সওয়াবের দানা - অপ্রকাশিত কবিতাঃ ২৩৬
কবিতা-২৩৬ :
সওয়াবের দানা
সকালের স্নিগ্ধতা বিলাতে বিলাতে
আমার বিকেল হয়ে গেল।
কিন্তু তবু আমি থামতে পারছি না।
আমার সামনে এক মুঠো স্নিগ্ধতার
জন্য অগণিত হাত জমা হয়ে আছে।
অনেকেই স্নিগ্ধতা গায়ে মেখে এখন
প্রশান্তির রোদ পোহাচ্ছে। কেউ কেউ তো তৃপ্তির ঢেকুর তুলছে।
নেকী কুড়ানো বালকগুলো নেকী
কুড়িয়েই যাচ্ছে। ফরজ বাদ দিয়ে তারা নফল নিয়ে এতটাই ব্যস্ত যে, এবাদতের
দানাতে তবু তাদের পকেট ভরছে না। আরো চাই, আরো।
হায়রে, ছেঁড়া
পকেটে পৃথিবীর সমস্ত হিমালয় ভরার পরও ওরা তো অবাক, কানাকড়ি সওয়াবও জমা নেই পকেটে।
রাসূল সা বলেছেন, গাছ
লাগাও। তোমার পকেট নয়,
ফলগুলো গাছেই ঝুলবে। ক্ষুধা লাগলেই সবাই খেতে পারবে।
যে পৃথিবীতে ক্ষুধায় কাৎরায় মানব
শিশু সেখানে ছেঁড়া পকেটে সওয়াবের দানা ঢুকানোর সময় পায় কোথায় বড় হুজুর? উনি কি
জানেন না, কেবল কর্মের পূণ্যই জমা হয় আরশপাকে।
পেটের ক্ষুধা দূর করা ফরজ।
আগে আগুন নেভাও তারপর জমি চাষ
দাও। আগুন নিভানো বাদ দিয়ে তসবি টেপা পাপ।
সব ভাল কাজ সব সময় ভাল না।
প্রয়োজন পরিমিতি বোধ।
মনে রেখো, যে হাত
ময়লা ধরতে পারে না,
তার ক্ষেতে কখনো ফসল ফলে না, আগাছাই জন্মে।
তবু মানুষ কেন যে সওয়াবের দানা
টোকানোয় ব্যস্ত হয়!
২৫/১১/২০২২ বাদ জুম্মা
অপ্রকাশিত অন্যান্য কবিতার জন্য এখানে ক্লিক করুন।
No comments