কবির সম্মান - অপ্রকাশিত কবিতাঃ ০১৪
কবিতা-০১৪ : কবির
সম্মান
বিভ্রান্তির উপত্যকায় ঘুরে
বেড়ানো কবিরা ছাড়া,
ঈমানদার কবিরা কখনো নিজের যশ, খ্যাতি, সম্মান ও মর্যাদার জন্য কবিতা লেখে না।
আল্লাহ প্রদত্ত দায়িত্ব ও
কর্তব্য পালনের জন্যই তারা কবিতা লেখে। আর আল্লাহ তাদের এত অধিক সম্মান দিয়ে
রেখেছেন যা বর্ণনার ভাষাও কোন কবির নেই।
আল্লাহ তাঁর নবীকে বলেন, আমি তোমাকে কবি হিসাবে প্রেরণ করতে পারতাম, কিন্তু
তা তোমার জন্য শোভন নয়।
কবির চেয়ে নবীর মর্যাদা অনেক
উর্ধ্বে বলেই আল্লাহ তাঁর হাবীবকে কবি না বানিয়ে নবী করে পাঠিয়েছেন। যদি তিনি নবী
না বানাতেন তবে কবি হিসাবেও তাঁকে পাঠাতে পারতেন। সোবহানাল্লাহ।
তুমি দেখো,
পৃথিবীতে কত রাজা মহারাজা এসেছেন,
কত বিখ্যাত জ্ঞানী গুণী এসেছেন,
ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার এসেছেন
কিন্তু কারো জন্য কি আল্লাহ কোন
সুরা নাজিল করেছেন?
অথচ কবিদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ
সুরা নাজিল করে নবীর পরেই কবিদের সম্মান সুরক্ষিত করেছেন।
শুধু তাই নয়, কবিদের স্বভাব প্রকৃতি বিশ্লেষণ করে তাদেরকে অন্যায় ও জুলুমের বিরুদ্ধে
প্রতিবাদ করা, সমাজকে জাগিয়ে তোলার দায়িত্ব দিয়েছেন।
আল্লাহ প্রদত্ত সম্মানের এ মুকুট
খুলে
কবিরা এরচে ঋদ্ধ আর কোন মুকুট
পড়বে?
আল্লাহর দেয়া সম্মানের চাইতে আর
কি শ্রেষ্ঠ হতে পারে?
কবিদের সম্মান দিয়ে ভালবেসেছেন
আল্লাহর নবীও। মসজিদে নববীতে নবীর মিম্বরের পাশে কবির জন্য আলাদা মঞ্চ করে
দিয়েছেন।
যুদ্ধের পরে মুজাহিদদের পাশাপাশি
কবিদের দিয়েছেন গনিমতের মাল। আর ভালবেসে কবিদেরকে পরিয়ে দিয়েছেন নিজের গায়ের চাদর।
সোবহানাল্লাহ, সোবহানাল্লাহ।
এরপর কবির আর কি
চাওয়া পাওয়া থাকতে পারে!
আফসোস, আজকের মুসলমানদের দেখলে মনে হয়, তারা এসব ভুলেই
গেছে।
০৮/১০/২০১৭
অপ্রকাশিত অন্যান্য কবিতার জন্য এখানে ক্লিক করুন।
No comments