নবী নেই, নেই শায়েরুন্নবী - অপ্রকাশিত কবিতাঃ ১৯৪

                                                                                                   

কবিতা-১৯৪ : নবী নেই, নেই শায়েরুন্নবী

না। কিছুতেই ভুলতে পারি না।

অন্তর্লোকে আঁকা ছবি কিছুতেই ভুলা যায় না।

যতক্ষণ জাগ্রত থাকি শাপলা ফুলের মত মননে ভাসতে থাকে সে অমল ছবি।

 

মসজিদে নববী। মিম্বরে বসে আছেন রাহমাতুল্লিল আলামীন।

নবীর হুকুমে পাশেই আরেকটি মিম্বর বানানো হলো।

নামাজের পর মুসল্লীদের দিকে ফিরে বসলেন নবী।

কাতারবন্দী হয়ে বসে আছেন আগামীর চার খলিফা। বসে আছেন জবরদস্ত সাহাবীগণ।

নবী ডাকলেন হাসসান বিন সাবিত রা কে। বললেন, উঠে বসো মিম্বরে।

 

একজন কবি মিম্বরে উঠলেন।

রাসুল সা. বললেন, কবিতা শোনাও। মুসল্লীদের কাতারে মদীনার ইসলামী রাষ্ট্রের মন্ত্রীগণ। মজলিশে সুরার সদস্যগণ।

কবিতা পড়ছেন কবি হাসসান বিন সাবিত

 

তন্ময় হয়ে শোনছেন নবী। অপলক তাকিয়ে আছেন সাহাবীগণ।

কী পবিত্র অনুষ্ঠান। কবিতার সুবাতাস মৌ মৌ করছে মসজিদে নববীতে।

রাসূল সা. তাঁর সাহাবীদের শেখাচ্ছেন কিভাবে কবিদের ইজ্জত করতে হয়।

 

উকাজের নাপাক মেলা থেকে তিনি কবিতা নিয়ে এলেন মসজিদে।

না, ভুলতে পারি না এ ছবি। ভুলতে পারি না এ দৃশ্য।

 

নায়েবে নবীরা আজ কই? কারা আজ কবিদের আবার উকাজের মেলায় পাঠাচ্ছে? কবিদেরকে মসজিদের পবিত্র চত্বর থেকে বের করে দিয়ে কারা আমাদের তসবি টেপার সুন্নাত শিখাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে?

নবীর সুন্নাতকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে কারা জুব্বা ও পাগড়ির ভেতর ইসলামকে ঢুকিয়ে দিয়েছে?

 

যারা কবিদের গনীমতের মাল থেকে বঞ্চিত করে তারা নায়েবে নবী হতে পারে না।

যারা মসজিদের মিম্বর থেকে কবিদের নামিয়ে দিয়েছে তারা নায়েবে নবী হতে পারে না।

যারা কবিদের শুঁড়িখানায় যেতে বাধ্য করছে তারা নায়েবে নবী হতে পারে না।

 

না, মদীনার মসজিদের সে পবিত্র দৃশ্য আমি ভুলিনি। কোনদিন ভুলতে পারবো না। আজ নবী নেই।

তাই শায়েরুন্নবীও নেই।

 

যদি নায়েবে নবী থাকে তবে তাদের শায়ের কই?

কই সুন্নাতে রাসুলের শরয়ী মর্যাদা?

০৮/০৩/২০২২ বাদ জোহর

অপ্রকাশিত অন্যান্য কবিতার জন্য এখানে ক্লিক করুন।

No comments

Powered by Blogger.