আসাদ বিন হাফিজ এর ১০০ ছড়াঃ ৫০১-৬০০


আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫০১

ছড়া মানে ছড়া

ছড়া মানে ছড়া

ঝাল চানাচুর কড়া

কিম্বা ডালের বড়া

নুন মরিচে গড়া।

ছড়া মানে ছড়া

সকাল বেলার পড়া

চৈত্র মাসের খরা

পানি ঘড়া ঘড়া।

ছড়া মানে ছড়া

দামটা ভীষণ চড়া

যায় না কিছু ধরা

আয় না ছুটে ত্বরা।

ছড়া মানে ছড়া

কালীঘাটের মরা

কলস ওপর করা

এবং দুঃখ হরা।

তাইতো ছড়া খাই

যখন যেটা পাই।

৩০/১০/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫০২

এই ছড়াটা সবার

এই ছড়াটা শিশুর

এই ছড়াটা মিশুর

কানাই এবং বিশুর

এই ছড়াটা যিশুর।

এই ছড়াটা বুড়োর

এই ছড়াটা খুড়োর

কাতল মাছের মুড়োর

এই ছড়াটা গুরুর।

এই ছড়াটা নারীর

এই ছড়াটা বাড়ির

রিকসা এবং গাড়ির

এবং পুলিশ ফাঁড়ির।

এই ছড়াটা জেলের

এই ছড়াটা ছেলের

এবং কদবেলের

এই ছড়াটা রেলের।

এই ছড়াটা মেয়ের

এই ছড়াটা চে-এর

মাঝি মানে নেয়ের

এই ছড়াটা মায়ের।

এই ছড়াটা হাবার

এই ছড়াটা বাবার

এই ছড়াটা জবার

এই ছড়াটা সবার।

৩০/১০/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫০৩

হারাধন পোদ্দার

হারাধন পোদ্দার

জীবনটা যোদ্ধার

যুদ্ধটা দ্বন্দ্বের

ভাল আর মন্দের

যুদ্ধটা নিজে নিজে করি

মন্দটা বাদ দিয়ে ভালটাই ধরি।

 

হারাধন পোদ্দার

বাপ ছিল জোতদার

জোত ছিল লিজের

নাম ছিল  নিজের

সারাদিন জোতে কাজ করি

মন্দটা বাদ দিয়ে ভালটাই ধরি।

 

হারাধন পোদ্দার

স্বভাবটা বোদ্ধার

এসো বই পড়ি

সৎ পথে লড়ি

ঘুম রেখে গুণগুণ গান তবু ধরি

মন্দটা বাদ দিয়ে ভালটাই করি।

৩০/১০/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫০৪

হাওয়া ভবন টেন পার্সেন্ট

হাওয়া ভবন টেন পার্সেন্ট

নব্বই পার্সেন্ট খায় কে

কদম আলী কস না কথা

নব্বই পার্সেন্ট চায় কে?

 

যার মাথায় বুদ্ধি কম

পার্সেন্টেস সে তো খায়

বুদ্ধি  থাকলে সে কখনো

পার্সেন্টেস খেতে চায়?

 

আগে হতো ব্যাংক ডাকাতি

এখন ব্যাংক দখল হয়

মারের কোন ভয় থাকে না

অনায়াসে পায় যে জয়।

 

বুদ্ধি যদি থাকে তবে

তেল কিনে ছালায় ভর

অস্ত্র ফেলে এবার তুই

শক্ত হাতে কলম ধর।

 

কর সবে জয়োধ্বনি

এবার হবে বুদ্ধির জয়

থাকলে বুদ্ধি পকেট ভরা

তার নাই রে পরাজয়।

 

ব্যাংকের টাকা ব্যাংকে থাকবে

টাকা হবে আমার

ভাগনের গুণ বেশিই থাকবে

সুনাম থাকবে মামার।

১/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫০৫

আমার নারী আমার

আমার নারী আমার থাক

পরকিয়া করি না

আমার ঘরের নারীর রূপ

তাই তো মেলে ধরি না।

 

ভালবাসার দাবী হলো

সামলে রাখো ধন।

ঘরের সুখ রেখে কেন

যাবে বৃন্দাবন?

 

ছিলা কলা খায় না কেউ

কলা থাকে ঢাকা

তবে কেন করবে উদোম

পর্দাবিহীন ফাঁকা।

 

ঘরের কথা পরে জানুক

কারা এটা চায়

আমি জিগাই তারা সবে

ছিলা কলা খায়?

 

তবে কেন প্রেমের কথা

সবাইকে জানাও

ছিলা কলায় মাছি পড়ুক

এই কি তুমি চাও?

১/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫০৬

আঁকি না

জাহান্নামের পথে কাউকে ডাকি না

পূণ্য করলে নগদ করো, বাকি না।

প্রভুর কাজে কেউ দিও না, ফাঁকি না

মন্দ লোকের সাথে তাই তো থাকি না।

 

অন্ধকারে চলার জন্য, হাঁকি না

সব মেয়ে তো মা খালা নয়, কাকি না

শোল মাছ দিলে খেতে পারি, টাকি না

পরের গাছের কুল,না বলে, ঝাঁকি না।

 

বেহেশত পাবে সবাই এমন লাকি না

অন্ধকারের ছবি ছড়ায়, আঁকি না।

১/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫০৭

দুই মুঠো ভাত চাই

বাজারের হাল নাই

ঘরে কোন চাল নাই

রুটি খাবো ডাল নাই

পকেটেও মাল নাই।

 

শীত রাতে শাল নাই

ভাদ্রের তাল নাই

নদী নালা খাল নাই

জেলেদের জাল নাই।

 

পেট করে খাই খাই

খেতে তবে কই যাই

কি করে যে গান গাই

টাকা দূরে নাই পাই।

 

দেশ জুড়ে অনশন

মাথা ঘুরে বন বন।

জেগে ওঠো জনগণ

দূর হোক দুঃশাসন।

 

আশি টাকা বাগুন

বাজারেও আগুন

দরকারে রাগুন

এইবার জাগুন।

 

শান্তির রাত চাই।

মায়াময় হাত চাই

লজ্জায় তাঁত চাই

দুই মুঠো ভাত চাই।

২/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫০৮

ভালবাসার ঘ্রাণ

ভালবাসা যায় না পাওয়া বন্দরে

ভালবাসা পেতে পারো অন্দরে।

 

ভালবাসা যায় না পাওয়া মণ দরে

ভালবাসা পেতে পারো মন দরে।

 

ভালবাসায় লাগলে পোকা সন্দরে

ভালবাসায় লাগে কেবল দ্বন্দ্বরে।

 

ভালবাসা যদি তুমি চাও

অকাতরে ভালবাসা দাও।

 

যত দিবে তত বাড়বে ভালবাসার টান

জীবনটাকে রাখবে ঘিরে ভালবাসার ঘ্রাণ।

৩/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫০৯

আমার হাতে থাক চাবি

পথে নামলে ------ হামলা

ঘরে থাকলে ----  মামলা।

ভোট ঠেকাবে ---- আমলা

পারলে  ঠেলা ----- সামলা।

 

পুলিশের মাইরের ভয়

তারপরেও চাস  জয়?

এমনটাতো  হবার নয়

সামনে তোর পরাজয়।

 

গামলাভরা ভাত খাবি

আদর যত্ন সব পাবি

তুই ছেড়ে দে তোর দাবী

আমার হাতে থাক চাবি।

৩/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫১০

দিল্লীকা লাড্ডু

নেত্রী যদি পথে নামে তারে ধরে মারবি

নাবালিকা শিশু ধরে তার ইজ্জত কাড়বি।

বিরোধীদল গুম করে মাটির নিচে গাড়বি

এ অনাচার চালিয়ে যেতে আর কতকাল পারবি?

 

ভোটারের যার দরকার নেই সিইসি হলেই চলে

ভোটের আগেই জিতে যায় যারা দলেবলে

ভাবছিস বসে তারাই আবার আসবে ক্ষমতায়

কবে দিলি শিকল তুই আজরাইলের পায়?

 

দিল্লীকা লাড্ডু নাকি পাবলিক নেহি খায় গা

কবে ছাড়বি গদির মোহ ক্ষমতার এ জায়গা।

এ প্রশ্ন চায়ের কাপে, পাবলিকের সব আড্ডায়

তবে কেন কালু তুই ধরা খাইলি বাড্ডায়??

৩/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫১১

ভাউচার খোর

মাঝে মাঝে হ্যারিকেন

মাঝে মাঝে গোর্কি

উপকূলে যত হোক

তাতে বল তোর কি?

 

তুই থাকিস ঢাকাতে

শীতাতপ কক্ষে

লোভ শুধু টাকাতে

ওইটুকু বক্ষে।

 

বিল হয় কাড়ি কাড়ি

তুই নিস সব কাড়ি

তুই তবে চোর কি

ভাউচার খোর কি?

১২/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫১২

আমার মত আমি

আমার নাইরে কোন দল

আমার গায়ে নাইরে বল।

আমি করি না রে ছল

আমার কথার নাইরে তল।

 

আমার কথায় কেউ বা রাগে

কেউ বা আবার দূরে ভাগে।

কেউ বা আবার চমকে জাগে

কেউ বলে কি, এলাম বাগে?

 

কথায় ভালো মন্দ বলি

কথায় ছড়া ছন্দ বলি।

কোনটা পথ না, অন্ধগলি

কথায় কথায় সবই বলি।

 

আমি কারো শত্রু না

তেমনি কারো মিত্র না।

আমার মতো আমি

জলের মতো দামী।

৪/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫১৩

পালকি চলে ক্ষেতের আলে

গাঁয়ের বধু পালকি চড়ে শ্বশুড় বাড়ি যায়

বারে বারে বধু তবুও পিছন ফিরে চায়?

