আসাদ বিন হাফিজ এর ১০০ ছড়াঃ ১০০১-১১০০

 


 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০০১

আবুল বিড়ি বাবুল খায়

স্বপ্নে বাবুল কাবুল যায়।

নায়ের ভাড়া লাগে না

স্বপ্নে বাবুল রাগে না।

শান্তিনগর রাস্তাতে

ব্যাস্ত ছিল নাস্তাতে।

হঠাৎ দেখে বিমানে

কেউ বলছে কিমা নে।

বিমান গেল কাবুলে

সঙ্গে গেল বাবুলে।

এই না ছিল নাও টা

কোথায় ছাগল ছাও টা?

বাবুল মিয়া তাজ্জব হলো

নাও কেমনে বিমান হলো?

এসব ঘটে খোয়াবে

কাবুলে যায় নোয়াবে।

খোয়াবেরও তাল নাই

লাল মরিচে ঝাল নাই।

সেয়ান মেয়ের গাল নাই

বাজারের আর হাল নাই।

দেশটা হলে ডাকাতের গাঁও

গাড়ি, বাড়ি, নারীও দাও।

খায়েশ তাদের মেটেনা তাও

বলে শাড়ি, পেন্টিও দাও।

নইলে স্বপ্নে কাবুলে যাও

কোরাস করে মর্সিয়া গাও।

কাবুলে আবুল বিড়ি নাই

আয় কলিজা চিড়ি খাই?

২৫/৪/২০১৮; ৭:৪০ মিনিট।

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০০২

মুক্তিযোদ্ধা প্রতিবন্ধী

এক দড়িতে বান্ধো

এরপর তাদের কোটার জন্য

মলম দিয়া কান্দো।

প্রতিবন্ধী ভিক্ষা খায়

মুক্তিযোদ্ধা খায় কি

বিধবা এবং মুক্তিযোদ্ধা

সবাই ভিক্ষা চায় কি?

কোটা মানে দয়ার দান

অসহায়ের জন্য

মুক্তিযোদ্ধার গায়ে এই

তকমা কিসের জন্য?

দেশের যারা শ্রেষ্ঠ বীর

তাদের বানাও অক্ষম

এমন কঠিন প্রহসন যে

করতে তুমিই সক্ষম।

যোগ্য যারা সব রাজাকার

অযোগ্যরা মুক্তি

কোন সাহসে বলিস এমন

আজব তরো যুক্তি।

সারাক্ষণ কি মাল খাস?

নাকি পিঠে কিল চাস?

১১/৪/২০১৮; সন্ধ্যা ৫:৩০ মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০০৩

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০০৪

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০০৫

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০০৬

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০০৭

চট্টগ্রাম গ্রাম নয়, বিশাল এক শহর

তার তটে ভিড়ে এসে বাণিজ্য বহর।

জাহাজ থেকে তীরে নামে দ্বীনের মোবাল্লিগ

সেখান থেকে যায় ছড়িয়ে দ্বীনও চতুর্দিক।

ইসলামাবাদ সেই শহরের হয়রে নতুন নাম

তাদের কাছেই আদব কায়দা আমরা শিখিলাম।

তার কাছেই শিখলাম আল্লাহর পবিত্র কালাম

তাদের কাছেই শিখলাম প্রিয় নবীজীরও নাম।

এসো তাঁর নামে দরুদ পড়ি আলাইহি সালাম

এসো ভক্তি ভরে সবাই পড়ি পবিত্র কালাম।

চট্টগ্রাম গ্রাম নয়, দরবেশের শহর

চট্টগ্রাম দেশের সেরা সমুদ্র বন্দর।

১৩/৪/২০১৮; হোটেল বে টাচ। কক্সবাজার।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০০৮

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০০৯

একটা বিশাল আকাশ ছিল

আকাশে

একটা বিশাল সাগর ছিল

সাগরে।

দুইয়ের মাঝে ফারাক ছিল

আকাশ পাতাল

তবু দুইয়ের প্রেম ছিল যে

মগ্ন মাতাল।

নীল আকাশের ছবি দেখো

সাগরের ওই নীল জলে

আকাশের চাঁদ আকাশে নয়,

হাসে দেখো জল তলে।

আকাশে যে তারা হাসে

দেখো তারাও জলে ভাসে

জলের নিচে আরেক আকাশ

ওঠে ফুটে ঝলমলে।

প্রেম মানে তো প্রেম শুধু

উদ্দাম এক মনের টান

প্রেমের টানেই বীর বাহিনী

স্বপ্নের জন্য বিলায় প্রাণ।

স্বপ্নটাকে এসো সবাই

শক্ত করে আকড়ে ধরি

এসো এসো সবাই মিলে

স্বপ্নের সাথে প্রেম করি।

১৫/৪/২০১৮

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০১০

আমার একটা মন ছিল

বিলের ধারে বন ছিল

বিলে জনগণ ছিল

মৎস্য ধরার ক্ষণ ছিল।

আমার একটা মন ছিল

মৎস্য ধরার পণ ছিল

যেন একটা রণ ছিল

বালক কালের সন ছিল।

আমার হাতে তোয়ালে

পলো ভাঙে বোয়ালে।

ধরা পড়ে রুই

জলের তলে তুই।

তারা বাইম নাড়া দেয়

টাকি মাথা ঝাড়া দেয়

শোল মাছ গোল না

ঝাঁকি জাল তোল না।

হই হই রই রই

ছুটাছুটি পই পই

বাবা কয় পড়া নাই

আমি বলি এই যাই।

আমার একটা মন ছিল

বিলের ধারে বন ছিল

আজকে দেখি বন নাই

আমার আগের মন নাই।

১৬/৪/২০১৮; রাত ৯ টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০১১

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০১২

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০১৩

তিতা তিতা ছড়া পড়ে বাহবা ভালো বলেন

দুষ্ট লোকের মিষ্ট কথায় তবু কেনো গলেন?

মিথ্য কথা প্রতারণা মজা করে সবই খান

তবে কেনো লোক দেখাতে মসজিদেও যান?

