মানুষ কি জানে? - অপ্রকাশিত কবিতাঃ ১০৮

                                                                               

কবিতা-১০৮ : মানুষ কি জানে?

সূর্য ওঠেছে একটু আগে।

সোনালী রঙ একটু একটু সাদা হচ্ছে।

আমি মালিককে সালাম করে

নজরুলের জরীন হরফে ঠোঁট ছোঁয়ালাম।

 

বাসক পাতার সাদা ফুলের গোড়ায়

চুমুক দিয়ে তুমি যেভাবে মধু খাও, মনে হলো সেরকম ভেজা মধু এসে আমাকে চুমু খেয়ে বললো, রাতে ঘুম কেমন হলো?

আমি জবাব না দিয়ে তাকে কম্বলে ঢেকে দিলাম।

 

পাখিরা দল বেঁধে কোরাস গাইছিল, বলছিল, কই গো, বাইরে এসো। সালাম করবো না তোমাকে।

আমি বাইরে এলাম।

বাড়ির আঙিনা ছেড়ে বকুল তলায় যাচ্ছিলাম।

কাঁচা রাস্তার পাশে কী এক হলুদ ফুল ফুটেছে।

আমি কাছে যেতেই ফিক করে হেসে দিল।

যেমন, কারণ ছাড়াই তুমি মাঝে মাঝে পূর্ণিমার চাঁদ হয়ে যাও।

 

আমি বললাম, হাসলি কেন?

তোমাকে দেখলেই হাসতে হবে আমাকে। এটাই আমার ডিউটি। তোমাকে সুখসাগরে ভাসিয়ে দেয়ার জন্যই তো আমার জন্ম, আমার সুখ, আমার শান্তি।

 

সহসা আমার ঠোঁটও হেসে ওঠে বললো, হে প্রভু, আমার সুখের চিন্তাতেই কি তুমি সারাক্ষণ নিমগ্ন থাকো?

ফুল জানে তার ডিউটি, আমি কি জানি?

বাতাসে সবুজ পাতা নাচলে যে শোকর করতে হয়, মানুষ কি জানে সে কথা?

মানুষ কি জানে? মানুষ কি জানে?

১২/০৬/২০২০ ১০টা

অপ্রকাশিত অন্যান্য কবিতার জন্য এখানে ক্লিক করুন।

No comments

Powered by Blogger.