শ্বশুরবাড়ি মধুর হাড়ি

পালকি যায় তাড়াতাড়ি

কিশোর কালের কথা বউয়ের মনে পড়ে যায়।

 

কোথায় রইলো আদরের বাপ, কোথায় গেল মা

কোথায় রইলো ভাইবন্ধু, কোথায় রইলো গাঁ।

বাপের বাড়ি হইল পর

পরের বাড়ি নিজের ঘর

দেওর ননদ আগলে রাখে, আরো রাখে জা।

 

পালকি চলে ছন্দ তালে বেহারা কয়, হাইও

বরের বাড়ি যাবে যে যে, সঙ্গে সঙ্গে আইও।

পালকি চলে ক্ষেতের আলে

কদম ফোটে গাছের ডালে

বরের বাড়ি গিয়া সবে মজার খাবার খাইও।

 

খুশি মনে পরাণভরে আনন্দের গান গাইও

মনের মানূষ আইলে কাছে তাহার দিকে চাইও।

নাইতে যখন ইচ্ছে করবে, খুশি মনে নাইও

দুদিন বাদে বাপের বাড়ি জামাই নিয়া যাইও।

 

হাইওরে হাইও

কোনকিছু লাগলে কন্যা নন্দের কাছে চাইও।

৫/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫১৪

তোয়ালে সরাও

থাকি যে কোন খেয়ালে

পিঠ ঠেকেছে দেয়ালে

তবু সবাই চুমুক পারি

ভোগের নতুন পেয়ালে।

 

একটু যদি  হতো হুশ

ঠিকই বুঝতাম নিজের দোষ

খেতাম না আর লেবেনচুস

ঢুকতাম না আর গোয়ালে।

 

পুলিশ বান্ধব এ সরকার

দেশটা এখন কারাগার

এমন কথাই শুনছি দাদা

হীরালালের চোয়ালে।

 

দেশের মানুষ বান্ধা নাকি

শুভংকরের জোয়ালে।

হায় নেতারা এবার সরাও

মুখ থেকে ঐ তোয়ালে।

৭/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫১৫

নভেম্বরের সাত

নভেম্বরের সাত

স্বৈরাচার হয় কাত

পালায় আঁধার রাত

জাগো বীরের জাত।

 

নভেম্বরের সাত

হাতে রাখো হাত

চালাও প্রতিঘাত

আনো সুপ্রভাত।

 

নভেম্বরের সাত

আবার অকস্মাৎ

হবেই কুপোকাত

জাতির বিষদাঁত।

৭/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫১৬

গাঁয়ে চলো

ছোট্ট শিশু বার্গার চাউমিন কোন কিছুই খায় না

গাঁয়ে চলো গাঁয়ে চলো, একটাই তার বায়না।

ঈদের বন্ধে আম্মা গেলেন তাকে নিয়ে বাড়ি

যেথায় সবুজ বনবনানী বৃক্ষ সারি সারি।

 

গাঁয়ের ছেলের সাথে মিলে সেও গেলো বিলে

যেখান থেকে মাছ তুলে নেয় বগা এবং চিলে।

বিলের পথে যায় সে ছুটে হিজলতলা দিয়ে

বনপথে যায়রে সোনা সঙ্গী সাথী নিয়ে।

 

বিল থেকে যে তুলে আনে এত্তো শাপলা ফুল

কুঁচো চিংড়ি দিয়ে রাঁধতে মা করে না ভুল।

সকালবেলা সবাই মিলে মক্তবে যায় ছুটে

রাঙা রবির কিরণ নাকি দু হাতে নেয় লুটে।

 

নাই কোলাহল স্নিগ্ধ সবুজ আমার ছোট্ট গ্রাম

তাইতো বলি গ্রামকে আমি ভালবাসিলাম।

৮/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫১৭

ছি কুত কুত

ছি কুত কুত, ছি কুত কুত, ছি কুত কুত    কুত

ওই যে দেখ, দুধ নিয়া যায় গনি মিয়ার    পুত।

খেলার সময় খেলায় মন দে, করিস না খুতখুত

ছি কুত কুত, ছি কুত কুত, ছি কুত কুত    কুত।

 

ছি কুত কুত, ছি কুত কুত, ছি কুত কুত    কুত

তেতুল পাতা চিরল চিরল তাল পাতা গোল

শিং মাগুর নড়েচড়ে চুপটি থাকে শোল

শিশু খোঁজে ঘুমের মাঝে আপন মায়ের কোল।

 

ছি কুত কুত, ছি কুত কুত, ছি কুত কুত    কুত

ডড়াইলে ডর নইলে ডর নাই, নাইরে কোন ভুত

খেলায় হারজিত আছে নইলে খেলা হয় না জুত

ছি কুত কুত, ছি কুত কুত, ছি কুত কুত    কুত।

 

ছি কুত কুত, ছি কুত কুত, ছি কুত কুত    কুত

আল্লাহর, প্রিয় নবী ছিলেন আল্লাহতায়ালার দূত।

৮/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫১৮

জিন্দা লাশ

মানুষ কই, মানুষ কই?

সবই দেখি জিন্দা লাশ।

পথে ঘাটে ঘুরে বেড়ায়

স্বৈরাচারের জিন্দা দাস।

 

যুবক ছেলে মিছিল রেখে

ঘরে বসে খেলছে তাস।

বিপক্ষ দল সুবোধ বালক

অকাতরে নিচ্ছে ফাঁস।

 

বিদ্যুৎ গ্যাসের দাম বাড়ে

চোখ খোলে না ভোলানাথ

বাজার জুড়ে আগুন হাঁটে

গায় মাখে না কেদারনাথ।

 

ফজর আলী ফজর বেলা

দেয় কি মরার ঘুম?

আতর আলীর গায়ে মাখে

ইবলিশ কি রে চুম।

 

মানুষ ছিল মানুষ কই?

এরা পাড়ার কাস্টমার

আকাম করে বেরোতে দে

ওদের পাওনা জাস্ট মার।

 

মানুষ ছিল মানুষ নাই

রাম ছাগলে কান্দে

মানুষগুলো ঘুমিয়ে আছে

আকাশের ঐ চান্দে।

 

এখন যারা করছে অফিস

এরা সবাই জিন্দা লাশ

বাকীরা সব স্বৈরাচার

নয়তো তাদের পোষ্য দাস।

 

রাজনীতিবিদ আলু খায়

চাকর দিয়ে তেল মাখায়।

৮/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫১৯

খোদার মার

রাখেন মিয়া রাখেন

কোন মহল্লায় থাকেন?

 

ইংরেজ দেখছি, খানও দেখছি

দেখছি স্বৈরাচার

কেউ পারেনি সামাল দিতে

আল্লা খোদার মার।

 

বহুত দেখছি বাঘের ছাও

তাদের হম্বিতম্বি

সময় হলে উত্তর দক্ষিণ

সটান লম্বালম্বি।

 

কত দেখছি অজগর আর

কত জাতি সাপ

নিজের বিষে নিজেই মরছে

মাপ করেনি পাপ।

 

যারে যারে চা খাওয়াইছো

তারাই চালায় গুটি।

ঠিকই কইছো আসলেইতো

আমরা চুনোপুটি।

 

আমরা শুধু তাকিয়ে থাকি

কখন দেবে টান

টানের চোটে গদি হবে

কখন খান খান।

৮/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫২০

দল ভাঙার কল

দলের মাঝে দল

কেমনে ভাঙে দল?

বংশ প্রীতির ঢল

দল ভাঙার কল।

 

দলের মাঝে দল

কেমনে ভাঙে দল?

জেলা প্রীতির ঢল

দল ভাঙার কল।

 

দলের মাঝে দল

কেমনে ভাঙে দল?

বন্ধু প্রীতির ঢল

দল ভাঙার কল।

 

দলকে শক্ত করতে চাও

যোগ্য লোককে জায়গা দাও।

কাজ করে দাও ভাগ

হিসাব নাও ঠিকঠাক।

 

দল হলে অপ্রতিরোধ্য

জিতবে জনযুদ্ধ।

নইলে অসন্তোষ

কাড়বে সকল জোশ।

৮/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫২১

বিজয় দিবস

বিজয় দিবস, বিজয় দিবস

দিনটা মোটেও নয়কো নিরস।

বিজয় মানেই আনন্দে

জড়িয়ে ধরা সানন্দে

বিজয় মানে সুর ছন্দ

ফুলের সৌরভ, রূপগন্ধ।

 

বিজয় মানে পাখির গান

বুকের ভেতর সুখের তান।

বিজয় দিবস বিজয় দিবস

কেউ নয় আর চাকর বস

সবার বুকে উদার মন

স্বাধীনতা সারাক্ষণ।

 

ঈদের খুশি আজকে বেশ

ছাড়ো সকল হিংসা দ্বেষ

পরাণভরা সুখের গান

সবারই হোক মন মহান

মুক্ত উদার এক আসমান।

সবাই আসো এই বুকে

হিংসা বিভেদ যাক চুকে।

 

যারা ছিলে প্রতিপক্ষ

দাও এগিয়ে নিজের বক্ষ।

তোমাকে দেই ধন্যবাদ

দিলে বিজয়, জিন্দাবাদ।

তুমি পেলে পরাজয়

তাইতো আমি পেলাম জয়।।

 

আজকে আমার এই বিজয়

বন্ধু তোমার অবদান

এই যে দেখো তাকিয়ে আমায়

আমিই শ্রেষ্ঠ, আমি মহান।

৯/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫২২

পাপ

পাপ কখনো যায় না মোছা

যতই রাখো ঢেকে

পাপের ময়লা যায় না মোছা

গন্ধভরা লেকে।

 

পাপের আছে বাপ

অচিন কাল সাপ।

 

পাপ ওঠে তাই ভেসে

দাঁত কেলিয়ে হেসে।

যোগ দিতে নেই তাই কখনো

পাপের কালো রেসে।

১০/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫২৩

হবে না ক্যান?

তোমার মনে ভাবনা আছে

লিখবে না ক্যান?

তোমার শেখার ইচ্ছে আছে

শিখবে না ক্যান?

 

তোমার জানার ইচ্ছে আছে

জানবে না ক্যান?

আঘাত হানার ইচ্ছে আছে

হানবে না ক্যান?

 

বলতে চাচ্ছো মনের কথা

বলবে না ক্যান?

জয়ী হবার ইচ্ছে আছে

হবে না ক্যান?

১০/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫২৪

সহজ পথে চলতে হয়

সত্য কথা বলতে হয়

সহজ পথে চলতে হয়

মন্দ দেখলে জ্বলতে হয়

তবে কেনো দ্বিধা ভয়?

 

নর না তুমি, নরাধম?

তাই বলে কি ছাড়বে যম?

কাড়বে না কি তোমার দম?

কে বাঁচাবে? এটম বম?

 

ওসব চিন্তা দাও না বাদ

বলো, আল্লাহ জিন্দাবাদ

পাপ মানেতো গোপন ফাঁদ

তাতে আমল হয় বরবাদ।

 

সত্য কথা বলতে হয়

সহজ পথে চলতে হয়

ন্যায়ের পথে লড়তে হয়

কোরান হাদিস পড়তে হয়।

১০/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫২৫

নিষ্ঠা

ইচ্ছে গাছে ফুল ফোটাবে

ইচ্ছে গাছে ফল

গাছের গোড়ায় দাও না কেন

সবুজ সার ও জল?

 

সবার মনে জায়গা তুমি চাও?

 

সবার হাতে পুষ্পডালি

দাও বিলিয়ে দাও।

সুবাস কাউকে হয় না দিতে

এমনি পাবে ফাও।

 

প্রসব ব্যাথা ছাড়া কভু

মা হয় না কেউ

বাতাস ছাড়া নদীর বুকে

জাগে নাতো ঢেউ।

 

বাতাস যতো জোরে হবে

ঢেউটা ততো বড়ো

কষ্ট যতো করবে তুমি

ততোই হবে বড়ো।

 

বাতাস পেলে একাই নড়ে

শোন ধর্মের কল

নিষ্ঠা থাকলে ইচ্ছে কভু

হবে না নিস্ফল।

১০/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫২৬

ইসি আছে

দেশে নাকি ইসি আছে

আইন আদালত ভিসি আছে

শুধু রাজনীতিটা নাই

আয় টকশো খাই।

 

মিশর দেশে সিসি আছে

আমার দেশে ছি! ছি! আছে

বিচারপতি নাই

আয় মাগনা গুম খাই।

 

খাটের তলে চিঁ চিঁ আছে

ফলের ভিতর বিচি আছে

হক-ভাসানী নাই

হাল ধরে কে ভাই?