আপনি যে এক দুমোখো সাপ খোদা কি তা বুঝেন না

নাকি ভাবেন আপনি চালাক, আল্লাহ এটা বুঝেন না।

সুদও খাবেন, ঘুষও খাবেন, ঈমান থাকবে পাক্কা

এমন বুদ্ধি কার কাছ থেকে পেলের আপনি কাক্কা?

পাপতো করেন গোপনে ভাবেন খোদা দেখেন নাই

দুই কাঁধের দুই ফেরেশতাও ভাল মন্দ লেখেন নাই।

স্বপ্নে নাকি মজার মজার খানা শুধু খান

রাজকুমারের পোশাক পরে রাজার যান।

জেগে দেখেন ছেঁড়া কাথার আপনি রাজা মিয়া

টাকা নাই তাই দেয়নি নাকি আজো আপনার বিয়া।

১৯/৪/২০১৮; রাত ৩:৩৯ মিনিট।

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০১৪

হুরমতি গো হুরমতি

বুঝিনা গো তোর মতি।

মুখে হাজার ফুল ফোটাস

তলে তলে লাশ লুটাস।

রক্তে ভাসে শেখ রাসেল

গুম হয় কত দেখ রাসেল।

শেখ রাসেলের বোন কান্দে

দেখ রাসেলের মা কান্দে।

শেখ রাসেলের মা থাকলে

কাঁদতো বসে সিঁড়িতে

দেখ রাসেলের মা কান্দে

ভাঙা পুরাণ পিড়িতে।

মায়ের কান্না দেখে কাঁদে

দুখিনী এই দেশটা

আর কতকাল থাকবে এমন

বলতো পরিবেশটা?

হুরমতি গো হুরমতি

কবে থামবে দুর্মতি?

১৮/৪/২০১৮; দুপুর ১টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০১৫

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০১৬

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০১৭

মিথ্যা কথা বলি না

অসৎ পথে চলি না

বিপদ দেখে টলি না

আমি মুসলমান

পড়ি আল কোরান।

পরের মাল ধরি না

নামাজ কাজা করি না

হারামে পেট ভরি না

আমি মুসলমান

পড়ি আল কোরান।

মন্দ পথে লড়ি না

নষ্ট জীবন গড়ি না

বাঘের পিঠে চড়ি না

রাসূল আমার নেতা

কোরান সংবিধান।

আমি মুসলমান

পড়ি আল কোরান।

১৮/৪/২০১৮; সন্ধ্যা ৭টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০১৮

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০১৯

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০২০

আয়না বিবি বায়না ধরে চায়না যেতে চায়

আয়না বিবি মায়না পেয়ে টিকেট কাটতে যায়।

আয়না বিবি খায় না পায়েশ খায়েশ খাবে ঝাল

আয়না বিবি পায়না শাড়ি পরবে যেটা লাল।

আয়না বিবি যায় না থেমে যতোই বাঁধা পায়

আয়না বিবি গায় না গান চড়ে না সে নায়।

আয়না বিবি বায় না নাও সুযোগ যদিও পায়

আয়না বিবি চায় না তবু মশার কামড় খায়।

আয়না বিবি ডায়না হতে গয়নাগাটি চায়

আয়না বিবি নায় না ডোবায় ঘুঙুর পরা পায়।

আয়না বিবি রায়না গোটার তেল বানিয়ে খায়

আয়না বিবি চায়না যায় আর ফিরা ফিরা চায়।

১৯/৪/২০১৮; ১০:৩০মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০২১

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০২২

আকাশ আমায় ডাক দিয়েছে

আয় আকাশে আয়

তোর ঘরও যে গড়ে দেবো,

চাঁদের বুড়ির গাঁয়।

চাঁদের বুড়ি একা সেথা

সঙ্গী সাথী নাই

বুড়ি বলেই তার কি কোন

নাতিন থাকতে নাই।

এই পৃথিবীর মানুষগুলো

ঠক, প্রতারক, ধাপ্পাবাজ

অভিনয়ে পাক্কা এমন

সবাই যেন নায়করাজ।

আলেম খোঁজে দান খয়রাত

জালেম খোঁজে গদী

মানুষগুলো স্বার্থচিন্তায়

ব্যস্ত নিরবধি।

এমন ধরায় থাকবি কেন

আয় আকাশে আয়

তুই ক্যান নিবি বিশ্ব ভরা

নিষ্ঠুরতার দায়।

২০/৪/২০১৮; রাত ১০টা।

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০২৩

পুকুর খালে ঘুমাতে যায়

বিশাল বিশাল নদী

এই সুযোগে বাগাতে চায়

পীর সাহেবও গদী।

পীরের ব্যবসা খানদানী

পুঁজি লাগে না

গদীর ব্যবসা জানদানী

গদী আগে না।

দুই ব্যবসাতেই মজা আছে

সঙ্গে আছে জেল ফাঁসী

দুই ব্যবসাতেই কলা দেখায়

তাকিয়ে দেখে দেশবাসী।

ভানুমতির খেলা এমন

বুঝতে বুঝতে বেলা শেষ

বোচকা বাঁধে পীর ও নেতা

আস্ত মানুষ নিরুদ্দেশ।

২১/৪/২০১৮; ভোর ১২:৩০মিনিট।

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০২৪

স্বাধীন দেশে সবাই স্বাধীন

সেখানে আবার কোটা কি?

তালপাতার যে সিপাই সে

তারও আবার মোটা কি?

যে বাথরুমে ফ্লাস আছে

সেখানে আবার লোটা কি?

যার কোন ভাইই নাই

তার আবার ভাই ফোঁটা কি?

শরবত খাবে রূহআফজা

শরবতে আবার গোটা কি?

যখন কোন বড়ি খাও

সেখানে আবার বোটা কি?

