাছে চড়ি নে।

 

বাঘে রাগে ডিম পাড়ে শেয়ালের গর্তে

তুমি সেই ডিম চাও? পাবে এক শর্তে।

 

ধুর মিয়া নূর মিয়া গুল মারা ছাড়ো

বাঘ হরিণ ছাও দেয় ডিম নাই কারো।

 

যেই দেশে ভোট ছাড়া গনতন্ত্র হয়

সেই দেশে বাঘেরও তাজা ডিম হয়।

 

যেই দেশে বিনা ভোটে এমপির জয়

সেই দেশে হরিণের ডিম কেন নয়?

 

আগে যারা ছাও দিত এখন দেবে ডিম

কাগজ খাবে ছাগলে পুরো তিন রীম।

 

আগে যারা খাও নাই মিঠা মিঠা কিল

এইবার পুলিশেরে দিয়ে দেখো ঢিল।

 

সাদা গাড়ি নিয়ে যাবে সীমাহীন সীমানায়

তুমি বীর তোমার পালানো কী মানায়?

 

তুমি ভাবো অংকে আমি খুব কাঁচা

অংকতে শুধু ভালো এরশাদ চাচা।

 

তাঁর সাথে বসে বসে সাপলুডু খেলো

দরকারে মার দেও দরকারে তেলও।

১৮/৫/২০১৮;  ০:১৫ মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১১২

গুণ করে জগতজয়

নয়নতারা, সরে দাঁড়া

কত মানুষ যাচ্ছে মারা

খুনীরা সব পাগলপারা

মানুষ নামের পশু তারা।

 

সূর্যমুখী জনম দুঃখী

রোদে পুড়িস তুই

মাটির মায়া মেঘের ছায়া

তোকে বাঁচায় ভুঁই।

সূর্যকে বল, আলে দাও

সবাইকে রোজ ভালো দাও।

 

জুঁইকে দেখে পুঁই বলে

তুই থাক সখী ফুলদলে

তোর সে ফুলের সুবাসে

দুঃখী জনের মন হাসে।

মানুষগুলো সুখী হয়

গুণই করে জগতজয়।

১৯/৫/২০১৮;  দুপুর ২টা

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১১৩

এমন দেশে থাহি

এমন দেশে থাহি বাজান

কওয়ার কিছু নাই

কইতে গেলে পথেঘাটে

লাঠিপেটা খাই।

 

বাসের ভাড়া বাড়তে থাকে

আগুন সারা বাজারে

বাপের বেটা থাকলে দেশে

কইতো এসব রাজারে।

 

কিন্তু এমন দেশে থাকি

বাপের বেটা নাই

ডান্ডা দেখে ঠান্ডা সবাই

জ্বি হুজুরের ভাই।

১৯ /৫/২০১৮

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১১৪

আপনি বড় রোজাদার

আপনি বড় রোজাদার

আপনি বড় পরহেজগার।

সংযমের মাস পালন করেন

আপনার প্রিয় রমাদান।

 

সংযমের মাস জানেন তবু

বেশী করে ইফতার খান

গরীবের যে অভাব আছে

তাদের কথা ভুলেই যান।

 

আপনি বড় রোজাদার

আপনি বড় পরহেজগার।

সংযমের মাস পালন করেন

আপনার প্রিয় রমাদান।

 

এই রমজানের ব্যবসার টাকায়

আরো একটা বাড়ি চান

জাকাত দেয়ার শাড়ি কিনে

দানবীরও সাজতে চান।

 

আপনি বড় রোজাদার

আপনি বড় পরহেজগার।

সংযমের মাস পালন করেন

আপনার প্রিয় রমাদান।

 

রোজার শেষে আসবে ঈদ

বউয়ের জন্য শাড়ি চান

জামা জুতো কিনতে হবে

আবদার ধরছে পোলাপান।

 

আপনি বড় রোজাদার

আপনি বড় পরহেজগার।

সংযমের মাস পালন করেন

আপনার প্রিয় রমাদান।

 

ঈদের বাজার করার জন্য

তাইতো আপনি বিদেশ যান

সংযমের মাস পালন করেন

আপনার প্রিয় রমাদান।

১৯/৫/২০১৮;  রাত ৯:২৮ মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১১৫

হাজী সাবের দানের হাত

হাজী সাবের দানের হাত

মস্ত বড় ভালো

মসজিদে রোজ ইফতারী দেন

শীতে বিলান শালও।

 

হাজী সাবের তিনটি বোন

হজে যাওয়ার আগে

তিন বোনকেই বলেন, শোন

তোদের দোয়া লাগে।

 

খোদার ঘরে যাওয়ার আগে

নতুন শাড়ি দিলাম

মনে রাখিস আমি তোদের

আপন ভাই-ই ছিলাম।

 

আপন বলতে তোরাই আছিস

আমার কথা শোন

আমারে আর দাবীর তলে

রাখিস নারে বোন।

 

বাপের জমিন তোরা নিবি

পরের পুতে খাবে

তোরাই বল এটা কি খুব

ভাল দেখা যাবে?

 

তারচেয়ে ধর এই টাকাটা

দলীলে দে সই

জামাই নিয়ে বেড়াবি আয়

মিলেমিশে রই।

 

হাজী সাহেব ব্যস্ত এখন

দান খয়রাতে ভাই

বোন ভাগনের খবর নেবে

সময় যে তার নাই।

 

আত্মীয়দের হক মেরে খায়

পরহেজগারও রয়

কে বলে ওদের পরহেজগার

ওরাই জালিম হয়।

 

এই রমজানে আপন যারা

তাদের খবর নাও

পাওনা যারা তাদের হক

দাও বুঝিয়ে দাও।

২০/৫/২০১৮;  ১০:১৫ মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১১৬

সুত্রাপুরের সুত্রধর

সুত্রাপুরের সুত্রধর

বলল নতুন সূত্র ধর।

আল্লা-হরি বাদ দিয়ে তুই

নেতা নেত্রীর তসবি কর।

 

নেতা আদি নেতা অন্ত

নেত্রী সবার সার

জয় নেতাজি বলে বলে

জীবন কররে পার।

 

নইলে মরবি ক্রসফায়ারে

নইলে হবি গুম

বুলেট বাবা তোর কপালে

নইলে আঁকবে চুম।

 

সুত্রাপুরের সুত্রধর

তার বুদ্ধি রপ্ত কর।

২০/৫/২০১৬

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১১৭

চারদিকে চকচকে

চারদিকে মৃত্যু, চারদিকে ফাঁসি

চারদিকে আহাজরি, ধর্ষণ।

চারদিকে অশ্রুর ঢল রাশিরাশি

চারদিকে মানুষের অসহ্য ক্রন্দন।

 

চারদিকে সন্ত্রাস, গুম খুন হত্যা

চারদিকে দজ্জাল, চারদিকে খুনী

চারদিকে জালিমের ভীতি সন্ত্রাস

চারদিকে হতভাগা সাগর-রুনী।

 

মানবতা মার খায়, দানবতা হাসে

এ বাতাস ভারী হয় বিষ নিঃশ্বাসে

চারদিকে পিশাচের বাজে প্রেতহাসি

বাংলায় হাঁটে যম, গুম, খুন, ফাঁসি।

 

পথে ঘাটে, হাটে মাঠে, মৃত্যু- মিছিল

কারো মনে সুখ নেই  আজ একতিল।

২১/৬/২০১৮

আসাদ বিন হাফিজ -১১১৮

হতাম যদি থাকে

মল্লিক ভাইয়ের মত যদি হাজার গুণের পাখি

হতাম তবে সুরে সুরে না হয় যেতাম ডাকি।

লিখার শক্তি দিলেন আল্লাহ গাওয়ার শক্তি নয়

তাইতো গানে দেই না সুর, ও কাজ আমার নয়।

যারা পারো গাও না শুনে ভিজুক আমার আঁখি।

 

হামদ লিখেছি, নাত লিখেছি, লিখেছি কত গান

গান শুনলে হায় উথলে ওঠে আমার হৃদয় প্রাণ।

প্রভু তুমি রহীম রহমান, অপার অসীম দয়াময়

চোখ দিলা গো দেখতে প্রভুশুনতে কর্ণদ্বয়।

 

কিন্তু গানের সুর ও গাওয়ার শক্তি আমার নাই

দাও মিলিয়ে আমায় তুমি তেমন গুণের ভাই।

লিখতে পারি কাব্য কথা বুকের দরদ মাখি

দরাজকন্ঠে বলবে সে সব কোথায় তেমন পাখি।

 

তুমি দাও না এই মিছিলের অভাব করে দূর

দাওগো মালিক শিল্পীর কন্ঠে সুর সে সুমধুর।

দরাজকন্ঠের শিল্পী দাও, দাও বাঘের সে হুংকার

যেই হুংকারে মুর্ছা যাবে ভীরু বাতিল বারংবার।

২২/৫/২০১৮;  দুপুর ১২ টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১১৯

চোখ থাকিতে অন্ধ কে

চোখ থাকিতে কও তো দেখি অন্ধ কে?

নিজের বিবেক যে রাখে ভাই বন্ধকে।

 

চোখ থাকিতে কও তো দেখি অন্ধ কে?

মনের ভেতর যে পোষে ভাই দ্বন্দ্বকে।

 

চোখ থাকিতে কও তো দেখি অন্ধ কে?

জেনেশুনে যে পড়ে ভাই খন্দকে।

 

চোখ থাকিতে কও তো দেখি অন্ধ কে?

ভালবাসে যে জন ময়লা গন্ধকে।

 

চোখ থাকিতে কও তো দেখি অন্ধ কে?

বাসে না যে ভালো সুর ও ছন্দকে।

 

চোখ থাকিতে কও তো দেখি অন্ধ কে?

জীবন থেকে তাড়ায় না যে মন্দকে।

২২/৫/২০১৮

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১২০

গাধা প্রিয়

হীরালালে বললো এসে শোন শোন, দাদা

দুইটা পশুর একটা পাবে ঘোড়া কিংবা গাধা।

আমি পাবো অর্ধেক আর তুমি পাবে আধা

দুইটা পশুই সুন্দর খুব, ধবধবে সব সাদা।

 

তুই নাতি ক কোনটা নিবিতুই যে মানুষ ছোট

তুই নেয়ার পর যেটা থাকবে ঢুকবে আমার কোট।

 

আমায় বললে আমি দাদা গাধাই নিতে চাই

ঘোড়া হলো বিটকেল প্রাণী আমার দরকার নাই।

 

কেন কেন?

ঘোড়া কত দামী প্রাণী সেইটা কি তুই জানিস?

গাধা খুবই তুচ্ছ প্রাণী সেইটা কি তুই মানিস?

 

দাদা

তুমি আচ্ছা হাদা।

যতই বোঝা দাও কখনো রাগ করেনা গাধা।

ঘোড়ার যত খাবার লাগে গাধার লাগে না

গালি পিটান যা-ই দাও, গাধা রাগে না।

 

সব নেতাদের তাইতো গাধা এত্তো বেশী প্রিয়

দুটে টাকা হলেই বলে গাধা আমায় দিয়ো।

হালও চষে গাধা দিয়ে, বোঝাও বয় গাধা

অফিসের সে কাজও করে খুশীও থাকে রাধা।

 

ঘোড়া কভু রাধা ভয়ে চড়তে পারে না

যুদ্ধ মাঠে গাধাওতো লড়তে পারে না।

বারে বারে হেরেও বাবু কারণ যদি না বুঝে

জয়ের সরল পথ বাবুকে দেবে বলো কে খুঁজে।

 

তোমার মতো আমি দাদা লড়াই করি না

তাইতো আমি গাধা চাই ঘোড়া ধরি না।

২২/৫/২০১৮;  রাত ৭:৪০ মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১২১

তেলের জয়

তেলের গাড়ি আগে চলে

জলের গাড়ি পিছে

তেলের সাথে পাল্লা দিয়ে

জেতার আশা মিছে।

 

তেলের গাড়ি পাহাড় নদী

সাগর মানে না

তেলের গাড়ি তেলেই ভাসে

থামতে জানে না।

 

যে অফিসের বস হও তুমি

যে দলের হও নেতা

তেলের ওপর নির্ভর করে

হারা এবং জেতা।

 

কাজ পারো না, পরোয়া নেই

তেলের ড্রামতো আছে

জ্বী হুজুরের নেক নজর তো

থাকবে তোমার কাছে।

 

যোগ্যতা আর ডিগ্রি ফিগ্রি

তেলের কাছে নস্যি

তেলের সাথে কেউ পারে না

তেলই সেরা দস্যি।

 

নীতি এবং নৈতিকতা

তেলের কাছে হারে

এক কেজিতে না কুলোলে

এক মণ তা পারে।

 

এমন কোন কাজ নাই যা

তেলে পারে না

যুক্তি বুদ্ধি সবাই হারে

তেলতো হারে না।

 

চারদিকে তুই দেখ তাকিয়ে

সবখানেই তো তেলের জয়

সেই তেলেরই জয়ের ধ্বনি

শুনতে কি পাস বিশ্বময়?