১০/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫২৭

মেঘেদের শাড়ি

আমার লেখায় যদি পাও কোন ভুল

ভেবে নিও ভুল নয়, ওটা কোন ফুল।

শিশুদের গাল দেখো রাঙা তুলতুল

সব গাল ওরকম হয় না অতুল।

সব নদী ডুবায় না তার দুই কূল।

 

ভুলগুলো হতে পারে নয়া কোন ফুল

হতে পারে রূপসীর খোলা এলো চুল।

হতে পারে দয়িতার কানে নয়া দুল

হতে পারে জালিমের নয়া কোন শূল

হতে পারে জালিমের কাজের মাশুল।

 

কবির কবিতা হয় মেঘেদের শাড়ি

কবির কবিতা হয়, না ভুলা সে নারী

কবির কবিতা দেয় সাত আকাশ পাড়ি

পঙ্খীরাজ ঘোড়া হয় পঙ্খীরাজ গাড়ি

গাড়িতে উঠবে নাকি! চলো তাড়াতাড়ি।

 

ভুলগুলো ফুল হয়, ফুল এলোচুল

ভুলগুলো যদি হয় আনন্দের মূল।

১০/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫২৮

প্রতিপক্ষ

প্রতিপক্ষ না থাকলে যে, জিত হবে না তাই

জেতার জন্য সবাই আমরা প্রতিপক্ষ চাই।

প্রতিপক্ষ ছিল বলেই জিত হয়েছে আমার

জিত হয়েছে বলেই আমি পেয়েছি এ খামার।

 

প্রতিপক্ষের জন্য আমি শ্রেষ্ঠ ও মহান

প্রতিপক্ষের হারে পেলাম অনন্য সম্মান

যার জীবনে প্রতিপক্ষ - পক্ষ কিছু নাই

তার জীবনে হার বা জিত কেমনে পাবে ভাই।

 

প্রতিপক্ষ না থাকলে কও, বিজয় পেতাম কই

কেমনে খেতাম মধুর মিষ্টি, কেমনে খেতাম দই।

প্রতিপক্ষ আমার কাছে তাইতো অনেক দামী

মুক্ত হলাম, স্বাধীন হলাম, আমরা মুক্তিকামী।

১১/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫২৯

লিমেরিকত্রয়

১.

আমার মাথায় ভীড় করে যে হাজার রকম ভাবনা

যে শোনে সে পাঠাতে চায়, ঢাকা থেকে পাবনা।

আমি বলি, ক্যান যামু

মুড়কি মুড়ি গুড় খামু

যা বলি তা ঠিকই বলি, এসব অলীক খাব না।

২.

আমি হীরা কইয়া গেলাম, হৃদ পাথরে লেইখা রাখ

সকল কিছু ধ্বংস হবে, থাকবে শুধু কোরান পাক

লড়াই হবে ঈমানদার ও বেঈমানে

হারজিত তো ঠিক হবেরে সেইখানে

শিয়াল যতোই হুক্কাহুয়া তারস্বরে ডাকতে থাক।

৩.

নির্বাচনে লাগে কি? কে জিতেছে ঘোষণা।

নির্বাচন কমিশনকে তবে কেনো পোষ না?

নির্বাচন কমিশনের বলা হিসাব নয়রে ভুল

এর বিপক্ষে বললে কথা বরাদ্দ যে শুধু শূল।

ভোটের বস্তা নিয়ে তুমি আঙুল তবে চোষ না।

১১/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫৩০

সিইসি ক্রয়

বহু কষ্টে কিনে আনলাম

নয়া ফ্যান জিইসি

মরিয়ম কয় কাকা কই

দেখি তোমার সিইসি।

 

কেডা কইছে তরে আমি

কিন্যা আনছি সিইসি

সিইসি না ঐ দেখ আমি

কিন্যা আনছি জিইসি।

 

যার যেটা দরকার দাদা

সে সেটা কিনে

মাঝি চিনে খুচরো পয়সা

সেকি সোনা চিনে?

 

যে চালাবে সরকার

সিইসি তার দরকার

তবেই নাকি যায়রে জেতা

ভোটার ও ভোট বিনে।

 

সবাই চায় ইলেকশনে

কেন্দ্রে থাকুক সেনা

চাইবে না যে বুঝবে তুমি

সে সরকারের কেনা।

 

কোন গোলামটা কেনা তুমি

দেখতে চাও

সময় আসুক এখন বসে

নাড়ু খাও।

১১/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫৩১

সিইসির ক্ষমতা

নির্বাচনে যেসব দল

সেনাবাহিনী চায় না

ভোট ডাকাতির সুযোগটা

তাদের আসল বায়না।

 

সেনাবাহিনী থাকলে যে

ব্যালট ছিনতাই চলে না

বাক্স ছিনতাই করার ফন্দি

মুখ ফুটে সে বলে না।

 

সেনাবাহিনী না থাকার কও

মানেটা কি দাঁড়ায়

সন্ত্রাস করার মওকাটা চাই

মহল্লা ও পাড়ায়।

 

ডিজিটালের জমানায় কও

এ সবের কি দরকার

সিইসিতো বললেই পারে

এবার অমুক সরকার।

 

কোটি কোটি টাকা বাঁচে

উন্নয়নের সরকার

ডিজিটালের এই জামানায়

বলো সে আর পর কার?

১১/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫৩২

অন্তমিলের গাড়ি

অন্তমিলের গাড়ি

যাবে সাগরদাড়ি

দিয়ে নদী পাড়ি

মধু কবির বাড়ি।

 

অন্তমিলের বস্তা

দামি তো নয়, সস্তা

ফেরি করে কস্তা

বলে দাদা, লস তা।

 

অন্তমিলের ঝোলা

খায় সে কোকাকোলা

মাগনা বিলায় তোলা

ঝোলায় আগুন, গোলা।

 

অন্তমিলের গাড়ি

মিলতো কাড়িকাড়ি

নাও না তাড়াতাড়ি

নইলে যাবে ছাড়ি।

 

অন্তমিলের গাড়ি

দিও না কেউ আড়ি

আড়িতো দেয় রাড়ি

আর খায় না তাড়ি।

 

যার যা লাগে নাও

সবই দেবো ফাও

কয় গজ তুমি চাও?

ছোট বোনকে দাও।

১২/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫৩৪

হায় হোসেন

আজ বেঁচে নেই নূর হোসেন

আয় সবে কইহায় হোসেন

তাজা গুলি      খায় হোসেন

কান্দে তার      মায় হোসেন।

 

আজ বেঁচে নেই নূর হোসেন

আয় সবে কইহায় হোসেন

কার গদি কে    পায় হোসেন

ক্ষমতায় কে     যায় হোসেন।

 

আজ বেঁচে নেই নূর হোসেন

আয় সবে কইহায় হোসেন

যে লিখতো      রায় হোসেন

এখন ফায়ার   খায় হোসেন

বিদেশ চলে     যায় হোসেন।

 

এখন হোসেন    মরে না

গণতন্ত্র          ঘরে না।    

লাউ গাছে তা   ধরে না

দুঃশাসনও      সরে না।

১২/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫৩৩

গাঁজাখোর রাজা

মিলের সাথে মিল মিলাও

আন্ধার রাইতে ঝিলমিলাও।

বাজুক ছড়ার ছন্দ

চোখ রেখো না বন্ধ

এইতো ছড়ার ছিলছিলাও

একটু হাসো খিলখিলাও।

 

সেদিন গেলাম বাজারে

খাইলাম কাঁঠাল আজা রে।

চা-ও খাইলাম তাজা রে।

বটগাছ তলে, মাজারে

খাচ্ছে দেখলাম গাঁজা রে

দেশের নতুন রাজা রে।

 

কইলাম রাজা খান কি?

আমি না, তুই খানকি।

দেশ চালাইতে গাঁজা খাই

মনে একটু শান্তি পাই।

 

দেশের মানুষ ভন্ড

দেই না ভয়ে দন্ড

মাফ করে দেই খুনী

দন্ড পায় সব গুণী।

 

তুই খাইলে খাইয়া যা

নইলে মার পুত বাড়ি যা।

১২/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫৩৫

তেড়ে কেটে তাক

 (সিরাজুল ফরিদ ছান্দসিকীকে নিবেদিত)

তেড়ে কেটে তাক, তেড়ে কেটে তাক

তুই শুয়ে থাক, তেড়ে কেটে তাক,

দেশ যায় যাক, তেড়ে কেটে তাক

গদি যায় যাক, তেড়ে কেটে তাক

বদি গদি পাক, তেড়ে কেটে তাক।

 

তেড়ে কেটে তাক, তেড়ে কেটে তাক

দেশ লুটে খাক, হায়েনার ঝাঁক

তেড়ে কেটে তাক, তেড়ে কেটে তাক

মাটি হোক খাক, তেড়ে কেটে তাক

কাটা যাক নাক, তেড়ে কেটে তাক।

 

তেড়ে কেটে তাক, তেড়ে কেটে তাক

মাছ ঢাকে শাক, তেড়ে কেটে তাক

আসে কালো কাক, তেড়ে কেটে তাক

সীনা হোক চাক, তেড়ে কেটে তাক

কে দেবেরে ডাক, কে দেবেরে হাঁক

তেড়ে কেটে তাক, তেড়ে কেটে তাক।

 

মাথা হোক টাক, তেড়ে কেটে তাক

তেড়ে কেটে তাক, তেড়ে কেটে তাক

আগে চাই বাক, নেতাদের ডাক

চাই মধু চাক , তারপর লাক

দূর হোক ফাঁক, তেড়ে কেটে তাক

তেড়ে কেটে তাক, তেড়ে কেটে তাক

তেড়ে কেটে তাক, তেড়ে কেটে তাক।

১৩/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫৩৬

তারা এবার জাগুন

ব্যর্থপ্রেমের কথা লিখে

কেউ ছড়া বা কাব্যে

ভাবে নাতো এই ব্যর্থতায়

কে কি রকম ভাববে।

 

ব্যর্থতা তো পায় সে লোক

যোগ্যতা যার কম

কেউতো আবার প্রেম বাগানে

ফুটায় প্রেমের বম।

 

অচিন মেয়ে কেমনে তারে

করলো নিজের বশ

এসব লিখেই কেউবা আবার

বাড়ায় নিজের যশ।

 

দেশের মানুষ কষ্টে মরে

বাজারে সব আগুন

এসব কথা লিখবে কারা

তারা এবার জাগুন।

১৩/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫৩৭

জানের মায়া

জানের মায়া বড় মায়া

এই মায়া কি ছাড়া যায়?

সরকার থাকলে বিপক্ষে

তার সাথে কি পারা যায়?

 

বিচারপতির বিচার করে

এইডা কেমুন সরকার?

বিচারপতি ন্যায়বিচারক

সে বলো হায় পর কার?

 

তবু তাঁরে কেনো বিদেশ

গুষ্ঠিশুদ্ধ পালাতে হয়?

মনের আগুন নতুন করে

কেন আবার জ্বালাতে হয়?

 

সেই আগুনের রেশটা

কোথায় হবে শেষটা?

১৩/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫৩৮

অহংকারের ছাতা

ছিঁড়তে পারো কেশটা

কয়টা গড়তে পারো?

একটা কেশ গড়ার শক্তি

আছে নাকি কারো?

 

কেশটা গড়ার শক্তি নাই

মানুষ তুমি মারো

কয়দিন বাঁচবে সেই কথা কি

তুমি বলতে পারো?

