অনন্ত বিষাদ নগর - অপ্রকাশিত কবিতাঃ ২৪৩

                                                                                                             

কবিতা-২৪৩ : অনন্ত বিষাদ নগর

এভাবেই চলে যায়।

আনন্দ বিষাদভরা সময় বয়ে যায়।

দিনে দিনে হায়াত কমে যায়।

চলে যায় কমায়, চির ঘুমসভায়।

 

চলে যায় মাস দিন বছর।

কমে যায় আয়ু।

জন্মের প্রহর এসে বলে যায়-

সামনে মরণ

হায়রে জীবন!

 

হাসি, কাঁদি, গান গাই।

কবিতা লেখে সময় পোড়াই।

জন্মদিন এসে মরণের টিকেট হাতে ধরিয়ে দেয়।

আমরা অপেক্ষায় থাকি কখন আসবে মরণ।

এইতো জীবন।

 

অর্জন কি কিছু আছে?

পাপ না পূণ্য?

কি লিখেছে ফেরেশতাদ্বয়?

একথা ভাবার আগেই মরণ এসে যায়।

 

মানুষ ভাবে মরবে না।

তাই পরের সম্পদ লুট করে।

সুদ খায়, ঘুষ খায়।

ললিপপ, বুট খায়।

খেতে খেতে মরে যায়।

নিয়ে যায় এতীমের হকমারা পাপ।

নিয়ে যায় পরকীয়া সাপ।

বেশ্যার অভিশাপ।

জন্মের বহর খুঁজতে গিয়ে দেখে মৃত্যুপ্রলাপ।

অভিশাপে ডুবে যায় গর্বউত্তাপ।

 

মানুষের জীবন এক মায়ামরিচীকা।

জন্মদিন পরিয়ে দেয় ব্যর্থতার অমোঘ টীকা।

 

পহেলা জানুয়ারী জন্মদিন কার?আমার? না, অভিশপ্ত আরেকটি বছরের?

যেদিন আমার মায়ের চিৎকারে কেঁপেছিল ধরনী, সেই কষ্টে মোড়ানো দিন কি জন্মদিন?

জন্মদিন, এ আমার মাতৃ উদর বিদীর্ণের যাতনাপ্রহর।

যতবার মনে হয়, মনে হয় আহা,

এ এক বিষাদিত বেদনা বহর।

আহা, এ তো জন্মদিন নয়,

জীবন বিপন্নকারী অনন্ত বিষাদ নগর।

৩১/১২/২০২২  বাদ মাগরিব

অপ্রকাশিত অন্যান্য কবিতার জন্য এখানে ক্লিক করুন।

No comments

Powered by Blogger.