কোটা খাইছো তিন পার্সেন্ট

বাকিদেরও খাইতে দাও

ব্যবসাপাতির খবর নাই

খালি পার্সেন্ট খাইতে চাও।

সাপতো চলে গড়িয়ে

কেমনে সাপের দেখলে পাও।

সাতানব্বই জনগণ

এবার তাদের খাইতে দাও।

২১/৪/২০১৮; ভোর ৪টা।

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০২৫

আমার বাপে হাত তুললে

মন্ত্রীর গাড়ি খাড়ায়া যায়

আমার মামা আপ বললে

শোয়া পুলিশ দাঁড়ায়া যায়।

আমার খালু ঘন্টা দিলে

হাজার ছাত্র বারায়া যায়

মস্ত হাতি গর্তে পড়লে

ইঁদুর তারে পারায়া যায়।

তার মানেতো ইঁদুর হাতি হয় না

খালুরে কেউ হেডমাস্টার কয় না।

সব কমান্ডার হয় না সেনাপতি

ট্রাফিক পুলিশ পায় না তেজারতি।

দেশমাতাকে বন্দী করলেই বাঁদী হবে না

মাকে সবাই মা- ই বলবে দাদী কবে না।

মাকে বন্দী করলে কোন সন্ধি হবে না

আগে মাকে ছাড়বি বল, বন্দী রবে না।

কিসের আবার নির্বাচন

আগে হবে আন্দোলন

তারপরে সব ইলেকশন

বন্ধ করো কিল এ্যাকশন।

মায়ের যদি কিছু হয়

কে করবে গুলির ভয়?

২১/৪/২০১৮; দুপুর ১টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০২৬

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০২৭

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০২৮

হায়াত মউত খোদার হাতে

কইছি কথা ঈমানে

কেউবা মরে পানির তলে

কেউবা মরে বিমানে।

আমার সরকার মারবে তাকে

এমন কথা কি কইছি

আজরাইলের চাকরী আমি

কবে থেকে কও লইছি।

ঠাকুর ঘরে কে রে সোনা?

আমি কলা খাই না

তেমনি আমি মুখে বলবো

কারো মরণ চাই না।

ঠাকুর ঘরের কলা শেষ?

কে খেয়েছে জানি না।

হায়াত মউত খোদার হাতে

এইটা নবীর বাণী না?

তবে তোমার নেত্রী মরলে

আমার বলো দোষ কি?

শোকবার্তা এই নে দিলাম

যায়নি তবু রোষ কি?

২১/৪/২০১৮; রাত ১১:৩০মিনিট।

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০২৯

তোমার অনেক দুঃখ আছে, পাঁচমিশালী দুঃখ

কিছু ছোট, কিছু বড়, কিছু আবার সুক্ষ্ম।

দুঃখগুলোই এই জীবনে হয় না য়েনো মুখ্য।

দুঃখ তোমার জীবনটাকে করবে আরো রুক্ষ্ম।

দুঃখগুলো বেলুন বানাও, দাও উড়িয়ে আকাশে

ওরা তখন ভাসতে থাকবে এলোমেলো বাতাসে

মনে হবে বৃক্ষ শাখে উড়ছে নতুন পাতা সে

চন্দ্র এবং তারায় তারায় দেখো কেমন রাত হাসে।

দুঃখগুলো বুকের ভেতর কেউ রেখো না জমিয়ে

বুকের মাঝের দুঃখগুলো দূর করে দাও কমিয়ে।

বুকটা কি তোর দুঃখ রাখার ফসলবিহীন জমি এ্যা?

বুকের ভেতর দুঃখ যতো রাখবে সদা দমিয়ে।

দুখের ক্ষেতে সুখের ফসল ফলতে লাগে সাত দিন

যদি তুমি দুঃখ তাড়াও, সকাল বিকাল রাত দিন।

২২/৪/২০১৮; দুপুর ১২টা।

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০৩০

অ গোলাপ শোন, ভাই

আইনে আছে তাই

সারাদিনে একটার বেশী ফুটিস না

ভালবাসার বদলে আমার রাগ লুটিস না।

এতো বেশী ফুটলে বল কোনটা আমি ধরবো

কোন ফুলের সুবাস বল কোন বোতলে ভরবো?

এই নে ধর চেকটা

সারাদিনে একটা

কয় শব্দের কবির জন্য এই করেছি আইন

প্রবন্ধ বা গল্প হলে লিখিস যতো লাইন।

সরকার হলে আইন নাই

খুনীর জন্যও ফাইন নাই

হাজার মামলা এক আদেশে ভেনিস করতে পারি

বিরোধীদল হলে অস্ত্র পাবোইতো তোর বাড়ি।

অস্ত্র মামলায় ফাঁসবি তুই

তোর ঘরে অস্ত্র আমি থুই?

২২/৪/২০১৮; দুপুর ১টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০৩১

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০৩২

সকল প্রাণীর মধ্যে মানুষ, কে কয় শ্রেষ্ঠ জাত

বলতে পারিস মানুষের চে' কে বেশী বজ্জাত?

নিজের জীবন বাঁচানোর নেই যোগ্যতা কারো কেমনে তবে মানুষ হয়েও অন্য মানুষ মারো?

মানুষ মারার অস্ত্র বলো কোন সে পশু বানায়

সেই খুনীদের মানুষ বলা সত্যি কি কও মানায়?

মানুষ মেরে নিজেই নিজের রঙিন করে হাত

সেই মানুষতো মানুষই নয়, আসলে বজ্জাত।

যে জন একবার পায় ক্ষমতা সে হয়ে যায় খুনী

অথচ সেই খুনীকেই দেখো সবাই বলে গুণী।

আমরা যারা পশুই আছি, পশুত্ব থুই তুলে

একে অন্যের কাছে আসি ঝগড়াঝাটি ভুলে।

এই গুণটা মানুষ যদি আবার একটু শিখতো

এ পৃথিবী বলতে পারো আরো কদিন টিকতো।

২২/৪/২০১৮; বিকাল ৫টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০৩৩

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০৩৪

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০৩৫

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০৩৬

সোয়ারীঘাটের বেপারী

তার সাথে কও কে পারি?

কত কি করে আমদানী

করে না শুধু জামদানী।

মালতো অঢেল আড়তে

যদিও যায়নি ভারতে।

বসে নিজের গদীতে

ডুব দেয় ভোরে নদীতে।

সোয়ারী ঘাটের বেপারী

সময়টা তার ক্ষ্যাপারই।

পাড়ার পিচ্ছি পোলাপান

করে তছনছ গদী খান।

বেপারী কয় পিচ্ছিরে

দাঁড়া শিক্ষা দিচ্ছিরে

আমি পাড়ার দাদাজান

চাঁদা চাইলি সোনার চান?

