একটু নিরাপত্তার জন্য - অপ্রকাশিত কবিতাঃ ৩০৭
কবিতা-৩০৭ : একটু নিরাপত্তার
জন্য
আমি কেন যে সারাক্ষণ এমন
নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
মনে হয় চারদিকে শত্রু।
প্রতিটি প্রহর সতর্ক না থাকলে
যে কোন সময় ডুবে যেতে পারি
অদৃশ্য চোরাবালিতে।
বুঝি না, হালাল
খাবার রেখে মানুষ কেন নিষিদ্ধ গন্ধমের লোভে বারবার ছুটে যায় রজনী বিলাসে।
ওখানে কি মানবতার চাষ হয়?
নাকি ওখানে সারাক্ষণ পাশবতার
উদ্দাম নৃত্য চলে?
কে জানে না, মদ
খাওয়া হারাম?
কে জানে না, গন্ধম
খেলে পঁচে যায় পাকস্থলী?
ছড়িয়ে পড়ে নানারকম দূরারোগ্য ব্যধি? মহামারী
এইডস?
তবু কেন মানুষ ভক্ষণ করে নিষিদ্ধ
গন্ধম?
পৃথিবী কি কোন শ্বাপদ অরণ্য?
তবে কেন মানুষ নিশ্চিত মৃত্যূকে
আলিঙ্গণ করার জন্য এত উতলা হয়?
গন্ধমের জন্যই যদি পাগল হবি তবে
মানুষ হওয়ার দরকার কি ছিল?
কি দরকার ছিল ভদ্রতার পোশাক পরে
মানুষ সাজার? ভাদ্রের কুকুর হলে কার কি ক্ষতি হতো?
মানুষ আজ আর মানুষ নেই। যদি সে
মানুষ হতো তবে এই মৃত্যুকূপে ঢুকতো না কখনো। পান করতো না অমিয় গরল।
মানুষ সাপকে যেমন ভয় পায়, সাপ
মারা অবধি আতংকের হীমস্রোত বয়ে যায় রক্ত কণিকায়,
তেমনি ভয়ংকর, না, তারচেয়ে
বেশী ভীতিকর এই নীশিথ সর্প রজনী বিলাস।
আমি সাবধান করছি তোমাদের।
যুবক ছেলেটি সাপের ছোবলে
আক্রান্ত হওয়ার আগেই বাঁচাও তাকে।
ভেঙ্গে ফেলো সব সাপের আস্তানা।
ভেঙ্গে ফেলো স্বপ্নাচ্ছাদিত সজ্জিত বিষের শিশি।
নইলে তোমার সন্তান অচিরেই মারা
যাবে।
আমি উদাত্তকন্ঠে ডাকছি, ঘৃণ্য
সাপের ছোবল থেকে রক্ষা করো এ মহাবিশ্ব।
ছোবল মারার জন্য উদ্যত শয়তানকে
বিতাড়িত করো।
গুড়িয়ে ফেলো নিষিদ্ধ তাসের ঘর।
গুড়িয়ে ফেলো পাপের সবকটি
আস্তানা।
নইলে তোমাকে রক্ষা করতে কেউ
পারবে না।। কেউ না।
১৩/০৫/২০২৩ বাদ ফজর
অপ্রকাশিত অন্যান্য কবিতার জন্য এখানে ক্লিক করুন।
No comments