 

না পারলে ভাই এবার তুমি

মানুষ হত্যা থামাও

গর্ব অহংকারের ছাতা

এবার তুমি নামাও।

১৩/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫৩৯

কোন নবীর মাজার নাই

কোন নবীর মাজার নাই

তুমি মাজার বানাও

দ্বীনের সাথে এর সম্পর্ক

নেইতো কড়ি কানাও।

 

পরকালে কেমনে চাও

তুমি খোদার পানাও

এই দুনিয়ায় খাচ্ছো খাও

খোদার দেয়া দানাও।

 

আজরাইলে ছুঁড়বে যেদিন

বুকে তোমার হানাও

টের পাবে এই মাজার গড়ার

আসল মজার খানাও।

 

বাঁচতে হলে নিজের হাতে

কোরান হাদিস আনাও

নইলে তো কেউ মাফ পাবে না

মাজারঅলা নানাও।

১৩/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫৪০

হিল ফীল মিল

এমন কোন কাজ করো না

খেতে হবে কিল

এমন কোন কাজ করো না

খেতে হবে ঢিল।

 

মরা গরু খায় না শোন

উড়ন্ত গাঙচিল

বোকার মতো আর ছুটো না

কান নেয়নি চিল।

 

সকল সময় ঠান্ডা রাখো

তোমার মন ও দীল

সবারতো আর খেতে হয় না

হিসাব করে পিল।

 

মাছ ধরতে একাই যাও

তুমি চলন বিল

শোয়ার আগে দেখে নিও

বন্ধ কি না খিল।

 

ঠিকই জানি আমি তোমার

কোথায় কোথায় তিল

আর যাবো না যুদ্ধ করতে

কখনো তারগিল।

 

মন্দ কাজের তালিকাটা

করো গালা সিল

চাইলে তোমায় এনে দেবো

আকাশের ঐ নীল।

 

এভাবেই তো মিলাতে হয়

সকল অন্তমিল

তবেই তোমায় বলবে লোকে

তুমিও সুশীল।

 

মনে একবার লাগলে দাগা

হয় না কভু হিল

আবরাহাটার খবর জানতে

পড়ো সুরা ফিল।

১৩/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫৪১

আবোল তাবোল বাবোল গাম

আবোল তাবোল বাবোল গাম

মুখে করো চুনকাম

নিজের চেহারায়

মুখোশ ছাড়া কিছু লোকের

বাঁচা বড় দায়।

 

করছে তারা এমন কাম

ছুটছে নাকি গায়ে ঘাম

শুকনা গলায় চায় যে মাম

পরাণ নাকি যায়

বাঁচা বড় দায়।

 

পড়লে ধরা পাবলিকে

মেরে করবে চামচিকে

থাকা নাকি দায় টিকে

শুধু ভিরমি খায়

আবোল তাবোল গায়

এদিক ওদিক চায়

বিরহ গান গায়

উঠবে না আর নায়

নায়ে বাঁচা দায়

বিদেশ কেমনে যায়

আছে সে ধান্ধায়।

 

আবোল তাবোল বাবোল গাম

কালকে ছিল হায় কি দাম

এখন নাকি তুলবে চাম

বাঁচাও হরি, বাঁচাও রাম

মুসলিম ছিলাম, কি করলাম

জায়গা দেয় না মায়

বাঁকা চোখে চায়

হায়রে আমার পোলার মায়

বাপের বাড়ি চইলা যায়

কি করি উপায়

আমি কি করি উপায়

আহা! কি করি উপায়।

১৩/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫৪২

আমার মন ভাঙা

তোমার মন চাঙা

আমার মন ভাঙা

লোকজন বলাবলি করছে সবে

ওদের ধরে টাঙ্গা।

 

পড়ছি আমি অথৈ জলে

কোথায় পাবো ডাঙ্গা?

 

আমার মন ভাঙা

বলতে পারো নাঙা

এই বয়সে করবে না আর

কেউতো আমায় হাঙা।

 

টেক্সি ছাড়া কওতো আমি

কেমনে চড়বো টাঙা?

 

তোমার মন রাঙা

আমার মন ভাঙা

দেবো নাকি লাগিয়ে আবার

সারাদেশে দাঙ্গা?

 

চলছে খেলা চলুক আরো

নতুন খেলা চাঙা।

১৫/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫৪৩

ঝিলমিল ঝিল

ঝিলমিল ঝিলমিল ঝিল

মারছিস কেনো কিল?

দিচ্ছিস কেনো গালি?

ওহে নাগর আলী?

 

নাকের নিচে তিল

আবরাহা খায় ঢিল

কেউ কেউ খায় রে গুলি

সবই গেলি ভুলি?

 

মাঘে হলে ঢল

দেশ যায় রসাতল

লিখলে ছড়া কড়া

ঘাটে ভাসে মরা।

 

মরার মায়ে কান্দে

কই গেলি রে চান্দে?

আয়রে চান্দু বুকে আয়

দেখ, উঠানে মা তড়পায়।

 

তুমি চালাও গুলি

কেমনে আমি ভুলি?

তাই দিয়েছি ঢিল

মানুষ মেরে পাও না ব্যথা

কান্দো খেয়ে কিল।

১৫/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫৪৪

ইলেকশানে জেতার নকশা

ইলেকশানে জেতার আহা

নকশা কী নিখুঁত

হুলিয়া নিয়ে ঘুরে বেড়ায়

লক্ষ মায়ের পুত।

 

লক্ষ লক্ষ মামলা চলে

আসামীর নাই সীমা

বিরোধীদল ঘায়েল করার

এসব নাকি বীমা।

 

ক্ষমতা চাই নিজের হাতে

পাবলিকের নেই কেয়ার

তবে কেমনে নির্বাচনটা

হবে বলো ফেয়ার?

১৫/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫৪৫

হযরত আলী দত্ত

সত্য কথা বলি না

কেউ বলে না তাই

সবার সাথে তাল মিলিয়ে

আমি চলতে চাই।

 

মিথ্যা কথা বলি না

বিপদ আছে ভাই

পরকালে মিথ্যাবাদীর

দোযখ হবে ঠাঁই।

 

এখন যেটা বলি সেটা

না মিথ্যা, না সত্য

যেমন তোমার নাম হবে

হযরত আলী দত্ত।

১৬/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫৪৬

ভালবাসার জাল

যে লেখাটা লিখছি আমি

তা যে আমার নয়

এ লেখাটাই ছড়িয়ে যাবে

বিশ্ব জগতময়।

 

যখন যিনি পড়বেন আহা

সেই লেখাটা তার

নিজের মত ভাববেন তিনি

এ তার অধিকার।

 

মনে চাইলে করবেন তিনি

প্রচার জনে জনে

এতে আহা কষ্ট আমি

কেন নেবো মনে।

 

শুধু যদি একটু জানান

মনটা হবে খুশী

এতটুকু আশাই শুধু

আমি মনে পুষি।

 

ফুলের বনের পুষ্প সুবাস

কবে থাকে বন্দী

সব মানুষের সঙ্গে যে তার

সারা জীবন সন্ধি।

 

তেমনি লেখা সব মানুষের

সকল দেশ ও কালের

যার তুলনা হতে পারে

প্রিয়ার মুখ ও গালের।

ভালবাসার জালের।

১৬/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫৪৭

নানা স্বাদে ভরা

লোকটা আমি উরাধুরা

দেখতে নাকি বেজায় বুড়া

কেউ চাচা কয়, কেউবা খুড়া

সুপারি খাই গুড়া গুড়া।

 

ছড়াও আমার মন্দ

কেউ তাতে পায় গন্ধ।

করি না তবু দ্বন্দ্ব

হতাম যদি অন্ধ?

 

কেমনে লেখতাম ছড়া

দেখতাম ঘাটের মরা

চান্দে আকাশ ভরা

হৃদয় চিত্ত হরা।

 

আমি লিখি ছড়া

নানা স্বাদে ভরা

মিঠে এবং কড়া

শব্দ দিয়ে গড়া।

১৬/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫৪৮

যখন দেখবি রাত

তোরে কত ভালবাসি

বুঝলি না তুই সই

এমনি কি আর তোরে আমি

আস্ত বোকা কই।

 

দেশের মানুষ কিন্যা খায়

তরে খাওয়াই মাগনা

আদর করে পাঠাই মশা

রাতে রাখে জাগনা।

 

সবাই দেয় বাসা ভাড়া

তোর ভাড়াতো লাগে না

আমার জন্য তবু কি তোর

একটু মায়া জাগে না?

 

কুঁড়েঘর নয় তোরে আমি

পাকা ঘরে রাখি

গদীর মাঝে তবু কেন

দিস রে সই ঝাঁকি?

 

তোর ঝাঁকিরে ডড়াই না

পারলে করিস কাত

জনগণরে লইয়া কান্দিস

যখন দেখবি রাত।

১৬/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫৪৯

আগে বাঁচা নিজ জান

রাষ্ট্রীয় কোষাগার

লুটেছিল যারা

আজতক তারা কেউ

যায় নি তো মারা।

 

সে টাকায় গুন্ডাও

করা যাবে ভাড়া

ভোটে নাকি তারা সব

হয়ে যাবে খাঁড়া।

 

খাঁড়া হোক, ভাড়া হোক,

সব যাবে গাড়া

পাবলিক এইবার

দল বেঁধে দাঁড়া।

 

পাবলিক দাঁড়ালে

ভাড়াটিয়া পালাবে

ভয় শুধু পুলিশে--

তারা গুলি চালাবে।

 

গুলি যদি চলে তবে

জনগণ ধরবে

গরুহাটে ভোট চোর

কিল খেয়ে মরবে।

 

তাই সাধু সাবধান

আগে বাঁচা নিজ জান।

১৬/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫৫০

বুলেট নিয়ে খেলিস না

ছড়াতো আর কামান না

কারো খসম দামান না।

ছন্দ পাগলার তামান্না

পারলে তারে থামান না।

 

ছড়া শুধু কথার বুলেট

খুঁজে বেড়ায় মাথার টু- লেট

ছোট্ট বুলেট লাগলে বুকে

হঠাৎ করেই যায় যে ঢুকে।

 

এই বুলেটের শক্তি অসীম

করতে পারে জাতি এতীম

বুলেট নিয়ে খেলিস না

চক্ষু উল্টে ফেলিস না।

১৬/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫৫১

বিদায় কর

ডিভাইড ও রুল নীতিটা

বাড়ায় মনে ভীতিটা।

আমার ঘরে খায় দায়

বেড়া কাইটা কই যায়?

 

জোটের ঘরে দ্বন্দ্ব চায়-

কার টাকাতে বাদাম খায়?