কই গেলিরে গোলাপজান

পোলা কয়টা ধইরা আন।

২৩/৪/২০১৮; সকাল ৮টা।

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০৩৭

তারে ঝুলাও ফেলানী

মানুষ মারা খেলা নি?

গুলি করিস কারে তুই

খাবি নাকি আমার ভূঁই?

ভাবিস আমার জন নাই

পাদুয়ার কথা মন নাই?

মরণ ভয়ে ডরি না

হারার জন্য লড়ি না।

আজরাইল তোর পালা না

এমনকি তোর শালা না।

সবার দমই কাড়ে সে

রাজা প্রজা মারে সে।

২৩/৪/২০১৮; দুপুর ১টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০৩৮

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০৩৯

জোরের ওপর জোর নাই

তবে ধর তোর ভোর নাই

পাতের পরে পাত খাবি

রাতের পরে রাত পাবি।

স্বৈরাচারের কাহিনী

থাকে নানা বাহিনী।

গুমের পরে গুম করে

একদিন মরে ধুম করে।

রাজা ডাকেন সেনাপতি

: বলেন হুজুর মহামতি।

আজরাইল রে বারান্দায়

তুই জলদি চইলা আয়।

কন কি হুজুর, পালায়া যান

বাঁচার চেষ্টা চালায়া যান।

সৈন্যরা সব ব্যারাকে

পথ আটকা টেরাকে।

রক্ষীরা সব সাভারে

ওরা কি সব হাবা রে।

কেউ আইবো না মরতে

আপনার জন্য লড়তে।

এইতো শেষের কাহিনী

কাজে লাগে না বাহিনী।

নিজের কিনা অস্ত্র

লাল করে নিজ বস্ত্র।

পাবলিক যদি বলে, আহ

পালিয়ে যায় রেজা শাহ।

২৩/৪/২০১৮; সন্ধ্যা ৭:২৫ মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০৪০

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০৪১

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০৪২

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০৪৩

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০৪৪

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০৪৫

তোমরা যেমন পাঁচতারাতে

ব্যবসা বানাও কষে

আমরা তেমন রাজনীতি খাই

টি স্টলে বসে।

গরীব মানুষ দামী খাবার

খেতে তো আর পাই না

আমার মুখের খাবার তুমি

কেড়ে নাও তা চাই না।

তোমরা খেলো রাজনীতি

আমরা লুডু খেলি

নিজের বুদ্ধি জাহির করতে

মুখটা একটু মেলি।

তোমার গদী সত্যি আমি

কোনদিনই চাইনি

ক্ষমতার স্বাদ ঝাল না টক

কোনদিনই খাইনি।

চা স্টলে বসে বসে

আড্ডা শুধু মারি

আমার পিঠে তবে কেনো

মারো লাঠির বাড়ি।

২৬/৪/২০১৮; ৮:২০মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০৪৬

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০৪৭

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০৪৮

মানুষ নামের অমানুষে ভরছে সমাজদেহ

বাপে লুটে কন্যার ইজ্জত কোথায় গেল স্নেহ।

মায়ের হাতে সন্তান মরে পরকীয়ার বলী

ফোটার আগেই নাই হয়ে যায় ছোট ছোট কলি।

ভাইয়ের হাতে ভাই মরে, মেয়ের হাতে বাপ

দয়া মায়া চিলে খাইছে সমাজ জুড়ে পাপ।

বউয়ের হাতে স্বামী মরে স্বামীর হাতে বউ

বন্ধুর হাতে বন্ধু মরে, চারিদিকে লৌ।

মানুষ হবে প্রেমের কোকিল, হৃদয় দরদভরা

আজ সেখানে হিংসা বিদ্বেষ হৃদয় পাষাণ করা।

দ্বীনের নবী প্রেম বিলাতেন, কোথায় গেল প্রেম

ইসলাম মানে ভালবাসা, ইসলাম মানে প্রেম।

২৭/৪/২০১৮; ভোর ৫:৩০ মিনিট।

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০৪৯

তিন সখির কান্না

আম পাতা নড়েচড়ে জাম পাতা পড়ে

আমি থাকি ঘরে শুয়ে মন থাকেনা ঘরে।

রাতের বেলা গাছের ডালে পোলা ঘুমায় ডরে

তুই কি জানিস মনটা আমার তখন কেমন করে?

তুইতো সখি ভালোই আছিস, হয়নি পোলা গুম

পোলার চিন্তায় হারাম হইছে আমার রাইতের ঘুম।

বাইচা নাকি মইরা গেছে জিগাইলে কেউ কয় না

এই কষ্ট বু অনেক সইছি, পরাণে আর সয় না।

তবু তো তোর আশা আছে বাইচা থাকলে আইবো

তোর মাখা ভাত আবার পোলায় মুখে তুইলা খাইবো

আমার পোলার লাশটা ওরা কত কইছি ফেরত দেয় নাই

কয় তোর পোলা মইরা গেছে, লাশ নাকি এই দেশে নাই।

২৭/৪/২০১৮; দুপুর ৩টা।

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০৫০

তুইতো খুব চালু মাল,

নে ধর বইয়া আলু খা।

না না এসব কি যে কন,

আগে খাবে কালু খাঁ।

কালু খাঁ কয় সবাই খাবে

নে, ধর তুই লালু খা।

লালু কয় শোন তাড়া আছে

সবাই একটু চালু খা।

বইসা আছে সালু খাবে

সঙ্গে তার খালু খাবে

বড় বাড়ির জালু খাবে

আলু না কি তালু খাবে?

তয় কি চরের বালু খাবে?

পারলে তা লাল শালু খাবে।

খড়মপুরের মালু খাবে

মিষ্টি আলু ফালু খাবে।

ভাতের ওপর চাপ কমাবে

খালি ভোল্টে সাপ জমাবে।

সঙ্গে কিছু পাপ জমাবে

তুই না, তোর বাপ জমাবে।

স্বাধীন মানে আলু খাবি

সঙ্গে কিছু গালও খাবি।

স্বাধীনভাবে দেবো গাল

কুমড়া গাছে লাউও লাল।

২৭/৪/২০১৮; ৫:৩০মিনিট।

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০৫১

সময় আবার কঠিন কি

আঁধার কবে আসে নাই?

