পাশ্চাত্য সভ্যতার লাশ - অপ্রকাশিত কবিতাঃ ০০১

 


কবিতা-০০১ : পাশ্চাত্য সভ্যতার লাশ

পাশ্চাত্য সভ্যতা দু’দুটো মহাযুদ্ধ ছাড়া পৃথিবীকে আর কি দিয়েছে?

হিরোশিমা নাগাসাকির ধ্বংসাবশেষ ছাড়া কিইবা দেয়ার আছে তার?

প্রতিটি অন্তরে অবিশ্বাস, অশান্তি ও ঘৃণা ছাড়া সে আর কি দিচ্ছে?

বিশ্ব জুড়ে মানুষ হত্যা করা ছাড়া সে আর কি করতে পারছে?

এ দিয়ে কি মানুষের সংসার চলে? চলে না।

 

বিগত এক শতাব্দীরও অধিক কাল ধরে পাশ্চাত্য সভ্যতা

মানুষকে কী উপহার দিচ্ছে?

লক্ষ লক্ষ লাশ, বোমা, সন্ত্রাস আর

সভ্যতার বিকৃতি ছাড়া পৃথিবীকে দেয়ার আর কী আছে তার?

জারজ সন্তান দিয়ে পৃথিবী ভরে তোলা, মরণব্যাধি এইডস,

খাদ্যে বিষক্রিয়া, ক্যান্সার, এসবই তো মানুষের জন্য পাশ্চাত্যের

উপহার।

এসব দিয়ে কি মানুষের সংসার চলে? চলে না।

 

পুঁজিবাদের চোখ ধাধানো জৌলুসে আর কতকাল অন্ধ হয়ে

থাকবে মানুষ?

যে সভ্যতা মা ও মেয়ের পার্থক্য বুঝে না

এমনকি পুরুষ ও নারীর পার্থক্যও বুঝে না,

এমন

অসভ্য সভ্যতা দিয়ে কী করবে মানুষ?

এ অসভ্যতা দিয়ে কি মানুষের সংসার চলে?

চলে না।

 

আর চলে না বলেই মানুষ ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে।

কারণ মানুষ জেনে গেছে তাদের মানবতা মানে মানুষ খুন।

তাদের মানবতা মানে বিশ্বময় বিভেদের দুর্ভেদ্য দেয়াল

তাদের মানবতা মানে প্রতারণার জালে বিবেক বন্দী করা

তাদের মানবতা মানে অস্ত্র বিক্রির কুটিল কুটকৌশল

দেশে দেশে বোমা, জঙ্গী মদদ, মানুষের তাজা রক্ত পান করা।

 

আর তাই

কাঁচের ঘরের মত ভেঙে পড়ছে তাদের অসভ্যতার প্রাসাদ।

এক আহমদ শামিল ও দুদায়েভের আজানের সুরে ভেঙে

টুকরো টুকরো হয়ে পড়া ক্রেমলিনের ভায়োলিন দেখে

আতঙ্কের হীমশীতল স্রোত বইছে তাদের শিরদাঁড়া বেয়ে।

পৃথিবীর প্রতিটি ঘরের খবর জানে বলে গর্বে যার মাটিতে পা পড়তো না,

সে জানতেই পারলো না কোত্থেকে ছুটে এসে আবাবিল পাখির ঝাঁক

তার সুরম্য টাওয়ার গুড়িয়ে দিল

কী আমার পরাশক্তি!

 

পাশ্চাত্য সভ্যতার বিনাশ তাই

এখন শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র।

অচিরেই তাদের অসভ্যতা ও নিষ্ঠুরতার অবসান ঘটবে।

আজকের এই দগ্ধ-তাপিত বিশ্ব, পাখি, আর পতঙ্গকূল

অচিরেই দেখতে পাবে

পাশ্চাত্য সভ্যতার ঘৃণ্য লাশ।

 

তারপর?

তারপর এ বিশ্বের নেতৃত্ব নেবে তারা,

যারা আজ দেশে দেশে রক্ত ঢালছে, ফাঁসিতে ঝুলছে

,বরণ করছে পঙ্গুত্ব, মেনে নিচ্ছে কারাগারের অসহ্য নির্যাতন।

 

আজকে যারা আহাদ আহাদ বলে কাতরাচ্ছে

পাশবশক্তির বিরুদ্ধে, তারাই উঁচিয়ে ধরবে বিজয় পতাকা

তারাই আবার আনসারদের মত মুহাজিরদের জন্য

ভাগ করে দেবে সকল সহায়-সম্পদ, এমনকি একাধিক

স্ত্রী থাকলে অচীন ভাইয়ের জন্য একজনকে ত্যাগ করতে পিছপা হবে না।

বিশ্বাস করুন, শুধু এ ভয়েই

পাশ্চাত্য সভ্যতা আজ

ইসলাম নির্মূল অভিযানে মেতে উঠেছে।

এ ছাড়া

মৃত্যুপথযাত্রী সভ্যতার আর কীইবা করার আছে।

১৭/০৯/২০১৭


অপ্রকাশিত অন্যান্য কবিতার জন্য এখানে ক্লিক করুন।

No comments

Powered by Blogger.