অবাধ্য বাঁশিঅলা - অপ্রকাশিত কবিতাঃ ১৫৫

                                                                                           

কবিতা-১৫৫ : অবাধ্য বাঁশিঅলা

হু হু করে ঢুকছে বানের পানি।

ডুবে যাচ্ছে পাকা ধানক্ষেত।

কাজের ছেলেকে বললাম, গরু নিয়ে মাঠে যেয়ে কাজ নেই। ক্ষেতে যা। ধান কাট। দেখ, কতটা তুলে আনা যায়।

 

ও চলে গেল।

ঘন্টাখানেক পর আমি গেলাম

ধানকাটা দেখতে। ক্ষেতের পাশে বিশাল এক বকুল গাছ। ফুল ঝরে পড়েছে নিচে। মৌ মৌ গন্ধে সুবাসিত বকুলতল।

 

গিয়ে দেখি তার গোড়ায় বসে বাঁশি বাজাচ্ছে নন্দ দুলাল। কয়েকটা গ্রাম্য ছেলে মুগ্ধ হয়ে শুনছে সে বাঁশি।

 

আপনারাই বলুন, আমি কি এখন

তার প্রতিভা দেখে মুগ্ধ হবো, নাকি কাজে ফাঁকি দেয়ায় তার ওপর রাগ হওয়া উচিত আমার?

 

হু হু করে ঢুকছে বানের পানি।

ডুবে যাচ্ছে পাকা ধানক্ষেত।

বাজছে অবাধ্য বাঁশরিয়ার বিমুগ্ধ বাঁশি। ভাবছি।

 

ভাবছি, আমার প্রভু কি আমার কাজে খুশি? নাকি তিনিও ভাবছেন, আমি এক অবাধ্য বাঁশিঅলা?

১৯/১০/২০২০ ৬টা

অপ্রকাশিত অন্যান্য কবিতার জন্য এখানে ক্লিক করুন।

No comments

Powered by Blogger.