সময় আবার কঠিন কি

সূর্য কবে হাসে নাই?

হাজার বছর আগেও মানুষ

মরছে, নাকি মরে নাই?

সত্য ন্যায়ের পক্ষে মানুষ

লড়ছে, নাকি লড়ে নাই?

বদরে যে লড়াই হলো

সেদিন সহজ দিন ছিল?

সেদিনও কি পানির তলে

একই রকম মীন ছিল?

স্বীকার কর তুই লড়াই করার

আগের মতো বুদ্ধি নাই

অথবা তোর অন্তর জুড়ে

সাহস এবং শুদ্ধি নাই।

যুগের সাথে মোকাবেলার

নাই সে ওমর, সাহাবী

এখন আছে সিয়া সুন্নী

তাবলিগী ও ওহাবী।

২৭/৪/২০১৮; ৫:৫০মিনিট।

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০৫২

তোমার ভোট তুমি দিও

আমার ভোটও তুমি দিও।

আমার ভোটের দরকার নাই

আমার খাবার আমি খাই।

রামদা মিছিল দেখো নাই

কোন সাহসে কেন্দ্রে যাই।

ভোটার খোঁজে পুলিশে

ঘুম থেকে নেয় তুলি সে।

এমন ভোটের দরকার কি

ভোটার বানায় সরকার কি

সরকার বানায় ইসি

পাবলিকে কয় ছি ছি।

আমি হীরা চিড়া খাই

পুলিশ দেখলে খুব ডরাই

ভোটের আমার কাম নাই,

আগে আয় জান বাঁচাই।

১৫/৫/২০১৮; ১১টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০৫৩

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০৫৪

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০৫৫

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০৫৬

পরের বউয়ের সঙ্গে যদি

এই অবস্থায় পড়তি ধরা

কি হাল হতো সেই জুটির

সত্যি করে বল না তোরা।

ক্লিনটনও পায় না রক্ষা

পায় না রাজা মহারাজা

বিশ্ব জুড়েই এমন পাপের

পায় সকলে কঠিন সাজা।

এরা নাকি লীগের পোলার

বড় বড় শিক্ষা গুরু

লীগে ঢুকেই ওরা নাকি

ধর্ষণ শিক্ষা করে শুরু।

তাইতো বাড়ে ধর্ষণ খুন

পরকিয়া রাহাজানী

কার মেয়ে কার শিকার হয়

আমি কি আর তাহা জানি?

পতিতালয় আগে ছিল

ছোট্ট পাড়ার গন্ডিতে

এখন নাকি ওসব পাড়া

সংসদ ও ধানমন্ডিতে।

টাকার লোভে বাড়ছে নাকি

হুড় হুড় করে পতিতা

টাকা পেলে নিচ্ছে মেনে

ঘন্টাভিত্তিক পতি তা।

লজ্জা শরম চিলে খাইছে

পিলে চমকায় সেই পাপে

দুনিয়াটাই নরক হয়

জাহান্নামের এই তাপে।

৯/৫/২০১৮; রাত ৯টা।

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০৫৭

জামাই খুবই ভালা

দেখতে শুনতে নাদুস নুদুস

রঙটা একটু কালা।

দেখেশুনেই মেয়ে তারে

দিছে গলায় মালা।

মেয়ের কথা একটা শুধু

বউ পিটান জামাই চাই না

জামাইর কথা কেন পিটাবো

আমি তো মদ খাই না।

মদ খাও না, ঘুষ কি খাও?

ডাইনে বায়ে রোজ কি চাও?

মন্দ পাড়া, তাও কি যাও?

সুযোগ পেলে ফাও কি খাও?

তওবা তওবা কি যে কন

মন্দ কাজে দেই না মন

শরিয়ত যা পাপ কয়

আমি তারে পাই ভয়।

মন্দ সাথে চলি না

মিথ্যা কথা বলি না।

আন্ধার রাইতে সবই কালা

আপনি বড় মানুষ ভালা।

লেংড়া কানা দোষ তো নাই

আমার শুধু মানুষ চাই।

১০/৫/২০১৮; সকাল ৯টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০৫৮

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০৫৯

সময়ের শ্লোগান

মুক্তির এক পথ

রাজপথ রাজপথ।

আর সইবো না অত্যাচার

রুখবো এবার স্বৈরাচার।

মিছিল দেখলেই করবি গুলি

উড়াস তুই কার মাথার খুলি।

জেল জুলুম আর টিয়ার গ্যাস

রুখবে এবার বাংলাদেশ।

পুলিশ সবাই জনতার

রুখবে সবাই স্বৈরাচার।

স্বঘোষিত স্বৈরাচার

এই মুহূর্তে গদী ছাড়।

অনেক সইছি আর না

গদী এবার ছাড় না।

ভোটের আগে গদী ছাড়

বেহায়া তুই স্বৈরাচার।

দেশের মালিক জনগণ

এ দেশ নয় তোর বাপের ধন।

আজ যাবি না যাবি কাল

যখন হবে চামড়া লাল।

পাকিস্তানী রাজাকার

এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়।

রনাঙ্গনে দেখি নাই

ভূয়া যোদ্ধা কর সাফাই।

আমরা হলাম জিয়ার দল

রনাঙ্গনে অবিচল।

স্বাধীনতা এনেছি

গনতন্ত্র আনবো।

আমরা সবাই জিয়ার সেনা

মিটিয়ে দেবো পাওনা দেনা।

১০/৫/২০১৮; রাত ৯টা।

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০৬০

সবাই বলে পড়ো পড়ো,

আমি কি মা কম পড়ি?

