সাহস বাড়াও, সাহস - অপ্রকাশিত কবিতাঃ ৩১৪
কবিতা-৩১৪ : সাহস
বাড়াও, সাহস
ঘৃণাকে উচ্চকিত করতে শেখো।
সাহসকে উচ্চকিত করতে শেখো।
রুখে দাঁড়াও অন্যায়ের বিরুদ্ধে।
মন্দ ও অসত্যের বিরুদ্ধে।
সাহসের সাথে লড়াই করো।
এটাই একজন মানুষের কাজ।
যদি না পারো, ঘৃণাকে
প্রকাশ করো জবান দিয়ে। বলো,
তুই খারাপ, তুই মন্দ, তুই পঁচা।
বলো, তুই
জালিম, তুই শোষক, তুই মানুষ ও মানবতার দুশমন। আর যদি-
আর যদি তাও না পারো, অন্তত
মনে মনে ঘৃণা করো। এটাই মানুষ হিসাবে টিকে থাকার শেষ সীমানা। যদি তাও না পারো, তবে বলো, আমার
বিবেক বিক্রি হয়ে গেছে। মনুষত্ববোধ বিক্রি হয়ে গেছে। আমার পরিচয়, আমি
একখন্ড জড় পদার্থ ছাড়া আর কিছু নই।
যদি নিজেকে মানুষ মনে করো, তবে
রুখে দাঁড়াও।
অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও।
জালিমের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও।
নষ্টামীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও।
রুখে দাঁড়াও সব মন্দ ও আবিলতার
বিরুদ্ধে।
রুখে দাঁড়াও অন্ধকারের বিরুদ্ধে।
শক্তি না থাকলে শক্তি সঞ্চয় করো।
সংকল্পে উদ্দীপ্ত হও।
শপথে বলীয়ান হও।
দৃঢ়তার সাথে এগিয়ে যাও সামনে।
মনে রেখো, অস্ত্র
কখনো বিজয়ের জিম্মাদারী নিতে পারে না।
তাহলে জয়ী হতো ইরানের শাহ।
জয়ী হতো ইয়াহিয়া ও টিক্কা খান।
বিজয়ের জন্য চাই সাহস।
তুমি যদি মরার জন্য ময়দানে
ঝাঁপিয়ে পড়ো, তুমি
মরবে না।
বিজয় এসে চুমু খাবে তোমার পায়ের
পাতায়।
ইতিহাস তাই বলে।
মজলুম হারে না। অবশেষে মজলুমই
জয়ী হয়। কারণ, তাদের সাথে থাকে আল্লাহর রহম।
স্বৈরাচার ঘৃণার পাহাড়ের তলে
ডুবে যায়।
জালিমের দম্ভ একদিন চূর্ণবিচুর্ণ
হয়ে যায়।
অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করার
জন্য ঘৃণাকে উচ্চকিত করো।
সাহস বাড়াও, সাহস।
১৯/০৫/২০২৩ বাদ ফজর
অপ্রকাশিত অন্যান্য কবিতার জন্য এখানে ক্লিক করুন।
No comments