২২/৫/২০১৮;  রাত ৯:৩০ মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১২২

জুঁই

জুঁই

কেমন আছিস তুই?

ইচ্ছে করে আদর করে

তোকে একটু ছুঁই।

 

জুঁই

আতর ঘরে থাকিস নাতো

থাকিস তুইও ভুঁই

তোর পাশেই তো বসত করে

রঙ্গিলা দি পুঁই।

সে তো কোন সুবাস পায় না

কেমনে রে পাস তুই?

জুঁই।

 

জুই

তুই পাঠাবি সুবাস তাই

জানলা খুলে শুই।

চুপিচুপি এসে বলিস

শোন না বাবু তুই

কোথায় পাবে এমন সুবাস

ভিজে মাটির ভুঁই।

সুবাস সেতো বেহেশতি ঘ্রাণ

তোর কাছে তা থুই।

 

জুঁই

তুই আছিস তাই ঘুমকে বলি

আয় না পরে তুই

যিনি দিলেন এমন সুবাস

তাঁর কাছে আয় নুই।

ঘৃণার বদল সবার বুকে

আয় না সুবাস রুই।

জুঁই।

২৩/৫/২০১৮; রাত ৭:৪৫ মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১২৩

ভয়ের পুত

ছি ছি!

একি করলো ইসি?

বালু দিয়ে ঘর বানাতাম

আগে মিছামিছি।

ভোটের খেলা তারচে মজার

প্রমাণ করলো ইসি।

 

আমার ভোটতো দিলোই দিলো

মরা বউয়ের ভোটও দিলো

জায়গামত নোটও দিলো

দীলের মাঝে চোটও দিলো।

 

দশ হুন্ডা বিশ গুন্ডা দিলো

গুন্ডার হাতে পিস্তল দিলো

বলল, দাদা ভাই

বুড়া হইছো ঘরেই থাকো

ভয় পেয়েছো? মারবো নাকো।

বুথে মরা গাই।

যাই সরাইগে যাই।

 

শোন,

কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভূতের ছাও?

ভোটারের চে ভোট নইলে

কেন্দ্রে কেমনে বেশী পাও?

 

ভৌতিক ভোটের বাড়ি কই?

পাবলিক বুঝে সমস্তই।

 

ছি ছি

একি করলা ইসি?

খুনের সাক্ষী রাখতে নাই

এই প্রবাদ কি শোন নাই?

 

অত কথা মনে নাই

আরেক বোতল তাড়ি খাই।

তারপরে দেই ঘোষণা

তুমি আঙুল চোষণা।

 

হাচা কথা মরে না

বাতাসে তা ঝরে না।

দুদিন বাদে ভেসে ওঠে ভূত।

বলে, জানিস আমি ভয়ের পুত।

২৪/৫/২০১৮;  রাত ১২:১০ মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১২৪

মনপাখি

মনপাখি উড়ে যায়

দূর নীল আকাশে

কে না জানে উড়াতে

অতিশয় পাকা সে।

 

ক্ষমতার দাপটে তো

হয় না সে বন্দী,

চিরকাল দেখা গেছে

সে অপ্রতিদ্বন্দী।

 

দেহ যদি কারাগারে

মন থাকে বনে,

জিতেনি তো কেউ সেই

মন বাঁধা রণে।

 

ভালবাসা দিয়ে মন

জয় করা যায়

জালিমেরা ভালবাসা

তবু ভয় পায়।

২৪/৫/২০১৮;  রাত ১:০০ টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১২৫

বাতাসের লেখা

ছড়া হলে মজা করে পড়া যায়

ছড়া দিয়ে দেশটাকে গড়া যায়।

শাসকের টুটি চেপে ধরা যায়

ছড়া দিয়ে কত কাজ করা যায়।

 

ছড়া হলে মজা করে পড়া যায়

সাহসের সাথে আরো লড়া যায়

দুর্নীতিবাজ জালে ধরা যায়

ধর্ষকও নারী হাতে মরা যায়।

 

ছড়া হলে লাফ দিয়ে

নদী জলে পড়া যায়

ছড়া দেখে কেউ কেউ

কভু ডালবড়া খায়।

 

ছড়া দিয়ে রাজপথে

মিছিলও করা যায়

আসাদের মত বুক

উঁচু করে মরা যায়।

 

ছড়া দিয়ে কত কাজ করা যায়

বাতাসের লেখাগুলো পড়া যায়।

২৬/৫/২০১৮;  সকাল ৫ টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১২৬

কদমতলীর কদম আলী

কদমতলীর কদম আলীর

কপাল ভালো না

কথায় কথায় কয় সে কথা

আগুন জ্বালো না।

 

আল্লাহর দেয়া কদম তার

দুইটা ছিল সঙ্গে

কদম আলীর কদম দুইটা

নাইরে এখন অঙ্গে।

 

কপাল ভালো কালো চশমা

ক্বলবে গুলি করে নাই

হুশ আসলে কদম দেখে

এখনো সে মরে নাই।

 

কালো জুব্বা কালো পাগড়ি

কয় কদম তুই বাড়ি যা

না মেরে তোর জীবন দিলাম

বাকি কয়দিন ভিক্ষা খা।

 

ক্রসফায়ারে মারলাম না

মাটির নিচে গাড়লাম না

আমিও ধর হারলাম না

আবার তোকে ছাড়লাম না।

 

কদমতলীর কদম আলী

নামেইতো তোর কদম আছে

হাটুর নিচের কদম দুইটা

থাকনা বাঁধা কদম গাছে।

 

কদম আলীর কদম থাকে

কদম গাছের ডালে

কদমতলীর বীর পুরুষ সব

থাকে ঘরের চালে।

২৭/৫/২০১৮; দুপুর ১২:১৫ মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১২৭

সংযম ছাড়া রোজা নাই

খুবতো তুমি পরহেজগার

মস্তবড় রোজাদার

সংযম মানে জানো?

প্রতিদিনই  মজার মজার

ইফতারী তাও আনো?

 

ফলফ্রুট চাই, হালিমও চাই

চাই খানদানী ইফতারী

সারাদিনের রোজা শেষে

শরবতও চাই, বিফ কারি।

 

সিয়াম হলো সংযমের মাস

সংযম করবো আমি

রসনা বোঝাই অঢেল খাবার

খায় কি জাহান্নামী?

 

রোজা এলেই খাবার দাবার

আহা সেকি ধুম পড়ে

সংযমের মাস জেনেও তুমি

হামলে পড়ো হুম করে।

 

সারাদিনই সংযম করো

ইফতারীতে যায় ভেসে

তাইতো রোজার ফজিলতও

যায় পালিয়ে ভাই হেসে।

 

সব রোজাই হয় না রোজা

সংযম ছাড়া রোজা নাই

ইফতার কেনার পাল্লা দিয়ে

কেমনে আমরা রোজা চাই?

 

রোজা থাকো রোজার মত

সংযমী হও অবিরত।

২৮/৫/২০১৮;  ৫:১০ মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১২৮

আল্লাহ নবী সার

ওরে রোজাদার

হোসনে গোনাহগার

কোন সাহসে যাসরে তুই

পীরেরই দরবার।

 

তোরই প্রভু তোরে দিলেন

কোরান উপহার

কোরান তোরে পথ দেখাবে

জীবনে চলার।

তুই পড়িস না ফান্দে মুমীন

বাহাত্তুর ফেরকার।

 

তাঁর হুকুমের বাইরে তুই

চলিস নারে আর

আল্লাহ ছাড়া নাই মোমিনের

কোনই মদদগার।

 

ওরে রোজাদার

পাপের পথ তুই ছাড়।

পীর আউলিয়া পারবে নাতো

করতে তোরে পার।

শাফায়াতের অধিকারতো

নবী মোস্তফার।

 

অন্য কারো শাফায়াতের

নাইরে অধিকার

ইহ পরকালে শুধু

আল্লাহ নবী সার।

২৮/৫/২০১৮;  ৭:৩০ মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১২৯

টাসকি খাইলাম

রোজা এলেই জমকালো সব

ইফতার পার্টি হয়

বড় বড় ইসলামিস্টরা

সেই সভাতে কয়।

 

রোজা হল সংযমের মাস

করো খোদার ভয়

আপনি যখন বুফে চালান

ভয়টা কোথায় রয়?

 

প্লেট ভরেতো ইফতারী লন

প্রায় অর্ধেকই খান

বাকিটুকু প্লেটে রেখেই

নামায পড়তে যান।

 

কত মানুষ ইফতার দূরে

সেহরী খেতে পায় না

পাঁচতারাতে যাবার জন্য

আপনার থাকে বায়না।

 

সংযমকারী জান্নাত পাবে

আপনি পাবেন কি

আপনিতো খান বোরহানী

আর বিরানীতে ঘি।

 

আপনার কথায় সংযম করে

আমি মজা পাইলাম

আপনার খাওয়ার বহর দেখে

জবর টাসকি খাইলাম।

 

ইফতার পার্টির বহর কমান

ইফতার করেন বাড়িতে

পাড়াপড়শির ইফতার বানান

হুজুর নিজের হাঁড়িতে।

২৮/৫/২০১৮ রাত ১১ টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১২৩০

ভোরের রোদ

যে ছড়াটা লিখতে চাই সে ছড়াটা

কই গেলো, কই গেলো

লিখতে বসলেই মন বলে হায়

এই এলো ভাই এই এলো।

 

কলমটা তো এতোক্ষণ ভাই

কানেই ছিল গোঁজা

তাকে এনে খাতার ওপর

বসিয়ে দিলাম সোজা।

 

বললাম, সোনা হাঁটো হাঁটো

হেঁটে তুমি হও ছড়া

যে ছড়াটার চোখ থাকবে

মাথা গোবর ভরা।

 

যেই ছড়াটা লিখবো ভাবি

সেই ছড়াটা আসে না

কদম গাছের ডালে বসে

সেই ছড়াটা হাসে না।

 

সেই ছড়াটা মনের ভেতর

খুঁজতে গেলাম যেই

দেখি ভোরের রোদ উঠেছে

রাতের আঁধার নেই।

২৪/৬/২০১৮;  ১১:৫৫ মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১৩১

চাপাবাজরা

জোয়ান কালের ত্যাড়া কথা অনেক কষ্টে শুনছি

সব কথাই তো একা একা

বুকের ভেতর বুনছি।

ত্যাড়া কথার জ্বালাতে

মন চায় আমার পালাতে

কই পালাবো? জায়গা নাই, মরনের দিন গুনছি।

 

ত্যাড়া কথা ভালা না

সবাই তোমার শালা না

তোমার ত্যাড়া কথা তারা

শুনবে কেনো বলো

ঠোঁট দুটোকে করছো সেলাই, ভাল, তবে চলো।

 

কই যামুরে জানের জান

আয় বসে খাই খিলি পান

এখন কি আর আগের মত

শক্ত কথা কই।

তা কইবেন ক্যান, চুন দেখিয়ে বলেন খা রে দই।

 

সরকারকে কন নানান কথা, সরকার মানে রাজা

রাজার থাকে বিশাল মন,

দেয় না বুঝলাম সাজা।

আপনার মত চুনোপুটির

ধার সে ধারে না

চাপাবাজরা কথাই বলে

কাজে বাড়ে না

কোমরে জোর থাকতো যদি ভেঙে দিত মাজা।

 

তাইতো এবার দুইডা কথা বিরোধীরে কইলাম।

কাঁচা ঘায়ে নুনের ছিটা

ধরতে পারলে দেবে পিটা

কী যে ঘটে দেখার জন্য না হয় দুইদিন রইলাম।

 

চিরকালই হুজুরে খায়, খাসি মুরগীর রান

সেই খাবারে তুমি কেনো ঢুকাওরে হাত খান।

তুমি তো মুফতি পীর না

তুরস্কের নয়া বীর না

তবে কেনো হুজুর ক্ষ্যাপাও, যাইতে পারে জান।

 

ধানের গাছে খাট বানাও

ধরে ইঁদুর ছাও আনাও

বিড়াল পায় না গদী তুমি,

ইঁদুর নিয়ে গান বানাও।

 

তওবা তওবা করলাম চুপ

জলদি ডাব দে দেবো ডুব।

৩০/৫/২০১৮;  রাত ১:৪৫ মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১৩২

স্বৈরাচারের চুমা

এই পৃথিবীর মানুষগুলো

রইলো আজো বোকা

প্রেম যে কোথা তাও জানেনা

খায় যে কেবল ধোঁকা।

 

দানব কি দেয় প্রেম কখনো

প্রেম কি চিনে হায়না?

অথচ তোমরা তাদের কাছেই

করো প্রেমের বায়না।

 

মানুষ মারার অস্ত্র বানায়

যারা প্রতিদিন

তাদের কাছে কেমনে পাবে

মানব প্রেমের চিন?

 

ঘরের কোণে সাপ দেখলে

ভয়ে কি ঘুম আসে?

সাপ না মেরে তুমি কি যাও

খাটের আশেপাশে?

 

অস্ত্রবাজদের জ্যান্ত রেখে

কেমনে মানুষ ঘুমায়?

