পুরস্কারের বরণডালা - অপ্রকাশিত কবিতাঃ ০১৫

         

কবিতা-০১৫ : পুরস্কারের বরণডালা

কোনো রূপসীর চুলের ডগায় তিনটি বিশাল বটবৃক্ষ দাঁড়িয়ে আছে, এটা বিশ্বাস করলেও নবীপত্নী পরকিয়ায় লিপ্ত, এ কথা কোন মুসলমানই বিশ্বাস করতে পারে না।

কিন্তু, কিন্তু তেমনি এক দুঃসংবাদ

ছড়িয়ে পড়লো জাজিরাতুল আরবে। জনমনে ছড়িয়ে পড়লো সন্দেহের বীজ, শোকের তুফান।

 

মহানবী সা. তাঁর প্রিয়তমা স্ত্রীকে পাঠিয়ে দিলেন বাপের বাড়ি। তাঁর অন্তরে তোলপাড় করছে বোবা কান্নার ঢেউ।

আর ওদিকে মা আয়েশা রা.  নাওয়া খাওয়া বাদ দিয়ে পাগলিনী প্রায়।

 

একদিন নয়, দুদিন নয়, মাস নয়,

কেটে গেল চল্লিশ দিন।

ওহী নাজিল করে আল্লাহ নবীকে জানিয়ে দিতে বাধ্য হলেন এটা স্রেফ অপবাদ, নিরেট মিথ্যা।

 

খবর নিয়ে জানা গেল,

অপবাদের মূল হোতা একজন কবি,

নাম হাসসান বিন সাবিত।

নবীর স্ত্রীর নামে অপবাদ!

হোক না সে কবি! তাই বলে এমন জঘন্য অপরাধের বিচার হবে না, শাস্তি হবে না? তাও কি হয়?

 

হ্যাঁ, হয়। যদি ক্ষমার সুযোগ থাকে তাও হয়।এতো বড় জঘন্য অপরাধের পরও রহমতে আলম বিশ্বনবী মোহাম্মদ সা. তাকে মাফ করে দিলেন। মাফ করে দিলেন তাকে মা আয়েশা রা. তাকে ক্ষমা করে দিলেন বিক্ষুব্ধ মুসলমানরা।

এমনকি আল্লাহও।

 

নবী যে তাঁর মনের অসহ্য কষ্ট ধরে রাখেনি তা বুঝিয়ে দিলেন কবিকে শায়েরুন্নবী উপাধি দিয়ে, মসজিদে নববীতে তাঁর জন্য আলাদা মিম্বর বানিয়ে দিয়ে।

 

কবিদের এভাবেই শাস্তি দিতে হয়।

শাস্তির বদলে কবি পান পুরস্কার।

 

কবিত্বের কী মহিমা! পৃথিবীতে বেঁচে থাকতেই বেহেশতের সুসংবাদ পেয়েছিলেন হাসসান বিন সাবিত।

এমন ঘটনা কেবল কবিদের বেলাতেই ঘটে। শাস্তির বদলে কবিরা পায় মুসলিম উম্মার ভালবাসা এবং আল্লাহ ও নবীর কাছ থেকে পুরষ্কারের বরণডালা।

০৮/১০/২০১৭

অপ্রকাশিত অন্যান্য কবিতার জন্য এখানে ক্লিক করুন।

No comments

Powered by Blogger.