শয়তানের খামার - অপ্রকাশিত কবিতাঃ ১৩৪
কবিতা-১৩৪ :
শয়তানের খামার
আমি তোমার সাথে একমত বুলবুল।
কে গোলাপকে ভালবাসলো আর কে
বাসেনি অতসব ভেবে গোলাপ ফোটে না।
সে মনের আনন্দে সৌন্দর্য ও সুরভি
বিলায়।
যে সেখান থেকে আনন্দ আহরণ করতে
পারে না, সে কতই না হতভাগা।
তারাতো সেই সব মানুষ যারা কবির
কাছ থেকে আনন্দ কুড়াতেও বার বার ব্যর্থ হয়।
কফোটা চোখের জল মিলে একটা নদী হয়?
সাগরের জলে মিশে থাকে কত শহীদের
রক্ত?
সে শুধু কবিরাই জানে। কবিদের
কাজই তো ভাসমান দীর্ঘশ্বাসের কষ্টগুলো সাগরের জলে ভাসিয়ে দেয়া।
প্রিয় বুলবুল সরওয়ার, তোমার এ
বক্তব্যও অস্বীকার করার সাধ্য আমার নেই, ডাইনোসরের অবলুপ্তির সময় কবিরা
তাদের সঙ্গী হয়েছিল।
ফলে, সমাজ
থেকে হারিয়ে গেছে কবি।
হারিয়ে গেছে সব মমতা ও কোমলতা।
বন্ধ হয়ে গেছে কল্যাণ ও মঙ্গলের
চাষাবাদ।
এখন আর বিশ্বে ফলে না অবারিত
সবুজ প্রেম।
বিনিময় হয় না 'ভুলনা
আমায়' লেখা
সুগন্ধি রুমাল।
ফোটে না ভালবাসার স্নিগ্ধ সতেজ
গোলাপ।
পানির অভাবে যেমন মারা যায় বৃক্ষ
তেমনি কবির অভাবে মারা যায় প্রেম,
প্রেমের অভাবে মারা যায় মনুষত্ব।
মনুষত্বের অভাবে মারা যায়
মানবতা।
আর এই মানবতা সমাজ থেকে হারিয়ে
গেলে সেখানে জন্ম নেয় পুঁজিবাদী লোভ ও স্বার্থবাদ,
সমাজবাদী নিষ্ঠুরতা ও অমানবিকতা।
তখন মানুষের লেবাসের ভেতর বসে
তসবি টেপে বিতাড়িত শয়তান। আর
ইবলিশ সিংহচিহ্নিত আসনে বসে
বাঁদর খেলা দেখায়।
শুনেছি, আখেরি
নবীর বিদায়ের পর
পৃথিবী আর নবী আসবেন না। তবে কি
আমরা এখন নবীহীন ও কবিহীন সমাজে লোভ ও নিষ্ঠুরতার অরণ্য নির্ভর শয়তানের খামারে
বসবাস করছি?
২২/০৪/২০২১ ৫টা
অপ্রকাশিত অন্যান্য কবিতার জন্য এখানে ক্লিক করুন।
No comments