দেশে দেশে মরে মানুষ

স্বৈরাচারের চুমায়।

 

সাপ চিনে না রাজা উজির

আজরাইলও তাই

অমানুষের ধরবে টুটি

কোথায় মানুষ পাই।

 

তিনশো তেরো মানুষ হলেই

পালিয়ে যেতো ভয়

মক্কা জয়ের মধ্য দিয়ে

হতো প্রেমের জয়।

৩০/৫/২০১৮; রাত ৮:৩০ মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১৩৩

প্রেমকে যারা চাও

প্রেমের জন্য মানুষ পাগল

তোমার মনে কষ্ট

তুমি আজও প্রেমের খনি

পাওনি যে তা পষ্ট।

 

প্রেম পেতে চাও? পাখি নদী

ফুলের কাছে যাও

প্রেমের সাগর কোথায় আছে

তারও খবর নাও।

 

প্রেমের রাজা ছিলেন যিনি

ফুলকে ভাল বাসতেন

পথের কোণে দেখলে শিশু

তাদের সঙ্গে হাসতেন।

 

তিনি হলেন প্রেমের রাজা

কোরান প্রেমের ফুল

প্রভুর দেয়া শেষ উপহার

আখেরী রাসূল।

 

প্রেম বিলাতেন অকাতরে

শত্রু এবং মিত্রকে

কেউ দেখেনি আর কখনো

এমন প্রেমের চিত্রকে।

 

এসো এসো সবাই এসো

প্রেমকে যারা চাও

কোরান এবং হাদীস থেকে

প্রেমের সবক নাও।

৩১/৫/২০১৮; ১১:৩০ মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১৩৪

লাভের কিচ্ছা

ভালবাসো ইসলাম তুমি

ভালোবাসো নবী

ভালবাসো আল্লাহ রসূল

কোরান কিতাব সবি।

 

ভালবাসো সালাত সিয়াম

মানে নামাজ রোজা

বেহেশত যাবার পথও খোঁজ

সহজ সরল সোজা।

 

রোজা মানে সংযমের মাস

খালি ওয়াজ শোন

এক অক্ষরে দশটা নেকী

বসে বসে গোণ।

 

এবার ঈদে জমকালো ড্রেস

আত্মীয়রে বিলাও

সংযম কিছু হইলো কী না

নিজের হিসাব মিলাও।

 

তুমিই পরবা সেরা জামা

সংযম রইলো কই

লাভ কি বলো পড়ে তবে

কোরান হাদিস বই?

৩১/৫/২০১৮;  ১:৫০ মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১৩৫

সাবাস বাংলাদেশ

ভোটের খেলা জোটের খেলা

নোটের খেলা ঠোঁটের খেলা

চলছে খেলা বেশ

সাবাস বাংলাদেশ।

 

সাবাস বাংলাদেশ

চলছে গুমের রেশ

চলছে জুলুম ডান্ডা

দেশটা কেমন ঠান্ডা।

 

ঠান্ডা দেশে আন্ডা পাড়ে শান্তি এবং সুখ

মান্ডা শুধু কাইন্দা মরে ডান্ডা খাওয়া মুখ।

 

জেলের ভেতর জামাত শিবির

খায় দায় ঘুমায় আরামে

বিরোধী দল হচ্ছে বড়

ইন্দ্রজিতের ফারামে।

 

ফারামগুলো আরামদায়ক

কম্বলও দেয় গরমে

কেমনে নাকি ডিমও ঢুকায়

কয় না সেটা শরমে।

 

শরমগুলো নরম নরম

হাঁটে খড়ম পায়

সবার সাথে দেশনেত্রীও

জেলের ভাতই খায়।

 

দেশনেত্রীর পোলাগুলো

আরামে ঘুমায়

নেতাগুলো হোটেল বারে

বরফ পানি খায়।

 

আহা,

বরফ পানি খায় আর

চামচারে ধমকায়

হীরালালে এত খবর

কোথা থেকে পায়?

৩১/৫/২০১৮;  রাত ৮:৩০ মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১৩৬

সদরুদ্দির স্বভাব

সদরুদ্দির

বদ বুদ্ধির

অভার নাই।

ভালো কিছু

করার তার

স্বভাব নাই।

 

বলে মামা

কাউয়ার দেশে

অভাব নাই।

কাউয়ার হাতে

পড়লে মামা

জবাব নাই।

 

চলো মামা

হাটে গিয়ে

কবাব খাই।

ধুর ভাগনে

কবাব না বল

কাবাব খাই।

 

ঠিকই মামা

তোমার কথার

জাবাব নাই।

জাবাব না বে

ঠিক করে ক

জবাব নাই।

 

দেশে এখন

একটাই নবাব

আরতো কোন

নবাব নাই।

যদিও সে

এতীম এখন

তার তো কোন

ম বাপ নাই।

 

ম বাপ মানে?

হতচ্ছাড়া

ঠিক করে ক

মা বাপ নাই।

৩১/৫/২০১৮;  রাত ১১:৫০ মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১৩৭

বাসন্তির জাল

আমি কি রাজা নি ,

রাজনীতি করবো?

সকলেই কবি বলে,

কবিনীতি ধরবো।

 

পৃথিবীর ছাত্র তাই,

মন দিয়ে পড়বো।

বেঁচে আছি বোঝাতে

মাঝে মাঝে নড়বো।

 

আর কি কি করবো?

পাহাড়েও চড়বো

পুটি মাছ ধরবো

বাতাসের সাথে না হয়

আরো কিছু লড়বো।

 

বালুঘর গড়বো

জল এলে সরবো

বাসন্তি মারা গেছে

তার জাল পরবো।

১/৬/২০১৮; ৪টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১৩৮

শিবির আছে ফুইটা

গোফের ওপর চক্ষু আছে দুইটা

দেখতে পারি ঘাসের নিচে সুইটা

অনেক কিছু দেখতে পারি

সব কথা কি কইতে পারি?

কেমনে বলি সারাদেশে শিবির আছে ফুইটা

কেমনে বলি দুদিন বাদে তাদের হবে ভু্ইটা।

 

তোমরা যারা মারো লাঠি

দেখবে তবু দাঁতের পাটি

কারণ গোফের ওপর চক্ষু দুইটা

অন্তর চক্ষু হারিয়ে গেছে, নয় নিয়েছে লুইটা

মারের ওপর অষুধ নাই

তাই তোমাদের দোষও নাই।

 

গোফের ওপর চক্ষু আছে দুইটা

লীগের পোলার তুলনা নাই, খাক না মগজ খুইটা।

১/৬/২০১৮; ১:৩০ মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১৩৯

যেতেই হবে সেখানে

কে্উ রবে না উপরে

যতই হাটুক স্যু পরে।

 

ঠিকানা তো মাটির তল

যতই দেখাও বাহুর বল।

 

থাকবে না তো রক্ষী সেনা

যারা তোমার গোলাম কেনা।

 

যেতেই হবে সেখানে

যে মানে না সেও জানে।

১/৬/২০১৮; ১০:৩০ মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১৪০

শোকের ঢেউ

প্রতিদিনই আইনের হাতে লোক মরে

স্বজনেরা বসে বসে শোক করে।

মরার কষ্ট তবু পাবলিক ভোগ করে।

দেশের মানুষ দেখে বড় চোখ করে।

 

আইন তো হওয়ার কথা লোকের রক্ষক

তবে কেন প্রতিদিন আইনই হচ্ছে ভক্ষক?

ডিজিটালের মানে যদি উল্টা হয়

তবে তোমায় মানা লোকের ভুলটা হয়।

 

বিচার ছাড়া মানুষ মারে ডাকাতে

তারা থাকে জঙ্গলে তোমরা কেন ঢাকাতে?

যার ট্যাক্সে বেতন নাও তারে মারো গুলিতে

এমন পাগলা বুদ্ধি কেন ঢুকলো তোমার খুলিতে?

 

পিঁপড়া পায়ে কামড় দিলে তারে মারে পারা তে

নিজের চোখে দেখোনি মাকে পুত্র হারাতে?

মা যদি হয় পাগলিনী, পুত্রহারা উন্মাদিনী

ধাক্কা মেরে ফেলতে পারে কালো গাড়ি গাড়াতে।

 

উত্তেজনা বাড়তে পারে তখন সারা পাড়া তে

বটি হাতে মায়ের জাতও পারে রুখে দাঁড়া তে।

তাদের মাঝে থাকতে পারে তোমার ছেলে বউ

লাগতে পারে গুলি তাদের, ছুটতে পারে লৌ।

 

এসব কথা সম্ভাবনার, যায় না দেয়া উড়িয়ে

কয়টা ছেলে চলতে চায় কও পা হারিয়ে খুঁড়িয়ে?

প্রতিদিনই আইনের হাতে তবু কত লোক মরে

অসহায় সব স্বজনেরা তবু রোজই শোক করে।

 

তোমার গায়ে লাগে যদি মরা বাড়ির শোকের ঢেউ

সে শোকে হায় কাঁদবে যে থাকবে নাতো এমন কেউ।

১/৬/২০১৮; ১২:৩০ মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১৪১

মিষ্টি ছেলে ইদ্রিছী

 (আবদুল হাই ইদ্রিছীর জন্ম দিনের শুভেচ্ছা)

দৃষ্টি কাড়া মিষ্টি ছেলের

বৃষ্টি ধোয়া মুখ

দৃষ্টি জুড়ে উড়াল পাড়ে

সৃষ্টি ছাড়া সুখ।

 

সেই ছেলেটার বুকের ভেতর

ছোট্ট একটা মন

একটা মনই হার মানায়

সাত রাজারই ধন।

 

সেই ছেলেটার হাতের কলম

এঁকেবেঁকে চলে

যতোই চলে ততোই সে যে

ভালো হতে বলে।

 

তাঁরই মতো হাজার ছেলে

জাগতো যদি বঙ্গে

ভাগতো যতো পাপ অনাচার

জোসনা হাসতো রঙ্গে।

১/৫/২০১৮

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১৪২

শীশার ছোবল

কাঁদিস না মা কাঁদিস না

আজ না হয় ভাত রাঁধিস না।

 

স্বামী শহীদ মুক্তিযোদ্ধা

ছেলে খাইলো গুলি

ঘটনা কি কওতো মা

আসল কথা খুলি।

 

বাপ গেছিলো কলেজে

ফিরে আসে নাই

কেন গুলি খাইলো, পুলিশ

ধইরা নিছে তাই।

 

অ বুঝেছি, তোমার ছেলে

ঠিকই শিবির করতো

তাইতো বলি জোয়ান ছেলে

কেন নামাজ পড়তো?

 

এই বয়সে ফিল্ডিংমারা

তাস খেলা সব বাদ

বুঝবি তবে শিবির করে

এ যে দুঃসংবাদ।

 

পায়ে খাইছে গুলি ধরো

ক্রসফায়ারে যাবে

আন্ধার রাইতে হিজল তলে

শীশার ছোবল খাবে।

 

স্বামী খাইলো মুক্তিযুদ্ধ

ছেলে খাচ্ছে শিবির

এখন কি যে হাল হবে

এই আছিয়া বিবির।

 

গরীব পোলা মারা যাবে

মাগনা গুলি খাইয়া

আমরা যারা বুদ্ধিমান

দেখবো শুধু চাইয়া।

 

তুই মা আর কান্দিস না

না হয় ভাত রাঁধিস না।

৩/৬/২০১৮;  দুপুর ১ টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১৪৩

বাঘের পিঠে

দুএকটা ভুল হতেই পারে

ভুলে গুলি ছুটতেই পারে

নিরীহ লোক মরতেই পারে

আইনের লোক ধরতেই পারে।

খুবই স্বাভাবিক।

 

বলুন ঠিক ঠিক ঠিক।

বলুন ঠিক ঠিক ঠিক।

বলুন ঠিক ঠিক ঠিক।

 

পাবলিকে ভুল করে না

গোপাটে কেউ মরে না

পাইলে চিপায় ধরে না

তারের পিলার নড়ে না

এটাই স্বাভাবিক।

 

বলুন ঠিক ঠিক ঠিক।

বলুন ঠিক ঠিক ঠিক।

বলুন ঠিক ঠিক ঠিক।

 

পাবলিকেও করলে ভুল

লাভ হবে না ছিঁড়লে চুল

উপড়ে ফেলবে আমার মূল

কোথায় বিচার কোথায় শূল

প্রতি কিলেই বিঁধবে হুল

এটাও স্বাভাবিক।

 

বলুন ঠিক ঠিক ঠিক।

বলুন ঠিক ঠিক ঠিক।

বলুন ঠিক ঠিক ঠিক।

 

এমন বাঘের পিঠে আছি

নামতে পারি না

আমি কি আর এমনি এমনি

গদী ছাড়ি না!

