নীড়হারা শান্তি কপোত - অপ্রকাশিত কবিতাঃ ০২১
কবিতা-০২১ :
নীড়হারা শান্তি কপোত
কবিতা লিখতে লিখতে
আমি যারপরনাই ক্লান্ত হয়ে পড়েছি।
এতটাই ক্লান্ত, তোমার বিষণ্ন চোখের দিকে তাকালে
মনে হয়
ওই চোখ এই পৃথিবীর চেয়ে ভারী।
সারা জীবনের প্রাপ্তি জমা করে
দেখলাম,
সেখানে জমা হয়ে আছে শুধু বুকভরা
তিক্ত বেদনা ও কতিপয় অসভ্য পশু। শতাব্দীর গাঢ় মেঘ ঢেকে ফেলেছে শিশুদের খেলার মাঠ।
আশার বৃক্ষরা খরায় বিবর্ণ হয়ে
আছে!
কত বছর
বৃষ্টি হয় না এখানে?
সবুজ বনানী যেনো ইথিউপিয়ার
শিশুদের মত শুকনো হাড় বের করে
তাকিয়ে আছে আকাশের দিকে।
আইয়ামে জাহেলিয়াত বলতাম যে অন্ধকারকে,
সে অন্ধকারে মিশে গেছে সময়ের
পারদ।
কৃষ্ণাঙ্গ নারীর চুলের চেয়ে কালো
চোখে সে দেখছে আধুনিক অসভ্যতার উত্তুঙ্গ চূড়া।
সে চোখে জমা হয়ে আছে ভয়, বিস্ময় আর আতঙ্কের নীল জল।
বিস্ফারিত চোখে সে দেখতে পাচ্ছে,
শিশুরা নিরাপদ নয় মায়ের কোলে।
নাবালক সন্তানের হাতে নিজ ঘরে
নিহত হচ্ছে পিতামাতা।
নাবালিকা ধর্ষিতা হচ্ছে বুড়ো
দাদুর হাতে।
পিতার হাতে লাঞ্ছিত হচ্ছে
কন্যা।নিজের অপকর্ম দেখে ফেলায় ভাতিজিকে খুন করে সংবাদের শিরোনাম হচ্ছে নষ্টা
নারী।
কী এক অদ্ভুত পাশবিক আধুনিকতা।
হায়রে প্রগতিশীল সমাজ
হায়রে ভন্ড সভ্যতা!
তুই মানুষ হবি কবে?
কবে তোর বুকে গজাবে
সবুজ দুর্বাঘাস? কবে ডিম পাড়বে নীড়হারা শান্তি কপোত।
০৭/১১/২০১৭
অপ্রকাশিত অন্যান্য কবিতার জন্য এখানে ক্লিক করুন।
No comments