অনন্ত রণক্ষেত্র - অপ্রকাশিত কবিতাঃ ১৭৩
কবিতা-১৭৩ : অনন্ত
রণক্ষেত্র
এ আমি কোথায় এলাম?
হে আল্লাহ, এ তুমি
কোথায় পাঠালে আমায়?
চারদিকে শ্বাপদসংকুল অরণ্য।
চারদিকে ঘাতক নেকড়ের আনাগোনা।
চারদিকে অরি। আজদাহা দুশমন।
এ আমি কোথায় এলাম?
এ কেমন পৃথিবী?
চারদিকে প্রেত হাসি। চারদিকে
বৈরী বাতাস।
হে আল্লাহ, তুমি
ইবলিশের প্রার্থনা কবুল করে এ আমাকে কোন দুনিয়ায় পাঠালে?
আমি যেদিকে যাই, পিছু
নেয় ইবলিশ।
সারাক্ষণ মেতে থাকে আমার অনিষ্ট
চিন্তায়।
এমন একটা মুহূর্ত নেই, যখন সে
বিশ্রাম নেয়।
আমার শয়নে স্বপনে, ঘুম ও
জাগরণে
সে আমার সঙ্গী হয়ে লেপ্টে থাকে
সারাক্ষণ।
আমার প্রতিটি কাজে সে হস্তক্ষেপ
করে।
আমাকে বিভ্রান্ত করে সে চায়
আমাকে ভুল পথে পরিচালিত করতে।
তোমার কথাই সত্য।
ইবলিশ! আমার প্রকাশ্য শত্রু।
সে আমার পা কে ফুসলিয়ে এমন
জায়গায় নিয়ে যায়,
যেখানে আমি যেতে চাই না।
আমার চোখকে এমনসব জিনিস দেখায়, যা দেখা
পাপ।
তার পাতা ফাঁদে পড়ে হাত নিষিদ্ধ
জিনিস ধরে।
অবাধ্য সন্তানের মত কানটাও আমার
শত্রু হয়ে যায়।
আমার অঙ্গ আমার কথা শোনে না।
আমার মন আমাকে ফেলে পাপের জোয়ারে
ভাসে।
হে প্রভু, কেন
তুমি আমায় এমন বিপদসংকুল দুনিয়ায় পাঠালে?
আমি যতই পূণ্য পূণ্য বলে কাঁদি
দেহ ততোই লোভ ও লালসার সাগরে ভেসে বেড়ায়।
হে প্রভু, পৃথিবীটা
কি শয়তানের চারণক্ষেত্র?
নাকি বিতাড়িত শয়তানের সাথে নিরন্তর লড়াই করার ভয়ার্ত
রণক্ষেত্র?
প্রভু, এ অনন্ত
রণক্ষেত্রে শয়তানের ছলনায় পড়ে জীবনভর যে পাপ করলাম, এই পাপের বোঝা আমি কোথায় রাখি?
প্রভূ, তুমি
আমায় মাফ করে দাও,
আমি যে তোমার হাবীবের প্রিয়
উম্মত।
তুমি আমায় মাফ করে দাও।
০৩/১২/২০২০ ২টা
অপ্রকাশিত অন্যান্য কবিতার জন্য এখানে ক্লিক করুন।
No comments