জোট ভাঙতে চায় সে

তাতেই মজা পায় সে।

 

জামাত জ্বরে মরে  যে

শুনছি র এর ভাগনে সে।

আগে ছিল কেজিবির

এখন নাকি বিজেপির।

 

যে চিনে না আপনপর

তারে এবার বিদায় কর।

১৭/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫৫২

দুর্নীতি তোর নীতি

দূর নীতি দেখি না

কাছ নীতি সব

পাছ নীতি করাটাই

সকলের জব।

 

যে ঠেকাবে ডাকাতি

তার হাতে নোট

এর জন্য নিজেরাই

করে নেয় জোট।

 

লাখ লাখ টাকা নিয়ে

ধরা পড়ে লোক

সেই লোক শোনা যায়

আইনের চোখ।

 

দুর্নীতি দমনে

আইনের শমনে

এক চোখা লোক

সব দোষ করে নাকি

গদীহীন পোক।

 

সাদা সব রক্তখেকো

বড় বড় জোঁক।

দুর্নীতি তোর নীতি

জয় তোর হোক।

তুই খা বিয়ার আর

আমি খাই কোক।

১৭/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫৫৩

দুর্নীতি রাজ

দূর নীতি দেখি না

দুর্নীতি দেখি

মাঝে মাঝে সেই কথা

ছড়াতেও লেখি।

 

দুর্নীতি ঘরে ঘরে

দুর্নীতি অফিসে

দুর্নীতি করে খায়

চা রেখে কফি সে।

 

দুর্নীতি ভরা থাকে

সরকারী দপ্তর

বাবু বলে হারুকে

খেয়ে নে চপ তর।

 

আদালতে ঘরে ঘরে

দুর্নীতি হাঁটে

দুর্নীতি করে বলে

সুখে দিন কাটে।

 

দুর্নীতি করাটাই

এমপির হক

মানি চাই ভোটে তাই

আঁকা চাই ছক।

 

ভোট এলে তাই ছোটে

ওয়াদার ঝড়

দুর্নীতির পালে হাওয়া

লাগে তর তর।

 

টাকা খায় কাগজে

টাকা খায় ফাইলে

দুর্নীতি থামে নাতো

মানুষের গাইলে।

 

কমবেশী সকলেই

দুর্নীতিবাজ

দেশটাই বলা যায়

দুর্নীতি রাজ।

১৭/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫৫৪

ডট কম ডট

ডট কম ডট আহা ডট কম ডট

গদী ছাড় এইবার তুই ঝটপট।

ডট কম ডট আহা ডট কম ডট

রাখ তোর চাপা আর রাখ ফটফট।

 

ডট কম ডট আহা ডট কম ডট

পাবলিক গান গায় নট নেহি নট

ডট কম ডট আহা ডট কম ডট

নইলে যে ভেঙে যাবে ঘাড় মটমট।

 

ডট কম ডট আহা ডট কম ডট

গদী ছেড়ে এইবার দে রে চম্পট

ডট কম ডট আহা ডট কম ডট

সময়টা ভাল না, মেজাজটা হট।

 

ডট কম ডট আহা ডট কম ডট

তোরে আর চাই না, নট নেহি নট

ডট কম ডট আহা ডট কম ডট

গদী ছাড় এই বার তুই চটপট।

১৮/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫৫৫

কবে হবে জয়

হাওয়া ভবন খাইতো নাকি টেন পার্সেন্ট তাই

খাওয়া ভবন বললো আমার নাইটি পার্সেন্ট চাই।

শূন্য পার্সেন্ট খাইলাম আমরা দেশের জনগণ

কেমনে তবে ভাল থাকে ষোল কোটির মন?

আহা ষোল কোটির মন ভাইরে ষোল কোটির মন।

 

দুর্নীতি আর কয় না এখন স্পীড মানি কয়

পায়ের থেকে মাথা অব্দি ঢেউ যে তারই বয়।

কেউবা খায় দরবেশ সেজে কেউ দরদী হয়

নীতি আর নৈতিকতার হচ্ছে শুধু ক্ষয়।

আহা, হচ্ছে শুধু ক্ষয় রে ভাই হচ্ছে শুধু ক্ষয়।

 

হাওয়া ভবন, খাওয়া ভবন আছে এবং থাকবে

আমি ভাবি শোষিতরা কবে আবার জাগবে।

আল্লাহ নবী সব মানুষের, নেতা সবার নয়

আল্লাহর নামে শোষিতদের কবে হবে জয়।

আহা, কবে হবে জয় ভাইরে কবে হবে জয়।

১৮/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫৫৬

বুদ্ধি আমার কম

আমার বুদ্ধি অনেক কম।

বুদ্ধিমানরা ভাবে তাদের যম।

কারণ আমি মনের কথা

লুকাই না একদম।

 

বলতে থাকি মনের কথা

নির্ভয়ে হরদম।

কথাতো নয় যেনো ছলকায়

আহা আবে জম।

 

শুনলে কথা কারো কারো

মেজাজ হয় গরম

কেউবা আমার খুশি হয়ে

চড়ায় টমটম।

কেউ খাওয়ায় চমচম।

তবু বুদ্ধি আমার কম।

 

চোরকে নাকি যায় না বলা চোর

হারামখোরকে যায় না বলা

কভু হারামখোর।

মিথ্যা কথা বলতে হয়

বিশ্বাস হয়রে তোর?

বলতে হয় চোরকে সাধু

সাধুকে কও চোর।

নইলে নাকি ভাগ্যে জোটে

জেল, ফাঁসি ও গোর।

 

আমি নাকি উল্টো বলি

সারাক্ষণ একদম

বুদ্ধিমানরা ভাবে আমায়

আমি তাদের যম।

বুদ্ধি আমার কম।

১৮/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫৫৭

প্রশংসা সব তাঁর

যেই লেখাটা লাগছে ভালো

সেই লেখাটা আমার নয়

আমার কোন মামার নয়

বীর পালোয়ান গামার নয়।

 

সেই লেখাটা তাঁর দান

যার সৃষ্টি এই জাহান

তোমার আমার জন্ম সেও

তাঁরই দয়ার অবদান

তিনিই দেন নবী রাসুল

তিনিই দেন আল কোরান।

 

যেই লেখাটা লাগছে ভালো

সেই লেখাটা আমার নয়

সোনাদানা তামার নয়

রহিম কিংবা রামার নয়

সেই লেখাটা তাঁর

বুদ্ধি বিবেক সহায় সম্পদ

দান যে তাঁর দয়ার

তাঁকেই দেই ধন্যবাদ

প্রশংসা অপার।

১৮/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫৫৮

বিনি সুতোর মালা

শব্দ দিয়ে গাঁথি আমি বিনি সুতোর মালা

তাতে কারো রোগ সারে, কারো বাড়ে জ্বালা।

বন্ধুরা কয় চুপ কর তুই, মুখে লাগা তালা।

তালা তালা তালা রে, মুখে লাগা তালা।

 

শব্দ দিয়ে বিনি সুতোর মালা গাঁথি আমি

মালায় থাকে চুনোপুটি, রুই, কাতলা দামী।

গোস্বা করে চাচা চাচী, আপন মামা মামী।

মামী মামী মামী রে, আপন মামা মামী।

 

শব্দ দিয়ে বিনি সুতোর মালা গাঁথি আমি

তাতে নাকি সাহস পায় অনেক মুক্তিকামী।

আমার ছড়া পড়ে নাকি হাসেন অন্তর্যামী।

যামী যামী যামী রে, হাসেন অন্তর্যামী।

 

আমার ছড়া পড়ে সবাই করে মাতামাতি

ব্যাঘ্রমামা,শেয়াল কাকু, হরিণবেড়েন হাতি

মুখটা কালো করে শুধু চেয়ারম্যানের নাতি

নাতি নাতি নাতি রে, চেয়ারম্যানের নাতি।

 

বিনি সুতোর মালা আমি গাঁথি শব্দ দিয়ে

এই মালাতে করে নাকি বর কনে তার বিয়ে।

এই মালাটা যায় নিয়ে যায় সবুজ বরণ টিয়ে।

টিয়ে টিয়ে টিয়ে রে, সবুজ বরণ টিয়ে।

 

শব্দ দিয়ে গাঁথি আমি মালা বিনি সুতোর

এমপি সাহেব ডেকে কন, মার খাবিরে জুতোর

মার খামু না, আপনি ছাড়েন বাহানা সব ছুতোর।

ছুতো ছুতো ছুতো রে, বাহানা সব ছুতোর।

 

শব্দ দিয়ে গাঁথি আমি মালা বিনি সুতোর

এই দেশ কি জনগণের নাকি কারো পুতোর

প্রশ্ন করলে বলে দাদা, দেশ আসলে ভুতোর

ভুতো ভুতো ভুতোরে, দেশ আসলে ভুতোর।

১৯/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫৫৯

অবিচার ও সুবিচার

দুঃখের কথা বলবো কারে

নিজেই যখন সরকার

পুলিশে যা করছে তারও

বিহিত হওয়া দরকার।

 

যেই পোলা হাইজাক করতো

ব্যাবসা করে আজকে

তাদের যখন ধরে পুলিশ

পায়না বলো লাজ কে?

 

পোলা ধরে সঙ্গে আটক

করে হাজার ফেনসিডিল

ইয়াবার মতো অষুধ তাও

অভিযানে হয় বাতিল।

 

তারা সবে হাইজাক করুক

এই কি পুলিশ চায়?

নিজেরাতো ঠিকই আবার

ইয়াবা টেবলেট খায়।!

 

সবার দিকে সব সময়

নজর আমার কড়া

পুলিশকেতো কইনি আমি

নিষেধ শিবির ধরা।

 

তবু কেন করছিস তোরা

এতো অনাচার

পরের কাজে দিসনি বাঁধা

এইতো সুবিচার।

১৯/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫৬০

এতীম কইরো না

বাঁধা দিলে বাঁধবে লড়াই

পুলিশ তোমায় ছাড়বো না

আমরা সবাই সোনার ছেলে

হারতে বললেও হারবো না।

 

ফাঁড়িত গিয়া পিটান দিলাম

তবু শিক্ষা হইলো না

ঘুষি মাইরা দাঁত ফালালাম

তবু কথা কইলো না।

 

আইলে চালান যাইতে দিয়ো

পথে ঘাটে ধইরো না

সোনার ছেলে আমরা সবাই

পোলা এতীম কইরো না।

১৯/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫৬১

ক্ষমতা সম্বল

নাক টিপলে দুধ বেরোয়

দুই দিনের পোলা

বই থেকে প্রিয় তার

বারুদের গোলা।

 

হাইজ্যাক ছিনতাই

টেন্ডারবাজি

যত আছে সব কাজে

অতিশয় কাজি।

 

শুনি নাকি ছাইপাশ

কতকিছু খায়

ন্যায়নীতি ও বিবেক

চিলে নিয়ে যায়।

 

ভীতুদের ডিম ওরা

সরকারী দল

অস্ত্র ও ক্ষমতা

তার সম্বল।

 

তাই ওরা পুলিশের

গায়ে তোলে হাত

বুঝে দেখো ওরা তবে

কত বজ্জাত।

 

কোন দিন হয়ে যাবি

বেমালুম গুম

কাদাজলে ডুবে দিবি

জনমের ঘুম।

২০/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫৬২

রঞ্জন কাকু

রঞ্জন কাকু গো রঞ্জন কাকু

অমা! একি?

তুমি দেখি একদম টাকু।

হাতে কেন কাকু গো চকচকে চাকু?

তুমি কি আমার কাকু!

নাকি নামকরা ডাকু?