২/৬/২০১৮; বিকাল ৬:০০ টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১৪৪

হীরার ক্যাচাল

তোরা যে যা বলিস ভাই

আমার মনে শান্তি নাই।

স্বাধীনতা পঞ্চাশ ধর ধর

এখনো যে সবই গড়বড়।

 

কে যে নাড়ে কলকাঠি, কী যে সব ঘটে

কখনোবা ঘটা ছাড়াই আজব খবর রটে।

একাত্তুরের রাজাকার, তালিকা কেউ দেখে না

লীগই তাতে বেশী ছিল, সেকথা কেউ লেখে না।

 

অস্ত্র নেয় নাই হাতে জামাত

তবু সে হয় জঙ্গী

উদোড় পিন্ডি ভুদোড় ঘাড়ে

ফাঁসি হয় তার সঙ্গী।

জঙ্গী জঙ্গী রব করে

জামাত দিয়ে জেল ভরে

স্বাধীনতার ঘোষকরেও কইতে শুনি রাজাকার

যে করেছে মুক্তিযুদ্ধ হয় যে দেখি সাজা তার।

 

জঙ্গী জামাত ফাঁসি খায়

বাকীরা সব জেলে যায়।

আবার নড়ে কলকাঠি

রক্তে ভিজে দেশমাটি

জাতীয়তাবাদ গুম হয়

ইলিয়াস আলীর ঘুম হয়।

 

খালেদারকোটের রায় হয়

যে বড় টাকা চোর

কারা যেন খুঁড়তে থাকে গোরস্তানে নতুন গোর।

 

বিএনপি নাই, জামাত নাই

আয়রে এবার লীগও খাই

তারাই নেশার গডফাদার

তারাই মালিক লুট, চাঁদার।

এবার মরে একরামূল

বাঙালি তুই চক্ষু খোল।

 

বিএনপি নাই জামাত নাই লীগও এবার শেষ

কেউ নাই তো কেমনে এবার চলবে তবে দেশ?

 

দেশ চালাবে ভাতারে

ইতিহাসের পাতারে

বলছে এসব গোপনে

বলছে কামান তোপ ও নে।

আমি হীরা বুদ্ধিমান

দে না দুইটা খিলি পান।

২/৬/২০১৮;  রাত ১১:১৫ মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১৪৫

ফাও খাওয়া

আমায় যদি গদিও দাও

গদি আমি নিমু না

লোভের জালে পড়বো ধরা

আমি তো আর লিমু না।

 

বলতে পারো আমায় হিমু

কিন্তু আমি হিমু না

বাটিভরা দুধ না বিষ

জানি না তাই পিমু না।

 

শিল্পী কবি বুদ্ধিজীবী

গদি তারা চায় না

চায় একটু আদর যত্ন

সেটাও তারা পায় না।

 

অনাদর আর অবহেলা

অবজ্ঞাও পায় অঢেল

যদিও তারা মরলে পরে

দেশের সেরা হয় মডেল।

 

লেখার একটু স্বাধীনতা

তাওতো দিতে চাও না

তোমার পক্ষে দালালী চাও

তাও নিতে চাও, ফাও, না?

 

ফাও খাওয়া যে ভালো না

সব জানো তা জানো না?

৩/৬/২০১৮;  রাত ২;১৫ মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১৪৬

ছি কুতকুত

কি কইতে কি কই

ছি কুতকুত ছি কই।

বড় বাড়ির ঝি কই

কোটা খাইবা, ফি কই?

 

ফি এর খবর জানি না

কোটা ফোটা মানি না

কোটা খোদার বাণী না

কারো আপন নানী না।

 

শোন শোন কোটার ছাও

কোটা চলবে বাজার বাও

ভাল লাগলে হাতে নাও

নইলে বসে মূলা খাও।

 

আমি পড়ি মোটা বই

কোটার গাড়ি টা টা কই

মারা টাকার ডাটা কই

কাছে আসো হিসাব লই।

 

কি কইতে যে কি কই

ভোট না পেলেও ভি কই

ভাত না খেয়েও ঘি লই

নাস্তার সাথে টি লই।

 

টি তো খেতাম মাগনা

আমরা মামা ভাগনা

তুমি থাকতা জাগনা

বলতা, না না, রাগ না।

 

কি কইতে যে কি কই

সবই তো আমি কই।

৩/৬/২০১৮;  সকাল ৪:৫০ মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১৪৭

মারামারির খেলা

রজনীতে গ্রেফতার

ভোরবেলা লাশ

তোরা তবু সেই লাশ

কবর দিতে পাস।

 

শিবির জামাত করতো যারা

তারা কাঁদে রোজ

মাস পেরিয়ে বছর যায়

পায়না ছেলের খোঁজ।

 

শিবির যখন মরছে তখন

চুপ ছিলরে জিয়ার দল

গুমে খুনে এখন তারাও

হয়ে গেছে নিঃসম্বল।

 

বাকি ছিল লীগের পোলা

এখন তারাও মরছে

মারামারির এই খেলাটা

বলতো কারা করছে?

৩/৬/২০১৮; ৫:২৫ মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১৪৮

হাসতে মানা

হাসতে মানা সবার জানা

মানুষ পশু বিড়াল ছানা

ফিসফিসিয়ে বলছে নানা

তাও শুনেছে বধির রানা।

 

হাসতে মানা সবার জানা

পেপার পড়ে জানছে কানা

বাজারে যে ঢোল দিয়েছে

সেইটা নাকি বউ শুনেছে।

 

পথিক দেখে ধানের ক্ষেতে

ফড়িং আছে কানটা পেতে

পথিক বলে ফড়িং ভাই

নতুন কোন খবর নাই?

 

খবর আছে জবর খবর

হাসতে মানা শহর নগর

বলছে খবর টিভিতে

হাসলে নেবে ডিবিতে।

 

হাসতে মানা নাটকে

ভাঁড়টা এতো খাট কে

খাচ্ছে মুড়ি বাঁদরে

মুড়ি ঢাকা চাদরে।

 

হাসতে মানা সবার জানা

রাজা দিচ্ছে সবার খানা

নুন ভেজানো সাগুদানা

আরো দিচ্ছে ইকোবানা।

 

নানীর হইছে হাপানী

রানী কয় খা চা পানি

রাণী খায়রে লাল পানি

বুঝলি কিছু তুই কানি?

মাদক ধরার অভিযান

ঘরে বসে আঙুল খান।

৪/৬/২০১৮; দুপুর ১২:৩০ মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১৪৯

আরমান আরমান ডাক পাড়ি

আরমান আরমান ডাক পাড়ি

আরমান গেলো কার বাড়ি।

 

দুধমাখা ভাত কাকে খায়

আরমানরে তুই জলদি আয়।

 

চাঁদ আকাশে হাসে না

আরমান তবু আসে না।

 

ছোট্ট মেয়ে কান্দে

আব্বু গেছে চান্দে।

 

আরমানরে তুই কই গেলি

মা তো কান্দি চোখ মেলি।

 

আয়রে আরমান জলদি আয়

তোর শোকে মা শয্যা যায়।

 

বন্ধুরা কয় আরমান কই

বল না এর কি জবাব কই?

 

আরমান আরমান কান্দে মায়

আরমান গেলো কোন সে গাঁয়?

৪/৫/২০১৮;  দুপুর ২ টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১৫০

ভুল করো ভাই ভুল করো

বিনা বিচারে করছে খুন

আইন মানে না সরকারে।

 

বিচার বিভাগ ঘাস কাটবে

ছাগল ঘোড়ার দরকারে?

 

আইন বিভাগ এমনি করেই

মারবে প্রতি রাতে?

বিচার বিভাগ কবে থেকে

অস্ত্র নেবে হাতে?

 

যার কাজ সে তো করবে না

সবই হবে উল্টা

দোষ হবে না মানুষ খুনেও

হতেই পারে ভুলটা।

 

ভুল করো ভাই ভুল করো

তুমিও স্বাধীন রুল করো।

 

ভুলে যদি এমপি মন্ত্রী

যায় মারা

ঠিক হবে না লাশের ওপর

পায় পারা।

 

ভুল করো ভাই ভুল করো

যার খুশি তার চুল ধরো।

৪/৫/২০১৮;  দুপুর ২:২০ মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১৫১

তাধিন তাধিন

তাধিন তাধিন। তুমি স্বাধীন।

তাধিন তাধিন। আমি স্বাধীন।

 

স্বাধীন মানে ইচ্ছে মত

সব কিছুইতো করা যায়

প্রতি রাতেই ঠুসঠাস আওয়াজ

জেতা মানুষ মরা যায়।

 

ইচ্ছে হলে ভোট ছাড়াই

দেশের গদী ধরা যায়।

ইচ্ছে হলে পাতা ফাঁদে

বোকার মত পড়া যায়।

 

আইনের কাজ বিচার করে

বিচারের কাজ আইন

পাবলিক দেশের এতোই ভালো

তাও করে না ফাইন।

 

ইচ্ছে করে কেউতো এসে

নেয় না কেড়ে গদী

আমার পাবলিক দরকার নাই

থাকলে দরবেশ, বদী।

 

তাধিন তাধিন। তুমি স্বাধীন।

তাধিন তাধিন। আমি স্বাধীন।

 

তাধিন তাধিন ভুলে মানুষ

মারলে কোন দোষও নাই

তাধিন তাধিন কালা বাদুর

ভুলে ধরলে রোষও নাই।

৪/৬/২০১৮; ৩টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১৫২

হীরালালে হাসে

হীরালালে বসে বসে

মিটিমিটি হাসছিল

হীরালালের গল্প শুনে

সুখে দাদা ভাসছিল।

 

হাসির ঠেলায় মাঝে মাঝে

খুকুর খুকুর কাশছিল

নদীর পাড়ে যেথায় বসা

সেথা সবুজ ঘাস ছিল।

 

হীরালালে বলে দাদা

মুখ মোছ নাও তোয়ালে

কারা যেনো ঢুকেছিল

মোল্লা বাড়ির গোয়ালে।

 

মদ কি কভু খায় কখনো

রুই কাতলা বোয়ালে?

তবে কেনো পুকুরে জাল

ফেলে ইজ্জত খোয়ালে?

 

মদ খায় যারা মন্ত্রী এমপি,

অঢেল টাকা যার আছে

তারা থাকে হোটেল বারে

কেউ থাকে না মার কাছে।

 

এমপি সাহেব গাড়িত থাকে

মদ কিনে দেয় ড্রাইভারে

তারে ধরে জিজ্ঞেস করে

মদ আনতে যাস কোন বারে?

 

ড্রাইভার কান্দে, আমি নির্দোষ

মদ খায় স্যার এমপি সাব

রাখ বকোয়াজ, তুই তো বাহক

তোর তো রেহাই নেইরে বাপ।

ক্রসফায়ারে ড্রাইভার মরে

এমপি থাকে আরামে

বদি, দরবেশ কেউ ধরে না

যতোই থাকুক হারামে।

 

মাদক যদি না খাইতো বস

ড্রাইভার কি তা আনতে যায়?

মন্ত্রীর বাড়ি হয় না ঘেরাও

কেন, জাতি জানতে চায়।

 

মদের লাইসেন্স বিক্রি করেন

মদ বেঁচে কে জানেন না?

তাদের কারা কাস্টমার

সেই তালিকা আনেন না।

 

মদতো খাওয়ায় সরকারে

বড় বড় সাংবাদিক

রাস্তায় নেমে পথ চিনেনা

কোনটা নিজের বাড়ির দিক।

 

হীরালালে হাসে আর কয়

আগে তাকান নিজের দিক

নিজে ঠিক হোন দেখবেন জাতি

নিজে নিজেই হচ্ছে ঠিক।

৫/৬/২০১৮;  রাত ১২:১৫ মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১৫৩

আরামবাগে আরামে

আরামবাগে আরামে

উন্নয়নের হচ্ছে চাষ

টেক্সি নামক ফারামে।

 

দুদিন বাদে শহর কোথায়

আরাম বাগের গেরামে

বটতলাতে খেলবে শিশু

জিতবে বিশ্বে কেরামে।

 

ধূঁয়ার দূষণ থাকবে না

অভাব দেশে লাগবে না

অক্সিজেনের জন্য কেউ

ধানক্ষেত ছেড়ে ভাগবে না।

 

ভিক্ষাবৃত্তি থাকবে না

ঘুমের মানুষ জাগবে না

স্বপ্ন মনে আঁকবে না

ক্রসফায়ার আর লাগবে না।

 

উন্নয়নের জোয়ারে

দেশ থাকবে শোয়ারে

দেশের মানুষ খেতে পাবে

প্লাস্টিকের মোয়ারে।

 

আরাম করে খাবে সবাই

প্রতিদিন এক পোয়া রে।

উন্নয়নের জোয়ারে

আরামবাগের আরামের

খবর যাবে ভোয়া রে।

৫/৬/২০১৮;  দুপুর ১টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১৫৪

মোহাইমেন, স্যার

এই যে মোহাইমেন, স্যার

ছিল সে ব্যাকবেঞ্চার

পারতো না সে এ্যানসার

এখন সুপারম্যান, স্যার।

 

দেখতো খোয়াব একদিন হবে

মস্তবড় ড্যান্সার

নাচতো সে ঘরের ভেতর

ছেড়ে দিয়ে ফ্যান, স্যার।

 

গরীব ছিল তাইতো খেতো

সকাল বিকাল ফেন স্যার

ভাত কি খাবি? বললে বলতো,

একটুখানি দেন স্যার।

 

উঠলে ক্লাস টেন, স্যার

জুটলো কিছু ফেন, স্যার

ফেললো ছুঁড়ে বই ও খাতা

এবং হাতের পেন, স্যার।

 

কদিন পরেই নিল হাতে

ছুরি, পিস্তল, স্টেন, স্যার

মস্তবড় মাস্তান এখন

মোদের মোহাইমেন, স্যার।

 

পার্টিতে তার বাড়লো কদর

এখন বিয়ার ক্যান, স্যার

ঘরেই থাকে সে সব এখন

বিলায় মোহাইমেন, স্যার।

 

বলছি এসব ক্যান, স্যার?

