সত্যি, আমিও বুঝি না - অপ্রকাশিত কবিতাঃ ১১১
কবিতা-১১১ : সত্যি, আমিও বুঝি না
যখন বাবা ছিল, আমরা
লুকিয়ে বিলে ডুবাতাম,
তখন দেখতাম বিলে মাছ লাফায়।
এইতো সেদিনের কথা।
এবার বর্ষায় বাড়ি গিয়ে দেখি
ভিন্ন চেহারা। বিলে এখনো শিশুরা দলবেঁধে লাফালাফি করে কিন্তু সেখানে কোন মাছ
লাফাচ্ছে না।
সেখানে লাফাচ্ছে ঈর্ষা, অহংকার, গর্ব ও
পুটি মাছের বদলে চাটুকারিতা। আর বাচ্চারা তাই ধরে নিয়ে যাচ্ছে বাড়িতে।
বাড়ি ফিরে আমি রহমতকে বললাম, এক
গ্লাস পানি দে তো।
সে পানি নিয়ে এলো, কিন্তু
কৌশলে কেন এক চিমটি লবন মিশিয়ে দিল, আমি কিছুই বুঝলাম না।
যেমন বুঝিনি, কেন
আমারই আপনজন আমাকে জাহাজ থেকে সাগরে ফেলে দিতে চেয়েছিল। ভাবছি, সেদিন
মানছুর ভাই না থাকলে সাগরে বসে কি করে এই কবিতা লিখতাম?
আমার এক ভালবাসার মানুষ নোয়াখালী
থেকে ফোনে বললো,
ভাই,
আমি আপনার কয়েকটি কবিতা লবন মরিচ দিয়ে মাখিয়ে ভর্তা করেছি।
বেশ টেস্টি হয়েছিল।
আমি আপনার এক বন্ধুকে বললাম, চেখে
দেখেন। তিনি মুখ ফিরিয়ে নিলেন। বলেন তো বিষয়টা কি?
আমি বললাম, ও তুমি
বুঝবে না।
মানুষকে আল্লাহ বিচিত্র গুণ দিয়ে
সৃষ্টি করেছেন। সে গুণের পরিমাপ করা কি সবার পক্ষে সম্ভব?
মন্দ জানলেই কি মন্দ থেকে সরে
আসা যায়? চোর কি জানে না,
চুরি করা খারাপ? সে কি চুরি করা ছাড়ে?
বলতো, রাজার
ছেলেরা কেন বাবাকে জেলখানায় বন্দী করে আর প্রভুকে বাঁচাতে গিয়ে ঘোড়া কেন তার নিজের
জীবন বিসর্জন দেয়?
কেন, যে আঙুর
খেয়ে রোগীরা প্রাণ বাঁচায় সেই আঙুর পঁচিয়ে মানুষ মদ বানিয়ে খেয়ে পাকস্থলি ঝাঝরা
করে ফেলে?
অতি বুদ্ধিমানরা এমনই করে। কেউ
মরতে চাইলে কি করার আছে তোমার?
ভালবাসার মানুষটি বললো, সত্যি, আমিও
বুঝি না।
১৬/০৬/২০২০ ২টা
অপ্রকাশিত অন্যান্য কবিতার জন্য এখানে ক্লিক করুন।
No comments