প্রেমান্ধ মানব - অপ্রকাশিত কবিতাঃ ৩০০

       

কবিতা-৩০০ : প্রেমান্ধ মানব

এসো, আরো কাছে এসো।

এসো হাতে হাত রাখো। এসো,

একসাথে আরো কিছু পথ যাই মাড়িয়ে।

এই গাঢ় জোস্নার ভেতর, এই মৃদু হাওয়ায়

পাহাড়ের মৌনতা পাশে রেখে দূর অজানায় যাই হারিয়ে।

 

আমরা দুজন যেন মৌমাছি,

গুন গুন করে গান গাই।

বুনো ফুলের ঘ্রাণে মিশে যাই প্রকৃতির কোলে।

 

কি কথা শুনতে চাও?

কথার অধিক কথা বলে যায় মৌনতা।

এসো ঠোঁট বন্ধ করে সেই শিশিরের গান শুনি।

 

ধরো, যদি এই চাঁদ না থাকতো,

না থাকতো মিহিদানা জোস্নার প্লাবন,

না থাকতো ঝিঁ ঝিঁ পোকার ঝিলিকলতা, তবে হৃদয়ের এই বর্নিল কোলাকুলির আবেগ কি আচ্ছন্ন করতো প্রাণ, মন?

 

এই ফসলের ক্ষেত, ধনেপাতার ঘ্রাণ, কি করে জানতো দুটো প্রাণের জোস্নাপ্লাবিত মগ্নতা?

আহ, এই রাত্রির আঁধার যদি

আড়াল না করতো হৃদয়ের ধুকপুক

কি করে অমর হতো আমাদের যুগল পুষ্পালাপ?

 

কতটা বছর পেরিয়ে গেল, কই, কখনোতো বুঝিনি এমন করে, জীবন কি?

 

যদি সাগরের ফেনায়িত ঢেউ কক্সবাজারকে এভাবে আলিঙ্গন না করতো তবে মরা কক্সবাজারের দুর্গন্ধে ডুবে যেতো হিমালয় পর্বত, ঠিক কিনা?

 

এই যে মিথুন পাখিরা হাসে, প্লাবিত জোস্নার দিকে মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে থাকে বিমুগ্ধ তারকারাজি, এসব যদি না থাকতো তবে মানুষ কি করে জানতো ভালোবাসা কারে কয়?

 

এসো, এই যুগল রাতকে আমরা উৎসর্গ করি সেই প্রেমিক সত্ত্বাকে, যিনি এতসব উপঢৌকন দিলেন আমাদেরকে একটু ভালবাসা শেখাতে।

 

বিনয়ের পুষ্প ঢেলে দেই তাঁর পদতলে। বলি, সোবহানাল্লাহ।

তোমার শোকর আদায় করার

একটু সুযোগ দাও শয়তানের

আঘাতে ক্ষতবিক্ষত, জর্জরিত প্রেমান্ধ মানবকে।

০২/০৫/২০২৩ বাদ মাগরিব

অপ্রকাশিত অন্যান্য কবিতার জন্য এখানে ক্লিক করুন।

No comments

Powered by Blogger.