একটুকরো বিবর্ণ পাথর - অপ্রকাশিত কবিতাঃ ১৫৬
কবিতা-১৫৬ :
একটুকরো বিবর্ণ পাথর
নাস্তিকরা যখন উদ্ভট কথা বলে তখন
আমি এতটাই বিস্মিত হই যে,
হাসতেও ভুলে যাই।
নাস্তিক নাকি না দেখে বিশ্বাস
করে না।
এতবড় মিথ্যুকের সাথে কি কথা বলা
যায়?
কতটুকু দেখে সে? সেকি
তার নিজেকে দেখে?
দুনয়নের ল্যান্স তাকে কতটুকু দেখাতে পারে?
যে চোখ দিয়ে সে দেখে বলে গর্ব
করে সে কি সে চোখ দুটো দেখে? কি দিয়ে দেখে?
সেকি তার নিঃশ্বাস দেখতে পায়? তার
পশ্চাৎদেশ?
যে জিহ্বা দিয়ে সে খাবার গ্রহণ
করে এবং খাবার ত্যাগ করে তা কি সে নিজের চোখে দেখে? সে কি তার নিজের জন্মটা দেখেছে
না মৃত্যুু দেখতে পাবে?
সবই তাকে না দেখেই বিশ্বাস করতে
হয়।
কখনো অন্যের কাছ থেকে শুনে
বিশ্বাস করতে হয়। কখনো অনুভব করতে হয়। এর নাম দেখা নয়।
আগুনের উত্তাপ ও বরফের ঠান্ডা কি
সে দেখেছে?
সেকি জানে ভালবাসার রঙ কি?
তাহলে সে কী জানে, কী বুঝে?
কিন্তু আমরা যারা আস্তিক, আমরা সব
দেখি। শুয়ে শুয়ে পাহাড় অরণ্য সাগর দেখি। কল্পনায় দেখতে পাই হাশরের ময়দান। স্নেহ
দেখি, মায়া দেখি, ভালবাসা দেখি।
আমরা স্বপ্ন দেখি। আল্লাহর আরশ
দেখি। যার স্বপ্ন নাই,
বিশ্বাস নাই, সে কি করে মানুষ হয়?
স্বপ্নহীন, কল্পনাহীন, বিশ্বাসহীন, প্রেমহীন
এক টুকরো বিবর্ণ পাথরকে কি তুমি মানুষ বলবে?
হায় নাস্তিক, তোকে
থুতু দিতেও আমার সোনার ঘৃণা হয়, লজ্জা হয়। লজ্জা হয়, ঘৃণা হয়।
০৩/০৭/২০২১ ৫টা
অপ্রকাশিত অন্যান্য কবিতার জন্য এখানে ক্লিক করুন।
No comments