বিশ্বের নিয়ন্ত্রণ শক্তি - অপ্রকাশিত কবিতাঃ ০২০
কবিতা-০২০ :
বিশ্বের নিয়ন্ত্রণ শক্তি
আহাম্মক, বেয়াদবের মতো
আমাকে প্রশ্ন করার আগে পবিত্র
কোরআন শরীফ আর একবার তোমার ভালভাবে পড়ে নেয়া উচিত। দেখো, সেখানে পরিষ্কার লেখা আছে, যারা আল্লাহর বিরোধিতা
করে আল্লাহ একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তাদের দম্ভ প্রকাশের অবকাশ দেন। তারপর,
রোম ও পারস্যের মত বিশাল দুই পরাশক্তিকে ইসলামের পদতলে আশ্রয় নিতে
বাধ্য করেন।
হ্যাঁ, তার আগে বদর প্রান্তরে মুসলমানদের বিজয়ী করে
তাদের ঈমান ও সাহস বাড়িয়ে দেন
ওহোদ পাহাড়ের মত।
মনে রেখো, যে আল্লাহ ফেরাউন ও নমরুদকে ধ্বংস করেছিলেন
তিনি এখনো বেঁচে আছেন আগের মতই
প্রচন্ড প্রতাপের সাথে।
বিগত কয়েকটি দশকের দিকে তাকালে
সেটা তুমিও বুঝতে পারতে।
দেখো, ইরানে রেজাশাহ পাহলভীই শুধু পরাজিত হয়নি, নাকানী
চুবানী খেয়েছে খোদ আমেরিকা। খোমেনী নয়, বিজয়ী হয়েছে ইসলাম।
দেখো, ধর্মকে আফিম বলে ঘোষণা দিয়ে একটি শতাব্দীও টিকে থাকতে পারেনি রক্তলোলুপ
খুনী সমাজতন্ত্র। ইমাম শামিলের মত বীরদের হাতে টুকরো টুকরো হয়ে গেছে দাম্ভিক সুপার
পাওয়ার।
একজন আলিজা ইজেত বেগোভিচের হাত
ধরে পাশ্চাত্যের নাভীমূলে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে বসনিয়া হারজেগোভিয়া। মালয়েশিয়ায়
মাহাথিরের হাতে গড়ে উঠেছে পাশ্চাত্যের গর্ব ধুলায় মিশিয়ে টুইন টাওয়ার। কামাল
আতাতুর্কের ধর্মনিরপেক্ষ তুরস্ক ঘুরে দাঁড়িয়ে মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে স্বয়ং
ধর্মনিরপেক্ষতার।
ফিলিস্তিন, কাশ্মীর, আলজেরিয়া, মিশর,
সিরিয়ায় যে কোন সময় ইসলামের বিজয় পতাকা উড্ডীন হতে পারে।
তুমি বলছো, আল্লাহ বেঁচে থাকলে মুসলমানদের রক্ষা করেন না কেন?
ভুল তোমার বিশ্লেষণ।
যারাই ইসলামে দাখিল হওয়ার ঘোষণা
দেয় আল্লাহ তাদের পরীক্ষা নেন নানা কায়দায়। যতোক্ষণ তাদের পাপগুলো পুড়ে নিঃশেষ না
হয় ততোক্ষণ এ পরীক্ষা চলতেই থাকে।
মিশর, বার্মাসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে তাকিয়ে দেখো। পরীক্ষার পর পরীক্ষা দিয়ে
যাচ্ছে মুসলমানরা। তাহলে ইসলামই যে আগামী দিনে বিশ্বের নিয়ন্ত্রক শক্তি হবে এ
ব্যাপারে তোমার সন্দেহ জাগে কী করে?
০৪/১১/২০১৭
অপ্রকাশিত অন্যান্য কবিতার জন্য এখানে ক্লিক করুন।
No comments