তৃমি পড়াও, টিচার পড়ায়,

ইস্কুলে রোজ বই পড়ি।

রোজই এসে হুজুর পড়ায়,

আমি পড়ি সুর করি

পড়ার আগে অজু করে

ময়লা সবই দূর করি।

জামা পরি, জুতো পরি

স্কুলে রোজ ড্রেস পরি

তারও আগে মুখ ধুয়ে

চেহারাটা ফ্রেস করি।

জুতার আগে মোজা পরি

সার্টের নিচে গেঞ্জি পরি

খাটের থেকে লাফিয়ে পড়ি নিচ

সাগর জলে ঝাঁপিয়ে পড়ি বিচে।

যতো বলো ততো পড়ি,

সারাটা দিন পড়াপড়ি

তারপরেও কড়াকড়ি

রাত্রি এলে ঘুমিয়ে পড়ি।

পড়া মানে শেখাতো মা,

সার্টের বোতাম ধরতে শিখি

জুতার ফিতে পরতে শিখি,

সাহস নিয়ে লড়তে শিখি।

জীবনটাকে গড়তে শিখি

মন্দ সাথে লড়তে শিখি।

২৯/৪/২০১৮; ২:৪০মিনিট।

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০৬১

ছাওয়াল হইতে প্রেম লাগে না

কাবিন লাগে শুধু

কাবিন থাকলে ছাওয়াল দেয় না

কোন দেশে কোন বধু।

বধু হইলো মধু ভান্ডার

মুড়ি মেখে খাও

মধু খাওয়া শেষ হয়েছে?

ভান্ড ফেলে দাও।

তোমার আমার প্রেম ছিল না

প্রেমতো ছিল দলীলের

পদ ছাড়ার পর যেমন প্রেম

ছিল আবদুল জলীলের।

পুরাণ মধুর দাম বাড়ে আর

নকল মধু পঁচে যায়

পদ হারালে বিজ্ঞ নেতাও

তেলাপোকার লাথি খায়।

বুড়োর প্রেম পিঁপড়া খায়

খালি খাটে ব্যাঙ লাফায়।

প্রেম থাকে শুধু স্বার্থে

নইলে পালায় পার্থে।

৩০/৪/২০১৮; সকাল ৯টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০৬২

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০৬৩

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০৬৪

আয় ছেলেরা আয় মেয়েরা

মাছ ধরিতে যাই

রাজারবাগের পুলিশ লাইনে

মাছের অভাব নাই।

জলে যদি নামতে না চাস

মালিবাগের রাস্তাতে

ছাদে বসে বড়শি ফালা

দেখ কি মজা পাস তাতে।

গরীবরা আয় বাসে চড়ে

বড়লোকে হুন্ডাতে

সাবধান থাকিস নইলে সব

নিয়ে যাবে গুন্ডাতে।

ঝাকি জালে টাকি পাবি

ঠেলা জালে মেলা মাছ

আয় ছেলেরা আয় মেয়েরা

জলে খেলি বেলা নাচ।

চাঁইয়ের বদল টেক্সি পাতি

চিংড়ি মাছের আশায়

সাগরের সব ইলিশ মারি

বসে নিজের বাসায়।

উন্নয়নের জোয়ার বইছে

শহর বন্দর গাঁও

নৌকাতে দাও আবার ভোট

আরো যদি চাও।

১/৫/২০১৮; দুপুর ২টা।

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০৬৫

তুমি থাকো বিশ তলাতে

আমি থাকি বস্তিতে

তুমি থাকো টেনশনে আর

আমি থাকি স্বস্তিতে।

তুমি খাও গোস্ত পোলাও

আমি পান্তা বাসি

তোমার নাকি পেট খারাপ

আমার মুখে হাসি।

তুমি খাও হারাম কামাই

আমি হালাল খাই

তোমার মনে শান্তি নাই

আমি শান্তি পাই।

একদিনেইতো মরি দুজন

তুমিও একা, আমিও

কেউ যায় না সঙ্গে কারো

স্ত্রী, সন্তান, স্বামীও।

আমি হাসি খুশী মনে

তুমি লুকাও মুখ

জাহান্নামের আগুন দেখে

উধাও তোমার সুখ।

এই পাড়ে তুই ছিলি হাকীম

আমি অধম বান্দা

এখন দেখি আমি মুক্ত

তোর হাত পিছে বান্ধা।

১/৫/২০১৮; রাত ৯টা।

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০৬৬

নুরা পাগলা দেখতে যেন হারকিউলিসের মত

কয়েক মণ শিকল গায়ে থাকতো অবিরত।

নুরা পাগলা বুড়া হয় না ঘুরেফিরে খায়

সবার কাছে দশটি টাকা হাত পেতে সে চায়।

হাইকোর্টের অই মাজারে গড়ে নিজের আস্তানা

ভক্তরা কয়, মস্ত কামেল, মস্ত বড় মাস্তানা।

পরতোনা সে কোন কাপড়, শিকল পোশাক তার

কত যে তার ভক্ত ছিল, রাখতো কে তার শুমার।

দশটা টাকার বেশী দিলে কখনো তা নিত না

দেখলে যদিও ভয় পেতাম মার কিন্তু সে দিত না।

বেশি টাকা নেয় না কেন? ভক্ত হেসে কয়

কিছু না ভাই, পরকালে হিসাব দেয়ার ভয়।

বড় বড় পুঁজিপতি আমার মত যখন যাবে মারা

তার হিসাবের বস্তা নেয়ার লোক পাবে কি ভাড়া?

মানুষ কেন কষ্ট করে জমায় টাকাকড়ি

বললে বলে বোকা মানুষ খাইছে লোভের বড়ি।

কোন রাজা মহারাজা বাঁচতে কেউ তো পারে নাই

কি কাজে কও লাগবে তবে এতো অঢেল কামাই?

