ভালবাসার অমৃত শরবত - অপ্রকাশিত কবিতাঃ ০৭৪

                                                                   

কবিতা-০৭৪ : ভালবাসার অমৃত শরবত

অদ্ভুত সে চোখ দুটোর কথা বলছি। প্রতিটি চোখেরই নিজস্ব ভাষা ও গতি আছে।

সবাই তা বুঝতে পারে না, বুঝতে চায়ও না।

এই যে আমার চোখ দুটো তোমার পদ্মদীঘিতে গোসল করতে নেমে হারিয়ে গেল, তারা এখন কোথায়, কেউ কি জানে?

 

লাইলীর কথা ভাবো।

উন্মাদ মজনু সেই চোখে কী দেখেছিল?

লাইলীর ভেতরের আলো দেখার জন্যই জন্ম নিয়েছিল মজনুর দুটি অলৌকিক নয়ন।

 

এই সে অদ্ভুত চোখের রহস্য।

যা দেখার তাই সে দেখে।

জলের প্রপাতে দেখে কুয়াশার হাসি।

চোখ দেখে সূর্যের সমুদ্রস্নান, সে সূর্য দেখে না।

 

আমি পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে অনন্তে তাকিয়ে থাকলেও তোমাকে দেখি। ঘুম নামক মৃত্যুর কোলে যখন মাথা রাখি তখনও তোমাকে দেখি।

এমনকি আমার ভেতরে যে অচীন পাখি, সেদিকে তাকলেও আমি তোমাকেই দেখতে পাই।

 

এরই নাম কি প্রেম?

কোন মানুষের সমগ্র শরীর যখন কোন চোখ দ্বারা আবৃত বা আচ্ছন্ন হয়ে যায়, সে বন্দীত্বের নাম কি প্রেম?

এতে আমার কি হাত? আমার কি দোষ?

 

অথবা এ প্রেম যদি  কোন ঐশ্বর্যের নাম হয়, তবে তাতে আমার কি অবদান? অবদান তো তাঁর, যিনি না চাইতেই মানুষকে এ অমূল্য ঐশ্বর্য দান করেছেন।

 

আমি গভীর রজনীতে জনমানবহীন প্রান্তরে নিঃসঙ্গ সালমান ফারসীর মত একাকী বসে ভাবতে লাগলাম, এই যে আমরা মুখ ফসকে বলে ফেলি:

"আমি তোমাকে ভালবাসি",

এ আসলে কার দান? কারে কয় ভালবাসা?

কেন আমার কবুতর নীলিমায় ঘুরে ফিরে আবার আমার কাছেই ফিরে আসে?

তবে কি আমি তাকে ভালবাসি?

না, সে আমাকে ভালবাসে?

 

সখি, ভালবাসা কারে কয়?

কে বিলায় এ অমৃত শরবত?

৩০/০৩/২০২০ ৭টা

অপ্রকাশিত অন্যান্য কবিতার জন্য এখানে ক্লিক করুন।

No comments

Powered by Blogger.