জমজমের তৃষ্ণা - অপ্রকাশিত কবিতাঃ ৩০২

        

কবিতা-৩০২ : জমজমের তৃষ্ণা

দৌড়াও। সাফা ও মারওয়া দৌড়াও।

বেকারার হয়ে দৌড়াও। কান্নাকাতর সন্তানের মৃত্যু আশংকা নিয়ে দৌড়াও।

 

বলো, রক্ষা করো প্রভু।

আমার বিদীর্ণ কলিজার টুকরা বাঁচাও।

অন্তরের সবটুকু আবেগ নিয়ে কেঁদে ওঠো।

যিনি সব পারেন তিনি মরুভূমির বালুকা ভেদ করে দিতে পারেন আবে জমজম।

মায়ের আর্তনাদে তৈরি হতে পারে অলৌকিক ঝর্ণাধারা। অন্তহীন কূপ।

পাথর বিদীর্ণ করে বেরোতে পারে সুপেয় পানির অনাবিল ফোয়ারা।

 

জমজম।

এখনো এক অফুরন্ত রহস্যখনি।

পৃথিবীর তাবৎ শক্তি আজো জমজমের মত কোন কূপ তৈরী করতে পারেনি।

 

কত জ্ঞানী গুণী বিজ্ঞজন চেষ্টা করলো।

বিজ্ঞানীরা হলো গলদঘর্ম।

না, সব চেষ্টা ব্যর্থ হলো।

জমজম কূপের মত নির্মল পানির ফোয়ারা আর সৃষ্টি হয়নি আজো।

পৃথিবী বুঝে গেল, মানুষ আসলে কিছুই সৃষ্টি করতে পারে না।

 

আবে জমজম।

মা হাজেরার নিদারুণ কষ্টকান্না এ পানি।

এ পানি ভাসায় না মক্কার জনপদ।

কিন্তু এ পানি নিঃশ্বেষও হয় না।

কুদরতের অনন্য নিদর্শন হয়ে মানুষকে বলে, চাও, মা হাজেরার মত চাও।

আবেগের বন্যায় ভাসাও আল্লাহর আরশ।

চাইতে জানলে কাউকে ফেরান না তিনি।

 

জমজম।

আজো বিশ্বের বিষ্ময় হয়ে মানুষকে ডাকে, নতজানু হও, নিজেকে বিলিয়ে দাও স্রষ্টার সমীপে।

চোখের জলে যদি আরশ ভেজাতে পারো, চাহিদার চোখ থেকে গজাবে সবুজ উদ্যান। মিটে যাবে মানুষের চাহিদার তৃষ্ণা।

০৩/০৫/২০২৩ বাদ মাগরিব

অপ্রকাশিত অন্যান্য কবিতার জন্য এখানে ক্লিক করুন।

No comments

Powered by Blogger.