১/৫/২০১৮; রাত ১০:৪০মিনিট।

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০৬৭

হীরালালের বুদ্ধি কম, মামা বলে কিনে নে

খালু বলে কিনবি ক্যান পারলে বুদ্ধি ঋণে নে।

মামা খালুর কথা শুনে গেল পাড়ার দোকানে

কেউ বেঁচেনা বুদ্ধি শুনে দুই লিটারের কোক আনে।

বুদ্ধি কিনতে গেল হীরা নবাবগঞ্জের পীর হাটে

সাপ, বানরের খেলা দেখে হীরার সারা দিন কাটে।

হীরালালের কথা শুনে দোকানীরা সব হাসে

এমনকি তার পুরান বন্ধু, কথা শুনে রব হাসে।

বুদ্ধি কিনতে হীরা একদিন ট্রেনে গেল শহরে

হাজার হাজার মানুষ দেখে হাজার গাড়ি বহরে।

পেল অনেক সুপারসপ বুদ্ধি কোথাও পেল না

কত গাড়ি এলো গেলো, বুদ্ধির গাড়িএলো না।

হীরালালে বাড়ি এসে দাওয়ায় বসে কান্দে

মা মাথায় হাত বুলায়, কয়, স্কুলে যা চান্দে।

লেখাপড়া করলে বাজান বুদ্ধি গজায়, বাড়ে

বুদ্ধি রাড়ে মাছে যখন পানিতে লেজ নাড়ে।

বাগুন ক্ষেতে বাগুন বাড়ে, কলা গাছে কলা

বয়স হলে বুদ্ধি বাড়ে, বুদ্ধিতে যায় চলা।

২/৫/২০১৮; ভোর ৫টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০৬৮

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০৬৯

আয়রে দেয়া আয়রে

বানকুড়ালি বায়রে

পরের মাল যে খায়রে

তারে ধরে খা

যা রে দেয়া যা।

পড় পড় পড় বাজ পড়

ছিনতাইকারী আজ ধর

হোক নারী সে হোক নর

উড়িয়ে নে সব শুকনো খড়

ছিনতাইকারী খা

যা রে বাজ যা।

আয়রে দেয়া হাওয়ায় চড়ে

ব্যাংক লুটেরা নে রে ধরে

নে রে ধরে শেয়ার চোর

ধরে নে তুই হারামখোর।

খা রে দেয়া খা

জলদি করে যা।

আয়রে দেয়া আয়

উঁইপোকা বই খায়

আমার পরাণ যায়

জলদি দেয়া আয়।

২/৫/২০১৮; বিকাল ৪টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০৭০

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০৭১

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০৭২

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০৭৩

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০৭৪

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০৭৫

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০৭৬

আগে এটার জবাব দে,

বাইরে কেন হাত ছিল

তুই কি তখন ঘুমাইছিলি,

দিন ছিল না রাত ছিল।

চোখ দুটো কি বউয়ের ব্যাগে

তখনো তা জমা ছিল?

সঙ্গে কি তোর বান্ধবী, সোমা

নাকি তমা ছিল?

যে বাসটা তোর হাত কেটেছে

তারে তো তুই চিনিস না

শোকর কর তোর হাতই গেছে

তুই হসনি, ফিনিস না।

বাসের বাইরে হাত রাখা তো

কারো জন্যই ঠিক না

মাথাটা তোর আস্তই ছিল

হয়নি সেটা লিক না।

আমার মতো এতিম যারা

তাদের খাওয়া সদকা

খাসির গোস্ত খাওয়ার পর

পারলে রাখিস ভদকা।

বাসের বাইরে হাত রাখিস না

মনের ভেতর রাগ রাখিস না।

৩/৫/২০১৮; রাত ৯টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০৭৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০৭৮

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০৭৯

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০৮০

মেঘ না হলে বৃষ্টিজলে কখনো কি নাওয়া যায়?

গদী ছাড়া গদীর মজা কেমন করে পাওয়া যায়?

শীতের ওয়াজ করো না কেউ গরমে

তার কি ফল হয় বুঝতে পারবে মরমে

পরকিয়ার মজা কি আর বিয়া করে পাওয়া যায়?

অযথাই কি ঘরে বসে হাটের মারও খাওয়া যায়?

পাগল হলে পরের ছাগল জবাই করে খাওয়া যায়

স্বপ্নে রাতে সপ্ত আকাশ পার হয়েও যাওয়া যায়।

রাজপথে নাও পাওয়া যায়

নায়ে মাওয়া যাওয়া যায়।

আজব দেশে পথে পথে নানা গুজব হাওয়া খায়

রেল লাইনের বস্তিতেও রাজা রানী পাওয়া যায়।

গরুহাটে আটরশির উট এখন কিনতে পাওয়া যায়।

ভাই হারানো মায়ের মুখে এখন কি আর চাওয়া যায়

কলিকালের হালখাতায়

মিষ্টি থাকে তাল পাতায়

বউয়ের হাতে স্বামী মরে এমন খবর পাওয়া যায়

অপরাধী ঘুরে বেড়ায় ভালো মানুষ জেলখানায়।

৪/৫/২০১৮; দুপুর ৩:৪৫মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০৮১

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০৮২

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০৮৩

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০৮৪

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০৮৫

জারুল গাছে ধরছে ফুল

ক্যান বুঝিস না নিজের ভুল।

পরের পায়ে যায় না হাঁটা

শক্ত কর তোর নিজের পা টা।

পরের মুখে খাইলে তোর

নিজের পেট তো ভরে না

তুই মরলে লোক কবর দেয়

সঙ্গে তো কেউ মরে না।

জোর যার এ মুলুক তার

এই কথা তো মিছা না

আগে নামো রাজপথে

পরে নরম বিছানা।

দামী কথা আমি বলি

গরীব বলে দাম নাই

তুমি যখন যাবে তখন

দেখবে গাছে আম নাই।

৫/৫/২০১৮; ৮:২৫মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০৮৬

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০৮৭

আর্মি পিটায় পুলিশে

পুলিশ পিটায় লীগে

লীগের মাথায় হাত রাখে

দেশের বড় বিগে।

আর্মি বড় না পুলিশ

তাও জানিস না ফুলিস!

সবচে বড় বিগে

তারপরেইতো লীগে।

দুধের স্বর তুই চাখবি

বিগের লগে থাকবি।

থাকবি তুই তদ্দিন

গাই দুধ দেয় যদ্দিন।

দুধ নাই গাইয়ের ওলানে

নে, ধর, তোর পোলা নে।

৬/৫/২০১৮; সকাল ৯টা।

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০৮৮

বাঘে খায় সিংহ আর

শিয়ালে খায় বাঘ

ছাগল মিয়া খায় না কিছু

মনভরা তার রাগ।

পুলিশ মারে আর্মি আর

লীগে মারে পুলিশ

পত্রিকাতে পড়িস শুধু

মূহুর্তে তা ভুলিস?