আপনি করেন ধ্যান, স্যার

এদিক মোহাইমেন, স্যার

বনে সুপারম্যান, স্যার।

 

ফল হলো এই দেশের এখন

সারা অঙ্গে ক্যান্সার

সময় আছে এখনো স্যার

তাকে চিনে নেন, স্যার।

 

দোহাই লাগে আল্লাহ খোদার

তাকে কেমো দেন স্যার।

৫/৬/২০১৮

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১৫৫

সর্বনাশ কয় আসি আসি

আদালতে যাইও না

রাম ধোলাই খাইও না

মনে ব্যথা পাইও না

পঁচা জলে নাইও না।

 

আদালতে গেলে

পাঠিয়ে দেবে জেলে

কাকঁরমাখা ভাত সেখানে

মজা করে খাইও না।

ডান্ডাবেরি দেখে তুমি

উল্টা গান গাইও না।

 

উল্টা গান গাইও না

জেলের ভাত খাইও না

মাঠ ছেড়ে কেউ যাইও না

আশার পানি খাইও না।

 

আশার পানি খাইলে

কানবা ক্ষেতের আইলে

ক্রসফায়ারের খেলা শেষ

মাঠে নামার বেলা শেষ।

 

তারপর শোনবা রাধার বাঁশি

চারদিক দেখবা আজব হাসি

সর্বনাশ কয় আসি আসি

তোমার গলায় অমর ফাঁসি।

৬/৬/২০১৮;  রাত ১২:৫৫ মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১৫৬

তিনশো ময়ূর পুচ্ছ

দশ বছরে দাম বাড়েনি

দাম বাড়েনি মালে'

দাম বেড়েছে চালের ডালের

দাম বাড়েনি মালে'র।

 

দাম বেড়েছে তেলের নুনের

দাম বাড়েনি খুনের

দাম বেড়েছে পেয়াজ মরিচ

দাম বাড়েনি বোনের।

 

ধর্ষিতা হয় মাতা ভগ্নি

বাতাস ভরা কান্না

হয়না শোকে সকাল বিকাল

তাদের ঘরে রান্না।

 

দাম বাড়েনি জেল জুলুমের

দাম বাড়েনি গুলির

দাম বাড়েনি যুবক বুড়োর

শিশুর মাথার খুলির।

 

দাম বেড়েছে কচু শাকের

ঝিঙ্গা পটল উচ্ছের

দাম বাড়েনি ভোটার বিহীন

তিনশো ময়ূর পুচ্ছের।

 

তাইতো মালে'র হচ্ছে মনে

দাম বাড়েনি কিছুর

আগের মতই মাগনা আসে

ঝাকা আমের লিচুর।

 

দশ বছরে কয়নিতো কেউ

স্যার জিনিসের দাম দেন

যখন যা চাই মাগনা দিছে

উল্টা দিছে খাম নেন।

৫/৬/২০১৮;  ৫:২০ মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১৫৭

গদীটা তুই ছাড়বি

দশ বছরে পাড়িসনি বাপ

আর কি তুই পারবি

নাকি এবার অর্থমন্ত্রীর

গদীটা তুই ছাড়বি।

 

মালের সাথে মাল দিলাম

নৌকা বাওয়ার খাল দিলাম

রাজ কোষাগার খালি করলি

আমারে কি মারবি?

 

যৌবন কালে পাড়িসনি যা

বুড়ো বয়সে পারবি?

আপোষে ক মনের কথা

এবার গদী ছাড়বি?

 

বদী গেছে ওমরা করতে

তাইতো মাথার ঠিক নাই

বদী থাকলে আবোল তাবোল

এমন উল্টো গীত গাই?

 

বদী আসলে সময়মত

ইয়াবা কটা খাইলে

রেলমন্ত্রীরে হার মানাবো

লেখে রাখেন ফাইলে।

৫/৬/২০১৮;  রাত ৯টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১৫৮

ফারদাফাই

খুনের সাক্ষী রাখতে নাই

তাই খুনী হয় ফারদাফাই।

পরের কথায় পাপ কইরো না

হায়াত লইয়া ভাই মইরো না।

 

পাপ ছাড়ে না বাপকে

ভয় করো অগ্নি তাপকে।

পাপের দায়ে পাপী দোষী

লাভ কি করে বসকে খুশী?

 

সিনহার মতো বড় লায়ার

কাজ ফুরোতেই হলো ফায়ার

এরপর গেল তুহিন আফরোজ

কে নেয় এখন লায়ারের খোঁজ?

 

এরপর গেল ইমরান সরকার

সাক্ষী রাখার কও কি দরকার?

এমরান গেলো ফায়ারে

বাঁচবে নাতো লায়ারে।

 

কে কি করছো জানো বাপ

তোমায় খাবে তোমার পাপ।

আমার কোন দোষ নাই

কাঁঠাল আছে কোষ নাই।

 

খেয়েদেয়ে রেডি হও

নিজের পাওনা বুঝে লও।

৬/৬/২০১৮;  রাত ১১:৩৭ মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১৫৯

তেলের ওপর তেল

তেলের ওপর তেল দেয়া যার স্বভাব

তেলের গুণেই সে হয়ে যায় নবাব।

 

তেল দেয়াটা শিল্পকলা

পানি ছাড়াই ভেজায় গলা

লাল সবুজের পতাকাটাও

তেলের গুণে হয়রে ধলা।

 

তেল দেয়াটা জানতে হয়

নেতার জুতা টানতে হয়

কেউ যদি দেয় বেশী তেল

তারে লোকে ভেউরা কয়।

 

তেলের জয় হয় সবখানে

বৈশাখ এবং রমজানে।

যদি পড়ে উল্টা তেল

সব হয়রে গরল ভেল।

 

নোবেল বেঁচে নিলামে

লক্ষ্মা এবং ঝিলামে।

পাইলে কাছে রাজারে

তেল ঢেলে দেয় বাজারে।

 

তেলে ভাসে বরাক বাঁশ

ভুল হলে হয় সর্বনাশ।

নবাব কাটে ঘোড়ার ঘাস

এক বছরে উনিশ মাস।

 

রাজা বলে মোশাহেব

কে করেছে তেল গায়েব?

দেরী করে কর দানে

ধরে আন লাগাই গর্দানে।

 

হিসাব ছাড়া তেল যদি দিস

তেলই তখন হয়রে বিষ।

অনায়াসে তেলখোরে

তেল খেতে যায় নিজ গোরে।

৭/৬/২০১৮; ১২:৪০ মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১৬০

কমেন্টখোর

কবির কামতো জ্বালানো।

বৃষ্টি নামলে উঠোন জুড়ে

হাওয়াই ট্রাক্টর চালানো।

উল্টাপাল্টা কথা বলে

মনে কষ্ট বাড়ানো।

নিমগাছ তলে দাঁড়ানো।

 

এতবড় কবিতা

এক শব্দে কমেন্ট শেষ

সেই শব্দের প্রতি উত্তর

পাওয়ার জন্য কী খায়েশ।

কবি তখন হিজল বনে

হয়ে গেছে নিরুদ্দেশ।

 

তোমার জন্য ববিতা

ভাবছে বসে কবিতা

হাসছে দেখে রবি তা

জানিস কবির হবি তা।

 

তাই কমেন্টের জবাব নাই

জবাব দেয়ার স্বভাব নাই।

কিন্তু নিজে কমেন্ট চাই

দিনে রাতে কমেন্ট খাই।

 

তোরা খাবি বিরানী

আমি খাবো কী রানী?

যদি দেখি কমেন্ট নাই

রাত কাটাবো উপোস ভাই।

 

আমায় রেখে উপোসে

কেমনে খাবি তুই খোশে?

৭/৬/২০১৮;  বিকাল ৩:৫৫ মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১৬১

ঈদ মানে জিত

ঈদ মানে নিঁদ নয় ঈদ মানে গীত

ঈদ মানে মুমীনের হয়েছে যে জিত।

সারা মাস রোজা আর এবাদত করে

এনেছে যে সাফল্য সব ঘরে ঘরে।

 

যে রাখেনি রোজা আর পড়েনি নামাজ

ঈদ মাঠে তার নেই কোন কারুকাজ।

বয়কট করো তারে হোক বড় লোক

মুসলিম সমাজের এরা সব জোঁক।

 

বয়কট করো তারে খাস মোনাফিক

তার তরে শতবার ধিক শুধু ধিক।

তার ঘরে যেয়ো না, খেয়ো না খানা

এ কথা আমার নয় হাদিসের মানা।

 

রেখেছো রোজা যারা আনন্দ করো

খাও দাও, গান গাও, মনপ্রাণ ভরো।

ভুলে যাও অতীতের শোক, তাপ, দুখ

আনন্দে মেতে ওঠো, মনে নাও সুখ।

 

এ হুকুম আল্লাহর, হাসি খুশী, ঈদ

পৃথিবীর সবকিছু তোমার সুহৃদ।

আনন্দে আসে নাই সারা রাত নিঁদ

আনন্দের বার্তা দিলেন স্বয়ং তৌহিদ।

২০/৬/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১৬২

তুমি রবের দান

ওগো ও কন্যা

না না, শোন না।

 

কাছে আসো না

একটু হাসো না।

ভাল বাসো না

ওগো ও সোনা।

 

ডালিম ভরা মৌ

তুমি আমার বৌ।

 

ওগো কন্যা

রূপের বন্যা

তুমি ধন্যা

কি অনন্যা।

 

বাদুরে খায় লৌ

তুমি আমার বৌ।

 

ও আমার বাগান

তুমি রবের দান।

৭/৬/২০১৮; রাত ৮:৩০ মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১৬৩

জ্বালাইতাম

আমি জ্বালাই, জ্বলিস না ক্যান

তবে কিছু বলিস না ক্যান?

 

মোমের মতো গলিস না ক্যান

আমার মতে চলিস না ক্যান?

 

তবে কি আর জ্বালাইতাম

খুশিতেতো ফালাইতাম।

 

ভাঙা গাড়ি চালাইতাম

মনের শিকল গালাইতাম।

 

যারে দলার দলিস না ক্যান

যখন টলার টলিস না ক্যান?

 

যখন ডলার ডলিস না ক্যান

মিষ্টি কথা বলিস না ক্যান?

 

তবে কি আর পালাইতাম

আদর দিয়ে জ্বালাইতাম।

৭/৬/২০১৮;   রাত ৯: ৩০ মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১৬৪

ঘাসের ওপর লাশ ছিল

একটা দুপুর উপুড় হয়ে

ঝিলের জলে ভাসছিল

সূর্যিমামা পানির নিচে

মিটিমিটি হাসছিল।

 

দুপুর ঝিলে ভাসছিল

সূর্যিমামা হাসছিল

তাই না দেখে মৃদুমৃদু

দখিন হাওয়া আসছিল।

 

পানি ঢেউয়ে নাচ ছিল

মামার হাসি কাঁপছিল

মাথার ওপর তাপ ছিল

সাথে আমার বাপ ছিল।

 

বাবা বলে চল যাই

আমরা ঝিলের জল খাই

দেখতে ঝিলের তল নাই

আমার ওতো বল নাই।

 

তখন গানও বাজছিল

আমার সেথা কাজ ছিল

শিল্পীরা সব সাজ ছিল

মাথায় তাদের তাজ ছিল।

 

দুপুর ঝিলে ভাসছিল

ঝিলের জলে হাঁস ছিল

তখন আষাঢ় মাস ছিল

ঝিলের পাড়ে ঘাস ছিল।

 

ঘাস তো রক্তে ভাসছিল

ঘাসে কারো লাশ ছিল।

লাশটা যেনো হাসছিল

সেকি কারো দাস ছিল?

 

ঘাসের ওপর লাশ ছিল

দেশে সর্বনাশ ছিল।

৮/৬/২০১৮;  ভোর ৪টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১৬৫

মে ফ্লাওয়ার

মে মাসে তোর আসার কথা

এলি তো জুন মাসে

যে রাখে না নিজের কথা

কে তারে ভালবাসে?

