নির্ভরতার হাসি - অপ্রকাশিত কবিতাঃ ৩১৫

          

কবিতা-৩১৫ : নির্ভরতার হাসি

আমি তোমাদের সামনে নয়া বিপ্লবের কর্মসূচী ঘোষণা করছি।

এখন থেকে সাথী ও সন্তানের জন্য

অশ্রুবর্ষণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো।

কেউ আর কাঁদবে না। তার বদলে

হাসিমুখে সবাই এগিয়ে যাবে সামনের দিকে।

 

মরতে তোমাকে একদিন হবেই। অতএব ভয় কিসের? নির্ধারিত সময়ের আগে কেউ মরে না। তুমিও মরবে না। যদি তোমার আগে জালিমের মরণ লেখা থাকে কেউ তাকে বাঁচাতে পারবে না।

 

তোমাকে কারাগারে আবদ্ধ করার মানে তুমি হেরে গেছো তা কিন্তু নয়। প্রস্তুতি নাও মসনদে বসার জন্য।

ভুলে যেও না, বন্দী ইউসুফই রাজমুকুট পায়। কারাগার থেকেই যেতে হয় সিংহাসনে।

 

কাফেলায় দরকার তিনশ তেরোজন মর্দে মুমীন। যতোবার বদর আসবে ততোবার হাসবে মুমীন। অস্ত্রবাজদের বিরুদ্ধে যা আছে তাই নিয়ে রুখে দাঁড়ালে মুমীন পরাজিত হতে পারে না।

 

হে হোদায়বিয়ার বিপর্যস্ত সৈনিকেরা! তোমরা কি জান না, সময়ের ব্যবধানে  এরাই মক্কা বিজয় করে? ঈমানদাররা এগিয়ে গেলে হাতিয়ার সমর্পন করতে বাধ্য হয় দুশমন?

 

তবে হাতে হাত রাখো।

যারা মানুষের জন্য অকল্যাণের বীজ বুনে তারা আর জিততে পারবে না।

নিপীড়িত অসহায় মানুষের বন্ধুদের অগ্রযাত্রা রুখতে পারবে না দাম্ভিক কোন রাজা, মহারাজা।

আমাদের সিপাহসালার এগিয়ে যাবে আর ঘোষণা করবে, যারা হাতিয়ার সমর্পন করে নিজ নিজ ঘরে অবস্থান নেবে তাদের কোন ভয় নেই। আমরা প্রতিশোধপরায়ন নই। কোরআনের ন্যায়নীতি সবার জন্য সমভাবে প্রযোজ্য হবে।

 

আমাদের লড়াই নিপীড়িত মানুষের মুখে নির্ভরতার হাসি দেখার জন্য।

অতএব, এসো, নেমে পড়ি যুদ্ধে। দেখবে, দূর্যোগের আকাশে উড়ে বেড়াচ্ছে নির্ভরতার হাসি।

গাছের সবুজ পাতায় নির্ভরতার হাসি।

মানুষের ঠোঁটের কোণে নির্ভরতার হাসি।

নির্ভরতার হাসিতে কলকল করছে সবকটি নদী ও সাগর মোহনা।

১৯/০৫/২০২৩ বাদ জুম্মা।

অপ্রকাশিত অন্যান্য কবিতার জন্য এখানে ক্লিক করুন।

No comments

Powered by Blogger.