হাটে চোর পড়লে ধরা

চড় খায় সে কার

কে দেয় তারে লাত্থিগুতা

কে দেয় জবর মার।

এসব কিছু দেখার সময়

চোর কি কভু পায়?

কিন্তু চোরা পড়লে ধরা

বেদম মারই খায়।

ছাগলগুলো শিয়াল ধরলে

শিয়াল কুপোকাত

নইলে ছাগল দিন পাবে না

পাবে কেবল রাত।

৬/৫/২০১৮; সন্ধ্যা ৬টা।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০৮৯

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০৯০

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০৯১

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০৯২

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০৯৩

ইচ্ছে করে না আর লিখি

তবু বারংবার লিখি।

গলায় সোনার হার লিখি

নদীর ভাঙা পাড় লিখি।

কে খায় কার মার লিখি

উদয়পুরের ষাঁড় লিখি।

ওই যে কারাগার লিখি

তবু বারংবার লিখি।

যা ঘটে খবর তার লিখি

ইলেকশনের হার লিখি

কার কার মোটা ঘাড় লিখি

দুঃখ আমার মার লিখি।

১১/৫/২০১৮; দুপুর ২:৪৫মিনিট।

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০৯৪

হীরালালকে দেয় না বাকী

সব চায় নগদ দামে

মামা বলেন অসুবিধা নাই

কিনবি আমার নামে।

বেতন পেলে টাকা দিবি

আমারে তুই খামে।

খামের মুখ বন্ধ করবি

টেপে না হয় গামে।

এখন দেখি শীতের রাতে

হীরা শুধু ঘামে।

বললাম হীরা ঘামিস কেন

জ্বরে নাকি হামে।

হীরা তবু ঘামে

পিপাসা তার যায় না নাকি

এক লিটারের মামে।

হীরা একটু থামে।

বলে মামা সবই গেছে

দোকানদারের পামে

ব্যাংক একাউন্ট ফাঁকা করছে

দোকানদারে চামে।

চামের চাপে পইড়ো না

পামের বেলুন ধইরো না।

১১/৫/২০১৮; রাত ১১টা।

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০৯৫

আজব কথা আজব খবর

কত্তো শুনি ওমা

পরকে বলে জঙ্গী ওরা

নিজে মারে বোমা।

ছয় জঙ্গীর পাগড়ি দেখে

বিশ্বমোড়ল কাঁপে

এমন খবর ইহুদীদের

মিডিয়াতে ছাপে।

এসব কথা বিশ্বাস করে

আহাম্মকের জাত

বুঝি না হায় ওরা কেন

তবুয়ো খায ভাত।

সালাম দিলে সালাম মিলে

গালি দিলে গালি

জঙ্গী কারা বানায় বুঝে

গাঁয়ের হাসেম আলী।

বিকাল ৫টা।

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০৯৬

উন্নয়নের কথা একা বলবো কত? বলুন?

নিজের চোখেই দেখবেন, চলুন দাদা চলুন।

দেশ এখনো ভাসছে দেখুন উন্নয়নের জোয়ারে

তিন রমনী নাচ জুড়েছে ঘি ঢালুন এক পোয়া রে।

রিকসা চলে, গাড়ি চলে, রাজপথে চলে ভ্যান

নৌকা কিনবে? পয়সা নাই। পারলে কিনে দেন।

উন্নয়নের জোয়ারে দেখুন, ভাসছে সারা দেশ

ভাল যারা থাকার তারা, ভালই আছে বেশ।

দেশে অনেক বাড়ছে মানুষ কোথায় পাবে খানা

সড়ক জুড়ে ধান লাগাও, পাবে খাওয়ার দানা।

ভোট ধুয়ে কি পানি খাবা? কিসের নির্বাচন?

উন্নয়নের ভরা বস্তা সবাই মানিব্যাগে লন।

১২/৫/২০১৮; রাত ৯:৪০ মিনিট।

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০৯৭

কোনটা রেখে কোনটা কই

ঘটনার তো শেষ নাই

সব যে সঠিক বলতে পারবো

তারও পরিবেশ নাই।

প্রধানমন্ত্রী অফিসে যায়

বাসের ভেতর দাঁড়িয়ে

ছবি দেখেই বলছি এসব

বলছি নাতো বাড়িয়ে।

বাস্তবে তো দূরের কথা

কল্পনায়ও ভাবি নাই

যতোই দেখি এমন ছবি

কল্পনাতে খাবি খাই।

এই ছবিটা সত্যি নাকি

এই ছবিটা বানানো

এই কথাটা জাতিকে আজ

দরকার খুবই জানানো।

এটা যদি সত্যি না হয়

এ যদি হয় তামাশা

বুঝবি বাছা কারে যে কয়

কঠিন রক্ত আমাশা।

আর যদি হয় সত্যি ছবি

তবে কিন্তু বলতেই হয়

এ জামানায় এমন শাসক

সত্যি এটা কী বিস্ময়!

১৩/৫/২০১৮; রাত ১২:৫০মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০৯৮

 আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১০৯৯

মতিগতি ভাল নয়, ক্ষতি হতে পারে

হঠাৎ করে কারো ভীমরতি হতে পারে।

বিয়ে ছাড়া ছেলে ছোকরা পতি হতে পারে

বাঁকা পথে সাত খুনের গতি হতে পারে।

ন্যায়নীতি ব্যয়নীতি ইতি হতে পারে

রীতিনীতি অকারণে ভীতি হতে পারে।

মিতি মনি চট করে দিতি হতে পারে।

ধর্ষণ ও খুন করা রীতি হতে পারে।

নেতা যদি হতে চাও সেঞ্চুরী করো

ভয় পেলে বাছাধন আরো খুন করো

লুটপাট করার আগে হাত পাকা দরকার

নইলে কেমনে কও চালাবে এ সরকার।

মতিগতি ভালো নয় ক্ষতি হতে পারে

বিয়ে ছাড়া এ সমাজে পতি হতে পারে।

অকারণে কারো ভীমরতি হতে পারে

অচিরেই কারো বড় ক্ষতি হতে পারে।

১৩/৫/২০১৮; রাত ৮:৪০ মিনিট।

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-১১০০

 

No comments

Powered by Blogger.