জরুরী মন্ত্রীসভা বৈঠক - অপ্রকাশিত কবিতাঃ ২৯৯
কবিতা-২৯৯ : জরুরী
মন্ত্রীসভা বৈঠক
আমার চোখ দুটো তিনি হাতের তালুতে
রাখলেন।
চোখ দুটো নড়ে উঠলো এবং
দুচোখ এক সাথে মিশে গেল।
তারা ক্রমশ: বড় হতে লাগলো।
দেখতে দেখতে আমার চোখ দুটো ফকির
বাড়ীর পুকুর হয়ে গেল।
আরো বড় হচ্ছে। এক সময় পুকুরটা
দীঘির রূপ ধারণ করলো। নাহ,
থামলো না।
দীঘি কই? এ তো
প্রমত্ত পদ্মা।
রাত তিনটায় পদ্মা হয়ে গেল অথৈ
সাগর। কূল নাই, কিনারা নাই,
আদি অন্তহীন এক রুদ্র সমুদ্র।
অবাক হয়ে দেখছেন তিনি।
দেখলেন ছোট ছোট জনপদগুলো চাপিলা
মাছের মত ডুবে যাচ্ছে সাগরের অতল তলে।
এরপর এলো ছোট ছোট শহর।
এলো রাজধানী।
দেখলেন, তিনি যে
সিংহাসনে বসে আছেন,
ডুবে যাচ্ছে সে সাধের গদী।
তিনি চিৎকার করে উঠলেন "
বাঁচাও" বলে।
আর তখনি ঘুমটা ভেঙে গেল।
তিনি দেখলেন, তার
সারা শরীর ঘর্মাক্ত।
কাঁপছেন তিনি। তিনি যে চৌকিতে
শুয়ে আছেন এ চৌকিতে একদিন তার দাদা থাকতেন।
এরপর এটাতে ঘুমাতেন পিতা।
তারা গত হওয়ার পর সে চৌকিতে এখন
শুয়ে আছেন তিনি।
একই স্বপ্ন পরপর তিন দিন দেখলেন
তিনি। যদিও তিনি এখন কোন চৌকিতেই ঘুমান না, সোনার
খাটে থাকেন, তবু এ স্বপ্ন তাকে কেমন আড়ষ্ট করে ফেললো।
প্রহরীদের ডাকলেন তিনি।
বললেন, আরো এক
প্লাটুন সৈন্য মোতায়েন করো।
সৈন্য মোতায়েন হলো।
কিন্তু ভয় কিছুতেই যায় না।
ভাবছেন, মালাকুল
মউতকে কি
সৈন্য দিয়ে আটকানো যাবে?
কি দিয়ে বশ করা যায় যমদূতকে?
সেকি ঘুষ খাবে?
যে মন্ত্র দিয়ে বশ করে রেখেছেন
তিনি বিক্ষুব্ধ জনতাকে,
আজরাইলকে কি সে মন্ত্রে বশ করা যাবে?
তিনি জরুরী মন্ত্রীসভা ডাকলেন।
একে একে মন্ত্রীরা আসছেন।
আজরাইল ঠেকানোর মন্ত্র কি দিতে
পারবে এই মন্ত্রীরা?
১লা মে ২০২৩ বাদ ফজর
অপ্রকাশিত অন্যান্য কবিতার জন্য এখানে ক্লিক করুন।
No comments