একটি কবিতার জন্য - অপ্রকাশিত কবিতাঃ ১৫৮
কবিতা-১৫৮ : একটি
কবিতার জন্য
একটা কবিতার জন্য কত রাত পার
করলাম। কত মরুভূমি মাড়িয়ে এলাম। কত
গিরিখাদে ঘুরে ঘুরে তালাশ করলাম কবিতাকে। ডিঙিয়ে এলাম শত পাহাড় চূড়া। সাগরের
ঢেউয়ের ওপর গড়ে তোললাম প্রেমের হেরেম। কিন্তু কই কবিতা?
মানুষের সাথে মানুষের আত্মাকে
আমি কি জোড়া লাগাতে পারলাম?
ভালবাসার পদ্মফুল ফুটলো কি কোন হৃদ সরোবরে?
ফুলের থেকে মধু এনে যে মৌচাক
বানানো হয় তার মধু খেয়ে নিরাময় হয় মানুষ, আমার কবিতা পড়ে কারো আত্মা কি
নিরাময় হবে?
সূর্যের উত্তাপে যেমন পরিশুদ্ধ
হয় পৃথিবী তেমন কি পরিশুদ্ধ হব দুষিত অন্তর?
না। কত অরণ্য ঘুরলাম, জনপদের
পর জনপদ চষে বেড়ালাম,
আজো খুঁজে পেলাম না তেমন কোন কবিতা।
আমি এমন একটি কবিতার জন্য হন্যে
হয় ঘুরছি, যে কবিতার ছোঁয়া পেলে তৃপ্ত হয় মানব আত্মা।
লোভের পাহাড় ডুবে যায় সাগরের অতল
তলে। " ভুলো না আমায়" লিখে কাঁচের চুড়ি এগিয়ে দেয় সুগন্ধি রুমাল।
কাদেসিয়ার ময়দানে ছুটে যায় অনন্ত
রহমত। বিন কাসিম নোঙর ফেলে দেবল বন্দরে। পৃথিবী নিরাময়ের জন্য আজ সিজদায় আনত
মুজাহিদ চাই।
আমার কবিতা কি হতে পারবে কোন
রাবেয়া বসরী? তবে আমি কেমন কবি?
কেন লোকে আমাকে অযথাই কবি বলে ডাকে? আমি কি
পেরেছি মমতার মলম দিয়ে সারিয়ে তুলতে কারো আত্মার ক্ষত?
ঘৃণার বারুদগুলো কি নিস্ক্রিয়
করতে পেরেছি? আদমের সন্তানকে কি আমার কবিতা মানুষ বানাতে পারবে?
তবে আমি কিসের কবি?
যে কবিতা আমার স্বজনকে প্রতারকের
হাত থেকে রক্ষা করতে পারে না, তাকে আমি কবিতা বলি না।
কবিতা তো চির সুবাসিত এক রঙিন
ফুল, যা নেমে আসে আল্লাহর আরশ থেকে। মুহাম্মদ, যাঁর উসিলায় মানবতার ডুবন্ত তরী
তীরের সন্ধান পায় তাঁর প্রভুর কসম, এমন একটি কবিতা পেলে আমিও গড়ে
তুলবো মসজিদে নববীতে অনন্য মিম্বর।
যেমন নবী কবির জন্য বানিয়ে ছিলেন
সম্মান ও মর্যাদার অবিনাশী পতাকা। আমি তেমনি একটি কবিতার জন্য ছুটছি।
৯/০৭/২০২১ ৬টা
অপ্রকাশিত অন্যান্য কবিতার জন্য এখানে ক্লিক করুন।
No comments