মৃত্যুর আনন্দে হেসে ওঠো - অপ্রকাশিত কবিতাঃ ০১০

    

কবিতা-০১০ : মৃত্যুর আনন্দে হেসে ওঠো

কবিরা যতো বাঁচবে ততোই লিখবে,

ততোই তাদের বাড়বে পরিচিতি

বাড়বে ভক্তবৃন্দ, সুনাম, সুখ্যাতি।

দেখেন না, কবি নজরুলকে।

তাঁর কথা জগত ভুলেনি কিন্তু

যে দারোগা তাকে হোটেলবয় থেকে এনে

কবি হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিল

তাঁর নাম কয়জন জানে?

 

অতএব, হাসপাতালের বিল দেয়া জরুরী নয়। জরুরী কবির দাফনের কাপড় কেনা।

 

এই নাও টাকা, পারলে কাফনের কাপড়

কিনে রাখো।

জগত দেখুক, আমরা

সমাজপতিরা কবিদের কতো ভালবাসি।

মরার পরে কাফনের কাপড়টা পর্যন্ত

পরিবারকে কিনতে হয়নি, সমাজই তার

ব্যবস্থা করেছে।

 

আমি তখন তাঁর জন্য স্মৃতিসভা

করে

অশ্রুসজল চোখে গদগদ কন্ঠে বলবো,

এই কবির সঙ্গে আমার সম্পর্কের কথা,

বলবো জীবনে কবির জন্য আমি কী কী

করেছি

আমার কান্না দেখে বিগলিত হবে মানুষ।

জানবে, আমি কবির কত প্রিয় ছিলাম।

 

অনুচর বললো,

জ্বি হুজুর, বুঝেছি।আপনার ছেলেও একই স্বপ্ন দেখে।

সেও আমাকে কাফনের টাকা দিয়ে রেখেছে। বলেছে, বাবা যতো তাড়াতাড়ি মরবে ততো তাড়াতাড়ি আমি হবো জমিদারীর

মালিক।

 

এভাবেই মৃত্যুর আনন্দে হেসে ওঠে মানুষ।

ইবনসিনা হাসপাতাল; ২৭/০৯/২০১৭

অপ্রকাশিত অন্যান্য কবিতার জন্য এখানে ক্লিক করুন।

No comments

Powered by Blogger.