পপ্মেই নগরী ও টেক্সাসের ঘোড়া - অপ্রকাশিত কবিতাঃ ১৮১

                                                                                                 

কবিতা-১৮১ : পপ্মেই নগরী ও টেক্সাসের ঘোড়া

কেন যেন মনে হয়,

পপ্মেই নগরী ধংস হয়ে যাবে,

বেঁচে যাবে পৃথিবী।

কোন অসভ্যতা বরদাশত করে না প্রকৃতি।

অতীতে করেনি, এখনো করে না, ভবিষ্যতেও করবে না।

আর সভ্যতা ধংসের যতগুলো কারণ মানুষ জানতে পেরেছে তার সবচেয়ে বড় কারণ এই অসভ্যতা।

 

পপ্মেই নগরীর বেয়নেট সদৃশ পিলারগুলো সাক্ষী

উন্নয়ন কোন রক্ষাকবচ নয়বরং ধ্বংসকেই ত্বরান্বিত করে ট্রয় নগরীর ঝাড়বাতি।

 

আদ ও সামুদ জাতির দিকে তাকাও।

তাকাও প্রাচীন রোমের শহরে,

পারস্যের উপচেপড়া ভোগের পেয়ালায় যারাই চুমুক দিয়েছে সকলেই মিশরের পিরামিড হয়ে গেছে।

 

না, নস্টামী কখনোই বরদাশত করেনি প্রকৃতি।

পপ্মেই নগরীর নারী পুরুষ যখন উলঙ্গ হয়ে একসাথে হাম্মামখানায় ঢুকেছিল, তারা কি জানতো তাদের দেহগুলোই হবে ইতিহাসের খেরোখাতা?

যৌনতা যখন লাগামহীন পাগলা ঘোড়া হয়ে যায়, তখন টেক্সাসে ছুটে যায় অগ্নিসাগর।

কেউ তাদের পতন রোধ করতে পারে না।

 

সমকামিতার স্বাদ নেয়ার নাম করে যারাই চুমুক দিয়েছে বিষের পেয়ালায় তারা কেউ জাহান্নামে না পৌঁছা পর্যন্ত থামতে পারেনি।

 

তাই আমার কেবলই মনে হয়,

পপ্মেই নগরী ঠিকই ধংস হয়ে যাবে,

বেঁচে যাবে পৃথিবী।

কারণ, কোন অসভ্যতা কোন কালেই

বরদাশত করে না প্রকৃতি।

তবে, পৃথিবীর ভয় কিসের?

সে অভ্যর্থনা জানাবে নতুন এক সভ্যতাকে।

২৮/০৭/২০২১   ৪টা

অপ্রকাশিত অন্যান্য কবিতার জন্য এখানে ক্লিক করুন।

No comments

Powered by Blogger.