 

রঞ্জন কাকু গো রঞ্জন কাকু

ভয় পাই আমি খুব

মন আকুপাকু

ফেলে দাও হাত থেকে

চকচকে চাকু।

 

রঞ্জন কাকু গো রঞ্জন কাকু

তুমি হও তাঁত কাকু

আমি হবো মাকু

মিলেমিশে থাকবো দুজন

ভাতিজা ও কাকু।

২০/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫৬৩

ইচ্ছে আমার

ইচ্ছে আমার

নদীর মত তরতর করুক পানি

হাজার বছর বেঁচে থাকুক

আমার নানা নানী।

আবার যেন হয়রে ভাল

দাদার চোখের ছানি।

 

ইচ্ছে আমার

বাগান জুড়ে ফুটুক আরো ফুল

মানুষগুলোর যাক ভেঙে যাক

মনের যত ভুল

বুকের ভেতর বসত করুক

ভরা নদীর কুল

সবার মনে প্রেমের সুবাস

বইবে অনুকূল।

 

ইচ্ছে আমার

ইচ্ছে আমার দিচ্ছে ডাক

পশুত্ব আজ নিপাত যাক

মানুষরা সব সুখে থাক

জনে জনে সুখ বিলাক

ভালবাসুক আল্লাহ নবী

এই পৃথিবীর সব

যেমন করে ভালবাসেন

মহান স্রষ্টা রব।

২০/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫৬৪

নদী আছে জল নেই

যার কোন দল নেই

তার কোন বল নেই।

মাথা আছে তল নেই

বড় হওয়ার কল নেই।

 

যার কোন দল নেই

তার কোন বল নেই।

তেল দেবে? নল নেই

নদী আছে জল নেই।

 

যার কোন দল নেই

তার কোন বল নেই।

নেতা আছে হল নেই

জামা আছে ডল নেই।

 

গাছ আছে ফল নেই

মাঠ আছে বল নেই

ঢেউ ছলছল নেই

ঘরে পরিমল নেই।

 

মেঘ আছে ঢল নেই

পর খাবে, চল নেই।

মেয়ে আছে মল নেই

রাজপথে ঢল নেই।

 

নাই কোন দল নেই

এই কথায় ছল নেই

আমার তাই বল নেই

কাম করেও ফল নেই।

২১/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫৬৫

সুদিন পেতে ফু দিন

সুদিন আসছে সুদিন

পারলে একটু ফু দিন।

রাজপথে যান, ঢু দিন

দাদার মুখে থু দিন।

 

আর রবে  না কু দিন

একটু দাঁড়ান, দু দিন।

সুদিন পেতে ফু দিন

রাজি থাকলে টু দিন।

 

সুদিন আসছে সুদিন

একটু দাঁড়ান, দু দিন

যাবেই যাবে কু দিন

ভেপু বাজান পু দিন।

 

নাড়ু খাবি, বু, দিন

উঠবে সুরুজ, সু দিন।

ভাদার মুখে--- দিন

বলুন আসবে সুদিন।

২১/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫৬৬

ওরা ফুলের কলি

নাম দিয়েছি ডলি

যেন ফুলের কলি

নেচে বেড়ায়, হেসে বেড়ায়

বলে, টা টা চলি

ধমক দিলে রুখে দাঁড়াই

আদর দিলে গলি।

 

নাম নিয়েছি ডলি

মিষ্টি ফুলের কলি

মন্দ কাজে হই না খুশি

পারলে পায়ে ডলি

সুবাস ছড়াও সকল প্রাণে

সুযোগ পেলেই বলি।

 

নাম হয়েছে ডলি

বান্ধবী তার পলি

ঘরে ঘরে ফুটায় ওরা

সত্য ন্যায়ের কলি।

আদর সোহাগ পেলে যেন

গায়ে পড়ে ঢলি।

ওরা ফুলের কলি।

২২/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫৬৭

মন পবনের নাও

মন পবনের নাও গো তুমি মন পবনের নাও

অথৈ জলে ভেসে ভেসে কোথায় তুমি যাও?

কোথায় তুমি যাওগো নাও কোথায় তুমি থাকো

ঢেউয়ের ছলে জলের তলে মুখটা কেনো ঢাকো?

 

মন পবনের নাও গো তুমি মন পবনের নাও

কোথায় তুমি যাও হারিয়ে তাতে কি সুখ পাও?

তোমায় দেবো ফড়িং ধরে যদি তুমি চাও।

আরো দেবো ভালুক ছানা ঘুঘুর নয়া ছাও।

 

সবই দেবো যদি তুমি আমার কথা মানো

মিষ্টি সুরে শুনিয়ে যাবো আদর করে গানও।

রোজ সকালে খাবে তুমি পুরান ঢাকার নানও।

খেতে দেবো মিষ্টি মুখে তবক দেয়া পানও।

 

মন পবনের নাও গো তুমি মন পবনের নাও

যাওয়ার আগে একটু দাঁড়াও কথা শুনে যাও।

সবই পাবে যদি তুমি জুলুম রুখে দাও

বাসবে ভালো তোমায় সবে মামা চাচা মা-ও।

২২/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫৬৮

ছড়া লিখে লাভ কি

ভাল লিখে লাভ কি

খেতে দেবেন ডাব কি?

আপনি মোড়ল সাব কি?

 

ঘুমের ভেতর দেখি এখন

নানা রকম খাব কি?

খাইতে পারেন কাঁঠাল কোয়া

নাকি দেবো গাব কি?

 

ভাল ভাল ছড়া লিখে

ছড়াকারের লাভ কি?

বউ-ছেলেকে খেতে দেবে

পাতিল ভরা খাব কি?

২২/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫৬৯

অসময়ে জ্বলি না

তুই ওপাড়ার পলি না!

মিথ্যা আমি বলি না

অযথা কান ডলি না

সবার কথায় গলি না।

 

পরের কথায় চলি না

অসময়ে জ্বলি না

না সই আমার জলি না

আমি ফুলের কলি না।

 

ফুল কখনো দলি না

মূল মানে তো তলি না

বোচকা মারার থলি না

সহজে তো টলি না।

 

গলতে বললেই গলি না

আমি ফুলের কলি না

মানুষ হতে বললাম তবু

তুই তো মানুষ হলি না।

২৩/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫৭০

কপাল পোড়া

কাকের গোশত কাক খায় না

ঘোড়ার গোশত ঘোড়া

তোরা যদি মানুষ হবি নরমাংশ

খাচ্ছিস কেনো তোরা।

 

আস্ত মানুষ রোস্ট বানাবি

মানুষ দেখলে গুলি করবি

তোরা যদি মানুষ হবি তবে

মানুষ ধরে দিচ্ছিস কেনো পোড়া?

 

বাঘের বুকে আছে মায়া

তোর বুকে নেই মায়ার ছায়া

পশুর চেয়ে অধম যে তুই,

তুই অভাগা এমনি কপাল পোড়া।

২৩/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫৭১

এই ছড়াটা কামরুলের

এই ছড়াটা

কামরুলের

জন্মদিনের।

 

এই ছড়াটা

জাতির কাছে

অশেষ ঋণের।

 

এই ছড়াটা

মিষ্টি সুর ও

মুগ্ধ বীণের।

 

এই ছড়াটা

রোহিঙ্গাতে

মানুষ খুনের।

 

এই ছড়াটা

কামরুলের

অশেষ গুণের।

 

এই ছড়াটা

ছড়ার গড়া

তীর তুণের।

 

এই ছড়াটা

হুল ফুটানো

আলপিনের

 

এই ছড়াটা

কামরুলের

জন্মদিনের।

২৪/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫৭২

ডলা খাওয়া তামা

ক।

দাম বেড়েছে জ্বালানীর

দাম বাড়েনি ফালানীর

আবার যদি দাও গো ভোট

আমার পক্ষে চালাও ঠোঁট।

 

খোদার কসম এবার দেবো

ঘরে ঘরে দুধের ক্ষীর।

রুখে দেবো পাঠাক যত

বিরোধীরা মারুক তীর।

 

মোছো সোনা চোখের নীর।

শেখ সৈয়দ ধীবর বীর।

 

খ।

এখন কেন কাইন্দা কও

বিদ্যুতের দাম বাড়ান ক্যান

ভোট চাইতে গেলে তো কও

ট্যাকা দেন গো ট্যাকা দেন।

 

টাকা চাইবা পামু কই

তাই ইনকাম বাড়াইলাম

টাকা দিব ইলেকশনে

তাই টাকা কামাইলাম।

 

আগে ইনকাম পড়ে খরচ

ব্যাবসার নতুন ধারনা

এমন ব্যাবসা আমরাই পারি

আর তো কেউ পারো না।

 

ঠিক করি নাই মামা

পারলে তুইও কামা।

নয়তো আমায় থামা

পাবলিক ছিল চিরকালই

ডলা খাওয়া তামা।

২৪/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫৭৩

কিন্যা খাইতাম দই

বাপ- মা হারা এতীম আমি

তোর সে কথা জানা নাই?

এতীমের মাল এতীম খাবে

নাকি এতীম পানা নাই?

 

এতীমের মাল ভাগ করলি

আমার ভাগ কই?

এটা কিরে দুর্নীতি নয়

পাইনি কেন সই?

 

তাই ঠুকেছি মামলা

এবার ঠ্যালা সামলা।

 

ভাগের টাকা পাইতাম যদি

কিন্যা খাইতাম দই

নইলে খাইতাম শীত সকালে

কাঁথার তলে খই।

২৪/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫৭৪

কোন কথাটা ফানি?

চোখে পড়ছে ছানি

দেখি নাগো নানী

মনে হয় কারা যেন

করছে কানাকানি।

 

চোখে পড়ছে ছানি

দেখি নাগো নানী

মরির পোলা পিটান খাইয়া

ছাড়ছে দানাপানি।

 

চোখে পড়ছে ছানি

মারিস না গুলতানি

ঝাপসা দেখলেও বুঝতে পারি

চোখে তোর শয়তানি।

 

চোখে পড়ছে ছানি

দেখি নাগো নানী

বলতে পারিস এই ধরাতে

কোনটা গুমের রাজধানী?

কোন কথাটা কাজের আর

কোন কথাটা ফানি?

২৫/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫৭৫

থামরে হীরা থাম

হীরালালে বললো সেদিন, দাদা

আমায় তুমি যতোই ডাকো গাধা

মনের ভেতর ঘুরে আজব ধাঁধাঁ

প্রশ্ন থাকলে উত্তর দিতে কিসের এতো বাঁধা?

 

কেনো তোর কোন প্রশ্নের দেইনি উত্তর আমি?

সব সত্য আর কেউ নয়, জানে অন্তর্যামী।

বলরে হীরা বল

মনের ভেতর কোন প্রশ্ন

নড়ে অবিরল?

 

যার যা ফরজ করতেই হবে

এরতো কোন মাফ নাই

সেই ফরজ আদায় করতে

কেন তবে টাকা চাই?

 

তোর কাছে কে চাইলো টাকা

খোদার হুকুম পালন করে

উদ্ভট সব প্রশ্ন কেন

তোর মাথাতে সদা ফেরে?

 

ইমাম সাহেব নামাজ পড়েন

খোদার হুকুম, তাই

সেই নামাজের জন্য কেনো

বেতন আবার চাই?

 

মুসল্লিতো পায় না বেতন,

ইমাম পাবে কেনো

এমন প্রশ্ন করলে আমায়

গাধা বলেন কেনো?

 

থামরে হীরা থাম

মুখের মাঝে তালা লাগা

 নইলে বাবুল গাম।

২৫/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫৭৬

ভালরে ভাল

ভালরে ভাল, সবই ভাল

বেকার চেয়ে জবই ভাল।

পাখির কূজন রবই ভাল

চৌদ্দ তলায় টবই ভাল।

 

সাদা রং ধবধবই ভাল

তালার চেয়ে নবই ভাল

বাবুর চেয়ে ববই ভাল

চালের চেয়ে যবই ভাল।

 

ভালরে ভাল সবই ভাল

জিন্দা চেয়ে শবই ভাল।

শবের সাথে দ্বন্দ্ব নাই

তবে কেন গন্ধ পাই?