 

যার নাই মুখের কথার দাম

তার জন্য এই মিল্লাত বাম।

মালিশ করিস যদি তোরে

ধরে সর্বনাশে।

প্রতারণার জালে দাদা

এরাই বেশী ফাঁসে।

 

যে বা যারা করে এমন

মানুষ তারা ভন্ড

তাদের উচিত শিক্ষা দরকার

দরকার উচিত দন্ড।

 

কি যে কন মালিক

সেদিন খাইছে শালিক।

 

ডিজিটালের মানে হলো

উল্টো গান গাওয়া

বদলে গেছে দেশে তাই

আগের দিনের হাওয়া।

 

কথা দিলে রাখতে নাই

বিষমাখা সব খাবার খাই

পারলে করো হাত সাফাই

প্রতারক সব ঘরজামাই।

 

তাইতো আসি জুনে

নইলে কখন নাগাল পাবে

ক্রসফায়ারের খুনে।

 

মে ফ্লাওয়ার তুই শোন

রাগ করিস না বোন

আমার প্রিয় নবী কয়

ওয়াদা দিলে রাখতে হয়।

৮/৬/২০১৮;  ৩:৩০ মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১৬৬

পাঁচশো টাকা ফাইন

রোজার দিনে খাওয়া যায়

কে কয় এমন বিধান নাই?

খাইতে জানলে খাওয়া যায়

দেখছ না তুই আমি খাই।

 

বসে আছি সংসদে

করবো এমন আইন

রোজার দিনে না খাইলে

পাঁচশো টাকা ফাইন।

 

আমি কেনো উপোস থাকবো

আজো গরীব আছি নি

মা কইতো পিঁপড়া তুই

যেখানে পাস খা চিনি।

 

খাইতে খাইতে সব খাইলাম

খাওয়ার যতো টপ খাইলাম।

খবিস রাবিশ পপ খাইলাম

ব্যাংকের দরজার নব খাইলাম।

 

টাকা রাখি জায়গা নাই

তাইতো রোজায় দিনে খাই।

রাষ্ট্রের খাইছি কোষাগার

তুই জানিস না পোষা কার?

 

রোজায় দিনে খাইতে হয়

নইলে ব্যথা পাইতে হয়।

কালার ঘরে যাইতে হয়

রক্তজলে নাইতে হয়।

৮/৬/২০১৮;  রাত ৮টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১৬৭

শাহাবাগের ইমরান খান

হায়রে আমার সোনার চান

আপনে বড় ভাগ্যবান

শাহাবাগের ইমরান খান

কাজ শেষ এবার বাড়ি যান।

 

পাপের সাক্ষী রাখি না

পাওনা নগদ বাকী না।

তুইতো খুবই ভাগ্যবান

নামটা যে তোর ইমরান খান।

 

বাড়ি গিয়া ঘুমাবি,

মুখটা রাখবি বন্ধ

সবই বুঝিস বুদ্ধিমান

তুই ছিলি না অন্ধ।

 

আবার যখন দরকার হবে

নেতা তরে বানাইমু

সময়মতো সবারেই তো

ডালিম খেতে মানাইমু।

 

ঘুমা সাধের সোনা বাপ

বাত্তি হইতে দে না পাপ

যখন দরকার আজরাইলরে

দাওয়াত কইরা আনাইমু।

৮/৬/২০১৮;  ১০:৩০ মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১৬৮

ফতোয়াতে ইসলাম নাই

আমরা যারা ইসলাম করি

নামাজ পড়ি রোজা করি

লম্বা লম্বা জুব্বা পরি

দাড়ি রাখি, টুপি পরি

আমরা মুসলমান

না, মতলবী শয়তান?

 

সবার মালিক মাবুদ আল্লাহ

সবার নবী রাসূলাল্লাহ।

সবাই আল্লাহর কোরান মানি

এবং নবীর হাদিস মানি।

 

আগে করতাম গলাগলি

এখন করি দলাদলি।

আগে করতাম কানাকানি

এখন করি হানাহানি।

 

আমার কাছে ইসলাম আছে

তোমার কাছে নাই

কাফের না হয় পরে মারবো

আগে গোমরা ভাই।

 

তুমি বলছো তুমি সুন্নী

তুমি বলছো শিয়া

শিয়া সুন্নী নিজেই হলে

মুসলিম বাদ দিয়া।

 

ইসলাম বলে ঐক্য গড়ো

হুজুর কয় কর ভাগ

এ যেন রে ভেল্কিবাজি

লাগ ভেল্কি লাগ।

 

কে মুসলমান কে কাফের

কে খাঁটি কে মেকি

সব বোতলে খাঁটি লেখা

দেখছি কী সব একি!

 

কওমীরা হোক কওমী আর

দেওবন্দি হোক দেওবনদি

পীর কামেলরা মারামারির

করতে থাকুক ফের ফন্দি।

 

জামাতিরা জামাত করে

করতে থাকুক রাজনীতি

ফেরকা বাদে আমার জন্য

ইসলাম থাকুক আজ নীতি।

 

তাবলীগীরা সাব লীগই হোক

মাজারী করুক লুচ্চামী

কোরান হাদীস আকড়ে ধরি

আয় না কেবল তুই আমিনিট।

 

কোরান হাদীস ছাড়া খাঁটি

ইসলাম কোথাও নাই রে

সবার কাছেই স্বার্থ আছে

নানান ছলে খাই রে।

 

ফরজ কাজের গরজ নাই

ফতোয়াতে ইসলাম নাই।

৯/৬/২০১৮; ২:২৫ মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১৬৯

ফরজ ধরো

ফরজ নামাজ খোদার হুকুম

মুসলমানের পড়তে হয়

রোজা করার বয়স হলে

রোজা তাকে করতে হয়।

 

হজে যাওয়ার যোগ্য হলে

কাবার পথও ধরতে হয়

নিসাব সমান মাল থাকলে

যাকাত আদায় করতে হয়।

 

খোদার হুকুম সাফ বললাম

এতে কোন মাফ নাই

এবাদতে সবই ফাইনাল

এতে কোন রাফ নাই।

 

ইমাম সাহেব নামাজ পড়ে

বেতন কেন চান

চাকরী করে সবাই যখন

নিজের বেতন পান।

 

তিনি যদি সবার মত

তেমনি বেতন নেন

আদায় হয় চাকরীর হক

খোদারে কি দেন?

 

খোদার হুকুম পালন করে

বেতন নেয়া জায়েয কি?

না না হুজুর রাগ কইরেন না

বুঝান একটু ফায়েয কি?

 

জ্ঞান কম তাই জিগাই হুজুর

জানলে কি আর জিগাইতাম

নবীর হুকুম মেনে তবে

সত্য সুন্দর হিগাইতাম।

৯/৬/২০১৮;  ১০:৪৫ মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১৭০

এক দড়িতে ফাঁসি চাই

আমার কোন কাম নাই

গাছে বসে জাম খাই

আম গাছে আম পাই

কেউ দিলে পাম খাই।

 

পুস্কনিতে হাত ধুই

আমার সঙ্গে থাক তুই।

গাছের আগায় বেত গোটা

পাইড়া দিমু আন কোটা।

 

তেতুল গাছে তেতুল নাই

আতা গাছে আতা খাই।

খুনী ডাকাত ভাই ভাই

এক দড়িতে ফাঁসি চাই।

 

আমড়া গাছে দামড়া ঝুলে

মরার পেটটা উঠছে ফুলে।

লাশ ফালাবি ক্ষেতে ক্যান

গাঙ দেখিস না উত্তর দেন।

 

উত্তর দিয়া কি অইবো

উত্তর কি মার মন সইবো?

পোলা কি আর ঝি অইবো?

মরা ছেলে ভি অইবো?

১০/৬/২০১৮

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১৭১

অভিযান

চলছে দাদা অভিযান

গুন্ডা হলে সরে যান

ভালা যারা মাল জমান

সামনে দাদা ঈদ।

 

বউয়ের চাই গয়না শাড়ি

মেয়ের চাই নতুন গাড়ি

ছেলের চাই বাগানবাড়ি

তাই চোখে নাই নিঁদ।

 

চুরি করলেই চোর হয় না

খুন করলে খুনী

বলতে পারেন তারা সবাই

কাজের বেলা গুণী।

 

যারা কোন কামে নাই

তারা খাবে রাম ধোলাই

বাঁশির আওয়াজ শুনি

আনবে টাকা গুণি।

 

চলছে দেশে অভিযান

ভরছে আমার পকেটখান

কারো ভাগ্যে কাচকলা

কারো ভাগ্যে যম ডলা।

 

কে হচ্ছে কে আমীরখান

বুঝলে দাদা চেপে যান

নইলে হবেন জঙ্গী ঠিক

রটবে এটাই চতুর্দিক।

১০/৬/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১৭২

কোথায় আছে সুখের মূল

অ বুবু তুই যাস কই

এত হাসি পাস কই?

হাতে কি তোর গোলাপ ফুল

বলতো কোথায় সুখের মূল?

 

সুখ খুঁজিস যা বাড়িতে

দেখ কি আছে হাঁড়িতে

আগে পেট তোর ঠান্ডা কর

তারপর সুখের আন্ডা ধর।

 

বুবু যখন কথা কয়

হাসে বুবুর কানে দুল

ভাবী বলে দুল না রে ভাই

ও দুটো তো হীরার ফুল।

 

আমি বলি শোনো ভাবী

তোমার মাথায় লম্বা চুল

কওতো কোথায় সুখের মূল?

 

ভাবী বলে, দেবর রে

আমি সুখের কি জানি

ওসব জানে তোর নানী।

বয়স হইছে, সাদা চুল

তাঁর আচলে সুখের মূল।

 

বললাম আমি অ নানী

কে কানা আর কে কানী?

সাদা করলি মাথার চুল

বলতো কোথায় সুখের মূল?

 

নানার কানে কি কয় নানী

নানা বলে, আমি জানি

কোথায় আছে সুখের মূল

শখের বাগান গোলাপ ফুল।

 

লেখা আছে সব কোরআনে

নিজে পড়ে জান তার মানে।

পাতার পরে পাতা পড়

শান্তি সুখের জীবন গড়।

১০/৬/২০১৮;  রাত ৯টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১৭৩

তাইতো তুমি ভালো

আলো

তুমি অনেক ভালো।

যখন দেখো আসছে আঁধার

গভীর অমা কালো।

আগুন তুমি জ্বালো।

তাইতো তুমি ভালো।

 

আলো

তুমি অনেক ভালো।

অন্ধকারে ভয় যে পায়

তারে সাহস ঢালো।

ভয়ের কালো পোঁকাগুলো

আগুন দিয়ে জ্বালো।

তাইতো তুমি ভালো।

 

আলো

তুমি অনেক ভালো।

মনের ঘরে আসলে আঁধার

নূরের প্রদীপ জ্বালো।

তাইতো তুমি ভালো।

 

আলো

সত্যি তুমি ভালো।

কেউ যদি হয় হতাশ তবে

দাও যে আশার আলো।

তাইতো তুমি ভালো।

 

আলো

তুমি অনেক ভালো।

পাষাণ পাথর হৃদয়গুলো

কালোর চেয়ে কালো।

সেই হৃদয়ে তুমিই দেখি

প্রেমের মশাল জ্বালো।

তাইতো তুমি ভালো।

 

তাইতো তুমি ভালো আলো

তাইতো তুমি ভালো।

বিশ্বজুড়ে দূর করে দাও

সকল আঁধার কালো।

১১/৬/২০১৮; রাত ১২:১০ মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১৭৪

কাজ দিন, কাজ দিন

আজ নিয়ে পাঁচ দিন

এসে বলি কাজ দিন।

দেন না।

আপনারে দেখলে

তাই লাগে ঘেন্না।

 

ঘুরে শত বেকারে

কাজ দেয় কে কারে

চাকরি তো রেকারে

কোটাধারী খাবে।

কাজকাম না পারুক

জয়ধ্বনি গাবে।

 

কোটা ছাড়া পোলাপান

ভাত নাই? ছোলা খান।

নয় লীগে আইসেন

টাকাজলে ভাইসেন

এই নেন লাইসেন

মন খুলে হাইসেন।

 

টাকাজল খাই না

পুটিমাছ পাই না।

১১/৬/২০১৮; সকাল ৪:৫৫ মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১৭৫

তাড়াও ফেতনাবাজ

বিশ্বজুড়ে মরছে মুসলিম

চারিদিকে দুর্দিন আজ

খুনীর দোসর বাড়ছে দেখো

ফতোয়া ও ফেতনাবাজ।

 

মুসলমানের রাষ্ট্র চলে

কোরানবিহীন আইনে

তাদের টাকার জন্য দেখো

পীরের মুরীদ লাইনে।

 

মুসলমানের ঘরে ঘরে

বাড়ছে খোদার খাসি

হকের পথে অটল যারা

নিচ্ছে তারা ফাঁসী।

 

যুগে যুগে দ্বীন ইসলামের

শত্রু ফেতনাবাজ

ফরজের নাই খবর কোন

জামায় কেন ভাঁজ।

 

এসব যারা বলে তারা

কেমনে মুসলিম হয়

তাদের পাপের জন্যই তো

ইসলামের নাই জয়।

 

ইসলাম জয়ী হোক যদি চাও

তাড়াও ফেতনাবাজ

কায়েম করো এই দুনিয়ায়

আগে খোদার রাজ।

১১/৬/২০১৮;  ২:২০মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১৭৬

উচিত কথা বলতে নাই

আমি যদি কথা বলি

হুজুর বেজার হয়

আমি নাকি পাড় বেয়াদব

সবার কাছে কয়।

 

