মহাকালের বাঁশি - অপ্রকাশিত কবিতাঃ ২৯৭

       

কবিতা-২৯৭ : মহাকালের বাঁশি

নিরাপদ দুর্বাঘাসের নিচে বসে শব্দের ঠুকাঠুকিই কি কবিতা? তাহলে দুর্বাঘাসের ওপর প্রশান্তির প্রলেপমাখা শিশির বিন্দু কি?

দুর্বোধ্য শব্দের ঘেরাটোপে নিমজ্জিত

অসভ্যতার নাম যদি কবিতা হয়

চকচকে চাঁদকে কি বলবে তুমি?

 

সবাইতো আর হুমায়ুন আজাদ নয়যে নারীফুল চিবিয়ে খাওয়াকে কবিতা বলবে।

বিদেশী দুতাবাসে বসে মদের বোতলে যারা কবিতা খোঁজে, তারা পায় থকথকে সিফিলিস, কবিতা সেখানে থাকে না।

 

কবিতা মহাকালের বাঁশি।

যিনি বাঁশি বাজান তিনি কবি।

কবি নেবুফুলের ঘ্রাণ বিতরণ করেন। মানুষকে দেন সুখের ঠিকানা।

তারা হাতে করে ফেরি করেন চাঁদের সুষমা। কবিতা সবুজ বাংলার শুভ্র কাশফুল। কবিতা জমজমের সুপেয় পানি

 

কতিপয় চাটুকারের ছিটিয়ে দেয়া পাশবিকতা কখনো কবিতা হতে পারে না।

কবিতা জুলুমের বিরুদ্ধ উচ্চকিত ধ্বনির নাম। কবিতা নষ্টামীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদের নাম।

বৃষ্টির পানির পবিত্রতার নাম কবিতা।

 

এখন কবিতারই দিন। এখন প্রতিবাদের দিন। রুখে দাঁড়াবার দিন।

এখন তথাকথিত মাতলামী পরিহার করে বৃষ্টির নির্মল পানিতে গোসল করার দিন।

 

এখন শুুঁড়িখানা থেকে বেরিয়ে ফুলের ঘ্রাণে আমোদিত হওয়ার দিন।

মনে রেখো, কবিতা প্রেয়সীর হাসি।

কবিতা আজন্ম মহাকালের বাঁশি।

২৯/০৪/২০২৩ বাদ জোহর

অপ্রকাশিত অন্যান্য কবিতার জন্য এখানে ক্লিক করুন।

No comments

Powered by Blogger.