সত্য ও সুন্দরের স্বপক্ষে - অপ্রকাশিত কবিতাঃ ২৯৫
কবিতা-২৯৫ : সত্য
ও সুন্দরের স্বপক্ষে
ঘৃণা নয়, প্রতিবাদ
করতে শেখো।
রুখে দাঁড়াও যতো অসত্য ও
অসুন্দরের বিরুদ্ধে। পৃথিবীকে অসুন্দর করার অধিকার কারো নেই। তোমার প্রতিটি
মুহূর্ত যেনো কাটে সত্য ও সুন্দরের স্বপক্ষে।
পৃথিবী আজ দুই ভাগে বিভক্ত।
একদল ধার্মিক আরেকদল অধার্মিক।
একদল সুন্দরের স্বপক্ষে আরেকদল অসুন্দরের পক্ষে।
একদল হাবিলের পক্ষে আরেকদল
কাবিলের পক্ষে।
কাকের কাছ থেকে শিখে নাও
কি করে অসুন্দর মাটিচাপা দিতে
হয়।
ইমাম বলো, পুরোহিত
বা যাজক বলো, সবাই মঙ্গলের জন্য প্রার্থনা করে। মানুষের কল্যাণের জন্য কাঁদে।
মক্কার সন্তান মুহাম্মদ (সা.)
হয়ে যান রাহমাতুল্লিল আলামীন। ধ্যানী বুদ্ধ জীবের সেবাকেই জ্ঞান করেন ঈশ্বর বলে।
মুসলমান মানে আত্মসমর্পিত।
হিন্দুরা প্রার্থনা করে: নমঃ নমঃ নমঃ বলে। মানে নমিত হও, সমর্পিত হও।
সব ধর্মই অসুন্দরের বিপক্ষে, উগ্রতার
বিপক্ষে।
বাংলার আকাশে সারাক্ষণ ভেসে
বেড়ায়: তোমরা নামাজের দিকে এসো, কল্যাণের দিকে এসো। নমিত হও প্রভুর সমীপে।
যারা পরমের কাছে আত্মসমর্পণ করে
না, তারা উগ্র, তারা অহংকারী,
তারা শয়তানের দোসর।
এসো উগ্রতাকে মাটিচাপা দেই, অহংকারকে
মিশিয়ে দেয় ধূলোর সঙ্গে।
ধার্মিকেরা এক হও।
এক হও আদমের সন্তানেরা।
রুখে দাঁড়াও জালিমের বিরুদ্ধে।
অসুন্দরের বিরুদ্ধে।
ওরা মানবতার শত্রু, মানুষের
শত্রু।
নিজের মাকে মা ডাকতে শেখো। মাকে
যারা গালি দেয় তাদের বলে দাও: 'খবরদার বেজন্মার দল। মাকে গালি দিলে জিভ টেনে ছিঁড়ে ফেলবো।'
বলে দাও, ধর্মকে
গালি দিলে সইবে না প্রভু। তোদের জন্য রয়েছে নরক বা দোজখ।
আবারও বলছি, ঘৃণা নয়, প্রতিবাদ
করতে শেখো। রুখে দাঁড়াও যতো অসত্য ও অসুন্দরের বিরুদ্ধে।
পৃথিবীকে অসুন্দর করার অধিকার
কারো নেই। তোমার প্রতিটি মুহূর্ত যেনো কাটে সত্য ও সুন্দরের স্বপক্ষে।
২৪/০৪/২০২৩ বাদ ফজর
অপ্রকাশিত অন্যান্য কবিতার জন্য এখানে ক্লিক করুন।
No comments