উচিত কথা যদি বলি

নেতারা হয় রাগ

বলে আমায় দুষ্ট ছেলে

জলদি করে ভাগ।

 

যদি আমি তুলে ধরি

দেশের আসল হাল

বোকা বলে সরকার কেন

আমায় পাড়ে গাল।

 

যদি কোন দলের দোষ

তুলে ধরি তবে

ধমক দেয় তোকে আর

রাখবো না এ ভবে।

 

আগে সবাই বলতো আমি

লিখি নাকি বেশ

এখন বলে ইচ্ছে করে

ছিড়ি মাথার কেশ।

 

ইংরেজ সেনার পক্ষে লিখে

রবি নোবেল পাইলো

দুখু মিয়া ভাল লিখেও

নিজের কপাল খাইলো।

 

আগের চেয়ে বাঙালি আজ

বাড়ছে দেশে ঢের

তারা কি কি করতে পারে

এবার পাবি টের।

 

বৃক্ষ কমছে, সবুজ কমছে

বাড়ছে পাষাণ খালি

এই পাষাণ কি দেয় তোরে

দেখ,গালি না হাততালি।

১১/৬/২০১৮;  ৩:৫০ মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১৭৭

তাইতো এত জিল্লতি

ফরজ পড়ি খোদার হুকুম

এর বিনিময় চাই না

যার হুকুমে পড়ি নামাজ

তিনিই দিবেন মাইনা।

 

মহল্লাতে অনেক মানুষ

অনেক ছেলে মেয়ে

কোথায় শিখবে নামাজ পড়া

বলতে পারো যেয়ে।

 

ইমাম তাদের দ্বীন শিখাবেন

কোরান হাদিস সব

মনে রাখবেন এটাই তাদের

হালাল রুজির জব।

 

নানা রকম ব্যবসা আছে

জাকাত তোলার ভার

ইমাম যদি পালন করেন

প্রতি মহল্লার।

 

ধনীর হবে ফরজ আদায়

ইমাম বেতন পাবে

ইমাম হবে নেতা তখন

গরীব জাকাত খাবে।

 

কে কতটা জাকাত দিল

জানবে নাতো কেউ

মসজিদ থেকে ছুটবে তখন

ভালবাসার ঢেউ।

 

খোলা থাকবে হালাল আয়ের

সকল রকম দ্বার

বিচার আচার করবেন তিনি

সারা মহল্লার।

 

এমনি কত রাস্তা আছে

মানুষ যদি চায়

মহল্লাবাসীর ঐকমত্যে

হবে সকল রায়।

 

 

ইমাম মানে গোলামতো নয়

ইমাম মানে নেতা

নইলে তুমি মুসলমান যে

বলবে সেটা কে তা?

 

নেতাকে বানাও চাকর তুমি

কাজটা বড় জঘন্য

জাতি যখন এ পাপ করে

থাকে না তা নগন্য।

 

ভুগছে সারা মিল্লাতই

তাইতো এত জিল্লতি।

১১/৬/২০১৮;  ৬মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১৭৮

কথায় যদি জিতে যায়

কথা মানে কিছু না

দিনাজপুরের লিচু না

বাতাসে দাও উড়াইয়া

ঝামেলা যাবে ফুরাইয়া।

 

কিন্তু যদি ধরতে চাও

নাও ন'খানা ভরতে চাও

গোঁয়ার হয়ে লড়তে চাও

ধরো।

এবার ফান্দে পড়ো।

মরতে চাইলে মরো।

 

কথায় যারা জিতে যায়

গলায় ফাঁসের ফিতে পায়

ভালবাসা নিতে যায়

উল্টো ঘৃণা হিতে পায়।

 

বিনয়ীরা বরাবরই

প্রেমের মালা হাতে পায়

আদর বলো শ্রদ্ধা বলো

দিনে এবং রাতে খায়।

১১/৬/২০১৮; রাত ৮টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১৭৯

জয়ের লাল মশাল

কই গেলি রে পঙ্গপাল

জঙ্গ ছাড়াই অঙ্গ লাল।

ভাও বুঝে না রঙ্গলাল

ভাদুর মাসে পাড়িস তাল।

 

এখন দাবার গুটি চাল

অযথা ক্যান পাড়িস গাল।

ভাওতাবাজির চলছে কাল

বলছে কী সব আবুল মাল।

 

কেউ দেখে না সঙ্গ দোষ

কেউ করে না ভঙ্গ রোষ

এখন বসে আঙুল চোষ

সময়মত করিস ফোঁস।

 

কই গেলি রে পঙ্গপাল

জঙ্গ ছাড়াই অঙ্গ লাল।

হাতে কি তোর ভঙ্গ ডাল

ওটাই জয়ের লাল মশাল।

১১/৬/২০১৮;  রাত ১০টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১৮০

গরম মাথা নরম করো

গরম মাথা নরম করো

শরম পাওয়ার কিছু নাই

চরম কথা কওয়ার জন্য

পরম আদর দিছু ভাই?

 

মানুষেই তো ভুল করে

শয়তানে তো করে না

মানুষেই তো রোজ মরে

শয়তানে তো মরে না।

 

ভুল করেছি পাপ করেছি

খোদার কাছে মাফি চাই

পরের হক যা ভোগ করেছি

তারতো কোন মাফি নাই।

 

হকের হিস্যা পাওনি যারা

তাদের কাছে ক্ষমা চাই

ফুল না দিয়ে ভুল দিয়েছি

এখন কিছু জমা নাই।

 

তাইতো আমি পাপী ভাই

খোদার ভয়ে কাঁপি ভাই।

১২/৬/২০১৮; বিকাল ৪:২০ মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১৮১

বেরেশতা

যে বলবে ভাই পরের দোষ

তারে বল, তুই আঙুল চোষ।

 

পরের বদনাম করে যে

তারে ধরে ধোলাই দে।

 

যারা যারা ফেতনাবাজ

তারে দু ঘা লাগা আজ।

 

পরের ভুল ধরে যে

নিজেও ভুল করে সে।

 

কোন মুখে সে মন্দ কয়

মন্দ ছাড়া মানুষ হয়?

 

যে ভাবে সে ফেরেশতা

তারে বানা বেরেশতা।

১২/৬/২০১৮;  ৭:৫০ মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১৮২

সেহরী নাইট

নামাজ রোজার খবর নাই

চলছে দেদার সেহরী নাইট।

সবুর করো নিজের হাতে

খোদা তোমায় করবে টাইট।

 

পরের টাকা মেরে তোমার

বাড়ছে এখন অনেক হাইট

জমকালো সব আয়োজনে

জ্বলছে নানা রঙের লাইট।

 

বিশ্বজুড়ে মরছে মানুষ

ফুটছে ভয়াল ডিনামাইট

তুমি করছো ফুর্তি তবু

বলো বলছি রং অর রাইট?

 

মুসলিম দেশের রাজা যেন

খোদার সাথে করছে ফাইট

কী অপরূপ সংযমের মাস

হোটেল বারে সেহরী নাইট।

 

খোদার রহম আরও চাও

ইফতারে নাও গজব খাও।

১২/৬/২০১৮; রাত ৯:৩০ মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১৮৩

জীবন ভরে নাচতে আছি

কূ ঝিক ঝিক ঝিকরগাছা

দেশে আইন নাই, কতা হাচা।

কেডা কইছে? নয়ন চাচা।

মিয়া ভাইরে আমায় বাঁচা।

 

বাঁচতে চাস? ক ভোট চাই না

গণতন্ত্র? তাও চাই না

স্বাধীনতা? মোটেই না

মান ইজ্জতএকটুও না।

 

কি চাস তবে?

বাঁচতে ভবে।

আমার কথায়

নাচতে হবে।

 

আমরা হুজুর মশা মাছি

জীবন ভরে নাচতে আছি।

১৩/৬/২০১৮; রাত ১:৩০ মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১৮৪

ঈদের মজা

খেলনা পুতুল খেলনা গাড়ি জামা জুতো চশমা

যখন আমি ছোট ছিলাম এতেই হতাম বশ মা।

 

আরো যখন বড় হলাম রুনুর পরীর ড্রেস চাই

যাই কিনে দাও সবই নতুন টাটকা এবং ফ্রেস চাই।

 

আমার দাবী দামী জুতো লেটেস্ট ডিজাইন কোট

মায়ের কাছে হাত পেতে কও, দাও না কিছু নোট।

 

আমরা খুশি নিয়ে ঈদি, তোমরা খুশি দিয়ে

অবস্থাটা পাল্টে যায়, যখন করি বিয়ে।

 

শ্বশুরবাড়ির রসম রেওয়াজ শালাশালীর বায়না

গিন্নির জন্য শাড়ি বোরকাচুড়ি ফিতা আয়না।

 

দিতে গিয়ে হিমশিম খাই, কেমনে বাবা পারতো

বাপ-মা আছে, শ্বশুর আছে পারি না যে আর তো।

 

এখন বুঝি ঈদের মজা শৈশব কালেই বেশী।

ঈদের খুশি কমতে থাকে যতো বাড়ে পেশী।

 

বুড়ো কালে বাপ- মা নাই, নাতি পুতির ধাক্কা

রিটায়ার্ডের জীবন কাটে, কোথায় পাবো টাক্কা।

 

ডায়বেটিসের রুগী তবু নানান কিছু খাইতে হয়

ঈদ আনন্দের ভাগটা সবাই মিলেমিশে পাইতে হয়।

১৩/৬/২০১৮; ভোর ৪:৪৫ মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১৮৫

হায় প্রবাসী বুঝলি না

দেশে যা যা খাওয়ার ছিল

খাইছি, বাকী রাখি নাই

চল যাই এখন বিদেশ গিয়ে

কুলি মজুর ধরে খাই।

 

ওয়ার্ক পারমিট যারা দিছে

তারা তো আগে খাইবে

বাকী যেটুক থাকবে তাতো

আমার ভাগে আইবে।

 

ব্যাংক বীমা ও শেয়ার মার্কেট

কোন কিছু নাই বাকী

এক টেবিলে খানা তো খাই

আমরা এবং খাকী।

 

গরীবরা তো বিদেশ বসে

কামায় টাকা ঢের

তাদের ঘরে ডাকাত যদি

আসে আবার ফের।

 

ওদেরকে তাই বাঁচাতে হায়

নিলাম কঠিন ভার

টাকার জন্য ওদেরকে কেউ

মারবে নাতো আর।

 

হায় প্রবাসী বুঝলি না

প্রাণ ভোমরা খুঁজলি না।

১৩/৬/২০১৮;  দুপুর ১টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১৮৬

বড় জালেম

পরের নামে মন্দ বলা

শরিয়তে গীবত কয়

মানুষ যখন গীবত করে

আল্লাহ বড় গোস্বা হয়।

 

আপন ভাইয়ের গোস্ত বল

কেউ কি কভু খেতে পারে?

আল্লাহ বলেন গীবত করা

তার চেয়ে যে জঘন্য রে?

 

আপন ভায়ের গোস্ত খায়

সে কিরে আর মানুষ রয়?

তবে মানুষ কেমন করে

অন্যজনের বদনাম কয়?

 

কোরান হাদীস পড়ে তোরা

কিছুই দেখি শিখলি না

দাড়ি টুপী সবই পড়লি

খাতায় কিছু লিখলি না।

 

নাম্বার দেবো খাতা দেখে

পরীক্ষায় তো করবি ফেল

কে কয় তোরে ইমাম হুজুর

কে কয় তোরে পীর কামেল?

 

কোরান হাদীস সামনে রেখে

যে করে রে মিথ্যাচার

তারচে বড় জালেম তো নেই

তার চেয়ে নেই পাপী আর।

১৩/৬/২০১৮;  ২: ৩৫ মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১৮৭

চলছে গীবত সমানে

নাই কাজ তো খই ভাজ

বস্তায় ভরে দই ভাজ

শরম ছিল কই লাজ

মাথার ওপর কই তাজ?

 

হাসে বন্দী শয়তানে

হচ্ছে টা কি সে জানে

কোরান হাদীস কে মানে?

মানুষ শয়তান সবখানে।

 

ইসলামপন্থী সবাই জাজ

খুলে তাদের মাথার তাজ

মরা ভায়ের গোস্ত আজ

আরাম করে খাচ্ছে

রসাতলে যাচ্ছে।

 

চলছে গীবত সমানে

আনতে কি কেউ কম আনে?

 

সমান তালে মারছে

যে যেভাবে পাড়ছে

মাটির তলে গাড়ছে

তৃপ্তি সহ হারছে।

 

সবাই পরছে হিজরা সাজ

নাই কি কারো লজ্জা লাজ?

ছুঁড়িস পাথর কার বুকে?