৩৬/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫৭৭

শীতের ছড়া

শীত শীত শীত

গারে গানা গীত

গারে গীত গানা

লাল মোরগের ছানা

ছানা ছানা ছানারে

গারে গীত গানারে।

 

গারে গীত গানারে

বুড়ি দেবে হানারে

কুয়াশার দানারে

দেখেনা তো কানারে

লেপ-কাঁথা বানারে

ঠোঁট ফাটে জানারে

কম্বল আনারে।

 

আনা আনা আনারে

গরীবেও পানারে

দিতে নেই মানারে

কুমিরের ছানারে

পায় না দানারে।

 

তবে পিঠা বানারে

বানা মজার খানারে

জামাই বাড়ি আনারে

খুশি হবে নানারে

গারে গীত গানারে।

 

ওম ওম শীতে---

ভালবাসা থাকলে

পারে না তা নিতে।

প্রেম শুধু গাঢ় হয়

প্রাণকাড়া গীতে।

খুশি হয় মেয়েরা

পেলে লাল ফিতে।

লেবু বেশি চিপলে

হয়ে যায় তিতে।

 

গারে গীত গানা

শীত দিলে হানা

খেজুরের রসে মন ভরে

ঠান্ডায় কেউ জ্বরে পড়ে

বাগানেও ফুল ফোটে থরে থরে

সবজির সবুজও থাকে চরাচরে।

 

শীতে তাই প্রতারক নেতা আর চাই না

লাউ সীম সবই খাই, প্রতারক খাই না।

সৎ নেতা যত খুঁজি কাছে তারে পাই না

জল নাই খালে বিলে নাও তাই বাই না।

২৬/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫৭৮

তই তই তই তইরে

নতুন করে পুরান কথা কইরে

বিশ্বাস না হয় পড়ে দেখো বই রে।

মিথ্যা বলা ছাড়তে হয়

সত্য বলা ধরতে হয়

লড়তে হয় ন্যায়ের পথে

চলতে হয় সরল পথে সঙ্গে নিয়ে সই রে।

তই তই তই তইরে

নতুন করে পুরান কথা কইরে।

 

নতুন করে পুরান কথা কইরে

বাড়া ভাতে দিস না কেহ মইরে

পোড়াবাড়ির চমচম ভাল, গৌরনদীর দই রে

বিয়েবাড়ির হৈ চৈ ভাল, হাওড়ের লাল কৈ রে।

সই গো সই,

তুইতো জানিস বরাবরই উচিত কথা কই রে।

আগের মত ভাল মানুষ এখন হয়তো নই রে

তই তই তই তইরে,

সুদিন আসবে এই আশাতে বসে আমি রই রে।

আর কতদিন এমনি করে কাটবে আমার সই রে।

২৭/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫৭৯

লেখায় যদি থাকে রস

লেখায় যদি থাকে রস

পাঠক হয় এমনি বশ।

বলতে হয় না পড়েন

নিজেই আপন করেন।

 

লেখায় যদি না রয় রস

যায় না ঠেকান নিজের ধ্বস

কাজ হয় না তেলে

পাঠক রাখে ফেলে।

 

লেখায় যদি থাকে রস

বাড়তে থাকে ক্রমেই যশ

মন যত সে কাড়ে

পরিচিতি বাড়ে।

 

মন কাড়াটাই লেখার মূল

ফুটে যেনো হাজার ফুল।

মনের ভেতর মনিহার

ভাল লাগাই পুরস্কার।

২৯/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫৮০

দুই বানানে একটা ভুল

দুই বানানে একটা ভুল

ছিঁড়ে নাইরে মাথায় চুল।

মাথায় পড়ছে ফর্সা টাক

মগজ খাইছে কালা কাক।

 

মগজ খাইছে কাকে তাই

যা বলি তা ভুলে যাই।

শিক্ষামন্ত্রীর লকব দিয়ে

দশ দশটা করবো বিয়ে।

 

তাইতো লিখি উদ্বোধোন

বুঝিস না ক্যান গোবর্ধন।

২৯/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫৮১

দেশ চালাতে গুন্ডা চাই

দেশ চালাতে গুন্ডা চাই

লেখাপড়ার দরকার নাই।

করলে দেবো ধরে শূল

আমার মত নয় কর ভুল।

 

ভুল করলেই প্রমোশন

ক্ষমতার পাবি ভাগ

আমার মত মন্ত্রী হবি

মাথায় যদি থাকে টাক।

 

দশটা হুন্ডা বিশটা গুন্ডা

দেখ আমার চেলাচামুন্ডা।

আমি জানি করতে বশ

দেখ না তোরা আমার যশ।

২৯/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫৮২

রক্ষক যখন ভক্ষক হয়

রক্ষক যখন ভক্ষক হয়

ডাকাত হয় পুলিশ

যতই হোক সত্য তথ্য

ফটো কেনো তুলিশ?

 

তার ক্ষমতা কতটুকু

জানা কি নেই তোর?

সব রাত্রের পরেই কি

আসে আলোর ভোর?

 

রাতের পরে আসে যদি

ঝড়ো মাতাল দিন

জীবন তখন থাকেনা আর

ঝলোমলো রঙিন।

 

এমন দেশে করি বাস

নিরাপদ নয় কারো লাশ।

জীবনের আর কি দাম

দেশবাসী গো সেলাম।

২৯/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫৮৩

চাঁদের বুড়ি নানী গো

চাঁদের বুড়ি নানী গো

জোয়ার ভাটা আসে কেন

ভাসে গাঙের পানি গো।

 

সর্বরোগের ঔষধ কেনো

মিষ্টি মধুর হানি গো।

কেউ না জানুক ওসব কথা

তুমি জানো, জানি গো।

 

চাঁদের বুড়ি নানী গো

এদল ওদল লড়াই করে

চায় যে গদিখানি গো।

মন্দ লোকে মিষ্টি মুখে

দেয় কি আহা বাণী গো।

 

তোমার দুইটা চক্ষু আছে

নওতো তুমি কানী গো

একটা করেই গদি তো চায়

দাওনা কেন আনি গো।

 

দুইজনে দুই গদিত বইসা

খিলি পান খাইতো

হেডফোন দিতাম কানে দিয়া

ব্যান্ডের গান গাইতো।

 

তবে পাইতাম আমরা শান্তি

সুখে দিন যাইতো

গদীর পাগল গদিত বইসা

যার যা খুশি গাইতো।

২৯/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫৮৪

আমার লেখা

আমার লেখা পড়েন যখন খালা

বলেন, দারুণ লিখিস ত তুই!

ভালা অনেক ভালা।

আমার লেখা পড়ে যখন কালা

বলে এটা লেখা হলো!

জ্বালা ভীষণ জ্বালা।

 

আমার লেখা পড়ে যখন বালা

আমার জন্য এগিয়ে ধরে মালা।

আমার লেখা পড়ে যখন শালা

আচম্বিতে দুয়ারে দেয় তালা।

আমার লেখা পড়ে মামামামী

বলেন আহা এই ছেলেটা

দারুণ মুক্তিকামী।

 

আমার লেখা পড়েন যখন দাদা

বলেন, ওর কথা আর বলবেন না

আস্ত একটা গাধা।

আমার লেখা পড়ে নানানানী

বলে একটু শান্তি পেলাম

ধড়ে এলো পানি।

 

আমার লেখা পড়ে চাচাচাচী

বলে, ভাস্তে যাসনে দূরে

থাকিস কাছাকাছি।

 

কারো কাছে আমার লেখা

মিষ্টি চমচম

কারো কাছে সেই লেখাটাই

এক্কেবারে যম।

২৯/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫৮৫

এই আছে এই নাই

এই দেখলাম এই নাই

ভানুমতির খেল নাই

হারিকেনে তেল নাই

খুনি হলে জেল নাই।

বেল গাছে বেল নাই

রেল লাইনে রেল নাই।

 

এই দেখলাম এই নাই

ভানুমতির হাত নাই

গরীবের পাত নাই

মায় কান্দে ভাত নাই

ক্ষমতায় রাত নাই

তুই খাবি খাত নাই

মানি আছে জাত নাই।

 

এই দেখলাম এই নাই

ভানুমতির চুল নাই

নেতা হলে ভুল নাই

নাকে তাঁর হুল নাই

খালে কোন পুল নাই

হাতে কারো ফুল নাই

গাছ আছে মূল নাই

কান আছে দুল নাই।

 

সেলফ আছে বই নাই

আমি কিছু কই নাই।

তুমি আছো আমি নাই

চলো মামা বাড়ি যাই।

২৯/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫৮৬

বুলেটের তো চক্ষু নাই

দলে দলে আর করো না ঝগড়া

এসব করে বোকা বোকা মগরা।

যে মরে সে কোনো মায়ের ধন

গাছ কাটলে উজাড় হয়রে বন।

 

যাকে মারলে সে হয়তো নয়রে আপন ভাই

অন্য ঘরে জন্ম নিয়ে দোষতো করে নাই।

বাংলা মায়ের সন্তান সেও, বিদেশীতো নয়

তাকে মেরে কি পেলে কও, কিসের হল জয়?

 

দলতো কোন জন্ম দেয় না, সন্তান জন্মায় মায়

মারার সময় টের কি পাও, মা যে দুঃখ পায়।

তুমি ছিলে ভাল ছেলে, দল বানালো খুনী

এমনি করে হচ্ছে নিকেশ দেশের সকল গুণী।

 

যত বড়ই হও না খুনী, একটা বুলেট চাই

জায়গা মত লাগলে দেখবে, তুমি বেঁচে নাই।

বুলেটের তো চক্ষু নাই, সে তো দাদা অন্ধ

এক নিমিষে সবারই দম করে দেয় সে বন্ধ।

 

তাইতো বলি দলে দলে করো বিবাদ বন্ধ

মানুষ কভু সয় নারে ভাই, পঁচা লাশের গন্ধ।

২৯/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫৮৭

শহর মানে কহর

ইট পাথরের বন্দী খাঁচা

শহর নামের জেল

মানবতা ফুটপাতে শোয়

তেলা মাথায় তেল।

 

দয়ামায়া মেঘের ছায়া

হাওয়ায় ভেসে যায়

আপনজনের সোহাগ সেতো

চিল শকুনে খায়।

 

ছেলেমেয়ে বিদেশ পালায়

বাপ- মা জেলে বন্দী

আয়া চাকর করে শুধু

নানা রকম ফন্দি।

 

সেন্ট্রি হলো গেট- দারোয়ান

জেলের পুলিশ আয়া

মাছ- মাংশ ওরাই খায়

কুকুর চিবায় পায়া।

 

মরার সময় পানি পানি

কাইন্দা মরে বিবি

আয়ার মন যে সিরিয়ালে

দেখছে বসে টিভি।

 

শহর মানে কহর পড়া

হৃদয়গুলো মরা

গাছপালা নেই বৃষ্টিও নেই

আছে কেবল খরা।

 

শহর মানে মরিচীকা

শহর মানে ভূয়া

তাই শহরে যেতে চায়না

মা- বাবা আর বুয়া।

৩০/১১/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫৮৮

যেই শহরে

কোথায় আমার শাপলা ভরা জল থৈ থৈ বিল

পুটি মাছের ঝাঁকের ঝিলিক ঝিলিমিলি ঝিল।

কোথায় গেলো গোদাজামের লাল টুকটুক রস

বেতস গোটা, ফেলা গোটার টক মিষ্টি কষ?

 

কোথায় গেলো ছোট্টবেলার সোনালী শৈশব

ডাংগুলি ও কানামাছির ঝগড়া, কলরব।

কোথায় গেলো শীত সকালে মায়ের হাতের নাড়ু

রান্না করার পাতা আনতে কোথায় গেলো পারু?

