উদ্বাস্তু সিঁড়ি গোড়ায় - অপ্রকাশিত কবিতাঃ ৩২৮
কবিতা-৩২৮ :
উদ্বাস্তু সিঁড়ি গোড়ায়
ছিলাম তো সাত আসমানের উপরে।
কত দিন, কত রাত
কেটে গেল এভাবে।
কত বেলুন উড়ালাম, রঙমাখা
পানি খেলাম।
আলোর বন্যা বইয়ে দিলাম ঠোঁটের
ওপর দিয়ে।
তুমি দিলে নাকফুল, আমি
দিলাম হৃদয়চেরা হাসি।
বাহ দিন তো ভালই যাচ্ছিল।
হঠাৎ কি হলো? মানুষের
মাথা দিয়ে ফুটবল খেলা তো তুমিই শিখিয়েছিলে। হঠাৎ কই গেলে?
কোথাও কি গেলে? নাকি
আমাকেই ছুঁড়ে ফেলে দিলে চৌথা আসমানে?
গাধাগুলো গেল কই? এখানে
তো সব বাঁদর। আহ,
জ্বালাচ্ছিস কেন?
না না তোর লোমশ হাতে উঁকুণ বাছা
লাগবে না। তুই কি মনে করিস?
তুই ছাড়া কেউ নেই আমার? কত আসমান আছে, আমার কি
দায় ঠেকেছে মাটিতে নামার।
আমি হাসছিলাম। বাঁদরেরা বললো,
কাঁদছেন ক্যান ম্যাডাম।
ভাবলাম ওরা ভুল বকছে। কিন্তু না,
আয়নায় চেয়ে দেখলাম, আমি
অবিকল এক পোয়াতি বাঁদর। আর
আমার হাসি পিশাচের অট্টহাসি হয়ে
শূন্যে ভাসছে।
হায়, তাহলে
তুমি চলেই গেলে?
এখন যদি চৌথা আসমান থেকে এই
বাঁদরের দল আমাকে ছুঁড়ে মারে?
আমিও কি গড়িয়ে পড়বো উদ্বাস্তু
সিঁড়ি গোড়ায়?
১৭/০৬/২০২৩ বাদ এশা
অপ্রকাশিত অন্যান্য কবিতার জন্য এখানে ক্লিক করুন।
No comments