সবই লাগে মার বুকে।

১৩/৬/২০১৮;  ৬: ২৫ মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১৮৮

এবার একটু হাস

কই যাস আতুরি

এই নে হাতুড়ি

যে করবে চাতুরি

তারে দিবি ঠাস

দিন নয়, সপ্তাহ নয়

পুরো বারো মাস।

 

নষ্ট পোলা

কষ্ট করে

জৈষ্ঠ মাসে আসে

এক নাগাড়ে

তাকিয়ে থাকে

মিটিমিটি হাসে।

 

তারে দিবি ঠাস

থামবি দিলে কাশ

নয়তো ছেলে হয়ে যাবে

একেবারে লাশ।

 

ইজ্জত নিয়ে টানাটানি

মানবো না আর এ মাস্তানি

তোর কাহিনী সব জানি

যদি বাঁচতে চাস

ঠেকা সর্বনাশ।

আমরা সবাই

কাছেই থাকবো

হাতে বরাক বাঁশ।

এবার একটু হাস।

১৪/৬/২০১৮;  রাত ১২:১০ মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১৮৯

কদমালি রাত দিন

কদমালি কেঁদে কেঁদে কয় কথা রাতদিন

জামা জুতো চাই না, ঈদে শুধু চাঁদ দিন।

মাথার ওপর ছাদ দিন

পেটে দুটো ভাত দিন

কদমালি কয় দাদা, অই চাঁদে হাত দিন।

 

গরীবের হক মারা -- আজ থেকে বাদ দিন।

পারেন তো ভাল কাজে, নিজে দুটে হাত দিন।

 

পাপ করা বাদ দিন

ভাল কাজে হাত দিন

জীবন তো বাকী আছে আর মোটে সাত দিন।

কদমালি কাঁদে আর কথা কয় রাতদিন, চাঁদ দিন।

 

বাবা ভাই চাঁদ নাই

গরীবের জাত নাই

কদমালি কয় তবে, হাত দিন হাত দিন

ফিকফিক হাসিমাখা ঐ গোল চাঁদ দিন।

 

ঐ চাঁদ দেখা যায়, ধরা তারে যায় না।

গরীবেও চাল দেখে, ভাত খেতে পায় না।

জাকাতের টাকা দিন

মামা ফুপা কাকা দিন

পুষ্পের হাসি নিন, চাঁদ দিন, চাঁদ দিন।

বিদেশের ব্যাংকে টাকা রাখা বাদ দিন।

 

কদমালি রাত দিন, কাঁদে কয় চাঁদ দিন

গরীবের পেটে দাদা দুই মুঠো ভাত দিন।

বাহাদুরী কয় দিন, বাঁচবেন সাত দিন

পাপ করা বাদ দিন, সোনামাখা ঈদ নিন।

 

কদমালি রাত দিন, কাঁদে কয় চাঁদ দিন

চালাকির নাম করে কেন মিছে ফাঁদ নিন।

চাঁদ দিন , ঈদ নিন, আর সব বাদ দিন।

বাঁচার তো সময় আছে আর মোটে সাতদিন।

১৪/৬/২০১৮; ২:৪৫ মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১৯০

হায়রে মুমীন বাহাস কর

রোহিঙ্গাতে মুমীন মরে

মোমীন মরে কাশ্মিরে

তোরা যারা বাহাস করিস

আসলে বল চাস কি রে?

 

কাফের চেয়ে মুমীন খারাপ

এই কি দাবী তোর?

তুই কি বলিস এই জগতে

ভাল হারামখোর?

 

ফিলিস্তিনের শিশুর বুকে

ছলকে ওঠে রক্ত

মিউজিক নিয়ে বাহাস করার

এই কি সময় অক্ত।

 

এ দল খারাপ ও দল খারাপ

ভাল শুধু সেই

যার ভেতরে কোন কালেই

ঈমান আমল নেই?

 

কাফের ধরে আদর করে

চুমু খাবে যারে

তুই কি তবে শপথ নিলি

ভাল বলবি তারে?

 

হায়রে মুমীন বাহাস কর

কেউ না মারলে নিজে মর।

১৪/৬/২০১৮; ১০টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১৯১

বাবার বোবা কান্না

ঈদ আনন্দ আমরা করছি

মা করছে রান্না

ভাবছো তুমি সবার বুকেই

ঈদের খুশির পান্না।

 

দেশ বিদেশে খেটে মরে

বাপ মা সারাক্ষণ

একটুখানি হাসি দেখলেই

ভরে তাদের মন।

 

এটা ওটা কত কি চাই

করি কত বায়না

জামা জুতো সবাই পায়

বাবা কিছু পায় না।

 

বাবার মনে কষ্ট দিয়ে

ঈদ যেজন আজ চায় না

সে করে না বাবার কাছে

কোন রকম বায়না।

 

এসো এসো দেই মুছিয়ে

বাবার বোবা কান্না

মায়ের সাথে চল যাই চল

করি গিয়ে রান্না।

১৫/৬/২০১৮;  রাত সাড়ে ১২টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১৯২

ঈদ বড়ো না জিদ বড়ো

ঈদ বড়ো না জিদ বড়ো?

তবে কেনো জিদ করো?

 

আমার ওটা চাই-ই চাই

এর নামতো জিদরে ভাই।

 

জিদে বাড়ায় কষ্ট

ঈদকে করে নষ্ট।

 

সামনে কভু ঈদ এলে

জিদ করো না মা ছেলে।

 

ঈদ মানে তো খুশি

মিষ্টি মুখে হাসি।

 

এলোরে ভাই ঈদের দিন

সবাই ঈদের সালাম নিন।

১৫/৬/১৫। ৩:৫৫ মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১৯৩

নানা রঙের মানুষ

আমার কাছে তেল নাই ভাই

তেল যদি ভাই থাকতো

সৌদি আরব কাতার কেনো

আমরিকাও ডাকতো।

 

তেল নাই বলে চিনে নাতো

বাঘা বাঘা মাথা

আমায় ভাবে পাগলা বুড়ো

একেবারেই যা তা।

 

যাদের জন্য লেখা লেখি

চিনে নাতো তারাও

চলতি পথে দেখা হলে

বলে নাতো দাঁড়াও।

 

বড় বড় দলবাজরা

ছলবাজিতে পাকা

তারা ঠিকই জানে কারে

রাখবে কেমনে ঢাকা।

 

এফবিতে যে গ্রুপ আছে

পাগলা বুড়োর জ্বালায়

লেখালেখি দেখলেই তারা

নৌকা নিয়ে পালায়।

 

যারা আছে আপনস্বজন

বন্ধু এবং ভাই

তারা ভাবে ও কি লিখবে

ছাতা মাথা ছাই।

 

ভালই হলো এই সুযোগে

আরো কিছু লিখি

নানা রঙের মানুষ দেখে

আরো কিছু শিখি।

১৫/৬/২০১৮;  ৬:১০ মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১৯৪

আমার সোনার বাংলাদেশ

আমার সোনার বাংলাদেশ

কী অপরূপ রূপ অশেষ।

স্বপ্নের কারো নেইরে শেষ

সবাই বলো বেশ বেশ বেশ।

 

স্বপ্ন দেখে রাজা প্রজা

স্বপ্ন দেখে পাগলে

স্বপ্ন দেখে গরু গাধা

হাজীর রাম ছাগলে।

 

স্বপ্নে যখন দেশটা দেখি

উন্নয়নের সড়কে

চার বছরের বাচ্চা বলে

কও তো নানা বড় কে?

 

পূর্ব পুরুষ দেখেছিল

ধানের ক্ষেতে লাশ

লাশের রক্তে লাল হয়রে

সবুজ বরণ ঘাস।

 

আমি ছিলাম মানুষ দেখি

মানুষ আমি নাই

পরের ঘরে বসে বসে

মানুষ আমি খাই।

 

আহা বাংলাদেশ

গুম ও খুনের বহর দেখে

ছিঁড়ছে মাথার কেশ।

আমি দাদা ভালই আছি

বেশ বেশ বেশ।

আহা, বেশ বেশ বেশ।

১৫/৬/২০১৮;  দুপুর ১২টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১৯৫

ফেবুর কবি

পত্রিকাতে জায়গা নাই

এখন ফেবুর কবি তাই।

 

রাজবাড়ি থাক রাজারই

আমার ভাল বাজারই।

 

যখন তখন চা খাই

প্রটোকলের ঘা নাই।

 

দামীরা পায় প্রকাশনী

আমার এখন দশা শনি।

 

যারা বেশী ইজ্জতমান

তারা রাজার বাড়ি যান।

 

আপনি দামী পাবলিশার

দিন নাই আমার লাভ ভিসার।

১৫/৬/২০১৮;  ১২:২০ মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১৯৬

ঈদের দিনে

ঈদের দিনে

তোমায় বিনে

কেমনে আমি ঈদ করি।

 

ফুলের বাগান

দূরে থাকলে

কোন সুবাসে হৃদ ভরি।

 

ঈদের দিনে

হৃদয়হীনে

যদি থাকে দূর বাসে

 

আমার হৃদয়

কান্দে তোর

হৃদয়টা কি ঠিক হাসে?

 

ঈদের দিনে

বারে বারে

তোমার কথা মনে পড়ে।

 

এমন দিনে

বাড়ির মালিক

নাই রে তার নিজের ঘরে।

 

ঈদের খুশি

তোরে দিলাম

নিয়ে যারে নীলপরী।

 

এই খুশিটা

পৌঁছে দিস

যেথা আমার দীলপরী।

১৫/৬/২০১৮; ৬:০০ মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১৯৭

ঈদের দিনে

ঈদের দিনে পুরাণ দিনের

দুখের কথা কইতে নাই।

ঈদের দিনে জালিমজনের

জুলুমবাজি সইতে নাই।

 

পাপের বোঝা বইতে নাই

মনের কথা কইতে নাই।

 

ঈদের দিনে ভন্ড লোকের

দন্ড কাঁধে লইতে নাই

ঈদের দিনে পরের জমি

ভুলেও কভু চইতে নাই।

 

বিদ্যা সবই বইতে নাই

মদন কারো হইতে নাই।

 

ঈদের দিনের সুখ আনন্দ

কোন নায়ের ছইতে নাই

এসব কথা সবার কাছে

যখন তখন কইতে নাই।

১৫/৬/২০১৮;  রাত ৮:৫০ মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১৯৮

ভূতের বাড়ি

ভূতের বাড়ি

নগরবাড়ি

টগর গাছে থাকে।

 

রাতের বেলা

হাতের কাছে

পায় যারে সে ডাকে।

 

নাকি সুরে

ডাকে যখন

শুনলে লাগে ভয়।

 

ভঁয় পেঁয়ো নাঁ

ভঁয় পেঁয়ো নাঁ

ভূঁত তোঁ খাঁরাপ নঁয়।

 

মাঁনুষগুঁলো

বেঁজায় খাঁরাপ

দঁয়ামাঁয়া নাঁই।

 

সঁত্যি কঁথা

মাঁনুষ দেঁখলে

আঁমরাই তোঁ পাঁই।

 

ভূতের কথা

শুনে হীরা

সাহস কিছু পায়।

 

তাইতো হীরা

রাতেও এখন

নগরবাড়ি যায়।

১৬/৬/২০১৮;  ৫:১৫ মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১৯৯

জামের মজা

জাম ধরে থোকা থোকা

বোকা ছেলে খায় না

যারা বুঝে জামের মজা

সকলে তা পায় না।

 

জাম খাবি চল গাছে চড়ি

গাছে চড়বো? ভয়ে মরি।

তবে জাম খাক হায়না

তুই করে যা বায়না।

 

উপরে কালো ভিতরে লাল

জামের রসে ভিজে গাল।

জাম পায় বীর যে সাহসী

জাম পায় নাতো তাপসী।

 

জাম ধরে থোকা থোকা

জাম খায়না সুবোধ বোকা

বলে আমার দাঁতে পোকা

ঠিক বলি নাই, বল না খোকা?

 

জামের মজা পেতে চাও?

নিজে গাছে উঠে খাও!

১৭/৬/২০১৮দুপুর ১২ টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১২০০

মন্দ মানুষ মন্দ দেখে

ময়লা ঘাটা বন্ধ কর

গন্ধ আরো ছড়াবে

সেই গন্ধ সবার আগে

তোর নাকেই গড়াবে।

 

তুই যে পরের মন্দ বলিস

পাপ কি তুই করিস নাই

কেমনে তুই বাথরুম করিস

ময়লা কভু ধরিস নাই?

 

অন্য লোকের মন্দ বলে

তারচে অধিক মন্দ নাই

ফুলবাগানে ফুল দেখে না

দেখে শুধু  গোবর ছাই।

 

আমি দেখি ফুলের শোভা

ঘ্রাণ আছে ভাই গন্ধ নাই।

ফুলবাগানের শোভা দেখো

গোড়ার গোবর দেখতে নাই।

 

মন্দ মানুষ মন্দ দেখে

মন্দ ছাড়া বাঁচে না

মানুষ সেতো দূরের কথা

গাছপালাও নাচে না।

 

তুই তো বলিস আমার মন্দ

আমি তো আর বলি নাই

যে বলে ভাই পরের গীবত

তার মত আর পাপী নাই।

১৭/৬/২০১৮;  ৩টা।

 

No comments

Powered by Blogger.