 

ধনেপাতার ঘ্রাণ মৌ মৌ সর্ষে ফুলের শোভা

শীতের দিনের ফুলের বাহার মিষ্টি মনলোভা।

এসব রেখে সেই শহরে কেমনে আমি যাই

যেই শহরে বাটপার বেশি, মানুষ বেশি নাই।

১/১২/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫৮৯

হাতির মাথায় ছাতি

হাতির মাথায় ছাতি

ধরে আছে কাষ্ঠগড়ের

মিয়া শেখের নাতি।

সারাটা দিন চলে গেল

আসলো আঁধার রাতি।

 

মিয়া শেখের নাতি

রাত্রিবেলা বনপথে

খুঁজলো আতিপাতি।

আর কিছু নয় শুধু একটা

আলোকজ্বলা বাতি।

 

মিয়া শেখের নাতি

তাকে নিয়ে হচ্ছে নাকি

অনেক মাতামাতি।

যেতে হবে অনেক দূরে

সুদূর ঝিনাইগাতি।

 

মিয়া শেখের নাতি

যাচ্ছে ঝিনাইগাতি

সেখানেতো বসে আছে

পন্থ চেয়ে স্বাতি।

সে যাচ্ছে বিয়ে করতে

দাদা যাচ্ছে খাতি।

২/১২/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫৯০

মেঘ তোর বাড়ি কই

মেঘ তোর বাড়ি কই, কই যাস তুই

শীত এলে লেপ কাঁথা গায়ে দিয়ে শুই।

মেঘ তোর বাড়ি কই, কই তুই যাস

আমি খাই ডাল ভাত গরু খায় ঘাস।

 

মেঘ তোর বাড়ি কই, যাস তুই কই

আমার আছে ইসকুল, আছে খাতা বই।

মেঘ তুই কই যাস, কই তোর বাড়ি

তুই যাস উড়ে উড়ে, আমি চড়ি গাড়ি।

 

মেঘ তুই কই যাস, কই বাড়ি তোর

আয় তোর সাথে মিলে বাঁধি প্রীতিডোর।

মেঘ তুই কই যাস, বাড়ি তোর কই

তোরে আমি কিনে দেবো ছড়া ছবির বই।

 

মেঘ তুই নেমে আয় হাত দিয়ে ছুঁই

তোর পিঠে চড়ে যাবো ছেড়ে এই ভুঁই।

২/১২/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫৯১

যদি থাকে দ্বন্দ্ব

শীতকালে শীত নাই

খেলা ছাড়া জিত নাই

যদি থাকে হিত ভাই

দুদলেই জিত পাই।

 

আম খাই জাম খাই

কেউ কেউ পাম খাই

কেউ নামধাম খাই

কেউ মদ রাম খাই।

 

ভালোবাসা থাকলে

খেলা হয় ভালো

হৃদয়ের তারে তারে

থাকে সুখ আলো।

 

যদি থাকে দ্বন্দ্ব

খেলা হয় মন্দ

ছুটে তার গন্ধ

মনে হয় অন্ধ।

 

হয় তাতে মারামারি

ভাল নয় বাড়াবাড়ি।

২/১২/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫৯২

বাকুম বাকুম বাক

কাকা এল কাতার থেকে

কাকতাড়ুয়া নিয়ে

তাইনা দেখে কাকাতুয়া

পালায় কাবুল গিয়ে।

 

কাকাতুয়া পালিয়ে গেলে

কান্না জুড়ে কাকি

কাকা বলে কান্না রাখো

পাখি দিল ফাঁকি।

 

কান্না রেখে আমায় দুটো

কাঁচা মরিচ দাও

শিং মাছ দিয়ে কাঁচা কলা

রান্না আছে খাও।

 

কাকি বলে কদম আলী

কমলা কই ডাক

কড়াইতে দেখ রান্না আছে

কচুরলতি, শাক।

 

তাই না শুনে কইতর ডাকে

বাকুম বাকুম বাক

নামাজ পড়ো কলমা পড়ো

শরীর রাখো পাক।

৩/১২/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫৯৩

ঘুষের বিজয় কেতন

ঘুষের ওপর ভাসছেরে দেশ

ঘুষ খায় রাজা মন্ত্রী

ঘুষ খায় যারা দেশপ্রেমিক

ঘুষ খায় ষড়যন্ত্রী।

 

ঘুষ দিলেতো খালাশ পায়

ডাকাত এবং খুনী

ঘুষে রাজা মজা পায়

আরো প্রজা, টুনটুনি।

 

ঘুষে আরো খালাশ পায়

লম্পট ও ধর্ষক

ফাইলের তলে পড়ে থাকে

ঘটনা লোমহর্ষক।

 

ঘুষ না দিলে মাদরাসার

হুজুর পায় না বেতন

ঘুষ পেলে পুলিশ উড়ায়

ঘুষের বিজয় কেতন।

 

চোর না খুঁজে পুলিশ খোঁজে

কোরান কার হাতে

তার বাড়িতে হানা দেয়

জঙ্গী বলে রাতে।

 

ঘুষের জোরে মোষে নাকি

বনের রাজা হয়

সিংহ এবং বাঘরা সবে

তারেই পায় ভয়।

৩/১২/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫৯৪

সব খাওয়া ঠিক না

জুস খাও, ঢুশ খাও

গরুর ফুসফুস খাও

কাঠি লেবেনচুশ খাও

হুশ খাও, ঘুষ খাও

তুমি অলম্বুস, খাও।

 

সব খাওয়া ঠিক না

পান খাও, পিক না

কিল খাও, কিক না

ছেলে ভাল চিকনা

সব খাওয়া ঠিক না।

 

সব খায় দালালে

তুমি থাকো হালালে

দালালের কান্না

তুমি পাবে পান্না।

৩/১২/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫৯৫

কাব্য মানে অহি না

কি বললে?

আমার কথা ছহি না

কাব্য মানে অহি না?

ঠিক বলেছো ভাই

ছহি কথাই চাই।

 

কার কথা ছহি?

ঝুট নাহি কহি।

দেখো খোদার বহি

ছহি সব অহী।

এসো তবে ভাই

অহী মানা চাই।

৪/১২/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫৯৬

ডানে চলো, বাম না

প্রেম করো কাম না

দুধ খাও রাম না

জীবন চাও দাম না

ভালোবাসো পাম না।

 

সুবে চাও সাম না

গতি চাও গাম না

কুশল চাও খাম না

স্বস্তি চাও ঘাম না।

 

আম খাও পাম না

সুখ চাও হাম না

কাজ চাও নাম না

ডানে চলো বাম না।

৪/১২/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫৯৭

জন্মতারিখ

কবে আমার জন্ম মাগো, বললাম আমি মাকে

শীতের দিনে তোকে সোনা দিলেন আল্লাপাকে।

সোনা আমার, সঠিক দিন তারিখতো মনে নাই

কোথাও যে লিখে রাখবো তাওতো রাখি নাই

জন্মেছিলি, মনে আছে, মোরগ যখন ডাকে।

 

যখন তোকে নিয়ে গেলাম পেরাইমারি ইসকুলে

স্যার জিগাইল জন্মের কথা

ভর্তি হবার ফিস তুলে

মা বলল, শীতের দিনে, এইটুকু স্যার মনে আছে

কোলে কোলে থাকতো সে সারাদিন সবার কাছে।

 

ধরেন তার জন্ম তারিখ জানুয়ারীর পয়লা দিন

সালটা কতো লিখবো আপনি এবার বলে দিন।

জন্ম সাল লেখেন তবে উনিশশো ষাট, দুই কম

ছাওয়াল যেনো মানুষ হয়, খাঁটি সোনা একদম।

 

সেই থেকে এই তারিখটাই জন্ম তারিখ সই

কেউ জিগাইলে এই তারিখই জন্ম তারিখ কই।

উনিশশো আটান্ন সালের পয়লা জানুয়ারী

এই অধমের জন্মকাল হোকনা তবে জারি।

৬/১২/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫৯৮

কতিপয় বন্ধুজন

আমার কিছু বন্ধু আছেন অসাধারণ

সারাক্ষণই তারা আমায় করে স্মরণ।

তাদের নিয়ে সত্যি আমি গর্বিত

তারা ছড়ান একই বাণী চর্বিত।

গ্রুপে গ্রুপে তারা নাকি ফোন করেন

এবং আমার পরিচয়ও তুলে ধরেন।

 

গাটের পয়সা খরচ করে

এ উপকার কজন করেন

তাদের কোন সেবার সুযোগ

মোটে আমি পাই না হরেন।

 

আমার লেখা নিয়ে কিছু বলেন না

পরচর্চার বস্তা ছাড়া চলেন না।

 

আমি নাকি দেখতে কালো

গায়ে ভীষণ গন্ধ

আমার কাছে এলে নাকি

দম হয়ে যায় বন্ধ।

 

আমার কথা ভীষণ নাকি ঝাল

শুনলে নাকি কারো কারো

কান হয়ে যায় লাল।

আমি নাকি ঠোঁট কাটা

জিলাপীতে ঝাল বাটা।

আমায় নাকি ভয় পায়

ছাড়া

মাঠের ছাগল পাল।

 

আমি শুনি আর হাসি

কে পায় এমন ফ্রেন্ড রাশি

তাদেরেইতো ভালবাসি

তারাই সেরা বন্ধুজন

কাদের আছে ফ্রেন্ড এমন।

৬/১২/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৫৯৯

দেশে আন্ধার ঘোর

অনেকদিন হীরালালের

দেখা সাক্ষাৎ নাই

কই যে গেল পাগলাটা

ভাবছি বসে তাই।

 

এমন সময় হন্তদন্ত

এলো হীরালালে

সারাদিন বাইরে ঘুরে

এলো সন্ধ্যাকালে।

 

পোষাক আশাক যেমন তেমন

চুলও এলোমেলো

হন হন করে হীরা দেখি

ঘরে ঢুকে গেলো।

 

বললাম হীরা খবর কিরে

এই কি দশা তোর

আমি দাদা ভালই আছি

দেশে আন্ধার ঘোর।

 

দেশতো হীরা ভালই আছে

বিপদ দেখলি কই

মনে হচ্ছে, পাকা ধানে

কেউ দিয়েছে মই।

 

শোন দাদা তবে

কেউ কি জানে কখন কি

ঘটে এই ভবে?

 

মুক্তিযোদ্ধা কদমালী

যেই না নামাজ ধরলো

মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় তার

নামটা কাটা পড়লো।

 

নতুন করে নাম ঢুকলো

গহর রাজাকারের

সে তো নাকি সভাপতি

হইবো এবার বারের।

 

হায়, কে যে মুক্তিযোদ্ধা

কে যে রাজাকার

নতুন করে তার তালিকা

হচ্ছে আরেকবার।

 

কার যে ধরমু খুঁত

সব হারামীর পুত।

৬/১২/২০১৭

আসাদ বিন হাফিজ এর ছড়া-৬০০

এই মাস বিজয়ের

এই মাস বিজয়ের

এই মাস মুক্তির

এই মাস স্বাধীনতা

দলীলের চুক্তির।

 

এই মাস রেসকোর্স

নিয়াজীর কান্না

স্বাধীনতা মুক্তি

কারো দয়া দান না।

 

এই মাস স্বাধীনতা

কামীদের ভক্তের

এই মাস জনতার

এই মাস শক্তের।

 

এই মাস রক্তের

নয় কারো তখতের।

৭/১২/২০১৭

 

 

No comments

Powered by Blogger.