এসো, নতজানু হই - অপ্রকাশিত কবিতাঃ ১৯৯

                                                                                                    

কবিতা-১৯৯ : এসো, নতজানু হই

এসো, নতজানু হই।

নতজানু হওয়ার মধ্যেই সমস্ত কল্যাণ লুকিয়ে আছে।

শুধুমাত্র বোকারাই দাম্ভিক হয়।

আর দাম্ভিকরাই হয় অহংকারী

অহংকারকারীরা পরাজয়কে বগলদাবা করে

বেঁচে থাকে যতক্ষণ প্রভু চান।

তারপর তারাও নতজানু হয়।

 

নমরুদ নতজানু হয় পাদুকার আঘাত ও

মশার কামড় খেয়েফেরাউন নীলনদের

জলে ডুবে নতজানু হয়।

দাম্ভিক ফারাও নতজানু হয়ে মুখ থুবড়ে

পড়ে থাকে পিরামিডের ভেতর।

অতএব দাম্ভিকতার পোশাক খুলে

এসো, নতজানু হই।

তাকিয়ে দেখো

বৃক্ষের প্রতিটি পাতা এখনো নতজানু হয়ে আছে।

হিমালয়ের জলরাশি নতজানু হতে হতে

অবশেষে সাগরে গিয়ে মুখ লুকায়।

মেঘ নতজানু হয়ে বৃষ্টি বিলাশের মত নেমে আসে

লোকালয়ে, জনপদে, দেবদারুর মাথা ও

পাহাড়ের সুউচ্চ চূড়ায়। কে নতজানু হয় না?

সকলেই নতজানু হয়।

কেউ নতজানু হয়ে জান্নাতের পাখি হয়ে যায়।

কেউ নতজানু হয় গজব এলে।

তখন সে জায়গা পায় জাহান্নামের খড়ির স্তুপে।

এসো, নতজানু হই।

নতজানুরাই বিজয়ী হয়।

তারাই হয়  আশরাফুল মাখলুকাত।

তারা হয় আল্লাহ খলিফা।

মানুষ ও মানবতার রক্ষক।

প্রকৃতির রক্ষক।

সৃষ্টির সেরা।

আর উদ্ধত অহংকারীরা বিতাড়িত ইবলিশ হয়ে

জাহান্নামের টিকিট হাতে ঘুরে বেড়ায়

পৃথিবীর বন্দরে বন্দরে

কখন ঘাটে ভিড়বে

দোযখে যাওয়ার তরী।

যখন কারো অহমে আঘাত লাগে

তখনি নতজানু হওয়ার শ্রেষ্ঠ সময়।

না, রাগ নয়, ক্ষিপ্ততা নয়,

মুমীন তখন নতজানু হয়ে তওবা করে।

অতএব, এসো, তওবা করি, নতজানু হই।

 

৯/১০/২০২১   বাদ জোহর

অপ্রকাশিত অন্যান্য কবিতার জন্য এখানে ক্লিক করুন।

No comments

Powered by Blogger.